Friday 4 May 2012

ভাল



মড়া চাঁদের গল্প এক ছবি

উদ্দেশ্য ছিল গোপন তরবারি অগ্রে রেখে মায়া
বহুখণ্ডিত চাঁদের এক টুকরো তোর মুখে তুলে বলবো খা , হরির লুটেই
বিসর্জন দেবীপক্ষের ।
সেই তো ধার করা শরীরে রঙ মেখে বাস হাতলে জ্যান্ত বাদুড় ফাঁকে উঁই মাটি
খুঁড়েছে ভেতরে জানি না ? গাদাগুচ্ছ প্রেসক্রিপশনে মেডিক্যাল স্টোর
বাছুর খাওয়া কুমীর প্রভিডেন্ট ভেঙ্গে শ্রাদ্ধবাসর , এই দেখেই রোগ চিনেছো !
রোগ বোঝো নিই !

আর সংরক্ষিত অস্ত্র ভাণ্ডার নিয়ে ঠাই দাঁড়িয়ে দুই পা আর কিছু শব্দ
যে বাস্তিল জনতার সেই স্বপ্নে আমি হেটে যায় রাইন বরাবর
নিঝুম উপত্যকা দিয়ে সেই ইতিহাস
কবরের ভুমি শ্মশান ক্লান্ত
ইতিহাসের গতি পরিবর্তন হয় কি স্বপ্নে ?

প্রতিদিন রাঙিয়ে সকাল অভিমানে নচ্ছার বারবণিতা লাইনে
লজ্জা নেই , কুয়াশাভেদক আলোর রেশ্নায় ক্ষণিকের খুশী করে
নাগরিক ;

ইতিহাস হতে সরে গেল যে পাখি আলোআবডালে
সেও খুঁজে নিয়েছে কোন স্বজাতি খাদ্যভান্দার ।

দূরে ফিকে হয়ে আসে যে চাঁদ
তাতে এককালের মায়া ছিল

এক যৌবন দাড়িয়ে ছিল প্রতীক্ষায় ।











নীলকণ্ঠ

এভাবেও লিখে নিতে পারো দাম ঠোটের উষ্ণতায়
অচেনা ভাঁড়ে চায়ের মজা , জানিনা এভাবেও এক আক্রোশ
মিটে গেলে বিস্বাদ ভাঁড় কে বা মনে রাখে !

আর ঐ দিকে শ্রেণী সংঘাত বিলুপ্তির চাঁদে ভরা যৌবন
মেঘ উড়ছে শরীরমুখী বৃষ্টি নেই নিম্বাস ভেবেছিলো যদিও ।

লক্ষ কোটি তারা মন খারাপের রাতে সম্বল এক বুক
দ্বন্দ্বমূলক প্রতিবেদনে বিশ্বাস নেই
সনাতন জিতেছে প্রপিতামহ থেকে বর্তমানে !

এভাবেই অবলুপ্তির পথেঘাটে ত্রিকাল , সুদূর অতীত হতে
সঙ্গমে মিলনরাগ
নীলকণ্ঠ একবার
বারবার হয়েছেন সন্তান ; এখানে ।











যাপনে সন্ধি প্রস্তাব

এযাবৎ প্রথম রসে আত্মসন্তুষ্টি , বৈরাগ্য নেই ।
সারাদিন হরিণের মেধ নিয়ে নাড়াচাড়া
পরিপক্ক জুহুরি হিসাবের বাইরে রাখেনা মাংস ভিন্ন দ্বিতীয় পদার্থ ।

তরল হতে চেয়েছেন রঙিন গ্লাসে
তরলের মহিমা জানে একমাত্র থর জীবনে মরণে ।

ঈশ ঈশ শব্দ করোনা সময়
জনমানবহীন প্রান্তরে শরীরের উৎসব

চোখের জলে কত ভিজবে মাটি
হৃদয় সেঁকে নিতে হবে আগুনে
লীনতাপে ঠাণ্ডা করো জীবন ।











প্রাচীন সূর্য

পদচারণে পশ্চাৎমুখী গতিবেগ দুর্বার , কাঙ্ক্ষিত নয় যদিও বা তৃষ্ণা তবুও হাঁপর টেনে টেনে ক্লান্তিতে নুয়ে আসে শরীর আর আস্ত এক ক্ষিদে গিলে খায় সারাদিন । ভালো থাকা মানেই স্বপ্ন বেচে রাস্তায় আলোতেই রাত্রিবাস , অনুভূতি রেখে দাও কুমীরের পেটে এক শীত রোদ পোহাবে - লুকিয়ে রাখবে অনন্ত এক ক্ষিদে । না কোন দুঃখ নেই আর কোন দুঃখে ; পেক্ষাপট বদলেছে অজান্তেই , যা হতে পারতো তা কবেই বা হয়েছে কবে ! বেশ আছি , চোর , কেউ কেউ জানে এ খবর । চোররা যতদিন তেল মেখে সারা গায়ে আঁধারে বেরুত যখন তখন নিতাই কানাই এরা নাম পেয়ে যেত দুদিনেই , একটা গর্ব ছিল তাদের চোর বটে , বাবুদের ঘরের কত স্মৃতি আহাঃ ।

আমি আধুনিক চোর , অবশ্য চোর নাও বলতে পারেন , ন্যায্য দামে কিনতে চাই , না দিলে কি আর করার , অগত্যা । ব্যবসা ? বলতে পারেন , এনটিক বেচি , খরিদ্দার আছে দেশী বিদেশী আর লোকাল ডিলার , ওখানে ঢেলে দিলে নগদ নারায়ণ , ডগমগ শুঁড়িখানা । সেদিন দলের পাণ্ডা এক বেলতলা ঘুরে এসে অ্যাংলো-সুইস পকেট ঘড়ি ১৯২৩ মডেল দাম হেঁকেছিল ২০০০০ হাজার বুড়ো রাজী নয় তবু । মেপে নিয়েছে দল ছোটো ফ্যামিলি বুড়ো আর বৌমা ছোট এক নাতী , ছেলে ব্যাঙ্গালোর না কোন দেশে , দোতলায় বুড়োর ঘরে নাকি আছে রাখা দেরাজে চাবি থাকে বুড়োর শিয়রে ।

প্রস্তুতি সারা হয়ে গেলে একরাতের আকাশে বেড়িয়ে পড়ি আমরা দুইজন , আমি একাই যাই উপরে , প্রবেশের গল্প অন্য দিনেই না হয় করব তবে , হাঁপানি বুড়ো রাতে জানালা দরজা রাখেন খুলে , সহজ কাজ , সহজ ভাবে করে সমাধা বেড়িয়ে প্রস্তুতি । হঠাৎ পাশে দরজা খোলার আওয়াজ , চুপ করে থাকি , এক ছায়া এগিয়ে যায় বেয়ে মোড় নিয়ে বাথরুমমুখী - কাঁপন বাড়ে - প্রস্তুত করি নিজেকে সেই ভীতুদের চিরায়ত অস্ত্র নিয়ে , খানিক চুপ , জল পরা শব্দ , বেরুবো কি বেরুবো না ভাবতে ভাবতে ছায়া এদিকেই , ঈশ্বর , একি অঘটন ।

" তুমি তবে এই ? বা ! বেশ করেছো ? বাবা বেঁচে আছেন ? মা ? ভালো , তারা অন্তত দেখে যাননি তার সুপুত্র কি করছেন । "

ঘন সন্নিবদ্ধ হয়ে উঠছে বাতাস , ঘাম ঝরছে কপোল বেয়ে নাভিপ্রদেশ । বেশ বলেছো মিতা ।
কতকিছু কথা ছিল তোমাতে আমাতে , কত রাত জাগা গল্পে তুমিই নায়িকা আর তোমার স্তন নিয়ে
আমার যুবক বয়স , হা হা হা । খাতা জুড়ে যতটা পিথাগোরাস ভাঙতে পেরেছিলাম তোমাকে ভেঙ্গেছিলাম ঢের বেশী , তবে ? সে সব মিথ্যা ?

স্থির হয়ে আছে সময় । দূরে সাইরেন দিতে দিতে প্রথম ট্রেন কক্ষপথে , শুধু নিথর হয়ে রয়েছে এই ১২বাই ১২ ফুটের আধুনিক ঘর , এখনো সেই আকর্ষণ , তোমার চুলে ডুবছে এক প্রাচীন সূর্য ।















আলো

অতএব লেলিহান শিখা হতে প্রাচীন মানুষ আগুনের ভাষা খুঁজে
অমৃতের নাবিক । স্বেচ্ছাধীন নয় যে ভালোবাসা
পুরনো ধানের সেই একই মায়া কি জানি কোন সে
বীজের নিহিত রূপকথা গাঢ় অনুরাগে আমাদেরই
সৃষ্টির কথা বলে চলে ।
আমি চেয়েছি যতো ভুলে যেতে বিগত পাণ্ডুলিপি
সেই তো ছায়া এক অভিশপ্ত যাপন ।

নিষিদ্ধ হয়ে গেছে সমগ্র অতীত দর্শন তবু
ধাতস্ত হয়ে ওঠেনি অণু- পরমাণু অস্তিত্ব ।

নিহিত সারমর্ম সে যুগের শিক্ষিত প্রজাতি আমাদের পূর্বপুরুষ
খুলে দিয়েছেন জানালা...
আমিই করেছি বন্ধ
এতো আলো রাখবো কোথায় !









একাকী

প্রায়শঃ সমকালীন সকালে হাতে আমাদের
ভবিষ্যৎ প্রজন্ম , গড়েরমাঠ খুঁচিয়ে খুচরো আধুলি
অচল নগর নিঃস্ব বিশ্ব ওদিকে ভরা শ্রাবণ ।
প্রজন্মগত সূর্য ধরে আকৃতিতে স্বপ্ন বিশ্বাস
নিঃশ্বাস জাগতিক ইচ্ছাশক্তি আর অহরহ ইজের বেঁধে
৪৬এর হাতলে ছুড়ে দিয়ে শরীর নেশাতুর থেকে
পৃথিবী সন্তান ।
অনন্ত বিলাস পরিশীলিত অভাব ভেতরের যোগসূত্র নাড়ী
পতনকেন্দ্রীক , ঠোকা ঠুকি লাগে যখন ভেতরে ওমা
কেউ নেই কথিত জলাতঙ্ক ছায়া প্রতিদ্বন্দ্বী ।
কিচ্ছু করে উঠতে পারেনি সময়ের বিপরীতে
কেউ , নগদ হাতখরচা ব্যাংক সেভিংস কিছুটা
নিশ্চয়তা দিতে পেরেছে শরীর চাতক রয়েছে অভুক্ত ।
ঐ তো সমবেগে হাটবার কথা ছিল যাদের নিয়মে সমপথে
এগিয়েছে কেউ ...
নারীকে টানতে টানতে এগুতে গিয়েই জব্বর হোঁচট
অলঙ্কারে সেজেছে মুহূর্ত
ধরে রাখতে পারিনি নিজেকেই একান্তে ।





অধিকার

সোজা সড়ক রাংতামোড়া
শহুরে রেলপথ
উঠে গেছে গ্রাম ।
সেও ছিল যাদু
আমার মণিকাঞ্চন
প্রথম পুরুষ প্রেম
এক ঘূর্ণি
অথৈ জল
সেদিন ঠাই গ্রামে
আর দ্যাখো ঐ ভাসছে ঠাকুমার থান ।

অথচ গ্রাম ছিল একদিন
আর চিরকাল ভালোবেসে আলো
তারা
এখানেই করেছেন মচ্ছবের আয়েজন ।

উচ্ছেদ করো । কোথায় দাঁড়াবো ?
অধিকারে তোমাদের তামাম পার্লামেন্ট ...
আমাদের পায়ের নিচে শূন্য ।







আহাঃ কি নাম দ্যা গ্রেট ক ক কিলিং

সেদিন যদিও বা বৃষ্টির গন্ধ ছিল
রঙ মেখেছিল এক আকাশ ,
এক্কা গাড়িতে সমগ্র পুরনো কোলকাতা
হাতের মুঠোয় , নিমতলা ঘাঁট পেড়িয়ে এলাম যখন
একটাও লাশ নেই ।
এখানে ওখানে মুখ থুবড়ে পরে আছে শরীর
ইতিউতি লজ্জিত কিছু চোখ বন্যতার অথবা
আদিম হিংস্রতায় শানিয়ে নিচ্ছে
হাতের পাঞ্জা
রাঙাবেই বোধহয় ।
মৃতভোগী পাখির দল সঙ্গবদ্ধ
নিস্তার নেই - নিস্তার নেই শরীর
খাদ্যর অধিকার ছাড়বে কেন মন !
পরাজিত মানুষ এরা
হিসাবের ছেড়া পাতায় তেল লবণে সংসার , আর
মালকোঁচা মেরে প্লাটফর্মে চায়ের দোকান
রাজনীতি বোঝেন না - বুঝেছেন পেটে ভাত !
এরা ভাই ছিল না ? স্বামী শ্বশুর শাশুরি
যীশু মহম্মদ রাম বলরাম ?
লম্পট অধর্মী ধার্মিক কুলিমজুর ভাত চোর ?
ছোটোখাটো মানুষ এরা , ছোট আশার সংসার ।
তবুও বুঝে গেল না কোন কালে
প্রথম লড়াই ভাতে
ফলাতে মৃত্যু ইচ্ছা-অনিচ্ছায় ।
এক দেশ , লোকাচার , রাজনীতি পাশা
শরীর রক্তে ভরে আমার গোলায় ধান
নাকছাবি স্ত্রী বায়নায়।
ওরা ভাল ছিল না , ভাল থাকে না
অভাবে আন্ত্রিকে তান্ত্রিকে , তবুও প্রাণ ছিল
দুই চোখে স্বপ্নে রাজহাঁসের ডিমের ঝোল বেগুন পোড়া
ডালে রাতে ফুটপাতে হেসে-পেদে
যৌনাচারে বেশ ছিল ,
বেশ ছিল সময় ভালোবেসে !

বারবার রক্ত দিয়ে পৃথিবীর ইতিহাস , অথচ
গলিত স্থবির শব হতে কেউ শোনে না
বাদী কি কথা বলে - কোন সময়ের গল্প সে জানে ।

আর তারা.........
তারা চশমা সাঁটা ভ্রুকোঁচকানো পণ্ডিত
হুজুর মাঈ বাপ প্রজাবৎসল হারুন অল রসীদ
সব অন্ধ কৌরব নামর্দ নংপুংসক তৃতীয় প্রজাতি ...
তারা ?

এখানে ওখানে আমার বাবা আমার বাবা , পাশে
উল্টে দ্যাখো তোমার দাদু না ? মাসীমা ? দাঁত
লাল পানে , এখনো তাজা তাজা মৃত্যু ।

কোন সত্যি নেই ইতিহাসে ! সত্যি কথা হয়ে
ওঠেনি কোন কালে ইতিহাস...
বিকৃতি রহস্যময়তার জালে সমাজ
এদেশে মৃত্যু আসে তবুও ইতিহাস আসে না
আগুনের উপর দাড়িয়ে ছিল একদেশ
আগুনের উপর দাড়িয়ে আছে এক দেশ !













আমাদের সেই লোকায়ত জমায়েত
মেলা পার্বণ উপনয়ন
সারমর্মে ধরা ছিল যুগ
আমাদের অথচ আমাদের নয় !
ইতিহাসে ঠাসা বুনন , মরমিয়া পাখি
আস্তরাগে লাল আভা
মাতিয়েছে সেদিন এখনো
কিছু আছে বিচ্ছেদে
ভালোবাসায় শূন্য গোলকে ঘূর্ণন
হারিয়েছে দেশ !

জোয়ারে নিত্য ডুবে গিয়ে চর
উঠছে না ভেসে পুরাতনী লোকায়ত কাল !

হাতে হাতে অরুণ নিয়ে এখনো ইতিহাসের দোরগোড়ায়
কালকের ক্ষোভ হয়েছে তৈরি আজ !













রথ

এক অস্থিরতা ; নিশ্চিত জেনেই পতন
দাঁড়িয়েছি খাতে , এতো পরিযায়ী নয় ,
আমার রক্ত ভালবেসে বাচে ; পারিনা সরাতে ।
শেষ অধ্যায় প্রস্তুত , ট্যাঁজিকে বর্তমান ,
কোঠর হতে উড়ে গিয়ে পাখি
ফিরে আসে সাঁঝে গোপন ক্ষিদে নিয়ে
যেদিকে এগুই পিছু নেয় সাথে সাথে ।
সেই ঢেউ গুলো ভুলে গিয়ে পূর্বজন্ম
এখানেই ঢেলেছে ক্ষোভ ;
ভয় আছে কিছু অঙ্গসজ্জায় চন্দন ঘৃতে
আগুনে ... এখানেই রয়ে যায়
শোকে ত্যাগে অভিমানে
বুক ফেটে যায় চোরা কান্নায় ।

দ্যাখো দ্যাখো দাঁড়িয়েছি কোলাহলে
আমাকেই বাজী রেখে সময় ছুটছে
যে জানে কাকে তুলে নিলো সময় , রথে !











কবি

যুগসন্ধিক্ষণ তিন পুরুষ কপোট বনানী মারীচ স্বর্ণসুখ দিশায় এক মেয়ে
নাভি ঘিরে কিছু মৌমাছি অনাবৃত বুক থেকে খসে পরছে জ্যোৎস্না ; মেদুরতা
উপোষী এবং অনাহারী মুখ অলঙ্কারে অলঙ্কৃত জীবন , ধ্যানস্ত ঋষি
অজ্ঞ্যানে বাল্মীকি ধিতস্ত সমাধি ;
এসব বুঝেছি সত্যি , এক কবিতা লিখি সমগোত্রে মনভোজ আর
দাঁড় টানে সেই মাঝি আকূলে আমি দেখিনি তারে মন কাঁদে ।

ভুলে যায় গ্রহণ চাঁদে নেশা আছে যেমনটি নারী শরীর শব্দ পাজলে ।
কবিতা লিখি ; এক কথতা, যদিও বিপরীত আমি
চিনিনা জ্ঞ্যাতিকবি রঙ তবু মিলে যায় একাসনে ।

চুপচাপ অনন্তে প্রসারিত হস্ত ; খই খুঁজি , প্রস্তুতির বিজ্ঞাপনে অন্তিমযাত্রা
জানবেনা এক কবি মড়ে গেলে কেউ করবেনা কবিতার শ্রাদ্ধবাসর !











ভোপাল

মন ভালো নেই
ক্ষিদে নেই তবু ক্ষিদে আছে ক্ষিদেতেই
প্রেয়সী চুম্বন বিনিময়
জানে না কেউ
ঢের পথ আছে বাকি পথে ।
ক্রমশ বধ্যভূমি ব্যবধানে নেই এক টুকরো সময়
আচম্বিতে হুঙ্কার
রাখালও হারিয়ে ফেলে
ধূলা উড়ানো গোধূলি
বঁধু মাঙ্গলিক শাঁখের আওয়াজ ।

ভালনেই বলতে একগাদা প্রেয়সী মুখ
অথবা উষ্ণ সন্ধ্যার
শীতলপাটির দাওয়া ভুলে
গড়গড় একঘেয়ে
ইঞ্জিনের শব্দে নিবদ্ধ নয় সময়
ভালনেই রোগ নয়
হারিয়ে যাওয়া ভেসে ওঠা স্মৃতি নয়
ভালনেই জরা পৃথিবী
পাখিপাখালি গাছেদের অণু- পরমাণু
ভোপাল !







উদ্বাস্তু

এতদূর কানাগলি পিছে রেখে
মরিসঝাপি হয়ে ওঠে আস্তানা
চণ্ডাল জন্ম ঢের ভালো ছিল ওবঙ্গে
নারকেল সারি সুপারি চুনেপানে
নাগড়া ধানে পিঠেপুলি পায়াস
ভগবানের ছেড়ে যাওয়া মাছে
মজে ছিল কালো কালো জোয়ান
সন্ধ্যায় রমণীর খই উলুধ্বনি
দেশ এখনো দেশ নয় দেশ কখনো
দেশ নয় উগ্র জাতিসত্তা ধর্মীয়
অনুশাসন কায়েমি স্বার্থান্বেষী ভণ্ড
লোভী দাম্ভিক শেয়াল কুমিরের
খেল বোঝে না ইতিহাস এখানেই আমাদের
পিতামাতা প্রপিতামহ জমির আকৃতি
করেছিলেন বন কেটে একজীবনে
আর ভালবেসেছিল জল হাওয়া নদীর
ক্রিয়াভূমি অথচ কিছু ক্রিয়ানকের
অঙ্গুলি হেলনে পরদেশী ।

একূলে আমার রক্ত আমার স্বজাতির
ফসল উড়ছে হাওয়ার অভিঘাতে
পতপত বনের সাথে মিশে গিয়ে চাঁড়াল
জন্ম কুমীর বাঘের বন্ধুত্বে কিবা এসে
যেতো দেশ ? উদ্বাস্তু বানিয়ে এক অভিশাপে
লজ্জা নয় আমাদের
বলো তবে জন্ম হতে বিতারিত হয়ে
যে জীবন বনেটের অগ্রভাগে অথবা
শিরচ্ছেদ করে মুণ্ডু হেসেছো যেবেলা
সেইবেলা তোমার শিশু আমার সন্তান
আর নয় মৃত্যুতে কোন ভয় শোনা যায়
মৃত্যু ভালবাসতে পারলে অমর হয়ে
থাকা যায় অনন্তকাল
শুধু শেষ প্রণয়ের গাঢ় উচ্চারণে এক অভিলাষ
ঈশ্বর পৃথিবীর এই গনউদ্বাস্তু কোঠরে
বর্ষিত হোক ভাতের বদলে বুলেট
রাজা-মন্ত্রি তুমি পালাবে কোথায় ?









আধুনিক কবিতা ০৪

এক রাতেই বিদূষক
কাল ; অঙ্গার মেঘে বৃষ্টি ,
রহিত হয়েছে শেষ ট্রেন
জানালা আবছা খোলা
সূচিভেদ্য আঁধার
নরকে গোলাপ
কথা ছিল
ফিরবে সে
যতই থাকুক ঝড়ের পূর্বাভাষ ।

আটপউরে জনম
বিস্বাদ পাউরুটি
ভাগাড়ে নতুন শরীর
সোমালিয়ায় মড়ক
ওঁত পেতে
শকুন
চিত্রগ্রাহক পস্তুত
বায়ে আর একটু এগো এগো রাইট
ক্লিক
বুকার মিলবে এবার !

আর নয়
যথেষ্ট ঈশ্বর !
যথেষ্ট ভ্রূণ নিয়মিত অনাহার
এক বুক পেতেছি আমি
সৃষ্টি থেকেই বুলেটের সম্মুখ
এবার তুমি খেয়ে বলো বুলেট
এক আউঞ্চ রক্ত গড়তে
কতোটা সময় লাগে !
































































কিছু ২



অনুভবের হিমরাতে শ্বাপদ আর শান্তি
করমর্দন কোলাকুলি দ্বৈপায়নে ;
সব মিথ্যা ,
অযুত সেনা , হ'য় বাহিনীর টগবগ দৌড়
রক্তপুরিতে জন্মের সুতীব্র চিৎকার
লালাসার লালা ঝরিয়ে
কে তবে মৃত্যুঞ্জয় সময়ের ;

প্রেম নয় , জাগতিক মায়া সবখানি নয়
ধূসর আত্মসম্মানে ,
জয় পরাজয় মিথ্যা
শুধু মনের দ্বিতীয় ক্ষুধা যা অন্তর কুরে খেয়ে
নামিয়ে দেয় সমুক্ষ সমরে ;

আমাকেই প্রতিষ্ঠা করেছে আমার আমিত্ব পৌরুষ ;
কোমলতার পদার্পণে আমি হীন নারী
যুদ্ধ জয় পরাজয় সব সম্মুখের অভিনয়
আমি পুরুষ
নিয়ত লড়ে চলি প্রতিষ্ঠার লড়াই ।





নববর্ষ

বহুদিন আগে ফুটপাত থেকে উবে গিয়ে সকাল
রাষ্ট্রতান্ত্রিক জনগণের উপর বর্ষিত ; অন্ধকারের জন্ম
নিদারুণ আত্মাভিমানে পোশাকি পরিচয়ে গণভোটের লম্বা লাইনে
একটা চিল চিলচিৎকারে বলে না
আরে ভাইয়া দুধের লাইনে দাড়িয়েছো কি ? শিশু কাঁদছে !

মরণবাঁচনের কবিতা লিখিনা , ছাপোষ উইপোকা নিয়ে নেই মাথা ব্যথা ,
জোনাক আগুনে কাব্যবিশারদ
নায়িকার ফুটবলে পা' ছোঁয়ানোর তিতিক্ষায় যতবার ফাউল করেন
পৃথিবী ঘুরে যায় দুইতিন বার
কোম্পানির দুধের গাড়ির লাইনে
আর খুঁজে পায়'না সেই যীশু নগ্ন পায়ে যাকে দেখেছিলাম ফুটপাতে ।

আর , আমের গুঁটিতে গুঁটিতে বুঝি কিছু একটা ঘটেছে পরিবর্তন ;
হাওয়ার বেগে সেই পরিবর্তিত পরিস্থিতি
আত্মভোলা ঈশ্বরের অঙ্গুলি হেলনে ঋতুর বর্তন
ম্যাসেজে ম্যাসেজে ছয়লাপ
রাষ্ট্র ও খুঁজে পেয়েছেন শুভেচ্ছা বিনিময়য়ের পন্থা
যারা মোবাইলের অধিকারী , আশ্চর্য !









অভিমান

বেঁচে থাকে যদি এক চোরাকারবারি দালাল দেহ
স্বভাবে জাল বুনে ঋণী রাখে কিছু হৃদয়
দিব্য আলো পিছু ফেলে অভিযানে শবে শ্মশানে
শেষ জল ঢেলো না প্রিয়
ভিজবে না , ভিজবে না শরীর
পারোতো নামিয়া দাও মেঘমল্লায় রবীন্দ্র সঙ্গীত
বৃষ্টি এলে
ধান ছড়িয়ে দিতেন কত সেই সব মা !
আমাকে মনে পরে ?
সেই সব মা গল্প করেন ? যখন তুমি ঠোঁট রাঙিয়ে বলো
প্রিয়তোষ বড় ভালো ছেলে !

ঘরদোর কিছু অহংকার
লেজ উঁচিয়ে তেড়েফুঁড়ে গলি সারমেয় দিনান্তে
ভাদুরে স্বপ্নে উপোষী । মা

এখনো মনে পরে জন্মান্ধ ব্যথা সুযোগ সন্ধানী নয় স্নেহের
নিত্তিতে দেশ তোল প্রতিবেশী প্রাচীর
শ্মশান ছায়ে প্রথম জলটুকু
জঠরের ভালোবাসার শতগুণ অভিমানে !









স্বর্গ হতে দূরে ... ০২

০১

সেই পাঞ্জাবী আবার চাপিয়েছি
যেটা প্রিয়ছিল আগুনের চেয়েও তোমার
শুধু বিপ্লবে পরতাম
যদিও সেই সব পতঙ্গ
যারা ভাল বাসে নিজেকে
আগুন পূজারী
আমি হিম হয়ে গেলাম ।

০২

দুর্বোধ্য সঙ্কেতে
ছায়া-রণ নিজের
চুম্বনে বিকালের ঘ্রাণ ফেলে সুবেশী নাবিক
অতলান্তিকেও কি নোঙ্গর ফেলে
গৃহের ?

০৩

এদ্দিন পরে
কলজে'তে এক যুবক কাল
ঘুম ভাঙ্গেনি যেসব
রাত্রি পিশাচের
তারা তবু
এখনো চোখ উল্টিয়ে ভয় দ্যাখায় !

০৪

ভয় ছিল না জ্যান্ত জীবনে
মরণে অনেকটা বেড়েছে
নাগ ফণাতে ডরায় নিই শিশু
তখন
এখন ফোঁসফোঁস শব্দে
রক্তের গতি কমছে ।

০৫

চেনাজানা সমস্ত দরজা জানালা
গরম তেলে লাশ
ষাঁড় বাহক বিশারদ সম্মুখে
প্রস্তুতি সারছেন সময় ;
কাছে দূরে
ফ্যাঁকাসে চুলের অগ্র
খড়কুটোও হতে পারেনি
ডুবন্ত সময় ,
প্রেমে- অপ্রেমের দ্বন্দ্ব
স্বর্গ প্রাপ্তিতেই বুঝিয়েছেন দুর্বার সময় !















নীরবতা ভেঙ্গে দিয়ে নিঃশব্দরা এলোমেলো
অধিনস্ত সেই সেপাহী গড়গড়িয়ে ছুটছেন
হুকুমতালিমে ; প্রতিদিন ।
সমতল রেখা দিয়ে আশ্চর্য কিছু মানুষ
ছায়াপথ নয় , আলোকিত হয়ে ওঠেনি রঙে
অনুরণনের আগুন ঝলসে দিচ্ছে যখন
এক ছায় অন্দরে দ্বিতীয়ত অপরিবর্তিত
বাকল ।
দৃশ্যান্তরে পতনভুক কিছু দৃশ্য অদৃশ্য ছায়া
হাঁটছেন সেপাই
আমাকেও বেঁধে নিয়েছেন স্বকাধে ।









‎...স্বর্গ হতে দূরে

০১

বার ক'য়েক তোমার আঁকলাম
রোজ যেমন সম্পাদ্য কাটাকুটিতে
হাত পাকায়
কোণ মিলতেই চাই না
নিয়মে বশীভূত
অনন্ত প্রচেষ্টা
নারী হয়ে ওঠো
বঁধুতে পাইনা ।

০২

মরে গেলে পাখি
ফিরে আসে দ্বিতীয় জন্মে পাখি হয়ে ?
ঠোঁটে লেগে থাকে খুদের গন্ধ
উড়বার স্বাধীনতা স্বর্গে ?
অথবা ফড়িঙের ডানাতে জিব্লি আঠা
মুছে যায় মৃত্যুতে ?

০৩

অদ্ভুত ভাবে তাকিয়েছিল সেই সকাল
উদাসী মাঠের স্বপ্নে
বীজের নিহিত গল্পকথা
বাঁক খাওয়া তোমার চুলে
দৃষ্টিভ্রম যুবকের
প্যাডেলে
স্থবির কাল ।

০৪

যদি মরে যায়
এই রূপক , খুঁজো না সময়ে ।
বিপথে যদি নরকের দরজায়
ছায়া পরে তোমার পদযুগলের
দেখে যেও
যে স্বর্গ নামতে পারতো অঙ্গনে
জঠরে
কোষে
তার দায়ভারে
এক পুরুষ
পিপাসিত এখনো
একবার দরজা খুলে দিলে
একবার খোঁপায় বেঁধে নিলে করবী
নরকেও
স্বর্গ নামিয়ে দিলাম ।

















কেতন

স্থানভেদে আচম্বিতে পাশা
এলিয়ে পরেছে সাম্রাজ্য মাহারাণী মুছে সিঁদুর
সীমান্ত পেড়িয়ে নাগর বাহু'র আন্দোলনে
কেঁপে ওঠেনি কুরুক্ষেত্র ? সঞ্জয় !
শেয়ালের পিঞ্জরে অসুখের নেই রেশ , টেনে নিয়ে
যৌন... জলাঞ্জলি
মধু ক্ষেতে রেশ্নায় রেড লাইটে ধরা আছে
নাগরিক কাল ,ভাঙ্গা ভাঙ্গা দৃশ্য ।

দ্বিতীয় কুরুক্ষেত্র যদি শখেও নামাতে পারি
কবিতায় পাখি-পাখালি গাছে গাছে ক্ষেতে মাঠে
গৃহ অঙ্গনে
মনে মনে শরীরের উস্নায়নে

একটাও অশুভ শক্তি রইবে না ভ্রূণের মর্যাদায়
পাখির ঠোঁটে গান নবদিগন্তে !















সুদূর

কত লোক হেটে যায় ভালোবাসা ফেলে সুদূর অতীত হতে
বর্তমানে সর্বভুক ক্ষিদের দিকে ; কত লোক এখনো
ছায় গাদায় স্বর্ণ খোঁজে ; দুনে সেই ভেড়া পালক ঈশ্বর পুত্র
বাঁশিতে তুলে নিয়ে হারানো সুর
নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে পাইনে ,অঞ্জলি দিতে পারো যদি নিজেতে
ঈশ্বর হয়ে ওঠে মানব মন !

দুর্বিপাকে ঘূর্ণি কম্পনে এক বুকের বা পাশ
ভাষা কিছু সঙ্গবদ্ধ রাগ-অনুরাগ নচেৎ ক্ষুধা জল হয়ে ঝরে যখন
শব্দ নেই
কতকথা বুঝে নেন ঈশ্বর ।

পালঙ্কে রাত্রিযাপনে নেশা । বধিরতা জানলেই অনিদিষ্ট বিষাদে
মহানাগরিক ;
বিষাদ উৎপাদনশীল দ্রব্য হয়ে উঠেছে যতো
কমদামী "চায়না" সামগ্রী হাতবদল , প্রত্যেকে বিষাদ রাজপুত্র !















পিচ্ছিল বালিশে তুমি
মন খুলে দিয়ে
অভিমানে
ওদিকে ভেসে যায়
এক অলকানন্দা ।

০২

অনবদ্য হিসাবী রাতে
নিমজ্জিত এক ভবিষ্যতে
সুমিষ্ট স্বাদু জল
তিরতির নেমে আসে
পাদদেশে
পান করে নিই
বিশ্রী গন্ধেও তবে
স্বাদ আছে !

০৩

দ্বিধা হয়ে আছে দ্বিধারা
স্বপ্নের শান্তিতে রাত
মোম পাশাপাশি
ফুলিঙ্গ অভাবে সাত সাতটি বছর
গাভিনির ডাক ওঠে
ধম্ম অন্য মাঠে ।
































দশ কথা



লিগনাইট

তর্জনীতে ধরে রেখো না সময় সায়ন , "এভাবে প্রেম দেবো না " ;
মৃত নগরীর গল্প গানে কোদালে শাবলে ।
দুঃশাসন , প্রকাশ্য রাজপথে দ্রৌপদীর নগ্নতা ঢাকার
বাঁশি সুরে টায়ার জ্বলে , না না বাঁশরিয়া শ্যাম ?
মড়ক তান্ত্রিক কাপালিক শ্মশান আলো
একাদশীর সামিয়ানা
যোগ ক্ষণ মধুমালতী বঁধু সফেদ বিছানায়
মোম আগুন ঘি
যজ্ঞডুমুর পাতার প্রসাধনী বিজ্ঞাপন , এক
এবং অদ্বিতীয় তৃতীয় চক্ষু দলেরা
ভীর নাগরিক হর্ন পর্ণমোচী দীঘি জিউস মন্দির
সাঁওতাল পরগনা কাকলী হাঁসদা
বিজলী নাচে ক্যাবারে খাবারে মচ্ছবে হরিবোল
দাবাগ্নি মুখাগ্নি
সব মৃত , মৃত নগরীর গল্প !

হরপ্পা থেকে হাঁটছি ... এক ঈশ্বর এক আমি
আর নদী পাদদেশ ধরে তোমাদের বসত
শাশ্বত অনাদী ভূগোল
না না না প্রেম দিই নি আমিও
সিগারেটে জ্বালিয়ে দাও আমাদের
দাহ্য কতোটা হয়েছে মেয়ে
পুরুষ দাহ্য বড্ড ভালোবাসে হাটে মাঠে কাঠকয়লা
অথবা লিগনাইটে









ফিচেল

ফিচেল রোদ
মনে করি খাদ্যের আমন্ত্রণে
প্রেমপত্র লেখা ব্যাস্ত হাতে
সব দুঃখ
এক কেন্দ্রীক , সরল নারী পুরুষ মুখ ।

অনেকবার আত্মাহুতি দিতে গিয়ে
ঈশ্বর মুখ দেখে ফিরি নিই
অবাক দৃশ্য
সার বেঁধে পিঁপড়ে
খাদ্য সন্ধানী

আমরা
ফিটকিরী দাড়ি নিম্নাঙ্গ , বীক্ষণে খাতা আঁকা স্তন
রাত্রি কামনায়...
প্রেমপত্র লিখবো আমিও এবার , যীশুকে !









দাসত্ব

সোমত্ত দাসী দাসখতে এক একর জমিন তুলে দিয়ে
জমিদারে -- এবার শান্তি শ্মশান ; ফলিয়ে নিও ফসল
হেমন্ত বসন্তে ভাদ্রে ,
যদি চণ্ডালী রাহুকালে শৃগাল সঙ্গিনী
রক্তহিম বুদবুদ
একটাও রক্তবীজ দ্বিতীয় জমিনের অধিকারে
খুঁজবে না আঁচল !
কথা দিলাম ; "ভারুদত্ত" , "সাইলক" কসাই "জগায় "
বৃন্দ পাখি কদম ফুলে যমুনা ঘাট
কংশ আংশিক সিংহাসন
রমণ রতি মোগল সম্রাট ,
চুপ ,
আমি কালেশ্বরী অসুরদামিনী মহাকাল...
বৈপরীত্য উত্তাপে জল শুঁখিয়ে লবণ
কামসূত্রের পাতায় উন্নত লিঙ্গের জবানিতে
যবন বা সনাতন
নারী গহ্বর নয় , অসীম শূন্যতা নিজের ; আমিও
মা হতে চেয়েছিলাম , শরীরে নয় ।









মা ... মাআআ

সময় কিম্বা দেবতা ঘৃণা করি...
সতেজতা ছাড়িয়ে পৌরাণিক উগ্রচণ্ডা ধূম্রজালে
বিনাশিনী আসুরিক লিঙ্গ
জনপথে খেটেখাওয়া দুইচার ঘণ্টার চরিত্র এরা , এদিকের আমাদের ।
অস্ত্র বিদ্যা সাম্রাজ্যবাদ টঙ্কার সে সময়
প্রেম নয়
অস্ত্র জীবনের প্রতিবন্ধু ; ভালোবাসা মানায় তোদের মুখে ?
গ্রহনের অপরাগে তোমাদের মনগড়া ভাষণে ;
শঙ্খ চক্র গদা কোনকালে
প্রেম বিলিয়েছে জনপথে ? লাশের গন্ধে
মাতোয়ারা পবন
উড়িয়েছি জনতা দেবালয় ; চমৎকার , চমৎকার
দ্বিচারিতা জনার্দন ? আজো

নিঃশ্বাসে বিষ ছড়িয়ে গহনায় মাতৃমূর্তি !









ঠাম্মা

"ওরে এই বেলায় বেরুস্নি দাদা দিনকাল ভালো লয় "
কেন ঠাম্মা ? জীবন ভাঁটিচরের দ্বীপ ; " মরণ ! বালাইষাট !"
ঠাম্মা বলেন বটে এই কথা- আমি দেখি এক অনাকাঙ্ক্ষিত
শব্দবাণে ধরাশায়ী বৃদ্ধা ; কতোটুকুই বা রক্তের যোগ ?
ভাসাভাসা চেনেন বোধহয় আমাকে , আমার রাত্রির উপন্যাসে
তাকে রাখিনা অথবা কলেজ ক্যান্টিনে বেঞ্চ পিটিয়ে
ববডিলনের ভালোবাসা নিয়ে খেলায় মেতে ছুঁয়ে বিশ্ব , ঠাম্মা
সূচে সুতো ঢোকানোর আপ্রান চেষ্টা ভালোবাসার অনুরোধে !
ঠাম্মা দেখেনি অনেক কিছু , পাতাল রেলে সেবার যখন চলন্ত সিঁড়িতে
হুমড়ি খেয়ে পরে গেল , সামনের আধুনিকা হেসে উঠলো যখন
আমি লাল ... কৈ আমিতো বলতে পারিনি ওরে ছুড়ি টুইও মঙ্গল
দেখিস নিই এমন কি বাড়ির পোষা কুকুরের ন্যাজ কখন নড়ে
তাও বলতে পারবিনে , অথচ সেই ভীর ট্রেনে অযথা ঠ্যালাঠেলি
নব্য বুট পা মাড়িয়ে আমি আৎকে উঠি " তোর লাগছে দাদাভাই ?
দেখিসনে বান্দর পুলাপান , দাদা দেহেসুনে দাড়া " ।

ট্যাজিক খুঁজতে খুঁজতে কবেই নিজেই ট্যাজিক হয়ে উঠেছি ।
ঠাম্মা চরিত্র উপেক্ষিত রেখে আমার স্বপ্নে ক্যাকটাস ফনিমনসা
ভিয়েতনাম ইরাকে পিকাসো যামিনী রায় নিয়ে
টি হাউসে আঁধার নামিয়ে ক্লান্ত এক অনাবৃত উৎকণ্ঠায় ঘরমুখী
" দাদা সারাদিন কনে ছিলিস ? প্যাটে কিছু পরছে ? আয় আয় তাড়াতাড়ি
চোহে-মুহে জল দিয়ে আয় , আমি তোর মা'রে ভাত বারতি কচ্ছি "

বিশ্ব নাগরিক হতে চেয়েছি ছায়া সময়ে ভগ্ন সময়ে ...
পান খাওয়া ছোপ ছোপ দাঁতের সেই বৃদ্ধা এতোসব বোঝেননিই কোনকালে
তবুও বিশ্ব নাগরিক হয়ে উঠেছেন আমাদের অগোচরে .









অস্পষ্ট

দূরে সরছে জনপথ , ডিমের কুসুমের মতো
পূর্বপুরুষ গ্রাম পেছনে ফেলে এক অমোঘ ঈশারায় ; এবং
রঙের বৈধ অবৈধ প্রকারভেদ
ছিনিয়ে তখনো ক্লান্ত হয়'নি আমার সাইবার , আমার ভবিষ্যৎ ।
কাছেই শাঁকচুন্নির অনুপ্রেরণায়
বৈঁচি ফুলের মালা গেঁথে
প্রতীক্ষিত সময় ; একটুকরো পতন নিঃশব্দে
তার , বুঝি রক্ত ঝরছে শরীরে নিভৃতে গহন তমসায়
চৌকিদার হাঁকডাক ওদিকে
বুঝে যায় বেলা বেড়ে যায়
রাতের । আমার !

অস্পষ্ট রেখায় কিছু ছায়ামুখ প্রাচীন নয় তবু প্রাচীন যেন
খুঁজি সেই কি ?
ঝাপসা ?
অস্পষ্ট থাকতে চাই যারা
তারা'য় হয়ে উঠে অস্পষ্ট ; চোখের দোষ দেওয়া যায় ?





শেষ পুংতি

অদ্ভুত এক আঁধার
অদ্ভুত এক আঁধারে ঢেকেছে মুখ
বিচ্ছিন্ন হতে হতে
একদিন দ্বীপও বুঝে নিয়েছে
শূন্যতার রহস্য
তাই
একাকীত্বের সঙ্গী হয়ে
খুঁজে নিয়েছে বাঁচার রসদ নিজেই নিজের ।
অভিগোলক এক শূন্য
সময় দুই শূন্য
জীবন তিন শূন্য
নিজেকে আবিষ্কারেরই কিছু সংখ্যাতত্তের ভীর ।

বন্ধু নয় , বান্ধব নয়
জড়ভরত
সময়
প্যাঁচা চোখে নেমেছিলাম আঁধার ভাঙ্গার খেলায়
সম্বলে
অভিশপ্ত অতীত
অজলায় উজাড় করা বিশ্বাস ।

বিশ্বাস রেখেছিলাম জলেই শুধু
বিশ্বাস রেখেছিলাম মনে মনে গোপনে সংগোপনে
আর
আমাকে লুকিয়েছিলাম তাদের বিশ্বাসে ।

প্রভু
একি খেলায় নামিয়ে আমারে তুলে নিলে রত্ন ভাণ্ডার
তুমি জানো
হাত খুলতে শিখেছি শুধু
পারিনি ধরে রাখতে
সময়েরও হাওয়াটুকু ।

স্বাদ নেই কোন স্বাদে জীবনে
আমার
জীবনের শ্রেণীশত্রু জীবন ।

নিজেকে হারিয়ে দেওয়া শুধুই সময়ের অপেক্ষা
ঈশর
শেষ শ্বাসের আগে
আর
কত দুঃখ দিবি বল ?











চিলেকোঠা

ছায়া শব্দ আর একরত্তি চিলেকোঠা , সম্বল বলতে এইটুকু ,
দ্রাঘিমা ছাড়িয়ে যে শহর পশ্চিমে গেছে সুখ অন্বেষণে
সে গুলো আমি দেখেনি , এমন কি আমার থাম্মা রূপকথায়
উস্তাদ বলে খ্যাত তার চোখে আকাশগঙ্গা
নগর অথবা নাগরিকত্ব অস্পষ্ট রেখায় দৌড়
ঠাকুমা ঝাপসা চোখে দেখবেন কি করে ?

বিকালে নীল মানচিত্রে ঘুড়ি দৌড়ের আসর , সব দেখা যায় ,
নীল কতোখানি রঙ চুষে নিলে বাবা পাওয়ার ফ্রেমে
ঠাকুরদার গ্রাম খুঁজে পান'না
বিলকান্দায় সুপারি সারি ঘোষ পানের বরজ বা'য়ে রেখে
টিনের আটচালায় কাহালপুর গা
ওখানেই উৎসবে মাতোয়ারা খেজুর রসের ভাঁড়
কোনদিন দেখেনিই আর দ্বিতীয়বার !

এখানকার আকাশ নির্মল দুপুর জনতা কোলাহল তীব্র আসক্তি
মাদুকা , মৌমাছি চোখে মধু ক্ষেত
ততোখানি গভীর নয় এই চিলেকোঠা থেকে ,
একাদশী চাঁদ যতোই এগিয়ে যাচ্ছে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে ষোলকলা
পূর্ণতায় ততই ডুবে যাচ্ছে চিলেকোঠা আঁধারে ;
পিতৃ জিনে যদি আমাদের দিশা আমাদের ভবিষ্যৎ
আমিও কি ভুলে যাবো জন্মভূমি ? একদিন ?









অভিমান

বেঁচে থাকে যদি ; এক চোরাকারবারি দালাল দেহ -
স্বভাবে জাল বুনে; ঋণী রাখে কিছু হৃদয় ।
দিব্য-আলো পিছু ফেলে অভিযানে শবে শ্মশানে ;
শেষ জল ঢেলো না প্রিয় -
ভিজবে না; ভিজবে না শরীর ।
পারো তো নামিয়া দাও ; মেঘমল্লার রবীন্দ্র সঙ্গীত
বৃষ্টি এলে ।
ধান ছড়িয়ে দিতেন কত সেই সব মা !
আমাকে মনে পরে ?
সেই সব মা গল্প করেন ? যখন তুমি ঠোঁট রাঙিয়ে বলো
প্রিয়তোষ বড় ভালো ছেলে !

ঘরদোর কিছু অহংকার ;
লেজ উঁচিয়ে তেড়েফুঁড়ে গলি সারমেয় দিনান্তে
ভাদুরে স্বপ্নে উপোষী । মা

এখনো মনে পরে - জন্মান্ধ ব্যথা সুযোগসন্ধানী নয় ; স্নেহের
নিক্তিতে দেশ তোল প্রতিবেশী প্রাচীর -
শ্মশান ছায়ে প্রথম জলটুকু -
জঠরের ভালোবাসার অনুরোধে !











তখন থেকেই কবিতা এলেই ভিড়ভাট্টা ফেলে
বাবা আসেন ;
মর্গে কবিতার ভাষা আসেনা
খাতা ভর্তি এক গঙ্গা ;
ইদানীং সস্তা জনপ্রিয়তার লক্ষ্যে যা লিখেছি
বাবাকে ভুলে
সবগুলো মর্যাদা পেয়ে গেছে
বাবা কবিতায় এলেই ইতিহাস ।









অমলেন্দু পুরুষ বটে

প্রধানত জানালা খুলে দিলে
তির্যক চাহুনি নিয়ে নিশি এক শিশি অভিমান ঢুকিয়ে বলে
দ্যাখ সেই আঠারোর গন্ধে ময়ময় করছে ঘরে ; সর্বস্ব বিনিময়ে
বাজী রেখে দোপাট্টায় উড়ছে তোর যুবক বয়স
হাতুড়ী বিদ্যায় অপারদর্শী সময়ে চক্রে
বিবাহ সন্ধ্যা ,
সমগ্র মুখগুলো ভীরে নির্জনতায়
ঐ তো গোধূলি লগ্নে মাল্যদান
মনে রেখেছিল তোকে ? মনে রেখেছিল আঁকিবুঁকি খাতায় সেই নদী প্রবাহ
অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদের নদী ছুঁতে না পারার বেদনা ?
নশ্বর সন্ধিতে
ব্যাভিচারি যৌন যন্ত্রণা'র ক্ষরণকাল শরীর আঙ্গিকে
পতঙ্গ প্রবাহ
জ্বলবে বলেই জ্বলেছে ক্রোধ
জ্বালিয়ে কিছু সময়ের অতিমাত্রিক স্নেহ দাঁড়ালো যখন প্রেমে
বঁধু সাবেকী নৌকায়
দ্বিরাগমন , রসে ভরপুর ।
স্বয়ংক্রিয় সিধান্ত চিরকাল একরোখা মানে না সীমান্ত প্রাচীর
অ্যাসিড খুঁজে
দৃশ্যর অভ্যন্তরের
সমস্ত দৃশ্য কালিমালিপ্ত করে
অমলেন্দু চুমু খায় নায়িকা নাভি
সারারাতের ফুলশয্যায় ।











এক বন্ধু অথচ আমি নই ? আশ্চর্য এক গল্প

সেদিন শিলা বৃষ্টি হয়েছিলো ধুপগুরি
ময়নাগুরি থেকে সেজেছিল মেঘ
রায়চক ভেসে যায় জলে
তন্ময় পাখি হতে চেয়ে ছিল
বীথি কাননে একদিন
সর্বস্ব দিয়ে নিঃস্বতার কাব্যে এক ধুলো
এক পর্যায়সরণী বেয়ে তৃতীয় বর্ষ কলেজ
ক্যান্টিনের চাউমিনে চুল পরে
ভালোবাসার আমন্ত্রণে
সুখী হতে চেয়ে সুখ
রণভূমি চেনে না কিম্বা রেডক্রস মুখ
"চে" বলিভিয়া দাপিয়ে ইতিহাস লিখে
প্রিয় মুখে এঁকে দেন চুম্বন
আরো দুই শত বছর ধরে
আরো ঢের জন্ম ধরে
সেই মৃত্যু
সেই কালো ছায়
অথচ
ভগ্নস্তুপ থেকে দাড়িয়ে
বললে বেশ হতো
শোন
শোন , একবিংশ প্রজন্ম
এই যুগে কান্না সংগঠিত হয় বারবার
এই যুগে ধর্মে আফিমে জিরাফে
গলাগলি
তবুও বীথিকার চুলের স্পর্শ অন্য শকুনে
খাব্লে শরীর মেধ
দিনহাটা ময় রায়গঞ্জ
এক বৃষ্টি নামো
এক বৃষ্টি এই আঁধারে
আমি উলং হয়ে উপভোগ করে নিতে চাই
জ্বালা
ইতিহাসে থুথু পরুক প্রেমের ।











স্বর্গ হতে দূরে... ০৩

০১

ঢেঁকিতে সুর তুলে ধান ভাঙছেন মা ;
একশত আট নাম জপছেন থাম্মা
আঙুলেই পরমপ্রাপ্তি
মা অক্ষর চিনতেন না
আমাকে চিনিয়ে ছিলেন বলে অক্ষরে ভালোবাসা শব্দটা পেলাম
ফাঁকি দিতে পারেনি কানুন
নিজের ফাঁকি বুঝেছি
হরি জলে ।

০২

পদবীতে বাহারি রঙের চাঁদ নেই
প্রতিযোগী আসরে অমোঘ আকর্ষিত
নব্যতার জোয়ার নদী
যে পদবী চাঁদ হতে পেরেছে
নদী নিয়ন্ত্রণের
অধিকারে
জোয়ারে -ভাটিতে ।

০৩

রাস্তাটা দেখেছে সব্বাই ;
আলো নেই
তবুও দুর্গম নয় পথিকের
এক পা এগিয়ে
দশ পা পিছিয়ে গেলাম যেদিন
সূর্যটাও
ছিলোনা সাথে ।

০৪

সকলেই জানতো কিছু হবে ছেলেটার ,
মধ্যসত্তাভোগী ফোড়ে'রা
চিটে ধানেও
নিজেকে ভরেছে অর্থে
গৃহস্ত বোঝেনা তা নয়
সব হিসেব গোলমেলেতে মর্যাদা পায় ।

০৫

একপেশে সময়ে নারীমুখ
লাবণ্য জীবন
ঠোঁট নাচিয়ে
বাসর শয্যা
বজ্জাত সময় এমবদ্বিতিয়ং স্বর্গ সোমরসে দেবগণ
ভ্রুকুটি , জটিল যন্ত্রাংশ নর
ফেনিল মুখে লালাসায়
শরীরের খনি
তবুও মৃত্যুতে অধিকার বিনে
ধরে রেখেছো
চিরকালীন বসন্ত ভূমি , ধিক !











বন্ধু ও মৃত্যু

আবারো দর্পণে স্মৃতি ঝড় উড় খই'য়ে
মুখোশ মানব লাশ ঠেলে কাঁধে কাঁধে
শ্মশান কাঠ মৃত্যু নয় কোন দৈবদুর্বিপাকে
হা-চিতায় গলিত শব বাহক ভাবে না এতোসব
আমাদেরই পূর্বপুরুষ ব্যধি
যতোই অবিশ্বাসে বক্রহাসি যুদ্ধ জয় মনে
মনে অজানারে জানার বৃথা আত্মগরিমায় লিখে গেছো ছন্দ
উৎপাদিত ভোগ্য হোক বা ষোড়শী হৃদয়
গোলাপের ভালোবাসা
মূর্খ ছিলে তুমি
ভণ্ডামিতে অধিকার ভোগ মহাশয় ঋতু আবর্তনে
সরছে যোগ
অথর্ব হতে চেয়ে নিজে
অথর্ব ভেবে ফেলেছে সব প্রাণীকূল ।

আগুন দ্যাখনি বলেই রূপকথার গল্পে ঠাকুমা অন্ধ
ইদানীং ছদ্মবেশী ছায়া গাছে ছড়াচ্ছে অক্সিজেন ভেবেছে মন
সূর্যে ত্বেজ প্রথম দিককার
আর সূর্যও বন্ধু হয়ে ওঠেনি আজকাল !