বৃষ্টি
কিছু বৃষ্টি ভাবনাতে গন্ধ থাকে ; কিছু জল শুধুই একপেশি ।
বিমূর্ত জলে মৃতসঞ্জীবনী ঔসদের খোঁজে সেই টিনের টাপুরটুপুর
অথবা পতনে কাগুজে নৌকায় পাল তুলে ভেসে যায় রঙগুলো
কোন মৎস্যকন্যার দেশে ; অথবা মিলিয়ে গিয়ে মাটির গহনে
যক্ষীর দ্বিতীয় ধন ।
উপলক্ষ জুড়েই আমার প্রস্তুতিতে থাকে এক মেঘ এক জলের অণু এবং
উঠোনে ডায়কৃত প্রজ্জান মহানিম ; এক যুগ ধরে আমি কাজ করি ,
প্রস্তুত রাখি আগুনের উৎস , নিমের আগুনেই নিঃশেষ করে দেবো
জলের গতিপথ ।
তারপর তুমি ভগিরত হয়ে জটা থেকে নামিয়ে এনো পুনরায়
সঙ্গমে ইতিহাস লিখো জীবনের ।
স্বৈরাচার
হৃদয়ের এক চিরন্তন শবের সাথে দেখা হয় ; অহরহ ।
অভিমানে সে মুখ ফিরিয়ে থাকে কিম্বা পরম মমতায়
মননের শীতলায়নে । আমি একাকী যখন শিমূল বালিশে
খোকন হাতে ডাকি তাঁকে , উদাসী বাউলের মত সে এসে
বসে পাশে , পরম মমতায় বিলিকাটি তার চুলে ।
সম্বল বলতে আমরা এই দুইজন যেন পরিপূরক শ্রাবণ আর
মেঘের যুগলবন্দী মেঘমল্লার ; যেন তাঁরাদের সাথে আকাশ গঙ্গার
বন্ধুত্ব কতশত আলোক বৎসরের , যেমন আফিমের সাথে
নিগুঢ় সন্ধ্যার । আমি ক্লান্ত হয়ে গেলে ওই আমার শারীরিক
প্রতিনিধি । অথবা আমি ঘুমিয়ে গেলে আমার সত্ত্বাধারী ।
এই বন্ধুত্বে যখন গাঢ় থেকে প্রগাঢ় কৃষিজীবী হয়ে উঠি আমরা
নিয়মের সংবিধান থেকে ছেঁটে ফেলি ভুষাকালির আল্পনার
গৃহের অস্তিত্ব ; গঙ্গায় ছুড়ে দিই আমাদের ঔরস স্মৃতি দুপুর
পেয়ারার সুমিষ্ট গন্ধ ।
নতুন সংবিধান প্রস্তুত করে আমরা দুজন একনায়তন্ত্রী স্বৈরাচারক
জীবনের । গলিত স্থবির আমার জন্মভীতে সন্তান বিদ্রোহী হবার
আগেই পেরিয়ে আসি উস্নায়নের দিনকাল ।
কিছু বৃষ্টি ভাবনাতে গন্ধ থাকে ; কিছু জল শুধুই একপেশি ।
বিমূর্ত জলে মৃতসঞ্জীবনী ঔসদের খোঁজে সেই টিনের টাপুরটুপুর
অথবা পতনে কাগুজে নৌকায় পাল তুলে ভেসে যায় রঙগুলো
কোন মৎস্যকন্যার দেশে ; অথবা মিলিয়ে গিয়ে মাটির গহনে
যক্ষীর দ্বিতীয় ধন ।
উপলক্ষ জুড়েই আমার প্রস্তুতিতে থাকে এক মেঘ এক জলের অণু এবং
উঠোনে ডায়কৃত প্রজ্জান মহানিম ; এক যুগ ধরে আমি কাজ করি ,
প্রস্তুত রাখি আগুনের উৎস , নিমের আগুনেই নিঃশেষ করে দেবো
জলের গতিপথ ।
তারপর তুমি ভগিরত হয়ে জটা থেকে নামিয়ে এনো পুনরায়
সঙ্গমে ইতিহাস লিখো জীবনের ।
স্বৈরাচার
হৃদয়ের এক চিরন্তন শবের সাথে দেখা হয় ; অহরহ ।
অভিমানে সে মুখ ফিরিয়ে থাকে কিম্বা পরম মমতায়
মননের শীতলায়নে । আমি একাকী যখন শিমূল বালিশে
খোকন হাতে ডাকি তাঁকে , উদাসী বাউলের মত সে এসে
বসে পাশে , পরম মমতায় বিলিকাটি তার চুলে ।
সম্বল বলতে আমরা এই দুইজন যেন পরিপূরক শ্রাবণ আর
মেঘের যুগলবন্দী মেঘমল্লার ; যেন তাঁরাদের সাথে আকাশ গঙ্গার
বন্ধুত্ব কতশত আলোক বৎসরের , যেমন আফিমের সাথে
নিগুঢ় সন্ধ্যার । আমি ক্লান্ত হয়ে গেলে ওই আমার শারীরিক
প্রতিনিধি । অথবা আমি ঘুমিয়ে গেলে আমার সত্ত্বাধারী ।
এই বন্ধুত্বে যখন গাঢ় থেকে প্রগাঢ় কৃষিজীবী হয়ে উঠি আমরা
নিয়মের সংবিধান থেকে ছেঁটে ফেলি ভুষাকালির আল্পনার
গৃহের অস্তিত্ব ; গঙ্গায় ছুড়ে দিই আমাদের ঔরস স্মৃতি দুপুর
পেয়ারার সুমিষ্ট গন্ধ ।
নতুন সংবিধান প্রস্তুত করে আমরা দুজন একনায়তন্ত্রী স্বৈরাচারক
জীবনের । গলিত স্থবির আমার জন্মভীতে সন্তান বিদ্রোহী হবার
আগেই পেরিয়ে আসি উস্নায়নের দিনকাল ।
No comments:
Post a Comment