Sunday, 25 March 2012

অনেক




দুর্বোধ্য

সমগ্র বিষাদকাব্য আর সমূদয় অস্তিত্ব নিয়ে
এক লুক্কায়িত অঞ্চল ; চির লোকায়ত নশ্বর প্রয়োগ শালা ,
রাজা রাণী পারিষদসহ শীত ঘুম ভেঙে পুনরায়
উষ্ণতার আহ্বান অথচ দূরে ডুগডুগি ভানুমতির
খেল বাঁদর নাচন ; ফিক করে ফোকলা দাঁতে
কেশো বৃদ্ধ নিদারুণ জীবনের প্রতিদ্বন্দ্বী ।
অথচ নির্বাচিত কাশে শরতের কাঙ্ক্ষিত ধন ; বিবর্তিত
ধারাবাহিকতায় স্বস্থানে দেবী রঙ বদলে যায় ।
রঙ বদলে পারদর্শী প্রাচীন চাঁদ অথবা লৌকিকতা
অথবা সমুদ্র সফেন ; এখনো মাটি খুঁড়ে কবরের
হাড় বয় হাজার বছরের নিজস্ব রঙ ; বলো তবে
জ্যান্ত গিরগিটি শুধু পেয়েছে রঙ বদলের অধিকার !
নিয়ম ব্যাতিরেখে সপ্তসিমণ্ডল আর কালকেতু ফোটে
যদি সাজানো বাগানে ; দূরবীনে চোখ রেখে নামী
জ্যোতিষ বিজ্ঞানী খাওয়া ঘুম ভুলে কারন অনুসন্ধানে !
বলো তবে জীবন ... অধিকারে পেয়েছো পুরো ষোলোআনা
কর্তব্যে নিজে অথবা গৃহস্ত পশুর সুখ !
দেখেছো কোন দিন ঝঞ্ঝা বাতাসের রুদ্ধশ্বাস যবনিকা
পতনের পরে দিগন্তে সাত রঙের মেলা , ভুল ?
দুর্বিষহ যন্ত্রণা ভেঙ্গে যে গাভিনি দিয়েছে জন্ম সেও তো
ভুলে গিয়ে দুঃখ কাল ঘাসে মুখ রাখে নির্দ্বিধায় ; আর তুমি ,
বিষাদে ডুবছো ভুল করে সৃষ্টির রহস্য মায়াজাল ।










পথ ভাঙ্গা গল্প 

সঙ্গোপনে পেড়িয়ে এলাম বিরামহীন পথ ,
তবুও পুরনো কথা ফিরে এলো না ভাষা হয়ে ।
দখিনা বাতাস খেলে গেল খোলা চুলে আর
নাভি পদ্মে উন্মাদ গৃহস্ত কীট ; এবং এক লম্বা ঘুম ,
দারজায় কড়া নেড়ে ফিরল যখন
তমসা , আমি অচেতন ।
তারপর থেকে হঠাৎ হঠাৎ দুর্জয় সেই স্মৃতিভুক ক্ষিদে
সখ্যতা বাড়িয়ে এঁকে দিল খাতা ভরে সোনালি আলপথ
দল বেঁধে হাঁটছে সব রাঁধা ।

এভাবেই স্মরণাতীত অতীত ধরে অভিলাষে প্রেমে-অপ্রেমে
জীবন খুঁজেছে নব্যতা ; আর সর্বভুক ক্ষুধা খেয়েছে
কবিতার খাতা থেকে হরিণের মাংস ।

এখানে ইতিহাস ভেঙ্গে ভেঙ্গে হিক্কাতে স্মরণীয় হয়ে আসে
অতীত , বাকলও ভুলে গিয়ে পূর্ব জন্মের স্মৃতি ;
শ্রাবণ এলে হেসে ওঠে খিলখিলিয়ে ;
কিছু বিজাতীয় স্মৃতি- ভস্ম নিয়ন্ত্রণ করছে আমাদের গতি ...
খুলে ফেলে দাও বন্ধন শেকল
স্মৃতিভুক থেকে এবার মানুষ হবার পালা ।








কিছু 


কিছু মেঘ আসে বৃষ্টি নিয়ে মুছে দিতে বিকালের গল্প ;
কিছু বৃষ্টি হয়ে ওঠে প্রজাপতি আষাঢ় হয়ে যায় মদন ।

কিছু সৃষ্টি কাঁদিয়ে দুইবেলা মুখ ঢাকে রোদ দিগন্তে ;
কিছু কিছু বিভ্রান্তি রোগ ছড়িয়ে খেলেছে রক্ত হোলি ।

পিছু পিছু আশা এসে ফিরে যায় আঁধার ঘনিয়ে আসে প্রান্তে ;
পিছু পিছু রেখে সত্য করে যায় মিথ্যা অভিনয় ।

সম্মুখের দৃশ্য উজ্জ্বল মেধ হীন সুঠাম যুবক প্রাণ সকলে ভালবাসে নিত্য ;
পেছনে থাকে শাশ্বত সত্য উপেক্ষার আঙ্গিনায়








মায়া 

তবুও অকারণে ছড়িয়ে যায় মায়া
যদি চলে যায় এ ভয়ে সর্বদায় । কদাচিৎ
ঠিক হেটে এগোই যখন ; মায়া ডাকে
ফিরে এসো , আমি সে ডাক পারিনা
ফেরাতে । এক অপূর্ব রহস্যময়তায় আমাদের
রক্ত খেলা করে সধর্মী বিধর্মী রক্তের সাথে ;
আর যন্ত্রণায় নিবদ্ধ হতে থেকে ছুড়ে দিই
আমার নিজস্ব অলঙ্কার ; আমি যেন
তোমাদেরই লোক ।
ঘুণাক্ষরেও বুঝিনা যখন জীবনের নিয়ন্ত্রক
তরঙ্গ প্রবাহ হেসে খেলে সন্তান উৎপাদনে
কেন বেশ থাকে ! কেনই বা বাল্মীকি স্তুপ
ভীষণ আকর্ষী , বলতে বাধ্য করে " যেতে পারি
কিন্তু কেন যাবো" প্রিয় !
সমগ্র অনুভূতির যায়গা গুলোতেই ছড়িয়ে যেটে
ইচ্ছা করে আমার বীজ ; বীজ কবেই বা মনে
রাখে পরিপূর্ণতার অণুক্ষণ ।
এভাবেই মায়া বাড়িয়ে যেটে চাই আরো কিছু ;
আরো কিছু মুহূর্ত ভাসিয়ে রেখে যেটে চাই
আমার মুখ ;
পতনে দাঁড়াবোই জানি একদিন , তার আগে
পরিচিত চোখে কিছু জল দেখতে চাই ।








নবজাতক 

ইদানীং ঘুম ভেঙ্গে গেলে
ফিস ফিস কিছু শব্দ
উজাড় করে
কথা কয়ে যায়
নিরালায় এই বসন্ত বাতাসে ।
অর্ধ শরীর জুড়ে যুগের
হয়রানির পদচিহ্ন ; অর্ধ শতাব্দী ধরে
কেঁচো জীবন
আর বাদবাকি সব কিছু
ষাঁড়াষাঁড়ি বাণের সম্মুখে ।
পিছু হটে দেখেছি
ভয় গুলো জোঁক ; আর আত্মা
বেয়াদপ কয়েদী
লম্ফঝম্ফ চার দেওয়ালে ।
ইদানীং কেঁদে অথবা এক বিষাদে
আমার শোক
যদিও গনশোকে রূপান্তরিত
যদিও আমি কেঁদে উঠলে
হেসে ওঠে নব জাতকের মা ।



No comments:

Post a Comment