...... নিয়ন্ত্রক ...
সাধারণত কিছু বলতে গেলেই কিছু ক্ষোভ মিশ্রিত
আবেগ ঝরেই পরে তার ,
আমি থেমে যায় , যেমন ক্যাপিটাল মেইল দুরন্ত গতিতে
ছুটেও সম্মুখে নধরকান্তি বাছুর ছানা দেখে
হাইড্রলিক ব্রেক চাপেন
ভীষণ এক ঝাঁকুনি
তবু থামে বটে !
আসলে থামতেই হয় , যুক্তি যেখানে অকেজো ,
যুক্তি যেখানে শুধুমাত্র কিছু কথার সম্মিলিত প্রয়াস
সেখানে যুক্তি হাস্যকর
সেখানে যুক্তি মনোরঞ্জন করতে পারে না কিছু মাত্র ,
আবেগের এতো প্রবল স্রোতে
সুন্দরবনের মেঠো বাঁধের মতো
আমার যুক্তির পতন ।
তার নাম দেওয়া যাক অনুপ্রভা ,
তার আবেগে আমার বসতি ,
তবে
প্রতিটি আয়নায় তার মুখের পাশে কিছু ছায়ামুখের আবির্ভাব
তারা হেসে উঠলেই আমার হাসি পায়
কাঁদলে কান্না পায়না কিন্তু ......
অনুপ্রভা কাঁদলেই আমি কাঁদি ।
আমাকে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় ঈশ্বরের হাত নেই
আমারও অধিকারে নেই সেই ক্ষমতা
এমনকি অনুপ্রভারও নেই .........
ভ্রূণের প্রথম লড়াইয়েই আছে ফাঁকি দিয়ে এগোনর গল্প ...
আমি অনিয়ন্ত্রিত জন্ম ঘড়ি থেকেই ......
তাদের জন্য লিখছি... কে তারা ?
তাদের প্রতি
যাদের মনে চিন্তা নেই , শরীরে মন নেই
কিন্তু একগাদা সাংসারিক আশা আছে ,
প্রথমত তাদের জন্য ।
যারা জীবনটাকে জটিল দর্শনের মায়াজালে আবদ্ধ
করে রেখে সময়টাকে হারায়নি
জীবন বোঝেই নিই কোন দিন
মিথ্যা কথা বলেও ভীষণ নাটুকে অভিনেতা
অভিনেত্রীর মত সত্যটাকে অন্ধকারে নিক্ষেপ করে
মিথ্যার গেয়েছে জয়গান
বার বার বদলেছে পৃথিবীতে সংজ্ঞা ভালোবাসার
এবং আশা গুলোকে মৃত করে
নেচেছে তাণ্ডব
শুধু তাদের জন্য , একমাত্র তাদের জন্য
তাদের জন্য লেখা হল এই কবিতা ।
কি জানি ?
নিঃসঙ্গতা জীবনের অলঙ্কার , নিঃসঙ্গতার মধ্যেই থাকে গোপন কুঠিতে লুকিয়ে সৃষ্টি বীজ , তোমাকেই খুঁজে নিতে হয় সৃষ্টি নির্যাস , একান্তেই । নিঃসঙ্গতা কি শুধু পাহাড় , গহন বন অথবা সমুদ্রেই সম্ভব ? না , মনেকে নিয়ে চল এই ৩২\২ পঞ্চানন দে ষ্ট্রীটের লোনা দেওয়ালের বাইরে , খুলে দাও মন পাখি বাঁধন সীমার বাইরে , তবেই দেখতে পাবে ৪৬ বাসের বাদুড় ঝোলা হতে হতে তুমি পেড়িয়ে যাচ্ছ ঢ্যামনা কংক্রিট পিচ রাস্তা কিম্বা থলে ধরে মাছের ভীরের জনপথ নিঃসঙ্গতায় । বিশ্বাস হচ্ছে না ? তবে যখন প্রথম প্রেমিক ল্যাং মেরে তোমারই বান্ধবী সহযোগে ম্যাটিনি মজা , তুমি সর্ষে দেখো না চোখে ? তখনকি চিৎকারে হে জনপথ আমি একা কেন ( ? ) বলে রোদনে ? না বন্ধু সেখানে তো দেখিনা তোমায় ! এই নিঃসঙ্গতা কি করে সম্ভব তবে ?
নিঃসঙ্গতা উপলব্ধি করো , ভ্যানিসিং ম্যাথোডে ফেলে দাও একাকীত্বের সময় , দেখবে নিঃসঙ্গতা শেষ হয়ে উঠে আসে প্রভাতী মোরগের ডাকের সাথে নতুন সৃষ্টি আলো , দেখবে যে নিঃসঙ্গতা তোমাকে কুড়ে কুড়ে হাড় মাষ খাচ্ছিল , সেই হাড় মাষে নতুন মাষ জমছে ধিরে ধিরে ,
পতনে দাড়িয়ে থেকে কি লাভ ? তোমার তোমাকে দিয়েই রাঙ্গিয়ে দাও ভুবন ।
তিন কথা যখন বলে যায় জীবনের কথা
ধ্যানধিতস্ত মহাযোগী
অঙ্গারে
লাবণ্যপ্রভার যৌবনে
ঘুম ভাঙ্গে ।
নিসিদ্ধ করো
অহং ,
দীপ্তিতেই
জীবনের ইতিহাস ।
বিচ্ছেদের ব্যবধানে
ত্রিকালে নর পশু
খাদ্য সন্ধানী ...
শরীরের
পণ্যরাশি মেলায়
সোহাগী জ্যোৎস্না
তিনকাল গিয়েছে
এখনো লুটেপুটে খেতে পারি মাষ
মন্দ কাব্য নারী পোয়াতি
অসুর জীন
ধরবে
বেরুস্নে মাগী
মাথালিতে সঙ্ঘবদ্ধ সংসার ইতিহাস
প্রাচীন নবীনের
ভুলে গিয়ে
আমি মহারাজ ,
জো হুজুর , জনাব .........
ধুলি ঝড় অতিথি ক্ষণিকের
বারবেলা কালবেলা
চৌকাঠ তবু স্থির ।
ব্যতিরেখে বিভেদ
নষ্ট জন্ম !
পেছনে শেয়ালের পদচারণ ।
অণুকল্পতায় ছায়া প্রেম
বাঁশের বেড়া দিয়ে আটকে জল
মন সমুজ্জ্বল ।
ধূলিকণা
কুয়োতলা শুধু কিছু চৈত্র স্নানের জন্ম দিয়ে উদাসী পৌষে
তাকিয়ে দেখো ওখানে কিছু অসময়ের বিস্ময় জেগে আছে ; অথবা
তরিৎাহত অনামিকা চড়িয়ে প্রেমস্মৃতি
ভুলেছে কি যন্ত্রণার অণুক্ষণ !
প্রথম মেঘকে পাশ কাটিয়ে দ্বিতীয় জলীয় মেঘ উত্তরের হাওয়ার প্রতীক্ষায় ,
জল চাওয়া চাতক বোঝে না এতো কিছু জল চাই ,
প্রথম মেঘের বালি ধূলিকণা কেঁদে বলে আমিও প্রিয় ছিলাম
কোন এককালে ।
ধুধু প্রান্তরে পরে থাকে সময়ের ভগ্নশেষ শীতলতায় ...
দ্বিতীয় প্রাপ্তিযোগে
প্রথম প্রাপ্তি দুয়োরাণী ঠাকুমার রূপ কথায় ।
ট্রেনটা দুরন্ত গতিতে ছুটছে না তাকিয়ে পেছনের জনতার ইতিহাস......
ব্যথা গুলো থেকে যাচ্ছে এখানেই গতি পেছন মুখি ফেরে না বলেই বোধহয়
.অস্তিত্ব
পৌরুষ ভেদ করে এক পুরনো কুঠির
ছায়াশীতলতায় বিশ্বাসের নারকেল খুঁটি দিয়ে
ছোট্ট আটচালা ; সেখানে আমার জন্মের আগে থেকেই
বেশকিছু জন্ম জেগেছিল ঘুমিয়েও ছিল , আনন্দে ।
কিছু রাত যখন শুধু রাত থাকেনা,যেন একশত অধিবর্ষ
ঘূর্ণনের প্রদক্ষিত কাল ; অথবা সম্মুখে কাল সর্প পালাবার
নেই স্থান ; সময় স্থির থেকেও বেলা গড়িয়ে যায় , তুমি
জানো তো সব পাঠক !
আমি সেই রকম এক রাতে ঘর ভাঙা শুরুকরি মনের নির্দয়
এক বাঁকে প্রেয়সী আপন করার অভিলাষে ।
হাতুড়ী শাবল গাইতি প্রস্তুত করি এই হিমেল রাতে ,
মনকে প্রস্তুত রাখি আদিম আদিমতার কুহক সংকেতে ,
কিছু শব্দ বাণ কি করছিস তুই ? এটা তোর বাবার ঘর না ,
তার বাবার তার বাবার অথবা তার বাবার ঘর ,
এখানেই তোর বাবার বিয়ে , বোনের জন্ম , তোর উপনয়ণ ......
আমি কিচ্ছু শুনতে পাচ্ছিনা ......
বধিরতায় গ্রাস করেছে শব্দ রন্ধের প্রতিটি সুক্ষ কোষ
হাতুড়ি চালাচ্ছি এই রাতে
ঘাম ঝরছে কপোলময় সমগ্র অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ,
থামছি না ,
আমি আদিম হিংস্র বংশধর ,
আমার বয়ে গেছে বাঁচুক না বাচুক ইতিহাস ,
সমগ্র ঘর জুড়ে আমার ধর্মের ফসল ফলবে ,
সুচাগ্র ভূমি আমি ছাড়ছিনা অন্য শরিকে ,
হঠাৎ শুঁকনো কাঁসি আওয়াজ , পিতৃদেব , ঘুম ভাঙ্গে ,
স্বপ্ন দেখছিলাম তবে ?
মনে হল এখনই ছুটে যায় মায়ের পদরেণু মাথায় তুলি দুই হাতে ।
- হৃদপুঞ্জের জিপার খোলা রেখে বেরিয়েছি তারি অপেক্ষায় । আসবে, সেআসবেই আমি জানি ।কতোবার খোলা ছিল মনের ঘরের দরজা-জানালা।সেই তুমিইতো এসে বন্ধ করলে, মুক্তি দিলে দখিনা বাতাসের লণ্ডভণ্ড জীবন। সাইক্লোন পর্যন্ত নতজানু হয়ে আশ্রয় নেয় তোমারি ধরাতলে, শীতল পরশের। জিপার পাল...
No comments:
Post a Comment