Monday, 12 March 2012


‎......
মহিমাসম্বলিত অনুস্কপ্রভা জ্যোতি
অনন্যসাধারণ ;
গালিচা সমাদৃত সফেদ আকাশে টিমটিম লণ্ঠন
ভূত ভবিষ্যৎ বর্তমানে
নৈবিক বন্যা সমতুল আবেগে পিতৃপুরুষসহ নিজে অথবা
সন্তানের গর্বিত মাতাকেও
ভাসিয়ে নিয়ে গিয়ে
খানিক স্মৃতি রোমন্থনে তৃপ্তি সহযোগে
আমরা হয়ে যায় ধূলিকণা
অথবা মাটি ।
দ্বিকোষী গমনে সিদ্ধ এই পরিমেয় সময়ের ভগ্নাংশ জুড়ে
সিধান্তহীন চরম সিধান্তে
চরম মূল্য গুনে গুনে তবুও তৃপ্তি হাসি
আরো বেশ কিছুদিনের অতিথি হয়েই আছি !





স্বাধীনতা

গাছেদের সম্মিলিত মাথা ছুঁয়ে সূর্যের নিয়মতান্ত্রিক
ঘরে ফেরার অভিজান , সান্ধিক আকাশে শুরু হয়ে গেল
নিয়মের রাজত্ব , ঝটপট পদক্ষেপে ঈশানের হাওয়ার বেগে
প্রতিযোগী সারস ঝড়ের আগেই পৌছাতে চাই ঘর মুখে ,
পৃথিবী চলেছেন রাত্রিকালীন সম্ভোগের আয়েজনে ।
এখানকার প্রতিটি গোধূলি লগ্নে ছুঁয়েছিলাম তোমার গোলাপি আঁচল , আর
আঁধারের তীব্রতায় তোমার কালো চুলে
ভেসেছিল আমার দুরন্ত যৌবন , সেদিন ।

আমার ভঙ্গুর অস্তিত্ব যেদিন ভেঙ্গে আমি প্রথম প্রেমিক পুরুষ
পূর্ণিমার চাঁদ আমার সহপাঠী বন্ধু সুজন ;
স্পর্ধাতে আমার ঠোঁটের উষ্ণতায় গলে পড়ে শুকতারা
তোমাকে সাজানোর আয়েজনে সদা ছিল ব্যস্ত ।

পেড়িয়ে এলাম আকাশে ভাসবার দিনকালের রোমন্থন অঅনুমেয় ইতিহাস ,
কাজ করি রেলের স্লিপার বদলানোর খেলায়
রোজ রাতে
ঘুমিয়ে পরলে পৃথিবী সন্তান পুড়নো স্লিপার খুলে
কংক্রিট স্লিপারে গেথে দিই রেল ,
আমাকে অবজ্ঞা করে গোধূলি এসে তুলে নিয়ে যায়
অন্য যৌবন
দেখি
পাখির কূজনে কূজনে কথা চালাচালি দাপাদাপি ডানা ঝাপটানি
শুকতারা নেমেছে পথে
গাঢ় চুম্বনে চুম্বনে মেতেছে জ্যোৎস্না জীবনের মনে মনে ।

রেল সোজা বয়ে যায় না করে সন্ধি তেপান্তরের মাথ......
আমি সন্ধি প্রস্তাব রেখেছি মরা চাঁদ অথবা জ্যোৎস্নার কাছে , এখনো প্রস্তুত
হয় ফিরিয়ে দাও সেসব গোধূলি বিকেল নচেৎ
ফিরিয়ে দাও আমার উড়বার স্বাধীনতা ।













প্রিয়তম

উৎসবের বসন্তে হোলি খেলি হৃদয়ে , একা ।
নির্লিপ্ত আকুতিতে ছোট খাটো
সঞ্চিতধন আমার , যা একদিন তোমারও ছিল
বলেই জানি ।
যতনে লালনে পালনের অভিরুচি সংজ্ঞাহীন ঘুরে মরে
তোমার দরজা জানালার চারপাশ
পেতাত্মাসহ অমাবস্যা পঞ্চদশী জ্যোৎস্নায়
শুধু তোমার অনুমতি প্রত্যাশায়
ফাগুনের রাঙানো অধর
প্রিয়তম ।
অবশেষে নিয়তি আঁধারে
চাঁদ গেলে ডুবে
জোনাক বন্যায়
শরবিদ্ধ বুকের পাঁজরে হাত রাখি নিজে
যেমনি তোমার বুকে
সিন্ধু নদের কোলাহল সেদিনের ,
সেই গতিপথে
খুলে দিয়ে মনের পাল আমি ,
আমি এই যুগের নর নারীর ব্যথা হৃদয়ের
শারীরিক প্রতিনিধি এই আঁধার বেলায় ।

প্রিয়তম , প্রিয়তম আমার ;
কিছুদিন ধরে আমি
মৃত্তিকার কোষে কোষে জলের মমতায়
রূপটানে হাত দিয়ে দয়াময়ের মূরতি গড়ি ,
ভুল করি
যতবার কাদামাটি লেপনে মুখাআয়ব
ততবার
দেব নয়
শুধু তুমি তুমি তুমি
তোমাকেই দেখি সেথায় ।
বিরহিণী
আমি বিরহিণী খড় তাপে অযত্নে লালিত্য হৃদ
এখন গভীর নদী আছে ,কিছু খাড়া খাত
জল নেই
জল নেই প্রিয় , জল দাও জল দাও ।

সযত্নে লালিত তুমি
হিয়া মাঝে এক সুর এক লয়
অহংকৃত অভিমানে
শূন্য করে পরাণটারে
তুমি কি শ্যাম হতে চাও ?
বন্ধু আমার , বারেক ফিরে দেখো
এক গাছ এক আলো
এক পথ গেছে বিকুণ্ঠধাম
তোমার প্রাণ পাখি যখন ক্লান্ত হয়ে আশ্রয় খুঁজবে ......
বোধশূন্য হইয়ো না তুমি
পথে মাঠে প্রান্তরে
যেখানেই অযত্নে
ডাক দিয়ো প্রাণ খুলে
চিতা থেকে উঠেও আমি দৌড়রাব
তুমি দেখে নিয়ো , প্রিয়তম ।











সীতা

ছোট ছোট আগুনে বড় বড় শরীর
দগ্ধ ; দাবনলহত বনের এক টিয়া অপার বিস্ময়ে
আমাদের পোড়াতে এতোখানি
তোকে এক দেশলাই !

ছায় করে দিয়ে আকাশে ভাসমান ধূলিকণা ;
অহরহ জান্তিব আক্ষেপের বেসুর চাঁদ আসে নিয়মতান্ত্রিকতায়
জানালার বাইরে ; সাঁড়াশী আক্রমনে সেযুগের মর্যাদা পুরুষোত্তম
সরযূ জলে ছুড়ে ফেলে সিঁদুরের অহংকার ; তবে
কি ভালোবাসা সম্মিলিত জনতার অভিলাষে তৃপ্তি !

এই রোগ শয্যা , অসাড় আঙ্গুলের ফাঁকে ধরি অতীতের সিগারেট ...
ফিল্টারের অনেক আগেই দূরছায়
নিয়ন রাতে ছুড়ে দিয়েছি যেমন নর্তকী আর শব্দ দিশায়
শত শত গান্ধী মূর্তি ।

সে যখন ফেরে গভীর সকালে অথবা চাঁপা অন্ধকারে ...
আমি তখন দাবার কোটে
এক চালে বোড়ে দিয়ে রাজাবধের ফন্দি খুঁজি ......
" খেয়েছিলে রাতে " সম্বিতে দেখি সম্মুখে তাকে ......
আমার সীতা ;
জনতা তারিয়েছে তাকে কবেই , আমি পারিনি ......
ডুকরে উঠি ......
আমি রাম নই
রাম লাল দে স্ট্রীটের ৩২\৩ স্যাঁতসেঁতে নোনা দেওয়ালে পুবপাশে
ঝুলন্ত মর্যাদা পুরুষোত্তম ... চোখে দেখি জল ...
"জানিস আমিও ভালো বাসতাম
তুই ভালো বাসিস আরো বেশি " ;

দেখি সূর্য উঠছে পুবকোনে
অনাবিল জ্যোতিষ আলোতে ভাসছি আমি ;
দুঃখ গুলো চিরকাল বেইমান !
আমার কোন দুঃখ নেই আর ।













লাশকাটা ঘর

লাশকাটা ঘরে সমস্ত সত্ত্বা সমান্তরাল বহে ,
কুণ্ডলী পাকিয়ে অগ্রহায়ণের ন্যাড়া আগুন ক্ষণিকের উত্তাপেও রেখে যায়
জৌবশক্তি মৃত্তিকার বোরোর অনুপেয় মিষ্টতায় ।
তাকলা মাটানে , কলরোডার গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে ফিরবে কি ফিরবে না তাপে
দাড়ায় যখন গুটিকয় জীবন
লক্ষএক পথএক সময় এক , তখনো সমান্তরাল পথ থাকে দৃশ্যত এক ,
মৃত্যু থাকে না !

লাশকাটা ঘরের দায় নেই সেসব । অপরিমেয় মহিমা , সুগন্ধি আতরের
নিশিযাপন , বিবাহ উপনয়ন জীবনের গানের বেলা ...
ট্রেন যাত্রীর পেছনের দৃশ্যপট , এখন স্থির ট্রেন আঁধার ক্যানেল...
শব্দ নেই , নেই গন্ধের মাধুর্য
প্রশান্ত শান্তিতে থরে থরে শুয়ে আছে জীবন লাশকাটা ঘরে ।

ওখানেই রেখে দাও আমাকে কিছুদিন পাণ্ডববর্জিত জনপথ হতে ,
উপলব্ধিতে চাগিয়ে দেখেযায় জীবনের সুখানুভূতি , যা শরীরে নেই ,
নেই জান্ত মননে ;
লাশকাটা ঘরে থরে থরে সাজানো জীবন আমাকেও থাকতে দাও ।













তারা এবং নিয়ম

উন্নাসিক প্রাচীন পন্থী সযত্নে আঁকড়ে ইতিহাস
যা কিছু সত্য সমুজ্জ্বল
সেখানেই উহাদের আবাস ।
ফুলে সেই গন্ধ নেই
কথায় সুর নেই
তালে নেই বিক্রম ......
উহা উহাদের খেদ ।

চিৎকার করছিলো কিছু নবীন প্রবীণ গোধূলি সন্ধ্যায়
খরস্রোত নদী কিনারে ;
আর তক্ষুনি
ভুল করে পথ ভুলে
এই রাস্তায় এসে পরে সত্য বুড়ো বেস ধরে ।

"বৎস কি লইয়া ইহা তরজা হইতেছে ? " আমি নব্য পন্থী
বলি " বুড়া তু জানিবেক কি ইহার মানে ? " পুরাতন পন্থী চিৎকারে
" শোনছেন আজ কালের পলাপানের কথার শ্রী " রাম রাম ; রসাতলে ......

ফিক করে হেসে ফেলে ফোকলা দাঁতের বুঢঢা ......
" এই ব্যাপার ? এই নিয়ে এতো চিৎকার ?
পরীক্ষা হয়েই যাক , রাজি দুই পক্ষ ? " সোল্লাসে ইয়েস ইয়েস ইয়েস ...
প্রাচীন ও নিমরাজি নয় ...

"যাও দুই খণ্ড সমমাপের সম ওজনের পাথর নিয়ে আসো ,"
আমাকে দাও ... দেখো , চাঁদ উঠেছে ভরা পূর্ণিমায় ......
এসো জলের পাশে ......
এগিয়ে যায় মন্ত্র মুগ্ধতায়
বুড়ো বলেন এবার ... একটা পাথর দাও , দিলাম ,
আমি ছুঁড়ছি দেখো ......
বুড়ো ছুড়ে দেন পাথর জলে উপর থেকে ... ছলকে উঠে জল ভিজিয়ে দেয়
হাঁটু পর্যন্ত
এবার দ্বিতীয় পাথর ছোড়েন বুড়ো একই নিয়মে , আবার ছলকে উঠে জল
ভিজিয়ে দেয় হাঁট পর্যন্ত ......

বুড়ো বলে হয়ে গেছে পরীক্ষা ......
পাথরের দোষ নয় , সম উচ্চতায় সমবেগে ছুঁড়তে পারলে পাথর
চিরকালে একই উচ্চতায় জল ওঠে ছলকে.........

দেখি আকাশ জুড়ে তারার মেলে বসেছে ...... একটা দুটো আমার বা পূর্বপুরুষ ,
হাসছে এই দিকে তাকিয়েই , আমি হরেন খুড়োর পায়ে ধরে নমস্কার করি ।















রঙ এবং বিবর্ণ

আমার আপন বলে নেই কোন রঙ বা শাড়ির আচল ;
বিবর্ণ অভিমানে বসে পরি তোমার বারান্দায় , পেঁয়াজ রসুন তেলে
ঝাঁজ এসে ভুলিয়ে দেয় পাইনাপেল লেগে থাকা স্বাদ ।
ঘর হতে ভেসে আসে থ্রিডি থ্রিলারের মঞ্চ কাঁপানো টম ক্রুজের
পাহাড় ঝাঁপানো ঝঙ্কার , অরক্ষিত থেকে এই বারান্দায় তোমার কোমরের মেধে
দেখি আস্ত এক শয়তান খাবলে খাচ্ছে মাষ ; চেপে ধরি যৌনাঙ্গ ,
শিরদাঁড়া বেয়ে স্রোতে ভাসিয়ে দিই যুবতী ম্যাডনার শরীর , হলিউডে
চাপা আলো অন্ধকারে কেলভিন কেলিনে প্র্যারিস হিলটন স্তন উন্মুখ কভার পেজে
"বানিজ্য বসতে লক্ষ্মী " , আমার রঙ ইচ্ছা ভুলে গিয়ে প্রচ্ছদ চুমুতে চুমুতে ভরিয়ে
দিয়ে যখন ক্লান্ত , তুমি স্তত পায়ে ঘর মুখো " কখন এসেছেনন"
আমি চুপ থাকি , সমগ্র নর্তকীদের ঘর থেকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে মেকাপ বক্স
যতো পরচুলো সুদৃশ্য অন্তবাসে থুথু ছিটিয়ে আবার থুথু ছিটিয়ে হেসে উঠি মায়ের কোলে ।

আমি হাফিয়ে উঠি , ডাকি এসো প্রেম যন্ত্র মানব সমাধিতে এই বেলা ......
সমগ্র বিন্দু জুড়ে ঝড় ওঠে , ছায়া ধুলি ঝড় ভেদ করে
নগ্ন প্রচ্ছদ উড়ে শুধু আকাশে তোমার আচল দেখিনা কোথাও !















ফুল গুলো শুঁখিয়ে যাচ্ছে কেন !

ফুল শুঁখিয়ে গিয়ে রাজপথে
বেড়ে যায় রক্তবীজে প্রতিদিন গুন্তিতে কিছু সারমেয় ,
অনুমেয় উষ্ণতার সম্মিলিত অভাবে কৃষ্ণকথা কিছু পাখি মুখ রাখে যেসময়
ডাস্টবিনে বঁধু চলেন ফুলশয্যায় ।
আমাকে নাড়িয়ে দিতে পারতো যে ঝড় সেই ঝড় বাক খেয়ে পূর্বে
রাজকীয় সীমান্ত প্রাচীর টপকে
কোথায় যে উড়ে যায়
জানি না , জানাও হয়ে ওঠেনা ভিসার অভাবে ।

আমিও ভুলে যায় কিছু দিনে পুরনো কথা , মুখ রাখি বঁধু স্তনে ,
শোনা যায় কিছু রোগ ছোঁয়াচে , জেনেই আমি পরগাছা হয়ে
আবেশে আঁকরে বঁধু
বলি ঈশ্বর আমাকে ধিতস্ত করে বঁধুকে বানিয়ে দাও মননের মধু ।

জানিনা , ঈশ্বর নির্লিপ্ত চোখে যখন সময়ের ভগ্ন বিশ্রামে
সেই ফাঁকে ভুলে যাওয়া সেই সারমেয় জোট বেধে ঘুমন্ত নগরের এপ্রান্ত থেকে
ঐপ্রান্ত দাপিয়ে প্রত্যেকটা ডাস্টবিনে " অতিথি নিমন্ত্রনের " ফাঁক গোলে
যে টুকু দাক্ষিণ্য জমা হয়
হাঁফরে সাবাড় করে
ঈশ্বর নির্দেশিত নিয়মে ফুটপাথ জুড়ে ভাদ্রের কামুক ।

হাহুতাশ খবরে প্রকাশ প্রত্যেকদিন রাজপথ থেকে ফুল শুঁখিয়ে যাচ্ছে ......
আর সারমেয় বৃদ্ধিতে রাজা বিচলিত নন ......
সারমেয় তো গণতন্ত্রের বাইরের নয় ! এই ঘেউ ঘেউ কাজে লাগে
অন্য সারমেয় তাড়াতে অথবা জনপ্রিয়তায় ।













টুকরো

দুঃখ আক্ষেপ খোঁজে
প্রিয়তম মিলনের অগ্রদূত ।

বন্ধীত্বে সিন্ধুর গঙ্গাপ্রাপ্তি
শ্যাম বিনে বাঁচে বিনোদিনী ।

অকাল কর্ষিত ভূমি বন্ধা জঠর
স্নেহ মমতায় ডাকে কোকিল ।

সুখ ছেড়ে গেলে রয়ে যায় পাখি
বিফল মনোরথে জগন্নাথ প্রভু ।

তিল তিল অহং গর্ব সৃষ্টির বিপরীত
শান দাও মনে মনে নেই শব্দ নেই বাড়াবাড়ি ।







টুকরো

দুঃখ আক্ষেপ খোঁজে
প্রিয়তম মিলনের অগ্রদূত ।

বন্ধীত্বে সিন্ধুর গঙ্গাপ্রাপ্তি
শ্যাম বিনে বাঁচে বিনোদিনী ।

অকাল কর্ষিত ভূমি বন্ধা জঠর
স্নেহ মমতায় ডাকে কোকিল ।

সুখ ছেড়ে গেলে রয়ে যায় পাখি
বিফল মনোরথে জগন্নাথ প্রভু ।

তিল তিল অহং গর্ব সৃষ্টির বিপরীত
শান দাও মনে মনে নেই শব্দ নেই বাড়াবাড়ি ।







মাছ শিকার

নদী খাতে অদ্ভুতভাবে ঝুলে আছে পঞ্চমীর কাস্তে চাঁদ ;
হাঁটুর উপর গুটিয়ে প্যান্ট জলে নেমে পরি হাতে ছিপসহ টোপের বাক্স
যেন আমি আদিম মৎস্য শিকারি রাতের । চরাচর ডুবতে থাকে
নির্ভেজাল সোঁদা গন্ধ ছড়িরে
এখানে ওখানে ছড়িয়ে পরে পাতার ছায়া , চন্দ্র বিদ্বেষী যেন ।
গভীর আগ্রহ নিয়ে মরা গাব গাছের ডালে পা ঝুলিয়ে প্রস্তুত আমি ,
সন্ধানী ছিপে গেথে লাল পিঁপড়ে ডিম অপেক্ষায়
যেন যমুনার স্থির জল
দাড়িয়ে আছে শ্যামসুন্দরী অভিলাষে প্রেমে বিরহে ।
নদীর কুল কুল শব্দ সংযোজনে মিথ্যুক অভিযাত্রিক রাত দিশা বদলে
ঘরমুখি । চাঁদ গেছে উস্নায়নে ।
আমি স্থির আছি এই বিবর্তনেও , আমিতো শিকারি । আমি জানি
অপেক্ষার পরতে পরতে অপেক্ষা , অপেক্ষার দিন কাছে এসে বলে
আমি প্রস্তুত ; আমাকে গ্রহন করো এবার !
হ্যাঁচকা টানে ছিপ তুলি উঠে আছে জমাট জীবন্তও শ্যাওলা , এই রাতের
শিরশিরানি বাতাসেও ঘেমে উঠি ,হাসি পায় ।

আবার প্রস্তুত । প্রস্তুত হয়েছি দ্বিতীয় তৃতীয় কিম্বা অনন্তবার ছিপ ফেলবার যন্ত্রণায় ।
এই এক রাতের শিকারি আমি , শিকারও এক রাতের ।
পরবর্তী রাতে আর আমি নই ;
নতুন শিকারিকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান শিকার শিকার খেলার ।
ঐ তো দূরে অরুণকান্তি জ্যোতি
দেবপ্রিয় মাছ শেষ বেলায় উঠে আয় আমার হাতে , সময়তো অফুরান নয় ।

@ এটা দ্বিতীয় বার পোস্ট করছি কারন দুই একজন সন্দেহ প্রকাশ করেছেন এই লেখাটার কোন মানে নেই ! আপ্নারা কি বলেন ?











মৃত্যু আর কতো দুঃখ দিবি বল ;
আর কতবার শ্মশান চিতায় তুলবি আপনজন
আর কতবার মুখাগ্নি দেবো হাত কাঁপা এই হাতে
আর কতো মৃত্যু পেলে তুই বলবি হয়েছি আমি ধন্য !
বল মৃত্যু
স্বজন হারানো চিতাভষ্মে
আর কতবার উড়াবি আমার হাসি ,
আর কত মৃত্যু দিতে আছে পাড়ি মৃত্যু গহনপুরি ?
আর কতবার মৃতদেহ কোলে করে নামে বিষাদ রাতের তারা
আর কত চোখের জলে লিখবি মৃত্যু কাহিনী ?
বল মৃত্যু ......
বারবার আমি মৃতের বুকে মাথা রেখে বলবো ভালো আছি ,
বারবার আমি তুলসীতলায় জ্বালাবো সন্ধ্যাবাতি
বারবার আমি রক্ত জমিতে তোর স্মৃতি ধরে রাখি
বারবার আমি আমার চোখেতে মৃত্যু স্বপ্ন দেখি ...











 ম্মম্মম্মম


এক নৈসর্গিক পাগলামো ছেড়ে রোদের ঘরে ফেরার আয়েজন ,
আঁধারের তিমিরতায় ভূস্বর্গ দাম্ভিকতা খুলে রেখে নীরবের
অপেক্ষায় । অযুত নক্ষত্র জীবন অনুরোধের প্রজাপতি মনের ।
চাঁদের অদৃশ্য গহ্বরে সৃষ্টি মুখচোরা প্রেমিক পুরুষ , হাত বাড়ালে 











আশ্চর্য জলযান

আশ্চর্য জলযান
ভেসে যায় আদিম গোপনতায় ,
দুই কূলের কিছু বাসন্তিক সুগন্ধি ফুল
মিলনের প্রতীক্ষায় ।

মেঘ করে আসে পশ্চিম সমুদ্রতটে , উঠেছে ঝড়ের লক্ষন
মাঝি বৈঠা ধরেছে শক্তহাতে
যদি ভেসে যায় তরণী
এর থেকে কি সুখ বা আছে ।

গহন জলে জলযান বারোমাস রাত্রি দিনে
নদীর ঢেউ ক্ষণে ক্ষণে বাড়ে কমে
নিশুতি প্যাঁচা দূর হট এই ক্ষণে
ছলৎ ছলৎ নদীতে শব্দ বাড়ে ।

জলযান একা নির্জনে
পাটাতনে শিশু নিদ্রা যাপনে
ভগবান দুষ্টু হাসি হেসে " ওরে প্রিয়যান বিশ্রাম নিবি না তুই "
হাল ছাড়ছিনা জীবনে মরণে স্মিত হেসে জলযান এগিয়ে চলে ।















‎...।।তখন প্রথম মিছিল পেড়িয়ে গেলে ওয়েলিংটন ক্রসিং ।

মিছিল থেকে একটা পা কিছুদূর এগিয়ে
খুঁজে নেয় ঘর । বার বার , এখনো ।
চৌকাঠ ডিঙ্গানোর স্বপ্ন ছিল সেই বেলা , জনতা জনার্দন ।
স্বপ্ন প্রাপ্তিযোগে দ্বিতীয় স্বপ্ন এসে প্রথম স্বপ্নকে নিয়ন্ত্রণ করে
সন্নিভূত সিগারেটে ,
তখন প্রথম মিছিল পেড়িয়ে গেলে ওয়েলিংটন ক্রসিং ।

নদী থেকে ওঠে এসে কিছু সুনামি ঢেউ
অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা ব্যতিরেখে
ঢুকেই পরে ঘরে ,
বাঁধা দিই না ;
জলে ভাসতে থাকে গান্ধি মূর্তি সহ কংক্রিট লেনিন
ঢেউ ক্লান্ত হয়ে ফিরে যায় ,
মা হাতরে হাতরে খুঁজে পায় না চালের ডিবে ,
তখন প্রথম মিছিল পেড়িয়ে গেলে ওয়েলিংটন ক্রসিং ।

প্রথম প্রজন্ম থেকে তৃতীয় প্রজন্ম জুড়ে আদর্শ ।
চিৎকার উচ্চ হতে হতে তেত্রিশতলা কাঁপিয়ে দেবালয়ে
পৌছায় যখন তখন জোর থাকে না , পুরোহিত আধো- ঘুমে
হাত নেড়ে মশক তাড়ান যন্ত্রণায়
কানে আওয়াজ পান না ,
আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি সূর্য ঠিক উঠেছে ক্ষেতে ... তবু
মনস্তাত্ত্বিক আক্ষেপে বলি ভাল নেই ,
তখন প্রথম মিছিল পেড়িয়ে গেলে ওয়েলিংটন ক্রসিং ।

ভালো নেই সময় মনে গল্প আনো ।
দেবতার ঘরে দেবতা দাস থাকেনি কখনো ?













হৃদয়

ইচ্ছা- অনিচ্ছা সর্তেও লোভ আর ভালোবাসা পাশাপাশি ...
আর পাশা খেলা । মাঝি খুলে দিয়ে নৌকা দড়ি মাঝ গাঙে ,
তীর যেন আমার প্রথম প্রেমিক ।
বরফ উপত্যকা থেকে এক মেল্পস খানিক পথ ভাসে খানিক
খাড়া পতনে , পৃথিবী বিখ্যাত করাত কল গুলো সুযোগ সন্ধানী ,
ঠিক নদী কূলে , আয় আয় আমি প্রস্তুত । আস্ত শাইলক বাচ্চা ।

নিম্ন পতনে তুমি , আমি ঊর্ধ্ব পতনে । ভাতের হাড়িরে সেদিন কলা দিয়ে দেখলাম
যেন লিটমাছ , পরীক্ষণীয় । কত কিছু কত কিছুতে পরলে নিমেষে বদলে যায় ।
আমিও অথবা তুমিও প্রথম বয়সে ।

ধাতব শব্দ করে ওঠে পাশাপাশি । নিয়মে ।
হাত বদলে সিদ্ধহস্ত শ্যাম্পেন । পুরুষও ।

যন্ত্র পাশে পরে আছে , যন্ত্রী নিয়মতান্ত্রিক গণতন্ত্র ।
হাত রাখি লোমশ বুকে , উত্তাপ নেই , বুড়িকে পুড়িয়ে ন্যাড়া শান্ত ।
সিধান্ত যৌক্তিকতার চেয়েও আর্থিকতার গোলাম ।
অনাহুত উত্তাপে মরাপাতা পুড়ে ছায় , অথবা হৃদয় ।









বিক্রম

একদিন আকাশে উড়তে চেয়েছিলে ,
সতেরটা শঙ্খচিল তাদের ডানা ধার দিতে চেয়েছিল
আমার আনন্দধারা প্রসারিত করে
তোমার স্বপ্নজালে
আমাকে জড়ানোর আবেদনে ।
বৃষ্টিতে ভিজতে সখ হত ;
বৃষ্টির বৈধ- অবৈধ প্রকার ভেদে
বিক্রমকে নিয়ে গেছে দূরে ,
যে বিক্রম টিনের উপর বৃষ্টির শব্দ শুনে
সন্তরে সুর বাধতো
তাকে আর তার ভালোবাসাকে
নিয়ে গেছে রাক্ষুসি নদী ,
এর পরে আমি লিখছি বর্ষা কালীন কবিতা !







অগ্নিবলয়

অগ্নিবলয়ের ওপাড়ে দুটি চোখ জ্বলছে নিভছে
নিয়নের আলো বিচ্ছুরণে ,
গভীর রাতের শেষ ট্রেনটা হল্টে ভেঁপু
বাঁজাতে বাঁজাতে দৃষ্টসীমা পরিত্যাগ ,
আদিম গুহা মানচিত্রে চোখ রেখেছেন নামকরা
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতাত্ত্বিক ছাত্র
ভেবেছিলো সকলে আমার দ্বারা কিচ্ছু হবে না ?

অবশেষে ভারতবর্ষে দিন নামার আগে শেষ
বারের মত সূর্য ঝালিয়ে নিচ্ছে ত্বেজ ,
যেহেতু ভাবছি আমি তাই আলোকিত হচ্ছি , জেসপের সাইরেন
আমার কানে , স্কুলের ঘণ্টি
নিরালম্ব এগারোটা সুর দিল
দৌড়ে পালিয়ে গেলো আমার কিশোরী ।

যেহেতু ভাবছি আমি তাই দেহে প্রাণ এসেছে ,
অনেকদিন পরে বাঁচার সখ হয়েছে ;
নেংটি ইঁদুরের মত হৃদয় কাটছি , কতক্ষণ কাটছি জানি না ,
জানাও হয়নি ।
জন্মজন্মান্তর ধরে এই ধুলি জন্ম ,
জানি বাতাস এলেই উড়তেই হবে , সবশেষে
জমবো কোন নদী কূলে ,বৃষ্টি এসে
ভাসিয়ে নেবে তার নিজঘরে ......
ভাসতে ভাসতে ওপাড় তীরে উঠবোই আমি ......
নদী এঁকে দেবে আমারদের অগ্নিবলয় ।













আকাশ

অদ্ভুতভাবে পুরনো ঝুল বারান্দার মাঝবাখারী ঝুলেপরে
গভীর ব্যর্থতায় ; ওঁত পেতে থেকেও ফিরে যায় সুযোগ শুধু
বাবা হাত রাখেন লেখার খাতায় সেই অবকাশে , আজকের সুযোগ গুলো
কালকে যখন ক্ষয় অসুখ হয়ে ইলেকট্রিক বিল নিয়ে আসে
মা মুষ্টিগোনা চালে হাড়ি জ্বালান দোকানীর মত মেপে জল ঢালেন
ফ্যানা ভাতে কাঁচা লংকা
বাবা হাত চেটে চেটে খান আমি সিঁথা উল্টিয়ে নব্য বন্দরের খোঁজে ।

বাবা ফেলে দেওয়া কিছু কাগজে শব্দ লেখেন বিরামহীন ভরা শ্রাবণেও ,
উইপোকা শক্তি বৃদ্ধি করে মুলিবাঁশের বেড়া যখন অর্ধেক মাটি
ঠিক তখনি একদঙ্গলের ক্রিকেট ব'লে আস্ত পৃথিবীর মানচিত্র বেড়া ,
বাবা রাতের আঁধারে একাদশীর চাঁদ দেখেন , ভুঁইচাপার নিসশব্দতায়
জোয়ারের শব্দ , পূর্বপুরুষের আয়নায় মুখ দেখেন মা
বাবা লেখেন " অভাব আর কত দুঃখ দিবি তুই বল "
আমি স্কুলের বেস্ট স্টুডেন্ট পাওয়া পৃথিবী গ্লোবে খুঁজি কোথায় আমার দেশ ।

বাবা সুযোগ গুলো নিতে জানতেন না বলেই সুযোগ গুলোও পরিযায়ী হয় নিই ,
আমিও তো বাবার সন্তান ,
হাতফসকানো খেলা শিখেছি একুশ বছর ধরে একসঙ্গে একান্তে ।

আমি যেন দেখছি বাণিজ্য বন্দর গুলো দূরে দূরে হলুদ কুসুমের মত নিথর
হয়ে আছে আমাকে ডেকে ডেকে ......
আমিতো যেতেই চেয়েছিলাম ভাদ্রে
পারলাম না
বাবাকে দেখে শব্দ খেলায় আমার নেশা ধরে গেছে , আমি এখানেই আমি
ঘর থেকে আকাশ দেখবো বলে রাতে ।















অন্য রামায়ণ

অযোধ্যা নগরে রক্তপাত হয়নি ,
লঙ্কায় বেজেছিল বিধবাদের কান্নার রোল ।
রামের তাড়কা বধ
না নিরীহ সাঁওতাল রমণী প্রাণ দিল ,
বনবাসী রমণীর সতীত্ব বড় না
কামুক মুনির কাম পূরণ হল না
সাঁওতাল রমণীর কাছে !

সীতা আর কাঁদে না ,
চোখে অশ্রু নেই
শান্ত আগ্নেয়গিরির মত শুকনো চোখ ...
ভাবছেন আমিতো
সতীসাধ্বী মহাপতিব্রতা নারী , তবে
আমার দৃষ্টিপাতে কেন পাজি রাবণটা ভস্ম হয়ে গেল না ?
আমিতো যথাসাধ্য অগ্নিদৃষ্টি বর্ষণ করেছি !
তবেকি সতীত্ব ত্বেজ নেই ?
আমার অপমান ত্রিভুবন প্রত্যক্ষ করেছে
তবুও চন্দ্র সূর্য আকাশে জ্বলছে ?
এতো বড় মহাপাপে নিভে গেলো না ?

আর রামচন্দ্র কেমন মহাপরাক্রমশালী ?
তার ধর্মপত্নী বন্ধী শত্রু শিবিরে এতো কাল ,
উদ্ধার করতে পারলেন না ?
নাকি আমাকে বাজী রেখে সাম্রাজ্য জয় ?
হায় ! হায় ! এই আমার মর্যাদা পুরুষোত্তম ?
ভাগ্যিস সর্বসমক্ষে রাবণ কে অভিশাপ দিই নিই ,
তারপর সেই অভিশাপ যদি বিফল হতো
উঃ সে বড় লজ্জার ব্যাপার হতো !









‎.........।। মৃত নগরীর গান........................

এভাবে গান লেখো মৃত নগরীর কবি ,
কান্নার আস্তারনে বিষাদের জন্ম যাক ধুয়ে,
ছিল যতো পুঁতিময় অন্ধকার
আতুর ঘর জুজাক,বৃষ্টি রাতে
আমাকেই সমৃদ্ধ করবে বলে,
অনেক অনুরোধে
সৃষ্টির অনিবার্য অকাল বর্ষণ
শালিখের বাসা ভাঙ্গে
আমার চিলেকোঠায় পেয়েছে আশ্রয় ।
এই ভাবেই গান লেখ মৃত নগরীর , কবি,
স্পন্দনে জীবনের ছন্দ
কালনাগের ফনার মাঝে
জাগিয়ে রাখো লকিন্দরের
ক্ষণ বাসর ঘরের স্মৃতি ,
ভাস্কর্য দিনলিপিতে
অতুলনীয় স্নানাঘাট শস্য গোলা
তবে সে সব কিসের কথা বলে ?
আমার মৃত্যু বিশ্বাসে আছে স্বপ্নের হাতছানি
জন্মে মিশে গেছে
ইতিহাসের স্মতিসরণি















প্রজাপতি

আমাদের উঠোনে সেবার বন্যার পরে চমৎকার এক প্রজাপতি এসে
বসেছিল শাড়ি শুঁকোতে দেওয়া দড়ির নিচে ,
চমৎকার রঙ বের হচ্ছিল ডানা থেকে ,সূর্যালোকের আলোয় টিনে প্রতিফলিত হয়ে
আমার চোখ দিচ্ছিলো ঝলসে ,
আমি বারকয় স্থির তাকালাম
সে মাথা নামিয়ে নিলো মাটিতে , আমি নাছোড় , কাছে গিয়ে জিজ্ঞাস করলাম
কি নাম তোমার ? ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকলো কিছুক্ষণ " আমার ক্ষিদে
পেয়েছে "
তার পর থেকে সেই প্রজাপতি আমার সঙ্গী
তার বাবা মা ভেসেছে বাণের জলে , বেশ কিছু গাছে উড়ে উড়ে অবশেষে এখানে ।

বেশ ভাব হয়ে গেল প্রজাপতির সাথে ! আমি স্কুলে গেলে সেও পিছু পিছু গিয়ে দাড়িয়ে
থাকে , আমরা বিকালে গড়াই নদীর তীরে বসি
আমার খোলা চুল উড়ে দক্ষিণের হাওয়ায় ,
প্রথম যেদিন প্রজাপতি মুখ রাখে আমার চুলে
ঢেউ গুলো তাকিয়ে থাকে বিরক্ত চোখে এই দিকেই ।

প্রজাপতি আমার খুব প্রিয় হয়ে গেল প্রজাপতিরও আমি ,
স্বপ্নে প্রজাপতির ডানায় বসে তেপান্তরের শাঁকচুন্নি মাঠ পারহয়ে স্বপ্ন নগরে ।

একদিন প্রজাপতিকে আর দেখছিনা ,
তোমরা দেখেছো ?
ওর বুকে মাথা রেখেই তো আমি সতী মেয়ে ছিলাম
বাবার চোখে বিজয়ীর হাঁসি পান খাওয়া দাতে
বাবা , উড়বার স্বাধীনতা তো আমারও আছে ।









দাত

আমার মনগড়া বিষাদে আমি রাজকুমার ,
প্রতিদিন বিষাদকে আরো একটু প্রগাঢ় করতে সকালেই ছাতে
নিম ডাল হাতে
একটা মাংসাশী শকুন আসে
প্রথম কিছুদিন চুপচাপ , দেখে শুধু ,
একদিন
বিষাদ রাজকুমার কিসের এতো বিষাদ ?
আমার তো বিষাদ নেই ,
চলুন আমার সাথে শরীরের ভাগাড়ে ......

চলে যায় শকুন
আমি শকুনের কথা মত কল্প মানব থেকে
ধাতবে পা রাখি
প্রথম কিছুদিন উষ্ণ লাগে ......

এখন আমি বিষাদহীন রাজকুমার ।
অর্ধমৃত কাঁচা মাংস খাচ্ছি দাত দিয়ে প্রতিদিন
দাঁত মাংসাশীর মত ধারালো হচ্ছে বেশ ।











মা

জানি না কে আজ জঠরে ধরেছে সেই জীবন ।
স্মরণীয় অতীতের রামরস অথবা
সুদর্শনের যৌক্তিকতায় পাষণ্ড নরমেধ রক্তে
ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাক
পৃথিবী জঞ্জাল ।
আর মাত্র একটা দুটো জন্ম আসুক কোলাহল জনতা
আগাছার ভীরে ,
শ্বাপদের চোখে চোখ রেখে ব্রজবুলি মমতায় চিৎকার করে কাঁপিয়ে দিয়ে
পাহাড়ের প্রাচীর
আরে নষ্ট জীবন
শরীরে বেড়েছিস শুধু এবার মনের বাড়ার পালা , কিম্বা
শান্তিতে মন্ত্রীতে সন্ত্রিতে যন্ত্রিতে ওম নমঃ শিবায়
আমাকে গ্রহন কর তুই প্রথম সন্তান নইলে
আমি ভীম বলয়ান
নিকষ কালো তিমিরবরণ তোর জন্ম থেকে মৃত্যুই ভালো
সাম্য পৃথিবী সাম্য জীবন সাম্য ভগবান
তুই প্রথম সাম্যর সন্তান ।

এসো মা
এসো আমার জগতজননী অমৃতসুধাধরণী
গর্ভ উন্মুক্ত রেখো সৃষ্টি তোমারই
সে আসছে বাঁজাও শঙ্খ ধ্বনি , এবার
সাতশো কোটি কৌরব বংশ ধংশ এটায় নিয়তি
পুনরায় তোমার সৃষ্টি তুমিই গড়ে নিয়ো , মা জননী ।







‎......। মায়া

নদী থেকে উঠে গিয়ে একজীবনে আমি যাযাবর
নদী থেকে আর একটা জীবনে আমি চাষা ।

পর্বতে পা রেখে ফুল ফুটিয়ে দেখেছি
সুখ আছে ।
সেই গুজ্জর ভেড়া যাকে ধরে এনেছিলাম এই সমতলে
রন্ধনের প্রয়োজনে
সে এখানকার ভেড়ার ন্যায় সেই একই ডাক ......
জানেন তো কাটতে পারলাম না ।

নদী থেকে একটা প্রশ্ন উঠে আসে ......
জন্মে জীবনে এতো মায়া
সন্তানের বুক চিরতে কষ্ট লাগে না কেন ?











‎...... ঋষি

একদিন কাঁদলাম খুব খানিকটা ।
যেমন করে পিতৃ শোকাতুর সন্তান উচ্চস্বরে
তেমনটি নয়
অনেকটা মাতৃসুধা অপ্রাপ্তির বেদনায় শিশু
থেমে থেমে কাঁদে
অনুরূপ ।
আশ্চর্য ! ভেবেছিলাম কেউ শুনতে পাবে না
কতবার এইরকম কেঁদেছি
আমার না অভাব এলেই কান্না পায় , নেশা ।
হঠাৎ গেরুয়াবসনাবৃত সম্য ঋষি
বৎস কাঁদিস কেন ?
প্রভু , আমাআরা নাআ না খুব অভাব !
হা হা হা এই ব্যাপার......

শোন তোকে তিন বর দিয়ে গেলাম
" শিক্ষণ , বীক্ষণ , ধর্ম "
মেনে চল দেখবি আর কোন অভাব নেই ।
প্রভু বিদায় নিলেন আমাকে কিচ্ছু বলতে না দিয়েই ...
এই দুঃখেও হাসি পেয়ে গেল...
হায় ঋষি " ইহা দিয়া আমি করিব টা কি ? "

এর পর দুঃখ আরো বেড়ে গেল ......
শুধু কান্না আর কান্না
রোগ হলে যেমন হাতুড়ি থেকে কবিরাজ ইস্তক দৌড়ঝাপ
তেমনি ঋষির কথা একবার শুনেই দেখি ......

দ্বিতীয় আশ্চর্য ! আমি আর কান্না করি না,
কান্না দেখলেই আমার এখন হাসি পায় ।









‎... যাবো

চলে যাবো সুদূর অচেনা দেশে ।
আমি যাবো , একবার মাত্র সন্তানের মাথায় হাত রেখে
প্রিয়তমার মুখে দীর্ঘ এক চুম্বন এঁকে চলে যাবো ।
আমার টিয়াটার মুখে এক মুঠো ছোলা পুরে দিয়ে
আমন ধানে শেষ নিড়ানি দিয়ে আমি যাবো ।
যাবো দিনেশ , এতো ডাক কেন ? আমিতো যাবোই ,
পটলে এখনো থায়ডেন দেওয়া হয়নি , এক কাঁদি
কলা গাছে পেকে আছে এখনো কাটা হয়নি
সুপারি বাঁদুরে কেটে দিচ্ছে
এদের তাড়িয়েই আমি যাবো , দিনেশ তুমি দাড়াও ।
পশ্চিমের গোয়ালঘরটার কয়টি টালি খসে গেছে
রান্নাঘরটা জলে ভিজে যাচ্ছে , মেয়েটি বায়না ধরেছে
একটি জামার , স্ত্রী একটি সোনার চেনের
এদের বায়না মিটিয়েই আমি যাবো ।
যাবো দিনেশ , ধানটা ঘরে আসুক , একটু
নবান্ন মুখে পুরি , দ্বিতীয় কাটের খেজুর রস আর
নতুন গুড় একটু চেখে আমি যাবো ।
বেহায়া ন্যাংলা গরু বেচেছি এখনো টাকা
হাতে পেলাম না
দুটো এঁড়ে বাছুর কিনতে হবে একটা গাই
এদের কিনেই আমি যাবো , দিনেশ দাড়াও তুমি......







রাজকুমার

ঊর্ধ্ব মস্তিষ্ক প্রক্ষালনে লম্বিত বাহু নিক্ষেপিত
খড়কুটো ধরে ভেসে ওঠার আঁধার জনিত অনন্ত সময়ের
রাগে অভিমানে সুক্ষ সুক্ষাতিসুক্ষ ধন্দ ছেড়ে আকুলতা বিহমতি সেই পাক্ষিক
বৎসর বৎসর নিজের অস্তিত্ব সঙ্কট কালের ভয়ানক তিমির কৃষ্ণ রাত্রির দিনক্ষন
যেন পরগাছা সদৃশ
আমি অজানুলম্বিত প্রসারিত হস্ত দিয়ে আঁকড়ে ধরি আমার সন্তান ।
যেভাবে অতীত থেকে বর্তমানে মহাঋষি কুলমণি সম্ভোগের দিবারাত্রি
ক্ষাত্রত্বেযশক্রিত সন্তান বাহুল্য মায়াতে মুখাছবি ফুলশয্যা নববধূর মিদুর
সুখানুভূতি সোহাগ রতি পরমপ্রিয় শৃঙ্গার উন্মুখ জঙ্ঘা নাভি প্রদেশ স্তনের
মধুময়তা অথবা রোদনের অনুরধে সোহাগের নোনা জল
উল্টিয়ে ব্রজধামে এক নতুন সময়ের পাখি ।

আমিও দেখানো পথে পা রেখে সমাদৃত শান্তি আলোয় ......
যে পথে রাজাধিরাজ নির্দ্বিধায় পদক্ষেপে ভেঙ্গে ফেলে পাহাড়ের প্রাচীর ...
আমি হোঁচট খায়
মনে পরে পেছনের অতীত আমার আম বাগান আমার ঈশ্বর আমার পুত্র
প্রিয় পরিজন
সুখ নাই
একাকীত্বে আমি বিষাদ রাজকুমার , সত্য বলে কিচ্ছু নেই সত্য
আমি ফিরতে চাই যেখানে আমার পরিবার প্রিয় মন । 










































দূরে উড়ে যায় যে সময় গুলো সেখানে একটাও নেই বসন্ত গান ।




































No comments:

Post a Comment