কবি
যুগসন্ধিক্ষণ তিন পুরুষ কপোট বনানী মারীচ স্বর্ণসুখ দিশায় এক মেয়ে
নাভি ঘিরে কিছু মৌমাছি অনাবৃত বুক থেকে খসে পরছে জ্যোৎস্না ; মেদুরতা
উপোষী এবং অনাহারী মুখ অলঙ্কারে অলঙ্কৃত জীবন , ধ্যানস্ত ঋষি
অজ্ঞ্যানে বাল্মীকি ধিতস্ত সমাধি ;
এসব বুঝেছি সত্যি , এক কবিতা লিখি সমগোত্রে মনভোজ আর
দাঁড় টানে সেই মাঝি আকূলে আমি দেখিনি তারে মন কাঁদে ।
ভুলে যায় গ্রহণ চাঁদে নেশা আছে যেমনটি নারী শরীর শব্দ পাজলে ।
কবিতা লিখি ; এক কথতা, যদিও বিপরীত আমি
চিনিনা জ্ঞ্যাতিকবি রঙ তবু মিলে যায় একাসনে ।
চুপচাপ অনন্তে প্রসারিত হস্ত ; খই খুঁজি , প্রস্তুতির বিজ্ঞাপনে অন্তিমযাত্রা
জানবেনা এক কবি মড়ে গেলে কেউ করবেনা কবিতার শ্রাদ্ধবাসর !
ভোপাল
মন ভালো নেই
ক্ষিদে নেই তবু ক্ষিদে আছে ক্ষিদেতেই
প্রেয়সী চুম্বন বিনিময়
জানে না কেউ
ঢের পথ আছে বাকি পথে ।
ক্রমশ বধ্যভূমি ব্যবধানে নেই এক টুকরো সময়
আচম্বিতে হুঙ্কার
রাখালও হারিয়ে ফেলে
ধূলা উড়ানো গোধূলি
বঁধু মাঙ্গলিক শাঁখের আওয়াজ ।
ভালনেই বলতে একগাদা প্রেয়সী মুখ
অথবা উষ্ণ সন্ধ্যার
শীতলপাটির দাওয়া ভুলে
গড়গড় একঘেয়ে
ইঞ্জিনের শব্দে নিবদ্ধ নয় সময়
ভালনেই রোগ নয়
হারিয়ে যাওয়া ভেসে ওঠা স্মৃতি নয়
ভালনেই জরা পৃথিবী
পাখিপাখালি গাছেদের অণু- পরমাণু
ভোপাল !
No comments:
Post a Comment