একচল্লিশ থেকে পঁয়তাল্লিশ
৪১ ছুড়ে দেওয়া শব্দভেদী তৃণ ফেরেনা শূন্য হাতে
কিছুটা রক্ত তাতে লেগে থাকে ; রক্তই দিতে পেরেছে জীবনে
নেশা অথবা শান্তি নিশান , অশোক পেয়েছেন জীবন অসুকে।
৪২ মনে রাখেনা কেউ কারুর অনাহারী দৃশ্য ; মনে রয়ে যায়
নিজস্ব একাকীত্ব সেই সব সোনালী ধানের গুচ্ছ , আমি সিওললিয়নের
এক প্রাণ আমার ভাইকে খুঁজে পেয়েছি আমলাশোল , সাদা হাউসে মহাভোজ ।
৪৩ বরমিয়ামে স্তূপাকার জঞ্জাল ; এখানে ওখানে নরখাদকের বজ্জ্য ,
ইতিহাস মুছে ফেলে নতুন ইতিহাস মন্দির চুড়ায় ভক্ত , আলী কালী
মিশে গেলে শকুনের ভাড়ার শূন্য , রক্ত হয়েছে পথ্য ।
৪৪ বধ্যিস্নু গ্রাম ছিল আমাদের আঁকরে স্বর্ণখনি ; হেসে খেলে
সন্তান উৎপাদন পুতুল নাচে মেতেছিল বেশ ; এখানকার স্বর্ণ দিয়ে কংক্রিটে
মাতল যখন নগর নাগরিক ; হাফানিতে ধুঁকছে তখন গাঁ ।
৪৫ মাঝে মাঝে নেমে আসেন কিছু ঈশ্বর মাটির প্রয়োজনে ; আর সেই অবকাশে
আমরা সমৃদ্ধ করে নিই কিছু কথা ; জনতাভীরে পাঠ করে পাড়ানি তুলে নিয়ে
সাজিয়ে নিই অঙ্গ ; ঈশ্বর বোঝেন সব ; ফাঁকি দিয়েছি নিজেকেই
এক গভীর জল
থৈ থৈ কালমাস
আমার জন্মের কিছু সুনিদিষ্ট নির্দেশ
কাঁচা আঁধারে পথ খুঁজি একা ।
কতকিছু হতে পারতো ; তবু
হতে পারেনি
তাঁরই নির্দেশে ;
কতকিছু ডেকে ডেকে ফিরে গ্যাছে আমার জন্য
তোমরা শোন না বলে ;
কতোগুলো গাছ ন্যাড়া থেকে যায়
যদিও জল ছিল আলো ছিল
হাওয়াও ছিল বেশ
গন্তব্যে
আর কাঁটাছেড়া করছিনা নিজেকে;
এবার মোম আগুনে গলিয়ে নেবো শরীর ,
সেসব জ্যোৎস্না চাঁদে উত্তাপ ছিল আগুন না , অথচ
পতঙ্গ আগুন ভালোবাসে বারবার ।
নক্ষত্র বিলাসী প্রেমিকের পায়ে ঘোড়ার খুঁড়
প্রতিরাতে পোশাক বদলে নর্তকী
দাড়িতে চাপিয়ে কাল
প্রভাতে ভুলে যায় নটরাজকলা , তক্ষুনি সম্বিৎ
ফিরে বণিতার স্তন হতে মুখ তুলে প্রেমিক পুরুষ
এক দীর্ঘশ্বাসে খোঁজে নর্তকীর নূপুর ......
সময়ে চা জমে জল হলে
স্বাদ নেই জিভে
ভীর বাস হতে লোক নামে
গন্তব্যে মনে রাখেনা রাতের ইতিকথা ।
অনিয়ন্ত্রিত
অথচ এমনতর হবার কথা ছিল না । পুংতিতেই
রেখেছিলাম এক কথামালা আর ধানকাঁটা মাঠের শূন্যতায়
ছড়িয়ে ছিলাম আগুন ; পাশের সবুজ ক্ষেত দিয়ে যখন হুড়হুড়
দখিণা পবন কোন গন্তব্যে তখন সব ছিটিয়ে ভিখারি হয়েছে
মাঠ ; দেখছি তুমি নির্দ্বিধায় মাঠ পেড়িয়ে জলের উৎসে
আর আমি বন্দী শব্দে পাজলে ; তুমি আবডালে বলো ঘরকুনো ...
আমি ভিকারি , ভিকারির চেয়েও ভিকারি ।
এই শব্দ পাজল ভালেবেসেছিলে একদিন , একদিন হাতের আঙ্গুলে
জন্মেছিল সম্ভবনা ; ছবি এঁকে ঘর বানিয়ে গাছে তুলেছিলাম নীড় ;
ফল ফুল ডিমে মেতেছিল দুপুর , এতএব শান্তি প্রস্তাবে বেশ ছিল
রঙের মেলা ; বুঝিনি ঘর খানি সব নয় ... দাঁড়াস আছে পিছে
ভালোবেসে ডিমের স্বাদ ।
এখন রোজ দিন জনতা ভেঙে খাদ্য অন্বেষণে ; দেখা হয় মাঝে-ক্ষণে
নীল অনাবৃত আবেদনে ছুটছো তুমি ; তোমার অসহ্য তারুণ্য
পুড়িয়ে দিচ্ছে আমার চোখ , বুজছি শরীর যতটা তোমাকে সৌন্দর্য
করেছে অহং বাড়িয়েছে ততাধিক ।
অগত্য বাড়ি ফিরে আসি , ফিরতেই হয় অবশেষে , শব্দ পাজল খাতা
টেনে বের করি , খাতা ভরে চাঁদ আঁকি , বাদে সযত্নে ঝামা ঘষে দিই ,
একবুক আঁধার নামিয়ে ঘরে আদিম পুরুষ আর অনিয়ন্ত্রণে প্রথম রিপু;
মাঝরাতে খেলা করে ক্লান্ত , ঘাম এসে গেলে সব মিথ্যা , চিনচিনে
যন্ত্রণা নেই আর বেগ বারে প্রস্রাবের .........
সোজা হাইওয়ে ধরে ভাঙছে সূর্য ; রোদের
চিল চিৎকার । অসহ্য তারুন্যে যুবক রোদ
কার্নিশে নেচে দ্বিপ্রহর , ধবধবে ফ্যানা তুলে সেই যে
ডাকছে হাম্বা , বাঁকুড়ার লাল মাটি ফেলে চৌচির
বর্ষা মঙ্গলে ও নেই বৃষ্টির গন্ধ বাতাস !
বৃষ্টি
শুধু বৃষ্টি এলে দুমুখো হয়ে যায় সমগ্র সত্ত্বা ;
একদিকে তামাম বৃষ্টির ম' ম' গন্ধ অন্যধারে ভেজা
শরীরে লেগে থাকে তোমার যৌবন ; আর মস্তিস্ক জুড়ে
যুবক পিথাগোরাস ; মগ্ন জ্যামিতিক বিন্যাসে । তখন
পৃথিবী জুড়ে অনাহারের গল্প উহ্য রেখে প্রত্যেকটা দুপুরে
আমি নগর প্রেমিক , অথচ যথেচ্ছারে বৃক্ষচ্ছেদনেও এই
বৃষ্টির থামার লক্ষণ দেখছিনে আর ।
ক্রিয়া- প্রতিক্রিয়ায় সর্বদা নিয়ন্ত্রণে সর্বশক্তিমানরায় ; নারী
প্রেম অথবা বিয়ারের ক্যান অধিকারে শুধুই ফাঁকি দিয়ে এগোনোর
গল্প ; আজীবন মানুষ নিপাট প্রেম নির্ভর , অথচ প্রেমে ডুয়েল
একদিকে ঈশ্বর অন্যদিকে আমি !
সমগ্র বৃষ্টি জুড়ে হেটে চলছে আমার যুবক ; আরো কিছু নতুন পাখি
এখনো এদিকেই দৃষ্টি রেখে ;
বিলীন হতে গেলে প্রেমে একটা জীবন যথেষ্ট নয়
তাইতো ঈশ্বর আত্মার সৃষ্টি করেছেন !