Saturday 31 December 2011


‎.........। মা ...।।

মন কেমন করা সেই সকাল আর নেই
.........সেই মাধুকরী উড়ে এসে বসেনা আমার সোনা গাছে
আমি থেকেও না থাকার মতো হয়ে পরে রয়েছি এখানে ,
বা হাতের আঙ্গুল গুলো অসর হতে হতে থেমে গেছে এই বেলা,
যতক্ষণ আগুন ছিল , আগুনের গল্প ছিল মনে... উন্মত্ত মাদকিয়
নেশায় উড়ে এসে খেয়ে যেত মধু সুধা , সে সন্তান হোক বা বারবনিতা ,
এই রোগ শয্যা ,
চোখের সামনে বদলে যাচ্ছে নিয়মমতো দৃশ্য , জগত থিয়েটার পাড়ার
নাত্য মঞ্চ , কালো কাপর ঢেকে দৃশ্য পতন ,
চেনা সম্পক রঙ্গিন জলের হাত বদল গ্লাস , যেদিকে চিয়াস ধ্বনি
সেদিকে কাঁধ বেঁকিয়ে ঝুকে পরে চিনতে পারছ ? আমি বিনয় ?
সন্তান দল সুখী পায়রা সারাজীবন যেদিকে সুখ পাখি থাকে
তার ডানায় আশ্রয় খোজে , পরম সুখে রইবে এবার......
এতো দিনের চেনা জানি স্ত্রী( !)
এক ই বিছানায় সঙ্গম সম্ভগ উৎপাদন জীবন , রঙ্গতামাশা , বায়না
কত স্বপ্নের বিমুরতি ছবি ছাপানো দিনকাল , ভুলে গেল ?
এত দিনে ও স্ত্রী হতে পারলো না...
শুধু এখনো রাত্রি গভীর হলে
আমার বিছানা ভেসে যায় অনাকাঙ্কখিত এক জস্নায় ...
আমার মায়ের লাঠিতে ভর করে চাঁদ এসে বলে যায়
আই খোকা আয় আমার সাথে
আমার কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড় ,
আমি আছি জেগে সারারাত
এখনো সব সম্পর্ক যায় নি গ্যাঙের জলে ভেসে , তোর মা আছে
তোর মা আছে এখন ও রক্ত দুধ নিয়ে

এভাবে ভাসতে ভাসতে
না পেয়ে যদি কোন কূল ঠায়
যদি উঠে পরি অচেনে নৌকায়
...... যে নৌকা মাঝি হওয়ার কথা ছিল তো তোমারি
প্রিয়তম ,
নারী কে বিশ্বাস করতে শিখলে না এতদিনে
...... অবিশ্বাস চোখ দিয়ে
আবিষ্কার করলে নারী মন...।।

বুড়ো


‎............।।বুড়ো ...

চোরা স্রোতে বয়ে গেছে যন্ত্র মানব সময়
প্রথম ঋতুমতী বঝেনা যৌবন ছন্দ কোন
সুরে গায় গান ,
অদৃশ্য নিয়ম ঘড়ি সময়কে বিখন্ধিত করে
করে এগিয়ে যায় জীবন পূর্ণতা খোজে ,
সেই যে অনুরধের আসরের রবীন্দ্র সঙ্গীত
শুনছি আমি কাল শুনবে অন্য জনে ... আবার অন্য জনে ,
হাত বদল হতে হতে বুড়ো পৃথিবী
......বলবে কি সেই কথা......
ঢের হয়েছে পিঠে চরা......
এবার তোরা নামলেই বাঁচি ...।

মাইকেল ৮


‎....... মাইকেল ০৮

প্রিতম ,
আজ নামলাম মাক্সিকো ছিটি
মায়া সভ্যতার দেশে
উৎসবে মেতেছে বর্তমানের যান্ত্রিক মানুষ গুলো
......ক্যালেন্ডার বলছে শেষ বছর এটাই ,
পেট মোটা কালো কোল কোকেন দানব
ও আছে এই দলে,
দেখলাম এখানে ,
কিছু কালো মানুষ আছে এখন ও এই দেশে
শেষ মায়া প্রতিনিধি হিসেবে , তারা
রোজ কোকেন পাতা তোলেন আর মদে বেসামাল
হয়ে সন্তান জন্মানোর মেশিন হয়ে যায় ,
তোমাদের দার্জিলিং এর প্রতিচ্ছবি যেন !
আমি আছি বেস খোশ মেজাজে ই ,
আজ রাতে বিশেষ নৃত্য অনুষ্ঠিত হবে
আমাকেও নাচতে হবে......
আমি প্রতিনিধিত্ব করছি তোমাদের
কালো সভ্যতার হয়ে...
আজ দেখবো মায়া হরপ্পা হয়ে উঠতে পারে কিনা 

সম্মিলিত গাছের পাতায় দেখি ঢেকেছে সূর্য আলো ,
বেদনার আর্তি ভুলে গেছে শীত খেতে পায়ে পায়ে ,
বন বাঁশি সুর তুলেছে সুদিন আসছে ধেয়ে

স্বপ্ন বীজ রেখেছি আঁকড়ে বুকে

তুমি মনে রাখবে কি না রাখবে আমার গেছে বয়ে

দুষ্প্রাপ কিছু সন্ধানী আলোক ছটা , এখানে পড়েছে ঘাম ঝরছে বলে ,
রক্ত ঘাম খেত সোনালী গমের রেনু
আমাকে খাইয়েছে তো তোকেও রাখেনি উপশি
মাথার স্বপ্ন জমিতে ফলিয়েছি আমি আজীবন

পৃথিবী অনাচ- কানাচে ইঁদুর দৌড়ের আসর

উগ্র চণ্ডী রণ মত্ত অসুর কুলপতি

আমার স্বপ্ন ফসলের ভাগ কেন তুই নিবি ?
আমার স্বপ্ন আমার ঘরে

আমার দেশ আমার মনে

আমার মৃত্যু আমার হাতে


‎.........।। একা ...

বেস তো আছি তাই না ?
মাঝে মধ্যে অফ সাইড হয়ে পরছি এই যা ,
...... কি জানি কখন ম্যাচিং অর্ডার পাবো
অনিদৃষ্টে পা রেখেছ কোন দিন ?
যে কল্প সঙ্কেত পেলে গাছ বদলেছে পাতার সামগ্রী
নতুন কিশলয়ে বার বার
যে সংকেত দূরদর্শী দুএক জন শুনেছিলো বলেই
মাদুকা হাড়ি ক্ষতে ও প্রেম বিলিয়েছিল
দানবে... এখানেই বন্ধু ।
আমি শুধু হাটি হাটি পা পা এগিয়ে যাচ্ছি
গভীর অন্ধকারে ,
জলের পতনে ও আছে তীব্র কিছু শক্তি , হিম বাহ
গলনে ও তসনস করার ক্ষমতা আছে
সৃষ্টির , তুমি তো জানো !
শুঁকনো পাইন পাতা ও হিম রাতে পথ ভোলা মেষ পালকের
বুকের রক্ত গরম রাখার শক্তি ধরে,
আর আমি......
বেসামাল হয়ে জীবন যুদ্ধে , যে যুদ্ধে জয় নেই জেনেও
অনিয়ন্ত্রিত নিয়মে হেটে যাচ্ছি নিজ ছায়া পথে
নিজের ছায়া ও নিজের শত্রু তাকে ও ধরতে পারছি না ,
বল বন্ধু তুমি জানো না !
বন্ধু কোন না পাওয়া অতৃপ্তি নেই , হা হুতাস করা প্রেম নেই ,
সন্তান মধুময়তার অভাব নেই , যৌনতার খামতি নেই ,
অর্থের অসচ্ছলতা নেই...
তবু জেন কোন এক মায়াবী অভাব জোকের ধারল সূর দিয়ে
একাকিত্তের রক্ত চোষে ,
আমি তারে পারি না সরাতে, শুধু দেখি ক্রমশ হালকা হয়ে যাচ্ছে
আমার চার পাশ , বুজতে পারি সব থেকেও আমি একা ......
এতদিনেও নিজের জন্য কিচ্ছু করা হয়নি ...


অর্ধেক সময় নিয়ে সাধনা আর অংক কষা
যোগ - বিয়োগ হিসাব নিকাস নিত্তি তে তোল
অর্থ সামগ্রি ,
চোখের সামনের সালিখের ডানার রঙ তা
গেছি এর ফাকে ভুলে...
বুনো কাশ শরতে না হেমন্তে ? তুমি জানো ?
এখন ভালো নেই সময় , আর খারাপ মন ,
নিউক্লি্যার ফ্যামিলি সন্তানের চিন্তা আর বেশি
নিউক্লিয়ার ,
একদিন ছেলে ফ্যামিলি ওয়েল ফেয়ার অফিসার
সে তো খুব দামি দামি ওয়েল ফেয়ার করবে
সমাজের , তুমি ও জানো ,
এখন বুড়ো পৃথিবী অসুস্থ ,
এখন প্রেম নেই , প্রেম বিহনে গেয়ান নেই ,

একা


‎..................একাকিত্ত...।।
...।
হয়তো একটা সুর পেলে বাঁশিতে
আর কিছুটা পথ আমি হাঁটতে পারতাম একান্তে
হয়তো আর দু ফোটা উষ্ণ প্রস্রবন জল গড়িয়ে পরলে কপোলে
নতুন করে ভাবতে চাইতাম তোমাকে নির্জনে ,
আমি এখানে কিছুই হতে চাইনি
ভাটিয়ালি সুর মুরঝনার যে কথা গুলো নদী হয়ে বয়ে যেতো
অনেক আগে... আমি সেই নদীর মাঝি হতে চেয়েছিলাম,
কুসুম কলি অন্ধকারে গুপ্ত স্থানে সুপ্ত জীবনের অভিরূপ
হতে শখ হয়েছিল ,
দেখেছিলাম পায়রার ঠোটে শস্য দানা প্রিয়া মুখে যে প্রশস্ত হাসিতে
ঢুকিয়ে দেয়
আমি ও যদি পারতাম একবার......
তোমার কোন দোষ নেই কাকলি...... তুমি তো তোমার ধর্ম
পালন করেছো ,
নারী কে শুধু সম্ভোগে নয় সময় দিয়ে ও আপন করতে হয়...
বিশ্বাস করো আমি বুঝি নি......
এখন উপলব্ধি করছি সব মিথ্যা , অনুভূতি নিজের জন্য নয়
সব সময়...
ভাগ করে ও নিতে হয় ।

মাইকেল ৯


‎............মাইকেল ৯

কুয়াশা বুনুন জালে ঢাকা পরে আছে বার্লিন
গত সাত দিন , কোথায় যেন দৌত্যটার
জ্বলন ঘুম ভেঙেছে , নিরেট কালো ছায়ে
ঢেকেছে আকাশ ,
সেদিন গিয়েছিলাম ওকসান হাউস , পিকাসোর
আঁকা নগ্ন রাজকুমারী উঠেছে নিলামে
চিরদিন নগ্নতাকে একটু বেশি ভালোবাসি কিনা !
১মিলিয়ন ইউরো তে কিনে নিলো কুয়েতি তেল ব্যবসায়ী ,
তুমি বুজবে না প্রিতম...
কামুক কিছু বুনো শুয়োর শিল্পের নাম দিয়ে
রোজ রাতে কামকে মিশিয়ে শিল্পে(!) ভোগ করেছে
অসহয়তা , নারী কিনেছে অল্প দামে......
শিল্প সুমহান উচ্চতায় তুলবে বোলে বোধহয় ,
শিল্প সত্তা , বলে কিচ্ছু নেই... মন কে নিয়ন্ত্রণ
করার ক্ষমতা নেই শিল্পের......
কামের আছে যথেষ্ট ।

মেঘো জোসনা আর দশ কলা চাদের গল্প ...

ছেলেটা বৃষ্টি হতে ছেয়েছিল
ভাসাতে চেয়েছিল থর
বধ্যাভুমি সবুজের শামিয়ানা
স্যাঁতসেঁতে মনে আগুনের পরশমণি
বেবি ফুট আগুন রাক্ষসের হাত থেকে শবর ঘরে
গোলার ধান নিজের মর্জি তে ন্যায্য দামে
জানেন তো ছেলেটাকে একদিন জল নালাতে
পাওয়া গেল লাশ নাম নিয়ে...।

তুমি


‎........। তুমি ।

দৃশ্যত একা থাকি তুমি তাই তো দ্যাখো ......
ধিক ধিক তুষ আগুনে হাত পা সেঁকি
..................রক্তের গতিকে ঠিক রাখতে ,
তুমি আসবে জানলে এভাবে হাত পা
..................তাওয়ানোর দরকার হতো না
তোমার উষ্ণ মায়াবী বুকে মুখ রেখে
জীবন সেঁকে নিতাম আর একবার ,
তুমি আসো না বলেই , তুমি আসো না বলেই
কত কিছু করা হল না ,
তুমি আসো না বলেই এই মোম প্রান
...............অন্য কোন আগুনেই গলল না ,
অনবরত এ আগুন সে আগুনে হাত রেখে
দেখলাম , কিন্তু সেই
তাপ কোথায় ? রোজ রাতে ঘর্ষণ জনিত
যৌবিক নিয়মে আমার শরীর
..................অনুভব করতো
হিম ঠাণ্ডা বরফ ও গলে যায় , মেরু সাগর ও
ভাঙ্গে যদি উত্তাপ টা আসে মনে মনে
শরীরে শরীরে ,
শরীর কখনো মনের প্রতিবিম্ব হয়ে উঠেতে
পেরেছে কিনা জানি না
শরীর মন কে নিয়ন্ত্রন করতে পেরেছে কিনা
তাও জানি না
শুধু জানি
প্রতিটি হিমেল রাতে
প্রতিটি হিম বাহু স্রতে
তুমি থাকো বলেই
নগ্ন শীতে ও বেঁচে থাকে জীবন ।

এখন গান শোনার সময় না গান বাঁধার সময়
এখন খাবার সময় না খাদ্য সঞ্চয়ের সময়
এখন হাত তালি দেবার সময় না হাত সঙ্ঘবদ্ধ করার সময়
এখন ঘুমনোর সময় নয় রাত পাহারার সময়
এখন যুদ্ধের সময় নয় অস্ত্র শান দেবার সময়
এখন মৃত্যুর সময় নয় জন্ম কাল এখন
এখন দৌড়ানোর সময় না রাজপথ পদদলিত করার সময়
এখন নিঃশ্বাস নেবার সময় না এখন প্রশ্বাস জমিয়ে রাখার সময়
এখন কোন প্রেমের গল্প সময় না জন প্রেমে মাতবার সময়
এবার হও প্রস্তুত
এসে গেছে রাজ দম্ভ উপড়ানোর সময় ...।।

ওরা জানে না
ওরা কি করলো
ওদের ক্ষমা করে দিয়ো ......
শুধু বাণী হয়ে রয়ে গেল মনে...
তোমার সন্তান তোমাকেই খুন করছে রোজ রাতে......
তুমি কেড়ে নেও ক্ষমতা দম্ভ ,
কেড়ে সংহারক অস্ত্র ভাণ্ডার ,
বলে দেও মানুষ মেরে হয়না কোন ক্রুসেড জয়......
মানুষ কে জয় করতে হলে...... মনটাকে জয় করতে হয় ।

জীবন


‎...।। জীবন ...

ছিরে গেছে সব টান
......মায়াবী চোখের ভাসা পরেতে গেছি ভুলে
যুবক বয়সের শীরা যেন ভয়ঙ্কর সব উল্কি,
দানব মুখের ভীরে
হারিয়েছে মুখাচ্ছবি প্রেমের,
দাম্ভিক রাহুলের চোখ বাঁধা
নিয়তির গামছায় ,
... রক্ত লেগে থাকা চাকা ক্ষতে
সে বলছে আমি তো ছিলাম একটু আগে !
সুবল ক্যাটরিনায় উপড়ে পরা শেকর
.........সত্য কথা বলে
জীবনের গন্ধ লেগে থাকা মুহূর্ত জেন নাবান্ন ,
ছিরে গেলে ভেততের যোগ সুত্র নাড়ি
............ আমি একা ,
যাবার আগে ও কিছু মায়া রয়ে যায়
শিমুলের ফুলে ফুলে , গরু গাড়ির ক্যাচর ক্যাচরে
ইলিশ গন্ধময় মায়া রয় জেগে,
বলে এখেই ছিলাম আমি
ফড়িঙের পাখানায় রোদ সাতার কেটে
শীতলতা ভুলে , উষ্ণ প্রলেপ গায়ে মেখে
হেসে খেলে
রাত জেগে যাত্রা পালায় চিনে বাদামে ,
মনময় কীর্তনে ,
নিশাচর পাখির চোখে চোখে , ধান সিদ্ধ সকালে
সূর্যমুখী খেজুর গুরে...
পিঁপড়ের আন্দোলনে
সন্তান জন্মানোর আগে সন্তান জন্মানোর পরে......
বেস ছিলাম......
আর কিছু স্বাদ ছিল মনে.........
বিট ক্ষয়া টায়ারের পেটে পরে... কি লাভ হোল
বল জীবন !

মাইকেল ১০


‎.........মাইকেল ১০...।।

সেই গন্ধটা আর পাই না মনে
শ্রাবণের নর্দমা নর্দমা সোনালী আঁশ জাগ দেওয়া
ভাতের থালার সাথে আরবিয় আতরের মতো সেই গন্ধ
বলতো কেমন লাগে এবার দ্যাখ !
এখন শরীরের প্রতিটি ভংগ্নাওংস ময় বগলতলি কটিদেশ
প্যারিস পারফিউম এ ঢেকেছে
বোধহয় জানওার জানওার গন্ধ ঢাকতে ,
মানুষ তো এক সময় ওদের ই সহোদর ছিল না !
জানো তো প্রিতাম
গত সোমবার
প্যারিসের বিখ্যাত রেড লাইট এ গিয়েছিলাম ,
খমখ 100 ফ্রাঙ্ক গেলো ভেবেছিলাম... কিন্তু কি জানো
আমি যখন ওর চোখে চোখ রাখলাম নিমেষে ওর চোখ
নেমে এল নিচে...
লজ্জা রঙ কি পৃথিবী জুরেই এক......

চুরমার করে দেওয়া রোমাঞ্চ গুলো জমিয়ে রাখুন
............এই শেষ প্রহরে যদি পেয়ে যায় তার দ্যাখা
পুরোহিত অঞ্জলি মতো ছুড়ে দেবো আমি তার মুখে
বলবো
ভুলবো বললেই কি ভুলতে পেরেছিস আমার অস্তিত্ত কে ?

উপভোগ


‎.........।।উপভোগ ।

আমাকে আগলে রেখো আরো কিছু সময় তোমার
যুগল স্তনবৃন্তে ,
অমৃত স্বাদ লেগে থাকা ধূলিময় গেরুরা গোধূলি
শুধু স্বপ্ন নয়
আমার ই আরো একটা আস্ত সত্ত্বা,আগলে রাখো তুমি
তোমার ই বিনুনি নদী চুলে ,
যে দিকেই ঢাকের বাদ্য বাজনা শুনি সে তো শুধু শব্দ নয়
রণ ডঙ্কা , ১৮ অহয়নি হয় বাহিনী আসছে ধেয়ে
১৯ দিবস কুরুক্ষেত্র সমরে আমাকে করেছে সেনাপতি...
আমি তোমার নাভিদেশ স্পর্শ করবো এখন ই
মেপে নিয়ে শরীরের উষ্ণতা কোষে কোষে জিনের আবেদন নিয়ে বলবো
আমি দুর্যোধন বংশধর
দ্বৈপায়ন হ্রদে লুকিয়ে থাকবো না আজীবন , আই তুই দাড়িয়ে আছি
মাথা সোজা করে
বধ কর আমাকে...... দাড়িয়ে আছি মৃত্যু কামনায় !
মৃত্যু আরো দুদণ্ড সময় ভিক্ষা মাগি...
প্রিয়তমা , এই কুরুক্ষেত্রে জয় পরাজয় সব মিথ্যা অভিনয়
রোজ মরছি মনে মনে প্রেমে অপ্রেমে , দন্দে ধন্দে
রোজ মরে মরে মননে মননে স্বপনে জাগরণে" দ্রোণে "
নেই কোন আক্ষেপ আর কোন মৃত্যু তে
শুধু শেষ অনুনয়ে তোমার জরায়ু গর্ভে নব দুব্বাদল শ্যাম রেখে
যেতে পারলে মৃত্যু টা উপভোগ করা যেতো !

ঘটনা সবার জানা তাই নেই উপসংহারের প্রয়েজন ,
স্বপ্ন সওদাগর জান্ত মনের কোণে
দুঃস্বপ্ন রোমন্থন হয়ে ওঠে আরো গভীর হৃদয়বিদারক যন্ত্রণার ,
সপ্ত ডিঙ্গা বাণিজ্য তরী ভাসছে শ্যামলী বাংলার মুখে মুখে
এঘাট ভরে যায় নারকেল শাঁসে , নেই নেই এ তরী ডুববে এখনি ,

সংসার


‎.................. সংসার ...।
ক্রমশ দমবন্ধ ভীরে আমার প্রশ্বাস গতিবেগ যাচ্ছে থমকে ,
প্রতিবার ই ঘোলাটে আয়নার মুখ বাড়িয়ে দেখি আলো- আধারি
এই খুপরি ঘরে বলিরেখা কতোটা জয় করেছে কপোল ,
ছারপোকা সহবস্থান চেনা ছন্দ বিছানায় টালি চাল ফাঁক গলে
হিসেবী রোদ্দুর জোসনা পড়েছে মুখে...... তখনি ক্ষনা টিকটিকির
যৌবিক পরে ন্যাজ পরে খসে , লাফায় তিড়িং বিরিং কোন প্রান বায়ুর
আকর্ষণে কে জানে ?
এতদিন অবধি হাতের তালুর পরিচিত জালে আঁটকে রেখেছি সময়
যাত্রা অট্ট হাসিতে মুছে দিয়েছি দুঃখ দিনকাল ,
প্রথম যৌবন প্রেয়সী একসময় চাঁদ হোল , শুঁক তারা হোল , একদিন
নীহারিকা পুঞ্জে ছায়া বিলাতা বিলাতে হারিয়ে গেল আমারই বাপাশের
বুক থেকে , প্রথমত কয়েকদিন এগ্রহ সে গ্রহ উজার করে খুঁজলাম
যদি তার অনু ছায়া টুকু পাই...... স্নান করে নেব এই এবেলায় , সেখানেই ,
এখন টের পাচ্ছি গেঁটে বাত আঁকড়ে ধরছে শরীর শিথিল অঙ্গ
রাসটক আর পালসেটিলা মাদার রোজ তিন বেলা... তবুও নিস্তার নেই...
জীবন মধুমাস তো ক্ষণস্থায়ী কিছু আত্মবিশ্বাস , কমজোর শরীর মনের
থেকে ও ক্ষতিকর সম্মিলিত দুর্বলের আধার ,
নারীকে এই বয়সে পেলে গুছিয়ে সংসার করে নিতাম একবার...।

ইতিহাস


‎............. ইতিহাস ...।।

বাতিস্তম্ভ নিশানায় রেখে উত্তরের হাওয়ায়
ছেড়েছি পাল ,
মনের বাধন দিয়েছে খুলে...
যেদিকে যেতে চাস যা না তুই...
পাপ পূর্ণের সীমারেখা ভুলে ,
জানিস না তুই ?
তোর বলিষ্ঠ পূর্বপুরুষের দল
অদরিয়ার জাহাজ ঘাটে
আমার সভ্যতা ভেঙ্গেই তো
......... তোর ইতিহাস লিখে গেছেন এখানে...
অনেক বার , এখনো ,
শিলা নুড়ি শঙ্খ
... ঝুটা মুক্তা অক্লেশে মাড়িয়ে দুপায়ে
কালো সভ্য চামড়ার তেলে
......... করেছে নবান্ন রাত্রি পালন , এখানে ,
যা তুই......
পাল ছেড়ে দে হাওয়ার অভিমুখে
বিগত ইতিহাসে স্মিতি সৌধ ভেঙ্গে দে
তোর কালো জঙ্ঘার ঘাতে......
নতুন ইতিহাস লেখা হবে এখানে......
...... তুই বিজয়ী
পরাজিত পূর্ব ইতিহাসের নায়কি
...... বংশধররা এখানে...।।

প্রিয়তমা


‎............।। প্রিয়তমা ...।

দাড়িয়ে দাড়িয়ে পার্থিব জগত দেখছিলাম একমনে
...............তুমি আমার পাশ দিয়ে চলে গেলে তুরিত বেগে
আমি বুঝলাম না ,
গল্পটা এভাবে শুরু করা যেতো , কিন্তু করছি না ,
শ্যাম নিমন্ত্রনে গেরুয়া বসনে যেদিন ঘর ছেড়েছিলে
............ সেদিনও এই রকম এক আশ্চর্য
আলো আধারি বেলার মায়াতে এখানেই দারিয়েছিলাম
সেদিনও তুমি দেখনি ।
বুকের মায়া তো রক্ত প্রবাহ , প্রতিক্ষণে প্রবাহিত
...............অঙ্গচালনে হোক স্থিথবাস্থনে ,
মন ছায়াসঙ্গী নিয়ত বায়ুপ্রবাহ , জরায়ুতে শক্তি ঢেলে ও
......... উড়ে চলে অন্য যোনীর দেশে
তক্ষুনি ,
তুমি বুঝেছিলে যখন বুঝতে পারি , তখনই যবনিকা পতন
ভালোবাসার ,
তুমি শ্যাম ডাক শুনেছিলে গভীর আবেশে , ছন্দে , একবারই ,
তাইতো এখন আমার উপলব্ধিতে বাঁচাতে চাইছি তোমাকে...
......... বিমূর্ত বধির এই কানে সেই সুর ভেসে আসে যদি কোন
নির্মল ক্ষনে
তুমি সাথে কি নেবে প্রিয়তমা ?

সন্তান


‎.......।।ঈশ্বরের সন্তান ...।

ঈশ্বরের স্বাদ
লেগে আছে তোর নরম ঠোটে
............ আমাকে দে না ভাগ এই হিমেল
রাত্রি অন্ধকারে......
আয় না তুই চুপি চুপি
.........চাঁপা অন্ধকারে
শ্মশান কাঠ দুপায়ে উপড়ে
......সরস ডানায় ভর করে
আমি তুই যায় চলে যায় অন্য
...... শান্তি গ্রহে ,
পৃথিবীর আর্থিক হুন্ডি দুএক জনের হাতে
............অধিকার কেড়ে নেয় এক ঈশারায়
একটায় অঙ্গুলি হেলনে......
জন্ম দোষে পাপ চক্রে
......বিচালি গাদায় মাথা গুঁজে
নিশি যায় রোদ আসে
......আমার স্থবিরতা দীর্ঘ
পথ অতিক্রম করে
...... আমার ই রক্ত বীজে আক্রমন করে
অজান্তে ,
আমি শুধু জান্তিব চোখ দিয়ে দেখি...
............ শুধু দেখে যেতে হয়...
একসময় বুজতে পারে সে ও
আমাদের কাঁদতে নে
আমাদের এখানে খিদে পেতে নেই
......... এখানে শুধু দুহাত পেতে চাইতে হয়...
না হলে রঙ চঙে সেমিনার কেন হবে...
.........কে শুনবে ওদের কথা...
তোরা আর কাদিস না...
......তোরা কাদলে
আমি প্রত্যেকটা শুখনো কাষ্ঠ খণ্ডে
দেখি খ্রিষ্টের মুখ...।।

কথকপকথন


‎.........। কথোপকথন ...।

কতকিছু ই তো দেখিনি আমি
দেশভাগ ,ছেচল্লিশের বিবেক বধ
নব্য সাম্রাজ্য পতন এমন কি
পুরবের ৭৬ মরনান্তর,
তোমাকেও দেখিনি আমি
অনেক বড় হয়ে
মায়ের মুখে শুনে এঁকেছি তোমার ছবি ,

তুমি ও দেখনি আমায়
যদিও দেখা হওয়া টা ছিল দুস্তর ,
যেমন বাঘিনী জন্ম দিয়ে শাবক
পিতা থাকে তিন মাস পাশা পাশি
শাবকের উষ্ণতা ভালোবেসে
.........তুমি তো তা ও থাকনি , পিতা ,
ঈশ্বরপ্রদত্ত আঙ্গুল গুলি যখন খুঁজতো
তোমার মায়া , তখন তুমি পরিযায়ী
পাখিও নও ,
যখন আমার রাক্ষস ইঁদুরে দাত কাটতে
চাইতো তোমার শরীর
তখন তুমি পাড়ার ভয় পেয়ে
লেজ গোঁতানো কুকুর ও নও ।

তোমার কোন দোষ দিই না আমি ,
তুমি তো কোন দোষ করনি ,
............তুমি তোমার ধর্ম পালন করেছো ,
আমি শুধু হারিয়ে ফেলেছি জীবনে
হাটি হাটি পা পার সোনালী বিকাল
রোদের ছায়াতে এক সাথে গঙ্গা স্নান,
স্কুল পরিচয়ে পিতৃ পরিচয় ,
বর্ণপরিচয়ের গোপালের গল্প ,
রক্ত মাংসের একটা আস্ত ঘোড়া ,
আরো কিছু
অন্ধ চোখের জল ,...... কোন শোক নেই আমার ,
নেই কোন অতৃপ্তি ,
শুধু একা হলে... দেখি কার্নিশে রোদ নাচে
আহ্লাদী বাছুরে মতো ,
আর সেই শাশ্বত বাবা ডাক মিলিয়ে যায় ছায়ার
অভিঘাতে অনন্ত বার......

জানা গল্প


‎..........জানা গল্প ...

আঙ্গুল গুলো জ্যান্ত সাঁড়াশি
চেপে ধরেছে গ্রীবাদেশ
কতক্ষণ লড়াই করতে পারবে
তুলতুলে আত্মা
নারায়ণ জানেন !
সে যেদিন ঘরে এলাম আমি অষ্টাদশী ,
সে আমার থেকেও তেরো বছরের
বেশী সময়ের পৃথিবী দর্শী ,
বনেদী পরিবার আর
সাইরেন গাড়ির কাছাকাছির মানুষ
গাড়ির তেলে নাকি
দুদস ডজন আমাদের মতন মানুষ
হেসে খেলে
সন্তান জন্ম দিয়ে কাটিয়ে দিতে পারে
বছর......
আমার নাকি রুপছিল , চাপা নয়
পর্দার ছায়া ছবির মতো
উজ্জল রুপ , আগুন ছিল ,
পতঙ্গ ছিল বাইরে
ঝাঁপানোর প্রতীক্ষায় , আমি জানতাম ,
আসতেই হোল এখানে......
প্রথম প্রথম লেট নাইট পার্টি রঙচঙ সঙ্গ
লাগতো বেশ ,
এর পরে সেই নিয়ম
সেই ঋতু পরিবর্তন আবর্তনে ,
আমি শীত হয়ে থেকে গেলাম , আর সে
পরিপূর্ণ বারো ঋতু ,
কতক্ষণ শীত ভাল লাগে
... তাই সাঁড়াশি চাপে আমি উষ্ণ হয়ে
আবার চিরকালীন
শীতলতায় ডুবে যাচ্ছি

আত্মা সন্তর্পণে উইঢিবি পার হয়ে নিমেশে
খোঁজে বাল্মিকির হৃদয়
তস্কর মহা ঋষি
... পাপের ভাগ শুধু নিজের রয়ে যায়

মাইকেল ১০


‎.........।। মাইকেল ১০ ...।

জাহাজঘাটে লোকজন মনোরম আত্মভোলা
আফ্রিকান সাফারির শেষ প্রতিনিধি জেনো ,
দুঃখগুলো ছোট ছোট ব্যাগে ভরে বড় বড়
জাহাজ কোম্পানির ক্যান্টেনারে চাপিয়ে
ছুরে ফেলেছে নিরুদেশে , কে জানে কোন
মহাসাগরে ভাসছে লাল নীল গেরুয়া দুঃখ দুঃখ মন !
ভেসে চলছি বেশ ,
ভাসতে আনন্দের থেকেও মজা অনেক বেশি , আনন্দ
ছোট্ট বেলার হাত গুনতি খুচরো পয়সা , শেষ হয়ে যায়
নিমেষে , মজা ,পাখির ডানায় লেগে থাকা হাওয়া
হিসেব করে ব্যবহার করতে জানলে শেষ ই হতে চাইনা ,
ক্যাপ্টেন ঘোষণা করল মাত্র... সাতদিনে কেপটাউন ইন করবে,
ওখানেই পাবো তার দ্যাখা ,
সেই মনোরঞ্জন রোম্যান সভ্যতার গ্ল্যাডিয়েটর ,
আমরা ও তো লড়ছি প্রতিদিন......
সত্যি আমরা আছি ,না ছিল গ্ল্যাডিয়েটর দেখবো আমি...
যে ডুয়েল শুরু করেছিলে তুমি, তার শেষ
আছে কি ? না এখনো গ্ল্যাডিয়েটর জন্মাচ্ছে
প্রতিদিন এখানে , তুমি জানো ? আমি জানি !


অনেকটা পথ নিচু হয়ে হেটে এসে
আমার দৃষ্টি নিবদ্ধ সীমাহীন মহাকালের
আড়তে ,
ভাঙ্গাচোরা আফিম পথ নির্দেশিত
আমি পতাকা বাহক , তুমি সর্বশেষ পাচক
এযুগের ,
সৃষ্টি কতক্ষণ বা কথা কইতে পারে তোমার সাথে
মন যদি নোলা জলের ঢেউ ,
দুর্বোধ্য শব্দ সংযোজনে মায়া থাকতে পারে, কাব্য ও বা ,
আমার পেটে ভাত নেই ,
নিচুতলার মানুষ নিতে ভাষণ বার বার
তোমার তাতে রুচি নেই , কবি ,
যতি , মাত্রা , অপিনিহিতি , ধ্বনির উৎপত্তি
যনি আর যোনী
মানে তুমি খোজ
আমি আছি মন ভাঙ্গতে ,

সুজন বন্ধু


‎...। সুজনবন্ধু ...

বেশ করে বোকে দেও না তুমি
আমার দুঃখ রঙটাকে ,
এক পায়ে তাল গাছ করে রাখলেও
আমি রোদের উত্তাপ ভয়ে
বলবো না
এবার ছেড়ে দেও ,
তুমি তো সুজন বন্ধু আমার
যখন ই আমার শরীরে
মিষ্টি মিষ্টি গন্ধ থাকে...
তুমি ঠিক
খোজ পেয়ে পিঁপড়ে ,
আমি জানি তুমি আসবেই
মিষ্টি গন্ধ তোমার
বড় প্রিয় ,
আরো আছে পিঁপড়ে
সুজন বন্ধু আমার
......তুমি ও জানো আমিও ,
এই কদিন
আমার শরীরে
একটু ও চিনি নেই
শুধু খার বেরুচ্ছে
অসময়ে স্নান করছি তো তাই !
রাস্তায় এলাম
তুমি আমার পাশ হন হন হেটে গেলে
আমি ডাকলাম
তুমি আসছি বলে সেই যে গেলে
আর এলে না
যত দিন না
আমার শরীরে মিষ্টি মিষ্টি গন্ধ
ফিরে এলো ।

অভিমুখ


‎.........। অভিমুখ ...।

পূবালী হাওয়ার নদী
শিরদাঁড়া টানটান স্রোতে
মাটির গায়ে রেখে ইতিহাস
বেহেমিয়ান জীবন
কখন স্রোতে
কখন শ্যাওলা
হারিয়েছে দিশা ,
স্রোত প্রতিদ্বন্দ্বী স্রোতের
মনের প্রতিদ্বন্দ্বী মন
জলের গহনতায় আছে
গুপ্ত মানে
সে নিজেও জানে কিছু
বা নিজেই জানে না,
আমারও সম্মুখ যতটুকু
পেছনটা
জেট প্লেনের মায়াবী পুচ্ছ
ধোয়া
শুধু দ্যাখা
হাত বাড়ালেই তিমির ,
সেই নদী
যদি আদর্শ হতে পারে
তবে সঙ্গম আছে
জীবন্ত , আছে তিন প্রবাহ
মেপে মেপে ,
ক্ষয় করে সঞ্চয় আছে
জঞ্জালে গরে ওঠা
ভূমিভাগ আছে জেগে...
আমি অনিত্য প্রবাহে
তবুও তিন গতি
ক্ষয় আছে
সঞ্চয় ভূমিভাগ
নেই কেন ?

ঢেউ ভুলে গেছে পূর্বজন্ম কথামালা
প্রতিরোধ বিহীন
নব্য ঢেউয়ের আক্রোশে
বারবার , এখানেই ,
আমি এখানে
ভিড়ভাট্টা উপড়ে
হাত রাখি মরচে ধরা
চেনে বাসের হাতলে...
পৃথিবী পরিক্রমণ স্বপ্নে স্বপ্নে ,
পূর্ব অনুরাগ
বাস হাতল থেকে
ছিটকে ফেললো
নিচে ।

মাইকেল ১১


‎...... মাইকেল ১১

ময়ময় ঘাম ঘাম গন্ধ
এক পেয়ালা বিলেতে সুধা রসে ও
গেল না ,সেই যেন পুষ্ট
মদ্দা ছাগলের
বোটকা মধুময়তা ,
বয়লার চুল্লীতে
যত না কাঠ কয়লা প্রবেশ
তার দিগুণ জল ঢুকে
পাকস্থলিতে
এখন দর দর
শ্রাবণ ধারা নামছে অঙ্গে ,
জিলাপি প্যাঁচ পথ
কোন অবসরে প্রবেশ মনে
বুঝতে পারেনি সেদিনও
এখন বুঝে
হাজার দুয়ারী
রুদ্ধ পালায়ন সেই অভিমুখ ,
সুখ অন্বেষণে
মার্চেন্ট নেভি আর বয়লার
মুখাগ্নি
পোর্ট থেকে পোর্ট
সময় কে বন্ধি রেখে
জীবনের গান ক্ষণস্থায়ী
মাইকেল বুঝছে জীবন দিয়ে ।

চার পাঁচটা একুশে যৌবন মিলে
আস্ত একটা আমার উপস্থিতি ,
একপাশে তুমি
অন্য চারটে আঙ্গিকে
আমার মনান্ধ স্বপ খেলা করে
জান্তিব শশীর নিয়ে
শুধু আমি জানি !
তুমিও জানো মন !

জলের আবর্তন থেকে যাবে শুধু
মিছা রাজস্থানি আশা
এই শুক্লপক্ষ কাল যেদিন ইতিহাস হবে
আমি যেখানে থাকি
আমার জন্ম এখানে
লিখে রাখবেনা কোন ঐতিহাসিক , কবি ,
আমি জানি,

৪৪৪


‎.........সময় সরণি

একরাত জেগে ভোরের মায়ালি অনুরণনে
পর্দাশিন মুখাকৃতি হঠাৎ সতেজ হাওয়ার
অভিঘাতে তেড়ে ফুড়ে বীতশোক ভুলে
গেয়ে ওঠে সূর্য বন্ধনা , অবাক লাগে !
যত গুলো আমিত্ব দিয়ে গড়েছিলাম
হিসাবী সংসার
যেন আলোর প্রতিবিম্বে বসতি স্থাপন ,
যেন জীবন ভুলে ছায়ার প্রপাতে
বন্ধুত্ব স্থাপন ,
যেন সূর্য উপেক্ষায় আলেয়ার আলোতে
দিন যাপন ,
আঙ্গুলের ডগায় লেগে থাকে যেসব অহিসেবি
দিনের সূর্যমুখী খেজুর গুড়ের স্বাদ ,
পাকা জামের রক্তে বিমুর রংবে রঙের
কৌশরি জামা , অযত্নে আলনার পেছনের সারিতে
এখনো আছে বোধহয় , আছে বোধহয়
আমার স্মিতি ঘরে বন্ধি হয়ে , এক ই যায়গায় ,

থাপ্পড়


‎.........থাপ্পর ...।

চক্রাকারে আবর্তিত
তোমার ছরানো ছিটানো অচেনা পথে
সেই ষোড়শী মায়াবেলা থেকে
আজ পর্যন্ত ,
তুমি মহাকাশপুঞ্জ
আমি সৌরজগৎ ও নই
আমি গ্রহ ও নই
নিদেন উপগ্রহ তা ও নই ,
তবু
একশত আলোক বর্ষ দূরে
এই অচেনে রামচন্দ্রপুরে
আমি আছি
তোমাকেই সূর্য ভেবে
আমি আশা জাগানো মঙ্গল ,
তবু , যদি
ভাঙ্গাচোরা নিয়মের ইতিহাসে
বা বিজ্ঞানে
মহাপ্রলয়ের অনিয়ন্ত্রিত
সন্ধিক্ষণে
যদি দেখি তুমি আছো
সুখে দুঃখে বা অনুরাগে
একটা থাপ্পড়
তোমার মুখে
নারীর শরীরের
একতা মনও আছে......
পুরুষ

নায়ক


‎.........। নায়ক...।

সেই গল্পে তোমাকে নয়কের চরিত্র দেবো বলে
সন্ধ্যা নামিয়েছি আমার মনে
ত্রিমাত্রিক সময়ের
শেষ অনুক্ষণে , প্রিয় ,
সমগোত্র ধাতব সংঘাতে যত না আর্তনাদ বাজে
রেষ রেখেযায় কুহরে
ততোধিক বিচিত্র অভিনবত্বে ,
যত দূর চোখ যায়
ততো দূর , ততাধিক মন ছেয়ে দিয়ে
শূন্য বিছানায়
তুলতুলে মনকে বলি , সব দৃশ্য দৃশ্য নয়
দে দ্যাখো তুমি
তা সব সময় তোমার নয় ,

তোমাকে নায়ক চরিত্র দেবো বলে
হাতের মুথোতে ধরে প্রজান্মিক সময়
স্নেহ চুম্বন প্রগর বন্ধন অস্তিত্তের
জন্মগ্রন্থি আম গাছের মায়া
বাতাবী নেবুর সুরেলা অগ্নিভ রস
পিঠে কুলি পায়েস
মানবিক মংলা দুধেলুর হাম্বা ডাক
করমচার অগ্রিম অভিনন্দন
লাউ চিংড়ির মায়ের অমৃত রসন
ঠাকুমার গেটে বাতের মলম
হুকর জলের নেশাতুর গন্ধানুভুতি
ছেড়ে
যেদিন পথে নামলাম ,
তোমার হাতটা ধরলাম
সেই উত্তাপ উধাহ !
তুমি ভাসছ যে জলে , যে ঢেউ ভেঙ্গে তুমি এগুচ্ছো
আমার অজানা , অচেনা ,
আমি ডুবছি নর্দমা পাকে
তবুও ঠায় নেই এখানে !


সে ছেলেটা
জাগর কেটে দুঃখে
সেই যে বেরুলো সেবার
পেছনে রেখে মায়ের মায়া , খোকন ডাক ,
বিপরীত স্রোতে পড়ে
কোথায় হারিয়ে গেলে
কোন পাকে , কোন খাঁদে আছে বেঁচে
তুমি খবর রেখেছ ? বন্ধু ?

জাতক


‎......। জাতক ...।।

দুনে আমার বাস
আমার তের পুরুষের বাস
এখানেই পা দাপাদাপি
গোল্লাছুট
পুতুল বিয়ে , মহরা প্রেমের ,
ঝুম চাষে
আমার পেটের ভাত , আমার
সন্তান উৎপাদন
রহস্যময়টার সিঁড়ি ধরে
পাইন ফুলের খোজ
এখনো ,
আমার নিঃশ্বাসে বিশ্বাস বিশ্ব
সিগনাল উপত্যকা ,
আমার ধনুক ভাঙ্গা পণে
গাড়োয়াল রাধা মালতী বধু ,
তুমি এলে
হাটে বাজারে বিশ্বাসে
ভাঙতে মন
সিগারেটের আধ পোড়া ফিলটার আর
কিংফিশারের জাদু ক্যানে
তোমার মনের মুগ্ধতা ক্যাননে বন্ধি করে
হাসি দিয়ে
শীতল রাতের উষ্ণ সম্ভোগে
কতবার , জনতা ,
এখানেই আমার বাবার ফেলে যাওয়া
জিম করবেটে জীবন
আমার পোয়াতি স্ত্রীর দশমাস ,
আমার শ্মশান পাড়া
আমার কুয়াশা ভোর
আমার গোলাপি মেঘে বৃষ্টি
অঙ্গীকার ,
তুমি এলে
জেনো নক্ষত্র বিজয়ী রণনেতা
সৃষ্টি মহিমা ব্যাঙ্গ দুহাতে
তোমার দম্ভে ,
তোমার জীনগত স্বভাবে , যা সুন্দর ,
তাকে খরিদ করতে চেয়েছ ,
সুন্দর বিক্রি করছো রাস্তা ঘাতে !

আমার দেশ


‎.........আমার দেশ ...

একতাই বুলেট
সেদিন যখন বধির অন্ধকার নামছে আমার গায়ে
শঙ্খধ্বনি ময় ময় পাড়া ঝিঁঝিঁ ডাকে নিস্তব্ধ
কোলাহল মধুময়তা তুলে রেখে শীকেই কি হয় কি হয়
পাখির দল বাঁশ বাগানের মগ চঞ্চিতে চুপ ,
একটা ট্রি নট ট্রি
আমার হৃদপিণ্ড আঃ আওয়াজ করে থেমে গেলো একবার ,
খানিকটা কালচে রক্ত পিচকারি,নিকালো মাটি দেওয়ালে
অসময়ে ,
তখন তোমার পাড়ায় মন্দিরে মন্দিরে উলুধ্বনি , মন্ত্রপাঠ ,
নতুন ঈশ্বর গর্ভ উন্মুক্ত ,
দেশ
তোমাদের রাজকীয় দম্ভ সোপানে
এ কোন যুদ্ধ
এ কোন কুরুক্ষেত্রে সন্তানের বুকে অস্ত্র রেখে দেখছ যুদ্ধ জয়ের স্বপ্ন
দেশ !
আমার জীবনের গন্ধ লেগে থাকা মনে আরো কিছু ছিল অতৃপ্তি , ভালোবাসা ,
নিখাদ যৌনতা , পেয়াজ ক্ষেতে সূর্য স্নান , আলোর স্পন্দনে
মুঠি মুঠি ফোকলা পানসে দাতের হাসি ,
গোবরের অনুমেয় অনুরোধে নিকানো চণ্ডীমণ্ডপ বারান্দা আরো কিছুবার ,
আমিতো কোন বিপ্লব স্বপ্ন দেখিনি , বন্ধু ,
আমিতো মৃত্যু বীজ বপন করিনি সংসারে ,
আমিতো বলিনি দেশ দেখে নেব তোরে রাত নামুক অন্ধকারে...
বল তবে
শুধু লাইন এ দাঁড়িয়েছিলাম আমার জন্য , আমার সন্তানের জন্য ,
ক্ষুধা ভুলে গিয়ে
দু পেট ভরে খাচ্ছি আমি খাচ্ছে সে এই স্বপ্ন বুকে নিয়ে ,
বল দেশ
কি ছিল আমার অপরাধ !
কোন অপরাধে পিতা ধরতে পাতে অস্ত্র সন্তানের বিরুদ্ধে ,
বল দেশ !

আধার


আঁধার পেড়িয়ে আলোর উৎস সন্ধানে
আমি ,
মোমবাতি গলনে সূর্য বিদ্যুতের ব্যাঙ্গে আমি খুজি
জীবন্ত লাশ ,
মহুয়া মাতাল বনে হাড়িয়া অমৃতে
জেগে থাকে আমার জিহ্বার স্বাদগ্রন্থি ,
হাতির পায়ে পায়ে ছোট ছোট অসহয়
মৃত্যু যন্ত্রণা , আমি ,
বলিষ্ঠ পদক্ষেপে রাজপথ নর্তকী মেলা
আমি বাদাম বিক্রেতা ,
পরশুরাম কুঠারে মাতৃহন্তা
আমি দুধের শিশু ,
গঙ্গা ফরিঙ্গের ডানায় লটকানো জিবলি আঠায়
আমি পাক্কা কিশোর ,
ধ্বনি ব্যাঞ্জনি রাত জেগে হ্যারিকেনে
আমি ঠাকুমার মুখের দিকে চেয়ে
ঠাকুমার ঝুলি ,
পশ্চিম রণডঙ্কা আমার দেশ আমার প্রতিবেশী
আমি মিরা গান খুজি !

২০১২


এই হৃদপিণ্ড বাঁচিয়ে রেখেছি আরো কতদিনের জন্য ,
একবার তোমার মনের প্রতিধ্বনি তুলে যায় যদি যাক চলে
চিরতরে স্তব্ধ হবে জেনে ,
আমি করবো না কোন প্রতিবাদ ,
শুধু যেন জেনে যেতে পারি
২০১২ তোমাকে তোমাকে দিয়েছে কিছুটা সুস্থির সময়,
আত্ম বিশ্বাস
আর
বেঁচে থাকার হাতিয়ার,
প্রিয়তম !

ভালোবাসা


‎............ ভালোবাসা ...।

ছোট্ট করে এক ঘুরপাক
এতো মহাদেবের হাতের লাটিম
পুচ্ছ থেকে মস্তক গুঁজে নিয়ে সুতোই , এক টান , এখনো
পর্যন্ত অবাক ঘুরছে ,
এতো মায়াবী চাকার গল্প
আমার জন্ম থেকে ময় আমার অগুন্তি পূর্বপুরুষ ময় বানর
ঘূর্ণনে লটকে আছে সৃষ্টি রহস্য,
নিয়মেই আছে বেঁচে থাকা অমৃত জল,
গুনে গুনে পা ফেলো
আর টুপটাপ তুলে নেও পার্থিব সামগ্রী ,
কতশত নক্ষত্র আরো একটু সতর্ক হলে
কিছু উৎপাদন করলে মজুদ
আমরা সহোদর হতাম
ব্রমান্ধের কোন এক নক্ষত্র সংসারের ,
বুড়ো পৃথিবী
সেই যে ঘুরছো আলোকবর্ষ ধরে
সেই যে জলের প্রপাতে রেখে গেছো জীবন
সেই যে সূর্য এলবেডায় পাতার খাবার
কোন যাদু মন্ত্রে , কেন , কে জানে ,
আমার ছোট ছোট পা থেকে এক সময়
দানবের পা হল ,
এক সময় আমার মনের অত্যাচারে ভাঙল
রঞ্জকরশ্মি ,
আমার শকট , সাইরেনে কার্বন , মিথের অক্সসাইড
আমার ভালবাসায়
গ্রিন হাউস এফেক্ট ,
তবু তুমি আছো বলে ,
তুমি আছো বোলে তোমার সৃষ্টি বিবর্তনে ,
আমি আরো কিছু উৎপাতের অধিবর্ষ উদযাপন করতে চাই
ছিনে জোকের রক্ত চোষা মনে ,
তুমি আরো কিছুবার ফিরে আসো নতুন আঙ্গিকে ,
আমার দেশের যে ঘর গুলো ভাসে যায় প্রতিরাতে
বন্যা জোসনায়
তাদের ক্ষয়ে যাওয়া পাজরের রন্ধ্রে
তোমার নিয়মের রাজত্ব গুজে দিয়ে যাও
আমার প্রার্থনা লগ্নে , পৃথিবী , তুমি আছো
প্রতিরাতে গহন অন্ধমনে শুনেছি সেই ডাক আমি মনে মনে !

নির্জনতা


‎......।নির্জনতা এবং আমি বা তুমি মেয়ে ।।

এই জঙ্গলে ঘুরপাক খেতে খেতে
যখন আবিস্কার করলাম তুমি নেই
আমার পাশে , তখন
মহুয়া বনের ফাক দিয়ে
গেরুয়া সূর্য আমার সাথে খেলছে
লুকোচুরি ,
তুমি থাকবেনা জানলে
এই জলকাদা ভেঙ্গে
পারমদন ফরেস্টর কদম পেটে মাথা রেখে
বলতাম " তুই আমার সই হবি? "
আই জলদাকায় মিশে গিয়ে
গল্প করি
তোর আমার রক্তিম কালের,"

আমার মনের বিশেষ মুহূর্ত গুলোয়
তোমার অনুপস্থিত
মনে ভাবতে ভাবতে দেখি
বিশেষ শরীরী মুহূর্ত গুলোয়
তোমার আঙ্গুল
তখন তো বেশ খেলতে পারে
শরীরের চতুর কোনে ,
আমি দেখি
শরীরের অভিযোজনে তুমি
যতটা পারদর্শী ( ইচ্ছাকৃত হতে পারে !)
মনের আবেদনে ততাধিক শীতল ,
রোজ নিঃস্ব হলে চরাচর
ভীর করে মনের দরজায় আমার মানবিক জগত
আমি ভাসতে থাকি
সপ্ত ডিঙ্গা চরে চরাচরের সীমানা ছাড়িয়ে বেহুলা
দেবসভায়
আর তোমার আঙ্গুল গুলো খেলা করে আমার
রক্ত মাংসের সঙ্গে......
আমি বুঝি না ............

B


যেখানে বসিয়েছিলাম তোমায়
সেই আসন তুমি ফেলেছ ছুড়ে ,
যে স্বপ্নে তুমি ছিলে কদিন আগে
এখন বসিয়েছি অন্য আর একজনে ,
এটাই তোমার প্রাপ্তি স্বীকার প্রেমের ,

maikel 12


‎...। মাইকেল ১২ ...।

ফলাতে মাখিয়ে স্করপিয়ন বিষ আমার বুকে
ধরলো যখন কালো চার ফুটের জোয়ান
আমার বুকের রক্ত ডিসেম্বরের গুলমার্গ ,
আমি এখন কঙ্গ অববাহিকায় নিবিড়
সূর্য শত্রুতা বনের কোন এক খানে , গত সাতদিন,
কলকাতার সেই সর পুরিয়া এখনো মনের
সাথে বন্ধুত্ব বজিয়ে রেখেছে সমানতালে ,
কালকে একধরনের দাক্ষা রসে মাতাল হয়ে
স্বর্গ কাঠ আলোর আন্দোলনে সেই পশ্চাৎ দেশ
উচু মেয়েটার কোমরে আমার হাত শেষ রাত
অবধি ছিল এখন জেনে ভালো লাগছে , প্রীতম ,
আমি দেখতে পাচ্ছিলাম
আমার সভ্য জামা যাচ্ছে খোসে কঙ্গের চিরান্ধ বনে...
আমার চোখের সামনে থেকে অতি আধুনিক , আধুনিক ,
মধ্যযুগীয় পর্দা রাজধানীর মতো দূরের সময়...
শুধু আমার একটা লেজ নেই...
নইলে আমি বাদরের ভাই হয়ে লাফাতাম আনন্দে
এই শাখা থেকে অন্য শাখায় এই রাতে ।

b


আমার জানালা
আমার দৃষ্টি পথ ,
জালানার উপরে আস্ত চাঁদ
চাদের নিচে আমার সংসার ,
আমার জানালার উপরে আস্ত চাঁদ
চাদের নিচে বাবার সমাধিস্থল ,
আমার জানালার উপরে আস্ত চাঁদ
চাদের নিচে আমার নিহত ভাই ,

y


আমার ক্ষেতে পাকা ধান
আমি স্বপ্নে মশগুল ,
আমার উঠোনে হাঁটু জল
আমার দু ফোটা চোখের জলে
বাড়ল ধরণীতল ,
আমার ঘরে বাইরে শুধু
মৃত্যু ভয়
বল তুমি বিশল্যকরণী
পায় কোথায় ?

v2


ভয়ানক রক্ত উৎসবে প্যাঁচা রাত পাহারায় ,
আঁতুড় জন্ম ভাসিয়ে রাজপথে চার ফুট জল,
তুমি সাঁতার জানো না বলে ওকূল অন্ধকার !
আমি কবি আজ চার লাইনে , কালকে থাকবে তুমি ?
আমি ভেসে যাবো গাঙের জলে ?

t


যদি ভুলে যায়
তুমি নাম দিয়ো আত্ম বিড়ম্বনা ,
আলিঙ্গনে স্পর্শনাভুতি সুখে
বিষ পাত্র উল্টে পরে পাশে
ধুতরা মায়াতে বিবশ প্রানে হটাৎ তুমি ,
কাল রাত্রি এসে ভিজিয়ে দেয় আমার রোয়াক
শুধু শব্দ গুলো এক ঘেয়ে হাওয়ার অভিঘাতে
বলে দেয়
তাকে বলে দিয়ো আমি এসেছিলাম , এই রাতে ।

Friday 23 December 2011

maikel 07


‎......... মাইকেল ০৭

এক ফোটা জল গড়িয়ে পড়লো কপোলে
আর এক ফোটা গড়িয়ে পড়লো , গঙ্গোত্রী হিমবাহ চোখে
মন্দাকিনী হয়ে যাবে কিছুক্ষনে
সঙ্গমে অলকানন্দা দাড়িয়ে আছে হরিদ্বারে , আমার প্রতীক্ষায় ,
পটাশিয়াম সাইনাইট অস্তিনের ভাগে লটকে নিয়ে
জীবন শীতলতার অঙ্গীকারে যে শান্তি আছে বিদ্রোহীর
যে ধর্মান্ধ বুলি শেখানো তোতাপাখি ঠোটে
..................... মরণকে ব্যাঙ্গ করে
গনমরনে কি শান্তি ঘুম আছে ?
আর দু ফোটা জল গড়িয়ে পড়লো কপোলে মাইকেলের ,
অন্ধ বিশ্বাস রক্তে লেগে থাকা ভাইরাস আক্রমণ ,
যা বেড়ে যায় রোজ আর একটা অন্ধবিশ্বাসী স্বামী পেলে...
পশ্চিমের আধা ঘুমন্ত দানব
......... আধা ঘুমে রোজ স্বপ্ন দেখে আমার কুলীন রক্ত বইবে
পূর্বের ঘরে ঘরে ।

কবিতা ভালোবাসার নাম দেওয়া যাক বীতশোক ,
যখন তোমার অনুপস্থিতিতে মনটা ফাটা মাঠের শূন্যতা
নিয়ে দারীয়ে থাকে পরিচিত কেউ আসবে বলে ,
কিন্তু আসে না ,
তখন না হয় তোমাকে নিয়ে আমি বসবো নির্জন মনে ,
কবিতা ..................

নিম্বাস পেয়েছে আজ পরিচলনের অধিকার
নিরক্ষীয় অঞ্চল ভাসবে
এসে গেছে ঘূর্ণাবাত
সমূলে উৎপাটিত গাছের কোঠরে যে কটা ডিম
পরিত্রান না পেয়ে মৃত্যুর
বলে যায়
দানব মৃত্যু পেটের টাকে ও ছাড়লি না ...
যুগে যুগে

2


‎...।।
তারপর কত কথা
শিউলি সুগন্ধি হয়ে ঝরে পড়লো রাত বিছানায়
তক্ষনি শেষ রাতের রামপুরহাট ফাস্ট প্যাসেঞ্জার
গোঙাতে গোঙাতে ফুড়ুৎ
জানালার ভাঙ্গা শার্শি ভেদ করে কয়েক মুঠো কার্বন
লেপে দিয়ে গেলো নিকসা প্রলেপ... তুমি দেখেছিলে,
প্রথমত কয়েকদিন মনে থাকে নাম ধাম গোত্র পরিচয়
............... কয়েকদিন মেখে মেখে দুঃখ রঙ সারাদিন , সারারাত ,
১২ বাই ১২ ঘর জতুঘর হয়ে বেঁচে থেকে শরীরে বা মনে
......... কিছুপল
আবার নতুন ফুল
আবার নতুন ফল
আবার নতুন করে মাটি ভাঙ্গে গরু পায়ে ফাটা মাঠে আষাঢ়ের শ্রাবণ
আবার নতুন কথা গান হয়ে জোসনা রাতে
হারিয়ে পুরনো মুখ
নতুন মুখ এসে ইতিহাস হয়ে থেকে যায় পুরনো মনে ।

1


এখানে এভাবে ক্ষেপচুয়াসের পাগলামো ভীরে
দু দণ্ড আকাশ দেখবো সে উপায় নেই ,
মাথার উপর ঝুলছে স্বয়ং খড়গো হাতে বিশ্বনাথ
মাথাটা একটু এদিক- ওদিক হলেই পতন ,
রোজ দিন কার মুখ ঝামটা খেয়ে খেয়ে
সেই বেরুতেই হয় চেনা থলে হাতে...... চেনে চেনে
মুখোশই বন্ধু ভীরে ,
দাদা টাটকা রুই , খেয়ে টাকা দেবেন,
মনে মনে বলি... রাম ছাগল আমি... গলা তো বাড়িয়েই রেখেছি
বধ কর ! বলি... পকেট গড়ের মাঠ সে খবর কি রাখিস ?
বাড়ি আসি , (আসতেই হয়)
দেখি আমার ঘরের সামনের পর্ণমোচী পাতা ঝরাচ্ছে আনন্দে
নতুন জীবনের অনুরধে......
আর আমি শুধু ঝরে যাচ্ছি অনাহুত ভবিষ্যতের আমন্ত্রণে ।

aadharer ma


‎.........।আঁধারের মা ......।

এখানে বেস আছি
চারিদিকে বদ্ধ , উচু প্রাচীর তারকাটার ১৫ফুঃটে পৃথিবী বন্ধি
যেমনটি সার্কাসের হিংস্র বাঘ থেকে নিরিবিলি একান্তে
তবু ও রেগে গেলে হুঙ্কারের স্বাধীনতা টুকু আছে
আমার তো তাও গেছে চলে ,
এই মেদিনীপুর সংশোধনাগারে পরে আছি সতেরো মাস
দেশকে একটু বেশি ভালোবেসে ফেলেছিলাম দোষে ,
আঁধারের মা , তোর আসার দরকার নেই
একটু বেশি ঠাণ্ডা পরেছে যা , তুই তো জানিস আমি বেশি
শীতকাতুরে , মনে পরে সেবার দশ ক্রোশ সাইকেল ঠেঙিয়ে
বিনপুরে তোমার বাবার বাড়ি তোমাকে রেখে ভরন্ত মাঘে
জোসনা বিকেলে ফিরছিলাম... বেস লাগছিল , তার পর যে কি হল,
মনে হতে লাগলো হিম বুক ভেদ করে পাঁজর এক করে দেবে...
ছাড়ো সে কথা ,
সেবার বলেছিলে মংলি পোয়াতি , কি খবর ? বকনা না ন্যাংলা ,
যত্ন করবে, প্রতি দিন ঘোষ আল থেকে কচি ঘাস এনে দিয়ো ,
দুধ পুরোটা ঘোষ কে বেচনা কিন্তু , পেটের টার জন্য একটু রেখ ,
আঁধারের মা , এবার ঠাণ্ডা একটু বেশি , তুমিতো জানো মায়ের
শরীর , দেখো , ওই ১বিঘা জমিতে কি এবার বোরো চাষ হয়েছে ?
জল দিয়ো নিয়মিত ওঁটাই তো শেষ সম্বল ,
জানো তো আমার এই ৬বাই\৬ সেলের সামনে একটা জাম গাছ আছে
এবার প্রচুর জাম হয়েছিল... বেস লাগে খেতে ,
ঐ গাছে প্রতিদিন অনেক জানা- অজানা লাল , নীল , পাখি এসে বসে,
আমার সাথে ভাব হয়েছে কতোগুলোর , সেই পাখিটার কথা বলছি আমি...
তার পাখনা দুধে আলতা , চোখ ঠিকরে বাইরে বেড়িয়ে এসেছে...
প্রতিদিন আমার চোখে চোখ রাখে...... আর জানো সেদিন হেসে ফেলল...
বলল বোধহয় দেখ কেমন লাগে... আমাদের প্রজাতির তবু ও কিছু নিয়ম আছে...
স্বজাতি রক্ত স্বজাতির বিরুদ্ধ কথা কই না , বন্ধি ও থাকেনা সন্দেহবসে
বিনা বিচারে আজীবন নরকে......
আঁধারের মা তুই কাঁদিস না , যদি রাতে একা বিছানায় ঘুম না আসে , যদি গলায়
আটকে যায় বোবা কান্না তবে তোর সান্তনা তুই ,
আঁধার কে রেখেগেলাম এখানে......
গভীর হিমের রাতে রেখে গেলাম এখানে......... ওকে তুই মানুষ কর , শিখাবি
মাথা উচু করে দাড়াতে কোন ঝড়ে ও না পারে যেন মাতা নামাতে মাটিতে ,
জেন রেখ সবাই
যতো জেগে থাকুক ঘূর্ণা বাত , লেগে থাকুক তো থাকুক অতি বৃষ্টি ,
এই দুর্দিনে দেখিয়েছি তাকে পৃথিবীর মুখ
আমি রেখেগেলাম জল আলো বাতাস কে সাক্ষী রেখে......
সে জেনো বেচে থাকে বেচে থাকে বেচে থাকে......।।

maikel 8


‎............মাইকেল ০৮...।

বা কানের পাস দিয়ে বেড়িয়ে গেল মৃত্যু টা
ভাগ্যিস ওরা ও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় মাঝে মাঝে ,
যেমন মাঝে মধ্য চিত্রগুপ্ত সোমরসে মজে ভুল ঠিকানায়
পাঠিয়ে দেই যমকে ... আমি ও বেচে গেলাম সেভাবেই হয়তো ,
ইরাকে এখন খেজুরে সময় , লাল থোকা গুলো দুষ্ট
হনুমানের মতো ঝুলছে...... এক সময় খুব মিষ্টি লাগলো এই খেজুর
পৃথিবীর মানুষের
এখন খেজুর বীজের বদলে ওখানে পোরা আছে খেজুর বম্ব
যেখানেই তেল আছে , সেখানেই গন্ধ শোকা কুকুরের বলে দিয়ে
নিমেষেই ফাটবে ,
সন্দিহান রা তাই খাচ্ছে না...
মাইকেল এক শেখ বিলাসবহুল তাবু তে রাত কাতাচ্ছে......
পল্লবিত জোশনা
উটের লম্বা পা ধিরে ধিরে সীমান্ত প্রাচীর পেরুচ্ছে...
এদের কি কোন দেশ নেই ......!

maaa


‎.........। মা ...।।

মন কেমন করা সেই সকাল আর নেই
.........সেই মাধুকরী উড়ে এসে বসেনা আমার সোনা গাছে
আমি থেকেও না থাকার মতো হয়ে পরে রয়েছি এখানে ,
বা হাতের আঙ্গুল গুলো অসর হতে হতে থেমে গেছে এই বেলা,
যতক্ষণ আগুন ছিল , আগুনের গল্প ছিল মনে... উন্মত্ত মাদকিয়
নেশায় উড়ে এসে খেয়ে যেত মধু সুধা , সে সন্তান হোক বা বারবনিতা ,
এই রোগ শয্যা ,
চোখের সামনে বদলে যাচ্ছে নিয়মমতো দৃশ্য , জগত থিয়েটার পাড়ার
নাত্য মঞ্চ , কালো কাপর ঢেকে দৃশ্য পতন ,
চেনা সম্পক রঙ্গিন জলের হাত বদল গ্লাস , যেদিকে চিয়াস ধ্বনি
সেদিকে কাঁধ বেঁকিয়ে ঝুকে পরে চিনতে পারছ ? আমি বিনয় ?
সন্তান দল সুখী পায়রা সারাজীবন যেদিকে সুখ পাখি থাকে
তার ডানায় আশ্রয় খোজে , পরম সুখে রইবে এবার......
এতো দিনের চেনা জানি স্ত্রী( !)
এক ই বিছানায় সঙ্গম সম্ভগ উৎপাদন জীবন , রঙ্গতামাশা , বায়না
কত স্বপ্নের বিমুরতি ছবি ছাপানো দিনকাল , ভুলে গেল ?
এত দিনে ও স্ত্রী হতে পারলো না...
শুধু এখনো রাত্রি গভীর হলে
আমার বিছানা ভেসে যায় অনাকাঙ্কখিত এক জস্নায় ...
আমার মায়ের লাঠিতে ভর করে চাঁদ এসে বলে যায়
আই খোকা আয় আমার সাথে
আমার কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড় ,
আমি আছি জেগে সারারাত
এখনো সব সম্পর্ক যায় নি গ্যাঙের জলে ভেসে , তোর মা আছে
তোর মা আছে এখন ও রক্ত দুধ নিয়ে

a


এভাবে ভাসতে ভাসতে
না পেয়ে যদি কোন কূল ঠায়
যদি উঠে পরি অচেনে নৌকায়
...... যে নৌকা মাঝি হওয়ার কথা ছিল তো তোমারি
প্রিয়তম ,
নারী কে বিশ্বাস করতে শিখলে না এতদিনে
...... অবিশ্বাস চোখ দিয়ে
আবিষ্কার করলে নারী মন...।।

Thursday 22 December 2011

maikel 5


‎.......মাইকেল ৫

একশত বছরের পালাস্তার দমকা হাওয়ার অভিঘাতে
পরেছে খসে রজকীয়ও দম্ভ সোপান ,
উত্তরীয় চাপানো বুকে বাধ মানে না হতাশার
দিনকালের ঐতিহাসিক অতীত ,
নবম প্রজন্মের মুকুট হীন
১৭ সরপঞ্জির অশ্রিল বিবেক বন্দনে নবাব
বনে যায় দুষ্ট মিডিয়া চক্রে ...
ক্ষেত কে ক্ষেত বাসন্তিক গম ক্ষেতে সাইবেরিয়ান
পরিযায়ী পায়ে পায়ে দুটি গমের শিস নিয়ে
দিল পারি সং স্ক্রতির মেল বন্ধনের নিমন্ত্রণে
প্রাচীন মহেন্দ্র , সংঘমিত্রার মিতা হবে বলে...
তের দিন উপবাস মাইকেল
গ্র্যান্ড সাইবেরিয়ান রেলওয়ে ট্র্যাকের উপরে কাঠ
জোগাড়ে ব্যাস্ত এই শীতলতম দিনে
রক্তের উষ্ণতা ধরে রাখবে বলে,
মন তো মানেনা সীমান্ত প্রাচীর
ওপারের মন ও
আত্মিক ভাই
দুজনের বুকের রক্ত এক ই অভাবের গল্প করে
কি করে তবে ?

maya


‎......
সেবার রেখে গেলে তুমি
............মায়া
দরজা দরাজে অলি গলি নিভৃত গহন অন্ধকারে
মননে , স্বপ্নে , জাগরনে ,
বন্ধু বান্ধব হীন বন বনান্তরে , উদাসী ফিঙের ডানাতে ডানাতে
পলাশের গুপ্ত বীজে , সুপ্ত আক্রোশে
কাল রাতের গুপ্ত অঙ্গ
............ হস্তান্তরিত অনুতাপে
শুধু মায়া
শুধু মায়া রেখে গেলে এখানে ।

maikel 06


‎.......মাইকেল ০৬

কাঠ কয়লা আগুনে সকাল থেকে তাপীয় নেওয়া
শরীর , বার্লিনের এই ডিসেম্বরের শীত উপত্যকা
হার মেনেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণু পুরে ,
তুমি জানিয়েছিলে ,
চামরী গাইয়ের ঘন পুষ্ট তাজা দুধে চাইনিজ সবুজ চা
ইগলু ঘরে যে বার পান করছিলাম
তখন ই দেখলাম ন'মাসের অন্ধকার সরে
আলোর খেলা চলছে বল্গা হরিনের পায়ে পায়ে , ওখানে ,
ঝান্তু উপজাতির নতি দীর্ঘ সেই সরসের মেয়েটা
বৃষ্টি জল মেখে সারা গায়ে
চিরকালীন ইশারায় ডাকছে নাগর ,
তখন তুমি এখানে এলে বুজতে , প্রিতাম ,
মাঠ কে মাঠ জুরে পাম্পের তৃণ ভুমিতে সাদা কালো
হলস্তান , জার্সি , মুখ বাড়িয়ে হেসে খেলে
সন্তান জন্ম দিয়ে ......
কিভাবে পশু ও শিল্প হয়ে ওঠে , বুজতে ,
তুমি বুজবে না , প্রিতাম !
আল হীন ভুমির যে স্বপ্ন মনকে করে তারা
.....................এখন ও এখানে বসে...
আমি দেখি
আল ভুমি ভেঙ্গে ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে
কিছু তীব্র জলোচ্ছ্বাসে
যৌথ খামারের সোনালি ধান
আমার ঘরে -- তোমার ঘরে...।।

gan


এখন গান শোনার সময় না গান বাঁধার সময়
এখন খাবার সময় না খাদ্য সঞ্চয়ের সময়
এখন হাত তালি দেবার সময় না হাত সঙ্ঘবদ্ধ করার সময়
এখন ঘুমনোর সময় নয় রাত পাহারার সময়
এখন যুদ্ধের সময় নয় অস্ত্র শান দেবার সময়
এখন মৃত্যুর সময় নয় জন্ম কাল এখন
এখন দৌড়ানোর সময় না রাজপথ পদদলিত করার সময়
এখন নিঃশ্বাস নেবার সময় না এখন প্রশ্বাস জমিয়ে রাখার সময়
এখন কোন প্রেমের গল্প সময় না জন প্রেমে মাতবার সময়
এবার হও প্রস্তুত
এসে গেছে রাজ দম্ভ উপড়ানোর সময় ...।।

protikkha


‎.........।।প্রতীক্ষা ...

স্থির জেনেছিলাম পেয়ে যাবো তোমার স্বপ্নে বা জাগরণে
বিশ্বাস ছিল একদিন গোলাপি আঁচলের বেনু আগ্রে
জামদারি অনুপ্রভা বিষাদ আলোর রেশ্নাই
ঝল্কে দেবে আমার মন তোমাকে হারিয়েছিলাম বলে ,

একবার ও মনে হয়নি ম্রিথজীবী প্রানে লেগে থাকা কাঠের
ক্ষয়ে যাওয়া গুড়ি ইতিহাস
ইতিহাসে পাতা থেকে উঠে এসে কুম্ভকর্ণ ঘুম থেকে
চিৎকার করে বলে যাবে
আমরা এক সময় প্রান ছিলাম , যৌবনের ঢেউ ছিল
তোমাকে ভাসাবে বলে অকূল দুয়ারে ,

"স্থির জেনেছিলাম পেয়েছি তোমায় ,"
পৌষের শীত ধুলা গায়ে মেখে কৃষ্ণ সখা বলরাম
সেই যে ছেরে গেল বৃন্দাবন মথুরাপতি , আজীবন
মনে কখনো উকি- ঝুকি দেই নি কি এই বনস্পতি রাই বিনোদিনী ?
তুই গেলি চলে
নিঃস্ব বিশ্ব
বন্ধ্যা ধরণী ফুলে ফলে ভরেছে অন্য খানে , প্রতিক্ষণ , সময় ভগ্নাংশে
জ্যেতিরময়ি আলোর বিচ্ছুরণে
দেবালয় ভাসছে কীর্তন অনু প্লাবনে... অনন্তবার
এবার আয় তুই
বলে দিয়ে যা
এই প্রতীক্ষা বৃথা নয় ।

maikel 07


‎.......মাইকেল ০৭...

আইফেল টাওরের মাথার উপর দিয়ে সৃষ্টি ব্যাঙ্গ চোখে
শাওয়াল (swallow) পাখি একরাশ মল ফেলে দিল
নিদারুণ শান্তি ঘুমে ব্যাঘাত ঘটেছে বোমারু বিমানের
ঘর ঘর এক শব্দে ,
মধ্য এশিয়া জুড়ে বাজের তীক্ষ্ণ নজর
............কাটা কুটি দেহ পরে আছে নাকি বালিতে
মাইকেল শরীর গরম রাখতে
............ইস্তাম্বুল গণিকালয়ে নভেম্বর রাত জুরে ,
মাইকেল বুঝতে পারছে ঝড়ের গতিবেগ বারছে...
.........আরব সাগরে একটা তেলবাহী কন্তেনার উল্টিয়ে
ভারতবর্ষীয় দাক্ষিণাত্য মালভূমি
তসনস করে বঙ্গোপসাগরে ......

jodi


যদি ভাবো ভুলে যাবে এই সন্ধ্যা আরতি গান
......... আমার বসত বাড়ি আমার পায়রা খোপ ঘর
যদি ভাবো ভুলে যাবে আমার অনামি নাম গোত্র পরিচয়
...... আমার গোলার ধান দুকুসুমের হাসের ডিমের ঘর ,
যদি ভাবো ভুলে যাবে শান্ত পুকুর গা ছমছমে কালো জল
সেই ভাঙ্গা সিঁড়ি মাটি কলসি কাঁখে সখি গনে জল তুলবার ক্ষন
যদি ভাবো ভুলে যাবে তিলের পাতা দিয়ে মাথা ঘসা তীব্র দাবানল
টিনের চালে পরা বৃষ্টি শব্দ জেনো সেতারের টুংটাং ,
............ তবে যাও সব ভুলে
নাগরিক বধু হয়ে দেখ
............ পুনরায় বাজে কিনা এই শব্দ বুকে...
প্রিয়তমা ।

rupmoti 8


‎......... রুপমতি ...। ০৮

শিমুল ফুলে লাল আগুন
...... ভাদ্র পেয়েছে বিয়ের লগন
খোপায় গোজা দুটো ফুল
........রাত্রি নামলে দেখিস তুই ,
নাভিদেশ রেখেছি নগ্ন
...... হাড়িয়া রসে মন মাতবো ,
তার তিমির বরন
......কোঁকরা চুল
জঙ্ঘা দেখি
...... ধুতি উবুড় ,
সে আমার
জোয়ান মরদ
মদ্দ শ্যাম
...... তার বাহুডোরে আজ আমার দিনকাল ,

t


SEI TUMI MRITYU GRENA KORATE SHIKHIYE CHEYE
EKK DIN BUKER PORE MATHA REKHE
AMAR ALLADHI HAT KATCHILO TOMAR CULE ELI-BILI
...... KDINER BASOR GHORER SHAJJ
PORE GELO KHOSE ? TOMAR MON THEKE ?
ROSHI BADHLE GACHE ?
........ NIJEKE BESHI VALO VASO TUMI ? TAI NA ?

ojana


গুছিয়ে এনেছি অনেকটা নিজের অস্তিত্ব সংকট পল
এবার হাত রেখেছি জামরুল গাছের পাতায়
দেখবো এবার এই অসম দীর্ঘ লড়াইয়ে
তুমি বার বার জিতেছ
আমি হারতে হারতে হারিয়ে দিতে পারি কিনা একবার ।
পরে থাকা ভেজা কাঠ ও ভীষণ দাবাগ্নি পেলে
দাউ দাউ জ্বলনের ক্ষমতা রাখে
একটা বট বীজ কয়েক যুগ ঘুমিয়ে থেকে ও গভীর অন্ধকারে
দানব হয়ে উঠতে পারে......
আমি ও বেশ কিছু কাল
উষ্ণতার অভাবে , ক্ষয় ধাতু শরীর নিয়ে
গুপ্ত অন্ধকারে , জল আলো বায়ুর অনিয়ন্ত্রিত প্রতিস্রতে
বিপরীত গমন অঙ্গ চালনা , মিথ্যা আশার দলকে
পেন্ডুলাম হয়ে
একবার এদিক , একবার ওদিক , ক্লান্ত মনে ,
হতাশায় বিলিয়ে দিয়ে জন্ম ,
আজ দেখ
তুলেছি মুখ ,
যে মুখ মুখোশে ঢেকে রেখে বলেছিলে
"তোমার জন্মটা বৃথায় গেল চলে " আজ দেখে যা
আবার আমি দারিয়েছি
দুপায়ে খাড়া হয়ে ।

swopno nodi


‎.........স্বপ্ন নদী

একটা দুঃখ তারা খসে গেল
নিয়তির অভিজানে ঘা দিয়ে আবার ,
লাল জবা ঝরে পরে অগোচরে
রক্ত পায়ের পুজার আকাক্ষায় ।

বিকশিত শুক তারা মেখে রঙ দুঃখের
রাত কেটে ভোর হয়
চাঁদ পরে সূর্য কোপে প্রতিদিন তিন প্রহর
অন্ত সলিলা নদী যে বোঝে তার হয় ।

আফিন নেশাতুর ঘুম জেগে তবু রয়
বৌঠা জল ভাঙ্গে এভাবেই অবিরাম ,
স্বপ্ন মালতি সখি খানিকের বিচরণ
বৃথা আশা বেঁচে থাকে রাত যায় রাত আসে ।

him


উত্তরের হিম হাওয়া পেয়েছে আজ
...............মরণের অধিকার
তুমি যদি সত্যি থেকে থাকো দয়াময়
...... এই হিম শীতে বাচিয়ে রেখো তাদের
যারা আছে নগ্ন শরীরে
...... তোমাকেই মনে মনে মেনে ...।

Wednesday 21 December 2011

h


আর আসবনা ফিরে জেনে
হাসনুহানা ফুটেছে থরে থরে
বনসাই হয়ে
বাবুদের মনরঞ্জনে
আঁধারে এখানে...
আর আসবনা ফিরে জেনে
হাম্বা হাম্বা রবে মংলি গোয়ালে
গোবরের অনুচ্ছেদে আলপনা
নিকানো উঠানে
......যজ্ঞ আয়েজন পুরোহিতে এখানে...
আর আসবনা ফিরে জেনে

jiyon


‎............।।জীয়ন ...।

দিব্যি লাল সূর্য ডুবছে নীল নদী জলে
.........কোন অভাব তো দেখিনি চোখে কোন দিন
নিত্য হাবুডুবু খাচ্ছে রাজহাঁস শ্যাওলা জলে
............জল খেতে তো দেখিনি শ্রাবণ মাসে ...
এই টুকুতেই তুমি হাফিয়ে গেলে
দীর্ঘশ্বাস ঝরালে
.........দোষ দিয়ে নিমিত্তির পরিহাসে , জীবন ?
ঝোপ ঝাড় আগাছায় পরিপূর্ণ গ্রাম্য ধুলা পথ
...............বা পাশে অনাদারে পরে ঘোষেদের বাতাবী নেবু
একটু ডান দিকে বেঁকানো সিঁড়ির মতো পাক খেয়ে
সাদা তিলের পাতা
লজ্জাবতি প্রথম ঋতুময়ি অণুরা
............ কি জানি কি মন্ত্রনা পেয়ে
গা এলিয়ে দিয়েছে এ ওর গায়ে ,( সখীগণ মিলে
মৃৎ কলশী দু কাঁখে নিয়ে
...... জল আনতে... পান্ধব বর্জিত সেকেলে
এঁদো পুকুরে দুপুরে,
জোয়ান মদ্দ মিনসে
আর চোখে
............ শ্যামলি তন্বী ঘামে ভেজা শরীরে
কামুক অভিভাসা ছুরে দিয়ে
......... সখীগণ ঢলে পরে এ ওর গায়) তেমনি
কোন এক উদাসী প্রেমিক হাওয়ার অভিঘাতে...
............ বল তবে
এখানে দুঃখ কোঁথয় আছে জেগে ?
......... রূপ রস , গন্ধ অনুভব
চেটে খেয়ে নে
.........দু প্রান ভরে,
আজ এই অল্প সময়ের মধ্যে আছে জীবনের পূর্ণতা
... কালকে বাসি মরা হতে
কতক্ষণ ই বা আর লাগে... জীবন ?

ad


এখানে অদ্ভুত আধার
......এখানে কাম বিনে প্রেম নেই
প্রেম বিনে মন নেই
মন বিনে শরীর নেই
শরীর বিনে রোগ নেই
রোগ বিনে মরন নেই
মরন বিনে জীবন নেই
জীবন বিনে শোক নেই
শোক বিনে ভালোবাসা নেই
ভালোবাসা বিনে রাধা নেই
"রাধা বিনে প্রেম নেই "

a


কতদিন থাকবি দূরে আত্মাকে ভুলে গিয়ে
......অজীর্ণ পেটে বান ডাকে ক্ষুধা
কাগুজে ভালোবাসা ছড়িয়ে এবেলা- ও বেলা
.........সে থাকে হৃদয় জুরে
......কোন সুখে গান গেয়ে চলে রাম রিক্সাঅওালা
তুমি জানো না মন...
.........মনে ও রাখেনা তারে মন ।

ondho ghum


‎......।।অন্ধ ঘুম ...

অতলে ডুবছে মন
মন সাগরে মাস্তুল বিহীন জাহাজ
বিক্ষত মননে
...... ছন্দহিন বারোমাস ,
দেব দানব
রণ মত্ততা ভুলে
......নারী শরীরী গন্ধ
বলছেন
......এখানেই মিশেছে
সব দ্বন্দ্ব ,
চতুষ্পদের ঘাস আর
......তাজা মাংস আন্দোলন
রণ ডঙ্কা পশ্চিমে ছাড়িয়ে
......... পুবের শান্ত আকাশে
লেপে দিয়েছে
বারুদের ধোঁয়া
......শিশুর মুখে ,
অজান্তে
......এখানে- ওখানে
দশ বাই দশের খুপরি
......নিজ ভাই শত্রু মনে হলে
ঔ রঙ্গজেব হতে
কতদেরি লাগে আর
.........বল মৃত্যু ,
বিষ অমৃত পানে
......ঝরে যাই মন
লাল , নিল , সবুজের
কাদা ছোরাছুরি ,
.........যাদের জানবার কথা ছিল
সেই সব শান্তি ভক্ষক
...অন্ধ ধ্রিতরাস্ত ঘুমে
......... আজীবন ,

pagol


‎...............পাগল...।।

ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে বা হাতের আঙ্গুল গুলো আক্ষেপে বার বার
হিলিয়াম পেট ভর্তি করে আনেক নিহারিকা পুঞ্জ , কালপুরুষের
ওষ্ঠ ধার ধুসর গালিচা , শ্বেত সাগর , হ্যালির ছায় সারাদিন গায়ে মেখে
বিলিয়ে এসে দুঃখ রঙ পৃথিবীর
ধপাস নিউটন সুত্রে পতন , ধুলা , বালি কাকরে চালে এখানে...।

মুহূর্ত চোখে ব্ল্যাক আউট আঁধার , পঞ্চমী চাঁদ লুকচ্ছে অজানা আতঙ্কে,
প্রোটিন সমৃদ্ধ আহারে বাদ রেখে ঘেঁটু শাখ , পুঁই ,
আর নিকোটিন জ্বলনে কাব্যিক হয়ে ওঠা মনে এক সুরে ডেকে চলা
দোয়েল ,ফিঙ্গে , মাছরাঙা,
উপেক্ষিত করেছি আর বেশি ঘুমোতে পারবো বলে
............ রোগগ্রস্থ পৃথিবী মাজারে ।

প্রত্যেকটা স্নায়ু কোষে উদ্ধিপক রঙ পরিচলন স্রোত
নারী , যনি যৌনাঙ্গে পুরুষালী প্রথম রিপু ফসফরাস জ্বালিয়ে রাখে
মৃত্যু বিছানায় ,
দীর্ঘ ভাঙ্গাচোরা পথ পরিক্রমে মখমলে সজুব ঘাস সামিয়ানা
ভোরের উৎপাটনে উপেক্ষিত প্রভাতী ভাটিয়ালি , আব্বাসউদ্দিন
চুপকরে দেখে যায় ,
ক্রমশ দুর্বল হতে থাকা হাত...... বন্ধুত্ত করে ফেলে মনের সাথে অল্প দিনে
একার সাথে একা হয়ে যায় মন
শরীরের গন্ধ ভালোবাসা আত্মা
............ নীহারিকা পুঞ্জে মিলিয়ে যায়
তীব্র আকর্ষণে

আপনারা বলুন তো
রবিবার দেখতে কেমন ?
কত রবিবার চলে গেল
......আমি এলাম না বলে মুখ ফিরিয়ে
রবিবার বলে কিচ্ছু নেই জীবনে
...... রবিবার ওরা কিনে নিয়েছে টাকা দিয়ে
অল্প দামে......
তোমরা যারা বিক্রি হওনি
.........তারা জানিয়ো আমারে
রবিবার খাই না গায়ে মাখে...

durdin


এই দুর্দিন ,
বনেটে ঢাকা পরে গেছে আর্তনাদ ,
বুলেটের অনুরণনে মৃত আত্মা
এসে কথা কয়ে যায় ক্ষণ জন্মার কুড়ে ঘরে এসে ,
বলে যায় সব স্তব্ধ হয়ে যাবে আগামীর কোন ভোরে ,
ওরে জন্ম যা কিছু লেগে আছে বুকে ,
মনে ,
অভাবে স্বভাবে চেটে পুটে খেয়ে নে এই আবেগে...
বলে দে যত আসুখ আষাঢ় মাস যাই তো যাক ভেসে গোলা ভরা ধান ,
আমি শুধু আর কত গুলো উৎপাতের জন্ম তিথি উপভোগ করে যেতে চাই......
শুভ জন্ম দিনে নিয়েছি তার ই অঙ্গিকার ......
ভালো রেখো শীতে জেগে থাকে যেসব তোমার ই সহোদরা , সহোদর ভাই......।

saraget mother


‎.........।।সারাগেট মাদার

অপার্থিব বস্তু সম্ভারে ভরেছে সংসার
......অভাব নেই
পরাজয় নেই , স্ত্রী প্রেম কম নেই ,
পরকীয়া নেই এই বয়সে ,
১০ টা ৫ টা অফিস আমরা দুজন
......ঘড়ি ধরে মেপে মেপে চা , সপ্তান্তে ওজন বক্স এ ওঠা ,
লেট নাইট পার্টি , উদাসী ঘুম...
...... গণ্ডা গণ্ডা পিল
সময় ধরে ধরে
নিয়মিত সাত টি বছর......
......তাকানোর সময় অভাব , লিপস্টিক রঙ মুছে গেলে
কালো লাগে পৃথিবীর আলো , স্রোত বিনে চর পরে
গরায়ু গর্ভ মৃতপ্রায় ,
.........সজীবতা হারিয়েছে ভুমি কোন ফাঁকে বঝেনি
নাগরিক জীবন...
এই পরন্ত বিকেলে
...হেমন্তের পাতা ঝরা নিস্তেজ হাওয়া এসে
চুলে বিলি কেটে নিরালম্ব লয়ে
ঘ্যান ঘ্যান করে
বলে তোর বংশ নিব্বংশ হবে ?

মা আমি
রক্তে আছে জীবন
গরায়ুর অনুগরভ নিত্য জন্ম দিয়েছে জীবন , (কাম সব টুকু নয় জেনে )
অথর্ব নাঙ সেই যে তিন বছর আগে
কালুর জন্ম দিল
শালা আমার অজান্তে এক পিলে দেশি মাল গিলে
............ওলট পালট করে দিলে জীবন...
সেই যে মদ গিলে
কোন গাড়ির তলে...( জানওার তা তবু বেঁচে গেল )
আমি বাঁচি কি করে সাত টা শেয়াল শকুন নিয়ে ,
............ভগবান তো সব তো নিয়েছে কেরে
রেখে গিয়ে ভরন্ত শরীর রেখে...
......... ওই কাজ করতাম যে বাড়ি দুবেলা
সেই বাবু গিন্নি বলল সেদিন...
"এক টা উপকার করে দিবি ভগবানের নামে,
.........মাত্র বারোটা মাস, ব্যাস ,
নগদ টাকা , ভালো খওয়া পরা
দেখিবি তোর স্বাস্থ্য যাবে ফিবে , দুদিনে......"

......।রাজি হয়ে গেলাম
......মা হয়ে গেলাম , কোন বাবুর কে জানে...
নিয়ে গেল ২ মাস পরে...... তবুও রাতে একাকি
জল ঝরে চোখে
সারাগেট মাদার হয়ে গেলাম টাকার কাছে ..

g


জানা অজানা দোলকে দুলছে ঘড়ি
...... পাইনি এখনো ঝড় থামার সংকেত ধ্বনি
ছায়াঘন রাজ পথে দস্যু সেনার লঙমার্চ
অজানা আতঙ্কে কেঁপে ওঠে শিশু ঘুম
......বারুদের গন্ধ নিয়ে নতুন জন্ম
যেদিন হাত দেবে বন্ধুকে
...............সৃষ্টি কোন দিকে পরবে ঝূকে ?

sita 17


্‌্‌, সীতা ১৭।।

বুকের পাজর শক্ত কর
...ডাকুক যতো মনে বাণ
শীতল বাতাস
...মনে আশ
তুই বইচি
ফুলের মালা গাঁথ ,
মনকে তুই শান্ত কর
...সুদিন আসছে
দেখ ব্যাকা চাঁদ
......তোর দুঃখে বারোমাস ,
মন পিয়াসী
... বুকের স্বাদ
কষ্ট করে ধরে রাখ
......জোসনা ঋতুমতী
জোনাকি
দিচ্ছে তোকে আঁধার বাতি ,
শ্যাম বিহনে করিনে শোক
......সে আসছে
মেলে দেখ চোখ

jontro mnob


‎.................. যন্ত্র মানব ...

মিলিয়ে গেলো
......কপ্পুরের মতো মিলিয়ে যাচ্ছে জীবন
খেটে খাওয়া লোকজন এরা
...মুর্শিদাবাদ , ক্যানিং রোজ লোকাল চেপে
নরকপুরি তে ছোট খাটো কাজ
......ক পয়সা ই বা পাই মুজুরি ,
প্রতিদিন ম্যানহল খোলা
...... মিথেন গ্যাস নিয়ে কবাডি খেলা
মাত্র দুচারতে
মৃত্যু বলে দেই এবার তোরা থাক সুখে ...
রাজেন তরফদার
বয়সটার তের
বাবা নেই, মা আয়ার কাজ করে
ঐ টুকু পায়ে শত সিঁড়ি ভাঙে
......মাথায় নিয়ে দশ ইটের বোঝা
সেদিন কি স্বপ্ন দেখে
...... নিপাত পতন
প্র মটার ডানা ধরে আইনের
...... কোন দেশে দিয়েছেন পারি
নাগরিক সমাজ
বয়ে গেছে নিতে তার খোজ ,
......লাশ কাটা ঘরে পরে আছে বিকাশ সাউ
ঘুমেয়েছিল ফুটপাতে
...... বাবু স্বর্ণ রথ পিষে দিয়ে গেল কাক ভরে
শনাক্তকরণ হয়নি বলে
......... বেকসুর খালাস পেয়ে গেল আইনে ...

প্রতিদিন নিত্য অনাদারে
প্রতিদিন চক্ষের সম্মুখে , চেতনা বন্ধি করে দেহ
জীবন হয়ে যায় লাশ ,
আমরা যারা দেখে ও দেখিনা
......... যারা শুনে ও শুনি না
যাদের দেখাছিল কর্তব্য
......... তারা সব ভ্রিতরাস্ত ঘুমে...
এরা তো নগন্ন প্রান
......ছায় পাশ গিলে
বস্তিতে গিয়ে শুধু সন্তান জন্মানোর মেশিন এ পরিনত হয়...
এদের জন্য ভাবতে নেই
এরা মরলে কাদতে নেই
এরা রক্ত বীজ বংশ...
শুধু ভোট এলে
হাত জোর করা ভিখারি সেজে দাড়াতে হয় দারে
দাদা দেখবেন এবার টা একটু ...

chinte parchis


‎.........চিনতে পারছিস ...

বাড়িয়ে দেও তোমার হাত
.........আমি আঙ্গুল স্পর্শ করে দেখবো
এখনও হাতে হাত পরলে
............ কেঁপে ওঠে নাকি ৬.৮ রিখটারে ,
যেমন প্রথম কৌশরে
.........তোমার ঘামের গন্ধে
চিনে নিতাম দূর থাকে
.........এখন ?
ভীরের মধ্য গগনে
......মাথা বেঁকানো ভঙ্গিমা
বুঝে নিতো মন
.........তুই ওখানেই আছিস দাড়িয়ে ...
এখন প্রতিদিন
গাদা গাদা ভীর ভাঙ্গি বাসে , মাঠে , ঘাটে
চোখ খুজে ফেরে অজানা শিহরনে
.........যদি একবার দেখা হয়ে যায়
যদি একবার
যদি একবার বলে ওঠে সে...
চিনতে পারছিস ?

a2


মুহূর্তে মিলিয়ে গেল আশা
......... শেষ আশ্বিনের বৃষ্টির মত
দু পায়ে দাঁড়ানো জানওার গুলো
...... অর্ধেক পৃথিবী নিয়েছে কেড়ে
ফেলে রাখেনি তো তবু
.........কবরের ভুমি খানি ও
গোল্লাছুট মাঠ , শিশুর প্রসবের
.........১০বাই১০ ঘরখানি ,
যুগে যুগে দানবেরা কতো কিছু নিয়ে যায়
চণ্ডীমণ্ডপ ঢেকে যায় ঘাসে
...... গোয়ালে বাধা গরু
হাম্বা হাম্বা ডাকে
অবিরাম...
সেই ডাক হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়ে দূরে বহু দূরে
......... তবু বার বার ফিরে আসে
নতুন জন্ম পেলে...।

rojrate


‎...... রোজ রাতে...

বিষণ্ণতা লেগে থাকা জামা কাপড়
খুলে ফেলে দিয়ে
হাত রাখবো এবার প্রশস্তি তে ,
যেসব ধ্রুব তারা জেগে থাকে
......অনন্তকাল গভীর না পাওয়া দুঃখ বুকে নিয়ে
সে তো কাঁদে না আমার মতো
...............দিনে বা রাতে বা ঘুম ভেঙে উঠে
করে না তো কোন বাইনা দুধ না খাওয়া
............ শিশুর মতো মায়ের কোলে
আমি কাঁদবো না ,
অনিদ্রা চোখে দাঁড়াবো না বারান্দায় , কোন দিন ,
বলবো না আর
ভালবাসা দিয়েছে ফাঁকি বারবার ,
মানুষের যেখানে শেষ... তার পর থেকে প্রকৃতির
রাজত্ব শুরু
তেঁতুল পাতার ঘরণী হবার পালা ,
বিষণ্ণতা চেপ্টে ছিনে জোক মনে
............ বন্ধুত্ব করবো পাতার সাথে...
গাছের ঘরে হবে রান্না ঘর ,
বিয়ে দেব গোলাপের মেয়ের সাথে সিউলীর ছেলের...
বাসর সাজাবো আমার মনে
রোজ রাতে...।।

rupmoti 4\1


‎.........।। রূপ মোতি ... ০৪

রূপ মোতি তোর উড়ন্ত বুক
...শ্যাওলা মেঘ
ধুতরা আকাশ
আল বিনুনি
গম ক্ষেত
শালীখ নাচে
মাঘ শেষ ,
রূপ মোতি তোর আগলা খোঁপা
চুলের গড়ন
বিনুনি নদী
স্রোতে যৌবন
দুকূল ভাসায়
মেঘ মল্লার
... রাগে জেগে
বৃষ্টি ঝড়ে
আগুন মনে
সারা রাতে ,
রূপ মোতি তোর ভরা মাস
নীল পরীদের সঙ্গে থাক
যৌবন ফুলে
নীল মাছি
খেলিস না তুই
কানামাছি
তোর বুকে বুক মিশিয়ে
ঝর্ণা এবার
নামবে মাঠে
রূপমোতি তোর যৌবন যেদিন
পরবে খোসে
সেদিন তোর লাল নাগর
কোন বুকেতে
মুখ রাখবে ?

rupmoti 4


‎.........।। রূপ মোতি ০৪...

রূপ মোতি তুই নৌকা বাও
... বোয়ঠা টান স্রোতের গাঙ
উজানে মাঝি
পল্লী সুর
......ঢেউ গুলো সব
দুঃখ সুখ ,
ভাটিয়ালি মন ছেড়ে দে
.........মনের বাঁধন আগলা কর
জল আয়না
......পাগল বায়না
জন্ম মৃত্যু শোক তাপ
পায়ের নিচে
... জীবন নাচে
বোলে দে
......তোরা সুখে থাক ,
রূপ মোতি দ্যাখ
......পাগলা হাওয়া
চুলের বাঁধন শক্ত কর
... জঙ্ঘা দেশে
হাত রেখেছে
...... বোলে দে
এবার দূরে হ্যাট ,
ভাসছে নৌকা
......ভাসছে প্রাণ
কূল কিনারা
সন্দিহান ,
তোর রূপ যমুনায়
...ডুববো এবার
...... বুকটাকে তুই বাড়িয়ে ধর

khoka


‎......।।খোকা ...।

দু চারটে কথা বলে আজ
...জ্বালবো জীয়ন বাতি সাঁজে ,
যে জন্ম চলে গেছে...
............মিথ্যা অভিলাষে
দিঙ্গিয়ে সমুদ্র ঢেউ
......কোন সুদূরে
নয়নে রয়েছে তবু
.........কিছু নোনা অনুনয়
প্রত্যয় , বিনয়ে আছে জেগে
......ভগ্ন সকাল ।
স্মিতি জাগরে
... রুপোলী আলোর গল্প
কাঁদা পথ লিচু সুগন্ধি
... পাকাবেল নির্যাস
......করবী মালা
কাক ভোর
রোদ ছায়া মায়া, ধান শিস অনুচ্ছেদে
আবিরি বিকেল ,
......ফিরে আয় , ফিরে আয়
দেখ তুলশী লতায় জ্বালিয়েছি সন্ধ্যাদীপ
মঙ্গল শঙ্খে তুলেছি সুর
অবিরত ,
নিদ্রা ভেঙ্গেফেলে
...... একবার উঠোনে এসে দাড়া খোকা
আর কদিন ই বা বাঁচবো
......প্রান ভরে
দেখে যায় তোর চোখ

swami


‎.........।।স্বামী ...
আর বলবো না ভালোবাসার কথা
... মুখ গুজে
কেঁচোর মত ঘুমিয়ে থাকবো
মাটির গহনে নিরুদ্বেগে
ততদিন
যতদিন নমনীয়তা অনুভূত হচ্ছে শরিরে,
তুমি শান্তিতে থেক এবার
......... এ জীবন ছিল শেয়াল কুকুরের
আর বন্ধিত্তের
এ জীবন ছিল উপ্রে ফেলা শিকরে
... কূল ভাঙ্গা নদী চরে
......অনিদ্রায় অনাহারে
শোকে তাপে অভাবে
......... নিত্য মরনে
সয়নে...... ভাঙ্গা অঙ্গিকারে...,
আর জাগবো না জেনে
...... আর ভাসবো না স্রোতে জেনে
তুমি প্রান ভরে নিঃশ্বাস
গুছিয়ে নিয়েছ ঘরে...
বায়ুর কোপ , শেলেস্মা ধাতু
মধুমেহও ,
অভুক্তি পালং শাক
...... লাউ বীজ , সর্ষে ফুল
যা ছিল অপ্রিয়
......... ছুরে ফেলেছ কি গাঙের জলে...
স্বামী !
বাইশ বছরে ও গুছিয়ে নিতে পারলে না জীবন
...... মরনে পেরেছ ?
বড় জানতে ইচ্ছা করে ......।।

pasapasi


পাশা পাশি দুই প্রান আজীবন ,
এদিকের প্রান বলে তুই কে ?
তোকে তো দেখিনি ?
ওদিকের প্রান বলে তুই কে তুই বলে দে ?
দুটি প্রান এক ঘরে এক সাথে ওঠা বসা ,
তবু ও প্রানে প্রান নেই বলে আজীবন রঙ্গ- কলা ,

choikrobuo


‎......।। চক্রব্যূহ ......
বিক্ষিপ্ত রোদের ছায়া
......জুড়ে এখানে ওখানে
মেস্তা খেতে হাঁটু জলে
... চ্যাং মাছের উৎপীড়ন ব্যাঙ্গাচি
.........রোদ দুপুর জুরে ,
পশ্য নেরি ঠ্যাং খোরা কাকলি ( শখ করে রেখেছিল ছেলে
বলিহারি বুদ্ধি !)
নেজ নাড়িয়ে ( ভয় ভয় চোখে মনে হয় )
সেই যে বারুদ গন্ধে (বুঝে গিয়ে ... পালানোর পথ নেই ,
জন্তু তো অভিজ্ঞতা বেশি ! )
... রোয়াক ছাড়ল
.....(.কোন পাড়ার লাশ হতে )
একবার ও ঘেউ ঘেউ
......... শব্দ না করে
কোন অভিপ্রায়ে , কে জানে ,
আমরা অভিমুন্য
...... আমারা গন অভিমুন্য
সুনিপুণ হাতে দক্ষ কারিগর সমাজ
.........বেধেছেন চক্রব্যূহ
জল বাতার কে বন্ধি করেছে আগেই
......মাটির ভাগ নিয়েছে যুগে যুগে
বাতাসে ছড়িয়েছে মরন বিষ
...... পেয়েগেছে নারায়ণ নয়
রন বীর সেনা
...... হাতে হাতে বন্ধুক , বনেট
সমগ্র ভুমি এদের ধর্মের বীজ বুনবে
... পশ্চিমে যেতে বললে এরা পশ্চিমে যায়
করে না মূল্য দাবী
এদের বন্ধুক , এদের গুলি
......এদের সেনা
আমার ডানে ও না... নিচে ও না
......লক্ষ্য আমার বক্ষের বা দিক
......আমরা চক্রব্যূহে ঢুকতে জানি
......বেরনোর পথ টা জানি না ...।

kabbo


পায়ের চাপে দুব্বা ঘাস
নুইয়ে মাথা ধরেছে রাশ
বনপালাশির বিষণ্ণ বায়ু
আমার ঘরে বারো মাস

ঘুমটি ভেঙ্গে চুপটি করে
মাছ্ রাঙ্গার দীর্ঘশ্বাস
শাপলা কাঁদা জলের মাঝে
সাদা বকের লম্বা ঠ্যাং

খেজুর গাছের কাটার মাঝে
শালিখ ভাইয়ের শান্তি নীড়
দাঁড়াশ পেটে অনন্ত ক্ষুধা
শালিখ সাবক তোর অন্ত দিন

গাব গাছটি নদীর পারে
বাপ ঠাকুরদার জন্মের আগে
দুষ্টু বালক এদিক ওদিক
চুপটি করে দিলো জলে ঝাপ

q


খুলে ফেলেছি রোদ সোহাগী জামাখানি
...হিম নিয়ে এসেছে ঘরে শীতলতার অঞ্জলি
পোড়া মিনসে মুখ কালি করে থাকিস নে আর
... উস্নতায় যে অভাব ছিল মনে
............ শুদ্ধ করে নে হিম শীতলতা ভালকরে মেখে...।

rupmoti 5


রুপমতি ০৫

রুপমতি লাল পলাশে
আগুন ঝরে
... চোখের বালি
নিত্যানন্দ
ঘর বেঁধেছে
নতুন সাজে
...... পিত্তি জ্বলে
ঢেমনি মাগী
...... আমার ভাতার
ওর হাতে ......
সন্ধ্যা সাঁজে
... উষ্ণ বায়ু
নিল পাহাড়ে
......ভেড়ার লেজে
তুই কি যাবি
......রুপমতি তোর
যৌবন জ্বালা
......ভণ্ড জোয়ান
মন্দমতি ,
......নিল জলে তার
সন্ধ্যা নামে
......নিয়ন আলোয়
রাতজাগে
......রুপমতি তোর আঁধার চোখে
রুপের আগুন জলে
গঙ্গা ফরিং
... পাখনা মেলে
পুড়তে আসে
...... দিন বিরেতে
অনির্দিষ্ট অনিরবার
......এই আগুনেই ,
রুপমতি দেখ
...... আঁধার মাঝে
সাত টা তারার
......মিলন গানে
আই চলে আই
চুপটি করে
......আমার মনটা এখন ও
হয়নি আঁধার জেনে...।।

ghor


সেই পথের নেই দিশা জেনে
......... গান বাধে কবি
চক্র বৃদ্ধি সুদের শেষ না বুঝে যেমন
......... অভাবী কাঙ্গালি
বাবু ঋণে ঘটি বাটি
.........করে বিক্রি
নিস্তার খোজে
চোখের জলে রাত জেগে
আমি ও তোর প্রেমে
.........রেখে নিজেকে বন্ধি
আজ নিঃস্ব , দেখে যা প্রেম ,
......দেখে যা
যা ছিল সঞ্চিত ধন তব পাশে রেখেছি সযত্নে
......তুই দেখবিনা জেনে ও
টিয়ার মুখে বসিয়েছি তোর নাম ,
......এই প্রেমে জিতবো না জেনে
এই প্রেমের ঋণ শোধ হবে না আজীবন
......তুই পথ বলে দে
যে পথে বেরুবো আমি
.........তার শেষ বাকে
আছে কি
......... সুন্দরের বসতি ঘর...।।

tomake


tomake sedin dekhechilam sesh bar
............ besh maniye chilo
chondol fota aaka mukhe
............. shanti nistobdhota ,
alta rangano paye
........ nobo bodhur basor saj
......dami aatorer gondho
.........dhup
chup kore theme chilo somay
...........ami dekhchilam tumi hascho
notun aagomone.... mone mone
............. kew dekheni bodhhoy tomar hashi...

rupmoti 7


‎......।। রুপমতি ০৭

এক ফোটা আরব্য
তারকিজ আতরে
চুবিয়েছি
যৌবন
চারশো বছরের
... ভূমধ্য সাগরীয়
নিল শ্যাম্পেনে
জেনেটিক গুনে
......আমি কুইন এলিজাবেত প্রথম
আফগান আফগানী
উপঢৌকন
......আমার পায়ে লুটাই
হিরে জহরতের
...... পূর্ণিমা ফ্যাঁকাসে
পাচ হাজারী মসনদ দার
সময় ভিক্ষা মাগে
......সূরিখানা মাতাল
হেসে ব্যঙ্গ
আমি রুপমতি
...... হারেমে বন্ধি
করতে পারনি বলে
... এখনো কথা বলি কবিতা হয়ে ...

mi


মাঝে মাঝে ভাবি
......আর লিখবো না কোন কিছু এখানে
তবু কি পারি স্থির থাকতে
...... যখন ই নিঃসঙ্গতা আসে
তখন ই আমার মন
......কথা বলে যায়
শব্দের সাথে ...।

sita 18


‎.........সীতা ১৮...।
আজ
ভাবনা পেয়েছে রঙ
গাং সালিখের ডানায়
যা না তবে তুই
......সেতু বন্ধনী নেউলের দারে
আমার ভালোবাসা দিয়ে এসে বল
আমি ভুলিনি তারে
...... এই জঙ্গলে ,
তার পর ফিরে আই সাঁজে
...... নতুন আলো রঙ
মাখিয়ে দিয়ে
তোর গালে
তোর মুখে
উড়ে যা
দিঙ্গিয়ে সাগর জল
পাহাড় পর্বত , স্বপ্ন হাওয়ায় ভেসে ভেসে
স্বপ্ন কেলি
ভুলে গিয়ে
বিচ্ছেদের অনাহুত
বাহুহিন দুঃখ নিয়ে
উড়ে যা গাংচিল
অযোধ্যা নগরে ...
জানিয়ে যে সব স্বপ্ন পাখির কানে কানে
দুঃখের রঙ এক
ঘন কালো আঁধার এক
যৌবন ক্ষয়ে যাওয়া
শব্দ
যদি শোনা যায়
তবে শোন
অযোধ্যা নাগরিক
কোন সুখে রয়েছ তুমি
কূল বধু
আজীবন
বন্ধি রয়েছে দানবে ।

lov


সঠিক জায়গায় থামতে পারলে নাকি
.........মোক্ষ লাভ ও হতে পারে
এই গল্প সেই বেহিসেবি রাঁধুনি
.........মাত্রাতিরিক্ত তেলে যে
বিস্বাদ হতে পারে রান্না বোঝে না...
......তাই খায় ও না কেউ

bake


পথের কোন বাকে যদি
.........পরে থাকে মোর নামখানি
ভুলে যাবে আমায়
আমি জানি ,
কালকের বাসী ফুল ফেলে দিয়ে ফুলদানী
আজকের নতুন সুগন্ধে
ভরবে ঘরখানি
আমি জানি...।।

tomra dekhecho take


‎.........। তোমরা দেখেছো তাকে ? ...

সেই মেয়েটা কোথায় গেলো
একটু আগে ও হাঁটছিল এই পথ ধরে
চাদরের অন্তরে ঢেকে রেখে
চাপা যন্ত্রণা যৌবন ,
একগাদা ঘ্রেনা অবজ্ঞার
আলপিন বিঁধে শরিরে
প্রত্যেকদিন ৬তার বনগাঁ লোকাল দাড়িয়ে
যেতো বিশরপারা স্টেশনে
সে আসবে বলে ,
তাকে তো দেখছিনা আজ আর ।
সেই মেয়েটা গেলো হারিয়ে ?
আমি তাকে চিনতাম
তার চোখের অপলক দৃষ্টিতে রাগ দেখিনি
মান অভিমান দেখিনি
পাচ টি প্রাণীর
ভবিষ্যৎ জেগে ছিল তার চোখে
এই অন্ধকার সময়ে ও ,
তাকে আর দেখছিনে ,
এই ভয়াল অমাবস্যা , রাহুকাল ,
প্রত্যেকদিন উবে যাচ্ছে জীবন
মায়া খেলাতে বা অনিচ্ছায়
কোন গোপন খুপরি তে পরেছে জীবন
আত্মা মৃত বা অবিনেশ্বর
হিসেবের বালাই ফেলে
তবু ও তো ছিল সে ,
রং মেখে ঠোটে
অঙ্গ বিকৃতি করে দাঁড়াত
নব্য হারেমে রোজ রাতে
পশু শিক্ষা দিতে ,
তোমরা দেখেছো তাকে...।

maikal


‎.......মাইকেল ...।
লুতফন্নসায় চেপে বার্লিন থেকে
সাদা ঘোড়ার খুড়ে দরজা অলংকৃত হয়েছে
বিলেতি শ্যাম্পেনের মাদকতায় শাওতাল
রমণীর পশ্চাদ্দেশ
হাভাতে শকুনের খাবার
ঢ্যামনা চান্দ সেগুনের ঝোপ ঝারে চোখ রেখে
উকি ঝুকি
মাদল শব্দ ভালোবেসে ?
এভাবে আক্রমনিত হয়ে যাবে মন
জংলী লাল মাটি তে
মাইকেল ভাবছে...
শান্ত বলয়ে ঝড়ের পূর্বাভাষ পেলে
গুছিয়ে প্রেম করা যেতো ।

gupto ghatak


‎.........।।গুপ্ত ঘাতক ...।।

এই অযান্ত্রিক পথ ধরে হাঁটছি
............কোনদিন ফিরবো না জেনে
নেই কোন ক্ষোভ অভিযোগ ,
সুবিশাল সমুদ্র স্রোত ও তার পূর্বের
......... ইতিহাস যায় ভুলে ......
ঝরে পরা পাইন পাতা মনে রাখেনা
......... বিগত জন্মের মর্মর ধ্বনি......।
আমিও তো চলে যাবো জানি , যেখানে
......বারোমাস ঘন ঘটা ঘুট অন্ধকার
ছায়া নেই-মায়া নেই
...... অহংকার নেই জীবনের ,
অন্ধ শোক নেই , মৃত্যু ক্রন্দন নেই , উষ্ণতার
............ প্রলেপ নেই মনে ,
খাদ্যের অভাব নেই।
ত্রিমাত্রিক জীবন অবিধানে
যোগ -বিয়োগ
গুণিতক আক্ষেপ , ঋণ বেড়ে বেড়ে
চক্র বৃদ্ধি সুদে
পাওনা মিটাতে হয়েছে মৃত্যু দিয়ে
............এখানেই ।
যে পথে হাঁটছি আমি , যে পথে আর আগে
হেঁটেছে অন্য কেউ , জেনে বা
না জেনে,
শুনেছি আমি সেসব গল্প তাদের মুখে...
দেখছি
থরে থরে সাজানো লাল বরফ ,
......ওক পাতা সক্রোধে ঝরিয়ে
দাড়িয়ে আছে আমারই প্রতীক্ষায়
...... আমি আসবো বলে বোধহয় !

যে সময়
ক্রন্তি দর্শী দিনকালের গল্প , অভিযোজনে
বন্ধন স্নেহাতুর পিতা মা
চুম্বন উস্নতা হিম রাতে
.........ভ্রুকুটি নরখাদক , গুপ্ত হত্যা
এসব ভিন্ন ইতিহাস ,
ভুলে যায় সকলে আর বেশি কিছু
গভীর অনুকরণীয় দুঃখ এলে,
যেহেতু অযান্ত্রিক পথে হাঁটছি আমি , সেহেতু
তীব্র কাজ করছি , ঘেমে ভেসে যাচ্ছে
দেহ মন বীভৎস উষ্ণতায় ,
দেখছি আমি
আমার ই সন্তানেরা রাত জেগে বন্ধি পাহারায়
এখানে ওখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে
সেই নরখাদক দল
আসতে পারে জেনে ,
এমন টি তো চাইনি আমি
আমার ও তো কিছু স্বাদ ছিল জেগে
...........................এই দুঃসময় ,
পায়রা ডিমে কান রেখে জীবনের ছন্দ
...............শুনতে শখ ছিল মনে,
জস্না রাতে শুয়ে থেকে ধান কাটা ক্ষেতে
.........বীজের গুপ্ত মানে আছে কি কিছু
খুজতে চেয়ে ছিল মন......
মরণ
এইসব অন্ধ গুপ্ত ঘাতকের হাতে পরে
.........তুই কি শান্তি পেয়েছিস ...

maikal 2


‎......।। মাইকেল ০২...

তীব্র ভাবে লটকে আছে বগলে গুচ্ছ রবীন্দ্র রচনাবলী ,
একুশ টা বসন্ত পাতায় পাতায় গেল উড়ে
জেনে টিক বিশেষজ্ঞ হবার বাসনায়
...............কবি ঘর ছেড়েছ , এখন ?
গরুর গর্ভ ভেদ করে শ্যামলীর জন্মে
উন্মাদনা তুঙ্গে রাম্লাম ঘরে ,
শীত বিকালের নিজস্ব রঙ আছে যা
বার্লিন আকাশে নেই ,
আবিস্কার করা গেল এই রামচন্দ্রপুর এসে
মাইকেলের চোখে জল ,
কতদিন রাজহাঁসের ডিম দিয়ে
দু সেদ্ধ ভাতে
কাঁচা লংকা পরেনি পেটে......
নেশাতুর চোখে হিমেল নিজস্বতায়
ঘুম ঘুম ভাব