শেষ সম্রাট
তিতিক্ষায় শিখে নিয়ে শেষ মোগল শা হন্তা নিজেই নিজের ;
নীল নীলিমায় কিছু উজ্জ্বল ধ্রুবক পঞ্চমী কাস্তে চাঁদ
দন্ত বিকশিত নিজের সৃষ্টিকেই অবিশ্বাসের ঘোরটোপ ,
বিশ্বাস নেই জীবনে বিশ্বাস নেই রক্তে বিশ্বাস নেই যন্ত্রণায় ।
সম্পূর্ণ হিন্দুস্থান তিনহাত ভূমিকেও নিজস্বতা দান করতে পারেনি
আপনার আজো । অথচ দুই হাতে উড়িয়ে হাওয়ার অভিমুখে
বৈভব পরাজিত রক্ত লাশ ধর্ম নিশান , শান্তি নাই ।
নশ্বর কিছু হিসেবী রাতে পর্যায়ক্রমে আলেয়া ভ্রমে সমুক্ষস্থ
ব্যাভিচারি কিছু জীবন এসে সঙ্গ দিয়ে যায় যখন
তখন সমগ্র রাত ধরে এই নপুংসক মৈথুন রাগে নাচিয়ে অঙ্গ
নির্দ্বিধায় হারেমে পদাঘাত ; ওরে শরীর এখনো জাদুতেই আছিস বটে ।
বিশ্বাস গড়ে ওঠেনা কোন বিশ্বাসে ; নিঃশ্বাস ধরে সেই অতীতের
ছায় ; যা আমার রক্তে আছে আমাদের রক্তে আছে যা
থেকে যায় গভীর অনুযোগে আমাদের কোনখানে একান্তে তোমাকে
রাগাবে বলে !
সব মিথ্যা , অক্ষাংশ মেপে পথ চলা নিরক্ষবলয়ে ঝড়ের পূর্বাভাষ ?
কতোটুকু জানা হয় এক জীবনে , কতোটুকু পাওয়া জন্মে !
সেই জমি খুড়ে তিনহাতের খুপরি ঘর অথবা আগুনের পরশমণি !
খানিকটা হেমলক দাও এই বেলা ......
পরাজিত মানুষটা চিরতরে স্তব্ধ হবার আগে ঝরে তো ঝরুক মায়ের দুইফোঁটা জল ...
শেষ মোগল স্বাধীন সম্রাট তাই চেয়েছিল বোধহয় ক্ষণকাল , আমিও !
No comments:
Post a Comment