ক
কিছু দৃশ্যান্তরে ডুবেছে আপাতনিহিত দৃশ্য , সব আঁধার ,
শূন্যতায় অসীম শূন্য গোলকে ঘূর্ণন , সিঁড়ি ভাঙছে রোদ্দুর , অথচ
আতাত গড়ে ওঠেনি জীবনের সঙ্গে জীবনের ; অবিরত এক বিছানায়
জ্যোৎস্না ন্যাপথলিন বৈঁচি মালা রেখেও সুগন্ধ উড়েছে নীলিমায়,
গৃহ , গৃহ হয়ে ওঠেনা কোন দিন ।
এই সব বিলীন উপত্যকা ধরে অজাতশত্রু হয়েছে কাল ;
নির্ভেজাল কিছু সত্য প্রকট আত্মগরিমায় খুঁচে চলে
মনস্তাত্ত্বিক স্ফোটক , আর সর্বগ্রাসী দাবানলের আওতায় চারকাল ।
সমুদয় বিভ্রান্তি নিয়েও পাল খুলেছেন অতলান্তিক নাবিক যুগাতীর্ণ প্রতিভায় ;
প্রস্তুত সেইতি , প্রাণপনে চলবে সেচন , ভেসে থাকাটা বড্ড দরকার !
মিথ
কিছুটা মিথ হয়ে বুড়ো চাঁদ প্রণিপাত জেগে ওঠার ;
আর নিষিদ্ধ জন্ম থেকে এক নৈরাজ্য
চাঁদ খুঁজছেন যেমনটি পেলো দিয়ে মাছ ধরতেন
আমাদের ঠাকুরদা তখন
অন্ধকারে হাতড়ানোর খেলা ।
একসময় মানুষের হাত ছিল বামুন , সীমিত চাহিদায় জোগান
মন্দ নয় ;
অথবা মানুষে মানুষে বন্ধুত্ব গহন ছিনেজোঁক মন
অভিপায়ে শুধুই আগুন খোঁজা ।
তারপর হাওয়া বদল ।
চাঁদ বয়স বাড়িয়ে ধুঁকছে যখন এক বিষাদে বেড়ে গেলো নৈরাশ্য
বিবর্তনে জিন হারিয়েছে পূর্বপুরুষের সংজ্ঞা
কাস্তে চাঁদে প্রতিরাতে গলা কাটি নিজেই নিজের ।
ব্রাত্য
বেঁচে গেলে শুঁয়োপোকা প্রজাপতি রঙ মেখে
চুরি করে যৌবন ; বিভেদের ছলা-কলা ভুলে গিয়ে
কণ্ঠীতে মালা জপ , একশত আট নামে
বৈকুণ্ঠর সোজা ঘাট ।
নগর বাউল আমি ভ্যাপা চাঁদে গান লিখি ,
সেদিনের আউল ফকির ঝালমুড়ি ট্রেন ঝিকঝিকি ।
কতদিন ধরে আগুনের পাঁশ থেকে নিয়ন অভিমুখে উড়ছে পতঙ্গ ;
উৎস মুখ থেকে দুরন্ত ছুটছে নদী কবিয়াল
" কে যায়রে ভাঁটিতে নাউ বাইয়্যা " ডাকের আবেশ
বন্ধিত্ব প্রাপ্তি ...... গঙ্গার গ্যালন গ্যালন জলে
এক বিষাদ হাওয়া
এক কালে মন ছিল ঘুড়ির গতিপথে , এক কালে মন ঘুড়ি হয়ে
উড়েছিল এখানে ওখানে ।
এভাবেই প্রতিরাতে খুন করে আত্মা , এভাবেই বট শেকড় উপ্রে
আপেল চাষ , এভাবেই দিনলিপি থেকে কিছু বছর অনুপস্থিত ,
এভাবেই নতুন আঙ্গিকে ঝুমচাষ , আমরা ভুলে যায় ব্রাত্যজনের ইতিহাস ।
নক্ষত্র বলয়ে আমরা
আমি এক আমিত্বে দিনগত সঙ্গদোষে
আগুনের তলানিতে হাত রাখি ; অথবা ফিরে যায় যখন
কৃষক নবান্ন ছড়িয়ে , কাঁ'কেদের দেশ হতে
কিছু ক্ষুধা বা পেটের কীর্তন...
শূন্যতায় , হ্রিদয় পুড়ে ছায় ......
অথবা অনেক কাল আগে ; অথবা
যুগান্ত ধরে ওরা ভালোবেসে নবান্নের ঘ্রাণ আঁজলায় ধরেছেন জল
তুমি মালসা হাতে গোপা
অথবা বুবুক্ষার পেত মায়া , আর সময় পুরুষ সন্ধি গ্রন্থি বিভাজনে
নতমস্তক চাতক ......
জ্যোতিষ্ক মেলায় নবারুণ কিছু স্থির চিত্র
হাত বাড়িয়ে ঠাকুমা শিখিয়ে ছিলেন অঞ্জলি , যদি ভুল ভাঙ্গে ,
যদি নেমে আসে খাবারের নক্ষত্র বলয় ।
ছত্রিশ থেকে চল্লিশ
৩৬ আমাকে পোড়ানর আগে কাঠ শুঁকিয়ে নিয়ো ভাল করে
সহস্র বৎসরের জমা জল ঢালবো চিতায় ; যদি বলি প্রেম
এসো নগ্ন শুয়ে পরি দুজনে চিতায় ? জানতাম তোমার বুকেই
তো সেদিন ছিল আশ্রয় , আজ পূর্ণ করো ভালোবাসায় !
৩৭ জ্বলতে জ্বলতে চিতা শেষ হয়ে আসে , কাঠ কয়লা হয়েই
কিছুদিন থাকি ওখানেই আমি , যে পুরুষ ভুষাকালি মেখে সঙ
সেজে মনোরঞ্জনে মান ভঙ্গনে আমাকে পেয়েছে কি কোনখানে ?
পুড়িয়ে মেরেছো শরীর আগুনেরই ভয়ে , প্রেম ।
৩৮ তাকিয়ে থেকো না এভাবে চিতায় , ঝলসে যাবে তোমার মায়াবী রঙ ,
শরীরের খাঁজে খাঁজেই তো ভেসেছো এতো দিন অতলে ,
উপেক্ষিত উপেক্ষায় আমার রান্না-বাটি পুতুল বিয়ের দিন-কাল ,
এবার শান্তি তোমার ! চিতার আগুনে ব্যথা নেই ভালোবাসাও ফ্যাঁকাসে ।
৩৯ আর কিচ্ছুক্ষণ দাড়াও হেথা শুরু হয়েছে মাষ পোড়া , আগুনের
দাবীতে নেই কোন আকাঙ্ক্ষা নিয়মেই তুলে নেবে শরীর , আগুনের ধর্ম
সধর্মী নেই একপেশে বাদ-বিচার , আগুন আর তুমি বন্ধু বোধহয়
পোড়াতেই জানো মনের হিসেব রাখার নেই অবকাশ !
৪০ ফিরে যেয়ো ঘরে , নতুন আঙ্গিকে সাজিয়ে নিয়ো তোমার বাস্তুভিটে ,
উজান স্রোতে ভেঙো না কোন পথ স্রোতের মুখেই ছুটো ;
শুধু অধিকারে রেখোনা কোন নারী মন , নারী শুধুই ভেসে যাওয়া স্রোতে ,
চিতা কাঠ আবার প্রস্তুত করো , যদি তোমার সন্তানের প্রয়োজনে লাগে !