Monday, 12 March 2012

শ্মশান কাব্য ০৩



9:02pm Mar 11

শ্মশান কাব্য ০৩

নদী পাড়ের শ্মশান যেন এক ঝুলন্ত উপত্যকা 
যেন খাড়া ভাবে নেমেগেছে অতল নদীগর্ভে ;
সপ্তমীর এক কাস্তে চাঁদে আর দূরের মোহন বাঁশির সুর
আর দাদুরীর কর্কশতা ভেদ করে মফঃস্বলের শেষ ট্রেনটা যখন হল্ট ছাড়ল
ঘড়িতে ১১ টা ৩৫ ; থই থই শ্মশানে জনসমুদ্র আত্মীয়তার 
কোলাকুলি গলাগলিতে নিয়মিত ছায় ভাসছে অথবা গলছে ;
পঞ্চাননতলা দিয়ে একরাশ কার্বন ত্যাগ করে হুঁশ করে ৪০৭ 
যখন শ্মশান গেটের সামনে তখন শ্মশান জনধিক্য রোগে ভুগছে ;
মৃত্যুও স্থানাভাবে ভোগে তবে ! সারিবদ্ধ লাইনে দাড়িয়ে আছে
ক্ষণিকের জীবন , কেরোসিন চিনি গমের লাইনে একটু আগেই দাড়িয়ে ছিল
অমল রায় , কিছুই থাকেনা জীবনে শুধু লাইন থেকে যায় জ্যান্ত হয়ে ।
পাশেই দেশী ঠেকে মোচ্ছব চলছে দেশী মদ দেশী মেয়ে
আর জ্বলন্ত ঠোটের অঙ্গারে ; পিতৃ শোকে ক্ষণিকের নিমন্ত্রিত
অতিথি ঝানু দেশায় , পেশায় কাঠ ব্যবসায়ী , চন্দন বেচেন দুই হাতে
বাবাকে তুলেছেন ধাতব চুল্লির পাতে , উদাসী উদাসী দৃষ্টি উফঃ কখন
যে শেষ হবে ? 
আমি রাম ডোম , তিন পুরুষের পেশা , এখানেই জন্ম বিয়ে সন্তান ।
অন্য গল্প লিখতে পারিনা বলেই শরীরের ভাষাতে খুঁজে জীবনের ইতিহাস ।
শুধু ছায় উড়তেই দেখি আকাশে , উড়তেই থেকে বিবর্তিত আকাশে ,
প্রতিটি উড়ন্ত ছায়ে দেখি আমার ঠাকুরদা পিতা ছুটছেন আমার লাইন বোধহয়
এর পরেই ।

No comments:

Post a Comment