Sunday 25 March 2012

দুই




সংখ্যাহীন চিতল 

অন্ধ অনুকরণে রক্ত ও অভ্যাসের চিরকালীন ছন্নছাড়া গতিপথ ।
মার্জিত উন্মেষিত "বোধিবৃক্ষ" যেদিক নির্দেশ করে
সেদিকে শুধুই শুন্যতা ; আর যোজন যোজন কক্ষপথ জুড়ে
ঢেউ আর স্নায়ু ঘুম । এর বিপরীতে
দাঁত শান দিতে দিতে পশুরা কাটিয়েছে যৌবন , অথবা
রেখে রেখে গাছে গাছে প্রস্রাব করে নিজের অস্তিত্ব ।
দুই চারটে পশু যদিও বা শাকাহারী কিম্বা
বদহজম মাংসে , তখনি
সঙ্গবদ্ধ জোট নগ্ন রাস্তায় দৌড় করিয়ে অধিকারে
সংবিধান গিলিয়েছে চাঁদের আঁধারে ।
চমৎকৃত এক আঁধারে চলেছেন দলবেঁধে অশরীরী ,
শ্মশান ভস্মে ভাঙছে জলকণা আকাশের ,
অঞ্চল জুড়ে অনিয়ন্ত্রিত বৃষ্টিপাত আর খরা
ফসল তুলবে কি করে ঘরে !
এক সময় গান ছিল যখন , এক সময় গান কথা
হয়ে উঠত যখন , তখন ভাষা ছিল এবং মন ,
প্রেম ছিল অহিসেবী , নিয়মের বাইরে ।
আজ শুধুই হানাদারি হায়না ওঁত পেতে পশুবধে
প্রতিটি বনাঞ্চলে সংখ্যাহীন হচ্ছে চিতল ।



















চার




মাঝে মাঝে রাত্রি আর দিনের কাব্যে , বিষাদের
ট্র্যাজিক চরিত্র এলোমেলো করে দিয়ে যায় গোছানো সংসার ,
প্রতিষ্ঠিত আমুদে চাঁদ শ্যাওলা ঘাট অরণ্যের বসতি কিছু পাখি
জীবনের সবখানি নয় ; গভীর এক আমি আর আমাদের
রক্তে খেলা করে জিন পুরুষেরা , আমি তারে পারিনা সরাতে ।
পথ বদলে চেনাজানা মেঘ দ্বিতীয় তৃতীয় রাস্তা ধরে
পেরুলো যখন দিগন্ত আমি জালালার গরাদে দাড়িয়ে দেখি
অযত্নে বেলা গরিয়ে প্রস্তুতি সারছেন পশ্চিমি ঝঞ্ঝা ।
এভাবেই উস্নায়নের পরে শীতল হাওয়ার ঘূর্ণবাত
শূন্যস্থান পূরণের খেলায় ভয়ঙ্কর কিছু ক্ষত রেখে যায়
আমাদের ভাবাবে বলেই ।









একত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ 

৩১ অথবা আমাকে শূলে চড়িয়ে দাও তীব্র দাহে , অথবা
জ্বালিয়ে দাও আগুনে ; নিত্য দাবালনে ছায় হয়ে নিত্য মন
অনাহারে উড়ে উড়ে ধুলি ঝড়ে , এবার আগুনের গল্প এনে দাও মনে ।

৩২ বিবেচনায় ছিলোনা পদবী কালো রঙ তোমাদের ফুটপাতে
যৌন সংসার ; পাতাভরে আঁকা ছিল শ্যাম বাঁশি তোমার কালো কেশের
আভরণ ; বাঁশি রেখে দাও তুলে পারলে আগুনের কাঠ জোগাড় করে আনো ।

৩৩ অসহিস্নু বিকেল মাঞ্জা ঘুড়ি ছিল প্রস্তুতি ; ইশারার আমন্ত্রনের
প্রত্যাশায় আজো থেমে আছে ঘুড়ি , খুলে দিতে পারি আজো সুতো নীলিমায়
কাটতে পারে অনেক চাদিয়ালির দম্ভ , থেমে আছি শুধু আগুন ভালোবাসি ।

৩৪ বিছানায় খেলছে প্রত্যয়ী ষোল জ্যোৎস্না ; দিগম্বরে প্রস্তুতির আসর ,
গ্লাসে গ্লাসে দুধ মধুও আছে আয়েজনে সব প্রতীক্ষার প্রস্তুতি , আয়েজন
সিদ্ধ করে দাড়িয়ে জানালায় মেঘ পাশ কাটে , শরীরে আগুন জলে কৈ !

৩৫ জল ভাঙ্গায় বেঁচে কবেই উভচর ; জলের পোকা ঘৃণা চোখে ডাঙ্গার
ভাষা ভুলে গেছি এইবার ; সম্পর্ক সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম পরমাণু আর নিজস্বতার
ব্যাধি , ভুলে গিয়ে নিজের অস্তিত্ব শুধু আগুনের উত্তাপ খুঁজি ।










এখনো চমৎকার ওথেলো
......

কূট বাঁচালি আর বৎসান্যয় আর
অবিশ্বাস আর রুমাল নিয়ে
ওথেলো নিমগ্ন
মন পাখি ফুড়ুৎ জলাভূমি অথবা
স্যাঁতসেঁতে জঞ্জালে
এক গুপ্ত স্থানে জমাট আকরে
শ্লেষ তিক্ত কফ
পগলভ বিলাসী প্রলাপ
মনকে নিয়ন্ত্রন অবিশ্বাসের ।

আঙ্গুল প্রতিনিধি মননের
এক সাঁড়াশি অথবা ধাতব ফাঁস
এখনো মননের অন্ধকার স্থান
বড় খতরনাক
এখনো অনেকখানি কালোকে
নিয়ন্ত্রন করে কালো
ভোগ্য বস্তু এবং নারী
টাটকা প্রত্যাশী
পচা নিশ্চিত দুর্গন্ধ ।

বিশ্বাস অন্ধ তাই
অবিশ্বাস ছোঁয়াচে অবিশ্বাসী , রোগ ,
অধিকার বিন্দুজুরে আমার রক্ত
বিজাতীয় ফসলে অরুচি ,
এখনো চমৎকার ওথেলো
চমৎকার আক্রোশে টুটি
এখনো আমার বিশ্বাস
আমি ছিলাম আছি
একমুখী ।








আমুদে ভগবান 

নিজের বোঝা নিজে বয়ে নিয়ে মাঝ পথে এসে দাড়ায়
যখন শিরদাঁড়া দিয়ে এক কাল ঘাম আর মেঘেরা ট্র্যাক
বদলের খেলায় পারদর্শিতা অর্জনে ব্যাস্ত ।
দেখি আমি তোমার বাদামী শরীর দূরে কিছু দূরে দৌড়াচ্ছে
কুকুরে তাড়িত খ্যাক শিয়ালের মত ন্যাজ গুঁটিয়ে , আর তোমার
পেছনে পেছনে অগুন্তি মশাল হাতে ভালোবাসা ।
আমার সুখ দুঃখ , আমার ব্যর্থতার একুশটি বসন্তকে তুমি
সেই যে উদ্বেগের জোয়ারে রেখে গেলে
তারপর দামোদর ব্যারেজ দিয়ে কয়েকশত কোটি কিউসেক
জল লণ্ডভণ্ড করে দিলো উপত্যকা
জয়ায়ুতে এলো কিছু ফুটপাতের যীশু
মগ্নচরার দখল পেলো বিদেশী জনজাতি
ধবলী বকনা জন্ম দিয়ে আর মাদার ডেয়ারি সমৃদ্ধ করে ক্লান্ত ...
তবু এলে না তুমি ফিরে ।
এখনো আমি প্রতি গৌরিক বিকালে আল পথ ভাঙ্গি একা ,
প্রজজনের আল কেঁউতে খুঁজে খুঁজে সাথিহারা
আমাকে ডাকে কাছে
খেয়ে নে আমার বিষ
মরবিনা সেতো জানি , জ্বালাটা যদি কমে !
দুঃখরা শরীরের চেয়ে সংখ্যাধিক্য নয় কোন কালে জন্মে ।
কোন কালেই তৃপ্তটা নেই সম্ভোগে মাঠে-ক্ষেতে পশুখামারে ।
কোন কালেই দ্বিপদি জানোয়ার বোঝেনি চোখের ভাষা মানে ।
কোন কালেই রাঁধা ছাড়া গত্যন্তর নেই নারী অথবা নরের ।

ওহে আমুদে ভগবান বেশ করেছিলে খেলারচ্ছলে মূর্তি গড়ে ......
শরীর দিয়েছিলে মন টা কেন দিতে গেলে !








ছাব্বিশ থেকে ত্রিশ

২৬ প্রলুব্ধতার চাঁদে ক্ষনিকে ক্ষুধা উদাহ খোকনের ,
বন্ধু চাঁদ অল্প দিনে শত্রু হয়ে ওঠার গল্পের মধ্যেই নিহিত
বুলেট আর বনেটের লড়াই , ঈশ্বর নিয়মতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ।

২৭ নিজের অস্তিত্ব করে না দাবী জীবন , অধিকার উত্তর
পুরুষের ফ্যানাভাতের ; ওহে সঞ্জয় দেখো তো দেখি চেয়ে
সমরাঙ্গনে কোন দিকে শব বাড়ে , ঈশ্বর এক বিষাদ পাখি ।

২৮ খুলে পরে তাজ মহাধিরাজের , ফাঁসি দড়িতে ঝুলিয়েছ
শরীর , মেইন ক্যাম্প পোড়াবে কোন আগুনে ! রক্তবীজের
সংখ্যাধিক্য চেতনায় , ঈশ্বরের আজ চশমার বড় প্রয়োজন ।

২৯ এভাবে তাকিয়ে তাকিয়ে দৃশ্য ধর্ষক জাত , সপাট দরজা
জানালা আটকিয়ে অন্ধকার কতক্ষণ বাইরে রাখা জায় !
আঁধারের অণুচ্ছেদে পরম প্রাপ্তি তোমার , ঈশ্বর শুধু বিশ্বাসীর ।

৩০ সীমারেখাহীন অসীমান্ত দেশে আমার কুড়ে ঘর ; গুহা মানচিত্রে
এঁকে দেবো আমাদের ইতিহাস , আমার হাতে তুলে দেবো
তোমার মুখে ভাত , তবেই ঈশ্বর আমার ঈশ্বর তোমার ঈশ্বরের গায় গান







তিন




কিছু দৃশ্যান্তরে ডুবেছে আপাতনিহিত দৃশ্য , সব আঁধার ,
শূন্যতায় অসীম শূন্য গোলকে ঘূর্ণন , সিঁড়ি ভাঙছে রোদ্দুর , অথচ
আতাত গড়ে ওঠেনি জীবনের সঙ্গে জীবনের ; অবিরত এক বিছানায়
জ্যোৎস্না ন্যাপথলিন বৈঁচি মালা রেখেও সুগন্ধ উড়েছে নীলিমায়,
গৃহ , গৃহ হয়ে ওঠেনা কোন দিন ।

এই সব বিলীন উপত্যকা ধরে অজাতশত্রু হয়েছে কাল ;
নির্ভেজাল কিছু সত্য প্রকট আত্মগরিমায় খুঁচে চলে
মনস্তাত্ত্বিক স্ফোটক , আর সর্বগ্রাসী দাবানলের আওতায় চারকাল ।

সমুদয় বিভ্রান্তি নিয়েও পাল খুলেছেন অতলান্তিক নাবিক যুগাতীর্ণ প্রতিভায় ;
প্রস্তুত সেইতি , প্রাণপনে চলবে সেচন , ভেসে থাকাটা বড্ড দরকার !


















মিথ 

কিছুটা মিথ হয়ে বুড়ো চাঁদ প্রণিপাত জেগে ওঠার ;
আর নিষিদ্ধ জন্ম থেকে এক নৈরাজ্য
চাঁদ খুঁজছেন যেমনটি পেলো দিয়ে মাছ ধরতেন
আমাদের ঠাকুরদা তখন
অন্ধকারে হাতড়ানোর খেলা ।

একসময় মানুষের হাত ছিল বামুন , সীমিত চাহিদায় জোগান
মন্দ নয় ;
অথবা মানুষে মানুষে বন্ধুত্ব গহন ছিনেজোঁক মন
অভিপায়ে শুধুই আগুন খোঁজা ।

তারপর হাওয়া বদল ।
চাঁদ বয়স বাড়িয়ে ধুঁকছে যখন এক বিষাদে বেড়ে গেলো নৈরাশ্য
বিবর্তনে জিন হারিয়েছে পূর্বপুরুষের সংজ্ঞা
কাস্তে চাঁদে প্রতিরাতে গলা কাটি নিজেই নিজের ।







ব্রাত্য 

বেঁচে গেলে শুঁয়োপোকা প্রজাপতি রঙ মেখে
চুরি করে যৌবন ; বিভেদের ছলা-কলা ভুলে গিয়ে
কণ্ঠীতে মালা জপ , একশত আট নামে
বৈকুণ্ঠর সোজা ঘাট ।
নগর বাউল আমি ভ্যাপা চাঁদে গান লিখি ,
সেদিনের আউল ফকির ঝালমুড়ি ট্রেন ঝিকঝিকি ।

কতদিন ধরে আগুনের পাঁশ থেকে নিয়ন অভিমুখে উড়ছে পতঙ্গ ;
উৎস মুখ থেকে দুরন্ত ছুটছে নদী কবিয়াল
" কে যায়রে ভাঁটিতে নাউ বাইয়্যা " ডাকের আবেশ
বন্ধিত্ব প্রাপ্তি ...... গঙ্গার গ্যালন গ্যালন জলে
এক বিষাদ হাওয়া
এক কালে মন ছিল ঘুড়ির গতিপথে , এক কালে মন ঘুড়ি হয়ে
উড়েছিল এখানে ওখানে ।

এভাবেই প্রতিরাতে খুন করে আত্মা , এভাবেই বট শেকড় উপ্রে
আপেল চাষ , এভাবেই দিনলিপি থেকে কিছু বছর অনুপস্থিত ,
এভাবেই নতুন আঙ্গিকে ঝুমচাষ , আমরা ভুলে যায় ব্রাত্যজনের ইতিহাস ।






নক্ষত্র বলয়ে আমরা 

আমি এক আমিত্বে দিনগত সঙ্গদোষে
আগুনের তলানিতে হাত রাখি ; অথবা ফিরে যায় যখন
কৃষক নবান্ন ছড়িয়ে , কাঁ'কেদের দেশ হতে
কিছু ক্ষুধা বা পেটের কীর্তন...
শূন্যতায় , হ্রিদয় পুড়ে ছায় ......

অথবা অনেক কাল আগে ; অথবা
যুগান্ত ধরে ওরা ভালোবেসে নবান্নের ঘ্রাণ আঁজলায় ধরেছেন জল
তুমি মালসা হাতে গোপা
অথবা বুবুক্ষার পেত মায়া , আর সময় পুরুষ সন্ধি গ্রন্থি বিভাজনে
নতমস্তক চাতক ......

জ্যোতিষ্ক মেলায় নবারুণ কিছু স্থির চিত্র
হাত বাড়িয়ে ঠাকুমা শিখিয়ে ছিলেন অঞ্জলি , যদি ভুল ভাঙ্গে ,
যদি নেমে আসে খাবারের নক্ষত্র বলয় ।








ছত্রিশ থেকে চল্লিশ 

৩৬ আমাকে পোড়ানর আগে কাঠ শুঁকিয়ে নিয়ো ভাল করে
সহস্র বৎসরের জমা জল ঢালবো চিতায় ; যদি বলি প্রেম
এসো নগ্ন শুয়ে পরি দুজনে চিতায় ? জানতাম তোমার বুকেই
তো সেদিন ছিল আশ্রয় , আজ পূর্ণ করো ভালোবাসায় !

৩৭ জ্বলতে জ্বলতে চিতা শেষ হয়ে আসে , কাঠ কয়লা হয়েই
কিছুদিন থাকি ওখানেই আমি , যে পুরুষ ভুষাকালি মেখে সঙ
সেজে মনোরঞ্জনে মান ভঙ্গনে আমাকে পেয়েছে কি কোনখানে ?
পুড়িয়ে মেরেছো শরীর আগুনেরই ভয়ে , প্রেম ।

৩৮ তাকিয়ে থেকো না এভাবে চিতায় , ঝলসে যাবে তোমার মায়াবী রঙ ,
শরীরের খাঁজে খাঁজেই তো ভেসেছো এতো দিন অতলে ,
উপেক্ষিত উপেক্ষায় আমার রান্না-বাটি পুতুল বিয়ের দিন-কাল ,
এবার শান্তি তোমার ! চিতার আগুনে ব্যথা নেই ভালোবাসাও ফ্যাঁকাসে ।

৩৯ আর কিচ্ছুক্ষণ দাড়াও হেথা শুরু হয়েছে মাষ পোড়া , আগুনের
দাবীতে নেই কোন আকাঙ্ক্ষা নিয়মেই তুলে নেবে শরীর , আগুনের ধর্ম
সধর্মী নেই একপেশে বাদ-বিচার , আগুন আর তুমি বন্ধু বোধহয়
পোড়াতেই জানো মনের হিসেব রাখার নেই অবকাশ !

৪০ ফিরে যেয়ো ঘরে , নতুন আঙ্গিকে সাজিয়ে নিয়ো তোমার বাস্তুভিটে ,
উজান স্রোতে ভেঙো না কোন পথ স্রোতের মুখেই ছুটো ;
শুধু অধিকারে রেখোনা কোন নারী মন , নারী শুধুই ভেসে যাওয়া স্রোতে ,
চিতা কাঠ আবার প্রস্তুত করো , যদি তোমার সন্তানের প্রয়োজনে লাগে !





কিছু




এক অস্থির পাগলামিতে এযাবৎ কালের যাপিত ক্ষুধিত চাঁদ ;
যাপনে রাত্রি উজাগার অথবা মোম অনুতাপে সম্ভোগ ......
তবু বিছানা ধবধবে স্মৃতিসম্বলে নেই রক্ত দাগ ...
বলিনা ভালো নেই হৃদয় ; পরমায়ুর এই নিত্য আবেশে
গ্রহণ চাঁদে খুঁজে ফিরি আমাকেই সকলের আমিত্বে ।



বামুন 


উপেক্ষা মানিনা বলেই
খড়কুটো মাটির প্রলপে ঈশ্বর বানায় ; আর
ইস্পাতে ঢেকে দিয়ে আকাশ
ঘুমিয়ে পরি ।

এক লম্বা ঘুম ভেঙ্গে দেখি সোমনাথ লুণ্ঠিত
তাসের ঘরের মত হুরমুরিয়ে পরছে ইস্পাত ।

আর বিশ্বাসে অটল বিশ্বাসীরা চিনের প্রাচীরে উঠে বলছে
ঈশ্বরের থাকার যায়গা বড্ড ছোট ......
রামের ঘর বাড়িয়ে নিই
আমি দেখিছি পৃথিবীটা ছোট হয়ে আসছে
ভগবান হয়েছেন বামুন ।



রুপ

অপূর্ব লাবণ্যময়তা ,রূপে কার্তিকেয়
বিকৃতিতে নেই ঈশ্বরের অপূর্ণতা ;
মেধহীন চাবুক পেশী দীপ্তিতে অরুণপ্রভা
হরিণ গতিতে পেরিয়েছে সকল দিশা ।
চক্ষু মণিতে উচ্ছল তরঙ্গ উচ্চতর গ্রীবা
অজানুলম্বিত বাহুদেশ ;
লোমশ পশম বুকে ছায়চাপা আগ , উন্নত
নাসিকাগ্র কপোল প্রসস্থির স্থান ।

আমার পুরুষ মরমীয় পাখি ;
তোমার প্রতি পদক্ষেপে আমি নিজে পথ ভাঙি ।


ম ম ম ম ম 

পেছনে ফেলে সৃষ্টি উঠে এলাম জলবৎ কিনারে ! আর
ঈসদ পূর্বে ঝুঁকে ক্রুশ , কাছেপিঠে শকুন যাপন ইতিউতি মেষ
বালকের সূর্য তর্পণ , পেরিয়ে এলাম বিরামহীন কিছু পথ ।
গলগাথা ছিন্নমস্তা অস্থি প্রজ্বলিত ধূপ ধুনো যজ্ঞডুমুরের হোমাগ্নি
আয়ুস কালে প্রলগভ অস্থির বিড়ম্বনাইয় বধিররা প্রাপ্তিতেই
ইতিহাসের ভূত উদাহ ; চক্রাকারে বিবর্তিত ঋতুতে লাস্টসাফার ,
চোখে আঁধার ঢুকিয়ে সূর্য প্রতিদ্বন্দ্বী ।
উহ্য দুর্বলতা তামসিক বর্ণপ্রভা কুঞ্চিত হৃদয় , খনি প্রদেশের
গহ্বর শুধুই ক্ষণিকের গুপ্তধন , চাদিহার মর্যাদায় অপুনঃভাবা
বস্তু সম্ভার ক্রুশ পুনঃভাবা , তবু অপারদর্শি হাতে এখনো উদাস ।



কাঠ বুক

তারপথ থেকে কাঠ এবং আগুনের সাথে সদ্ভাব হয়ে গেলো ।
ঘুম থেকে উঠে কাঠ বুকে নিয়ে আগুন খুঁজি দেখিনা মাঝে মাঝে...
খানিকসময় চেরাপুঞ্জি ভাসিয়ে কিছু মেঘ এদিকেই...
আমি ভিজতে রাজী না এই অসময়ে
আমি শুধু কাঠ আগলে রাখতে চাই বুকের গহনে ।

এক বুক আগুনের উপাদান বইছি ; কতকাল ধরে কিম্বা অরুণ
দেবতা হওয়া প্রাগৈতিহাসিক প্রস্তরে ; দুই-চারটে ট্রয় জ্বালিয়েছি
জ্বালিয়েছি ভ্রূণ পাগল প্রেমীদের গল্প আসর শস্য গোলা
নিরালা দুপুর এবং মায়ের মুখ ।

এখন কোন নিসদ্ধ আক্রোশ নেই , সখ্যতা আগুনের সাথে আগুনের ।
দেখি আমার ঐতিহ্যের ধারক-বাহক সব কৈলাস নন্দী...
দিগন্তে জ্বলছে লেলিহান মাষ পোড়া গন্ধ এদিকেই , আমি ছুটছি ,
ছুটছি দিক-বিদিক কাঠ বুকের সন্ধানে ।




সংখ্যাতত্ব 
এযাবৎ কাল ধরে শূন্যেই হৃদ বিপরীতে সংখ্যাতত্বের ।
পশ্চাতে উল্কা পতন নিমিত্তির বুনো মেঘ চাতকের জলের ক্ষিদে ;
শপথের এক ঘায়ে সরছে জগত
পিছু হটছে শ্রেণীবদ্ধ বিজ্জাপনে নারীর উন্নত বুক ।

এযাবৎ সংখ্যাতত্বের ভীরে কিছুই পান করিনি আমি ঈশ্বরের মুখ অথব
নারীর স্তন এমনকি মায়ের আশিস ;
তিল তিল জমানো অনুরাগে ভাস্বর হয়েছে আকাশ গাঙের জল
মুকুলের আম বাগান ,
এক উচাটান , খুঁজছি সধর্মী বন্ধু , নিযুত লক্ষ তারার মাঝে শুধুই
কালপুরুষ আর পতনের দিকের কিছু জ্যোতিষ্ক প্রভা
বিনা নিমন্ত্রণে হয়েছে অতিথি ।

সংখ্যারা এখনো নিয়ন্ত্রাধিন নয় সংখ্যার । আমিতো তো কতোগুলো
সাময়িক সংখ্যাতত্বে ভীর বাড়ানো লোকাল বাস ...
বাসের হাতল ধরে ছুটছি শুধু অপরের পায়ে ......
ছুটে ছুটেই চক্রাকার বিবর্তন হাতলটাও কালকে ছাড়তে হবে জানি ...



শূন্য 

অদ্ভুত এক দুঃস্বপ্নের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে
প্রেমিক নগর ; অক্লেশে পার হয়ে এলাম
হাঁস পুকুর ধানের ক্ষেত ।
এই সব স্মৃতি দিনলিপি ধরে নিতে পারো
শূন্য উদাসী দুপুরের ছায়াপাতে অযথা
হয়রানি পশুবধ অনুভূতির কান্না ।
হাতটা বাড়ানোই ছিল সম্মুখে যেমনটি মা
দুধের বোটা বাড়িরে আজীবন ভালোবাসা স্নেহে অথবা
মায়ায় ; প্রস্তুত ছিল হলহনের ভূমি লাঙল
ন্যাংলা জোরা জাগরে জাগরে জাম গাছে আছে বাঁধা ;
আমি প্রথম পুরুষ আমি প্রথম নারী
পৌরুষে , স্তনে , সন্তান পালন ।

ফিরে গেছে অপেক্ষার অনুনয় প্রত্যাশী অপেক্ষা
কোন এক রতি জ্যোৎস্নার অন্যকাশে ;
ফিরে যায় অগুন্তি সূতিকা গৃহ পশ্চাৎে গুঞ্জন ভ্রমর
অপেক্ষার মধুরসে উপেক্ষার দাবানলে পুড়ে সময়ের ।

দেখো চেয়ে নগর জান্তিব জনতা ; তৃতীয় বসন্ত
সমাহত দক্ষিণের খোলা বাতায়নে ;
সব মিথ্যা অভিনয় ;
উপেক্ষা তো কিছু সাংকেতিক ভাষা মাত্র সময়ের ,
মিলন বৈচিত্রে অপরাহ্ণ আসে
এসে ফিয়ে যায় আঁধারের কঠিন ধাতবপাত ......

সব মিথ্য , সব মনগড়া অনুভবের সমষ্টির শূন্যতা ...
শূন্যতা শব্দ বিরহ- বেদনা শিল্পের প্রয়োজনে
হাত বাড়িয়ে দাও , শুধু শূন্য নয় , কিছু মণি মুক্তা উঠে আসে হাতে ......



উপভোগের বস্তু 

বৃক্ষ হতে উড়ে যায় কূজন
বলি এসো গান হই অথবা ঠুমরী
শোনে না আবহমান
হৃদপিণ্ড ছ্যাদা করে
এক অঙ্গার
পুড়ে যায় শুকতারার স্তন ।

বলি শোন , শ্মশান কালপ্যাঁচার চোখ আর
নারীর নাভিপ্রদেশ আস্মান-জমিন ফারাক , অথবা
শূককীট ফসলের সবখানি নয়
হাল কাঁধে আজো বলরাম , অথবা
ফাতনা চাঁদে ছিপ হাতে
বঁড়শিতে উঠেছে অন্যকাল
মাছ পালিয়েছে বণিতায় ।

শোন তবে , শ্মশান আগুনে আমি সময় দুইজন
আর কিছু দ্বিচারিতার মেঘ ; এবার পাক্ষিক জুড়েই
শ্রাদ্ধবাসর ধুনোর সুঘ্রাণ
একদিন উপভোগের বস্তু ছিল বড় ।




প্রমিথিউস 

ঈশ্বর লিলাভূমি ছেড়ে উঠে যায় যখন , তৃপ্তির এক টুকরো মেঘ
পুনরায় উড়ে যায় স্বদেশে ; তার পর সেখানে
ডেরা বাঁধে কিছু বিষাদ ঋষি যোগী , কিছু জন্মান্ধ প্রশ্নের মুখে
ঋষি প্রমিথিউস রা , হেরক্লেস পর্বতে রোজ ঈগল খুবলে খেয়ে
যায় অস্থি রস , ঈশ্বর অস্থির হেঁটে চলেন কৈলাস ...
আগুন দহন এবার বুঝে দ্যাখ !

ঈশ্বর দুর্বোধ্য সঙ্কেতে রেখে যান আগুন জ্বালানোর মন্ত্র
প্রতিটি ঘরে ; তবুও
ঈশ্বরের লিলাভূমিও আঁধার
সঙ্কেত খুব এলো-মেলো নয় , আবার লুকিয়েও রাখেনি ,
আমি ঈশ্বরের লিলা ভূমিতে খুঁজছি তাই পাচ্ছি না অথবা
যারা পেয়েছেন তারা নাগালের বাইরে ।

প্রমিথিউস , প্রমিথিউস , ফিরে এসো দ্বিজ !
জিউস ঘর থেকে পুনরায় চুরি করে আনো আগুনের শিখা
আজো দেখো আঁধার
আজো দেখো অমাবস্যায় ডুবে আছে আমার গা
আমরা আগুনের অস্তিত্ব গ্যাছি ভুলে !




চার



পথ 
বহুদিন যাবৎ আত্মসাৎ করে প্রজাপতি রঙ
ভেবেছিল বাদবাকি রঙ সব ফ্যাঁকাসে ; আয়েজনে
মাতোয়ারা মচ্ছবে
ভোজনে রসিক নাগর । আর আশ্চর্য এক ভ্রূণের
রসে মজেছে জঠর
তারা ভাবেছিল শুদ্ধ করে নেবো বিজ্ঞানে বাঞ্ছিত-অবাঞ্ছিতের
লালন দায়ভার ।

এতদিন যাবৎ ফুলের মত যা কিছু সত্য অভ্রান্ত অনুরণনের অরুণ জেগেছিল ;
পাপড়ি ভাঁজে অফুরান যৌন সংক্রমণ , আর নিষাদের মন জুড়ে
খানিক খানিক শরীর , সব সরীসৃপ গমনে
প্রতিরাতে ভুলেছে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ ।

আজ প্রতি আঁধার রাতে মাঠে জ্বালিয়ে ন্যাড়া ; বিধর্মী যতো বক ধার্মিক
সেঁকে নিয়ে হাত-পা
খুঁজে নিক খামারের ঠিকানা ; ওরা জানে কি
কত পথ পাড়ি দিতে আছে বাকি ?




প্র 


প্রগাঢ় বন্ধুত্বের দিনে খেজুর রস হতে
মৌমাছি তুলে নিয়ে কিছু মিষ্টতা
ছড়িয়ে দেয় ঘরে ; তখন রক্ত জল হয়ে
রেল লাইন বেঁকে ঢুকে যায় দিগন্তে ।

কেউ কেউ ভুলে গিয়ে পূর্বজন্ম কথা সঙ্গবদ্ধ আবেগে
মজ্জাগত বাহক সময়ের ; সূরিখানা জুড়ে আতলামির মাতলামি এতএব
এই চাঁদভূমি আমার জায়গিদার ;পাঁচ হাজারী মসনবদার এখনো
চমৎকার ক্ষাত্রত্বেজে ।

কিছু নদী ছিল সেদিন ; রাত্রি গভীর হলে গান গেয়ে যেতো, দেখে হাপুস নয়নে
চাঁদ ; থেমে যেতো সমস্ত বিষাদের গল্প ; বিক্ষিপ্ত বাউল হাওয়ায়
থেমে গিয়ে নিশাচরের লম্বিত প্রত্যয় ... সকলে ভাই ছিল ;

সেদিন ভাল ছিলনা বেশী ; কলেরা গুঁটি বসন্তের সহবস্থানে ক্ষিদে নিয়ে অথবা
মহামারী জলে , তবু বেশ ছিল লাঠালাঠি মারামারি আম চুরি করে...

এখন চুরি করে উত্তাপ শুধু দুই-একজনের ঘরেই শুধু আগুন ।
পার্থিব হুন্ডির অধিকারে নাম লেখা গুটিকয় শেয়ালের । আর আমার আগুন
চোর ভাইয়েরা চুপিসারে পথ ভাঙ্গে আঁধারে ......
আঁধার ও ভাবছে এই আঁধারের শেষ কোথায় !
















প্রেম অপ্রেমের গল্প 

অবসাদ ! ঘৃণা করো প্রিয়তম ;
অঞ্জলিতেও রাখিনি তব নাম
স্মৃতি বিভেদে ভুলে গেছি আকর্ষী
পার্থিবে গঙ্গাপাড় সোনালী বিকালের
মেঠো আল্পনা ;কল্পনার আঙ্গিকে
নতুন কালের ধ্বনি মৎসান্যয়ে
প্রিয়মুখ বাতিস্তম্ভের খোঁজে নিয়তি রাত !
প্রিয়তম , ক্ষমা করো ; প্রকাণ্ড অন্তরাল
গড়ে তুলে একপাশে রেখো আমায় , আর
সত্যর প্রজ্ঞানে জেগে থাক তোমার
বর্তমান , এই বিলাসী রূপ ক্ষণিকের
প্রজাপতি , ফুটো হয়েছে নৌকা সেইতি
দিয়ে জল সেচি গভীর জলে চলেছি
জানি ডুববো এখুনি ।
প্রিয়তম , বল ভুলে গেছি ! ভুলে যাও তুমি ।
কতজন ভুলে যায় পরিচিত নাম মায়ের
অঙ্গীকার সন্তান অধিকার ; ভুলে যায়
নাম ধাম গোত্র পরিচয় হাসের ডিমের
স্বাদ বাবার হুপিং কাশি পরাজিত মানুষের
আত্মকথন ।
প্রিয়মন , গহনে রেখো না স্মৃতির প্রোজ্জ্বল
ভীরে আমায় ; আমাকে মরতে দাও আগ বা সলীলে
একটা লোভী কাকও কাঁদবে না
তুমিও চোখ মুছো না পর্দার অন্তরালে ।








প্রেম মহাদেব 

দ্যাখো চেয়ে ঝিনুক খোলস অভ্যন্তরে
নরম মাংস থক থকে কাঁদা কাঁদা এক হৃদয় ; আর
শক্ত খোলসের উপর তুমি বৃথা খোঁজো
তোমার ভবিষ্যৎ ।
মহাদেব এসো কাছে , শিউলিতে ফুটে আছে এক সকাল
আর তেল রঙে আঁকা দেওয়ালে টাঙানো ঘৃতকুমারী
আমার এক অজানা ঠাম্মা সতী ছিল , ভেসেছিল কিন্তু
রতিতে !
মহাদেব , চমৎকৃত শরীরের আগুন বিষ , চমৎকার আঁধারে
সিঁদকাঁটা চোরের উৎপাত ; একটুখানি ঘরে সম্পদ বৈভবের
নিদারুণ অভিমান , তেল মেখেছে শরীরে চোর শুধু তুলে
নেবার অপেক্ষায় !

মহাদেব , গাড়ল হয়েছে বোধহয় তোমার যৌবন ! দ্যাখো চেয়ে
প্রস্তুতিতে সেজেছে সন্ধ্যা ; বনান্তর থেকে উঠেছে দুর্লভ ঝড়
ভাসতে চেয়েছে সতী মনের মাধুরতায়
তুমি ঝিনুক খুঁজেছো খোলসে সঁপেছো মন !






আর ঠোটে ঠোট রেখেছে সব 

ভালোবাসা
তবে আজ নেমে গেলাম সিঁড়ি বেঁয়ে শ্মশানে স্মৃতিখেকো
শকুনের দল , শকুনের ঠোটে ঠোটে শেষ হোক বিষাদের শ্যাম্পেন ;
মুগ্ধতার আবেদনে ডুবে যাক অন্য যৌবন
দেখি যেন শুধু গ্রহণ চাঁদে পোড়ে না যেন একটা পুরুষ মুখ ।
আরো আছে দুদণ্ড সময়ের অভিপ্রায় শেষ শ্বাসে যতোটা লাগে সময় ; বা
একবার ঝুপ করে পানকৌড়ি যতোটা নিয়েছে সময়
সেসময় টুকু আমার
খুলে ফেলে দেবো কাঁটার উস্নিব খোলা পূর্ণিমায় বন্ধন সব
তারপর উষ্ণ রক্ত স্রোতে নেই আর
ছিঁড়ে খেতে চাই হাড়মাষ ।

দাঁড়াবো না কোন খণ্ডিত অতীতের জানালার গারদে মাথা রাখে
উড়ে যাওয়া হাওয়া ঘরে ফেরানোর অভিপ্রায়ে ;
দাঁড়াবো না পাথরে মুখ ঘসে কোমল বুকের রুচিতে , শুধু অন্ধ হয়ে
কিছু আলোক বর্ষ কেঁচো হয়ে মুখগুজে আঁধারের গভীরতায় ...
চোখ মেলবো যেদিন দেখি যেন পৃথিবীতে খেলছে আলো
আর ঠোটে ঠোট রেখেছে সব ভালোবাসায় !








মল মাস 

যুগপৎ বিচ্ছেদে গৃহীত হয়ে গেল মলমাস ।
লব্ধিত উপলব্ধিতে স্বপ্ন ভূমিতে রেখেছি ভাগাড়
শকুনের আসর । ধাতস্ত হয়েগেছি যন্ত্র চালনায় ।
এই মাত্র নেমে এলাম ক্যানিয়নে , গভীরতায় ডুবে গিয়ে খুঁজে দেখি
পতন এখনো কতখানি নিন্মমুখি ।
অনুরোধে ছিলোনা শাড়ীর আঁচল মৃগকস্তূরীনাভ সুবাতাসের
মহিমান্বিত গৌরিক গোধূলি ; অপরিমেয় মহিমা নিয়ে
চক্ষু কাজল আঁজলায় ধরে রেখে যৌবন
শৃঙ্গারে ছিলোনা অতৃপ্তি ;
তবে কি নারী দেহ সবখানি নয় ! সবখানি নয় সময়ের ভগ্নাংশ ধরে
সুনিপুণ হাতে গড়ে ওঠা শরীরের খাঁজ !
যে দিকে তাকায় ধূসর উপত্যকা জুড়ে শুধুই থরে থরে সাজানো আমি ;
আমি এগিয়ে যায় হাতরে হাতরে ধরতে পারিনা , কানামাছি খেলা,
বুঝতে পারি যে আমি কথা কইছি সেই আমি সবটুকু নই , আমার
মধ্যে আস্ত একটা আমি , আমি তারে পারিনা সরাতে ।
অবশেষ বুঝেছি অদৃশ্য এক নির্দেশক নির্দেশনায় ......
শরীর গুলো রঙচঙে পুতুল মূর্তি , আমি নিয়মিত সরছি নিজের থেকে ।





বেশ