Monday, 12 March 2012

কিছুকবিতা


‎....

একলা আকাশে একলা চাদে একলা মৃত্যুহানা
এক পিড়েতেই জন্ম মৃত্যু বিবাহ এবং শানাই
দুই চোখেতেই চক্ষুমিলন হৃদয়কমল সুবাতাস
দুই অঙ্গে প্রবাহিত আমি আসলে এ



।ক্লোন

অহংকারে পুড়ে আমি নিষাদ ।
দ্বিধাবিভক্ত সঙ্কোচনে কাঙ্ক্ষিত কক্ষপথের উজানে
ছুটছি বাল্যথেকে কিশোর যুবকবেলাময় একত্রিশ বসন্ত পর্যন্ত ,
আমাকে লুকিয়ে রেখে আঁচলে আঁতুড় ঘরে হিমশিতে আমার মা
তবু জেনে গেল না
ভালো নেই , ভালো নেই সময় ।
ব্যথিত হৃদ অনুতাপে আমি শান্তি মিছিল খুঁজি , খুঁজে দেখি জলের পাত্র
কিম্বা কাজুগি নেবুর রস , কি জানি কোন আয়েজনে
বেঁচেফেরে হারানো হৃদয় ।

প্রস্তুত আমি ।
আমি প্রস্তুত সন্ধি প্রস্তাবে ।
আমি সন্ধি প্রস্তাবে প্রস্তুত সময় ।
আমি প্রস্তুত জীবনের দ্বিতীয় তৃতীয় বা শেষ বার ।

আমি প্রস্তুত বিজ্ঞান ।
আমাকে কাটাকুটি করো প্রয়োজনে , হৃদপিণ্ড উপ্রে রাখো গচ্ছিত টেস্ট টিউবে ,
শেকল ফেলেছি খুলে......
ঝেরে ফেলেছি অতীতের ইতিহাস
মুছে ফেলেছি গাঙের জলে আমার কৌশর আমার যৌবন
ভুলে যেটে চাইছি আমার ঐতিহাসিক ভুল...

আমাকে দ্বিতীয় জীবন দাও ক্লোনে
আমাকে তৃতীয় জীবন দাও ক্লোনে
আমাকে অগুন্তি জীবন দাও ক্লোনে
শুধু
আমার চেতনা মেরো না তুমি......
আমি দেখতে চাই
জীবন জুড়েই কি পরাজয়ের পতাকা উড়ে ?কটা ধারাতেই বহি ...।।







এক সূক্ষ্ম কবিতা ......

গয়ংগচ্ছিত ভাবাবেগে সহিত অপূর্ব জাদুবিদ্যায়
পারদর্শী রূপলাবণ্য উচ্ছলামতি প্রিয়দর্শিনী প্রিয়ংবদা
অনুরাগিণী অনুপ্রভা
আলোক বিচ্ছুরণে সখিদল সম্মিলিত প্রয়াসে চলিলেন
গোলাপজলে অবগাহন করিতে ।
পশ্চাতে পশ্চাতে নারী রক্ষীবাহিনী সমরাস্ত্র উঁচিয়ে
উড়ে চলা পক্ষিরাজকেও শাসিয়ে কহিলেন
পতন পড়িলে চক্ষুর এই পথে
তুহাকেও জানান্নামে পাঠাইব ।

অথবা
কপ্পুর ধুলোতে গড়িয়ে দিয়ে আমি পথ চেয়ে উল্কার
কফে কফে ভিজে যায় মাটি ভরন্ত পোয়াতি শ্রাবণ , উষ্ণ প্রস্রাবনে
শুকিয়ে নাইট্রোজেন
আমি ধাবত প্রেমিকার বাড়ি ......

( এটা অতি আধুনিক , খুব সুক্ষ , এহার মর্মউদ্ধার করিতে ভীষণ ভীষণ মেধার প্রয়োজন হয় , আমি যেই বলি ...

" হে পুরুষ
আমাকে ধর্ষণ করো "
............ তখন সেই লেখাটি মোটা দাগের হইয়া যায় ...... গেল গেল রব উঠিয়া যায় 











ধর্ষক

এসো পুরুষ
আমাকে ধর্ষণ করো ।
চেটেপুটে পান করো অমৃত সুধা ।

কিছুক্ষণ নিতম্বে হাত রেখে দেখো
কত প্রস্তুতি
কতটা সময় ধরে গড়েছেন দেব ।
আমার জঙ্ঘায় হাত রেখে দেখো
কত আঘাতে আঘাতে হাঁটতে শিখেছিলাম ,
স্তনে মুখ রাখো
কত সযত্নে অশুভ হাতের স্পর্শ
এড়িয়ে
দানবকে ফাঁকি দিয়ে
তোমাদের সন্তানের জন্য
গুছিয়ে রেখেছিলাম ,
ঠোটে ঠোট রাখো আমার
রক্ত বের করে দিয়ে
যে সুখ পাও
তোমার প্রতিটি নখের আঁচরে
ডলনে মন্দনে
তুমি
শরীরের ভাষা খুঁজেছ
শরীরে .........

এসো পুরুস...
আমি প্রস্তুত এই ভাগাড়ে
আমাকে শুধু বাঁচিয়ে রেখো দশটি মাস......
আমার গর্ভে যেন নারী জন্ম আসে

হয়তো সেদিন তোর রক্ত
তোর শরীরের ই প্রয়োজনে , জানোয়ার ।

" আমি কোন বিতর্ক চাই না , যাদের কাছে এই লেখা সহ্য সীমার বাইরে মনে হবে তারা এক মুহূর্ত দেরী না করে আমাকে ব্লক করে দেবেন " আমি ঘোষণা করছি । মৌমিতা











তুমিময়

নিঃশ্বাসে বিশ্বাসে সর্ব সত্যে ঈশ্বর ।

তুমি রাজাধিরাজ
আমি পতাকা বাহক

রক্ত ঘামে শরীরে মনে ঈশ্বর ।

তুমি পরিচালক নাটকের
আমি বাজনাদার

শয়নে স্বপনে জাগরণে তুমি অমৃতভোগী ।

তুমি জড়া ব্যাধি নশ্বরসীমার উদ্ধে ।

তুমি কাল্পনিক মহাঋষি
আমি জীবন্ত কিম্বা চিতাতে ।










No comments:

Post a Comment