Saturday, 17 March 2012

তিন ৩



তিন শাবকের গল্প 

একটা নয় দুটো নয় তিন তিনখানা ছাগ শাবকের জন্ম দিয়েছে
আমাদের মংলি ; কালো নধর গড়ন ঠিক আমার প্রিয়
আফ্রিকান উপজাতি ভাইয়ের রঙ পেয়েছে ,
মংলির দুধের বাঁট যেন একখানা নিম্বাস মেঘ ;
আমিও অসংগঠিত গ্রামীণ শ্রমিক
একশো দিনের কাজে সাত দিন পেয়ে
হাড়িয়া আনন্দে বৌ পিটাচ্ছি ( মানবধিকার কমিশনে যাবেন ?
আমার বয়ে গেছে , এতো আমার জন্মগত মৌলিক অধিকার ,
এতো সহজে ছারছিনা , হে হে হাইকোর্ট ।)
ধুস ছাতা ; গল্প গেলাম ভুলে ...
যা হোক
মংলির দুই বাট
শাবক তিন
লক্ষ করে দেখি দুটো বড্ড মদ্দ হয়েছে তৃতীয়টা রিকেট

আসলে দুই মদ্দ মংলিকে উজাড় করে খাচ্ছে
তৃতীয় বাঁটের কাছে গিয়ে লাফায় শুধু
দুইজন খেয়ে যাবার পর আঁঠি চোষে ।

মংলি কেন যে তুই তিন শাবকের জন্ম দিলি ...













ছয় থেকে দশ

০৬ উত্তেজক পানীয় নিশিযাপনে বাবার শ্রাদ্ধবাসরের মনোরঞ্জক ;
উপলক্ষ তৈরি থাকে শুধু খুঁজে নিয়ে হয় গ্লাস এবং চানাচুরের প্যাকেট
সিগারেটের খাপ ; আগুন জলে , সুস্থতা রোগ , আফিমের মগজ পৃথিবীর ।

০৭ বিদ্যা মাস মাইনে টাকার পার্স ; মৌলিকত্ব মামনির গলবন্ধ হারের
চেয়ে নিকৃষ্ট , পরবেশিত বিদ্যা জুড়ে লাইন বাড়ানোর পরামর্শ এবং
সমাজ বদলের কচকচানির রূপকথা , নবদ্বীপ পণ্ডিত গঙ্গায় ডুবছেন ।

০৮ স্বাস্থ্য সেবালয়ে মোচ্ছব ভোজনের ; বিধান চন্দ্র আসছি বলে সেই যে
গেলেন এখনো ফিরছে না বলে স্বক্ষেদে তার উত্তরসূরি পাশেই নবকেতন ,ওখানেই ভর্তি হয়ে যান ,
জতুগৃহে আমার মা , হুনুলুলু থেকে ফিরলেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ পেটেন্ট টাকায় ।

০৯ দেবাস রা খুন হয় প্রকাশ্য দেবালয়ে ; এক আদর্শ জীবনের চেয়ে দামী ।
শোক সভা জুড়ে কুম্ভীরাশ্রু পেছনে বিরিয়ানির ঢালাও আয়েজন ;
মায়ের চোখে জল নেই রাতের দুই টুকরো রুটি বিস্বাদ ; হিক্কা ওঠে , চোখে জল ।

১০ আগুনের উপর দাড়িয়ে সময় ; বুড়ো পৃথিবীর ভয়ানক অ-সুখ ,
সভ্যতার রন্ধে অসভ্য বদ রক্ত , আগুনের উৎস মুখ ঢেকে রেখেছে লোভী জানোয়ার ,
বিবর্তিত ইস্তাহার নামাও ঈশ্বর আজ তোমারই অস্তিত্ব সংকতে ।





দুই পুরুষ 

একমাত্র স্তনে সন্নিবিষ্ট ঠোট গুলোয় বুঝেছে
ঈশ্বরের প্রতিনিধি হওয়া সময়ের অপেক্ষা নয় ; অসম্ভব ।
ধাতুজনিত ব্যাভিচারে কিম্বা হস্ত মৈথুনকৃত রতিরাগে সোহাগী
ফাগুণ বা ভাদরের নেই রূপ বৈচিত্র্য ; সব মাংস পিণ্ড হায়না লালসা ।
জাগতিক উপেক্ষার অনিদিষ্ট নির্দেশে শুধুই ফাঁকির গল্প , অথবা
নাগালে থেকেও আপেল নাগালের বাইরে সম্মুখে পালোয়ান ;
আকর্ষণ শুধুই চোখ ঝালিয়ে বিক্রি হয় যখন অন্য চোখে
তমসা গ্রাস করে আমার শরীরের প্রতিটি আলোক প্রবেশিত বিন্দু
উপাচারের ধর্ষক হয়ে যায় অহেতুক ক্ষণে ।

ওহে ঈশ্বর জতুগৃহে বন্ধি করেছো মায়া দিয়ে বাইরে রেখেছো দাহ্য ।
পোড়াবেই জানি সুসময় এলে বা না এলে ।
দ্যাখো দ্যাখো মাষ পোড়া গন্ধে ভারী হয়েছে বাতাস
ক্ষণিকের চাঁদের গহ্বর আঁধারে ঠাঁসা ।

এভাবেই আরো কিছুক্ষণের গল্প আছে বাকি
আর কিছুক্ষণ পরে উলঙ্গ হবে চাঁদ
নেশাতুর রাতে জেগে থাকে দুই পুরুষ , এক আমি এক তুমি ;
মায়ের স্তনে পুনরায় রাখতে দাও আমার মুখ আমি হতে চাই দেবদূত ।






বন্ধু

তারপর ঘুম ভেঙ্গে গেলে শুধুই জেগে থাকে রাত্রি
আমার চোখে থাকে অক্ষরের ঘুণপোকা
ক্ষেয়ে চলে মগজের রস ।
নিয়মতান্ত্রিক সকালে খুলে ফেলে রাত্রিবাসের আভরণ
হাত রাখি ইঁদুরের বুকে ...
কোনদিন দিন খুলে যায় বন্ধুমহল
কোন দিন অনন্ত প্রতীক্ষায় থেকে আমি ক্লান্ত , মুখ রাখি
মুগ্ধতার ম্যাকবেথ এ ।

উদাসী আঙ্গিনা হতে উড়ে চলে তোমার দিকে নান্দনিক হাওয়া
আরাম কেদারায় তোমার আঙ্গুল খেলা করে
তখনো আমি খুঁজে চলি
বন্ধু মহলের স্মৃতিসম্বল .........

যন্ত্র কোনোদিন মানবের বন্ধু হয়না বোধহয় ......
ফেসবুক তুমি ?








No comments:

Post a Comment