Monday, 12 March 2012

niyika


হাল ফ্যাশানের কিম্ভূত অট্টালিকার নরম বিছানো
জাজিমে পা গোটানো শীতঘুমে আড়ি ভাঙ্গে এক দুপুর ;
বারান্দা শেষ হলে কাঁঠালের জামের সুগন্ধি ডালে টিয়া আর
শালিখের আধুনিক কফি শপে ব্ল্যাক কফি জুড়চ্ছে ঠোঁটে ।
নীল জ্যোৎস্নায় স্নান সারা করে ফিরে গেছে পালকে নিয়ে শুভ্র রঙ
দোয়েল পরী , বেহুলাকে রাঙাবে গাঙ্গুরে প্রভাতের আগেই এই বেলায় ।
ঊর্ধ্বশিরে খাড়া পালেস্তারের রঙ সূর্য প্রতিদ্বন্দ্বী দ্বিপ্রহরের ;
আমি বসে আছি স্থির ঘণ্টা মিনিটের ভগ্নাংশ ধরে , মনস্তাত্ত্বিক কথাতেও
টিকটিকির সম্মতির বাক্যবিন্যাস ।

হাভানা চুরুট রাখা আছে স্বর্ণ তম্বুলখাপে বিশ কুড়িটা , কতপথ পাড়ি দেয়
সৌখিনতা অথবা মনোরঞ্জক ধাতু অধাতু বা লিপস্টিক রঙ প্রেমিকার ;
খুউব সূরত গোলাপ খাসের গন্ধ ব্যাঙ্গমায় উপনয়নের নাড়ি পাকিয়ে
জল খুঁজি ; ক্রিস্টালের হাতি অলঙ্কৃত জগে ফিনফিনে ইউরোপিয়ান
মানদণ্ডের জল , পাশে ঠাণ্ডা যন্ত্রে থরে থরে সাজানো কোঁকা কোলা এবং
বিলিতি শ্যাম্পেন খাস ভূমধ্যসাগরীয় তিনশত বছর পুরানো ।

অপেক্ষার অপেক্ষাগুলো নিদারুণ আত্মসংযমি এবং মান্যতা বোধে ঠাসা
বুনুনে নিবদ্ধ চিরকাল , যেমন সংক্রমিত হতে হতে সংক্রমন আর সংক্রমক
থাকে না , তেমন আমার এই স্থিরতা আমাকেই বধিরের পর্যায়ে ফেলে
দূরে সময় বাড়িয়ে দিচ্ছে প্যারিসের বিকেল কে ।

দূরে আরব্য রজনীতে রাত নেমেছে বোধহয় , হারুন অল রসিদ চুপিসারে
বদলে উইগ অভিসারিণী সাম্রাজ্যের ; আমার ভবিতব্য ,
আমি সাংবাদিক বিনোদন পাক্ষিকের এক যুগ , স্বপ্ন পরীদের ওষ্ঠাধার
প্রচ্ছদ নিতম্ব রাঙ্গিয়ে পাকস্থলীর পরিপাক ,
একসময় চাষি ছিল আমার পূর্বপুরুষ , সাত মাইল জোয়ান মদ্দ খাল কেটে
আমাদের চাষাবাদ , উচ্চে , বেগুন টমেটো ক্ষেতের গন্ধ
আমাদের বেশছিল , কেমন একটা আমিত্ব আমিত্ব আর মায়ের বৈকালিক
স্নানের পর সিঁদুর আলতায় রঙিন শরীরের গন্ধ
এই রাতের নিস্তব্ধ জাহান্নমে পাচ্ছি কেন ?

No comments:

Post a Comment