নিঃসঙ্গ
এক উদাসী মেঘ আর নিঃশব্দে হেটে চলা এক মেয়ে
নিরন্ন সময় ক্যাফেতে ভীর বাড়ে
অঙ্গুলের ডগায় আস্ত পৃথিবী ; অধিকারে জন্ম দিয়েছে জগত
আহারের আজো দেইনি অধিকার ।
দুই আমি লাল সালোয়ার পরলেও নাকি স্পর্শকাতর যায়গা
গিলে খায় দৃষ্টি ; অযাচিত বন্ধু হেতুবিনে পথ খোঁজে মাটি খুড়ে ;
আমি যদি বলি এই পথ গ্যাছে বেঁকে , সেও বলে গ্যাছে বেঁকে
দেখছি তবু সে চোখে চশমা পরে নেই ।
তিন অপ্রত্যাশিত শার্দূলে আমার সংসার ; এখনো পশুদের মাংস
দেখলে লালা ঝরে যদিও বিবর্তনে লালা চেপে রেখেছে ভেতরে ,
সকালে পেটে ভাত পরেছে কি ? বলে না , নিজামের গল্প বলে ।
চার এভাবেই হেটে গেছেন গহরজান থেকে বিনোদিনী অথবা
আমার ঠাকুমা ; বদলায়নি আঙ্গিক বদলেছে শুধু পেক্ষাপট ;
ভীর বাস আমি একা আর নিঃসঙ্গতা ;
একচল্লিশ থেকে পঁয়তাল্লিশ
৪১ ছুড়ে দেওয়া শব্দভেদী তৃণ ফেরেনা শূন্য হাতে
কিছুটা রক্ত তাতে লেগে থাকে ; রক্তই দিতে পেরেছে জীবনে
নেশা অথবা শান্তি নিশান , অশোক পেয়েছেন জীবন অসুকে।
৪২ মনে রাখেনা কেউ কারুর অনাহারী দৃশ্য ; মনে রয়ে যায়
নিজস্ব একাকীত্ব সেই সব সোনালী ধানের গুচ্ছ , আমি সিওললিয়নের
এক প্রাণ আমার ভাইকে খুঁজে পেয়েছি আমলাশোল , সাদা হাউসে মহাভোজ ।
৪৩ বরমিয়ামে স্তূপাকার জঞ্জাল ; এখানে ওখানে নরখাদকের বজ্জ্য ,
ইতিহাস মুছে ফেলে নতুন ইতিহাস মন্দির চুড়ায় ভক্ত , আলী কালী
মিশে গেলে শকুনের ভাড়ার শূন্য , রক্ত হয়েছে পথ্য ।
৪৪ বধ্যিস্নু গ্রাম ছিল আমাদের আঁকরে স্বর্ণখনি ; হেসে খেলে
সন্তান উৎপাদন পুতুল নাচে মেতেছিল বেশ ; এখানকার স্বর্ণ দিয়ে কংক্রিটে
মাতল যখন নগর নাগরিক ; হাফানিতে ধুঁকছে তখন গাঁ ।
৪৫ মাঝে মাঝে নেমে আসেন কিছু ঈশ্বর মাটির প্রয়োজনে ; আর সেই অবকাশে
আমরা সমৃদ্ধ করে নিই কিছু কথা ; জনতাভীরে পাঠ করে পাড়ানি তুলে নিয়ে
সাজিয়ে নিই অঙ্গ ; ঈশ্বর বোঝেন সব ; ফাঁকি দিয়েছি নিজেকেই
এক
এক গভীর জল
থৈ থৈ কালমাস
আমার জন্মের কিছু সুনিদিষ্ট নির্দেশ
কাঁচা আঁধারে পথ খুঁজি একা ।
কতকিছু হতে পারতো ; তবু
হতে পারেনি
তাঁরই নির্দেশে ;
কতকিছু ডেকে ডেকে ফিরে গ্যাছে আমার জন্য
তোমরা শোন না বলে ;
কতোগুলো গাছ ন্যাড়া থেকে যায়
যদিও জল ছিল আলো ছিল
হাওয়াও ছিল বেশ
গন্তব্যে
আর কাঁটাছেড়া করছিনা নিজেকে;
এবার মোম আগুনে গলিয়ে নেবো শরীর ,
সেসব জ্যোৎস্না চাঁদে উত্তাপ ছিল আগুন না , অথচ
পতঙ্গ আগুন ভালোবাসে বারবার ।
নক্ষত্র বিলাসী প্রেমিকের পায়ে ঘোড়ার খুঁড়
প্রতিরাতে পোশাক বদলে নর্তকী
দাড়িতে চাপিয়ে কাল
প্রভাতে ভুলে যায় নটরাজকলা , তক্ষুনি সম্বিৎ
ফিরে বণিতার স্তন হতে মুখ তুলে প্রেমিক পুরুষ
এক দীর্ঘশ্বাসে খোঁজে নর্তকীর নূপুর ......
সময়ে চা জমে জল হলে
স্বাদ নেই জিভে
ভীর বাস হতে লোক নামে
গন্তব্যে মনে রাখেনা রাতের ইতিকথা ।
No comments:
Post a Comment