Saturday 28 January 2012


দুষ্ট সঙ্গ কতো দেবালয় নামিয়েছে
মাটিতে স্পর্ধায়
ভেঙেছে সৃষ্টি প্রাচীর ভালোবাসা
বা
তোমার বিবেক কে বার বার করেছে
ক্ষত বিক্ষত ,
তুমি বোঝ না
যে অন্যায়ের সঙ্গী হয়েছ এবেলা...
কালকের বেলা
সে যে তোমার ই ঘর ভাঙ্গবে ।

বিষণ্ণতার ভরা সন্ধ্যা উপেক্ষিত কবিতায়
নষ্টামো কিছু প্রলভগ আর খেউরি
বলে এই রাতের আমি পেয়েছি অধিকার
সৃষ্টি তুই ঘুমিয়ে থাক ।
ক্ষুদ্র কণ্ঠ আমার
গলা ছেড়ে চিৎকার করি এবার থাম
কিন্তু পৌছায় না কারো কানে...
আমি ক্লান্ত হয়ে পরি
চাঁদ আসে
ডুবেও যায় নিয়মের জাতা কলে...
আমার মন বসে না ।

চাপা উত্তেজনা
কি হয় কি হয়
অবোলা মন
শিহরণ বিনে
ভয়ে মরি রাত দিনে ,
অমোঘ সৃষ্টি
বদ শোণিত ধারা
আমাকে ভিজিয়ে দিলি এই বেলা
লাজে আমি সারা ,
শিরদাঁড়া বেয়ে
নেমে আসে জল
অযথা কাঁপুনি
জলে লাগে ভয়
তুমি জানো
আমি ছোট্ট পুতুল বিয়ে পেড়িয়ে গেলাম...
আজ আমি
নাড়ি হয়ে উঠেছি .....

কিছু অসভ্যর হাতে সৃষ্টি
কিছু অর্ধ শিক্ষিত হয়েছেন মহারাজ
তিনি যদি বলেন
সূর্য পশ্চিমে উঠে
মোসাহেবের দল বলে ঠিক ঠিক ঠিক ।
তুমি প্রতিবাদ করেছো কি মরেছ...
তোমার মতের অমিল হলেই তুমি ভুল ,
রাজা বলেন
বুঝেছ , হা হা হা
আমাকে মানে না
এবার দ্যাখ
কি করতে পারি আমি......
আমি বলি
কি করতে পারো মহারাজ...
আমি পাখির ডানা পেয়েছি
আমাকে বাঁধবে
সেই শক্তি কি তোমার আছে
অথর্ব মাহারাজ ?

এভাবেই বোধহয় ভূগোল ভেঙে ভেঙে
ইতিহাস হয়
ইতিহাসে দাড়িয়ে আমি দেখি
বিজয় রথের চাকা গেছে থেমে
শত্রু মিত্র গলা গলাগলি আর
রহিমের ঘোড়া ঘাস খাচ্ছে
রামের আস্তাবলে ।
আমি প্রথম পুরুষ অথবা নারী
জীবন
আমি প্রথম তোকে এনেছি
দোষ তা তো আমারই ছিল
প্রথম থেকেই আমি লোভী ,
আমি অভিশাপ
আমি সৃষ্টি
আমি আপেল ভালোবাসা
নর নারী ।

ফ্যাল ফ্যাল চেয়ে কৃষ্ণ
নোনা ধরা দেওয়ালে,
বারেক পিছু চেয়ে দেখিনা ইতিহাস ,
জয় নয় , পরাজয় নয়
বেঁচে থাকে কিছু সত্য ,
অষ্টম গর্ভ জাত
চাইছি সন্ধি প্রস্তাব
মৃত্যুতে নয়
জন্মে হয়ে উঠুক পরিচয় ।

বাবা


‎...........। বাবা ও ভবিষ্যৎ ...।।

বাবাকে মনে পড়ে
আনন্দের দিনে আরো বেশি মনে পড়ে
যেখানে যতো রণপা দেখি
যেন দেখতে পায় সেই পরিচিত অজানুলম্বিত হাত
দীর্ঘ পায়ে
পেড়িয়ে আসছে বেরো ধান ক্ষেত
সর্ষে বাগান বাধাকফির সবুজ মায়া...
জলের নালা
পারহয়ে আমার সম্মুখে ,
" ভালো আছো তুমি "
আমি উত্তর হীনতায় ভুগি ,

বাবারা বোধহয় মাঝে মাঝে আকাশে মিলিয়ে যায়
ভালোবাসা প্রগার করার প্রয়োজনে
বাবা ভালাবাসা বেড়ে যায়
যদিও দূরে থাকলেই
কমে যাওয়া পার্থিব নিয়ম...

বাবা , তুমি নেই তবু বসন্ত উৎসবে হোলি খেলি
রঙ লাগিয়ে দেখি প্রিয়জনে
অযথা আবীর ঝরে কপোলে
ভালো লেগে
তবু থাকে না বেশীক্ষণ ,

তুমি নেই
তবু সূর্য ঘোরে
চাঁদের জোয়ারে দুই চারটে উৎসাহী জীবন যায় চলে
আমাকে যা দেখেছিলে তুমি
আজ চামড়া সংকোচনে এগিয়ে
তুমি যাবার পড়েই
যে অন্ধকারে দাড়িয়ে ছিল সময়
এখনো সেই অন্ধকারেই আছে......
আমি শুধু এগিয়ে যাচ্ছি তোমার সম্মুখ দিকে...
জানি তুমি চাওনা
আমি তোমাকে স্পর্শ করি !

বাবা


‎...........। বাবা ও ভবিষ্যৎ ...।।

বাবাকে মনে পড়ে
আনন্দের দিনে আরো বেশি মনে পড়ে
যেখানে যতো রণপা দেখি
যেন দেখতে পায় সেই পরিচিত অজানুলম্বিত হাত
দীর্ঘ পায়ে
পেড়িয়ে আসছে বেরো ধান ক্ষেত
সর্ষে বাগান বাধাকফির সবুজ মায়া...
জলের নালা
পারহয়ে আমার সম্মুখে ,
" ভালো আছো তুমি "
আমি উত্তর হীনতায় ভুগি ,

বাবারা বোধহয় মাঝে মাঝে আকাশে মিলিয়ে যায়
ভালোবাসা প্রগার করার প্রয়োজনে
বাবা ভালাবাসা বেড়ে যায়
যদিও দূরে থাকলেই
কমে যাওয়া পার্থিব নিয়ম...

বাবা , তুমি নেই তবু বসন্ত উৎসবে হোলি খেলি
রঙ লাগিয়ে দেখি প্রিয়জনে
অযথা আবীর ঝরে কপোলে
ভালো লেগে
তবু থাকে না বেশীক্ষণ ,

তুমি নেই
তবু সূর্য ঘোরে
চাঁদের জোয়ারে দুই চারটে উৎসাহী জীবন যায় চলে
আমাকে যা দেখেছিলে তুমি
আজ চামড়া সংকোচনে এগিয়ে
তুমি যাবার পড়েই
যে অন্ধকারে দাড়িয়ে ছিল সময়
এখনো সেই অন্ধকারেই আছে......
আমি শুধু এগিয়ে যাচ্ছি তোমার সম্মুখ দিকে...
জানি তুমি চাওনা
আমি তোমাকে স্পর্শ করি !

নিল চোখে শব্দ বাজি
হাওয়ায় উড়ছে যৌবন
তোকেই আমি মিতা ভাবি
তুই ভাবিস
পুতুল বিয়ের সাথি ।

একলা পথে দিকবিদিক
শ্যাম্পেন প্রেম
পুরনো যতো খাটি
ভরন্ত মাস
মিনসে তুই
বার বণিতায় মলি.........

একটা দৌর
চোখ পটকে প্যাঁচা রাত্রি
রাত্রিক শব্দ
কয়লা ট্রেন নিয়ে
কুয়াশা
চাদর মেলে
আমি হন হন হাটি
বুনো মোষ
পথ ছেড়ে দেয়
মনুষ্য গন্ধ
দুর্বিষহ ।
শব বাহী
দেশী বাংলা সোমরসের ডোম
অজান্তে
পুণ্য
শরীর গেলে আত্মা
অক্ষয়
যদিও হাড়িকাঠে বাড়িয়েছি গলা
আমাকে কাটো
আত্মা নিয়ে
আমি হতে চাই দেশন্তরি ।

দেশ


‎......... এই দেশ এই দ্রোহ কাল ...।।

এই দেশ এই দ্রোহ কাল
সাইরেন গাড়ী নামে অত্যাচার
বক্র হাসি হেসে নির্দেশ দেন
আমার দেশ আমার নেই ক্ষয় !

এদেশেই রাজতরঙ্গিনি আমার ভারত
প্রাচীন সভ্য ইতিহাস
তার দখল নিতে চাই উর্দি ?
কুরুক্ষেত্র পড়েনি ?

দ্রাস , বাটালিক ,
টহলদারি সেনা কনভয়
মর্টারে বিক্ষত দেহ মাছি ভন ভন
রাত বাড়ে লাশের সংখ্যা বৃদ্ধি চাঁদ ডুবে যায় ।

মাথায় হাত আপেল চাষির
ঋণে জড়িয়েছে চাষ
আল্লা যদি না বাঁচিয়ে রাখে
নিজে থেকে বেঁচে থেকে কি লাভ ?

একই নদীতে সবজি চাষ
একই নদী তীরে বসবাস
নদী মুছে দেয় সীমানা গণ্ডি
আমার কি জল বেঁধে রাখার আছে অধিকার ?

চোখ ছল ছল
টিভির সামনে সারাদিন রূপোলী বধু
ঘণ্টায় ঘণ্টায় মৃত্যু বাড়ে
আজ কি মুছে যাবে সিঁদুর , ভগবান জানেন ?

এক হুংকারে সেনা ভর্তির লাইন
আজব বাজার
টাকায় প্রান বিক্রি হয়
মৃত্যু কালে দেশের মুখ না মায়ের মুখটা মনে পড়ে ?

স্বাধীনতার ষাট বছরে এক চিত্র
নিরন্ন অশিক্ষা মুখের সারি প্রতিবেশীর এবং আমার
দেশ বোঝে না এতোসব
যুদ্ধ বেঁচে থাকলে রাজাও যে বেঁচে থাকে !

পাজ্ঞ


‎.... প্রজ্ঞা পারমিতা ...

সময় বোধহয় স্থির থাকে
আমি তুমি বা আমরা ক্রমশ সরে সরে যায় জঞ্জালে ,
প্রজ্ঞা পারমিতা ঘর ছেড়েছিল যেদিন
তুমি উপেক্ষার হাসি হেসেছিলে
সূর্য হেসেছিল বিক্রমে !
টাকা গহনা বাড়িঘর বিলতে বিলতে জন্ম যায়
সন্তান উৎপাদন আর মৌতাতে জীবন যায়
মধু আফসোসে যৌবন যায়
পারমিতা ছেড়েছে নির্দ্বিধায় ,
তুমি বল চরিত্রহীন !
আমি যা বেশী বুঝি
তাতেই নাক গলাই চিরকাল
এক সময় বুঝতাম বলেই সূর্য ঘুরত
রাহু আহার করতো মাঝে মধ্যে চাঁদ
ছেলে সন্তান আনতে পারেনি বলে বৌ পিটিয়েছি ,
এখন আরো বেশি বুঝি
আমার জানার মধ্যে নেই কোন অজানা...
পারমিতা মাগিটাকে যদি পেতাম হাতের কাছে...
ডাইনি মেনেই
পিটিয়ে মারতাম মাগিকে , মেয়ে হয়ে নষ্টামি , ঢেমনি !
পারমিতা বলছি...
মারো আমাকে অহংকার , আমাকে ঝুলিয়ে রেখে
তোমাদের সন্তানকে ইতিহাস শেখাও
আমার সমাজতন্ত্র মনের সাথে
আমি ডাইনি বা মহৎ নয়
আমি খুজে মরি ভালোবাসা
যে অধিকারে পেয়েছ জন্ম, কর্তব্য ও দাবী রাখে এখানে কিছু ,
ফানুস উড়িয়ে ছুটছ তুমি
আমি হাঁটছি বাস্তবে......
আমাকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখো জল নালায়
জানবে
তোমার প্রত্যেকটা শুক্র বীজে
আমি জন্মাবো যুগে যুগে , তখন আমার মেরো .........


‎......।। পশু বধ পালা...।

ইজের বেধে রাখিস কষে
জ্বালা ওখানেই
অনন্তবার হাত রাখে
স্তন পদ্ম নাভি
উন্মুখ সমরে নামিয়ে
ছুটে যাস
এখানে অভাব মাংসের
তুই দলা হয়ে যাবি
কাঁটা পাঁঠার
হৃদপিণ্ড লাফানো দেখেছিস ?
তোর টাও হতে পারে তাই ......

এভাবে নাচিস না ময়ূরী
তোর রঙে জ্বলন
কাঁচ ভাঙ্গা আরশিতে
মুখ দেখেছিস ?
বড় করে দেখলে তুই
অর্ধেক
ছোট করে দেখলে
সম্পূর্ণ
আসলে তুই অর্ধেক ও না
পশু গুলো ভাবে
তুই আস্ত মাংসপিণ্ড ।

গন্ধি


‎.... গণ্ডি ...

উপাধিতে নেই সেন বোস ঘোষ
আমি সুরেন সরেন
পিতা অক্ষয় সরেন , মা যমুনা সরেন
বাড়ি বঙ্গে
পড়াশুনা নবম শ্রেণী ছ মাইল দূরের স্কুলে ,
আমরা পাচ ভাই , বোন তিন ,
বাবা কাজ করতেন ঘোষ বাবুর বাড়ি
প্রতিদিন তিন সের চালে
তার বাবাও নাকি এক কিলো তেই করতেন...
বাবার প্রোমোশন তিন কিলোতে ,
এখন বসে
শান্তি রক্ষা বাহিনীর ভালোবাসায় এফোঁড়ওফোঁড় পা
সুস্থতায় বেঁচে থাকে চাল
কে কবে আবার বিনা কাজে চাল পেয়েছে......
আমাদের ঘরে ধান চাষ দেখিনি
যদিও জমি নাকি আমাদের ই ছিল এক কালে...
তোমাদের ইতিহাস তো তাই বলে...
ছাড়
মা কেন্দু পাতা তোলেন
মা কেন্দুপাতা তুলে চলে সারাদিন...
বাবু পাল্লায় তোলেন
মা বলেন " বাবু বিস বোল , বিস বোল "
বাবু ,"তোর মাথা খারাপ ? ঢের বাকি বিশ "
শাল বনে সূর্য ডোবে
আমরা কুপিতে আরজ সভ্যতা উলটিয়ে চলি ।
আমি বড়
বাবার বা মায়ের কাছে নিয়ন্ত্রক ছিল না বলে
আমরা পর পর এসে গেছি বন রাজ্যে ,
আমার পরের টা চাঁদ দেখে মহুয়া ফাকে , কবি ,
জানে না আমাদের কবি হতে নেই...
তার পরে টা তাল পাতার সিপাহী
পরে গুলো নাই বা বললাম...
আছে বেচে রোগে
এই পর্যন্ত ,
বড় বোনটা ভেগেছে...
কোন পাকে আছে কে জানে......
ছোট বোন ভাত রাঁধে ( যদিও তার প্রয়োজন দিনে এক বার )
এবার আমি...
হা হা হা
পরতাম হাই স্কুলে
একটু বড় বয়সে স্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম...
যখন নবম
কে যেন পড়তে দিলে কি সব সমাজ বদলানো বই...
আমি আকাশে ভাসছি...
এর পরে এলো ওরা আঁধারে দল বেঁধে
স্বপ্ন বেঁধে দিলো মনে শেকড় উপ্রে ফেলার...
আমার হাত কাঁপে না শ্রেণী শত্রু নিধনে
আমি নতুন স্বপ্নে বিভোর ......
ইতিহাস যদি লেখা হয়
আমাকে নয় আমার জন্মভূমির কথা লিখো আগে...।।

২৩ জানুয়ারি


‎.........। ২৩ শে জানুয়ারি ...।

দর্প আছে এখনো পশুদের
কলোনির স্বপ্ন দ্যাখে এখনো পশুরাজ
আস্তমিত সূর্য কার ই বা ভালো লাগে
নখ বের করে আছে সাম্রাজ্যবাদ ।

ইতিহাসের চাক্কা ঘুরছে
হাটি হাঁটি পা পা এগোই সময়
দুর্যোধন বংশ নিবংশ করবে তুমি
এখনো আছে তারা স্বমহিমায় বেঁচে ।

পথ আছে
আছে দ্বিচারিতা
যে পথ সোজা যায় না তবু স্বপ্ন খোঁজে
শ্বাপদ সঙ্কুল কিন্তু মায়া আছে , তুমি চলেছ এখনো সেই পথে ।

বীভৎসতা কাকে বলে আমি দেখিনি
জালিওনাবাদ দেখিনি ( ফন্দিগ্রাম দেখেছি )
তুমি থাকলে ভাইয়ের রক্ত পিপাসু বুলেট গুলো কি
শিউলি ফুল হয়ে ঝোরে পড়তো বুলেটের বদলে !

মহারাজ , প্রশ্বাসে বারুদের গন্ধ
মানুষ সংকোচিত হতে হতে কেঁচো
ভাষা হীন প্রতিবাদে সাহস পাচ্ছে গুপ্ত ঘাতক
তুমি নেই বলে বাঁশি বেজে চলে... সুদর্শন থাকে ঘুমিয়ে...।

রুপ


‎......। রূপমতি ২১ ...।

মনের ব্যাবচ্ছেদে
ঝড় শরীরে
আগুনে শরীর রাখা
ধর্ম যৌবনের
পুড়বো জেনেই
গলিয়েছি তোর মনে মন
এভাবে আর কতকাল
বিনা আগুনে
বেঁচে থাকা যায় , বল রূপমতি !
উজ্জ্বলতা হারাচ্ছে
কোষ গ্রন্থি
পায়ে গেটে বাত আক্রমণ
রাসটক শিশি রয়েছে খোলা
আরনিকায় দেয় নি কাজ ,
ওষুধ গুলো কাজ করে না
খেয়ে দেখেছি বার বার
একবার হাত ধরে বল
চল পুরুষ
বাত ভুলে
আমি তোর পিছু পিছু , রূপমতি ,
এই রকম
জ্বলেছিলাম প্রথম কালে
সমাজ কোন নিত্তিতে বলবে
এটা ব্যাভিচার
তুই তো বলতে পারতিস , পুরুষ
কাম আগুনে জ্বলে
নিঃশেষিত কোর না
তোমার যৌবন প্রতিভা , রূপমতি ,
দিন শেষ হয়নি শেষ
আঁধার নামতে আছে কিছু বাকি
মধ্যবয়সীয়
কাম কীট
যেখানেই খোঁজে তোমায়
হাতে হাত রাখো তার
বলে দেও
যা ঘরে ফিরে যা পাখি...
শরীর অকেজো হবে অল্প দিনে
তোর অর্ধাঙ্গিনী হবে
শেষ বেলার মননের সাথি...
যা সময় আছে...
ঘরে ফিরে যা পাখি ................

‎....... সে আসছে ......

হাত টা ভালো করে ধুয়ে নেও এইবেলা
রক্ত দাগ যেন না থাকে লেগে
জানি তোমার কাপেনি হাত পশুবধে
রক্ত চলেছে বুকে ঠিক ঠাক ভাবে
মনটাকে পেরেছো কি ধুয়ে নিতে ?

সনদে সনদে তোমাদের মৃত্যু পরোয়ানা
দেব শিশু হাসে কোলে খিলখিলিয়ে
তুমি বল না থাম
রক্তকে ভয় পায় আজীবন প্রান
শিশুর থেমে যায় কান্না
কল পাড় ভেসে চলে
রক্ত নদী হয়ে যায় ।

শরীর মারো শুধু তুমি , কাপুরুষ ,
চেতনা তোমার স্ত্রী গর্ভে বাড়ে
হিরন্যকসশুপ বাড়ছে তোমারই ঘরে...
হয়তো সে তোমার শরীর বাঁচিয়ে রাখবে...
বুনো চেতনা কে গুম করে...

তিন


‎....... সে আসছে ......

হাত টা ভালো করে ধুয়ে নেও এইবেলা
রক্ত দাগ যেন না থাকে লেগে
জানি তোমার কাপেনি হাত পশুবধে
রক্ত চলেছে বুকে ঠিক ঠাক ভাবে
মনটাকে পেরেছো কি ধুয়ে নিতে ?

সনদে সনদে তোমাদের মৃত্যু পরোয়ানা
দেব শিশু হাসে কোলে খিলখিলিয়ে
তুমি বল না থাম
রক্তকে ভয় পায় আজীবন প্রান
শিশুর থেমে যায় কান্না
কল পাড় ভেসে চলে
রক্ত নদী হয়ে যায় ।

শরীর মারো শুধু তুমি , কাপুরুষ ,
চেতনা তোমার স্ত্রী গর্ভে বাড়ে
হিরন্যকসশুপ বাড়ছে তোমারই ঘরে...
হয়তো সে তোমার শরীর বাঁচিয়ে রাখবে...
বুনো চেতনা কে গুম করে...

গল্প ৩


‎......গল্পটা এভাবেই শুরু করা যেতো

তিতলি তোমাকে বারন করেছি না ওদের সাথে
মিশবে না , কতবার তোমাকে বলতে হবে ?
জামা গুলো দেখনি ? গন্ধ বেড় হয় ,
চুলে গেছে জট লেগে ,
এক দম কথা শোন না মেয়ে ,
এর পর দেখলে বাড়িতেই রেখে দেবো ঘর বন্ধ করে ,

গল্পটা এভাবেই শুরু করা যেতো , অথবা
মা , আমি এখন খাবো না , পলাশের বাড়িতে গিয়েছিলাম
ওর মা না খাইয়ে ছাড়ল না , পুঁটি মাছ শাপলা দিয়ে রেধেছিল
ঝাল একটু বেশী ছিল
মোটা চালের ভাতের সাথে , উফঃ লালা বেড়িয়ে একসার ,
কি বললে তুমি ? খাবে না ?
ঐ ছোট লোক বস্তিতে তুমি গেছো খেতে ? তোমার লজ্জা করে না ,
এর পরে যদি কোন দিন শুনেছি......

গল্পটা এভাবে শুরু করা যেতো , অথবা
বাবা , সুমনকে চেন তুমি ? ঐ যার বাবা রিক্স টানে ,
সুমন পড়াশুনায় খুব ভালো জানো , ফাস্ট ইয়ার কলেজ টাকা লাগেনি
এবার বিপক্ষ ইউনিয়ন
পঁচিশ শ টাকার দরকার
তুমি দাও না বাবা ,
কি বললে , টাকা আয় করে দেখেছো ? কতদিন ধরে ভাবছি এই গাড়ি
পালটে নতুন নেবো , হচ্ছে না , বাবু হরিশ চন্দ্র ......

গল্পটা এভাবে শুরু করা যেতো , অথবা......
আমি রাখালকে ভালোবাসি
সেন গ্যারাজে কাজ করে
আমাকে খুউব ভালোবাসে
ওর মন ভালো
আমি ওকেই বিয়ে করবো,
এত্ত বড় সাহস......
তোমাকে এই জন্য পড়িয়েছি
এই শিক্ষা দিয়েছি তোমাকে
তুমি মেয়ে নও আমার শত্রু
এই শুনছো
ভিসা জোগাড় করো
কানাডায় বড় দার কাছে পাঠিয়ে দেবো ।

গল্পটা এভাবেই শুরু করা যেতো , করছি না......
করছিনা লাখ লাখ গল্প আছে পরিবেশে
কতোগুলোই বা তুলে আনতে পারবো কবিতায় !
আমরা চাইনা বলেই গল্প গুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে
এখানে ওখানে অন্ধকারে
আমরা চাইনা বলেই
আমার সন্তান ভুলে যায় স্বপ্ন দেখতে ...
আমরা চাইনা বলে
আমরা থাকি মুখ ফিরিয়ে
শুধু এই অজানা গল্প গুলো গুমরে কেঁদে চলে
দিনে রাতে অন্ধকারে , আমাদের মনের
আনাচে কানাচে ......

তিন পুরুষ


‎........... তিন প্রজন্ম বা আরো বেশী ......

দিগন্তের পরের আকাশ আমার নয়
ওখানে কি আছে জানি না বলেই
আমার মাথার আকাশে হাত রাখি ,কথা বলি দুজনে
রাজপুত্তর ঘোড়া ছোটায় দুপুরে
আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেয় , ঘুম আসে ,
সামনের অংশ টুকুই শুধু আমি ভালো বাসি ,
আমার মা ভালো বাসতেন , আমার মেয়েও করবে তাই...
পেছনের ব্যাপারটা মেয়েদের অপ্রিয় ।

সাগরে গেছি কয়েকবার , অনবিল আনন্দে ঢেউ আছড়ে পরে ,
ভালো লাগে , ঘোড়া দৌড় একদম ভাললাগে না
ঘোড়ার যৌবেন ভাসতে পারি অবলীলায়
ঘোড়া তোমাকে সৃষ্টি করেছেন শিল্পী আমার জন্য না হলেও
তোমার উচ্ছলতা আমার রক্তের গতি বাড়িয়ে দেয়
আমার মায়ের ও প্রিয় ছিলে তুমি , আমারও আমার
মেয়েরও প্রিয় হবে তুমি......

বাড়িতে একটা টিয়া ছিল , রঙ ছিল না , এতো চেষ্টা করেছি
কোনদিন "কৃষ্ণ কথা কও " পর্যন্ত বলেনি
রাগ হতো , বার কয়েক মনে হয়েছে খুলে দি খাঁচা ,
পারিনি , লেগে আছে মনে , এখনো কিচ্ছু বলেনা
তবু আছে , আমার মায়ের কাছেও ছিল
আমার কাছেও আছে , আমার মেয়ের কাছেও থাকবে ।

বন্ধু ২


‎......।বন্ধু , তুমি ভালো আছো তো ? ...

আমি হাঁটছি একা
আমার পাশ দিয়ে হন হন ছুটে গেলে তুমি
আমি হাত বাড়ালাম
তোমাকে পেলাম না , বদলে
একটা ইউক্যালিপটাস পাতা ঝোরে পড়লো হাতে
তুমি শুখনো পাতা পায়ে পিষে
ছুটছ আর ছুটছ
সময় দৌড়াচ্ছে তোমার সঙ্গে পাল্ল দিয়ে
আমি স্থির
ঘড়ির কাটা থেমে আছে বাজিতপুর হাই স্কুলে ......

এই রকমকি হবার কথা ছিল বন্ধু ? আমার পাশেই
বসতে তুমি
সবাই বলতো আমি তোমার থেকেও মেধাবী অংক বাদে ,
আমি পাখির শিস শুনে সুর বাঁধতে পারতাম
ঝড়ের অভিমুখে গেছি উড়ে তার সীমানা সন্ধানে
শুধু অঙ্ক পারতাম না
অঙ্ক পারিনি বলেই হিসেব গোলমেলে হয়ে গেছে
যে রাস্তা ধরে হাঁটলে বস্তু মেলে , তুমি জেনেছ ...
অংক পারিনি বলে
আমি মাঠে বনে প্রান্তরে......

বন্ধু , ভালো আছো তো ?
আমি ভালো আছি , কাজ নেই তাই অখণ্ড সময়
চাঁদ দেখিএক মনে , গঙ্গা ফড়িং উড়ে যায়
খেজুর ভাঁড়ে উড়ে এসে বসে মৌমাছি
আমের মুকুলে শীল পরে
পেট কাটি ঘুড়ী মন কাটে দেখি
নব দুব্বাদল শ্যামে প্রভাতে পা রাখি
নারী শিহরণে বুক কাঁপে
সকাল আসে সকাল যায়
বাড়ি ফিরি
পশ্য কুকুর টা মনে মনে বলে
" লাট সাহেব ফিরলেন "
ভাত মুখে তুলি , কিন্তু আশ্চর্য
বিস্বাদ লাগে না......
বন্ধু , তুমি ভালো আছো তো ?

বন্ধু


‎......।বন্ধু , তুমি ভালো আছো তো ? ...

আমি হাঁটছি একা
আমার পাশ দিয়ে হন হন ছুটে গেলে তুমি
আমি হাত বাড়ালাম
তোমাকে পেলাম না , বদলে
একটা ইউক্যালিপটাস পাতা ঝোরে পড়লো হাতে
তুমি শুখনো পাতা পায়ে পিষে
ছুটছ আর ছুটছ
সময় দৌড়াচ্ছে তোমার সঙ্গে পাল্ল দিয়ে
আমি স্থির
ঘড়ির কাটা থেমে আছে বাজিতপুর হাই স্কুলে ......

এই রকমকি হবার কথা ছিল বন্ধু ? আমার পাশেই
বসতে তুমি
সবাই বলতো আমি তোমার থেকেও মেধাবী অংক বাদে ,
আমি পাখির শিস শুনে সুর বাঁধতে পারতাম
ঝড়ের অভিমুখে গেছি উড়ে তার সীমানা সন্ধানে
শুধু অঙ্ক পারতাম না
অঙ্ক পারিনি বলেই হিসেব গোলমেলে হয়ে গেছে
যে রাস্তা ধরে হাঁটলে বস্তু মেলে , তুমি জেনেছ ...
অংক পারিনি বলে
আমি মাঠে বনে প্রান্তরে......

বন্ধু , ভালো আছো তো ?
আমি ভালো আছি , কাজ নেই তাই অখণ্ড সময়
চাঁদ দেখিএক মনে , গঙ্গা ফড়িং উড়ে যায়
খেজুর ভাঁড়ে উড়ে এসে বসে মৌমাছি
আমের মুকুলে শীল পরে
পেট কাটি ঘুড়ী মন কাটে দেখি
নব দুব্বাদল শ্যামে প্রভাতে পা রাখি
নারী শিহরণে বুক কাঁপে
সকাল আসে সকাল যায়
বাড়ি ফিরি
পশ্য কুকুর টা মনে মনে বলে
" লাট সাহেব ফিরলেন "
ভাত মুখে তুলি , কিন্তু আশ্চর্য
বিস্বাদ লাগে না......
বন্ধু , তুমি ভালো আছো তো ?

না


‎......।।সারোগেট মাদার ...।

পার্থিব বস্তু সম্ভারে ভরেছে সংসার
অভাব নেই
পরাজয় নেই , স্ত্রীর প্রেম কম নেই ,
পরকীয়া নেই এই বয়সে ,
১০ টা ৫ টা অফিস আমরা দুজন
ঘড়ি ধরে মেপে মেপে চা , সপ্তান্তে ওজন বক্স এ ওঠা ,
লেটনাইট পার্টি , উদাসী ঘুম...
গণ্ডা গণ্ডা পিল
সময় ধরে ধরে
নিয়মিত সাত টি বছর ,
তাকানোর সময় অভাব , লিপস্টিক রঙ মুছে গেলে
কালো লাগে পৃথিবীর আলো , স্রোত বিনে চর পরে
জরায়ু গর্ভ মৃতপ্রায় ,
সজীবতা হারিয়েছে ভুমি কোন ফাঁকে বোঝেনি
নাগরিক জীবন ,
এই পরন্ত বিকেলে
হেমন্তের পাতা ঝরা নিস্তেজ হাওয়া এসে
চুলে বিলি কেটে নিরালম্ব লয়ে
ঘ্যান ঘ্যান করে
"বলে তোর বংশ নিব্বংশ হবে ? "

মা আমি
রক্তে আছে জীবন
জরায়ুর অনু গর্ভ নিত্য জন্ম দিয়েছে জীবন , (কাম সব টুকু নয় জেনে )
অথর্ব নাঙ সেই যে তিন বছর আগে
কালুর জন্ম দিল
শালা এক পিলে দেশি মাল গিলে
ওলট পালট করে দিলে জীবন...
সেই যে মদ গিলে
কোন গাড়ির তলে...( জানোয়ায় টা তবু বেঁচে গেল )
আমি বাঁচি কি করে সাত টা শেয়াল শকুন নিয়ে ,
ভগবান তো সব তো নিয়েছে কেড়ে
রেখে গিয়ে ভরন্ত শরীর রেখে...
কাজ করতাম যে বাড়ি দুবেলা
সেই বাবু গিন্নি বলল সেদিন...
"এক টা উপকার করে দিবি ভগবানের নামে,
মাত্র বারোটা মাস, ব্যাস ,
নগদ টাকা , ভালো খাওয়া পড়া
দেখিবি তোর স্বাস্থ্য যাবে ফিবে , দুদিনে......"

রাজি হয়ে গেলাম
অন্ধ আনুগত্যে
মা হয়ে গেলাম , কোন বাবুর কে জানে...
নিয়ে গেল ২ মাস পরে......
আমার রক্ত আমার সম্মুখ হতে,
আমি তো চাইনি তাকে মনে প্রাণে
তবু
একাকী নির্জনতায় শ্বাস ঝোরে পড়ে , ভালো আছে সে...
আমি মা হয়েছি
মাকে বিক্রি করে......।।

জন্ম ২


‎......... জন্ম ......।।

তাকে প্রশ্ন করি
উত্তর পায়না
প্রশ্ন সম্মিলিত জমাট বাঁধে
আরো প্রশ্ন জমা হয়
আমি তাকিয়ে থাকি তার মুখের দিকে , সে হেসে চলে
আমি অবাক হয় তার উপেক্ষায়
ভাবি
প্রশ্ন আসেই বা কেন মনে ।

নিষাদ জন্মছিল এককালে
বধ্যভূমিতেই পদচারণ
দু হাতে উড়িয়েছি সময়
আমি দাস নই
বন্ধক রাখিনি জীবন মূর্তি পাদদেশে
বিশ্বাস ছিল ভয়ে ,
আগুনকে বশে আনতে পারিনি
বজ্র কথা শোনেনি
আমি কেঁপে উঠেছি ...... তার পর

আমি বুঝলাম শাক্তিমান কেউ
আছে
নিয়ন্ত্রকের ভুমিকায় ,
কে সে ?
উত্তর পায়নি
প্রতিদিন কোণঠাসা করছে আমাকে আমার ভয়
শত্রু অপারাজেয়
এক পথ আছে উপঢৌকন
আমি কারিগর
মাটি কথা কই আমার হাতে
দিলাম রূপ
মননে চলে এলো নিমেষে ভীত ভালোবাসা ...
তুমি প্রতিষ্ঠিত আমার মন রাজ্যে

প্রশ্ন গুলো বেড়ে চলে
তুমি চুপ করে থাকো
প্রথম দিন থেকে তুমি নিজের কাছে নিজে বন্ধী
আমি জানি
তুমি শ্রবণশক্তিরহিত এবং বোবা ।

কস্তরি


‎....... মৃগ কস্তূরী নাভি ...

তোমার নিজস্ব মতে আমি হুল ফোটাবো না বিষের ,
দিগন্তে গিয়ে শেষ হয় যে সব ছোট বেলার কল্পনা
সেই বয়সের হয়ে থাকো তুমি
আমি বলবো না আমার দেখানো পথে নামো তুমি এবং
অস্থির করে তোল এই সময় ,
নবাব রাজা মহারাজার দল দলবেঁধে মৃগ কস্তূরী নাভি
খোঁজে , বিদীর্ণ অশ্ব খুঁড়ে আমাদের অদ্যাখা ঐতিহাসিক গ্রাম ,
ধুলো উড়িয়ে টগবগ পিছে সরে যায় গঞ্জ
আমি অন্ধকার দেখি
ঘোড়া চলে যায় স্বদলে
তুমি মৃগ নাভি সেই যুগে
তোমাকে তুলে নিয়ে যায় ক্ষমতা
আমি সেদিন অসহয় ছিলাম ঠিক যতখানি , এখনো ঠিক ততোখানি ,
ডুবে যায় আলো
আমি অন্ধকারে সাঁতরে সাঁতরে আলোর দিশা খুঁজি ......
তুমি সেদিনও অধরা প্রেমে...
আজো তুমি হারেমে পৌঁছে যাও গায়ের জোরে ।

লালন


‎......। লালন ......

যেভাবে হাওয়া খেলা করে মাঝ রাতে
পাতা গলা খুলে গেয়ে চলে বিষাদের গান
তখন
জাহাজে জাহাজে আর মাস্তুলের মাথায় সি বার্ড
বাতিস্তম্ভের নিশানায় খোঁজে
জীবনের অনুমেয় উষ্ণতা , সেই সময়
ভুলে গেছি আমার জন্ম আমার জন্ম পরিচয়...
আমি ভুলে যায়
আমি আমি নই
"আমি তোমাদের ই লোক " এখানে আমি একা নই
কোন কালে
তোমরা যতোটা বোঝো , যতোটা জানো সেটা সব টুকু নই
আমি গান গায় স্বপ্নের কথা বলি জীবনের
আমাকে পাগল বল তুমি...

রঙ গুলো ছিল বহু আগে থেকে তোমাদের চোখের সামনে
তোমরা দেখতে চাওনা বলে অদৃশ্য
তোমরা বোলতে চাওনা বলেই কথা গুলো কথা হয়ে ওঠে না আর
তোমরা বোঝনা বলেই বোঝা বেড়ে চলে কমে না......
কিছুই পারিনা আমি
শুধু স্বপ্ন এগিয়ে দিতে পারি তোমার সম্মুখে...
তখন বুঝেছিল কিছু সুধিজন এখন বোঝে আরো কমজনে ,

ফকির বলছো তোমরা সংসারে
আমি ভেসে যায় অজানার গহনে
মণি মুক্তা তুলে নিয়ে আসি দু চারটে প্রান ভরে
ধর্ম তো সম্মিলিত মনের মাধুরী
তোমরা নাম দিয়েছ রাম রহিম এন্টোনি
আমি আমার ধর্ম বুজেছি আমার মতো করে যা জেগে থাকে আমার
অন্তরে ,
যে কথা তোমরা বুঝলে কান্না কমে শিশুর হাসি হেসে খেলে যেটে
সকাল সাঁঝে
যে কথা গুলো মানলে রক্ত চৌকাঠ পেরুনোর সাহস পেতো না
অন্ধকারে ও
যে কথা শিখলে পাখি গান গায়তো তোমার দাওয়ায় বসে তুমি তাল
দিতে মনে মনে......
আমিতো সে আবহমান সত্য শিখিয়েছি তোমাদের মনে...
তোমরা তখন ভালকরে শেখনি বলে...
আমি এখনও গান গায় , আমি এখনও গান গেয়ে যায় ......।।

‎......। লালন ......

যেভাবে হাওয়া খেলা করে মাঝ রাতে
পাতা গলা খুলে গেয়ে চলে বিষাদের গান
তখন
জাহাজে জাহাজে আর মাস্তুলের মাথায় সি বার্ড
বাতিস্তম্ভের নিশানায় খোঁজে
জীবনের অনুমেয় উষ্ণতা , সেই সময়
ভুলে গেছি আমার জন্ম আমার জন্ম পরিচয়...
আমি ভুলে যায়
আমি আমি নই
"আমি তোমাদের ই লোক " এখানে আমি একা নই
কোন কালে
তোমরা যতোটা বোঝো , যতোটা জানো সেটা সব টুকু নই
আমি গান গায় স্বপ্নের কথা বলি জীবনের
আমাকে পাগল বল তুমি...

রঙ গুলো ছিল বহু আগে থেকে তোমাদের চোখের সামনে
তোমরা দেখতে চাওনা বলে অদৃশ্য
তোমরা বোলতে চাওনা বলেই কথা গুলো কথা হয়ে ওঠে না আর
তোমরা বোঝনা বলেই বোঝা বেড়ে চলে কমে না......
কিছুই পারিনা আমি
শুধু স্বপ্ন এগিয়ে দিতে পারি তোমার সম্মুখে...
তখন বুঝেছিল কিছু সুধিজন এখন বোঝে আরো কমজনে ,

ফকির বলছো তোমরা সংসারে
আমি ভেসে যায় অজানার গহনে
মণি মুক্তা তুলে নিয়ে আসি দু চারটে প্রান ভরে
ধর্ম তো সম্মিলিত মনের মাধুরী
তোমরা নাম দিয়েছ রাম রহিম এন্টোনি
আমি আমার ধর্ম বুজেছি আমার মতো করে যা জেগে থাকে আমার
অন্তরে ,
যে কথা তোমরা বুঝলে কান্না কমে শিশুর হাসি হেসে খেলে যেটে
সকাল সাঁঝে
যে কথা গুলো মানলে রক্ত চৌকাঠ পেরুনোর সাহস পেতো না
অন্ধকারে ও
যে কথা শিখলে পাখি গান গায়তো তোমার দাওয়ায় বসে তুমি তাল
দিতে মনে মনে......
আমিতো সে আবহমান সত্য শিখিয়েছি তোমাদের মনে...
তোমরা তখন ভালকরে শেখনি বলে...
আমি এখনও গান গায় , আমি এখনও গান গেয়ে যায় ......।।

পূর্ণিমা


‎............ পূর্ণিমা ......

বহু বছর ধরে যোজন যোজন ব্যাপ্তি কক্ষপথে ,
ঘাতে অভিঘাতে পরিক্রমণ করে ফিরছি
সেই চেনা পথে ।
এই চেনা সর্পিল রাঙা পাথুরে রাস্তা
সেই জার্সি গাভির উন্মুক্ত দুধের বোটা
চেনা ল্যাঠা মাছের কাঁদা কোলাহল
ভীরের মধ্য থেকে একটা মুখ উকি...
চিনতে পারছ ?
আমি বিকাশ ,
বত্রিশ বছর পরে ফিরছি
দেখছি অত্যাচারীর চাবুক গেছে লেজ থেকে খসে
অধিকার পেয়েছে ভুমি দাস
অন্ধকার ডুবছে গাঙের জলে
ভোরের অপেক্ষায় ,
মা বোনেরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আহ্লাদী সন্তানের মতো
ঢলে পড়ছে এ ওর গায়ে , আর গলা ছেড়ে
গাইছে ঘরে ফেরার গান......
নিরালম্ব এক লয়ে...
ভাইয়েরা জোঞালে জোঞালে
বিদে কাঠি বুকের স্পর্শে স্পর্শে
নিড়ানির হাতলে হাতলে
বাকা চাদের ধারালো অভিঘাতে ভাঙছে
দম্ভের রাজ দম্ভ ,
আমি জানতাম না
জানতাম না আমার অবর্তমানে ও কতো স্বপ্ন ছিল এখানে
পাজরে পাজরে , হাতলে হাতলে , বুকে বুকে
বিশ্বাসে ছিল নিঃশ্বাস ছন্দের ,
হয়তো ওরা ভালো নেই
ভালো ছিল না
ভালো থাকবে না কোন দিন
হয়তো অপুষ্টি দুচারটে প্রান নিয়েছে বর্তমানে , অতীতে ,
তবুও তো
প্রভাতে শিশিরে পা রেখে
ধানের শিসের গন্ধ
আব্বাস উদ্দিনের সুরে
পূর্ণিমায় রাতে হাসতে পারে বেশ ...।।

ব্বব


‎......।। মুখ দেখা ......

দীর্ঘা হচ্ছে ছায়া পদটিকা সহ ।
এখানে নির্লিপ্ত নির্মম অযান্ত্রিক নির্দেশে অবিরত
কালের সীমাহীন ক্ষয় ,
বধূকে ও তুলে নিয়েছে এই বার বেলায়
বারবধূ সাজাবে বলে ,
চেতনা ইলোপ করে ফুল সজ্জা
প্রতিরাতে ভালোবাসা খুন করে
ধর্ষক নিজ স্বামী ,
তবুও অথর্ব শশুর হাঁসের ডিম
আজন্ম ভিটেমাটি শ্যাওলা পুকুর
অনুতাপ রেখে ডেকে বলে......
থাক না এখানেই ,
বাকা রুক্ষ পথ
অচিনপুর ময় ঘোলাতে নিরিবিচ্ছিন্ন ভোরের
সক্রোধের লেপটে ছিনে জোক কুয়াশা
চাঁড়ালের জন্ম পরিচয়ে বিভেদের
এক ই সুপ্রাচীন গতি নির্দেশ এখনো ,
কৃষ্ণচূড়া রঙ মেখে আকাশ যতটা লজ্জায় শিহরিত
বা মুখ ঢেকেছে সনাতনী ফুল সজ্জার নববধূ
বা কামুক নারীর ছল- চাতুরী অভিনয়ে
তারা ও তো কথা বলে চলে
নিয়মিত রাত্রি গভীর হলে
নিয়তির সাথে ,
যানে না এতো সব নিয়তি
বলে যায় এখনো ঢের সময় আছে পড়ে
জীবনে বা
মরণের পরেও
শুধরে নে তাড়াতাড়ি এই বেলা ,
আর বাসবো না ভালো ,
এভাবে অর্ধমৃত নশ্বর দেহ অভিলাষে
খুন হতে হতে মননে শরীরে সময়ের অনুক্ষণে
প্রত্যেকটা নগ্ন অভিসারিণী জন্ম ও তো আছে সুখে
নিজের কাছে পরিস্কার থেকে ,
অনন্ত অভিলাষী জীবন
শুধু মায়া, অভিনয়, আয়নায় মুখ দ্যাখা ,

ন্ন


‎......।। মুখ দেখা ......

দীর্ঘা হচ্ছে ছায়া পদটিকা সহ ।
এখানে নির্লিপ্ত নির্মম অযান্ত্রিক নির্দেশে অবিরত
কালের সীমাহীন ক্ষয় ,
বধূকে ও তুলে নিয়েছে এই বার বেলায়
বারবধূ সাজাবে বলে ,
চেতনা ইলোপ করে ফুল সজ্জা
প্রতিরাতে ভালোবাসা খুন করে
ধর্ষক নিজ স্বামী ,
তবুও অথর্ব শশুর হাঁসের ডিম
আজন্ম ভিটেমাটি শ্যাওলা পুকুর
অনুতাপ রেখে ডেকে বলে......
থাক না এখানেই ,
বাকা রুক্ষ পথ
অচিনপুর ময় ঘোলাতে নিরিবিচ্ছিন্ন ভোরের
সক্রোধের লেপটে ছিনে জোক কুয়াশা
চাঁড়ালের জন্ম পরিচয়ে বিভেদের
এক ই সুপ্রাচীন গতি নির্দেশ এখনো ,
কৃষ্ণচূড়া রঙ মেখে আকাশ যতটা লজ্জায় শিহরিত
বা মুখ ঢেকেছে সনাতনী ফুল সজ্জার নববধূ
বা কামুক নারীর ছল- চাতুরী অভিনয়ে
তারা ও তো কথা বলে চলে
নিয়মিত রাত্রি গভীর হলে
নিয়তির সাথে ,
যানে না এতো সব নিয়তি
বলে যায় এখনো ঢের সময় আছে পড়ে
জীবনে বা
মরণের পরেও
শুধরে নে তাড়াতাড়ি এই বেলা ,
আর বাসবো না ভালো ,
এভাবে অর্ধমৃত নশ্বর দেহ অভিলাষে
খুন হতে হতে মননে শরীরে সময়ের অনুক্ষণে
প্রত্যেকটা নগ্ন অভিসারিণী জন্ম ও তো আছে সুখে
নিজের কাছে পরিস্কার থেকে ,
অনন্ত অভিলাষী জীবন
শুধু মায়া, অভিনয়, আয়নায় মুখ দ্যাখা ,

কে


‎.........চিনতে পারছিস ...

বাড়িয়ে দেও তোমার হাত
আমি আঙ্গুল স্পর্শ করে দেখবো
এখনও হাতে হাত পরলে
কেঁপে ওঠে নাকি ৬.৮ রিখটারে ,
যেমন প্রথম যৌবনে
তোমার ঘামের গন্ধে
চিনে নিতাম দূর থাকে
তুমি আসছো এদিকেই
এখন ?

ভীরের মধ্য গগনে
মাথা বেঁকানো ভঙ্গিমা
বুঝে নিতো মন
তুই ওখানেই আছিস দাড়িয়ে ...
এখন প্রতিদিন
গাদা গাদা ভীর ভাঙ্গি বাসে , মাঠে , ঘাটে
চোখ খুজে ফেরে অজানা শিহরনে
যদি একবার দেখা হয়ে যায়
যদি একবার
যদি একবার বলে ওঠে সে...
চিনতে পারছিস ?

যজ্ঞ


‎....... যজ্ঞ ......

তুমি যখন আমার পাশে এসে বসো
স্তব্ধ হয় পৃথিবী কোলাহল
আলো নিভে গিয়ে অন্ধকারকে সাজানোর
করে আয়েজন
ক্ষয়িত সম্ভোগ ছেড়ে মাকড়শা
উদাস দৃষ্টি
করে অভিসম্পত
আমি হাত রাখি তোমার স্তনে
মিলিয়ে যায় মায়া
মোম গলে এক তাপে
বীজ প্রস্তুত
কর্ষণে প্রস্তুত ভূমি
আভরণহীন , আগাছা পরিস্কার করি
লজ্জা গেছে
সুদূর মামা বাড়ি ,

পাঁজি খুলে বসি
১২ টা ০৩ গত\ মধুক্ষন
আতর গন্ধে
মাতোয়ারা হাওয়া , ডাক নেই
শ্বাপদের
নমস্কার পরে করা যাবে
ক্ষণস্থায়ী এই ক্ষন
পা এ পা মিশেছে
নেই কোন পাপ আজ
সময় গড়িয়ে যায়
এসো
সুদীর্ঘ প্রতীক্ষায়
হিসেবে মিলেছে আজ
দেরি নয়
উন্মুক্ত করো দেশ
আমাকে নাগরিক করো
তাকে আনবো আমি
তার পথ করে দেও ।

বিস্প


‎...... এভাবেই শুয়ে থেকো তুমি ...

ওখানেই শুয়ে থেকো তুমি
আমি পারদ স্থির থাকার মন্ত্র শিখবো ,
খুলে ফেলো না তোমার পুরনো অঙ্গীকার
রাতে তুমি ঝর্ণা
আমি পিপাসী হায়নায় ।

দশ তলা থেকে দেখলে মাটির মানুষ বামুন
হাত পা ছোটা ছুটি করে
এদিক ওদিক
বড় কাজ চোখে পরে
কপোল বেয়ে জল দেখবে না তুমি...
তুমি অনেক উপরে আছো
এদিক ওদিক দৌড়ায় তুমি দ্যাখো
জল থেকে যায়
তোমার অগচরে ।

আমাকে টানলেও
জলে নামবো না
বড্ড ভয় ছিল এককালে
এখন প্রতিদিন সমুদ্রে স্নান করি
ঘেন্না ধরে গেছে জলে...
আর জল দেখিয়ো না তুমি

বিষ


‎...। বিষ পাত্র ...।।

জয় নেই
সক্রেটিস বিষ
ঢেলে দাও
নীলাভ হয়ে উঠুক
গলা
প্রবঞ্চিত প্রেমে
তুমি সম্রাজ্ঞী
এই ক্রীতদাস জীবনের
অব্যাহুতি তুমি দেবে না
আমাকেই নিতে হবে কেড়ে ।

প্রজ্বলিত হোম শিখা
বেল পল্লবে পল্লবে
ঘৃত
চন্দনে চন্দনে সুগন্ধ
আরাধনা করো
যে ভ্যালা নেমেছিল
কোন এক কালে
জীবনের প্রয়োজনে
তুমি উপেক্ষা করে রেখো
আমি ফিরবো না
জল বাতাস আলো
সব রয়েছে তোমার
তাদের গুছিয়ে রেখো ।

নিল


‎.........নীল খামে হাত রাখেনা কেউ

হাতুড়ি শাবলে কোদালে ঘামে রক্তে গা মোছামুছি করি
নিরুত্তাপ চাঁদ শ্লেষে গা গরম দৌড়
পঞ্চবটীর ঝোলানো ডাক বাক্সে একা পড়ে নীল খামে
অহেতুক উত্তেজনায় ঘাম ঝরা চিঠি আছে পরে
নিলাদ্রির কতো দিন ধরে...
কাজে কাজেই চাঁদ মুছে ফেলে হাসি
আমার ঘুম নেই......

নীল ডানা ভর করে উদাসী হাওয়া
এলোমেলো
নট নর্তকী ঘুম ভেঙ্গে আড় চোখে দেখে নেই
রক্তদাগ আছে কি লেগে ,
পিত পাথরে
ইয়েতির ফসিলস
মুগ্ধতার ইতিহাস নেই , রাজার ক্ষিদে ছিল সেদিন
আজ বেড়েছে নিশ্চয়
তুমি জানো জীবন জেনেছে
প্রান দিয়ে , এবং

সুগন্ধি ব্যবসায়ী পাল খুলে দেয়
পেরেকের শক্তিতে জীবনের আয়ু নিয়ে ভূমধ্যসাগরের
টান
বয়লা গুদামে ঘাম নেই
শীতলতায়
আমরা কুঁকড়ে যায়
চিঠি লিখি
চিঠি লিখি
চিঠি লিখি ঠিক ঠিকানায় বার বার
পঞ্চবটীর ডাক বক্স
হাওয়ায় দোলে না
এক অভিমুখে স্থির
চিঠির নীল খামে হাত রাখেনা কেউ ।

নিশাচর


‎....... নিশাচর ...

তথাপি কাজ শেষ হয় গভীর রাতে
ছায়া পথে পরে থাকে
উল্কা লাশের দু চার টুকরো
রক্ত জামা খুলে ফেলি
তুলসী গঙ্গা জলে
পরিস্কার করে নি হাতের ময়লা ।

দূরে সরে গেছে
সেই ফেলে আসা গ্রাম
পর্দাশিন করেছি দৃষ্টি
মনে নেই কি সুরে গান গেয়ে
ঢেঁকিতে চাল কুটতেন মা কাকিমা
খুব বড় কালো শামিয়ানা মনের উপর
খেজুর রস বলে কিচ্ছু নেই মনে ।

দিন রাত ধাতব শব্দ টুং টাং
দৃষ্টিতে আলো নেই
আমি দিনান্ধ প্যাঁচা
নিশাচর মনে মধুমাস বদলে বদলে
হিম মাস
বুকের পা পাসটা কেটেছি অনেক আগে
আমি মানুষ নেই
শরীরে বসেছে শয়তানের আত্মা ।

অপেক্ষায় থেকে যায়


‎......। অপেক্ষারা থেকে যায় ...।

দুই চার দিন রাত জাগলে উৎসব বিবাহ বা উপনয়নে
রক্তজবা চোখে উৎকণ্ঠা ভুলে গিয়ে
ঘুমে ঘিরে ধরে শরীর
দিবা স্বপ্নে ভেসে যায় নদীতট সমুদ্র ঢেউয়ে
আমি দাড়িয়ে সম্মুখে
তুমি দ্যাখো না
তুমি দ্যাখো না বলেই আরো বেশী করে দাড়িয়ে থাকি তোমার সম্মুখে
এখনো ,

আমার বাবা ও উৎকণ্ঠায় দাড়িয়ে ছিল অপেক্ষায়
ঘোলা চোখে
টেরি চুলে অপেক্ষায় হাওয়া সরে গিয়ে
বেড়িয়ে পরে মানব মূর্তি
সেদিন পারেননি বলে বাবা
আমি অন্য জননে খেলা করেছি...
আমার সন্তান ?

এভাবেই ঠাই দাড়িয়ে আমি , আমার পূর্বপুরুষ ,
অপেক্ষারা শুধু থেকে যায়
তুমি আসবে বলেই ।

চা


‎......।। চা ......

যে গান গায়তে পারে সুর শুনলেই হাত পা নড়ে
সদ্য বাছুরের মতো
আমার মায়ের ও নড়তো একসময়
বাবা কাশি দিয়ে দরজা খুলতেন
মা স্থির
আয়নায় দাড়িয়ে সিঁদুর ঠিক করতেন
আমরা নয়ের ঘরের নামতা পড়তাম
মা চা করতে দৌড়াতেন
কোন দিন চিনি বেশী
কোন দিন চিনি কম
আমরা নামতা আউরে যেতাম
একদিন মায়ের হাত পা লুপ্তপ্রায় অঙ্গ
গানের তালে নাচে না......

সম্পদ গুলো তোলা হয় না বলে পরে থাকে
একদিন নিঃশেষ
ছোট্ট বেলায় মায়ের দলে সন্তান
এখন দল বদল
পিতৃ পরিচয়ে মহিমা
হাত পা নাড়া ভুলে যাবো
মা আসবে
মা হাত পা নেড়ে বার বার ,

একি ভাবে হাত পা নাড়ে মা
আমি নামতা পড়ি
বাবা দরজা খোলে
মা স্থির হয়
মা চা প্যানে জল দুধ দেন ।

নরক


‎......। নরক ......

তারা তারি কাজ শেষ করি হাতের
লেদের ঘড় ঘড় শব্দে
ট্রেন হুইচাল অচল
অন্ধ মরণ কূপে
হাত চালায়
গুছিয়ে রাখি ধাতব বাড়
আগুনকে করি সংযত
ইতি-উতি ছোড়ান লোহা বিষ
ব্যাঙ্গ চোখে তাকিয়ে
লাল রঙ নিভে গিয়ে
নিয়নের ফুলকি
ধাঁধা দেয়
পথ ভিজে যায় পায়ের ঘামে
ভাইদের সঙ্গে
পা মিলায় প্লাটফর্মে ......

চলমান দিগন্ত দিগন্ত জুড়ে
আঁধার নাচে
অফিস ফেরত বাবু
কিছু ফুল বিক্রেতা
সব্জিওয়ালা
নিয়তির যুবতী
উটতি উল্কি যুবক
কামুক মাঝ বয়সী
রেল চলে
আমি ফিরছি
আমি ফিরছি স্বপ্ন ঘরে...... কেন

নাগরিকতা নগরে
গ্রামে গ্রামে ক্ষত বেড়েছে চাষে কাজ নেই
উর্বরতা কমেছে বলে শুনিনি ভূমির
আমার কমেছে
এখানে পূর্ণ সাধু হাওয়া আছে
ক্ষিদে আছে আরো বেশী
বাবুরা আস্তানা গেড়েছেন
যেদিকে সেদিকে
যত্নটা অনেকখানি বেশী
কালকের আসা নিয়ে
রাতের গভীরতা বারে...
কালকে আবার
নরকে নামবো
চাইছিনা মোটেও তবু
সন্তান চেয়ে নামতে হবে ।

উরেজায়


উড়ে যায়

শিলালিপি এখানে ওখানে ছড়িয়ে
হাওয়ার তালে তালে গা মিলিয়ে
বিদায় সময়
ভিনসেন স্মিথ একে বলেছেন ইতিহাস
পাগলরা বলে জীবন, এবং

নাটকের চরিত্র রঙ মেখে খেলা করে
সম্ভবনা গুলো শিমুল তুলোর মতো
উড়ে যায়
দাম্ভিক বলেন মৃত্যু
আমি বলেছি উপেক্ষিত অপমৃত্যু , এবং

রাতে নরম বিছানায় ঘুম আসেনা ,
হতাশায় সঙ্গি হতাশা
এমনটি না হলেই বা কি এসে যেতো
হিসেবীরা সরে গেছে
আমি কি আছি
পাখিরা সরে নি শুধু ।

একদিন


‎...... একদিন ...

প্রথমত কিছু দিন মনে থাকে আদ্র চোখের কোনায়
কিছুদিন পড়ে তীব্র কিছু অভাব এসে
আমাকে ভুলে
তাকে নিয়ে পড়ে জীবন , তুমি অস্বীকার করবে ,
আমিতো আর কিত্রিম আঠা নই
লেগেই থাকবো আজীবন ,

আমিও ভুলে গিয়েছি এমনি করে
বাবার জর্দা পানের রঙ্গিন দাঁতের পাটি
চশমা খাপ কোন অন্ধকারে
উপহারে পাওয়া বেতের লাঠি
কাঁসার থালা গ্লাস
কুচকুচে হুঁকো
মা ও কি গেছে ভুলে ?

এমনি করেই ইতিহাস পরম্পরা
এক কালিন দামি সামগ্রি
অযত্নে
আমরা মান্যতা দিই না
আমরাও মান্যতা হারাবো একদিন ।
 ৫৫৫
গল্প হয় যে কবিতা গুলো সেগুলো বেঁচে থেকে
যে কবিতা শিল্প হয় বাহবা পায়
চুলচেরা বিশ্লেষণে মাধুর্য বাড়ে
তবু
গল্প হয় না , আমি পড়ি না......
কবি পড়েন ।

ইতিহাসে


‎...। ইতিহাসে দাড়িয়ে ...।।

একদিন
মন্ত্রণা কক্ষ হতে তুলে আনবো প্রতাপশালী রাজা
ধুলতে মিশে গেছে যে কংক্রিট সমাধি ক্ষেত্র
আমার বাল্য স্কুল বাড়ি
সবুজ ক্ষেত শস্য গোলা
ভাঙ্গা আয়নায় সামনে নতজানু বসাবোই তাকে
বলব
এগুলো কি তোর নয় ?

মন্ত্রনা কক্ষত হতে পশুগুলোকে
একদিন
একপায়ে দাড়াতেই হবে যন্ত্রণায়
এই বিশ্বাস নিয়ে আমার থাকুরদাদা গেছেন বাবা গেছেন
আমি যাবো আমার সন্তান ও বা
তবু
এখানে নরকের ছায় পড়লেও
আমি তাণ্ডব করবো না
তোর মাকে মা বলেই ডাকবো ,

এভাবে ইতিহাস লেখা হয়েছে বলে
তোমার কি গর্ব
বিজিত ইতিহাস উপেক্ষায় বলে তুমি নায়ক
সগর্বে যেখানে যেখানে পা ফেলছ
সেখানকার ইতিহাস আমি রক্তে লিখছি
আর নেই পালানোর পথ
উপেক্ষিত ঘটনা
আগামীর সামনের সারির ইতিহাস...
তোমাকে নামতেই হবে মাটিতে ।

প্র


‎......।। প্রকাশ্যে ......।।

বন জোসনায় আমি আর তুমি আদি গোপন কাজ করি
অন্ধকারের প্রকাশ্যে , যুবতী চুলে যে মাতাল গন্ধ থাকে
সবাই জেনেছে নিজের মতো করে , আমিও জেনেছি আঁধারে
শরীরে শরীরের ঘামে ,
রহস্য গুলো জেনে গেলে আর রহস্য থাকে না , একসময়
হাতছাপায় অবাক করে দিতো
মগজ এদিক ওদিক করতাম উত্তর পেতাম না , নারী ও তাই
শুধু ঘুরে মরো
কিন্তু জানতে পারলেই শরীর বিনে কিচ্ছু নেই ,

আমি জেনে গেছি
রহস্যের পর্দা সরছে রোদে
যেমন ভূমি ভাগের উপর বন্যার জল সরে গেলে মায়া থাকে না
অনবিল আনন্দ
তুমি আমার বুকে লেপটে ছিলে বলে
তোমাকে বাদ দিয়ে কিচ্ছু দেখতে পারিনি এতো দিন
সেদিন দেখেছি মনে যতোখানি সুস্থতা দিতে পারে তোমাকে
শরীর পারে ঢের বেশী ,

এই লেখা প্রকাশ্যে এলে
আমি হতে পারি তোমার জগতের প্লুটো
দূর দূর দিয়ে পরিক্রমণ
দীর্ঘ সময় সৌর রাত
এতো দূরে থাকবে বলেই আমার প্রাণের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে একসময়
বা
পুরোটায় অনিয়ন্ত্রিত গ্যাসে পরিপূর্ণ ।

মরণ


‎......।। মরণ ......।।

সুখ সঙ্ঘমিত্র সঙ্গমে যোনীতে জৌবিক
আঠা ক্ষরণ ধবধবে ন্যাকড়া ওদিকে গুছিয়ে
মনের সাথে
লুকোচুরি চাঁদের
ত্রিবেণী তে কি মন্দাকিনী
হেসেছিল সেদিন অনুরাগে
এই রাতের মতো , প্রিয়তম , তুমি...
অলক্ষে উলটিয়ে পতপাত্র
বাক্স সমেত সিঁদুর
হা চোখে
আয়না আঁধারে জেগে থাকেনা বলেই
তোমার চোখে চোখ রেখে বলি... ভালো লাগছে না...
শিকারি ঈশায়ায়
বুঝে নেন শিকারের গতিপথ
তুমি ও , ছাড়ো
অনুকম্পা অচেনায় বেশ কিছু দিন
একলা ছাতে
ভয় নেই
কি জেনো আছে
রাতে মায়ের হাতে হাত মিলিয়ে রুটি গড়ি
দূরে তুমি লোকাল বাসে
আসছো কি তুমি ?

পুরুষ


‎......।। প্রথম পুরুষ ...।

ভেবেছো এভাবেই সর্পিল পথ ধরে
যে ভাবে গল্পের রাজপুত্তর সুদেস্নাপ্রভা কে নিয়ে
কুমারী মুহুয়ার ডানা ভেঙ্গে
মেঘ বাদলে ঘোড়া ছোটে , মুখ দিয়ে কস বেরুলেও
থামে না সেই দৌড়
আমাকেও নেবে তুলে তুমি , প্রথম পুরুষ
অধিকার গুলো চিরদিন জন্মান্ধ
ভালোবাসা নিয়ম রক্ত চক্ষু
একদলা থু থু
ছুড়ে দিতে নেই ঘেন্না
সে কোন পাটালিপুত্র নাগরিক
বা কক্সবাজারের মাছ বিক্রেতা
আমার পিতাও হতে পারে , প্রথম পুরুষ
শিলা বা রুক্ষতা
পানিপথের যুদ্ধে সাহস থাকে যদি নামার
রশি খুলে দে ঘোড়ায়
পাহার পড়ে থাকুক পিছু ।

প্রথম পুরুষ ২


‎........ প্রথম পুরুষ ০২...।।

জারে কেরোসিন আছে রেশনের
আমাদের দরকার নেই
তবু ভিড় লাইনে দাড়িয়ে প্রতি সপ্তাহে তোলা হয়
হিসেবীরা জানেন
কোনটা গুছিয়ে রাখলে শ্রীবৃদ্ধি হয় লক্ষ্মীর
হকের বস্তু নাকি
পুরোটায় নিতে হয়
নইলে ভাগে কম পরে
আমি এখন জেনেছি ,
তুমি কোন দোষ করনি দোষ নেই আমার
সময় পাত্র
এক রেখায় এসে যায় বলে
দেখা পায় প্রথম পুরুষের
যা তোমাদের অহংকারে পাপ
আমি বলি জীবন ,
এবার মিলিয়ে নিয়ো বাবা
আমি তোমার মেয়ে
ঠিক হিসেব টা শিখে গেছি
বাড়ির জিনিশ বাড়িতেই ব্যবহার হবে
তুমি তো অপচয় পছন্দ করো না...
জারের পুরোটা হয়তো লাগবে না
কিছুটা নিশ্চয় বাচবে
ভবিষ্যতে যদি কোন দিন গ্যাস বাচাতে চাও
আগুন জ্বেলো
আরাম কেদারায় পা দুলিয়ে শিউলি ঝরা দেখতে দেখতে চা খেয়ো ।

মেঘের গল্প


‎...... মেঘের গল্প ...

রোদ বৃষ্টি আগুন ছায়
উড়ে চলে গ্রহ গ্রহন্তরে সুকৌশলে পরিনতির আবেদনে
দেখি আমি , আমি ঘর গোছায়
ফস্কে যেতে চাই যে সব অনুক্ষণ
ধরে রাখবার করি আপ্রাণ চেষ্টা ।

অবাক হতে হতে অবাক গুলো আর অবাক হয় না ,
মেঘ ভাসে
অবাক হতাম
প্রিয়রা চিরকাল ভেসেই চলেন
প্রিয়রা চিরকাল অনেকের ই প্রিয়
রোদ বৃষ্টি আর প্রিয়কে কেবা কবে রাখতে পেরেছে বেঁধে ,

সমান্তরাল পথে ছুটছি আমি তুমি মেঘ
সীমানা নেই সম্মুখে
এভাবেই ছুটছি আজীবন
যদি পথ ভেঙ্গে চুরে
এক পথে এসে মেশে
তবে
শ্রাবণে আমরা তিনজনে আউস ক্ষেতে বসে গল্প করবো একাসনে ।

জন্ম


‎........ জন্ম ......

পুনরায় ভূমিতে রোপণ শস্য
লোনা সরে গিয়ে বিচিত্র রংবে রঙের ঢ্যালা বুক চিতিয়ে
দিয়েছে অনাসৃষ্টির বিরুদ্ধে
গুপ্ত শক্তি আছে যে সব অঞ্চলে
আবার ভরবে সবুজে
শক্তির নিত্যতা সুত্রের প্রভাবে...
এই আবেগেই
দুঃখ দিশা বদলে
খিল খিলিয়ে হেসে লুটোপুটি দাওয়াময় ।

বদন্যতার সময়ের
আপাত দৃষ্টি শুখনো জঠরে নিয়ম বশতঃ নিয়মের
কম পরিচর্যায় ও ফসল এসেই যায়
ভূমির প্রয়োজনে বা আমার ,
জীবন বাধ্য দাস হয় নি কোন কালে
রক্ত মাংস শরীরের কাছে ...

ঝড় গুলো ঠিক ধুলো উড়াতে উড়াতে এসেই পড়ে
মাঠের যে সবুজ ডানা ভেঙে পড়ে
দাড়াতে পারেনি মাথা তুলে
ভুমি চুপ দেখে যায়
প্রস্তুর করে নিজেকে
আগামীর ঝঞ্ঝার পরে সুদিনের প্রয়োজনে নিজেকে রাখে সজাগ ।

আমি শরীর পেতে চাই


‎..........।। আমি শরীর পেতে চাই .........

অনিবার্যতায় নীলাভ ঢেউ পায়ের জাঁতাকলে পিষে
পরিযায়ীর গন্ধ রেখে যাওয়া স্থানেই আস্তানা গারি ,
পথে উল্টে ফেলে এসেছি লক্ষ্মী ঘট আপত্ত্য স্নেহ
ঝাঁঝালো তেলে বেগুনের ব্যাঞ্জনির স্বাদ
নাকছাবির বায়না
শ্যালিকার বিবাহ বার্ষিকী
সকালের ব্যাগের বোঝা
সবাই জেনে গেছে আমি ধর্ম কুড়ে , তাই

যেখানে রোদ ছায়া
যেখানে কর্ম বীরের যজ্ঞ স্থল
ভুই ফোঁড় আত্মা সেখানেই শান্তনা খোঁজে , গেরুয়া ধুলা গায়ে মেখে
সক্রোধে
দুই চার বার ডানা ঝাপটায়
চিৎকার ঘোষণা করে
আমি সূর্য প্রতিদ্বন্দ্বী
জল আলো বাতাস কে সঙ্গী করে আমুদে ভগবান মানুষ বানিয়েছ
বেশ করেছিলে
মনটা দিলে কেন আকর্ষীর মতো , আর

ভাবি না
ভাবি না অহংকৃত শরীরের যন্ত্রণা ,
চাবুক মার
চাবুক মার আমাকে সময় ,
ছাল ছাড়িয়ে লবন লাগিয়ে রোদে শোখাতে দিয়ে দে
মনন ভালো বাসতে গেলে যদি
পরিজন পিছু ছাড়ে
আমার রোপিত আম ই যদি আমাকে না চেনে... তবে
নিপাত জাক
মন যজ্ঞ ডায় জঞ্জাল......
কেড়ে নে আমার মনন অধিকার......
আমাকে শরীর দে
আমাকে শুধু শারীরিক মানব করে দে এই বেলা ...।।

আবিস্কার


‎......।। আবিস্কার ......

তুমি হাত রাখলে হাতে
নীল লাল দুঃখ গুলো কেমন জেনো বীরভূমের বাউল মুরঝনায়
রামপুরহাট ফাস্ট প্যাসেঞ্জার
আমি ঝিমিয়ে পড়ি , দিবা স্বপ্নে দুঃখ গুলো উড়তে উড়তে
মিলিয়ে যায়
হাফ ছেড়ে বাঁচি ,
তুমি থাকো না বেশীক্ষণ ।

অবশেষে নামতেই হয় পথে
সযত্নে পা রাখি হিম ঘাসে ( তুমি ঘাস ভালোবাসো বলে )
এগিয়ে যায়
গম ক্ষেত বা পাশে রেখে ত্বরিত সোজা আল পথ ধরি
সর্ষে চিৎকার করে আমি দ্বিতীয় সতীন ? মনে বলি
সময় নেই
ঐ দ্যাখ আটটার সাইরেন
এই বন বাংলো কোম্পানি
তোমার জন্য প্রাণ পেয়েছে
সম্পর্ক গুলো সুত্রে সুত্রে পাল্টে তুমি বৌদি থেকে কাকিমা
আমার বেশ লাগে
একাকী সময়ে হিংসে ,

রঙ থেকেই যায়
শুধু বুদ্ধি জালে পরে মাঝে মাঝে ফ্যাঁকাসে হয়ে পরে ,
নারী আবিষ্কার করতে হয়
মাটি নরম করে মূর্তি গড়ে চক্ষু দান ই সব নয়
বা পাশে পতিস্থাপন করতে হয় হৃদপিণ্ড , তবে শরীর আত্মা তোমার সহচর
পাণ্ডব বর্জিত স্থান ও মধুশালা ।

অপেক্ষা


‎......। অপেক্ষারা থেকে যায় ...।

দুই চার দিন রাত জাগলে উৎসব বিবাহ বা উপনয়নে
রক্তজবা চোখে উৎকণ্ঠা ভুলে গিয়ে
ঘুমে ঘিরে ধরে শরীর
দিবা স্বপ্নে ভেসে যায় নদীতট সমুদ্র ঢেউয়ে
আমি দাড়িয়ে সম্মুখে
তুমি দ্যাখো না
তুমি দ্যাখো না বলেই আরো বেশী করে দাড়িয়ে থাকি তোমার সম্মুখে
এখনো ,

আমার বাবা ও উৎকণ্ঠায় দাড়িয়ে ছিল অপেক্ষায়
ঘোলা চোখে
টেরি চুলে অপেক্ষায় হাওয়া সরে গিয়ে
বেড়িয়ে পরে মানব মূর্তি
সেদিন পারেননি বলে বাবা
আমি অন্য জননে খেলা করেছি...
আমার সন্তান ?

এভাবেই ঠাই দাড়িয়ে আমি , আমার পূর্বপুরুষ ,
অপেক্ষারা শুধু থেকে যায়
তুমি আসবে বলেই ।

মাধুরী


‎.........।। মাধুরী .........।
নিঃসঙ্গতা উপেক্ষার প্রয়োজনে তেল কালি নিয়ে বসি.........
যৌন বতী খেলা করে...
হাত কাঁপে
অবশ হাত
মন জুড়ে হাওয়া
ঘুম ঘুম
নেশা
আদিম রিপু
বেড়িয়ে পড়ি
রেড লাইট
কচকচে ৭০০ টাকা নগদ
ক্ষিদে বাড়ে
কষ চুইয়ে পড়ে ওষ্ঠে
চুলে বিনুনি
ক্লান্ত
এলিয়ে বালিশে
ঘুম ভাঙ্গে
ভুলে যায়
ইতিহাস
চল আমার সাথে মাধুরী ।

মা


‎...। স্বপ্ন

মা শিল্প জানতেন
রুটি গুলো গোল সমভূমির ন্যায় কড়াইতে নামাতে পারতেন
শীত বর্ষা রাতে দিনে ব্যাস্ততা ধীরেসুস্থে
বোন টা পালিয়ে গেল যে রাতে
সেদিনও ব্যাতিক্রম দেখিনি ,
যে সব সম্ববনা ভেসে ভেসে থাকে
চুম্বকের অভাবে কাছে আসে না
মায়ের ছিল
বাবা চুম্বক হতে সেখেনি বলে কোন দিন কাছে এলো না
কি জানি কেন
পথ ভুলে রুটি , শুক্তো , লাউ চচ্চরিতেই সম্ভবনা
আশ্রয় নিলো
মাও মেনে নিলেন নির্দ্বিধায় ,

মা হিমে উঠেন
তারা থাকে
বরফ জল দিয়ে মোছা মুছি , প্যানে জল পড়ে
দুঃখ বাস্পভুত হয়ে উড়ে চলে
বাবা তারা দেন
আমার ঘুম ভাঙে
মায়ের চোখে জল দেখিনা ,

অফিসের কাজে সারাদিন
পরিচিত মুখ গুলো হারিয়ে ফেলি নগদে
মা কে মনে পরে না
ভীর ঠেলে বস ধরি
ঘড়ি বেড়ে চলে
কনিং বেল
মা ছুটে আসেন
ভালাবাসা থাকে চোখে
আমার ঘুম
আমি ঘুমবো না , আজ বলেই ফেলবো
মা তুমি স্বপ্ন দেখো না

Wednesday 18 January 2012

t


‎............... কি নাম দেবো ...।।

পৌষের দুপুর । স্নানাঘাটে চুল খুলে রোদ পোহায়
নিয়তি মেঘ , পাখিরা ডানা কাটা সীমান্ত প্রাচীর ,
স্থির । দিগন্তে কালো মেঘে গুড়ি বৃষ্টি , এখানে
শুঁখা মরসুম , ছেলেটি হ্যারিকেন আগুনে আক্ষর
ছারপোকা , ঘুনে বইয়ের ভাজে ভাজে লাল গোলাপে
কঙ্কাল , প্রেমের ই ,
ছান্দিক প্রত্যাশিত শব্দ বেইমান , ঐন্দ্রজালিক মাদারি
প্রকৃতির কালো জাদু , ছবিতে নেই , দৃশ্যত অদৃশ্য ,
গুপ্ত রোগ , প্রকাশেই মৃত্যু ।

এখানেই জীবনের গান , আসুরিক শক্তি দম্ভ ,
আছে কিছু বধিরত্ব , সত্য মৃতপ্রায় , সহনশীলতা
ইতিহাস শব্দ , দিনে দিনে নব্য ব্যাধি সমাজের ।

এখানেই আমার মায়া প্রেম স্বপ্নের ঘরবাড়ি ,
আপার বিস্ময় নদী , কুঠি গোবর উঠোন ,
আমার অনুভূতির খোলা মাঠ সারাদিন পায়ে পায়ে দাপাদাপি ।

maya 3


‎......... মায়া ...।

তার পর আমি আর তুমি
উঠেছি ভেসে সূর্য গতিপথে মুখ রেছে পুনরায় ।
গাছেদের বাল্কলে বাল্কলে সুযোগ সন্ধানী উইপোকা
রক্তমাষ ঘাম জলের অনু টুকু চুষে
করেছে বাঁচার আয়েজন ,
আজীবন কয়েদী সংসার হতে পালায়ন অদেখা
আগামীর উষ্ণ ভোরে প্রিয়তোষ
ক্রন্দনে ঝরে পরে শিউলি সুবাস
যে শান্তি জলে আছে নেই অন্য কোনখানে , জানো তুমি ?

উস্নিব খসে পড়ে সাথে সুমহান রাজা মহারাজ
বনেযায় ভিক্ষারি স্পষ্ট নির্দেশে তার ,
গান সব কথা হয় বুক দিয়ে ভেঙ্গে চলে ঢেউ
পদাবলী কীর্তনে রাত কেটে আলো নামে
বেদনা ভুলে গিয়ে আবেশে দিন কাটে ।

বল সব মিথ্যা , অনুকম্পে জরানো মায়া শুধু ক্ষণিকের
অতিথি , নিজের মায়াকে সরিয়ে সরিয়ে
যখন ক্লান্ত প্রান... তখনো তো উড়ে চলে পশ্চিমে বলাকার দল
ঝাক বেঁধে ... এরা ও কি মায়া জানে !

n


জোনাকি দ্যাখায় না পথ
তবু কবিতায় আছে সে দিশারী হয়ে...
যে শব্দের প্রয়োগ নেই বাস্তব জীবনে
কবিতায় গিয়ে বলে আমি আছি চাষার কাঁধে !
হায় রে কাব্য
এ কি ক্যাব !

buddho


‎..........বুদ্ধ ...

ভবিষ্যৎ পন্থায় সুলগ্নের অপেক্ষায়
তির তির বয়ে যাওয়া সাতচল্লিশ
ব্যর্থ বসন্ত উপকথা ,
পদ থেকে অগ্রমস্তক নিগ্রো ভাইয়ের
শরীরের প্রতিলিপি
আমি বুদ্ধ ,
লাফিং এর উপমা টুকু চল্লিশ টাকায়
ঘরে ঘরে
সে কারিগরের হিসেবী মূর্তি ,
বয়ঃসন্ধি কাল রেসের বাজী ধরা ঘোড়া
পিছিয়ে পড়লে
নিঃস্ব আপন পরের বিভেদ ,
জিততে পারলে নিদেন পক্ষে রাংকিয়ে থাকলেই
কাঙ্ক্ষিত তোমার হাতে বন্ধি , সে
স্বজন বা পরজন ,
আমি বুদ্ধ
আমি সময়ের প্রতিনিধি ,
শিখতে পারিনি নির্বাণের মূল্যবান সূত্র
নেই পার্থিব ত্যাগের গল্প
চার পাঁচটা পেট ছিল হাঁসের মতন , প্যাঁক প্যাঁক
সারাদিন খাদ্য সন্ধান ,
বেলা গেছে চলে প্রতিদিন
আমি খাদকের খাদ্য সন্ধানী ,

তবুও
এই অবেলায় বুকের হাঁসকল ক্যাঁচ ক্যাঁচ করে
গ্রন্থিতে গ্রন্থিতে গেঁটে বাত একাদশী মানি
অহিসেবি খেলে পরে উদ্গিরন উদ্ধে অথবা নিম্নে
তবুও
প্রতিরাতে সুপ্ত বীজ মত্ততা মাগে , আমার রেনু রক্ত
জীবনের প্রতীক্ষায় রক্ত মাংসের আস্ত শরীর খোঁজে ।

maikel 15


‎......। মাইকেল ১৫...।।

ধুলি ঝড়ে তির্যক বালিয়াড়ি লড়াই করেই
বেঁচে থাকে আজীবন , জড় নয় জীবনের
লড়াইয়ের স্তম্ভ সোপান ।
কদিন ধরে রাতে দুই গ্লাস করে মধু খাচ্ছি
জানুয়ারির গুল মার্গ বলেই জান্ত আছি এখনো ,
সিং থাবার ভয়াবহতা চাক্ষুষ দেখিনি বরফের
দেখছি , এখানে , প্রীতম ,
ঠাকুমা থানে শামিয়ানা টাঙিয়েছে ভূস্বর্গ উপত্যকা
পানীয় জল ও যে জল থাকছে না পিপাসায়
লক্ষ করিনি তো কোন দিন , উপোষী সিকারা বিন্দ গানে
খুঁজছে অলীক মায়ার সন্ধান বা আল্লার খেজুর বাগানে
লুটো লুটি আনন্দে সন্তান ,
প্রীতম
মৃত্যুও বোধহয় শীতলতাকে মান্যতা দেয় , কি জানি ভয় পায় ,
হতে পারে......
বুলেটের শব্দধনি বারুদের গন্ধ লাগছে না মনে...
শীতলতার ধর্ম কি শান্তি... ? ভাবছি এখানে্র লোক গুলো কে
যে শান্তি বরফ দিতে পারে বর্তমানে
পৃথিবীর কোন দেশের সেই ক্ষমতা কি আছে ? তুমি কি বল প্রীতম ?

bitorko


‎...।।চলমান ভাসমান বিবর্ত...।

রতিতে মণি মুক্ত
সুক্তো রন্ধনে
ব্যাঞ্জনে তৃপ্তি আনে
সু-রাধুনি গিন্নী ঘরে এলে ,
বিক্রম পুরুষ ধর্ম
মুত্র বা পুত্র
নিক্ষেপিত সরল পথে
আমি জানি
জানে ঈশ্বর ও ,
ত্যাগের মহিমা কথা
সত্য সমুজ্জ্বল ,
বিহনে প্রেমের মায়া
পাঞ্চালি ছিল সেও যে
অভাগিনী নারী ,
স্পর্শ অনুভাবে
মনোরঞ্জন আঙ্গুলের
মননের বিষম জ্বালা
বা অলিন্দে ,
রুধির বেগ যতো
শরীরে বাড়ে
কাম ক্রোধ নষ্ট চিন্তা
নিয়ন্ত্রকের ভুমিকা গ্রহন করে ।

ha


হাজারটা শকুন মরে আমি হয়েছি
তুমি বল যখন ভাললাগে
যদি বলতে হাজারটা কামুক প্রেমিক কে
পিছু ফেলে আমি তোমার হয়েছি
তবে আরো ভালো হতো ,
যদি বলতে নখ দন্তহীন আমি প্রেমিক প্রবর
তবে তুমি নয়
আমি বলতাম ধরণী দ্বিধা হও এখনি

onibarjo


‎............ অনিবার্য ...।

একদিন নিশ্চিন্তে অমৃত আস্বাদনে মাড়িয়ে
ঘোলা জল বৈতরণীর ,
কোলাহল জনতা আদালত সুবিশাল প্রাচীর
মায়ার শেকল
পরে রবে নিস্তেজ দুপুর শর্ষে ফুলি গুঁড়ের সকাল
খনা টিকটিকি আর
ধান শিসের গুচ্ছ প্রজাপতি মথেদের লালা উদ্গিরন
পঞ্চমীর চাঁদ শিশিরের সূর্য রঙ
ষষ্ঠীর বাহনের মাছচুরি গল্প এখানে বার বার ।

চলে যাবো
যে পথে পিতা প্রপিতামহের দল ঝাঁক বেঁধে
অনিবার্য অনেকবার
ইতিহাসে আগে ইতিহাসের পথে , অন্ধকারে
আলোর গতিময়তায় ভালোবেসে ঘৃণা করে
মহিষ দুধের স্বাদ মুখে নিয়ে
সন্তান জন্মনর আগে বা পরে
ফেলে রেখে পোয়াতি পুকুর আউসের ক্ষেত
নবান্ন রাতের চাঁদ ডুবা শার্দূলের হিংস্র চোখ
ফাঁকি দিয়ে... জীবনের নিয়মে...

চলে যাবো আমি
পেয়েছি আলোর সুস্পষ্ট নির্দেশ
যে ছায়াপথ ধরে অহরহ নিত্য গেয়ে চলে সত্য
জীবনের গান
আমার এই পূর্বপুরুষের প্রবাহিত রক্ত বীজ
আমারই উত্তর পুরুষের শরীরে দিয়ে যাবার রয়েছে
আমার অঙ্গীকার
কালের নিয়মে জন্ম , কালের নিয়ম ই শেষ কথা বলে !

sunonda 08


‎.......সুনন্দা ...। ০৮

সুনন্দা , সেই যে তুমি নেই অনেক দিন ধরে
এই অবকাশে আমি
অনেক নারী কক্ষপথ পরিক্রমণ
গুপ্ত গহ্বরে পদচারণ , তবুও
উষ্ণ প্রস্রবণে মুখ ধুয়ে সুখ পেলাম কই ?
প্রতিরাতে কাল প্যাঁচার চোখে করে
বুড়ি চাঁদ নেমে আসে ছাঁদে
মিট মিট আলোতে সপ্তশিমণ্ডলে তখন
জোয়ারের খেলা...
বুড়ি চাঁদ ফোকলা দাতে হেসে বলে
সব স্তব্ধ হয়ে যায় সময়ের বিপরীতে
দাসত্ব প্রেম প্রীতি
অবগুণ্ঠন মুখ
স্বপ্ন চারন ভুমি মায়ালি অনুপ্রভা আলোর রেশ্নায়
হাতে হাত রাখা স্থির কাল
তোর নয় , এই প্রেমে তোর নেই কোন জয় ।

সুনন্দা ,
তুমি বল ,
তবে শোন মন দিয়ে দুর্দিনের ইতিহাস ,
নিয়ন্ত্রক হরমোনে মন বাঁচিয়ে রাখা বড় দাই
যৌবিক উপাচারে সাজানো শরীর গন্ধ
চোখ খুলে রেখে মন বাচিয়ে রেখেছি এতো কাল
এবার তুমি আসো
এই প্রেম কাঁধে তুলে নিয়ে দ্যাখো যাযাবর মনেও
কিছু ক্ষুধা আছে
এখনও এমন কিছু আছে
ভরা বর্ষায় অঘটন ঘটিয়ে ও দিতে পারে একান্তে...
যদি আমি ডুবে যায় পাকে , নরখাদকে
সৃষ্টির কোন সত্যে তুমি বলবে এখনো ভালাবাসা আছে বেঁছে ?

biyer prostab


‎......। বিয়ের প্রস্তাব ...

"দ্যা মার্চেন্ট অফ ভেনিস " খোলা চোখের সামনে তিনদিন
মনে ভারত বর্ষ রঙ্গিন মানচিত্র
ধুস , কিচ্ছু জানি না
ইতিহাস অন্ধকার , মশলা গল্প শুনি শুধু
দ্রপদিকে নিয়ে লিখলে কেমন হয় ?
রমণী ভারতীয় ,
পোড়া মুখো মিনষে ,
আমি আছি এখানে সাপের সংসারে
ঐ হাড়গিলে গুলো দেখেছিস
আমার রক্ত
হাঁড়ির তলায় চেয়ে দ্যাখ
মাটির রঙ নেই আর অমাবস্যা
সুইডেনের রানি নই
রানির আত্মীয় ও কাউকে দেখিনি
আমাকে মনে পরেনি ?
নব্য ভারতীয়
এখানকার মেয়ে গুলো বেশ খাসা
অনাহারে তবু কি যাদুতে পুষ্ট শরীরে
কালো জোয়ার , যৌবন ,
শাড়ি ভেদ করে
মায়াবি জোসনা খেলা করে শরীরে
মন্ত্র মুগ্ধ সর্ব ত্যাগী মহা ঋষি
কুপোকাত
তোমার আমলে উড়োজাহাজ ছিল নাট্যকার
এবার এসে দেখ...
আমি তোমাকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাচ্ছি ।

rupmoti 18


‎.........। রূপমতি ।।

রূপমতি তোর কালো কেশের
খোঁপার মাঝে
মেঘের বাসা ,
সাঁজ সন্ধ্যায়
গ্রাম্য বঁধুর হাতের প্রদীপ
সলতের সাথে কইছে কথা ,
তোর জঙ্ঘা প্রদেশ
বেলচাপা সুবাস
মধু- মাক্ষি
রাত উপবাস ,
রূপমতি তোর বুকের শোভা
হাস্নুহানায়
রাত পিয়াসী যুগল প্রেমিক
তোর শরীরের
বদ্ধ মাতাল ,
ধান কুড়ানি
আট জননী
শীর্ণ চাষার লাঙ্গল খানি
চুপ দুপুরে
একলা মাঠে
যাসনে তুই ভেল্কি নেচে
কাজ গুলো সব পণ্ড হবে
তোর যৌবন
তুই বুঝিস্নে ?
রূপমতি তোর নাভি গর্ভে
সাত শেয়ালের চক্ষু নাচে
নাগরা ধানের
মিষ্ট মুড়ি
তেল লংকায় আচ্ছা মেখে
রাখনা শেয়ালের সামনে বা মুখে
বল না ভাইটি বড্ড ভালো
আমি বুনটি
দেখবি এবার কাজটি হবে
রাখি বন্ধনের নিমন্ত্রণ আসবে ,
রূপমতি তুই ভীষণ বোকা
চাঁদের হাটে
যৌবন বাঁচিয়ে রাখা এতো সোজা ?
রূপমতি দ্যাখ
পূর্ব প্রান্তে
শিশির জল পড়ছে খসে
এক কালের এই রূপ লাবণ্য
গুছিয়ে রাখিস
আগামিতে গল্প হবে...।।

amrito


‎...।। অমৃত পিপাসী ...

জ্বালা মুখে দাড়িয়ে সেই থেকে
মনে বাড়ছে খচখচানি
উত্তেজিত আমি
রণ চণ্ডা দানব
নিমিত্ত আছে অধিকার
তোমার শরীর খানি
অগ্নি রেখেছি প্রস্তুত
কোষে কোষে যৌবনাগ্নি
শির শিরে শিহরণে
নিস্তেজ লোম
পেয়েছে দাড়নোর
মহতি সাহস
গভীর তমসা রাত
কুহুকের মায়া হাতছানি
স্বজাতি সন্ধানী
পণ্ডিত সমাজ
হুক্কা ছেড়েছে অনেক খনই
তীব্র বিষ জ্বালা
মননে বসেছে
সেই সাঁজ সন্ধ্যা রজনী
দেরি সহে না
থাক না কিছু বাকি মিথ্যা সংস্কার
এসো এসো সখী
পদধূলি নেবার সময়
পরে পাবে অনেক খানি...
না
পাপ নেই কোন
আমি অমৃত পিপাসী
তুলে ধরো তোমার
অমৃত থালাখানি ।

মন


‎......।মন...

আমার মন তোমার পরাগ
হিম শীতলে
উষ্ণ বাতাস ।
সাত টা সাগর
রাত জাগরণ
শ্রাবণ মন
খুশির পরব ।
ক্ষণিক জন্ম
ক্ষনিকের আশা
নিত্ত মনে
অনিত্ত খোঁজা ।
আর দূরে নয় আই না কাছে
বুকে আমার তুফান বাজে
এই ব্যাকা চাঁদ আমার আছে
মন মিশবে মন মধু রাতে ।

মন


‎......।মন...

আমার মন তোমার পরাগ
হিম শীতলে
উষ্ণ বাতাস ।
সাত টা সাগর
রাত জাগরণ
শ্রাবণ মন
খুশির পরব ।
ক্ষণিক জন্ম
ক্ষনিকের আশা
নিত্ত মনে
অনিত্ত খোঁজা ।
আর দূরে নয় আই না কাছে
বুকে আমার তুফান বাজে
এই ব্যাকা চাঁদ আমার আছে
মন মিশবে মন মধু রাতে ।

ঘুম


ঘুম ভেঙ্গে দেখি
আস্ত একটা নিম্বাস মেঘ আমার মাথার উপর
সমূলে দাত বের করে হাসছে
ঝরে পড়বে এখানেই বলে বোধহয় ,
আমি ভিজছি না , আজ
আকাশে বুক রেখে বল
পূর্ণতা করো বক্ষ
আমি চিৎকারে ও
বলবো অপারগ
শ্রাবণের তেজ আছে
মনন সুখ বাকি 

সুনন্দা ৯


‎............।সুনন্দা ০৯......।

যখন ই পৃথিবীর কোথাও সন্ধ্যা নামে
আমার দৃশ্যত চোখে আমার অজানায়
আমি হাতের আঙ্গুল গুলোকে প্রস্তুত করি
খড়কুটো আক্রে ধরবার
জানি এই আঁধারে
ভেসেও যেটে পারি গ্রহন্তরে ,
বিক্ষিপ্ত চিন্তারা সন্ধি করে জরো হয় আঁধারে
মিলিত শক্তি প্রবাহ
দুর্বার অনিবার্যতার আকর্ষণে
যা ভ্রান্ত
চিরকালীন যা শুধু একমনকে ক্ষয়িত করে
সেই রক্তের গতিবেগ
বাড়ানোর আয়েজনে থাকে সদা ব্যাস্ত ,
আমি অথর্ব হয়ে পরি
চাতকের দৃষ্টি নিয়ে দূরে চাঁদ ডোবে চাঁদ ভাসে
কালপুরুষের পেট চিরে আস্ত রাহু কেতু বেড়িয়ে পরে
গ্রহন লাগে গাছে গাছে
মনে মনে , শরীরের অঙ্গ- প্রত্যঙ্গ খেলা করে
তিনমাসের ফুটফুটে শিশুর শীতল কান্না
চোখ গেল চোখ গেল পাখির কু- ডাক
শুনে বা দেখেও দেখি না...
দেখি আবছা নীলাভ কাঁঠালি চাপা গন্ধ জোসনায় ধার করা
পরি পাখনায়
দুর্বার উড়ছ তুমি
পিছে ফেলে গ্রাম আমার কুড়ে আট চালা
আমার নিয়ন্ত্রক জন্মভুমি পেছনে রয়েছে পরে , সুনন্দা ,

আমার জীবনে প্রাপ্তিযোগের গল্প নেই জানি
রঙের উৎস মুখ বা হলি ফাগুন প্রত্যাশিত নয় হৃদয়
যন্ত্র দানবও তো কিছু সময়ের স্থিরতা মাগে দিনে বা রাতে
মনটুকু বাদ দিলে
সম্পূর্ণ আস্ত দানব আমি , আমিও একটু খণ্ড সময়ের
স্থিরতা চাই তোমার আঁচলে মুখ রেখে ।

রুপমতি ১৯


‎.........।। রূপমতি ...।।

বোণ পলাশী
বৃষ্টি দুপুর
পেখম ময়ূর
রঙ মেলেছে
"সৃষ্টি সুখের এই উল্লাসে "
রূপমতি তুই ঘুমিয়ে থাকিস ?
চাঁদের ভেলা
লখিন্দর শব
গুরু গর্জন
দিচ্ছে তাড়া
আঁধার পথে
রাত দুপুরে
বাংলা বঁধু ঘর ছেড়েছে
কৌলাশ নাচে
বাঁধন ছাড়া
হয় জন্ম নয় মিথ্যা বাঁচা
রূপমতি তুই ঘূমোস নে লো
চল না দূরে ঘোষ মাঠে
চাঁদ সওদাগর পালা আছে ,
মন যমুনায়
নামলো রাঁধে
বৃন্দাবন ঘুমিয়ে আছে
মধু সুবাস
পদ্ম জলে
মরণে কি কোন সত্য আছে ?
রত মজেছে যমুনা জলে
মিথ্যা আশা
বার বার মরে
প্রেম সোহাগী ব্রজ কণ্ঠী
আই না ফিরে
নতুন গুড়ের মোয়া দেবো
চাল কুমড়োর বড়ী দেবো
আসমান মেঘের পাণি দেবো
রূপমতি টুই বল না সখী
তোর যৌবন
আমায় ভেট দিবি ?

ত্ত


শব্দ গুলো বেইমান
ঠিক তোমার মতো
সঠিক সময়ে কোনোদিন
পেলাম না নাগালে
তোমাকে ও পাই না
একবার ই পেয়েছিলাম বোস বাগানে
আমার তোমার ঠোঁটের মাঝে
কাস্তে চাঁদ নেমেছিল সেবার ঝোড় শ্রাবণে
এক দুপুরে
তার পর থেকে
তুমি .........

তিন


‎......।। তিন কথা ...।

পাশাপাশি শুয়ে আছি আমি তুমি
আর স্বপ্ন রাজকুমার
চাক্ষুস দুজনে , তবু আছে সে
অন্তর্যামী জানেন
আর জানি আমরা দুজনে ।
......। ০২...।

আমি তুমি হাঁটছি গুনে গুনে পা ফেলে
আর সাতাশ পা দূরে আমার বাড়ি ছিল
অন্ধকার নয়
তবুও দেখছিনে কেন আমার ঘর , বিচালি গোলা
শুনছি না রাজ হাসের প্যাঁক
আদিম যুগে এসে পরেছি নাকি (?)
ভাই হারিয়েছে ভাইয়ের পাশে থাকার অধিকার ?

.........।। ০৩ ......।

মেঠো পথ ধরে ছুটছি ছোট্ট বেলার মতো
কিন্তু
তখন ছুটলে আমি রাগে আক্রোশে জানা অজানা
পাখি উড়ে যেতো বাঁশ মাথা থেকে...
এখন
চুপ ,
কোথায় গেল মন প্রিয়া পাখির দল...
কোন গ্রামে হয়েছে যাযাবর
নাকি
পৃথিবী জুড়ে মানুষ ই শেষ কথা বলে...
সভ্যতায় অন্য প্রজাতি ধ্বংস হলেও
আমাদের কি এসে যায় তাতে ?

ছায়া


‎......।।

ছায়া বৃত্তে চলমান অশরীরী ,
কেউ নেই
নিজের ছায়া নিজের কাছে অচেনা
আমি কি আমি ?
শরীরে যা দেখছি আমি ! আমার রক্ত ,
আমার মনে শুধু আমার আস্তানা , যা বলি
আমি ,
তবে যেটুকু বলিনা সে কে ?
দুঃখরা দুঃখ পেতে ভালো বাসে
আমি ও দুঃখ বিলাসী
অনেক গুলো রঙ মেশাতে পারলে
প্রত্যেক রঙ
নিজস্ব বর্ণ হারিয়ে
জন্ম দেয় নতুন রঙের
দুঃখ ও তাই , মাত্র অনেক গুলো দুঃখ জরো করো
এক যায়গায় আনতে পারলে
কেল্লাফতে
কার সাধ্যি
কোনটা কোন দুঃখ আলাদা করে ।

হাজার


‎......হাজার মাইল তোমার পেছনে...।

আমি তুমি সেই আছি
প্রস্তর যুগের অনেক আগে থেকেই এক বিছানায়
অনিবার্য মহিমায় ,
সে সময় পথ বেশি ছিল এবড়ো খেবড়ো সংকীর্ণ বটে
অচেনা ছিল না এখনের মতো
মা আর প্রজাপতির ভাব ছিল বেশ
কিন্তু সূর্য তেজ কম ছিলনা আদেও ,
সেই প্রগঐতিহাসিক থেকে হাঁটছি
এখন আমি বাইশ
তোমার কোমরের নিরবিচ্ছিন্ন উষ্ণতায়
স্তন বৃন্তের প্রস্ফুতি ঘ্রাণে
সুদৃশ্য গ্রীবাদেশ
ঝুলে পরা চুলের ঢেউ
আমার মনে ফুল ফোঁটায় , গন্ধ ছড়ায় না ,

আমার শুধু ঘুম আসে
এক একটা ঘুমে একটা করে খেলা চলে
দেখি মাকড়শা সম্ভোগ চিত্র জীবন দিয়ে
আমাকে করেনি বলেই শরীর নিয়ন্ত্রণ
আমি আছি তুমি আছো পাশাপাশি
মন রয়েছে
হাজার মাইল তোমার পেছনে ।

স্বাধীনতা


‎......... স্বাধীনতা ...।

আগুন এভাবে চেপে রেখে
ছিঁড়ে খাওয়া বধ্য ভূমির রণাঙ্গনে
তুমি পা বাড়িয়ো না , মেয়ে ,
সময় অস্থির
নরঘাতকের দল আয়নায় দেখেনা মুখ
জলে দেখে
পাগলা কুকুরের প্রতিবিম্ব , মেয়ে
এখনই কপট বন্ধ করো মনে
শরীরের ক্ষুধা পশুরা শরীরে পেয়েছে খুজে , মেয়ে
তুমি কেঁদে উঠলে
দু চার ফোটা বৃষ্টি ঝরবে অসময়ে
পশু ফুট বল খেলবে তোমাকে নিয়ে , জনতা গন ফেরারি , মেয়ে
ওরা মাচিং অর্ডারে দাড়িয়ে আছে...
কার্ড দেখানোর লোক যে নেই.........

আরো কতো পথ আছে দিতে পাড়ি
কতো মেয়ে ঘরে না ফেরা পরিযায়ী পাখি......
সংখ্যার সত্যতা জীবনের চেয়ে সত্য
কিছু কাহিনী যদি প্রভাতী দৈনিকের মনোরঞ্জক
আমরা যারা লাইনে পরে আছি তারা জানি
মেয়ে হতে গেলে
কতোটা স্বাধীনতা দিয়ে হয় জলাঞ্জলি !

দিশা


‎......।। দিশা ...।

আমাকে খুঁজো না
ধুলো ধূসরতায় নুইয়ে পরা অন্ধকারে
শাঁখের বদন্নতায়
লুটো পুঁটি আঁচলের মাটিতে
খুঁজো না আমায় , প্রিয়তমা ।
আমি বদলেছি আমার দিশা
কচি কাঁচা ভীরে
নাউ বাঁধা বাধা ঘাটে
আমি নেই , আমি নেই সখেদে , আত্মত্যাগে
আমাকে খুঁজো না তুমি ।

গ্রহণ লেগেছে যে প্রাণে
শাখার ও সীমাবদ্ধতা আছে তুমি যদি জানতে
জৌবিক ক্রিয়া কাজ
অস্তগামী সূর্য অসহয় এখানে
নাকছাবি খুলে ফেলো
নেই প্রয়োজন
বিষাক্ত দীর্ঘশ্বাস পাঁজর হাড় মাস খেয়ে করে দিক সাফ
আমি বদলে ফেলেছি খোলস
আমি মানব হতে শিখিনি
না ত্যাজিলে মায়া
যে পথে গেছে ঋষিগন আমি পাবো কি করে তার দিশা ।

বভ


দুর্ভেদ প্রাচীর
ছায়ার প্রবেশিকার নিষেধ
নিউক্লিয়ার ফ্যামিলির নির্দেশক আমি
আমার সন্তানকে করবো
পরমাণু নিউক্লিয়ার ।


‎............। জীবন ...।

অনন্য প্রভা "ভাসুরে" কাল সন্ধ্যা
জিহবায় জৌবিক স্বাদ লালা গ্রন্থি কে আর একটু রসালো করে
দপুরে হাবাতে বাঙালি ঘুমে
টিক টিক সময় ঘড়ি নিঃশব্দে
এগিয়ে গেল যমকে ভালোবেসে ,
বেওয়ারিশ জন্ম
পাওনা পুঞ্জিতে জমে আছে গোটা ফুটপাত , দোকানে চায়ের হাতল
ভাঙা প্রাপ্তি যোগে সপাৎ হাত সুখ মেটানো মোটা গোঁফওয়ালা
কালু গার্জেন্‌
বিবস্ত্র মাঘি পূর্ণিমা
চোখ জ্বলছে ,
হায়না আসুরিক শক্তি খোজে নগ্ন পায়ে
লুকিয়ে , পেট ভরাতে গেলে কতোটা সংযম ,পরিকল্পনা,
অধ্যবসয় লাগে , গুছিয়ে নিতে হয়,
দৃষ্টি রাখতে হয় নিজের চোখে
জানে সেই
যাকে শিকার ই বাঁচিয়ে রাখে
সৃষ্টির আদি অন্ত
ভরা বর্ষায় , এই কোজাগরী পূর্ণিমায় ,

আমি শিখেছি
কথা কতোটা গোপন রাখতে পারলে একদিন রহস্যে পরিনত হয়
গোপনাঙ্গের রক্ত ক্ষরণে যে বিষ পোকা বাসা বাধে
ব্যাভিচারে , সে গুলো ধ্রুব সাক্ষী
বেওয়ারিশ জন্ম পরিচয়ের ,
আমার জন্ম ইতিহাতে ই হয়তে লেগে আছে
নিবিড় যৌন সত্য
প্রথম রিপুর সীমাহীন দানবিক অত্যাচারের
বর্ণময়" রেড লাইট " ১০বাই ১০
খুপরি ঘরের আশা ও স্বপ্ন ভঙ্গের
আমার মায়ের সুদীর্ঘ প্রাচীন ইতিহাস ,
আমি ও তো আমার পূর্ব পুরুষের শেখানো পথের রাজা
.কালের অবিরত ঘাত- প্রতিঘাত
প্রত্যাঘাত , স্রোতের মুখে , বিপরীতে
বিভিন্ন রঙ বদলে..বেছে থাকা , উষ্ণতার আলিঙ্গনে
বাড়ছে আমার অওলাদ
তোমাদের উপেক্ষার আঙ্গিনায়......।

তিন পদ্য


‎.........।। তিন পদ্য ...। ০২

.......০১...।

এখন সাগরের নির্জনতায়
পরিযায়ীর আস্তানা এখানে এখানে
দৃশ্য বদল
ভালো থাকা পাখির খোঁজে উথল-পাথাল আকুল মন
সমগম দিয়েছে ঠিকানা অমৃত পিপাসীর
পাপ করেছি
ক্লান্ত হয়নি কোন দিন
মকর সংক্রান্তি
মলিনতা ধুয়ে দেও সব
পুনরায় পাক পাঁকে পড়তে হবে আবার ।

.........।। ০০২......।

জন্ম থেকে স্টার্ট নিয়েছে ব্যাটারি ঘড়ি
আমি বেহিসেবি
পার্থিব শব্দে শঙ্খে
বার বার ভুলে যায় ঘড়ির সংকেত টিক টিক
আমি পথ কাঁটা বিড়ালে ভয় পায়
বাসি রুটি অরুচি
একটাকা ধার দিলে তিনটাকা উসুলে
সব করেছি
শরীরের প্রয়োজনে
শুধু ঘড়ি শব্দ শুনতে পায় না......

.........। ০৩ ......।।

এভাবে জলে ডাঙ্গায় না থেকে
জলেই যদি ডুবে যেতাম , বা
ডাঙ্গায় থেকে আমি আমি সূর্যমুখী
পাশ দিয়ে উপেক্ষিত দৃষ্টি নিয়ে চললে ও আমি তাকাতাম না
বিসাক্ত ছারপোকা রক্ত না পেয়ে শরীর ক্ষত করলে ও বলতাম বেশ করেছিস
যদি
সূর্য জ্বলন সহ্য সাহস দিতো আমায়
আমি কলিযুগেই সীতার পরীক্ষা দিতাম
প্রেমকে বাজী রেখে ।

গুগলি


‎........ দুঃখ

গুগলি কাকে বলে জানো ? জানতাম না
ক্রিকেট বহিঃ ভুত শব্দ
নান্দনিকতা নেই... ক্ষিদে আছে পেটে ।
ফুলের গন্ধ , নিজস্বতার অপূরণীয় দুঃখ দুঃখ
মন নিয়ে সামনে দাঁড়ালে
তোমাকে লোভী কুকুর মনে হয়
লেজ ঢুকিয়ে নিজের মধ্যে
হা হুতাশ হা হুতাশ
আচ্ছা করে পা জড়িয়ে আস্ত বাঁশের বারি মারতে যদি পরতাম ,
চল গুগলি কুড়িয়ে আসি ।

তোমার এই সব মনগড়া অভাব দেখলে
আমার কান্না পায় না
হেসে গড়াগড়ি করি ধুলোয়
অনাহারের থেকে কোন দুঃখ দেখিনি আমি
সাপের গর্ত থেকে গম চুরি এর থেকে কোন বাস্তব মানি না আমি
পাতার আগুনে গা স্যাকার থেকে কোন হিম শুনিনি আমি
শুন্য হাড়ির বাস্পভুত জল কান্নার থেকে দামি...
আর কাঁদিস না
কোন দুঃখ নয় আজীবন
আজীবন দুঃখ থাকে আমার পেটে আমার দেশের পেটে তার সন্তানে ।

জস্না ২


‎............।মধ্য রাতের জোসনা ...।।

পরিমল সখা বলে তারে জানি
রোদ ওঠেনি চারদিন
পতঙ্গ আগুন পিপাসী
ব্রিহন্নালা কৃষ্ণা সারথি
কোলে হাত বদলে
মধু গানে
আমি সেদিন হেসেছিলাম
এখন রোজ দিন কাঁদি ।

শ্যাম্পেন উথলে ওঠে গ্লাসে
উচ্ছলতা যৌবন পিয়ারী
তৃষ্ণা মেটে যতোখানি মনে
সোলোআনা দেখান দারি
রঙ্গিন রঙ্গিন রাতে
সুবেশী " তরুন তুর্কি " তরজা
নাভি কার কতো পদ্ম নাভি
কারিগর বিশ্বকর্মা
কেন তয়রি করলি সুন্দরি !

প্রাক্তন দশ প্রজন্ম ধরে ধান চাষ
সে সব ইতিহাস,জমিদার বা ভুমিদাস
সাবেকী মন বাপের সাথে গেছে ধুয়ে
আমি নিশাচর , সঙ্গী শকুন পাখি
মধ্য জীবন ঘন দুধের সর আস্বাদনে সতর্ক
ছিগারেট সন্ধ্য ব্রিজে বাজী স্ত্রী
হয় আমারটা যাবে
নয় ওর টাকে নিয়ের আমার রাত্রি , নিয়ত ।

স্নান


‎......।। স্নান...।।

আমি কাঠের সেতু টোপকে যেই ওপারে
লজ্জাবতী বৃষ্টি বলল আসি
আমি সরে যাওয়া মেঘের পানে চেয়ে দেখলাম
রোদ নাচছে ঘাসের জলে
মেঘলা আকাশ জল সব টুকু নয়
আরো আছে কিছু , আবিস্কার করে নিতে হয় ।

বারাব্দার ইজি চেয়ারে বসলে প্রভাতে
মাথার ঝোঁকা ৫ টা ০৫ এর বারাসাত লোকালের
চেয়ে ব্যস্ত দৌড়ায়
সুর আছে পদক্ষেপে
এ যুগে ঘোড়ার খুড় পায়ে আছে লোকাল ছুটছে বলে
ভালো লাগে না
ভালো লাগে না পশু খামারের ঘানি টানা
আমার ভাইয়ের ঘাম আমাকে স্নান করিয়ে দেয় প্রতি ভোরে ।

নেই তুমি


‎...... TUNG TANG ....

তুমি নেই
স্বপ্ন আলিঙ্গনে নেই তুমি
সব অতীত বৃথা নয়
ফসিলস পূর্ব রাগের সাক্ষ্য বহন করে ।
তুমি নেই
মায়া গুলো আছে পড়ে অহেতুক মনে
স্পন্দনে চেনা সুর বাজে
রাত্রি গভীর হলে ,
ডিনার টেবিল ঝাড় আলো
টুং টাং চামচে
ঝড় ওঠে
মুখে জৌবিক পশু শরীর
তুমি নেই
মাঝে মাঝে বিস্বাদ লাগে , বার বার নয় ।
তুমি নেই
চাষি কাস্তে দিয়েছে শান
নিড়ানির অভিক্ষেপে
ঘাসের জন্ম বৃথা যায় ,
নতুন ধান গুড় নলেনে
প্রথম সাঁচ অন্ধকারে পেছনে
শাঁকচুন্নি আমন্ত্রণে
পিঠে পুলি
মুখে মুখে
তুমি নেই আমি আছি
অতীত বা বর্তমানে ।

যাবো


‎....... যাবো ...

রোজ রাতে কড়া নেড়ো না তুমি
আমি যাবো না
এখনো আমার অনেক পথ পাড়ি
দিতে আছে বাকি
নিয়তি এভাবে ডেকো না
কাজ মিটে গেলে
তোমার সাথে যেতে আছি রাজী ।

যে কাজ করেছিলাম শুরু সকালে
দিন গড়িয়ে রাত্রি এলো
আঁধারে ডুবে গেলো কল পাড়
ক্ষেত্রমহন হুঁকোর জল বদলালো
আগাছায় ভরে গেছে
উঠোন ময় জঞ্জাল
এগুলো গুছিয়ে রেখে
আমি যাবো তোমার দেখানো অন্ধকারে ।

আর একটু খানি দাড়াও
পাকা পুই ফলের রঙ্গে রাঙ্গিয়েনি ভাতের থালা
তুলসী গাছে দিয়ে যায় দোয়াস মাটির ঢ্যালা
জামের রক্ত মুখে মাখিয়ে
গোয়ালের গোবর দিই এবেলা ঝাটিয়ে বিদেয় করে
বোরো বীজে জলের প্রলেপ ফেলে
সন্তান মুখে দীর্ঘ চুম্বন এঁকে
আমি যাবো
এই সময় টুকু ভিক্ষা বা অধিকারে আছে
আমি যাবো , যাবোই চলে ।

পরবাস


‎......।। পরবাস ...।।

তোমাদের প্রসারিত হাতে
নদী মুখে
কালের গতি পথ ,
চিরো নবীন বনস্পতি
ক্ষুরের অগ্রে জীবন
নিয়ন্ত্রক স্বয়ং নিয়ন্ত্রক ,
যতো দূর চোখ দৃষ্টি গোচর
যতো দূর ফণীমনসা গড়েছেন সংসার
মূল্য তুল্য চুলচেরা বিশ্লেষণে কাব্য মেলেছেন ডানা
বদ রক্ত ঝরে পড়ে
পুনরায়
পাখির কূজন , রাত যায়
বিছানা রক্ত মুছে গিয়ে
রোদের তীব্রতায়
জল যায় শুখিয়ে ,
মাঠ শূন্যতায় উদাসী
বোলপুরের ফাঊল
আমি পা রাখি স্বদেশে ।

মলিন মুখে খিদে নাচে
চেনা জানা মুখ ডাকে না
দুরন্ত দুপুরের খড়ো তেজ
কাঁখে নিয়ে কলসি আসেনি বঁধু
নিজেকে নিজে শোধায় অচেনা হতে বন্ধু কতো দিন লাগে
যে আকাশ আমার ছিল সেও কি পরবাসী ভাবে !

রুপমতি ২০


‎......।।রূপ মতি ২০

বন জোসনায়
মেঘের ভেলা
পদ্ম পাতায়
মন টলমল
স্নেহাতুর মা
নেই পিতৃ পরিচয়
রেড লাইট এ
ফুট পাতের যীশু
আর তোর মন ।

ধুপের সোহাগ
মন পিরীতি
বেসুরে গরম
মন নেই সন্ধ্যাবাতি
বুকের তুফান
রোজ ফুলশয্যা
মধু মেহ নাগর
মন বিরক্তি
রূপমতি তোর ঘরে
এলো কি সতীন ?

গভীর রাত্রি
হুতুম সাথি
ঝোরে পরে রস
একি অলক্ষ্মী
যম অরুচি
শাশুড়ি মাগি
ভাশুর বিদেশ
জা ন মাস পোয়াতি
রূপমতি আই বুকের মাঝে
শীতল রাতি
আমার রক্তে দ্যাখ লেপের গতি
নিঃস্ব বিশ্ব এই সংসার
আমার মনেই আছে তোর মথুরা বৃন্দাবন ।

রাস্তা


‎.......বলনা গল্প...... দেখবি রাস্তা যাবে কমে

এক মনে ভেসে যায় এবেলা অবেলা
জড়িয়ে ধরে সম্বল তোমার স্বপ্নাতুর মায়াবী হাত
যোজন যোজন ব্যাপ্তি তোমাকে রাঙ্গানোর আবেগে
ঝরে পরে শিউলি , আকাশের প্রভাতী ঘাম ,
মন নিয়ে চির সখি
এভাবে ফিরায়ো না মোরে , আমি অভাবী , ভিক্ষারি রা আছে
মনে এর থেকে সুখে ।
প্রিয়তমা
মধু ক্ষন সলতে প্রদীপের ,নিভে গেলে আগুনের শিখা
পুনরায় তেল ভরো ছোট্ট কুপিতে
নিভে গেছি আমি , অমাবস্যা অন্ধকারে ঠকোর খেতে খেতে
অজানা অন্য মনে...
বুকে তুলে নাউ , গ্রিবা কোঠরে মুখ রেখে থাকতে চাই
অনন্ত সময় ।
প্রিয়তমা...
যদি যেতে চাও ভুলে কানাপুকুরের সন্ধ্যা নামা ,সর্ষে ক্ষেত হতে উড়ে এসে
কতো পাখি খেয়ে যেতো
অমৃত সুধা ,
পায়রা ঠোটে ঠোটে প্রিয়ার খাবার...
তবে যাও ভুলে......
আমার নিরুদেশে অভিমান নেই প্রেমে
শুধু পথ নির্জনতা আঁকড়ে ধরে আমি হাঁটতে চাই
পথ বলে এভাবে কত দূর চলা যায়
বলে হারানো অতীত আছে কি তোর মনে...
বলনা গল্প...... দেখবি রাস্তা যাবে কমে ।

মা


‎...... আমি ও আমার মা .........

এই রাস্তা ধরেই আমার মা বেহেস্তে গেছেন
সাতাশ শঙ্খ চিলের ডানায় চেপে সূর্য রঙ মেখে
মা এখন নবির পায়ের কাছে বসে
আর বাদশাহি খেজুরে
টাইগ্রিস মিষ্টি পাণিতে পা দুলিয়ে শুনছেন ইসলামের ইতিকথা ।

ভূমিভাগের উপর দিয়ে যে রাস্তা গেছে সুদূর
দেশ- কালের সীমানা মুছে ফেলে
মাঝে মাঝে সরাইখানা ,
ওখানে আস্তানা বেহেস্ত পথচারির , পাচ ওয়াক্ত নামাজের
সুর ভালোবেসে
পাখীরা শিখছেন শান্তি সুর ,
রনংদেহি নপুংসক রাজা- মহারাজা
পোয়াতি বা গোকুল বালক কেও ছারেনি বলেই...
মা সুখি নেই...

যুগে যুগে কতো আমার মা তোমার মা ধরেছেন এই পথ
মায়াকে পেছনে ফেলে
স্নেহের খোকা ডাক , প্রথম নানি হওয়া তমশি রাত...
পানের বরজে মাটি কেটে ঝুপ- ঝাপ...
অশান্তি পরিবারে ক্ষণিকের মধুমাস... বেশ ছিল ,

মা , আমরা খুব ভালো নেই
নবিকে বলেছ এখানের গল্প , আনুসাঙ্গিক দাম্ভিকতায় আর
নিজেরা ভালো থাকার লড়াইয়ে
প্রত্যেকদিন " দশম দিবস লড়াই "
বারুদের গন্ধে দিন আসে রাত নামে , চুপসে যাওয়া পাঁজরে
বেঁচে থাকা আশা গেছে বাণের জলে ভেসে...
মা , মহানবিকে বল নেমে আসো ধরা তলে...
প্রেমহীন বুকের কোঠরে প্রেম নেমে আসুক মায়াবী মনে মনে...

রাজা আসে


‎............। রাজা আসে রাজা যায় ...।

প্রজন্মময় ধরে রহস্য অন্ধকারে রাম লাল
বিভেদের কারিগরি শিল্প নিদর্শনে
ফ্লাড লাইট এ ক্রিকেট নিযুত আখের ধন
গাদিপুর ডুবে থাকে
ঘোড় অমাবস্যায় প্রতিটি রাতে ।

লাবণ্য শোভা মণ্ডিত রাজপথ
ভুবন মোহন এক মনে বিচুলি কাটে
মেঘনাদের নদী পরিকল্পনা কিউসেকে ফুটছে
সম্রাট "নিরো " হতে পারে বেহালা ব্যাতিত
ফুটপাতে আছে হাজার ঘর নিরাপদে ।

খয়রাতীতে পরে পাওয়া চোদ্দ আনা
দুটো কেরলিয়ন নারকোল আর সবেদা গাছে
পাঁচটা গণভোট
রাজা যায় রাজা আসে
ভুবন মোহন আলু লাগায় আলু তোলে
বৃদ্ধ নিড়ানি মরে গিয়ে নতুন নিড়ানি আসে
ভুঁইফোঁড় মধ্য স্বত্বভোগী ভুঁড়ির বহর বাড়িয়ে পান চিবুতে চিবুতে শশুর বাড়ি
বৃষ্টি আসে
আমাদের ঘর ভাঙ্গে , আমাদের ঘর বাধে...
রাজা পারিষদ দল সহ সস্ত্রীক বিদেশে নিরন্ন সম্মেলনে ।


এভাবে নেম না ,
অহেতুক উড়ো না এমন অসময়ে
দ্যাখো বুড়ি চাঁদ আজো আছে বেছে
নিজেকে ভালোবাসে বলে ।
দ্যাখো , হাওয়া বেঁধে রেখেছে একই সুর
পাতারা আমৃত্যু হাওয়ার অভিমুখে হাসে
পতন ধর্ম অধোলোকে
ঊর্ধ্বলোকে মায়া যাদু
তোমারও পতন অনিবার্য অধোলোকেই হবে ।

৩ পুরুষ


‎...।।" জন্মিলাম তিনজন মরে ভেসে যায় কোন জন "

প্রথম পুরুষ ---

কুলমণি আমি
ত্রিভুমন সীমানা ছাড়িয়ে মহাকাশ
আলোকিত আঁধার
নক্ষেত্রর রাশি মালা , জ্যোতিষ্কপ্রভা , অনু , পরমাণু
স্থির জলে স্থলে
প্রবাহিত পবনে
দুর্ভেদ সঙ্কুল ভয়াল গুহা ,
সুউচ্চ হিমালয়
বরফ রাশি
কেউ নেই
আমরা তিন যাযাবর
নেই প্রান
নেই জীবনের সন্ধানী দৃষ্টি , বল দ্বিজ
জলে ভেসে যায় কোন জন ?

২য় পুরুস...

একি খেলায় আমাকে নামালে প্রভু
জন্মাবধি দৃষ্টি ধোঁয়াশা প্রাণীকুল
পথে , প্রান্তরে
ছায়ার কক্ষপথে
লুকোচুরি আপেল বনে বনে
যা কিছু পেয়েছি আমি
সেতো তুমি জানো
সূর্য নমস্কারে
কামের প্রাদুর্ভাব
চেপেছি নিজ গুণে
আমরা অধীশ্বর
আমাদের নিয়তি আমরায় লিখেছি
এক ক্ষনে...
বল প্রভু...
কে যায় আজি ঐ জলে ভেসে ।

৩য় পুরুষ ......

হে
পিতামহ
পাহারে রচেছি আমার বসত ঘর
সুপ্ত বাসনা
এই একা নির্জনতা
তিন পুরুষের যুগল সন্ধি
সব মিথ্যা
হু হু পূবালী হওয়ার শুন্যতা
কি যেন
কি যেন হুত অভাব
রাত্রি নিশিতে
আমাকে শুন্যে তুলে নেই
বলে
জন্মতা কি বৃথা যাবে চলে...
প্রভু তোল
জল হতে নারী মুখ
সৃষ্টি রহস্য থাক অনন্তকাল চুপটি করে
আমার সংসারে
ভুবন ভরুক ফুলে ফুলে , প্রভু ।