Friday 24 February 2012

itihase ami


ইতিহাসে আমি

অব্যক্ত কথাগুলো কথা নয় !
চোখ দ্যাখো , মুখ নয় ,
আমার ঠাকুরদার কাছ থেকে শেখা শিল্প...
ঠাকুরদাদা যখন ঠাই রোদে জোঙ্গাল নামাতেন কাঁধ থেকে
সেদিন ঠাকুমার বাবার মৃত খবর
ঠাকুরদার রক্তজবা চোখে ঠাকুমা চুপ......
ঠাকুরদা বুঝতেন...
কিছু অঘটন ......
আমি ঠাকুরদাকে বেশ কিছুদিন পেয়েছি,
ওনার পদবী পেয়েছি
শিল্প পাইনি ।

বাবার ছিল বহুগুণের সমাহার
রাত নামতো রঙ্গিন গ্লাসে ,
মা বড় গোল পূর্ণ চাঁদ সিঁদুর পড়তেন
পায়ে খুকুমণি আলতা
আর সর্ব পাপহন্তা নথ
বেশ প্রতিমা প্রতিমা
আমি তাকিয়ে থাকতাম ,
বাবা দেখতেন না বলেই মা আরো প্রতিমা হবার চেষ্টা করতেন
আমি বিপুল উৎসাহে তাকিয়ে থামতাম...
কালো মেঘ গভীর রাতে উড়ে যেতো
দু একপশলা বৃষ্টি
শুধু মাকে ভাসাতে পারতো না...
বাবা ঘরে ফিরতেন......
আমি এই শিল্পটা পেয়েগেছি ......

makorsa


‎...... মাকড়সা ...

আস্তিন গুঁটিয়ে কিছু মাকড়সা
আমি যাচ্ছি না
ছাড়ছিনা আমার অধিকার
সঙ্গম মনে
শরীর ক্ষয়ে আমি প্রতীক , প্রেমের ।

কিছু শিল্প জীবন দিয়ে আঁকতে হয় ,
শরীর নশ্বর
পা গিলছো যখন উত্তেজনায়
ধিরে ধিরে শরীর
আমি ভুলে যায় আমার জন্ম , আমার মৃত্যু ,
আমি প্রেমিক ।

আমি যখন স্থির
দুই চারটে টুকরো ছড়ানো ছিটানো
তখন মনে পড়ে
আমি তোমার সোহাগী ?
আমি অমৃতলোকে
ভিক্ষামাগি দ্বিতীয় জীবনের
ক্ষয়ে ক্ষয়ে
উঠে দাঁড়াবো দ্বিতীয় জীবনে ।

;;;;;;; কিছু কিছু প্রাণী নিজেকে নিঃস্ব করে বাঁচিয়ে রাখে ভালবাসা , মাকড়সা অন্যতম , মানুষও বোধহয় ।

deep


‎......। দ্বীপ

একটা দ্বীপ ......
সকলের জন্য । পাখি গান গায় , ফিঙ্গের ডানায়
সাদা রোদ , সুখ পাখি নেই
তাই দুঃখের গান
আমি আছি
আমার পিতা ছিলেন
তার পিতা ছিলেন

কিছু দূরে
আরো কিছু সাধু দ্বীপ আছে
একবার দুবার গিয়ে দেখে এসেছি
অনেক মিষ্টি জল
বাগানে ফুল ফল
পাখিতে পাখিতে সুখের গান
ভালো লাগে
আমার বাবাও জানতেন
তার বাবাও জানতেন

এই দ্বীপে
আমাদের চোদ্দ পুরুষ
আমাদের সুখ দুঃখ
আমাদের সন্তান উৎপাদন
আমাদের ধানের গোলা পাতি হাসের প্যাক প্যাক
এখানে আমার জন্ম জন্ম গন্ধ
ধুলা গোধূলি
অমাবস্যা বা নবান্ন......
এই দ্বীপে আছে কি ?
আমি এখানেই থাকবো ।

bondhu


‎...... বন্ধু

ডাকলাম শব্দ সংযোজনে , কিছু দূরে
গাব গাছে হুতুম চোখে পঞ্চমীর চাঁদ গেলো ডুবে
কোলাহল মুখরিত গ্রাম্য বঁধু
ক্ষনিকের স্বপ্ন বিলাসী এই রাতে ঠোটে ঠোটে ,
আমি ডাকলাম শুনছো ? ঝুপ করে একতাল মাটি
ভীমনাঁদে পড়লো খসে , জলে ,
ঈশারায় অবিভুত জামবাটি এক দুধের ষরে
পদাতিক লাল পিঁপড়ে লাইন
রাতেও , পরে পাওয়া চোদ্দ আনা বোঝে না সময়ের দিনক্ষন
মানে না ঝড়ের পূর্বাভাষ ।

আমি চিল চিৎকারে শুনছো ? সক্রোধে বাঁশের মগকঞ্চি থেকে
একঝাক পাতিকাক ত্রাহি চিৎকারে
আমাকে ব্যাঙ্গ করে যেন পালা পালা......
প্রলাপ ডাকছে পাগলে ......

পায়ের নিচ থেকে সরছে তাল তাল মাটি ,
এই বিবেকবধ খেলায় আমি কাঁপছি গভীর রাতে ,
এই বেলায়
নিশাচর বেড়িয়েছি মত্যখেলায়
চোখ গেলোর উৎসাহে আমিও মেতেছি তাণ্ডবে
আমি তীব্র চিৎকারে
শুনছো ?
শব্দ প্রতিধ্বনিত প্রঞ্জাল আকাশে
আমি ক্লান্ত হচ্ছি
আমাকে ক্লান্ত করে দিচ্ছে উত্তরহীনতা......
এখানেই তো থাকবার কথাছিল বন্ধু
এখান থেকেই তো কানাপুকুর সাঁতরে ওপাড়ে উঠবার
কথাছিল বন্ধু.........

n


‎..... নিঘণ্ট

নিঘণ্টে আততায়ী সময় বাঁধাধরা ,
ক্ষনিকের সম্মুখ সমরে আমি আমার বর্তমান ,
পেত্নী চুল বাঁধে আয়নায় প্রতিদিন
অনিচ্ছায় বা ( !) অপূর্ব ।

মালিকানায় সমগ্র উত্তরকালের দিন ,
সচ্ছ একুরিয়ামের রঙ্গিন মাছ
তবু বৃথা ছটফট
অস্থিরতায় নেই মুক্তি ।

পাতায় অঝোর ধারা বারিসন ,
ছেড়া কাঁথার নক্সা জীর্ণ এতো দিনে
সময়ের দীর্ঘতায় ভালোবাসা ফ্যাঁকাসে
গনমুক্তি মিছিলে।

gh


"যে চাষি আত্মহত্যা করেন এই দেশে সেই দেশ কি স্বাধীন "
.............................. মাননীয় কলকাতা হাইকোর্টের এক বিচারপতি ...।।.......

.........। মৃত্যু ......

আমি পরাধীনতা দেখিনি , বাবা দেখেছিনের ছোট্ট বয়সে
হাফপ্যান্টে , এই গণ্ডগ্রামেও নাকি সেদিন আহ্লাদী চাঁদ
নেমে এসেছিলো বাবাদের সাথে ডাংগুলি খেলতে আনন্দে ,
তখন হয়তো খুব ভালো ছিলেননা তারা কালাজ্বরে আন্ত্রিকে
ম্যালেরিয়ায়,অভাবে , তবু পরাধীনের হাহুতাস নিয়ে নিরন্ন
উৎসবে উপনয়নে লাল চামড়াকে গালি পেড়ে বেশ ছিল ।

স্যুটেট বুটেড টাই তে সাতচল্লিশের আগস্ট এলো গভীর রাতে
"সমগ্র পৃথিবী যখন ঘুমোচ্ছে ইন্ডিয়া তখন জাগছে " দীপ্ত
ঘোষণা বলিষ্ঠের । আকাশবাণীতে মুহুর্মুহু বেজেচলছে
" ও আমার দেশের মাটি ......" বাবাদের দল ফানুস উড়িয়েছিল
তেরঙ্গার স্বপ্নের বুকে ।

প্রথম থেকে তৃতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সবুজ বিপ্লব !
বাবারা হেসে খেলে নেমে পরলেন মাথে......
খাল পথে শ্যালো জলে আর ইউরিয়া ব্যবহারে অতিরিক্ত ফসল
ঘরে ঘরে মাসে মাসে নবান্ন , রাত জেগে নাটকে যাত্রা পালায়
সাদা ভাতে মোটা কাপরে বেশ ছিল তারা......

এর পরের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বৃহৎ শিল্প কল কারখানা শহর ,
গাদাগুচ্ছ শিল্পায়নের নামে শকুনের মোচ্ছব ,
আমার বাবার মাথায় হাত উৎপাদন স্থিতিশীল , এই পর্যায়ে আমার জন্ম
লাঙ্গল ধরা বিয়ে সন্তান প্রসব ।

এখন......
সুসংবদ্ধ টাকা আর অস্থাবর দুই একজনের হাতে , অন্ধকার ধন
বিদেশ ব্যাংকে , বৃহৎ শিল্পপতি ( নরমেধ কুমীর ) হাজার হাজার
কোটি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ঋণ এবং মুকুব ( হা হা হা )
আমার ভাগে চার বিঘা ধানিজমি ( যা ধান হয় না , যেন সোনা ,)
খাওয়ার সাতজন , দুই ছেলে স্কুল , মায়ের পথ্য বারোমাস , ...
আরো তো সব জানেন.........
ঋণ নিয়েছিলাম কুড়ি হাজার , দিতে আর কি লাগবে শুধু তিন মাসের
অপেক্ষা ,
হা , জানেন তো কৃষি ঋণ আমি সোঁদাতে ...... পারবোনা কোন দিন...
তবে হা, ধানের ফলনের কমতি ছিল না
যাদের বাঁচানোর কথা ছিল আমাদের তারা মুখ ফিরিয়ে
কত সহজে দেখলেন বেচেগেলাম গলায় রশি দিয়ে ।

oprem


‎......। অপ্রেম

জ্যোৎস্না জরা মাখাকাখি করে উদ্বেগের আকাশে
শুঁয়োপোকা হুল , এগিয়ে আসে শাসনের অন্তরাল হতে
অষ্টাদশী প্রেম , নীলিমা , আমি অবাক চোখে দেখি
ভালোবাসা রঙ বদলে গিরগিটি আমি ধুতরো ফল ।

মনের অগভীর খাত ধরে লুকোচুরি বাদাম খাওয়া
মুহূর্ত পরিতৃপ্ত সামাজিক বন্ধনে ,
আমি কালো চুলে অন্ধ যাদু মানিনি সেদিন , আজ
হরি সংকীর্তনের প্রেমে ।

তিমির তমসি রাত্রিক অনুধাবনে সহজপাঠ্য
জীবনের জ্যামিতিক ছবি
অশ্ব নলে দরজায় শ্রীবৃদ্ধি লক্ষ্মীর
আমি বুকে এঁকেছি প্রেমের ছবি লক্ষ্মী চাইনি কোন দিন ।

songskar


‎...... সংস্কার

পুব আকাশে সদ্য জন্মানো বাছুর বরুণ
লাফাচ্ছে কার্নিশ জুরে তিড়িংবিড়িং , কমলা বালা
এক মনে সিদ্ধ ধানে জল দিচ্ছেন দো সিদ্ধর
বাবা আউরাচ্ছেন " পিতা ধর্ম পিতা সর্গ ..."
আমার সোমরসের মাদুকতায় পিঁচুটি চোখে
গ্যালা রে... এই পঞ্চানন চুপ ।

বন্ধন গুলো আর সুদ্রিহ নয় , ভাঙছে ,
প্রপাতে পতন ধ্বনি ঐতিহ্যের ,
কলুষিত বিবর্তনে বিবর্তিত সামাজিক আত্মীয়তায়
অস্তিত্ব , সঙ্কটে জিন ,
ভিন গ্রহি ইচ্ছা পোকা রসে উপছে আই সখা
প্রেম যমুনায় জল আনতে যায় ।

নতুন ইস্তেহার ছাপিয়েছে প্রজন্ম
বস্তাপচা সংস্কার থাকছে না থাকবে না

দ্বিতীয় বিবর্তনে নতুন ইস্তেহার
বস্তাপচা সংস্কার থাকছে না থাকবে না
তৃতীয় বার ?

ছুয়ে দিলে জাত গেল জাত গেল
ডেকে ওঠেন তরিনি খুড়ো ...
সৌভাগ্য আমি চণ্ডাল
ওষুধ দিতে পারি ভালো ,
সেদিন ভয়াল রাতের খেলে
আমি মফঃস্বলে একা...
হঠাৎ কড়া নাড়ে বাঁচা বাঁচা
আমি তারিনি মুখুজ্ঝে
নাতিরে তুই বাঁচা ।

biye


‎....... বিয়ে

সনেট ফেলেছি আমি ছুড়ে
অগ্র পশ্চাতের বুলেটের সামনে আমি মাতঙ্গিনী ,
দহন অস্তিত্বে অসস্থিতে পুড়েছি এতো কাল
কাঠ কয়লা হয়েছি , আগুন কিছুটা পাবে ।

ভুপাল গ্যাসে মাথা উন্নত আমার শীর
যদু বংশ ধ্বংস নিশ্চিত
বুলেটের কি সেই ক্ষমতা আছে
আমরা বাঁচবো , আমরা রক্ত বীজের ঝার ।

পুব প্রান্তে আগুন জ্বলছে অবিরত
আগুন গুলো সঞ্চিত কর মনে
বাস্তিল দুর্গ বেশি দূরে নয় কাছেই
ওখানেই হবে তোর সঙ্গে মোর বিয়ে

x


আমার রক্ত খেলা করে যখন
তখন আমি বিশ্ব অধীশ্বর ,
আস্তিন গুটিয়ে আমি বলি
ইতিহাসের " পুরু" আমার বংশধর ,
সম্মানজনক ভদ্রতা আমি চাইছি...
রিক্স চালাই বলে
তুই তুকারি টা এবার ছাড় ।

b


‎....
রক্ত হলি খেলে আমি ক্লান্ত
আমি এবার ঘুমবো ,

পাপ.........
ওরে নরাধম
যে রক্ত রঙ লেগেছ তোর মনে
তাকে ধুবি কোন জলে ?

থাক ওখানেই
তোর ঘুম নেই আজ থেকে
যতক্ষণ শেয়াল কুকুরে খাচ্ছে তোকে কুরে কুরে ।

desh



জল পোকার সাথে আমার বন্ধুত্ব
গড়ে ওঠেনি কোন দিন
না মাটির সঙ্গে ,
আমি চমৎকার সাজিয়েছি বাগান
আমার সংসারে ,

আমি সংসার সম্রাট
শুভরাতকে করেছি গুড নাইট ,
দেশী ভাষা বলে নাকি কেউ ?
দূর দূর , সন্তান ডন বক্সে ভর্তি করেছি,

আমি কৃষি আধিকারিক , মস্ত আই এ এস
বোর ধানে জল লাগে ? কই কেউ তো বলেনি ...

আমার সন্তান হচ্ছে
একদিন পরিবার কল্যাণ এ চাকরি......
পিতা মাতা ছাড়া অতো
আর কাউ কে চেনেনি ,

আমার দেশ আমার দ্রোহ কাল ।

ami


‎...।। আমি

অর্ধউলঙ্গ এক ভবিষ্যতে গন্তব্য অভিলাসিক অভিলাষে
দানবিক স্রোতে পিচ রাস্তা জুড়ে নিহত মিছিল এককালের
আমার অতীতের বা সমসাময়িক ,
ভ্রুনের গুপ্ত আধার হতে জন্ম নিয়েছে যে জাত ইতিহাস
পেছনে ফেলে আমাদেরই অজ্ঞ্যাতসারে নিয়ন প্রত্যাশী
কুঁড়ে ঘরে , সে জেনে গেছে এতো দিনে
মিছিলের পায়ে পায়ে জীবনের রসদ , প্রেম প্রীতি ওখানেই ,

সনদে সনদে আজ পরিবর্তিত পরিবর্তনের ডাক ,
তৃতীয় নাগরিকে থাকবে না মোচ্ছবের উৎসব , এখনো অঘটন
ঘটানোর ক্ষমতা রাখে আমার মায়ের জরায়ু ।

আমি যদি উড়ে যায় স্বপ্নের বসন্ত বাতাসে পুবসিমানায়
আমার শরীরে যদি লাগে শকুনের উৎসব ......
মা
তুমি নতুন গর্ভ ধরো
তার
হাতে তুলে দিয়ো সুদর্শন ,
" পরিত্রাণয় ও সাধুনং বিনা সয়স দুস্ত্রিতং.........

s


ভুল করি আত্মবিড়ম্বিত প্রলুব্ধতায় ,
শ্মশান ছায়ে শান্তি নেই জেনেও
ওখানেই গড়াগড়ি করি
ভুলে যায় মহাদেবের মুখাচ্ছবি ।

ভুল করে দাড়িয়ে পরি
যেখানেই ছায়া দেখি দীর্ঘ চুলের
সশব্দে বয়ে যায় দক্ষিণের হাওয়া
ভুলে যায় আমার জন্ম কথা ।

ami


‎........ আমি

তুমি
স্তন ছুয়ে দিলে আমি বিস্বাদ পাউরুটি মালিকের ,
তুমি
ঈশারা চোখে একবার আমি গলগ্রহ মালিকের ।

আমি
বৃত্ত থেকে তুলে এনে ছুড়ে দিলাম নদীর পথে আবহমানতায় প্রশ্ন , আমি নারী ?
ইজেরে ইজ্জতের নামাবলী ছুয়ে দিলে কফিনে পেরেক শব্দ , আমি নারী ?

আমাকে
এভাবে দেখনা প্রপাত , শব্দ অহংকারে তুমি ভেসে চলো , আমাকে নামিয়ো না জলে ,
আমাকে পুড়িয়ে দেখো ছায় নেই , আমি নারী , মনটায় পরে রবে ।

তুমি
উৎস হতে তুলে ধরো কস্তুরিনাভ গন্ধ , আমি নীল প্রজাপতি ,
তুমি লালন সঙ্কেতে বল ভালোবাসি , আমি নীল সমুদ্র জলরাশি ।

আমাকে......
তালদলা করে আচ্ছা করে ময়দা মেখে পাশে রেখে দাও যখন , আমার ঘুম নেই
আমার নাভি গর্ভে তোমার সুগন্ধি দিও , আমি স্মিত হেসে রাজি পোয়াতি ।

তুমি......
সন্ধানী শিকারি যুগে যুগে বার বার , আমি বধ্যভূমিতে যেটে তবু রাজি ,
এভাবে টোপে খেলিয়ো না সময় , গোলাপ ফুল নিতে আছি রাজি ।

কাঙ্ক্ষিত পুরুষ এবং আমি......
আমাকে যদি খুঁজে ফেরো আমিত্বে আমি তৈরি নই প্রেম দিতে ।
আমার শরীরে যদি মধু খোঁজো আমার মন কাড়তে হবে সবার আগে ।

আমাকে মেরে যদি ভালোবাসার সৌধ গড়ো ভুমিভাগে.........
আমি চিৎকার করে বলবো আমি নেই এখানে নেই এখানে ।

al


আলস্যে

আলস্যে দাড়িয়ে সমাহার বস্তুকণা ধ্রুপদী ঐতিহ্য
পতনের সেনা চুপচাপ হেটে চলে নিয়তির অভিসম্পতে ।
বিহমিত ভঙ্গিমায় যে সকালে হাঁসের ডানায় রোদের ওঠা নামা
মনের অন্তরালে পারদের সুনিপুণ খেলা
আমি হেরে যায় ,
পতনের সম্মুখে এক দাঁড়কাকের ক্যাক ক্যাক শব্দ বন্ধ হয় ।

শুরুকরি জীবনের অনাবিল যাত্রা , দাম্পত্তে ভোগসুখ উৎপাদনে
আমার দ্বিতীয় সত্ত্বা ,আমারই রাক্তবিজ আমারই অচেনা ।

পিছু সরছে সম্পর্ক , আঁধার হচ্ছে চেনে মুখ কলহ ।
আমি সরছি ভূকম্পনে নিয়তির রেলে পা রেখে ।

আমি সরছি তবু সম্পর্ক গুলো স্থির নয় ,
আমি সরছি , আসছে নতুন সম্পর্ক , তারাও সরবে এককালে

rupmoti 23


‎...।। রুপমতি ২৩

রুপমতি তোর আগুন জ্বলা
বুকের গড়ন
জুই ফুলের সুগন্ধি মন
আঙুর রসে টগবগ গাল
কোকিল সুরের মন
মাতানো আওয়াজ ।

রুপমতি তোর
পদ্মনাভি উন্মুক্ত পেট
রুটির গড়ন
নিতম্ব দেশ
তোর তোল খাওয়ানো হাসি মুখে
শুধু বৃষ্টি নেই মেঘ ।

রুপমতি তোর বিনুনু নদী
নাকছাবি দেখে
পোয়াতি হিংসুটি
তোর গ্রিভা প্রদেশে জমেছে জল
নাগরের মন খুশিতে ঝলমল ।

mukti


‎...... মুক্তি ......

নিভৃতে মিলিয়ে যায় সোহাগী সাম্পেন বোতল
পাশে পরে রয়েছে খণ্ড আপেল চিনা বাদাম খোসা
জলের বোতল উল্টে বিনুনি নদী ,
যন্ত্রণায় ভরা ছায়দানি ,
পাশে ইতি-উতি রবীন্দ্র রচনাবলীর খণ্ডিত টুকরো
আগুন বোঝেনা এতো সব
অতএব কুণ্ডলী পাকিয়ে নীলাভ লাল আগুন
বাঁচিয়ে দিয়েছে আমার ইতিহাস
ধূসর পাণ্ডুলিপি কথা কইবে না
ওখানে রাখা ছিল আমার বিবর্তিত ইতিহাস ।

পতন মহিমান্বিত করেছিলাম অক্ষরে ,
জারা কিনা আমার পোষ মেনেছিল , অনুগত , বাধ্য ,
লাটাইয়ে সুতো ছেড়ে আমি বিষাদের রাজ কুমার
যে স্বাধীনতা পেয়েছিল ঘুড়ি
আমি পায়নি , আমার চোদ্দ পুরুষ আদার ব্যবসায়ী
জাহাজের খবর নেওয়া বড় দায় ।

যে যত্ন আমি পায়নি , যে যত্ন আমি পেলে অনেকখানি
হিসেবী হতাম তার অধিকারে নেই আমার নাম লেখা ,
নীল রুলটানা খাতা ভরেছিলাম অধিকার আর মর্যাদায় ,
তোমরা দাওনি মূল্য আমিও করিনি কোন দাবী ,
বোঝা বাড়ছিল , বাড়ছিলো উঁই পোকা ,
মুক্তি
তুমি আমি আমার পাণ্ডুলিপির ।

v


আলো আলিঙ্গনে মুছেদিয়ে বিভেদের রাজনীতি
যূপ কাষ্ঠ হতে মাথা টেনেছি তুলে
ক্ষয়িত চাঁদের কণায় যে রঙ উৎসাহে বলে
গান ধর লালন সঙ্গীতের এখুনি
আমি অনাবৃত বুক পেতে আছি
সুধা খেয়ে গিয়ে
ওখানে গিয়ে জানিয়ে দে প্রেম আছে এখনো কিছুটা প

32


্‌্‌ তিন

একমাত্র দেওয়ালের ফ্রেমে ১২ইঞ্চি বাই ১৮ইঞ্চি
স্থানে বাঁচিয়ে রেখেছি তোমার ভাবমূর্তি , যেমন
তারা থাকেন যাদের থাকার কথাছিল হৃদয়ে
তারা মিট মিট হেসে থাকেন সর্বদা , বলেন বেশ আছি ,
মনের কাছাকাছি নেই তাই শতহাত দূরে আছি যন্ত্রণার ।

০২

আমি ছিপ নিয়ে বেড়িয়ে পরি সকাল সকাল
নির্জনতা খুঁজে গাব গাছের শীতলতায় বসে পরি সকলের অলক্ষে
ফাতনা ফুঁ দিয়ে হাওয়া বের করি টোপ প্রস্তুত করি
বঁড়শিতে গেঁথে লাল পিঁপড়ে ডিম ছিপ ফেলি......
ফাতনা নড়ে ওঠে একটান , শূন্য , আমাকে খেলিয়ে চলে মাছ

০৩

আমার বাবার মতো চেহারা পেয়েছে আমার সন্তান
যদিও আমার রক্তে তার বেড়ে ওঠা ,
আমার বাবা আমার উপর রেগে যেতো অহেতুক
আমি রাগি না অহেতুক সন্তানের উপর
আমার সন্তান বলে আমি অহেতুক রেগে যায় ,
বাবাদের নিদিষ্ট অভিমত নেই কোন কালে......
আমার নাতনি বলে দাদা বাবা রেগে যায় কেন ?

ram


রাম

সুপ্রাচীন ঐতিহ্য গুলো ভেঙ্গে ঘুণধরা যীশু পিকচারের উপর দিয়ে
হেটে চলে যায় আস্ত এক মাকড়সা পেছনের দিকে
ছবি জুড়ে জাল , এর পর কিছু বেগতিক হাওয়া এসে
জালে বন্ধি করে দেয় সমগ্র একটা জগত...
জুডাস দেখি এপ্রান্ত হতে ওপ্রান্তে খড়গ উঁচিয়ে
নীল নল বিরবাহু
পাঞ্চাল নগর ভাসে রক্ত জলে......
ভেঙ্গে পরে শস্য গোলা স্নানঘাট হরপ্পা দাপিয়ে রাত নামে অশ্ব খুড়ে
আমার ঘুম ভেঙ্গে যায় ।

ঐতিহ্য ভেঙ্গে মধ্যেশিয়ান রক্তে নতুন জন্ম ভুমিভাগে ,
যে প্রবাহিত রক্তে আমি উজ্জীবন , যে রক্তে লেগে আছে মৃত্যুর হাহাকার
শকুনের দৃষ্টি , সে কি আমার প্রপিতামহের ? না সুদীর্ঘ
লড়াইয়ে আদি পরাজিত বংশধর আমি ? কিছু সহস্র বিজাতীয়
অনুপ্রবেশকারী আমাকে নিয়ন্ত্রন নিয়ন্ত্রিত দাসত্বের বন্ধনে
বাঁধতে পেরেছিলেন বলেই আজ বর্নাশ্রয়ের দ্বিতীয় তৃতীয় নাগরিক
হয়ে সগর্বে উল্লাসে তোমাকে করেছি অস্পর্শ্য ?

ঘুম ভেঙ্গে যায় , স্বপ্নের পরিসমাপ্তি , হাসি পেয়ে যায় আমার.........
আঃ কতকাল , কতকাল অন্ধকারে , কতকাল অন্ধকারে ......

জুতো সেলাই , জুতো সেলাই , রাম রুইদাস ......
ডাকি তাকে , এসো , তোমাকে খেতে হবে আমার ঘরে ...
রাম ফ্যাল ফ্যাল চেয়ে থাকে , বেলা বাড়ে ...।।

ostittho


‎...।। অস্তিত্ব

চাঁদের অনুকম্প আলোর দিশায় বৈঠায় হাত রাখি
নাঙর খুলে দিয়ে উজানে একটান
তামার ইতিহাসসহ আমি অজান্ত্রিক একাকী নাবিক
ঘুম ঘুম ঘুমঘোর
জংলী ভালোবাসা আত্মিক আত্মীয়তা বাগ্মিক চিরস্বভাবী ভুঁইফোঁড় আত্মা
প্রশ্বাসের বেগ বাড়ে
ডাইনে ফেলে প্রভাতী মলখানা
বায়ে আমন ক্ষেত গমের গুচ্ছ
এখানেই ছিল এককালে আমার স্বপ্ন এবং সমাধি ।

পাল খুলে দিয়ে হাওয়ার অভিক্ষেপে আমি স্থির ।
আলোর উৎস নেই নিকসা আঁধার , রাত জ্বলা শ্বাপদ চোখ
আমাকে ব্যাঙ্গ করে মড়া কে কি আর মাড়বো ।

আমি স্থির । ছুটছে আলোক গতিতে চরাচর ।
সৃষ্টিতে আলো আছে তবু অধরা ।

আমি স্থির । হয় গতি পেয়ে তরতরিয়ে আমার তরী ।
যেহেতু বধির নই সেহেতু শব্দ আছে ।
এখনো কান্নার শব্দগোচরে অনুভুতি আছে ।
কিন্তু কেউ কাঁদছে না ।

তুলে নিলাম বইঠা , জল ভাঙছে না ,
অস্তিত্ব ক্ষয়ে যাচ্ছে বইঠা শব্দে ।

e


‎...
ক্ষতি নেই , যদি টুপটাপ কপোল বেয়ে ঝরে
নুন জল
ক্ষতি নেই যদি বুকের বা পাশটা একটু চিনচিন
অনুভূতি
ক্ষতি নেই আমার সম্মুখ রাস্তায় পরে কালো বিড়াল ......
তবে জানবো
জীবনের পরিণতির দিকেই এগুচ্ছি ...... তুমিও আসবে একদিন ।

3


‎...।। তিন কথা

দার্জিলিং ছেড়ে এসেছিলাম যে মেঘটাকে সে যে
এখানে এসে বিধান নগর রেল কলোনি ভাসাবে , সত্যি বুঝি নি ,
এখন বুঝছি জল থাকলে সঠিক সময় বা সঠিক স্থানে ঢালতে
পারলে অনেক হিসেব উলটপালট হয়ে যেতে পারে ।

০২

পাটিগণিতে বিশ্বাস গড়ে ওঠেনি কোন কালেই ,
আমি অঙ্কে কাঁচা বলে নয় , আসলে সুদকষা আমার হিসেবের বাইরে
ছিল বলেই আমার বিশ্বাস ছিল না
এখন প্রত্যেকদিন ভাগের চা চেয়ে নিতে হয় ......
অপেক্ষা করলে সুদ বেড়ে বেড়ে দ্বিতীয় বার আসেনা ,
কিন্তু
এই অক্ষেপ গুলো দিন দিন বেড়ে যায় , কেন যে পাটীগণিত
শিখিনী সেই কালে !

০৩

এই এক ব্যামো ! কাশতে কাশতে হাঁপরে টান ওঠে ,
বিপত্নীকে লক্ষ্মীছাড়া চেহারা , পুত্রবধূ উর্বশী অথবা রম্ভা ,
এক পুত্র গুর্জর পালিত নধরকান্তি ভেড়া প্রস্তুত গলা বাগিয়ে ,
হরি কীর্তনে সুর তুলি চুপিসারে ছাতের ঘরে , হু হু বেগ বাড়ে কাশির ,
বয়সেই নাকি স্বপ্ন পাকে ,
আমি তলিয়ে যায় , স্বপ্ন নয় মৃত্যু কামনায় দিন কাটে ।

pita


‎..... পিতা আমি

আমি পিতা ......

বসন্ত উত্তাপ নিয়ে পিদিমের সলতে , নাভি উষ্ণতায়
ভগবান মোম , দাহ্য ছড়িয়ে রেখে অন্তবাসের ফাক গলে
ঘুমন্ত দেবতা , নেই উঁকিঝুঁকি বা বিষাদের জন্ম , আমি পিতা ।

আমি পিতা

ঝাপট খেতে খেতে ডানা উল্টে সময়ের এক সালিখ বা চড়ুই ,
কালো কারে সাঁড়াশী চাপে ইজেরের দড়ি নিসপিস নেই অহেতুক উঠোনময়
নাগড়া ধান ,
ফাগুণের মনকাড়া বেলা বাড়ে
চাপে চাপে স্তন ফুলে ফেঁপে আস্ত পাহাড়
অভুক্ত রেখো না খোকা
আমাকে দুধ দাও মা জননী ।

আমি পিতা ......

উষ্ণ উপত্যকায় ভ্যাপা চাঁদ নিয়ে রাত নামে নিয়মের যন্ত্রণায় ,
কৃষ্ণসাগর তোমার তামাম চোখে জলবায়ু সন্ধিতে প্রস্তুত ,
খুলে দিই একাদশীর জানালা
একঝাক উত্তরে হাওয়া... শীত শীত ভাব
শিশু ওঠে কেঁদে
তোমার বুক থেকে আমার ঠোঁট সরে যায় ...
হেসে ওঠে নিয়ম ।

আমি পিতা ......

দূরত্বের প্রাচীরে আমি তুমি কিছুটা , মাঝখানে রঙ্গিন স্বপ্নের স্থান ,
সংগোপন কথা এক দিন নির্দ্বিধায় দুজনে
এখন লজ্জায় ঘর ভরে যায় আলোয় , চুপ করো
তৃতীয় ভগবান ,
নির্বিষ হয়ে যায় রাত হাত নেমে আসে যার যার মাথায়
ঘুম ভাঙ্গে
আমিও তবে কি হয়েগেছি ভগবান !

valentain


‎..... ভ্যালেন্তাইন্স

পতনের সম্মুখে দাড়িয়ে আছে সমগ্র আলোক বিন্দু চুষে নিয়ে আস্ত এক সকাল , হিসেব বহিঃভূত দেনাপাওনা গণ্ডায় গণ্ডায় বুঝে নিয়েছেন সুনিপুণ হস্তে কাল , দাড়িয়ে আছি স্থির , সমরের প্রতীক্ষা ,
কিছু ডাক শুনতে পেলেই যে কোন মায়া এখানে রেখেই আমি ছুটতে প্রস্তুত । চিরকাল সুখ পাখির উষ্ণ পালকে আশ্রয় পেয়েছি আদর্শ মমতায় , শুধু এই তিন বছরের কিছু তিক্ত মায়া সইতে হচ্ছে এই যা , কাকলি নেই ভাবলেই এখনো মাঘে ঘাম ঝরে শীতলতার । সন্তান কি সবসময় নিজ ধারা প্রাবাহিত রক্ত ? আমার বা আমাদের শরীরের সব উষ্ণতা গুলো কি পেয়েছে সঠিক করে ? কই আমার বেলায় তো দেখছি না সেই সূচক ? সামনে পড়ে আছে সকালের দৈনিক , শুধু মৃত্যু সংবাদ , মৃত্যু এতো মূল্যবান বলেই কি পাতা জুড়ে কান্না ? "বাবা বাজারে যাবেন না ? " সম্বিৎ ফিরে আসে , পুত্রবধূর ডাকে , " হা , ব্যাগ টা দাও তো ?
আমার একমাত্র পুত্র তুহিন , স্বভাবে আমার বিপরীত ধারা , আমার উচ্চতা পাইনি , আমার গলা পাইনি , এমনকি আমার সাহসও পাইনি একটুকুও , তবু মেধা পেয়েছে আমার থেকে ঢের বেশি , কি সব মাল্টি ন্যাশনাল কম্পানির সি ই ও , কোথায় আমি ইন্ডিয়ান আর্মির প্রাক্তন হাবিলদার ! বিয়ে দিয়েছিলাম ঘটক পুকুরের বনেদী পরিবারে , বৌমা ইংলিশ এম এ , সুদর্শনা , মিতভাষী ,
কাকলি চলে যাবার পরে বিয়ে দিয়েছিলাম সংসারের শ্রীর প্রয়োজনে ।

তুহিন অফিস চলে গেলে বাড়িময় শূন্যতার আঁধারে ডুবে যায় আমি , দায়িত্ব গুলো তুলে দিতে চাই তুহিনের কাঁধে , কিন্তু দেখি এব্যাপারে প্রবল অনিহা বা স্বভাবে কুঁকড়ে যায় , গতবার দুর্গা পূজার চাঁদা নিয়ে কি যাচ্ছেতাই না হল , সেদিন রবিবার আমি গেছি বিকালে আমাদের ব্রিজের আসরে "পরন্ত বেলায় " , ওখানে আমাদের বয়সী বন্ধুদের সাথে তাস খেলে চা খেয়ে রাজনীতির অপ্রান্ত থেকে শেষ পর্যন্ত দৌড়ে এমনকি হাতাহাতি করে বাড়ি ফিরি সাতটায় , হঠাৎ ফোন , " বাবা এক্ষুনি বাড়ি আসুন " কি হয়েছে ? " "আপনি আসুন তারাতারি" , অগত্যা ফিরতেই হল , দেখি ক্লাবের ছেলে ছোকরা , কি ব্যাপার ? "আমাদের পাচ হাজার চাদা দিতে হবে " তুহিন মাথা নিচু করে , কাঁপছে , বললাম বৌমা তোমরা ঘরে যাও , চলে গেল , আমি বললাম এতো টাকা হবে না ভাই , আমি হাজার খানেক দিতে পারি ...... শেষ মেস অনেক কথা চালাচালি , ভয় দেখানো , আমি বললাম নিলে নেবে নইলে যাও এখন , যা কোরতে পারেন করবেন , ওরা শাসিয়ে গেল , আমি ঘর মুখো , দেখি পর্দা পেছন থেকে সরছে বৌমা ।

দুপুরে আমারা দুজন , দুপুরে খাবার পরে আমার ঘুম আসেনা অনেক দিন ধরে এক নিয়মে আমি কিছু বই নিয়ে বসি , মাঝে মাঝে বৌমা এসে পাশে বসে , আমার আর্মি শুনতে চাই , আমি বলি ন্যাফা বর্ডারের ৬২ এর গল্প , কি করে আমি বেঁচে ফিরলাম ঘরে এসব , মাঝে মাঝে লক্ষ করি
স্থির চোখে আমার দিকে তাকিয়ে ।

সেদিন দুই এক পশলা বৃষ্টি হচ্ছে নিয়মিত এই শরতে , একটু শিত শিত , খাওয়া হয়ে গেছে কিছুক্ষন আগে , আমি আমার ঘরে বসেছি , টেনে নিয়েছি পোস্টে আসা জার্মান আর্মি জার্নাল , দরদায় কড়া " আসবো আমি ? " দেখি বৌমা , বলি , " আরে এসো এসো " , নতুন শাড়ি , কপালে সিঁদুরের টিপ , পরিপাটি চুলের বাধন , যেন সাক্ষাত দেবী প্রতিমা , বলি , বল , চুপ করে থাকে কিছুক্ষন , আমি আবার বলি কি হয়েছে ? " "আপনার ছেলে আপনার মতো হইনি কেন ?" বজ্রাহত হই , বলি " সবাই কি সমান হয় " বল ? , " আমাকে আপনি গ্রহন করুন " আমি স্তম্ভিত ! একি কথা শুনি ? চুপ করে থাকি ক্ষানিক্ক্ষন , এগিয়ে যায় ধিরে , মাথায় হাত বুলিয়ে দিই , বলি , " মা তুমি আমার লক্ষ্মী , মাথা স্থির কর , ধিরমতি হও , অপূর্ণতার মাঝখান হতে তুলে নিতে হয় পূর্ণতার রসদ , লক্ষ্মী মেয়ে আমার , স্থির হয় সময় , নেমে আসে তার মাথা আমার পায়ে , বাবা !

Tuesday 21 February 2012


কল্প আশ্রিত অনুধাবনে তোমার প্রতিচ্ছবি আয়নায় ,
যেখানে তোমার ছায়া পতন সেখানেই আমার আস্তানা ।
অহ নিশি প্রপাতের ধ্বনিতে তোমার নাম
অহ নিশি ম্রিথজীবী কঙ্কালে লেগে আছে তোমার অভিমান ।

খুলে দাও নোঙরখানি আমি শাশ্বত নদী ......
মিলনের এই মধুমাসে তোমার পদবী আমার প্রাপ্তি ।

জয় পরাজয়


জয় পরাজয়

পতনের সম্মুখে দাড়িয়ে আছে
সমগ্র আলোক বিন্দু চুষে নিয়ে আস্ত এক সকাল ,
হিসেব বহিঃভূত দেনাপাওনা গণ্ডায় গণ্ডায়
বুঝে নিয়েছেন সুনিপুণ হস্তে কাল ,
দাড়িয়ে আছি স্থির ,
সমরের প্রতীক্ষা ,
কিছু ডাক শুনতে পেলেই
যে কোন মায়া এখানে রেখেই আমি ছুটতে প্রস্তুত ।

চিরকাল সুখ পাখির উষ্ণ পালকে আশ্রয় পেয়েছি আদর্শ মমতায় ,
শুধু এই তিন বছরের কিছু তিক্ত মায়া সইতে হচ্ছে এই যা ,
কাকলি নেই ভাবলেই এখনো মাঘে ঘাম ঝরে শীতলতার ।

সন্তান কি সবসময় নিজ ধারা প্রাবাহিত রক্ত ?
আমার বা আমাদের শরীরের
সব উষ্ণতা গুলো কি পেয়েছে সঠিক করে ?
কই আমার বেলায় তো দেখছি না সেই সূচক ?

সামনে পড়ে আছে সকালের দৈনিক ,
শুধু মৃত্যু সংবাদ ,
মৃত্যু এতো মূল্যবান বলেই কি পাতা জুড়ে কান্না ?

তবুও দেখি
সম্মুখ নিজ মৃত্যু দৃশ্যে আমি চিতল হরিণ ,
পেছনে ছুটছে কালো চিতা
এই দৌড়ে আমাকে জিততেই হবে , নইলে আজীবনের পরাজয় ।


উপভোগ আমি আমি নীল ছবি
উপভোগ পোয়াতির প্রচ্ছদখানি ,

জনসমক্ষে বলি দেশ গেল রসাতলে
ঘরে ফিরের আমি ধর্ষণের খবর খুঁজি ।

গ্রহন


‎...।। গ্রহণ

আমার নিষিদ্ধ দৃষ্টির ঘোরটোপ থেকে পতন উন্মুত আশার
পিছুটান , লায়ায়িত জিহ্বায় মাকড়সার জালে বন্দী স্বাদ ,
বিজ্জাপনে অর্ধ নগ্ন লাস্যময়ী মা জননী দুধে চিরন্ত্রন সাবেকী
ঘুম পরানো দুপুর , গাদাগাদি ঠাসাঠাসি ভিড় বাসে ছেলে খাওয়ানো নিপিলে
একটা মাছি বা মৌমাছি অযথা চাটাচাটি খানিকক্ষণ , তারা
জেনে যায়না তবু
অমৃত স্বাদ শুধু ক্ষনিকের না আমৃত্যু বহনে ।

তবু
আমি তাকিয়ে থাকি সংজ্ঞাবিহীন নশ্বরে এখনো ,
ধাতব পাতের সংঘর্ষে এগিয়ে চলে ট্রাম , সোজা পথ ব্যাকা লাইনে পরে
কতো দেরী হয়
তুমি নেমে পরো আঁচলের ফাঁকে রেখে গিয়ে যৌবন
আমি অস্তিত্ব সঙ্কটে ।

চিরকাল
কথা গুলো কথার উচ্চতায় উঠতে পারেনা বলেই আমি যা বলি প্রলাপ ।
চিরকাল
শরীর থেকে উঠতে পারেনি বলেই আমি নশ্বর ।
এক চাঁদে কেন বার বার গ্রহণ লাগে ......

িমি.


জীনের অস্তিত্ব জুড়ে সংক্রামিত পূর্বপুরুষের বদরক্ত ,
কারুকার্য শোভিত মুখমণ্ডলের অভ্যন্তরে পিশাচের জৌবিক গুণ ,
বিশ্বাস বলেই কিচ্ছু নেই বিশ্বাসে শুধু অবিশ্বাসের খেলা অন্ধকারে ,

অন্ধকার আকাশে যদি কোন আলোক পথ খুঁজে পাও অবিশ্বাসের দিনে
নিজেকেই ভাবো বন্ধু ,

পথ যদি বলে নেই নেই সম্মুখে আর
তুমি রোদনে দাঁড়িয়ো না......
ছোট যদি কোন পথ খুঁজে পাও ।ম


আমাকে আরো ধর্ষণ করো সময় ,
তবু জিরাফের গ্রীবার মতো মাথা বাড়িয়ে খুঁজবো না সুখ ,
পঞ্চভূতের ভূতের চরিত্রের কাক......
খুঁজে ফেরুক আস্তাকুরে ।


আবৃত করো আমাকে আমার চেতনাকে মুছে যাওয়া
সেই সব শিলালিপিকে ,
আবৃত করো গণসংগীতে ভালোবাসা পরাজয়ের
মলিন মুখখানি ,
আবৃত করো আমার রোজনামচা আঙ্গুলের পরশে
শব্দ সংসার ,

অনাবৃত বুক নিয়ে দাঁড়িয়েছি জনতা সরণিতে ......
রক্ত হিম শব্দ ঘৃণা করি বল
তোর মুখে একদলা থুঃথুঃ ছিটিয়ে , আমি বিশ্বনাগরিক ।

আলেয়া


‎...।। আলেয়া

এক গর্ভ পিলে ত্রিশ লক্ষের নাভিশ্বাস ,
দুর্দান্ত যে দৌড় শুরু হয়েছিলো পতনে নিষ্পত্তি সমাপ্তি অতীত
বর্তমানের সেই সব বর্ণহীন অভিযান ,
তবু আমি সুনিপুণ খেলোয়াড়
তবু রোজদিন গণ্ডা গণ্ডা সহজ সুযোগ নষ্টকরি
ইচ্ছায় অনিচ্ছায় ।

যে সৌভাগ্য খেলাতে আমি এসেছিলাম ( অন্য যে কেউ আসতে পারতো )
যে গোল হতে হতে হতেপারেনি বর্ণবিদ্ধেসি রেফারীর অনুগ্রহে
সেই বল কি অন্য গোলের অপেক্ষায় !

কান্নার ধ্বনি মিলিয়ে যায় নতুন গভীর কোন কান্না এলে
কিছু জন্ম আলেয়ার অনুকরণে ভেসে থাকে যৌবনে তোমার ।

উত্তীর্ণ


‎... উত্তীর্ণ ...

নেমে এসো ওভাবেই বৃষ্টি মেখে সূর্য
আমি খণ্ড গৃহে
যেভাবে থাকে সকলের ভাঙ্গাচোরা অতীত ,
আলোকবর্ষ হতে টুপ করে কেড়ে নিয়ে একটুকরো সময়
আমি বলব......
আমি সিতে নই
নই এক আঁচল অশোক বনে বন্দী
ফন্দীতে নেই রূপ বিলনো স্বভাব
যা আমাদের স্বভাববিরুদ্ধ ।

উষ্ণ স্রোতে ভেসে রতি জ্যোৎস্নায় কাম মলিন হয়ে ওঠে যখন , জীবন ,
তখন তুমি ভাবো আমি রাধিকা
আমি চিৎকার করে বলি
আমি নারী
উত্তীর্ণ তার আগুনেই
মা হয়ে উঠতে পেরেছি তোর ।

আমি


‎......। আমি

পৌরুষে আমি সমৃদ্ধ
আত্মিক বন্ধন আমার মায়া
মেয়েবেলা আমার পৌষের দুপুর
নারী বেলা আমার কাল ।

গুপ্ত খনিতে আমি সৃষ্টি
প্রজাপতি পাখনায় আমার স্বপ্ন
নিয়তিকে দোষ দিয়ে আমি মূর্খ
আবেগে ভেঙ্গেছি অনেক যুক্তি ।

তর্কে তিক্ততা স্বভাবে
বসনে বিভেদের মূর্তি
অসময়ে ছুয়ে দিলে ভগবানে
ত্রাহি ত্রাহি স্বামী শাশুড়ি ।

যত্ন খাতিরে ধরি জীবন
মাঝে মাঝে পিছু সরে সরে পিঠ দেওয়ালে
প্রতিমা টিপ কাজলে
দশভুজাও হয়েছি প্রয়োজনে ।

উস্নায়নে


‎...... উস্নায়নে এখনো

মোম উষ্ণতায় ছুড়ে দিলাম লাবণ্যপ্রভা শরীর ,
শর আকাশে একা কাঠঠোকরা ভানুমতীর খেল শিখছে
গায়ে মেখে জ্যোতিষ্কপ্রভা
বাছুরের ন্যাজে ন্যাজে দৌড়াচ্ছে গম্ভীর একটা সূর্য
আমিও দৌড়রাচ্ছি
মেঘবালিকারা পার হয়ে গেলো ঘুঘু ডাঙা
এখনো কত পথ বাকি আমার ।

ঘুরন্ত চরকা লটারিতে আমি , বত্রিশ খোপ ,
এক খোপে রেখেছি সমগ্র পৃথিবী বাজী ,
নদী গর্ভ থেকে উঠে আসে যে ব্যাঙ
ডাঙ্গায় ও বাঁচে
আমার হৃদপিণ্ড চুবিয়ে রাখবো এবার জলে ।

আমার স্তন থেকে একতা পথ গেছে যমুনায়
আমার স্তন থেকে একটা পথ সন্তান ।

সূর্য প্রপাতে মায়া দেখি
আমি তবে কোন মায়াতে পা ফেলি এখানে ।

শকুন


‎...। শকুন

অন্য একটা দিনে
বিলম্বিত প্রলুব্ধতায় সদারুন আত্মকেন্দ্রিক ঐন্দ্রজালিক অভিলাষে
ছুয়েফেলি দেবতার হাত ,

এক দুই ফোঁটা রক্ত জমে
একটা সমুদ্র, দুটো সমুদ্র
আমরা স্নান করি ,
শরীর ভেজে না ,

দেবতা চুপ থাকে...... খানিক , ভাগ ।
ভাগাড়ে শকুনের উৎপাত বাড়ে
শরীর পরে ভাগাড়ে
শকুন মৃত গন্ধ ভালোবাসে ।

কিছু কথা


‎...।। কিছু কথা

প্রধানত
চোখ নিয়ন্ত্রণ করে সুসম্নাকাণ্ডকে
ওখানে
ভাতের থালা
সুসম্নাকাণ্ড খবর সেন্ড করে জিহ্বা মোবাইলে
আমার লালা আসে
ভাত আসে না ।

লাল পাথুরে ভূমিতে
বিডিও প্রমাণিত দাগ
গাড়ির শব্দে
চ্যাগার ক্ষিদের
আশ্চর্য
গাড়ি চলে গেলে আর ক্ষিদে থাকে না ।

মাথালি মাথায়
আমি অধীশ্বর
সূর্য বেয়াদপ
সাম্পেনে উড়ে উড়ে যায় যখন সময়
তখন
দেশে অভাবের গল্প নেই ।

ভয়ানক ভাবে কথা গিলি
শিল্প জানতে হয় বক্ত্রিতায়
ছেঁড়া ফতুয়া ভেদ করে
সরাসরি শরীরে কথা
হেসে উঠি
আমি যদি পারতাম , তুমি শ্রোতা হতে ?

প্রমান নেই
আমার মেয়ে ধর্ষিতা
পশুও তো অসাবধানে মল ত্যাগ করে
ভালো করে খুঁজেছিস , উর্দি ,
কিছু না কিছু তো
অসাবধানতা পরে থাকে ।

আর কতক্ষণ এভাবে কুলো তুলে উত্তরের হাওয়াতে উড়াবে তুমি ,
চিটে ফেলে কতক্ষন ধান বাছবে তুমি
চিটেতেই আগুন জ্বালানোর ক্ষমতা আছে
ধানের কি সেই ক্ষমতা আছে !


‎...... তিরতির করিয়া মেঘকালোর অনুক্ষণে পারহইয়া আসিলাম একটা ব্যাপ্তিকের অঅনুকরণীয় মেঠো পথের কস্তুরিনাভ দিনকাল । ছাইপাঁশে আবদ্ধ হইয়া জটিল কুটিল তর্কাতিক আকর্ষণীয় ঈর্ষান্বিত অভিগোলকের মানচিত্রে আমার গৃহআঙনের চিত্র নেই বুঝিয়াও আমি সেথায় ফেলিয়া আসি আমার যাযাবর জীবনের ঐতিহ্য । পা রাখি ত্রিভুবন জয়ী নাগরিকের নগরে , সশব্দে হুরমুরিয়ে আমার সুম্মুখে আসিয়া পরে ভোগ্য , তথাপি আমি বিচলিত নই , এই সব "অনিরবাচনিয় হুন্ডি ..." দুই একজন কুড়াইয়া লয় আমাদিগকে হাপিত্যেস করিয়া দেখিয়া যাইতে হয় । গভীর অসুখে পড়িয়াছে আমাদের জন্ম ভিটা শাশ্বত গা ,
প্রাকিতিক সম্পদ সর্বদা বোধহয় সর্ব শক্তিমানের রূপ নাম রইয়া বাঁচিয়া থাকিতে পারেনা , মূর্খ হইতে হইতে মূর্খরা যাহা করে সেগুলাকে আর মুর্খামির পর্যায়েও ফেলা সাজে না । নগরে কিছু নতুন মুখের আবিস্কারক মহানাগরিক একদিন " জঞ্জাল বাড়িতেছে ছাপ করা আবশ্যক " , আমাদিগর ঘুম আসে ...... নদী মানে না নিয়ম বইয়া যায় ।র


আদিম বনবাস হইতে মিঠেল রোদের ছোঁয়াচে
কাব্যে উঠে এলো মারীচ ,
একটা মারীচ , দুটো মারীচ ...... আরে আরে
মারীচ মারীচ মারীচ ......
ধরতে পাচ্ছি না
পাকাল
এবার লুডো নিয়ে বসবো ।

আমিত্ব


আমিত্ব

...... তিরতির করিয়া মেঘকালোর অনুক্ষণে
পার হইয়া আসিলাম
একটা ব্যাপ্তিকের অঅনুকরণীয় মেঠো পথের কস্তুরিনাভ দিনকাল ।

ছাইপাঁশে আবদ্ধ হইয়া জটিল কুটিল তর্কাতিক
আকর্ষণীয় ঈর্ষান্বিত অভিগোলকের মানচিত্রে
আমার গৃহআঙনের চিত্র নেই
বুঝিয়াও আমি সেথায় ফেলিয়া আসি
আমার যাযাবর জীবনের ঐতিহ্য ।

পা রাখি ত্রিভুবন জয়ী নাগরিকের নগরে ,
সশব্দে হুরমুরিয়ে আমার সুম্মুখে আসিয়া পরে ভোগ্য ,
তথাপি আমি বিচলিত নই ,
এই সব "অনিরবাচনিয় হুন্ডি ..." দুই একজন কুড়াইয়া লয়
আমাদিগকে হাপিত্যেস করিয়া দেখিয়া যাইতে হয় ।

গভীর অসুখে পড়িয়াছে আমাদের জন্ম ভিটা শাশ্বত গা ,

প্রাকিতিক সম্পদ সর্বদা
বোধহয় সর্ব শক্তিমানের রূপ নাম লইয়া
বাঁচিয়া থাকিতে পারেনা ,

মূর্খ হইতে হইতে মূর্খরা যাহা করে
সেগুলাকে আর মুর্খামির পর্যায়েও ফেলা সাজে না ।

নগরে কিছু নতুন মুখের আবিস্কারক
মহানাগরিক একদিন " জঞ্জাল বাড়িতেছে ছাপ করা আবশ্যক " ,
আমাদিগর ঘুম আসে ......
নদী মানে না নিয়ম বইয়া যায় ।


হলহনে উঠে এলো
একটা ঐতিহাসিক জীন
গ্রেট আলেকজান্ডারের ,

প্রমাণিত সত্য
প্রত্যেকটা ইউ এস প্রেসিডেন্ট
এক একটা আলেকজান্ডার ...

তৃতীয় জগতের
প্রত্যেকটা রাজা
পুরু ,

মানো ঈয়া
না মনো ।

নেপোলিয়ন


‎...... নেপলিয়ন

এক মাকড়সা
এক সম্রাট

সেন্ট হেলেনা দ্বীপ
একাকী
একশত পাহারাদার,

দেওয়াল বেঁয়ে
মাকড়সা
আপ্রাণ চেষ্টা

সম্রাটের চোখ স্থির

ও পেরেছে
মাকড়সা
উঠে গেছে

সম্রাট
দর্শন

" আমি হারিতে হারিতে হারাইয়া দিব "

পরের দিন
খাল্লাস

গল্প শেষ
তার আগে
একশত দিনের শাসন ।

১২৩


খাদ্যরসিক ছিলেন আমার প্রপিতামহের প্রপিতামহ
তাই পতন সুত্র আবিস্কার করতে পারেন নি ,

আমাদের সমগ্র ঝাঁর খাদ্যরসিক
তাই কোন কিছু আবিস্কার করতে পারিনি ,

আসলে
আমাদের বংশ
খাওয়ার জন্য বেঁচে আছে
বেঁচে থাকার জন্য খাইনি কখন ...।।

১২


অনুকরণীয় জিনিষ গুলি
আর অনুকরণীয় নেই ।

বিষাদ গুলো শুধু
বিষাদ তৈরি করে ।

প্রেম এক পায়ে হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত
জলছত্র শূন্য ।

নিজেকে বন্দী করা যায় নিজেই ভালো
শুধু কিছু ফন্দী জানতে হয় ।

শুভ রাত্রির মর্যাদা হারিয়েছে নিয়ন
আলোর মাঝে কি রাত্রি আসতে পারে !

ছায়া


‎......।। ছায়া

"এর পর এক দিন ভুলে গিয়ে সময়ের স্মৃতিকথা
দেখি পরাগ মিলনে কিছু নষ্ট জন্ম এসে করে কোলাহল ।"

ধাতস্ত হয়ে উঠি প্রজ্ঞানের অনুমত্যানুসারে প্রবেশের অধিকারে ,
খাতের কিনারায় দাড়িয়ে "জেনেটিনিয়াস " হাতড়ে হাতে চলে আসে
কিছু শ্যাওলা , বিপুল উৎসাহে তুলে নিয়ে বুকচাপা দিয়ে
আইসল্যান্ডের উষ্ণতা খুঁজি , যেমন তোমার বুকে মাথা গুঁজতে
পারলেই আমি হয়ে যেতাম " জোককাবাদ " তুমি বুঝতে ?

প্রবল উৎসাহে কিছু ঢেউ ভুলে যায় ভুলে গিয়ে সৃষ্টির নিয়ম
মহিসোপানে ভিকু মৎস্য জীবীর সঞ্চিত ধন নেয় কেড়ে
তারা নিয়ম বহিঃভূত কাজ করে খালাস , ভিকু কাঁদেন নিয়মে ,
নিষ্ঠা দিয়ে যে প্রতিকৃতি গড়েন পটুয়া
চক্ষুদানে নিজের মানসী গড়ে তোলেন অজান্তে
সে জানে না প্রিয়তমা কি এতো সুন্দর হতে পারে ?

তুমি এখনো জানো না নিরুৎসাহিত চাঁদের গল্প ,
নিরুৎসাহিত হতে পারলেই অভিব্যক্তি গুলো একই রেখে হেসে খেলে
সন্তান জন্ম দিতে দিতে
কাটিয়ে দেওয়া যায় একটা যুগ ।

স্বধর্মীতে আমি আস্ত একটা গবেট ।
আমার উৎসাহ হারাচ্ছেনা বলেই পতনেই আমার গন্তব্য ,
আমার গন্তব্য তোমার ছায়ার বিশ্বাসে ।

মন


মন

ভতকা গন্ধ
হাড়িয়া কলশি উবুড়
মাছিদের ডিম্বাশয়ে
আরো একটা
অনাদারের জীব
লিম্বা রাম একা প্রতিবেশী বুনো মুরগীর
রণবীর সেনা
পরিচয় বদলে
ম্যাউ ম্যাউ
বাসি রক্তে
দুই চারটে জীবনের খাবার ।

নিম্বাস মেঘ উড়ে গিয়ে
মহুয়া পাগলে
ঝরছে অঝোর
কেন্দু পাতায় কিছুহাত তখনো
গান ফাইটের একটুকরো গন্ধ
মিলিয়ে
একখণ্ড বিষাদ
লাঙলের ফলায়
এক লাশের উৎপত্তি ।

মৃত হাড়ে
সিন্ধির সারকারখানা বৃদ্ধি
ঘাম মুখে
চোখের জল ঢেকে যায়
নর্তকীদের
ফ্যাশন পার্টি
উরুর উল্কিতে সূর্য
আলো কি আঁধারের স্বপ্ন
আলোর প্রত্যাশায় আমার মন ।


‎......।।

নিয়ন্ত্রকের ভুমিকায় প্রবল প্রলব্ধতার শরীর , ক্ষ্যাত্র অভিজাত এখনো প্রাচীর , নিয়ন্ত্রন করে বিভেদের , মাঝে মধ্যে একটু খানি কম্পন এসে দুলুনি দিয়ে যায় , নড়েচড়ে উঠে আবার ঝিমুনিতে । শরীর শরীরের প্রতিবন্ধক , প্রতিনিয়ত ডুয়েল , তবু একপেশি লড়াই , দেশীও ৪০ ভাগ বি পি এল স্বপ্নে একটা করে এল আই সি বুকে নিয়ে ...... আমাদের ইচ্ছা নেই পলিছি টা করিয়ে দেবার । এ আমি কার সঙ্গে লড়ছি ? কাকে পিষে আমার সুখাচ্ছাদন ? তন্ত্র ( সমাজ , গন ) বলে যা কিছু সব মনের...... আমরা শুধু দেখানদারির দোকানদার ।

যাচ্ছি না


‎...।। যাচ্ছি না

এখনো মুহূর্তরা
চেনাজানা গলি ছেড়ে সকরুণ আক্রোশে
অন্ধ উষ্ণতার পথে ,
যে পথে দিনান্ধ স্থবির জোনাকি
আগুয়ান পথের দিশা দেখানোর ।

ফেলে এসেছি আমি
সন্তান মায়া ,
ফেলে এসেছি আমি গোলাপের বাগান
সেখানে ,
সেখানে সেই সব অনুকাব্যর নিঝুম গোধূলি
কলরবে কোকিলের গান ।

আমার জন্ম , জন্মভিটে যেন বিদেহী আত্মা ,
চাঁদ ডুবে গেলে পরে
শাল মুহুয়া বনে
শুরু করি পথ চলা ,
চাঁদ বব্দনায়
জেগে ওঠে এক ছায়া আমার শ্রুতিধর
পূর্বপুরুষ যেন
যেমনটি গল্পে শুনেছি তাকে
হুবুহু মিলনের অধিপতি
আমি তারই সন্তান ।

যেখানেই প্রপাত আমার
যেখানেই আমার নাভিগর্ভে যন্ত্রণা পিঁপড়ে কামড়ের
সেখানেই আলো আধারি অথবা
নিকষ আঁধারের
যৌতিকতায় প্রপিতামহ বা প্রপিতামহ
বা তার প্রপিতামহ
আমি পারিনা সরাতে
তুলে নিয়ে আমার মাথা
জানুতে
সন্তান
সব স্তব্ধ হয়ে যায়
সব স্তব্ধ হয়ে যাবে একদিন ।

হাফিয়ে উঠি আমি ।
অনুকম্পনে চোখ খুলি ।
আঁধার নিমজ্জিত আমার স্ত্রী , আমার ভবিষ্যৎ ।
গুমোট হয়ে আছে একাদশীর আকাশ ।
জানালা খুলে দিই ।
এক দমকা হাওয়া এসে ......

বটে ! প্রপিতামহ বা প্রপিতামহ অথবা প্রপিতামহ ।
চমৎকার !
এখনো চমৎকার !

দধীচি হাড়ে গড়েছি এই সংসার ,
সংসার গল্পে বিষাদ আছে বিস্তর ,
স্তব্ধতা নেমে আসুক ভুবনমোহিনী ভুবনে
আমার অনেক কাজ বাকি......
আমি যাচ্ছি না......

গরম


‎...।।গরম দেশের মানুষ ছিলেন

ইদানীং পা ফেলি খুব সন্তর্পণে
হোঁচট খাওয়ার ভয়ে ,
আসলে হোঁচট প্রস্তুত ই থাকে
পা বোঝে না অতোসত ।

ইদানীং ঘড়ি ধরে রেজার নিয়ে বসি
জিগারের জল গরম করতে দিই
ব্রেকফাস্টে এক খণ্ড পাকা পেপে চাই ই চাই , ডায়াবেটিস নাকি ...
ঘড়ি ধরেই কাজ মেটে
তবু সমর বাড়ে , দেশের বাড়ি যায়নি সাত সাতটি বছর ।

ইদানীং অঙ্ক নিয়ে বসি
অঙ্কে আমার নেশা লেগেছে
যোগ গুলো সঠিক সঠিক মিলে যায়
বিয়োগ গুলো মিলতেই চাই না
রাত বাড়ে
নেশাও বেড়ে যায়
চোখ লাল করিয়ে সূর্য ওঠে ......
আবার অঙ্ক নিয়ে বসতে হবে ।

ইদানীং শীত কালে কাঁপুনি বাড়ে
আগে এতোটা ছিল না ,
গরম বেশ লাগে ,
শিতলঘরে থাকতে থাকতে
গরমের কাছাকাছি পৌছাতে পারি না ,
আমার বাবা , তার বাবার
এতো শীতলতা ছিল না......
ওরা গরম দেশের মানুষ ছিলেন ।

পাত্র


‎... পাত্র

তারপরে অদ্ভুতভাবে হাত থেকে খসে পড়লো
এক অণু সময় .........
আশ্চর্য ! মাথালি মাথায় আমার বাবা দৌড়াচ্ছেন
বৈশাখের ফাটা মাঠে হাতে নিয়ে পাচন " হালার পুলা
তঁরে আজ দেইখ্যা নিমু , ঘোষের ছল তুই , নমঃশুদ্র ম্যাইয়া
নিয়া ফুরটি ? "
আশ্চর্য !
আমি এখনো কাঁপছি , দেখুন ঘাম বেরুচ্ছে ।

আমার বাবা অন্ধছিলেন প্রথাতে ,
আমার মা ছিলেন রামপুরের ঘোষ মেয়ে
আমার ঠাকুমা গাজীপুরের ।
বাবার স্কুল শিক্ষাছিল না...
সংস্কারের শিক্ষাছিল ভরপুর ......
আমি খোকন চারালের ( নমঃশুদ্র) মেয়েকেই বিয়ে করেছি
আমার পুত্র শঙ্কর
শঙ্কারায়নেয় গড়ে উঠেছে ,
বাবাও বুঝেছিলেন শেষ কালে... জাতের মহিমায় অন্ধকার আছে
আলো নেই ...
" তুই অরেই বিয়ে করে নিস " ।

রবি বাসরীয় পাতা জুড়ে
" উচ্চশিক্ষিত আই এ এস অফিসার একমাত্র কন্য
সঙ্গীতজ্ঞ শিক্ষিতা সুন্দরী মেয়ের জন্য স্বজাতের সুশীল
ডাক্তার , ইঞ্জিনিয়ার কায়েস্ত অনূর্ধ্ব ত্রিশ পাত্র চাই ।

মেয়ে


‎... ভালো মেয়ে ।

হঠাৎ একবার
নগ্ন মেয়ের থেকে প্রশ্ন এনে ছুড়ে দিলাম
"তুমি ভালো আছো নগর ? "
গভীর রাত্রিক নিয়ন নিস্তব্ধতায় হুইচালে
পাকুরের পাথর বোঝায় দশ চাকা ট্রাক
ধোঁয়া উড়িয়ে
আমিও ছুড়ে দিলাম সাইলেঞ্চারে প্রশ্ন
গ্রাম বন বনান্তরে
প্রচার করে দাও " তোমরা ভালো আছো তো ?

তার পর থেকে
আমি এখনো পতনের মুখেই আছি দাড়িয়ে ।

তার পর থেকে
আমি এখনো প্রশ্নের মুখে দাড়িয়ে ।

প্রশ্নটা এতো শক্তিশালী ...
আর কোন প্রশ্ন নেই বাতাসে

" তুমি ভালো নেই মেয়ে ? "

নিয়ন্ত্রক


‎...... নিয়ন্ত্রক ...

সাধারণত কিছু বলতে গেলেই কিছু ক্ষোভ মিশ্রিত
আবেগ ঝড়েই পরে তার ,
আমি থেমে যায় , যেমন ক্যাপিটাল মেইল দুরন্ত গতিতে
ছুটেও সম্মুখে নধরকান্তি বাছুর ছানা দেখে
হাইড্রলিক ব্রেক চাপেন
ভীষণ এক ঝাঁকুনি
তবু থামে বটে !
আসলে থামতেই হয় , যুক্তি যেখানে অকেজো ,
যুক্তি যেখানে শুধুমাত্র কিছু কথার সম্মিলিত প্রয়াস
সেখানে যুক্তি হাস্যকর
সেখানে যুক্তি মনোরঞ্জন করতে পারে না কিছু মাত্র ,
আবেগের এতো প্রবল স্রোতে
সুন্দরবনের মেঠো বাঁধের মতো
আমার যুক্তির পতন ।

তার নাম দেওয়া যাক অনুপ্রভা ,
তার আবেগে আমার বসতি ,
তবে
প্রতিটি আয়নায় তার মুখের পাশে কিছু ছায়ামুখের আবির্ভাব
তারা হেসে উঠলেই আমার হাসি পায়
কাঁদলে কান্না পায়না কিন্তু ......
অনুপ্রভা কাঁদলেই আমি কাঁদি ।

আমাকে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় ঈশ্বরের হাত নেই
আমারও অধিকারে নেই সেই ক্ষমতা
এমনকি অনুপ্রভারও নেই .........
ভ্রূণের প্রথম লড়াইয়েই আছে ফাঁকি দিয়ে এগোনর গল্প ...
আমি অনিয়ন্ত্রিত জন্ম ঘড়ি থেকেই ......

গল্প


একটা জোনাকির গল্প শোনাবো তোমাকে

কথা দিয়েছিলাম আমি আয়েজনে শেষ হলে
গান্ধর্ব বিবাহ পর্ব
আমি তোমাকে প্রজাপতির প্রিয় প্রজাপতিটায় উপহার দেবো
আমার যৌতুকে ,
তুমি বেনিয়াসহকলা হয়ে ফুটে থেকো
চেরাপুঞ্জি মেঘের
জনতা ভীরে ।

আগুনের পাশে রঙ গুলো ফ্যাঁকাসে চিরদিন ,
ভিজে গেলে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি ,
তাই তোমার চোখে জল দেখলেই বুঝে যায় ফ্যাঁকাসে হয়ে গিয়েছিলে
আবার রঙে ফিরছো ।

বুড়ো মা প্রজাপতিটা আমার মায়ের মতো
তিনকাল গিয়ে এককালে ঠেকেছে ,
জোয়ারভাটার কালে সন্ধিবাতে দুটো পা'ই
টিনের চলে ঝুলন্ত চালকুমড়ো ,
তবুও দুপুর বেলা স্নান করে গোল পূর্ণচাঁদ সিঁদুরে
লাল পেড়ে শান্তিপুরী তাতে
যখন ছোট্ট চিলেকোঠার গৌরাঙ্গ মন্দিরে বসতেন
আমার চোখ
ঝলসে যেতো
চরাচর অন্ধ , আমি শুধু মা;কেই দেখতে পেতাম...
একটা ভোরের সিউলি গন্ধ বের হতো মায়ের শরীর থেকে...
আমার নেশা লাগলো ...
বৌস্নব পদাবলীতে মা হারিয়ে যেতেন ......

প্রজাপতি
তোমাকে দেখলেই আমার কাছে ভাসে পানলাল জিহ্বা
আমার মা পরাগে পরাগের বার্তা নিয়ে ছুটছেন
সমগ্র প্রজাপতি জুড়ে মা প্রজাপতি আর আমি ......
আমিও একদিন প্রজাপতি হবো বোধহয় ।

বরফ


‎...। বরফ ।

বরফে একফোঁটা মোম গলে পড়লো
ছোট্ট একটা গর্ত ক্ষমতার
শীতলতা ভেঙ্গে যে জল
তার একপাশে আমি
অন্যপাশে আমার যুবক যৌবন
আমি যৌবন বেঁছে নিই নির্দ্বিধায়
হাত রাখি তোমার পিঠে ।

শীতলতা আছে বলেই
তুমি মোম সলতেতে আগুন জ্বালো
প্রথমত কিছু নীল ধোঁয়া
দপ করে জ্বলে নিভে যাও
দরজায় করাঘাত
আমি আশ্চর্য
অপেক্ষার মধুক্ষনে
এবার জ্বলে
শীতলতা উষ্ণতায় খোঁজে চিরকাল ।

গলছে...... সারাদিনে যে বরফ জমেছিল
এবার গলছে
বরফের পেঙ্গুয়িন জাঁতাকলে
আমি শ্যাম রাখবো
মান নয়
উষ্ণতায় শান্তি নেই ......
দীর্ঘকালীন সূর্যের অভাব ।

বীজ


‎...।। বীজ

নগরপ্রান্ত হতে ঢিমেতালের উদাসী হাওয়ায়
একখণ্ড বালুচরি মেঘ
যেই গেল উড়ে
গ্রামের দিকে
জঠর যন্ত্রণা মা তখনো ইঁদুর গর্তে হাত ঢুকিয়ে
একমনে ভাত কুড়চ্ছেন
মাঠকে মাঠ কাঁচা সোনা পাকা সোনা
পিঠে সোনা নিয়ে
দঙ্গল দঙ্গল গরুর গাড়ি
বিশ্ব উস্নায়নের তেজ ফাঁকি দিয়ে......
দূরহট
মেঘ
আমার মা ভাত কুড়াচ্ছেন ।

শিল্পগুলো স্থানভেদে
মাঝে মধ্যে বেয়াদপ ।
শ্রাবণ শিল্পে তুমি নাচতে পারো ...
আমার মন থাকে আলে
" মেঘদুতম " এ খবর নিয়ে ভাসুক তেপান্তরে...
আমি আমনে আমনে
ছড়িয়ে দেবো বীজ জীবনের ।

নিয়ন্ত্রক


‎...... নিয়ন্ত্রক ...

সাধারণত কিছু বলতে গেলেই কিছু ক্ষোভ মিশ্রিত
আবেগ ঝড়েই পরে তার ,
আমি থেমে যায় , যেমন ক্যাপিটাল মেইল দুরন্ত গতিতে
ছুটেও সম্মুখে নধরকান্তি বাছুর ছানা দেখে
হাইড্রলিক ব্রেক চাপেন
ভীষণ এক ঝাঁকুনি
তবু থামে বটে !
আসলে থামতেই হয় , যুক্তি যেখানে অকেজো ,
যুক্তি যেখানে শুধুমাত্র কিছু কথার সম্মিলিত প্রয়াস
সেখানে যুক্তি হাস্যকর
সেখানে যুক্তি মনোরঞ্জন করতে পারে না কিছু মাত্র ,
আবেগের এতো প্রবল স্রোতে
সুন্দরবনের মেঠো বাঁধের মতো
আমার যুক্তির পতন ।

তার নাম দেওয়া যাক অনুপ্রভা ,
তার আবেগে আমার বসতি ,
তবে
প্রতিটি আয়নায় তার মুখের পাশে কিছু ছায়ামুখের আবির্ভাব
তারা হেসে উঠলেই আমার হাসি পায়
কাঁদলে কান্না পায়না কিন্তু ......
অনুপ্রভা কাঁদলেই আমি কাঁদি ।

আমাকে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় ঈশ্বরের হাত নেই
আমারও অধিকারে নেই সেই ক্ষমতা
এমনকি অনুপ্রভারও নেই .........
ভ্রূণের প্রথম লড়াইয়েই আছে ফাঁকি দিয়ে এগোনর গল্প ...
আমি অনিয়ন্ত্রিত জন্ম ঘড়ি থেকেই ......

সেলুকাস


সেলুকাস...

সেলুকাস
সেলুকাস !

এক পিদ্দুম কেরেসতেলে আমার মুখে ধননন্দ
কুপির শিখা হয়ে চন্দ্রগুপ্ত বাঁকানো তলোয়ারে
শান দিচ্ছেন পাটলিপুত্র নগর হয়ে দূরে
রাজগিরের বুদ্ধস্তুপের পাশের বাঁশ বাগানে ......
রাত আটটা
" খায়ে যা ভাত কি জল করবি " জননী আমার ।

অগত্যা যেতেই হয় , আসলে যেতেই হয় ।

ফিরে আসি ,
এবার " ষোড়শ মহাজন পদে " ভারত ।
" গোপা " কার স্ত্রী কে জানে ( ইতিহাস অর্ধেক অর্ধেক ভাল লাগে না )
সিঁথিতে সিঁদুর ( তখন কি দিয়ে সিঁদুর হতো ) লাল পাড়ের জামদানী (!)
( লোকাল লেখক তো ) সোজা পথে ছুটছেন ......
"অই গাছটা কনে গেল ? অখানেই তো ধবধবে সাধু টা ছেল ? "

"অহন বন্দ কর , হালার পুলা ঘুমাইতে দেবে না " পিতৃদেব ।

অগত্যা বন্ধ করতেই হয় ।( এক ঘরে জন্ম মৃত্যু ভোগ )

শুয়ে পড়ি ( পড়তেই হয় , আর কোন কাজ নেই যে )

গভীরতায় গভীর অন্ধকার ......
ঘুম ঘুমঘোড়
এক সৌম্য
খালি গায়ে
এক জ্যোতিষ্ক আলো
আমি ভিরমি
" শোন পুরো গল্প "
" অনাহারে তৃপ্তি নেই মনে , অশান্ত ঝড় , মন উচাটানে ,
চ্যাগারে ওঠে পাকস্থলী
শুধু প্রয়োজন টুকু নিয়ে
ত্যাগ কর পার্থিব বস্তু ,
পেটের শান্তিতেই আছে মননের দিশা "

আমি চমকে উঠি ...... কে তুমি ... কে তুমি ...... কে তুমি ......

আমরা আধ পেটে আজীবন
...... মনন গেছে মড়ে ......
প্রভু !

নারী ১


নারী বিষয়ক এবং কম্পন ১

মধুচন্দ্রিমা

দিশাহীন উলট- পালট চাদে এক বুড়ি
লক্ষবছর ধরে ,
যখন ত্রিবেণী সঙ্গম ধূধূ পাথর
তখন একচাদ হেটে এসে কিছুক্ষণ জিরিয়ে গান শুনে পাথরের
ঘরে ফিরে যেতো
সন্ধ্যা নামার আগেই
এসব আমাদের জন্মের আগে ।

দশ হাজার বছর আগে
আমি তখন নব্য কৃষক , শিখেছি ফসল ফলানোর ম্যাজিক ,
মাটি কেটে কেটে
বীজ বপনে আমি সিদ্ধহস্ত , আরো শ্রম চাই , আরো জীবন ।

দশ হাজার বছর আগে আমি বিবাহিত ।
আমার স্ত্রীর নাম ডাইনা ।

আমাকে পাঠানো হয়েছে জেজিং গুহা প্রদেশে স্ত্রী সমেত ......
সন্তান চাই ।

আমি জেজিং গুহার , প্রথমা চাঁদ আকাশে
বিবর্তিত ঋতু চক্রের দিন
হেসেব পোক্ত করি
এই আঠাসের মধুক্ষনেই আমার চাষের ভবিষ্যৎ
প্রগার যৌথ খামার
এক চাদের পূর্ণ কালে
আমার কৃষি অস্তিত্ব আরো ধারালো করে ফেলি ।

অথবা
মধু আদি সোমরস ,
জেজিং গুহা প্রদেশে আমরা দুইজন , কয়েক কাঠের জারে
ভর্তি মধু ,
চাঁদ ওঠে
মধু নেমে যায় পেটে
উষ্ণতায় ভাসে দেহ-মন , অথবা
কথিত বিশ্বাসে
নিত্যসেবন মধু
সমৃদ্ধ করে জয়ায়ু গৃহ
আমি প্রথম মাসের সুবাতাসেই
কৃষি খামারের শ্রমিক দিয়ে যায় ।

নারি ২


নারী বিষয়ক এবং কম্পন ২

সাম্য

পাথুরে সভ্যতায় মাঝ গগণে সাম্য ।
আমি গৃহ কাজে তুমি শিকারে ,
দল বেধে যে শুয়োরের পিছু তুমি সকাল থেকে
তার পায়ে পায়ে
দৌড়রাচ্ছে তোমাদের যৌবন
আমি ঘর গোছায়
আল্পনা আঁকি দুধ দিয়ে সন্তান পালন ......
রাত নামে
আমি তুমি মিশি ।

তখন সাম্রাজ্য ছিলোনা তোমার ।
তোমার পাথুরে অস্ত্র
স্বজাতী ভাইয়ের বুকে নই
খাদক বুকে
তারা খেয়ে খেয়ে যে শুঁয়োর ফাঁক গোলে ভ্যানিস
তুমি হাপিত্যস করো
ঈশ , যদি পেতাম আরো ভাই বা সন্তান !
তোমাদের প্রয়জনে আমি প্রস্তুত
এক চাঁদ খেয়ে নেই আরেক চাঁদ ।

কস্টাক্রিত যৌথ উপার্জনে সমভাগ ।
নারী উৎপাদনশীল সম্পদ ,
সঠিক মর্যাদায় ব্যবহার করতে হয়ে নারী কে খাদ্যর প্রয়োজনে
আরো আরো জন্ম চাই
একটা শুঁয়োর ও ফাঁক গলে না যেন ।

বসতির নাম নেই , তাই সাম্য ।
অস্ত্র একমুখী ব্যবহারে , তাই সাম্য ।
বাঁচার প্রয়োজনে নারী , তাই সাম্য ।

মহুয়া


মহুয়া হেম্ব্রুম এবং আমি ...

কাছে এসে বস পতন , শিকারি কুকুরের জিভ দিয়ে
আমি তোর গায়ের গন্ধ শুঁখবো ,
যে মাতোয়ারা পশ্চিম ঝঞ্ঝা বাতাসে
আমি তুই সব কোলে করে সেদিন
আমাদের পিতাদের
আমাদের জন্মের
আমি শব বাহক তুই পাচক ।

মাটির হাড়ি উবুড় হয়ে তখন থেকে শ্মশান পাড়ে
এক ফুটো দিয়ে ঝরছে শান্তি জল
আমারই কথাছিল ভেঙ্গে ফেলার
ফেলেছিলাম আমি ...
তুই জানিস ? ঠিক ভেঙ্গেছিল হাড়ি ?

মহুয়া এখনো চমৎকার আছে শ্মশান
এখনো চমৎকার শুঁখিয়ে আছে কাঠ ,
এখনো লম্বা লাইন দিয়ে আছে আমার বাবা এমুখের ...

আই , পতনে আই
লম্বা শুয়ে পড়ি চিতায়
এখনো তোর ঘাম গন্ধে আমার নেশা লাগে ...
চিতাতেও দেখবো
সেই গন্ধ বেরুচ্ছে কিনা .........

বিদায়


‎... বিদায়

বার্ধক্যজনিত অবক্ষেপে আমি গণিকার
বুকে আশ্রয় খুঁজি
নীল নীল মানচিত্র শিরা উপশিরায়
সময়ের বলিষ্ঠ চিত্র
কনিয়াম খেয়ে দেখেছি
মধুমেহ বেড়েছে বৈ কমেনি
নিষ্পেষিত যৌবন পিষে পিষে
আমি রুগী
বণিতা বোঝেন মনে হয়...
হেসে লুটোপুটি ।

এখন যখন রুদ্ধ হয়েছে গতি
শুধুই ভাঁটিরটান
সোনা তে হাত দিলেও নিমেষেই টিন হয়ে যায়
তবু কিছু সাহসে নেমে পড়ি পথে...
সব পথ গুলো
গন্ধর দিকেই গেছে বারোমাস ।

ধপাস বসে পরি । ছুড়ে ফেলি একরাশ টাকা
আমাকে মুক্তি দাও
অথবা
মধুমেহ থেকে আমাকে দাও চির বিদায় ।

কি জানি


‎...... কি জানি

অথবা দীর্ঘ রাতে ঘুম নেই
নচেৎ আমি চোখ লাল করে
কিম্বা বিয়ারের ক্যানে মুখ রেখে
বস্তুত প্রয়োজন বিনা
শব্দ সম্পাদনায় ।

অর্থাৎ এভাবে এগুলেই
হয়তো বা কাঙ্ক্ষিত সামগ্রিকতার মাল্য গলায়
অতএব সুর ভুলে গিয়ে
বা ভুলে গিয়ে সৃষ্টি রহস্য জাল
ত্রিভুবনে তুমি একা ।

প্রধানত একা একা থেকে জীর্ণটা বাড়ে
ইতিউতি নতুন দ্বীপ জেগে ওঠে দুঃখ সাগরে
তাই রাতের তারা দেখে বা সূর্যের
দ্বারা আবিস্কার করি
এবং জগতের রঙ গুলো বিবর্ণ হলেও আছে ...

চাবি



নারী বিষয়ক এবং কম্পন ৩

চাবি

বিষয়টা অনেকেরই জানা বা ইতিহাস দেশভেদে কিছু ভিন্নতা ......

আমি সওদাগর , তুমি বললেই মেপে দিতে পারি আটলান্টিকের
জলের গভীরতা , অথবা কোন সমুদ্র বন্দরে পরতে পারলেই
খুঁজে পাওয়া যাবে বিজাতীয় পরি , অথবা সুগন্ধি মশলার চাহিদা
কোন দেশে প্রবল , অথবা কি করে স্ত্রী রাখতে হয় বসে ......

এই পর্যন্ত কোন নতুনত্ব নেই পাঠক ...... তুমি হতাশ !

আমি নারী ! আমি অগ্নিসাক্ষী স্ত্রী , সতী নই !
যে মাংস টুকরো লেগে লেগে পুরুষ সুস্বাস্থ্য অধিকারী নারী সুন্দরী !
পরিহাস !

আমার বিয়ে হল চন্দ্র সওদাগরের সঙ্গে এক ফাল্গুনে ,
বসন্ত দিবসে হাওয়া খেয়ে সোহাগে কেটে গেল বেশ ,
"আমি ভাসিতেছিলাম যমুনা জলে , হীরা মতি পড়িলও আমার হাতে "

দীর্ঘজীবী পল যেন ক্ষণিকের অতিথি , যতো দেরী করে আসে ঠিক ততশিঘ্র
স্থানীয় বায়ু ...

চন্দ্র বেরুবেন এবার
আমার মন আস্ত একটা গঙ্গা , বইছে আর বইছে .........

চন্দ্রের যাবার বেলা ...... নিরালা দুজন ......

সখি কাছে আসো , আমার যাবার পথ করো প্রস্তুত ......
দেখো কি নিয়ে এসেছি তোমার......

দেখি দেখি , কোমর থেকে যোনী প্রদেশ কবজে বদ্ধ রাখো ...
আমার অবর্তমানে তোমাকে স্পর্শ করলেও কেউ পাবে না তোমার ......
তালা দিয়ে চাবি রেখে দেবো আমার কাছে

সওদাগর ...... কেমন দিলাম ...... হা হা হা ।

নারী ১


‎........ নারী বিষয়ক এবং কম্পন ০৪

মা

অন্য ভূমি থেকে আস্ফালনে এক রাক্ষস
নারীকে তুলে নিলো রথে
অলঙ্কৃত আভারন
শিলাবৃষ্টি নিম্নমুখী
পতন কবেই ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে !

"নিগাহ জায়ে কাঁহা সিনেসে উঠকর " বো
তো হুস্নত কি দৌলত গাড়ি "

লাল হয়ে ওঠে চোখ
বিপরীত চোখ কি তবে আগুন জ্বালানোর ক্ষমতা রাখে ......
ইতিহাস পাতায় নুরজাহান বড্ড শরীরে
গহরজান বেঁচে আছে হারেমে ।

চাপরাশ যে বহন করে
সেই বোঝেন চাপরাশির যন্ত্রণা ......

বুকে যতক্ষণ দুধ আমি মা ......
বুকে যখন দুধ অন্তঃসলিলা তখনো আমি মা ।

পাখি বিক্রেতা


‎......পাখি বিক্রেতা

এখানে একটা গঞ্জ ছিল বেশ কিছুদিন আগে
একটা নীল সরোবর কিছু সাদা হাস
কিছু পাতা ঝরা দুপুর
পাতায় পাতায় ঝড়
কিছু বনবিড়াল আলিস্য কাটিয়ে যেতো
অনিয়মে
কিছু সাইবেরিয়ান পরিযায়ী রোজ নিয়ম করে নামতা পড়তো
করদিন লাগবে ফিরতি পথে
আর ছিল কিছু প্রজাতি স্থানীয় পাখি
তাদের দেখছিনা ......

বেশ কিছুদিন আগে এখানে একটা হাওয়া উঠেছিলো
বেশ কিছুদিন আগে এখানে বেশকিছু হাওয়া উঠেছিলো ।

তার বেশকিছুদিন পরে এখানকার টিন টালির চাল উড়া শুরু
বারান্দা ভেঙ্গে পরছিল গঙ্গা পাড়ের মত

তার কিছুদিন পরে এখানে প্রথম বড় বড় চাকা এলো
বেশ কিছুদিন চক্কর কেটে চলল চাকা...... যদিও দাগ নেই আর

বেশ কিছুদিন পরে এখানে সূর্যের অনুপস্থিতিতে এখানে আলো থাকে
গাছ লজ্জিত তার থেকেও বড় কংক্রিট

বেশ কিছুদিন গঞ্জ দেখছি না
বেশ কিছুদিন সরোবর দেখছি না

এই , সেই পাখি গুলো গেলো কোঁথায় ... তোমরা দেখেছো ...
আমি পাখি বিক্রেতা
এই , তোমরা পাখি গুলোকে দেখেছো , আমি পাখি বিক্রেতা ......

আমি পাখি গুলো খুঁজছি এখনো , পাচ্ছিনা ।

জাহাঙ্গীর


‎...... জাহাঙ্গীর

এখনো সময় পেলে বন জ্যোৎস্না হতে টুক তুলে এনে কিছুক্ষণ
নাগর হাওয়ায় ভাসিয়ে দিয়ে কপ্পুর সময় আমি প্রেমিক পুরুষ ,
তুই সিঁদ চোর ।

নগর প্রেমিক আমি , হুট খোলা বারান্দায় মৎস্যজীবী গামছায়
চেনা সময়ের কথা , আমার নয় বাবার......
আমি নগর রোমীয় ।

ফারাসি পারফিউম উড়িয়ে গোধূলি সন্ধ্যা ম্লান বগলতলির বিজ্জাপনে
নিয়মিত মাল্টি জিমে ঘাম ঝরিয়ে অট্ট হাসি মাসুরি চালে , মা কাঁকড় খোঁজেন
নাগরদোলা ঘোরে রঙ মেখে ।

দ্বিরাগমনের চাঁদে স্বাদ নেই , শব্দ চিরকাল অপারগ নপুংসক খুঁজতে
বোনটার বাসী চাঁদ দেখে ঘুম ভাঙ্গে ব্যাক চুলে বেলক্রিম ভিজিয়ে
নটায় সিগন্যালে একটা আধুনিক জাহাঙ্গীর ।

কবি


‎......কবি

প্রতিবাদের চেয়ে কবিতার ভাষা বড় নয় আর ...
জীবনের চেয়ে মরণ বড় নয় আর ।

আমি যা লিখি তুমি ভাবো কি অপূর্ব
শব্দ তো নয়
ধারালো বর্শা বিদ্ধ তোমাকে করবেই ......

কবি তুমি যা লেখো তোমার নয়
ভণিতা মাত্র
যে হাত গুলো সঙ্গবদ্ধ ভাবে
সেখানে দেখিনা তোমার ......

কবি , তুমি যখন কবিতা লেখো
আমি তখন কালাহাণ্ডি সাঁওতাল
আমি আকন্দ কসে দুধ খুঁজি

কবি , তুমি যখন কাব্যিক নায়িকার ঠোটে ঠোঁট রাখো
আমি কেরোসিন লাইনে
তোমার কবিতা জ্বালাবো এবার ।

শিল


শিল খণ্ড ঝোরে পরে মাঝে মধ্যে মাথায়
আমি চিৎকার করে বলি হে ভগবান আমি এখন কোথায় ?

শিল পরে আমি ভিরমি

আমার বাড়িঘর সরে যাচ্ছে ...... আমি টাইম মেশিনে
মধ্যযুগে

আমি হারেমে
আমি দেবদাসী
আমি বাঈ
আমি গহরজান

আমাকে নিয়ে খেলছে সাত সাতটা শকুন
হাত বদলে আমি
একটা শকুন মাথা ধরেছে
অন্য একটা পা......
আমি চিৎকার করছি......
বধির তুমি ......

শিল
তুমি ইতিহাস জানো ?
ইতিহাসে ঝরেছ কখন ?

ভাগ্যিস তুমি ঝরলে বলে আমি ইতিহাস দেখলাম

গন্ধ


‎....... গন্ধ

বিশেষ মুহূর্ত গুলোতেই আমি শুধু গন্ধ পায় তোমার ।
এক মৃগ কস্তূরী নাভ গন্ধ
আমার নিঃশ্বাসের প্রশ্বাসের মধ্যগগণে
উড়তে থাকে উড়তে থাকে কিছু সময়......
তারপর উদাহ
ঘামের আঁশটে দুর্গন্ধে
আমার বমি পায় ।

যদিও গন্ধটা থাকবার কথাছিল সর্বদা ইলিশের মত ।
আসলে গন্ধটা সর্বদা থাকেই বোধহয় ।
আসলে গন্ধটা আমার জন্য উৎপন্ন হয়...
আমারই মন থাকে না গন্ধে ।

আসলে গন্ধ থাকে বোধহয়
আসলে গন্ধ থাকে
আসলে আরো কিছু গন্ধ আমাকে উৎপাত করে
গন্ধ গুলো কি একই হয় ?

নিয়ম


‎... নিয়ম

প্রেম---- সমসত্ত্ব সম্পৃক্ত দ্রবন
স্থান কাল ভেদে অপরিবর্তিত , (এটি সমকোণে উভমুখী )
দ্বিতীয় একমুখী
এটা সমান্তরাল সোজা
চলনে থামা নেই
দুঃখ কম জার্নি অনেক বেশী ।

নারী ... অধিবর্ষ অধিবর্ষ চলছে
ছোঁয়ার বাইরে
যমুনার ওপাড়ে শ্যামের বাঁশি
এপাড়ে ঘরকন্না
এপাড়ে আবেগ
ওপাড়ে লোকলজ্জা
শোনা যায় নারী মন দিলে কোন ভাগ্যবান পুরুষকে তখন
নারী পরিণত চাষের ভূমি
যা ইচ্ছা ফলিয়ে নেওয়া যায় ......
নইলে কালো ছোরার বাঁশির শব্দে
রাধার মন কেন উতলা ?

পুরুষ ... এক একটা বনরাজ ( হনুমান ? )
চোখের এক ঈশারায় পরশুরাম
বদলে দিয়ে পারে নিমেষে
পৃথিবীর রঙ
নইলে পৃথিবীর অমীমাংসিত যুদ্ধে
ট্রয়ে লঙ্কায় অথবা
ডুয়েলে
প্রেমে পুরুষ হিংস্র
অথবা
চুম্বক লোহা আকর্ষী অথবা
লোমশ বুকে নগ্ন
আদিম রিপুর পথচারি ।

সময় বা কাল ...... অদৃশ্য হাতের নিয়ন্ত্রক
স্থান আর পাত্র ঘূর্ণনে ঘূর্ণনে
নব্বই ডিগ্রী এলে
আমার হাত তোমার হাতে ......
স্থান কাল পাত্র
ছুটছে ভিন্নমুখী ......
যে নিয়মে ধান উৎপাদনে সূর্য আলো
জীবনের জীবনে চক্রাকার ঋতু পরিবর্তন
সেই নিয়মের
নিয়মবর্তিতায়
আমার চোখ তোমার চোখের প্রতীক্ষায় ......

হতাশার মধ্যে নেই পূর্ণতা
ভবিষ্যৎ স্বপ্ন
বর্তমান চলন ......
সৃষ্টির অপরিমেয় মহিমায় আমার জীর্ণতা খোলস ত্যাগ
নিয়মের রাজত্বে
আমি তুমি আলেয়া ......

নিয়মের নির্দেশিত পথে প্রেম... হতাশার নেই কোন স্থান ।

তুমি


‎...।। তুমি

কেউ ফিরবে বলে আমি প্রতিদিন এক ঘটি দুধ এঁটে রাখি রাতে
কেউ ফিরবে বলে হাঁসের ডিম আমি সযত্নে লুকিয়ে রাখি
কেউ ফিরবে বলে আমি শীতলপাটি রোজ মুছে রাখি
কেউ ফিরবে বলে দিনে দু তিন বার চোখ গেল পাখির পিছু ধাওয়া করি ।

বছর গুলো ফিরে ফিরে আসে ফাগুনে বা ভাদ্রে
মাস গুলো ফিরে ফিরে আসে ভ্যাপে বা হিমে
দিন গুলো ফিরে ফিরে আসে সাগুসিদ্ধ আগুনে
ঘণ্টা গুলো ফিরে ফিরে আসে জলে জলে আর জলে ।

ফিরে আসে রাখাল মংলির লেজ ধরে ধরে পাতার পাতায় লাগলে গোধূলি
ফিরে আসে পাখি সব কূজনে কূজনে গুঞ্জনে জুঞ্জনে বিহমিত জোনাকি আলো
ফিরে আসে মহানবী মদিনায় প্রেমিক পুরুষ প্রেমের আঙ্গিনায়
ফিরে আসে অভাব স্বভাব হাটেগুন্তি পয়সায় নিরীহ হাঁট ।

তুমি আসো না বলেই কথা কথা হয়না আর
তুমি আসো না বলেই নতুন করে বুকে দুধ নেই আর
তুমি আসো বলেই প্রতিবার কড়া নাড়া শব্দে আমি চমকায়
তুমি আসো না বলেই একা সজ্জায় , আমি শরমে মরে যায় ।

২১শে


২১শে

বারুদের আভরণে এক মুঠো সময় ,
অস্তগামী সূর্য অস্তরাগে এক যুগ সময় ।

বুড়িগঙ্গা থেকে পানকৌড়ি ঠোটে ঠোটে এসেছে কিছু শব্দ
"আমার সোনার বাংলা "
দ্বিরাগমনের বঁধুর মত আবাল বৃদ্ধা বনিতা
চেনা অচেনা
অল্প বয়সী
খেতমজুর চাষি মাঝি হারান মল্লিক আর
করিম মিয়া
সকলের সঙ্গে কেমন আছিস ?
তবে পানকৌড়ি বাংলায় কথা বলে বলুন ?

উর্দি বুটের শব্দে রাত নামে ঢাকা খুলনা কুমিল্লা চট্টগ্রামে ,
পাঠান বুলেট একমুখী চলনে সিদ্ধহস্ত ,
গোঁঙরাতে গোঁঙরাতে সেনা কনভয় শর্ষে ক্ষেত উদ্বেলিত করে
আধার নামিয়ে
চিৎকার করে " দেখ লেঙ্গে হাম বাঙ্গালী কো "
ফিক করে হেসে ওঠে ফিঙ্গে
"তুই কেমন লো ? "

প্রথমতঃ বুকের বা পাশে চিনচিনে এক মর্মস্পর্শী ব্যথা
মা বলেছিলাম যে শব্দে
সেই শব্দ " অচ্ছুত কন্যা "

দ্বিতীয়তঃ চোখ ঝাপসা , যদিও আরবি শিখেছিলাম মক্তবে
এখন চোখে সর্ষে ফুলি রস
এই এককালের বেলায় উর্দু তে রাওয়ালপিন্ডি নোট পাঠাতে হবে ......

তৃতীয়তঃ শুয়োরের আখড়াতে পাশ বিল
আমি দ্বিতীয় ভাষা
তুমি নাকি প্রথম
ফতেমা বিবি আমার মা ...
সেদিন " অরে বাছা উর্দু খাই না গায় মাখে ? "

চতুর্থতঃ আমি বাঙালি
নদী মা আবেগ আমার পাশাপাশি
ভাটিয়ালী সুরে কাটিয়েছি নদী বেলা
প্রিয়তমার উর্দু কি হয় আমি জানি না
সোনার বাংলার উর্দু কি হয় আমি জানি না

পঞ্চমতঃ তোদের বুলেট , তোদের গুলি , তোদের পুলিস সেপাহিরা
আমার ডাইনেও না বায়ে ও না
লক্ষ বুকের মাঝে ......
আমি একুশ শতকের দামাল ছেলে
ছালাম বরকতের ভাষায় কথা বলি ।

রুপ


‎...... রূপ

সংযোজিত সংযোজনায় নতুন ধারাপাত সময়ের ,
অখণ্ড চিতা আগুনে মশকের আত্মাহুতি নিয়মকরে এখনো ।
চীনাবাদামের খোসা উল্টিয়ে স্বাদগ্রন্থি উজ্জীবিত ,
রসকেলি নগর নাগরে ,
গড্ডালিকা প্রবাহে ভেসে যায় মায়ের যন্ত্রণা এভাবেই ।
ধুতরা ফলস্থিত গড়ল গলকরনে এক স্থিরচিত্র সময়...
সরণী বেয়ে আত্মবিড়ম্বিত প্রলুব্ধতার ছায়াপতন ।

হেমলকে শায়িত রয়েছে এক অপরাহ্ণ সৃষ্টি ,
দেশ কালের সীমাহীন ক্রোধে সক্রেটিস কবরে প্রাণের নিঃশ্বাস টেনে
এই বেশ আছি
নিয়মবর্তিতার অভিযোগে বিক্ষত করছে না মন ।

সকালেই শুরু পূর্ণগ্রাস গ্রহণ জৌবের যান্ত্রিকতার যন্ত্রের ...
বুনো হরিণের পিছু পিছু একটা আস্ত পৃথিবী...
তবে দুপেয়ি এই শরীর এক সময় মানুষ ছিল বোধহয় ।

Friday 10 February 2012

o


.... অলিখিত নিয়ম

অলিখিত নিয়ম বর্তীতায় চিলের ডানায় সাদামেঘ ,
ভুবনমোহিনী মোনালিসা উদ্বেগ বাড়িয়ে
আমাকে প্রেমিক করে দেন এখনো ,
"লাস্টসাফার"রে মুখ রাখি যখন নাড়িতে পাকধরে
সাজানো ব্যাঞ্জনে থালা
আমি অভুক্ত ,
গাছে গাছে বসন্ত গিয়ে বয়সের ছাপ বাড়ে ,
আমি ব্যাধি আক্রান্ত ,
সংক্রমিত অনুশোচনা আমার বাবার ছিল কি ?
উত্তর নেই ।

কিছু কিছু দৃশ্য জল ঝরায় ,
কিছু কিছু অভাব স্বভাব বশত ,
চোখ বন্ধ করে নিস্তার নেই
আমি ঘুমলেও জেগে থাকে সত্য ।

আমি প্রসারিত হাতের দিশার উজানেই খুলে দিই পাল
দেখি আদিম চিত্রকর জলে ঘামে মিশে
আমার মায়ের মুখাকৃতি আঁকছেন একমনে...
মা কি সম্রাজ্ঞী ছিলেন সেকালের...... আর আমি......

1


মিছিল থেকে একটা সূর্য বিবর্তনে উড়ে যায়
স্রোতে
আমার প্রথম বিশ্বাসভঙ্গ বিশ্বাসে ।
প্রভিডেন্ট ফান্ড উপ্রে রাম মিস্ত্রি দিয়ে
শখের ছাদ , জল পরে......
বিশ্বাসভঙ্গ জৌবিক ।
অভিযোগে অভিযোগে এবং অভিযোগে
সকলের অমর্যাদায়
তোমার উপর বিশ্বাস ছিল......
তুমি আমার
বিশ্বাসভঙ্গ জিবনের......
এবার.........।

apel


‎....... আপেল বাগান

আদর্শখাত দিয়ে তির তির বহমান নদী
এপারে ঢ্যালার পশ্চাতে আমার বসতি
ওপারে ভগবানের কুঁড়ে ঘর ,
আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে বিশ্ব নবী খেজুর কুড়ান
ভগবান জল সেচন হাসনুহানা ,

নদীর স্রোত থেকে উঠে একটা মিছিল
জন অরণ্যে
তার অগ্রে আমি আমার পরিবার
দ্বিতীয় আরো একটা মিছিল ওঠে
আপেল বাগানে ।

chondon


‎...... চন্দনে জ্বলন ...

প্রথম কে লাগিয়েছিল আপেল বাগান
আদম ইভের শহরে , কিম্বা
কোলাহলের বাতি স্তম্ভে কবিতার মৃত্যু অথবা
নাগরিক যন্ত্র ।

ভুঁইফোঁড় সামাজিকতায়
আঁতুড় গন্ধ বাতাস দাই মা বিচুলি কাটে দু বেলা
আমি নত মস্তক ,
পিশাচ অন্ধ নয়
এখনো লাশ পরে
শকুনের ভাগারে । মিথ্যা !

অমল দা ,
কেরোসিন রেখো...
আমি জ্বলবো না চন্দনে
দস্যুতা ।

itihase ami


ইতিহাসে আমি

অব্যক্ত কথাগুলো কথা নয় !
চোখ দ্যাখো , মুখ নয় ,
আমার ঠাকুরদার কাছ থেকে শেখা শিল্প...
ঠাকুরদাদা যখন ঠাই রোদে জোঙ্গাল নামাতেন কাঁধ থেকে
সেদিন ঠাকুমার বাবার মৃত খবর
ঠাকুরদার রক্তজবা চোখে ঠাকুমা চুপ......
ঠাকুরদা বুঝতেন...
কিছু অঘটন ......
আমি ঠাকুরদাকে বেশ কিছুদিন পেয়েছি,
ওনার পদবী পেয়েছি
শিল্প পাইনি ।

বাবার ছিল বহুগুণের সমাহার
রাত নামতো রঙ্গিন গ্লাসে ,
মা বড় গোল পূর্ণ চাঁদ সিঁদুর পড়তেন
পায়ে খুকুমণি আলতা
আর সর্ব পাপহন্তা নথ
বেশ প্রতিমা প্রতিমা
আমি তাকিয়ে থাকতাম ,
বাবা দেখতেন না বলেই মা আরো প্রতিমা হবার চেষ্টা করতেন
আমি বিপুল উৎসাহে তাকিয়ে থামতাম...
কালো মেঘ গভীর রাতে উড়ে যেতো
দু একপশলা বৃষ্টি
শুধু মাকে ভাসাতে পারতো না...
বাবা ঘরে ফিরতেন......
আমি এই শিল্পটা পেয়েগেছি ......

makorsa


‎...... মাকড়সা ...

আস্তিন গুঁটিয়ে কিছু মাকড়সা
আমি যাচ্ছি না
ছাড়ছিনা আমার অধিকার
সঙ্গম মনে
শরীর ক্ষয়ে আমি প্রতীক , প্রেমের ।

কিছু শিল্প জীবন দিয়ে আঁকতে হয় ,
শরীর নশ্বর
পা গিলছো যখন উত্তেজনায়
ধিরে ধিরে শরীর
আমি ভুলে যায় আমার জন্ম , আমার মৃত্যু ,
আমি প্রেমিক ।

আমি যখন স্থির
দুই চারটে টুকরো ছড়ানো ছিটানো
তখন মনে পড়ে
আমি তোমার সোহাগী ?
আমি অমৃতলোকে
ভিক্ষামাগি দ্বিতীয় জীবনের
ক্ষয়ে ক্ষয়ে
উঠে দাঁড়াবো দ্বিতীয় জীবনে ।

;;;;;;; কিছু কিছু প্রাণী নিজেকে নিঃস্ব করে বাঁচিয়ে রাখে ভালবাসা , মাকড়সা অন্যতম , মানুষও বোধহয় ।

deep


‎......। দ্বীপ

একটা দ্বীপ ......
সকলের জন্য । পাখি গান গায় , ফিঙ্গের ডানায়
সাদা রোদ , সুখ পাখি নেই
তাই দুঃখের গান
আমি আছি
আমার পিতা ছিলেন
তার পিতা ছিলেন

কিছু দূরে
আরো কিছু সাধু দ্বীপ আছে
একবার দুবার গিয়ে দেখে এসেছি
অনেক মিষ্টি জল
বাগানে ফুল ফল
পাখিতে পাখিতে সুখের গান
ভালো লাগে
আমার বাবাও জানতেন
তার বাবাও জানতেন

এই দ্বীপে
আমাদের চোদ্দ পুরুষ
আমাদের সুখ দুঃখ
আমাদের সন্তান উৎপাদন
আমাদের ধানের গোলা পাতি হাসের প্যাক প্যাক
এখানে আমার জন্ম জন্ম গন্ধ
ধুলা গোধূলি
অমাবস্যা বা নবান্ন......
এই দ্বীপে আছে কি ?
আমি এখানেই থাকবো ।

bondhu


‎...... বন্ধু

ডাকলাম শব্দ সংযোজনে , কিছু দূরে
গাব গাছে হুতুম চোখে পঞ্চমীর চাঁদ গেলো ডুবে
কোলাহল মুখরিত গ্রাম্য বঁধু
ক্ষনিকের স্বপ্ন বিলাসী এই রাতে ঠোটে ঠোটে ,
আমি ডাকলাম শুনছো ? ঝুপ করে একতাল মাটি
ভীমনাঁদে পড়লো খসে , জলে ,
ঈশারায় অবিভুত জামবাটি এক দুধের ষরে
পদাতিক লাল পিঁপড়ে লাইন
রাতেও , পরে পাওয়া চোদ্দ আনা বোঝে না সময়ের দিনক্ষন
মানে না ঝড়ের পূর্বাভাষ ।

আমি চিল চিৎকারে শুনছো ? সক্রোধে বাঁশের মগকঞ্চি থেকে
একঝাক পাতিকাক ত্রাহি চিৎকারে
আমাকে ব্যাঙ্গ করে যেন পালা পালা......
প্রলাপ ডাকছে পাগলে ......

পায়ের নিচ থেকে সরছে তাল তাল মাটি ,
এই বিবেকবধ খেলায় আমি কাঁপছি গভীর রাতে ,
এই বেলায়
নিশাচর বেড়িয়েছি মত্যখেলায়
চোখ গেলোর উৎসাহে আমিও মেতেছি তাণ্ডবে
আমি তীব্র চিৎকারে
শুনছো ?
শব্দ প্রতিধ্বনিত প্রঞ্জাল আকাশে
আমি ক্লান্ত হচ্ছি
আমাকে ক্লান্ত করে দিচ্ছে উত্তরহীনতা......
এখানেই তো থাকবার কথাছিল বন্ধু
এখান থেকেই তো কানাপুকুর সাঁতরে ওপাড়ে উঠবার
কথাছিল বন্ধু.........

maikel 17


‎.........।। মাইকেল ১৭ ......।।

মাইকেল সুসজ্জিত সাহেব
শিয়ালদহের গোছান প্রথম শ্রেণীর যাত্রী প্রতিক্ষালয়ে
বিষাক্ত ছারপোকার উৎপাতে ঘুম যে বিশ্বাসঘাতকতা করে
প্রথম আবিস্কার , অগত্য তিনশত বছর পুরনো ভূমধ্যসাগরীয় সাম্পেন
এক ঝক্কাস অনুভুমি
তবু ঘুম আসে না কথা আসে ,
বয়লারে কয়লা ঠেলতে ঠেলতে শুরু
পণ্য জাহাজ পোতাশ্রয়ে
রংবে রঙের মানুষ পুতুলের মতো
সি সিক পালিয়েছে আগুনের তীব্রতার
এক এক ফোটা ঘাম এক একটা আশার বিন্দু......
সে ও এক জীবন ছিল !
জীবনটায় সমাপ্তির দিকে এগিয়ে গেলো জলে জলে
যে হাসি মুখ দেখবে বলে
নিজের থেকেও প্রিয় হয়ে উঠেছিলো মাস্তুল আগুন জলের গন্ধ
সেই হাসি মুখ চিরদিন তো তোমার থাকে না
নতিদীর্ঘ অনুপস্থিতি মায়া বাড়ায়
দীর্ঘ অনুপস্থিতি শেষ করে দেয় মায়া জাল
বোঝেনি মাইকেল......
এখন বুঝছে জীবন দিয়ে ,
বাদ বাকি কেউ ছিল না যে নীল খাম বলবে
"কবে ফিরছো "
তবু একবার ফিরেছিল......
বাড়ির পাশের সেই অশ্বত্ব গাছ ডাল পালা বাড়িয়েছে
ধুতি ছেড়ে প্যান্তুলুনে হরহর কাকা
শুধু মজা পুকুর গুলোর চ্যাং মাছের বহর একটু কমেছে......
আর সব ঠিক ছিল , কিন্তু তার দেখা পায়নি কোথাও ,
এবার দ্বিতীয় বার
আসলে কিচ্ছু না থাকলেও
দেশের জল বাতাসের মন কেমন করে গন্ধ আছে
যা প্যারিসে দেখিনি , বার্লিনে দেখিনি
এমন কি এই সাতশো ডলারের
সাম্পেনে ও নেই সেই ক্ষমতা দেখানোর ......।।

p


‎......... পরিচালক

দল দাস খেলা করে আগুনের চারপাশে ঘৃণা করে জীবন
স্থিরতা শব্দ আভিধানিক পাতায় নিবদ্ধ
আড়মোড়া ছেড়ে জীবন দাড়ায়
মৃত্যু বার বার শহিদ হতে চাই ?
মা চান না অন্তত !

মিথ্যা অভিবাধন বেদীতে বাসন্তী মালা
ঘুণে বাসা মনে
আই জীবন
লাথি মারি
পরিচালক এভাবে নাচিয়ো না......
তুমি ভেবেছ ইতিহাসে যায়গা পাবে !

rong


‎...... রঙ

বিবর্ণ , মুছে গিয়ে প্রসাধনী রঙের বাহার ,
অতীতে রঙের যাদু
অসহয় ,
পর্যটক চোখে নেশা নেই ,
পশ্চিমে লাল নিয়েছে গারদে স্থান ,
আমিও খুলেছি দৃষ্টি
রঙ কে হাতকড়া পরানোর বড় প্রয়োজন ।

বিবর্ণ , শহরময় ব্ল্যাক আউট ,
ঝাপসা ,
টহলদারি সেনা
দ্রাম দ্রাম
ধুলো উড়ছে চামড়া বুটে
আমি জন্ম চাই
কিন্তু মরণ দেখছি নিশ্চিত
এক টান
হুমড়ি খেয়ে পড়লাম ভেতরে
নিকষ কালো
সেদিন থেকেই কালোর অনুগত ।

বিবর্ণ , আসলে শুন্য গল্প ,
যে রঙ থাকে
তাতে আমি থাকি না
পৃথিবী রাঙ্গানোর জন্য রঙের সৃষ্টি
আমরা ভুয়ো দর্শী
যে রঙ্গে নেই আমার অধিকার তাকেই বলি বা , (!)
রঙ আবিস্কার করলে
লাল নীল সবুজে কি এসে যায়
আমি রঙ তো পেয়েছি খুঁজে ।

bodol


‎...... বদল

যন্ত্র মানবে মিশামিশি করে পাথর ভাঙ্গি
শক্তিশালী ও ছায় হয়ে উড়ে যায় , দেখি ,
পাজর কথা শোনে না
মাঝে মধ্যে চাবুক মারি
মস্তিষ্ক সমৃদ্ধতা বৃদ্ধি আটকেছে ক্ষুদের ভাতে
নিয়ম জানি
কাজ করি
সময় নেই ইতিহাস মুখস্ত করবার ,
ভালো আছি
কাঁদি না
ওটা বর্তমানে তোমাদের অধিকারেই আছে
সাফারির টায়ার পাংচারে
এই পাথুরে ভূমিতে
কাঁদতে দেখছি অনেক বার তোমাকে ।

সময় এগিয়ে চলে
ধাপে ধাপে সভ্যতা হামাগুড়ি থেকে হাঁটতে শেখে
বুলেটের মুখ আজো বোঝেনি রঙ
পায়ের নিচে ঘাসকে যদি না পিসতে পারো কি বা মজা আছে হেটে
আমি অক্ষর ভাঙ্গে শিখিনি
পাথর পারি
তুমি এগুলো পেরেছো অথবা
জল আলো বাতাস সঠিক যায়গায় সঠিক সময় পেয়েছো
তাই
তুমি ছড়ি ঘোরাও দারুণ
আমরা বলি বা বা বা
নতুন সাহেব তো অনেক জানেন !
তুমি বার বার অবস্থান বদলে দেখি ঠিক যায়গায় আছো কিনা...
আমরা স্থান না বদলেও একই থাকি ।

d


‎...... দুর্বোধ্য ...।।

গয়ং গচ্ছিত নিশাচর মগজে ত্রিবেণী সঙ্গমের স্বর্ণ
মেধ বৃদ্ধি চক্রবৃদ্ধি আনুপাতিক সুদে ,
ভাস্বর প্রতিলিপি খোদিত পাথরে হনুমান জাম্বুমান
তৃপ্তি নয়ন শোভিত ,
উদগ্রীব মাতৃ স্নেহ উথাল- পাথাল ঢেউ
অকৃপণ বীর ভালোবাসা
শুধু প্রতীক্ষিত দাওয়ার
সে আসবে ভীর ঠেলে তালপাতা নাচা মাঘি পূর্ণিমায়
এখানে ,
অত্যাচারে জর্জরিত আত্মা অত্যতধিক বিষ পানে ও
অনিবার্যতায় বেঁচে ফিরে
কাজল শোভিত কাঙ্ক্ষিত মূর্তিমান খোঁজে ,
অবোধ , জানে না
মামনি সুখ অন্বেষণে রজনী দেয়েছে সাথ
ম্যাটিনি শো
সে আজ বিনোদিনী ,

ক্রিয়ানক আত্মাভিমানে রসদ উপেক্ষিত
ক্রিয়াকলাপে প্রতিক্রিয়া
জন্মের অপূর্ণটা মৃত্যু দিয়ে পোষাবে
আহম্মক
এখানেই উপেক্ষায় নিদারুণ জবাব প্রত্যাশিত জীবন
মধু সময়
বিব্রত অহেতুক চিন্তা
ঝেড়ে কেশে চিৎকার করো
লড়াই করে পাওয়া জীবন
এমনিতেই দেবো না যেটে ঝোরে ।

শব দেহ নিয়ে একা
খোলা শ্মশান
নিমিত্তির অভিঘাতে মৃত্যু মিছিলে আরো লাশ
জোনাকির জ্বলনে নেই তেজ
পরিজন ছেড়ে গেছে তীব্র জঞ্ঝা বাতাস
প্রকোপ বৃষ্টি
ভাসছে শ্মশান ছায় ভাঙ্গা কলশি
মুছে ফেলা বস্ত্র সম্ভার ,
অজাতশত্রু ছিল মহাশয়
না হলে
এই দুর্দিনে
লাশ হয়ে পরে থাকা যায় ,

l


‎......। পারেনি ।

লাইন রেখেছো ঠিক
বেঁকো না
সোজা চলো
এই এই ওদিকে তাকিও না
প্রজাপতি রঙ মেখেছে
তাতে তোমার কি ?
লাইনে থাকো
এদিক ওদিক হলেই কিন্তু ফস্কে যাবে ফিউচার
লাইন দাও
বাসে উঠে পরো
মিস করতে নেই বাস
ডন বস না কি......
ওখানেই নাকি সুখ ওয়েট করছে তোমার বাবা মায়ের......
কবিতা পরতে নেই
ছবি আঁকতে নেই
ফুটবলে পা দিয়ো না
বন্ধু রেখো না
শুধু( a+b)2 সুত্র মুখস্ত করো
বাবার নাম মনে রেখো ( দাদুর না হলেও চলবে )
কাকু , কামিমা , পিসিমা শব্দ ভুলে যাও
তার পরে দ্যাখো পুত্র
কে তোমাকে আটকাইতে পারে......
আমাকে কেহ পারেনি
হুমহারা মাম্মি কো পারেনি
তুহাকেও পারিবে না
স্বয়ং ব্রম্মা ।

marathon


‎......।। ম্যারাথন ......।।

সব গুলো দরজা খুলে দিয়ে অভিসারিণী নিশাচরের ঠোটে
রক্ত চুম্বন , একা রাত্রির সুখ সমারোহ শেষ হলে কাঁথা ভিজে ওঠে
জলে কাঁদায় , আমি সমৃদ্ধ হয়ে উঠি , মুছে যায় নারীর ছায়াপথ ,
ধারাপাতে মুখস্ত করি বস প্রভাবিত করার মন্ত্র ,
পথে নামি , এগিয়ে দেখি পেছনের পথ ভাঙছে হিম বাহু স্রোতে ,
স্থবির মুহূর্ত গুলো অনুমেয় প্রত্যাশায় থেকে ক্লান্ত ,
ফস্কে পরে গিয়ে সৌভাগ্য ডুবছে গহন শীতলতায় , তোমার খোলা চুলে
অধিকারে জন্ম নেওয়া উকুনের ঝাঁর গুটি গুটি পায়ে বংশ বিস্তার
দ্বিতীয় নোংরা আঁধারে অজান্তেই তোমার ,
পরজীবী রা মানে না আদেশ নির্দেশ
যেখানেই বস্তু সম্ভার সেখানেই গলিয়ে মাথা , বেশ থাকে ,
তোমার মহিমা গুলো ধরে রেখে বিবর্ণ দিনের আগমন , চুম্বক আকর্ষী
হৃদয় খুঁজে দেখেনা এতো সব
যেখানেই তুমি থাকো
যেখানেই তোমার দীর্ঘ ছায়া বা মায়া দেখা যায়
আমিও দৌড় শুরু করি জীবনের ম্যারাথনে ।

voy


‎......।। ভয় ...।।

কি অদ্ভুত আঁধার ! পেন্ডুলামে তাকিয়ে থাকি , ঘন হয়
নিশাচর , ফিস ফিস কথা কয়ে চলে নিশি , সন্তস্ত পায়ে
কালো বিড়াল ঘরে ঢোকে , শ্মশান পাড়ার হরিবোল , লাস্ট
প্যাসেঞ্জার কু ঝিক কু ঝিক.........
নারকেল গাছ থেকে কিছু জল ঝরে
আমাকে পাগল করে দেয়......

উত্তরহীন প্রশ্ন ভয় দ্যাখায় , অংকে ৮ - ১০ পেতাম পরীক্ষায় ,
পরীক্ষার আগের রাতে জ্বর ,
নিশি ভয় পেয়ে দেখেছি এতো কাল , ভয় পেয়ে দেখেছি আঁধার ,

ভয় পেতে পেতে ভয় গুলোতে আর অবশিষ্ট থাকে না ভয় ,
ভয় পেতে পেতে ভয় গুলো ভীত হয়ে ওঠে ,
ভয় পেয়েছি বলেই তোমার অন্ধকারে নামার সাহস পায়নি এতো কাল ,
আজ ভেঙ্গেছি ভয়ের সুপুষ্ট প্রাচীর
হয় তোমার সামনে দাঁড়াবোই আমি
না হয় আজ থেকে আমি হয়ে যাবো তোমার মনের ভয়ের বস্তু ।

mukti


‎...... মুক্তি ......

নিভৃতে মিলিয়ে যায় সোহাগী সাম্পেন বোতল
পাশে পরে রয়েছে খণ্ড আপেল চিনা বাদাম খোসা
জলের বোতল উল্টে বিনুনি নদী ,
যন্ত্রণায় ভরা ছায়দানি ,
পাশে উতি-উতি রবীন্দ্র রচনাবলীর খণ্ডিত টুকরো
আগুন বোঝেনা এতো সব
অতএব কুণ্ডলী পাকিয়ে নীলাভ লাল আগুন
বাঁচিয়ে দিয়েছে আমার ইতিহাস
ধূসর পাণ্ডুলিপি কথা কইবে না
ওখানে রাখা ছিল আমার বিবর্তিত ইতিহাস ।

পতন মহিমান্বিত করেছিলাম অক্ষরে ,
জারা কিনা আমার পোষ মেনেছিল , অনুগত , বাধ্য ,
লাটাইয়ে সুতো ছেড়ে আমি বিষাদের রাজ কুমার
যে স্বাধীনতা পেয়েছিল ঘুড়ি
আমি পায়নি , আমার চোদ্দ পুরুষ আদার ব্যবসায়ী
জাহাজের খবর নেওয়া বড় দায় ।

যে যত্ন আমি পায়নি , যে যত্ন আমি পেলে অনেকখানি
হিসেবী হতাম তার অধিকারে নেই আমার নাম লেখা ,
নীল রুলটানা খাতা ভরেছিলাম অধিকার আর মর্যাদায় ,
তোমরা দাওনি মূল্য আমিও করিনি কোন দাবী ,
বোঝা বাড়ছিল , বাড়ছিলো উঁই পোকা ,
মুক্তি
তুমি আমি আমার পাণ্ডুলিপির ।

মুগ্ধতা বাসরের নববধূ লজ্জা
সকালে হয়ে যায় বাসি
আমি পুনরায়
মুগ্ধতার দিকে চেয়ে থাকি ...

pesadari


‎......। পেশাদারী ...।।

তোমার কথা ভাবতে গেলে কষ্ট হয়না আর ,
প্রথম প্রথম বুকের বা পাশে চিনচিনে চোরা স্রোতে যন্ত্রণা বইত
শিরদাঁড়া বেয়ে শীতল স্রোতে ফাঁপিয়ে যেতাম
ঘাম বেড়িয়ে আসতো চোখ দিয়ে
তুমি মজা পেতে বোধহয় ,
মজা বিক্রি করেই তোমার সংসার ।

যে কাজ গুলো ব্যতিক্রম ধারা বহন করে
যে কাজ ডাকাবুকো এবং সাহসী
যে কাজে পৌরুষের ঝলকানি লক্ষিত হয় , সেখানেই নারীর সঙ্গমের
আকুতি , চিত্রগ্রাহক সাংবাদিক যে কখন কিশোরীর
হার্ট থ্রব হয়ে
পার্কে পার্কে
বাদামে , আইসক্রিম লাস্ট সামুরাই ম্যাটিনি মজা লুটে
বাবার চক্ষুশূল
ভুলেই গিয়েছিলাম , বিবেক ।

পেশাদারী জীবন এই রকম হয় তুমি দেখিয়েছিলে ,
যেখানেই তুমি আমি
সেখানেই তোমার লেন্স
সেখানেই স্বপ্ন সহচরী হয়ে মেঘ বলতো ..." তোরা পারিস ও ,
বলনা লেন্সটাকে চোখ বন্ধ রাখতে "

মনে পড়ে বিবেক , সেবার আমি আর তুমি বেড়িয়েছিলাম
কাজটা আমার ই ছিল তুমি সাথি শুধু
রেল কলোনির কিছু বাচ্চা টীকাকরণে অনুপস্থিত
হঠাৎ আগুন
বিপদে বোধ নষ্ট হয় তাড়াতাড়ি বলেই ছন্নছাড়া চিৎকার
জল জল জল
বাঁচাও বাঁচাও
দাউ দাউ জ্বলছে বস্তি
তোমার লেন্স পেয়েছে খাবার পেট পুড়ে গিলছে...
তোমাকে ডাকছি জল দাও জল দাও... দেখছি না তোমাকে ...
একদম শেষ লাইনের ঘরের বারান্দায় আগুন
এক্ষুনি ঢুকবে ভেতরে...
সামনে দেখা তুমি...
ঘরের ভেতর থেকে শিশু কান্না আওয়াজ......
হয়তো বিপদে ভুলে গেছে স্বজন
আমি চিৎকার করে বললাম যাও যাও ওকে বের করে আনো ...
তুমি খাদ্য খোঁজে তন্ময়......
বিশেষ বুলেটিনে তোমার রোমাঞ্চ প্রতিবেদন......
তুমি বাহবা নিচ্ছ চ্যানেল ম্যানেজারের ঘরে......
জানেন বাচ্চা টাকে আমিও বাঁচাতে পারিনি , চেষ্টা করেছিলাম...