২২ শে শ্রাবণ
ঢেউ পূর্ণজন্ম ছুঁত একবার
বিস্তৃত সুনীল জলস্তর পাতাল মেপে নিয়ে
লিখে দিতো অন্ধকার ভাঙ্গবার রহস্য
আহ্লাদী সন্তান
স্তনের বোটা থেকে মুখ তুলতে না তুলতে বেলা যাই
নামে দ্বিতীয় বসন্ত বাতাস
কালকের ডিম ভাঙ্গা কাঁক আজকে গৃহিণী
ফুরফুরে ট্রেন গতি ভাঙ্গে
তস্যচুল ওড়ে হাওয়াই সম্ভ্রম জাগানো নারী গুছিয়ে রাখে
মোলায়ম হাতে
ছুটে চলা গতি বাদামের খোসা ফিনফিনে চারের কাপ
কাচা ছোলা মশলা মুড়ি বাউলের সুর ঢেউ ভাঙ্গে
এসে পড়ে বোলপুর
চুপি চুপি নেমে পড়ে লোকজন গৃহস্ত আসবার- আবদার
পূর্ণজন্ম লেখে কবি কাগজের মরূদ্যানে
অক্ষরের মান্ধাতা উপ্রে আধুনিক শেকড়ের হৈচৈ গর্ব
তেরোপার্বণ মান্দারবন
জেগে থাকে তামার পার্থিব ককটেল
কেউ বলে সে আসে - সে যায় , সূর্য জানে শুধু
মোলায়ম হাতে
ছুটে চলা গতি বাদামের খোসা ফিনফিনে চারের কাপ
কাচা ছোলা মশলা মুড়ি বাউলের সুর ঢেউ ভাঙ্গে
এসে পড়ে বোলপুর
চুপি চুপি নেমে পড়ে লোকজন গৃহস্ত আসবার- আবদার
পূর্ণজন্ম লেখে কবি কাগজের মরূদ্যানে
অক্ষরের মান্ধাতা উপ্রে আধুনিক শেকড়ের হৈচৈ গর্ব
তেরোপার্বণ মান্দারবন
জেগে থাকে তামার পার্থিব ককটেল
কেউ বলে সে আসে - সে যায় , সূর্য জানে শুধু
আজ বাইশে শ্রাবণ !
কি নাম
কিছুটা পথ রেখেছি এখনও , যদিও স্থানচ্যুত
রাত্রির আড়তে নির্মোহি জ্যোৎস্না হুটোপুটি , আর
অদ্ভুত অনুতাপহীন চাঁদ একা জেগে আছে --
কলতলা পাশে হাঁসের ঘর ম্লানমুখে
রাত্রির অন্ধ ভাষা শেখে , এবং
সমস্ত নাজুক অভিমান ওখানে সহজতর হয় ।
তোমাকে চেনাবে প্রেম ,রাহুকাল ,যে গৃহস্ত হুতুম প্যাঁচা
সে ঘুমিয়ে গেলে জানি তুমি আছো --
নচেৎ বুদবুদ নেই জলের
যদিও ধরে নাও সমস্তই ক্ষণস্থায়ী আপেক্ষিকবাদ - সর্বদায়
মনস্তাত্ত্বিক আক্ষেপ অথবা নির্বাণ রাতের মতো ---
যে প্রেমে ঘর ছাড়ে রাহুল , সে প্রেম চেনাবে , যেমন
ঘন বর্ষা কর্কশ দাদুরী ডাক চেনাই গ্রাম !
সর্বাত্মক অনুলিপি নিয়ে হৃদয়ের মঙ্গলঘাটে জরুথুরু চুপচাপ আমি ,
শিরায় পুরুষালী রক্ত , কে খুঁজে বের করবে কোন লোমকূপ
কামাগ্নি ?
নচেৎ বুদবুদ নেই জলের
যদিও ধরে নাও সমস্তই ক্ষণস্থায়ী আপেক্ষিকবাদ - সর্বদায়
মনস্তাত্ত্বিক আক্ষেপ অথবা নির্বাণ রাতের মতো ---
যে প্রেমে ঘর ছাড়ে রাহুল , সে প্রেম চেনাবে , যেমন
ঘন বর্ষা কর্কশ দাদুরী ডাক চেনাই গ্রাম !
সর্বাত্মক অনুলিপি নিয়ে হৃদয়ের মঙ্গলঘাটে জরুথুরু চুপচাপ আমি ,
শিরায় পুরুষালী রক্ত , কে খুঁজে বের করবে কোন লোমকূপ
কামাগ্নি ?
হৃদয়ঘটিত প্রণয় আত্মস্থ করে নিয়ে সঙ্গোপনে পূর্বের লাল আভায় ফেরো
পুরুষ , সর্বাত্মক ক্ষুধার সম্মুখে খুদকুঁড়োর জোগান পর্যাপ্ত থাকলে
চাষের দানবীয় স্বপ্ন কৈ ? অধিবাস্তব শিলালেখে সভ্যতার
সমস্তকলা ঝোরে পড়ে মন্থিত অমৃত লোভে ----
স্মৃতিভ্রম ,অনুপম স্মৃতি ধুয়ে দেয় জরায়ু বৃষ্টি !
উদ্ভট গান হয় , লখনউ হামের থেকে গওহরওজান
রাখে সন্ধি প্রস্তাব -- কাদের যেন সাতপুরুষের সাথে , সঙ্গমের ।
সতত পুরুষ এক কড়া নাড়ে বুকের অলিন্দে ।
নিরুত্তর থাকি , যৌবনের মানপত্র হাতে স্থিরকল্পে
আসে ছিন্ন চিন্তন
কে ব্যাধ কে ব্যাধি কে নিয়ে আসে বিশল্যকরণী ?
উকি দিই , স্বয়ম্ভু পুরুষ বটে , উজ্জল লাবণ্যপ্রভা--
কপোলের বা'পাশে ছোট্ট জুরুল , হাসলে টোল পরে গালে ,
মরি , আমাকে গলিয়ে দিতে কতক্ষণই বা নেবে ?
ভয় নয় , পুরুষোত্তম জন্মপিতার সম্মানের লক্ষণরেখা
ভাঙ্গবার শখ , আছে ; চৌকাঠের বাইরে দিয়ে এক'পা
দ্বিতীয় পায়ে গৃহস্তের মান্যতা মানি ।
আজ চুলে লাল ফিতে বাঁধি , পায়ে আলতা প্রলেপ
সমাজবিদ্যার বই বন্দ করে , আমিও মাতামহী !
আমিও হৃদয়ে পাচীন , আমিও সনাতনী !
পুনরায় কড়া নাড়ে পুরুষ , কেউ কি আছেন ?
ডাক শুনে ঝাপ দিই উঠোনে -- তবুও থেমে যায় দৌড় --
পায়ে বেড়ী পড়ে ---------
যদিও এই বেড়ী পরিয়েছে আমার স্বেচ্ছাধীনে অন্তরের আত্মজ
ভাঙ্গবার শখ , আছে ; চৌকাঠের বাইরে দিয়ে এক'পা
দ্বিতীয় পায়ে গৃহস্তের মান্যতা মানি ।
আজ চুলে লাল ফিতে বাঁধি , পায়ে আলতা প্রলেপ
সমাজবিদ্যার বই বন্দ করে , আমিও মাতামহী !
আমিও হৃদয়ে পাচীন , আমিও সনাতনী !
পুনরায় কড়া নাড়ে পুরুষ , কেউ কি আছেন ?
ডাক শুনে ঝাপ দিই উঠোনে -- তবুও থেমে যায় দৌড় --
পায়ে বেড়ী পড়ে ---------
যদিও এই বেড়ী পরিয়েছে আমার স্বেচ্ছাধীনে অন্তরের আত্মজ
আরোগ্য নিকেতন
শোকগাথা বিষাদ মুক্ত তবু অন্দর পেয়েছে
ঝিনুকের , বর্ণীল উগ্রচণ্ডা রাতে
ঘুমিয়েছে রাতের হরিণী
বাঘের ক্ষুদা নিয়ে রাত্রি জাগরণ
ব্যাভিচারি যন্ত্রণায় নেশা বাড়া শোক ।
দৃষ্টি দানব ।
জল ঝরে কীর্তনের পড়ে
জোয়ারের শব্দ থেকে অথবা স্রোতের গতি থেকে
যে জীবন অমৃত খোঁজে অথবা পিপাসী
গোবর ছিটা খৈ উড়ানো দুপুর এসে
নিকেতনে মরণের রোগ দিয়ে যাই
আরগ্যের অঙ্গীকার কে রাখে কোথায় ?
বোধিবৃক্ষ শূন্যতায়
যাবতীয় উপেক্ষার নিশানায়
ব্যাধিগ্রস্ত শরীর
ক্ষুণ্ণবৃত্তিতে ব্যাধি নেই যদি বলেন ভিক্ষুক
ঐশ্বর্য চোখের দৃশ্যাবলীতে পার্থিব যে অসুখ সৃষ্টি ক'রে
হোমাগ্নি নয় ---
জলন্ত চিতায় গড়ে ওঠে আরোগ্যে নিকেতন ।
যে জীবন অমৃত খোঁজে অথবা পিপাসী
গোবর ছিটা খৈ উড়ানো দুপুর এসে
নিকেতনে মরণের রোগ দিয়ে যাই
আরগ্যের অঙ্গীকার কে রাখে কোথায় ?
বোধিবৃক্ষ শূন্যতায়
যাবতীয় উপেক্ষার নিশানায়
ব্যাধিগ্রস্ত শরীর
ক্ষুণ্ণবৃত্তিতে ব্যাধি নেই যদি বলেন ভিক্ষুক
ঐশ্বর্য চোখের দৃশ্যাবলীতে পার্থিব যে অসুখ সৃষ্টি ক'রে
হোমাগ্নি নয় ---
জলন্ত চিতায় গড়ে ওঠে আরোগ্যে নিকেতন ।
ইচ্ছা মৃত্যু
বৃষ্টি , যদি জানতে চাও মৃত্যুর আগে কি চাই ?
বলবো , ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে বিপ্লবীকে
তোমার ছেলে বউ আমাদের সন্তান ,
বলবো , কৃষাণীকে , ওগো পক্ষিমাত কুলো হাওয়াতে
ধরবার শিল্প শিখিয়ে দাও অজ্ঞানেরে ,
বলবো , শ্রমিকেরে তোমার অদ্ভুত পাঁজরে
ওদের রঙিন আবর্তন ,
বলবো , ধর্ষিতা বোন আমার , এই দেশ এই দ্রোহ-কাল
আমার এবং তোমার ,
বলবো , পতাকাবাহী রাজনৈতিক হন্তকরে , মা , মা নিষাদ ,
বাল্মীকি স্তুপ হয়ে ওঠার বিদ্যা দাও ,
বলবো , বৃষ্টিকে , একই ভাবে ভিজিয়ে দাও , ধুয়ে দাও
সমগ্র মলিনতা , শ্রাবণে গান হোক ,
রামের গাছের কাঁঠালের পাতা খেয়ে যাক রহিমের ছাগল ।
এবার মৃত্যু আসতে পারো র্যাটেল স্নেকের ঝুনঝুন শব্দে
পায়ে তীর বিদ্ধ হয়ে ঘুমিয়েছিলেন মথুরাপতি
অমরত্বের প্রস্তবনায় লেখা নেই কোন নাম !
বলবো , পতাকাবাহী রাজনৈতিক হন্তকরে , মা , মা নিষাদ ,
বাল্মীকি স্তুপ হয়ে ওঠার বিদ্যা দাও ,
বলবো , বৃষ্টিকে , একই ভাবে ভিজিয়ে দাও , ধুয়ে দাও
সমগ্র মলিনতা , শ্রাবণে গান হোক ,
রামের গাছের কাঁঠালের পাতা খেয়ে যাক রহিমের ছাগল ।
এবার মৃত্যু আসতে পারো র্যাটেল স্নেকের ঝুনঝুন শব্দে
পায়ে তীর বিদ্ধ হয়ে ঘুমিয়েছিলেন মথুরাপতি
অমরত্বের প্রস্তবনায় লেখা নেই কোন নাম !
প্রথমবার
এই প্রথমবার তুমি চলে যাচ্ছ না জানিয়ে , মৃদু অন্ধকারে ,
ফুল থেকে বসন্ত বাতাস থেমে যাওয়ার নাম চলে যাওয়া ,
আর এই প্রথমবার খ্রিস্টমাস ট্রি রাত্রির নীরবতার ভাষায়
বুঝে নিল আগুনহীন রাতের গদ্যে ।
এই প্রথমবার বোয়িং ৭০৭ সি আর রানওয়ে ছোবার আগে
যথেষ্ট আলোহীনতায় ভুগলো , বিষণ্ণ তক্ষক সর্পহন্তক যজ্ঞ থেকে
আয়ু চাইতে গেল ভুলে , নিস্তব্ধ নিয়ন থেকে চুয়ে পড়া সফেদ
আলোতে ফুটপাতের যৌনকেলি যেন অবসাদগ্রস্থ অযোধ্যপতি -
আর এই সমস্ত ভুল সংকেত বলছে --------
এভাবেই কি যাওয়ার কথা ছিল তোমার ?
যথেষ্ট আবেগ রেখে তুমি চলে যাচ্ছ এই প্রথমবার । আমার চোখের
প্লাবনে ষাঁড়াষাঁড়ি বানের হুংকার , বিসমিল্লার বিষাদী সুরে
পুরুষের অন্তিম অনুরাগ , যেতেই হচ্ছে তোমায় , ভাবলেই এই
তামাম পৌষে দরদর ঘাম ।
অবশ্য যাচ্ছই তুমি বলে ভাগাড়ে মৃত পশুর মত পড়ে আছে আস্ত
জগত , দৃশ্যত তুমি এসব বোঝ না !
আর এই সমস্ত ভুল সংকেত বলছে --------
এভাবেই কি যাওয়ার কথা ছিল তোমার ?
যথেষ্ট আবেগ রেখে তুমি চলে যাচ্ছ এই প্রথমবার । আমার চোখের
প্লাবনে ষাঁড়াষাঁড়ি বানের হুংকার , বিসমিল্লার বিষাদী সুরে
পুরুষের অন্তিম অনুরাগ , যেতেই হচ্ছে তোমায় , ভাবলেই এই
তামাম পৌষে দরদর ঘাম ।
অবশ্য যাচ্ছই তুমি বলে ভাগাড়ে মৃত পশুর মত পড়ে আছে আস্ত
জগত , দৃশ্যত তুমি এসব বোঝ না !
কীর্তনখোলা
চলে যাবো কীর্তনখোলা থেকে কীর্তিনাশার দিকে ,
কিছুই র'বে না জানি উর্বর শস্যগোলা আমুদে শরীর ।
কবরের মাটি ফুঁড়ে উঠে যাবে যে হাসনুহানা
তার নিচে জিরিয়ে যাবে দু'প্রহর নীলপরী
গান হবে বৈষ্ণব ।
তামাদি ফটোগ্রাফে দেওয়ালে লাজুক চোখের কিশোরবেলা ।
কিচ্ছু নেই রেখে যাবার , শামুখের খোলের অভ্যন্তরে
আঠালো অনুভব ছিল শব্দের বন্ধনে
রেখে গেলাম ----
ঐ শব্দে চোয়াল চিনে নিও
শক্ত পায়ে দাঁড়িয়ে চাঁদের রূপান্তরভেদ দেখেছিলাম
আঠাশ দিনে ; মোহময়ী আগুনে পুড়বার সাধ ছিল ,
পাণ্ডুলিপিতে সেই সমস্ত আকাঙ্ক্ষা
লাজুক কিশোরবেলা থেকেও সত্য ।
আঠালো অনুভব ছিল শব্দের বন্ধনে
রেখে গেলাম ----
ঐ শব্দে চোয়াল চিনে নিও
শক্ত পায়ে দাঁড়িয়ে চাঁদের রূপান্তরভেদ দেখেছিলাম
আঠাশ দিনে ; মোহময়ী আগুনে পুড়বার সাধ ছিল ,
পাণ্ডুলিপিতে সেই সমস্ত আকাঙ্ক্ষা
লাজুক কিশোরবেলা থেকেও সত্য ।
একবিংশ শতকের প্রথম অধ্যায়
তোমার লিপস্টিকে আমার মায়া মোহ রাগ ।
স্থানচ্যুত রাজনৈতিক মতাদর্শ বুকে রেখে
ডান বলো বাম বলো সাম্রাজ্যবাদী নেড়ি কুত্তার
ন্যাজে পকটা বেঁধে আগুন জ্বালিয়ে রাজপথ টায়ার পোড়া
বাসের হেডলাইট ভাঙা বলো --
নেই , নেই নেই আমি নেই
আমাকে স্থান দাও , এক ঘটি স্তন দাও ফুরফুরে চাঁদ
সোনার নোলক বসন্ত দাও
ওসব বৈষ্ণব পদাবলী শাক্ত পদাবলী রাখো ।
রবীন্দ্র জয়ন্তী তে উৎসব হবে ঘোষ আমবাগানে
বিয়ারের ক্যান আর খাসির মোচ্ছব
তোমার ফিগার , আহা , হুটখোলা ব্লাউজে মাইরি অনুস্কা শর্মা
জ্বলছে জ্বলছে , নিম্ন আঞ্চল জ্বলে গেল
শ্যালা দু'গ্যালন ইউরিন বেড়িয়ে , আঃ তৃপ্তি , তৃপ্তি ,
শিরদাঁড়া যেখানে শেষ
তারপর থেকে তোমার অন্ধকার রাজত্ব , দেবী দাও দাও
মন্ত্রগুপ্তি দাও , বশীকরণ করো -----
দু'ই পর্বতে চরবার সখ গেল না , গেল না --
কত তপস্যায় পেয়েছি এই গোলটেবিল বৈঠকের অধিকার
টায়ার ক্ষয়ে গেছে সাইকেলের
জঙ্ঘার কালো তিল দ্যাখাও আমায়
কালো বিড়ালের মত তপস্বী করো
চণ্ডাশোক , চণ্ডাশোক
রাম রাজত্বের লোভ দেখিও না ।
আমার দেশ নেই , দেশের সীমারেখা নেই , ধর্ম নেই
শিককাবাব শুয়োরের মাংস দেশী সুঁড়িখানা ---
বাজী ধরেছি নিজের সাথে
আমার জয় - আমার পরাজয়
সাইরেন গাড়ির চোদ্দ পুরুষের মুখে থুঃথুঃ
মাংস দাও , নধর নধর থলথলে মাংস , চিতল হরিণী থেকে
রাজহংসী
রাতের কলা ভেঙ্গে পরুক তোমার শরীরের কারুকার্য ঘামে
তাপ উত্তাপ লীনতাপ ভেজা বিছানার গা বেয়ে
তামার তোমার যুবতী ঘাম
আমাকে বিদগ্ধ করো নিমেষে
পুরুষাঙ্গের গোপনীয়তা অর্ধেক লোক পুষে রাখে নিজের কাছে নিজেই
আমার জন্মে কোন ছুঁৎমার্গ ছিল না
না ছিল বেড়ে ওঠার মধ্যে
না আছে মৃত্যুতে
ঠোঁটের কষে কষে সেই সব উষ্ণতায় মরে যেতে দাও
তামাম আলো- আঁধারি গল্প চাই শরীরের ।
বীতশোক নয় কোন প্রেমের ,
কতখানি মা কে চিনেছি যে তোমাকে চিনবো ,
কোন আক্ষেপ রেখে পাগলা জগাই এর মত লাশকাটা ঘরে
বেয়ারিশ কুকুরের মত নম্বর প্লেট ঝোলাবো না পায়ে
বাস্তিল পতনের দৃশ্য অদৃশ্য গরিলা ছায়া যুদ্ধের চিন্তন নেই যে
ইতিহাস চেনাবে আমায় ----------
ছেঁড়া ইতিহাসের পাতায় থাকুক সম্রাট সাম্রাজ্য
আমার হাপরেরটান শরীর সম্বন্ধীয়
শালুক চিনেছে শালুক
প্রেমের অধঃতনে এসো নারী
দেশ কাল সময় সমস্তই আপেক্ষিক , শরীর আপেক্ষিক হয়েও
রহস্য জানে , ডুবিয়ে দাও , আমাকে ডুবিয়ে দাও
জীবনের আক্ষেপ নেই
নেই সমাজনীতির আক্ষেপ
দৃশ ধাতু অনড় প্রত্যয় দিয়ে তোমরা আকাশ দ্যাখ
গান লেখ সময়ের
রবি থাকুর ফুল চন্দনে একদিন মুখরিত থাকুক
আমাকে বঞ্চিত কোর না শরীর থেকে , রোগ দাও , রোগ দাও
আমরা কেউ কাউকে চিনি না ,পাশাপাশি ঘানির গরু ,
একবিংশ শতকের প্রথম অধ্যায় ধরে ঘুরছি দু'জনে
আমি নিত্য পিশাচসিদ্ধ পুরুষ
তুমি ডাকিনী বিদ্যায় পারদর্শিনী ,
আর আমাদের রক্ত খেয়ে খেয়ে ছুকড়ি থেকে বুড়ি
বয়সের দিকে ছুটছে পৃথিবী ।
বৃষ্টি
আমাকে বাদ দিয়েও এমন বেহায়া বৃষ্টি হয়
তিলোত্তমায় , কাকে দ্যাখাও তুমি দেহপল্লবী,
স্নাত শরীর হতে বিন্ধু বিন্ধু জল,ওহে মুছে ফেল-
কাকে দেখাচ্ছ তুমি আগুনের লোভ !
এবার ভিজে নাও তোমার শেষ প্রণয়ে ,জলে স্থলে
অন্তরীক্ষে এসেছে তারই দিন , ধুধু পিচ রাস্তা ধরে
ভ্রম মরীচিকা টায়ার পোড়া গন্ধ- শুধুই রোদনের
দিন ভুলে ভিজিয়ে দাও নিয়ন বাতি হোক হাতে টানা
রিক্স , পাগলা মাতাল হোক বনেয়াদি মিনার ।
ভিজিয়ে দাও তুমি শরীরে মননে দহনে , এই বৃষ্টি
তুমি কাকে দ্যাখাচ্ছ ভয় ! কার হৃদয় ক্ষতে তোমার
প্রলেপ ! সোজা সোজা বাইপাস ধরে কীর্তিনাশা বৃষ্টি
আরো এগিয়ে যাও আমনের ক্ষেতে --
দ্যাখ , তিলোত্তমার চেয়েও কোন সুন্দর তিলত্তমা বঁধু
প্রতিক্ষিয়া দাওয়ায় আর বাখারিতে বাঁধা আছে সোনালী
স্বর্ণের উপঢৌকন ; যদি পারো তো বৃষ্টির ইতিহাস হও
সম ভালোবেসে - সৃষ্টির তিলোত্তমায় !
ভিজিয়ে দাও তুমি শরীরে মননে দহনে , এই বৃষ্টি
তুমি কাকে দ্যাখাচ্ছ ভয় ! কার হৃদয় ক্ষতে তোমার
প্রলেপ ! সোজা সোজা বাইপাস ধরে কীর্তিনাশা বৃষ্টি
আরো এগিয়ে যাও আমনের ক্ষেতে --
দ্যাখ , তিলোত্তমার চেয়েও কোন সুন্দর তিলত্তমা বঁধু
প্রতিক্ষিয়া দাওয়ায় আর বাখারিতে বাঁধা আছে সোনালী
স্বর্ণের উপঢৌকন ; যদি পারো তো বৃষ্টির ইতিহাস হও
সম ভালোবেসে - সৃষ্টির তিলোত্তমায় !
বন্ধু
স্কুলের গেট থেকে হারিয়ে গেল সেই মুখ
যদিও এব্যাপারে আমার কিছু করার ছিল না
যদিও যদি বলতাম দাঁড়াও তবুও শুনত কি শুনত জানা নেই
এভাবেই হারিয়ে যাই
যদি বলতাম আমাকে নাও সঙ্গে , দেখিয়ে দিত তবে
একাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞানের বই , আমি চরম মূর্খ ,
বই এর প্রথম পাতাতেই থেকে যেতাম আজীবন
সেও ডিসটিংসন নিয়ে আবার হারিয়ে যেত
এভাবেই হারিয়ে যাই সক্কলে গেট থেকে , খেলার মাঠ থেকে
চৌধুরীদের রোয়াক থেকে -- এয়ারপোর্টের দিকে সমুদ্রের দিকে
পশ্চিমের দিকে , আমি নির্ভেজাল চোখ নিয়ে দৃশ্য দেখি
জোয়ান চাঁদ ওঠে গম খেতের কাকতারুয়া
আমার সাথে জেগে জেগে পাহারা দেয় পাচীন বিশ্ব
এভাবেই হারিয়ে যাই সক্কলে গেট থেকে , খেলার মাঠ থেকে
চৌধুরীদের রোয়াক থেকে -- এয়ারপোর্টের দিকে সমুদ্রের দিকে
পশ্চিমের দিকে , আমি নির্ভেজাল চোখ নিয়ে দৃশ্য দেখি
জোয়ান চাঁদ ওঠে গম খেতের কাকতারুয়া
আমার সাথে জেগে জেগে পাহারা দেয় পাচীন বিশ্ব
নিরুত্তর
পরিমার্জিত সংস্করণে ভুখামিছিলে
গুলিচালনা শব্দ বাদ দেওয়া হল চুলচেরা বিশ্লেষণের পর ।
ভুখামিছিল শব্দে একটা তৃতীয় তৃতীয় ভাব থাকে
শিল্প ঘরানায় উন্নত উন্নত প্রথম প্রথম বিশ্ব ,
অবশেষে সর্বজন স্বীকৃতি পেল শিল্প ঘরানায় গুলি চালনা -----
তোপখানায় থরে থরে সাজানো সেই বিজয়ী রাইফেল --
আপাত নিরীহ বস্তুটার মধ্যে সেই উৎসাহ নেই যেকিনা রক্ত চেনে ,
তবুও রাইফেলের গায়ে শুঁখে দেখি রক্ত গন্ধ আছে কিনা -
নাহ! তবে কি ট্রিগারের আঙ্গুল রক্ত চোষক !
দৌড়ে বেড়িয়ে আসি , জেনারেল ডায়াস অন্তর্নিহিত কিছু
বক্তব্য রেখেছিলেন জালিওনালাবাগে
ক্ষমতা ঊর্ধ্বতনের স্বদেশও সাম্রাজ্যবাদের শাশ্বত জেরক্স কপি
ক্ষমতার প্রতিষ্ঠা শুধুই রক্ত পিপাসী
নাহ! তবে কি ট্রিগারের আঙ্গুল রক্ত চোষক !
দৌড়ে বেড়িয়ে আসি , জেনারেল ডায়াস অন্তর্নিহিত কিছু
বক্তব্য রেখেছিলেন জালিওনালাবাগে
ক্ষমতা ঊর্ধ্বতনের স্বদেশও সাম্রাজ্যবাদের শাশ্বত জেরক্স কপি
ক্ষমতার প্রতিষ্ঠা শুধুই রক্ত পিপাসী