আমি ১
আমার জন্ম
এক অলক্ষ্মী সময় দিয়ে বেড়িয়েছিল যে রঙ
উলুধ্বনিতে কাঁপেনি স্থানীয় বায়ু ছন্নছাড়া বৃষ্টি
ফোঁস নাগিনী দাঁত লাল করে পানে সিঁদুরে মেঘ ঠাম্মা
ওলো নন্দা পাচু এবার ডুববে জলে ।
এক ঝড়ে বদলে যায় গৃহস্ত অঙ্গন মালসা আগুন তখনো
ধিকি ধিকি নাভি রক্তে খেলা করে কাঁঠালের মাছি
মাটি হাড়ি মুখে মা রোদনে সুর তুলেছেন মনে মনে
খুঁজেছেন লবণের ভাণ্ডার ।
জানেনা নব্য সৃষ্টি ব্যাঙ্গের ভাষা অথবা চিনি লবণের
ভেদাভেদ বোঝেনা চিটে ধানে স্বাদ নেই বৃথা হেমন্ত বাতাস
আর মেলা শেষ করে ফেরে যেসব সাইরেন সঙ্কেতে
ঘাম ঝরিয়ে কর্মবীর তাদের মধ্যেই কেউ আমার রক্ত পিতা
অথবা পিতার পিতা জন্মবীর ; সেওকি ভুলে গিয়ে জন্ম আনন্দ
মেতে ওঠে শোকে ? জন্ম তবে জন্মের সবখানি নয় !
দূরে- কাছে নিভে গিয়ে আঁধার জলে তরঙ্গ নিয়ে এক অরুণে
জেগে ওঠে সমগ্র সৃষ্টি ; দাই দুই হাতে তুলে নিয়ে বরফ
দ্যাখ চেয়ে পাচু রঙ পেয়েছে তোরই ।
কাছেপিঠে রঙের হোলিতে মাতোয়ারা মতুয়া সম্প্রদায় ডাংকায়
হরি বোল ; চুল্লীতে বসেছে ভাত আগুনের ত্বেজ আছে রাঁধুনি
মাসীমা সাইবেরিয়ান শীতলতায় ;
বলো তুমি জনম উপেক্ষার আচ্ছাদনে পাঠিয়ে আঁতুড় ঘরে
জীবনের কি স্বাদ তুই করেনিলি পূরণ ? জীবন !
No comments:
Post a Comment