... সোলো থেকে কুড়ি
১১ শার্সি ভাঙা জানালা দিয়ে দেখলেও একই আছে পৃথিবী ; নিয়মে
বদলে সময় শুধু কিছু দাগ রেখে গেছে আসবারে , আয়নায় দাঁড়ালে কিছু পেত্নী
পাঁক চুলে দাড়ায় পেছনে , আমার অতীত ভবিষ্যৎ বর্তমান দেখি এখানে ।
১২ বিসদৃশ্য বড্ড বেমানান নিজের সাথে সন্তানের ; পঞ্জিকা ধরে নক্ষত্রের দিন-কাল
বুঝেনিয়ে কাঙ্ক্ষিত আঁধার রাতে নামিয়েছি তাকে ; গীতার শ্লোকে শ্লোকে কেটেছে
রতিকাল , ওয়াগান ব্রেকার শব্দ শুনিনি তিনপুরুষ সন্তানের গতি সেই পথে ।
১৩ হঠাৎ খুলে যায় অহংকারের সব অলঙ্কার ; মহেন্দ্র সংঘমিত্রার তো ছিল আরো
বেশী অলঙ্কার , তবে কি ধাতু শুধুই আপেক্ষিক মননের স্বপ্ন সঞ্চারী !
যে চোখে জল থাকে না তারা গভীর মনঃস্তাপে ভোগেন , গেরুয়াতে পেয়ে যান জলের দিশা ।
১৪ বিভ্রান্তিতেই জ্ঞ্যান বন্দী থাকে অনেকদিন , শ্যাওলা জলেই হাঁসের প্রিয় খাবার ;
আলোর উৎস মুখ দেখা যায় না তা নয় , সম্ভোগ খাট ছেড়ে উঠতে বড়ই অনিহা ;
যতই বুক ফুলিয়ে ঘোষণা করি আত্মা আবিনশ্বর ভোগের বেলা একবেলার কথায় ভাবি ।
১৫ অযাচিত চোদ্দয়ানা রোদ্দুরের নায়ক আমি ; কিবা এসে যেতো কিছু জন্ম না এলে ,
নিরন্নর চেয়ে জীবনের প্রয়োজন অনেকখানি কংক্রিটের যে লেগেছে হাভাতের ক্ষিদে ;
ঈশ্বরের সংবিধান আজ একনায়কতন্ত্র কামাল পাশাকে ওখানে বড়ই দরকার ।
জল হাওয়া
তর্কাতিত দুর্বলতা ছিল তোমার উপর
সাঁজ আয়না স্নানঘর বইয়ের পাতাবিশেষ এবং খাতার শেষ পাতায়
অঙ্কুরিত ছিল তোমার বীজ ;
প্রতিদিন জল ঢেলে প্রাণ দিতাম তাতে আশা রেখে এই
একদিন ফুল ফুটে গন্ধ ছড়াবে নিশ্চয় ।
এখন , দীর্ঘ হতে হতে দীর্ঘশ্বাস অপরের ব্যাঙ্গমাত্বক দৃষ্টিতে
বুঝতে পেরেছি জল হাওয়া সব কিছু নয় বেড়ে ওঠার সর্তে
বীজের নিজস্ব কিছু শক্তিও লাগে ।
অপূর্ব পারদর্শিতায় ফেলে এসেছি অতীতের স্মৃতি
যেমন কামারশালার লোহা বার বার আগুনে পুড়ে অবশেষে
তৃপ্তি হাসে
যতোই পুঁড়াও তুমি কর্মকার আমাকে লোহাতেই পাবে ।
দেখেছো সেই তুমি এলেনা বলে
সার্টেল দাড়িয়ে গেলো ইশারার অপেক্ষা না করেই ;
আমিও নিয়ম বুঝেছি এবার
রোজ দাড়িয়ে থাকি
রোজ পৃথিবী পর্যবেক্ষণ করি ; তবু রাত্রি গভীর হলে
এক স্বপ্ন পাখি উড়ে এসে বসে খাটে
বলে খুলে ফেলে দে তোর পোশাকি সাঁজ ; তোর
এক ফসলী শস্যভূমিতে অপেক্ষা কর সঠিক জল হাওয়ার ।
সর্ত
তিনখানা সন্ধি প্রস্তাব রেখেছি শুধু ...
প্রথমত পৃথিবীর অভয়ারণ্য থেকে উঠে যায় জলপাই উর্দি
দ্বিতীয়ত শার্দূল দাঁত ভেঙ্গে করে দাও খুঁজে খাওয়া শাকাহারি
তৃতীয়ত বাসন্তী ফুলে-ফলে ভরিয়ে দাও অনাবাদী ভূমি ।
এবার আমি তৈরি
আবিনশ্বর চিতায় জ্বালিয়ে দাও আগুন জহরব্রতে আমি রাজী ।
ঈশ্বর ধাতুবিদ্যা ছেড়ে আগুনের গল্প লেখো শুধু ।
No comments:
Post a Comment