Saturday, 17 March 2012

dui kobita


সংখ্যাহীন চিতল 

অন্ধ অনুকরণে রক্ত ও অভ্যাসের চিরকালীন ছন্নছাড়া গতিপথ ।
মার্জিত উন্মেষিত "বোধিবৃক্ষ" যেদিক নির্দেশ করে
সেদিকে শুধুই শুন্যতা ; আর যোজন যোজন কক্ষপথ জুড়ে
ঢেউ আর স্নায়ু ঘুম । এর বিপরীতে
দাঁত শান দিতে দিতে পশুরা কাটিয়েছে যৌবন , অথবা
রেখে রেখে গাছে গাছে প্রস্রাব করে নিজের অস্তিত্ব ।
দুই চারটে পশু যদিও বা শাকাহারী কিম্বা
বদহজম মাংসে , তখনি
সঙ্গবদ্ধ জোট নগ্ন রাস্তায় দৌড় করিয়ে অধিকারে
সংবিধান গিলিয়েছে চাঁদের আঁধারে ।
চমৎকৃত এক আঁধারে চলেছেন দলবেঁধে অশরীরী ,
শ্মশান ভস্মে ভাঙছে জলকণা আকাশের ,
অঞ্চল জুড়ে অনিয়ন্ত্রিত বৃষ্টিপাত আর খরা
ফসল তুলবে কি করে ঘরে !
এক সময় গান ছিল যখন , এক সময় গান কথা
হয়ে উঠত যখন , তখন ভাষা ছিল এবং মন ,
প্রেম ছিল অহিসেবী , নিয়মের বাইরে ।
আজ শুধুই হানাদারি হায়না ওঁত পেতে পশুবধে
প্রতিটি বনাঞ্চলে সংখ্যাহীন হচ্ছে চিতল ।











......বর্ষা আসে বর্ষা যায়
ঠিক এখনো আকাশের বুকে কালো মেঘগুলো জমেনি
বাতাসের গায়ে চৈত্রের ভ্যাপসা গন্ধ ছুটছে
তীব্রদাহে লালমাটি ফেটে চৌচির , এক মনে
ভুবনমোহন বিচুলি কাটে ,
বাঁধে যে বিপদসীমা থাকে তার অনেক নিচদিয়ে
বইছে জল , বিখ্যাত নদীর মগ্নচরা ফুলে ফেঁপে উঠেছে
সওদাগরী জাহাজ বিকল্প হলদিয়ায় , প্রান্তিক চাষির ঘরে
কোন দিন আগুন জ্বলছে আগুন জ্বলছে না ।
দাদুরির ডাক এখনো কানে আসেনি দাঁড়াসের
শুধু মেঘের ঝড়ে গাছ ভেঙ্গেছে এখানে ওখানে কিছু
বৈদ্যুতিক খুঁটি ভঙ্গুর কিছু চাল উপ্রে গেছে ,
প্রভাতী দৈনিকের এক কোনে খবর কালবৈশাখী ।

এরপর ছড়িয়ে থাকা সমগ্র ব্যারেজ গুলো , যেগুলো
এতদিন চুপসেছিল তারা সকলেই এখন পৃথক পৃথক
বাছুর খাওয়া কুমীর ,
ফিস ফিস কথা বলতে বলতে ঢেউ গুলো ঢিমে তালে
গ্রিহস্ত বাড়ি , আবাদি জমিকে ভাসিয়ে
জাতীয় সড়কের উপর ১ ফিট ,
রাজপথের উপর থেকে ডাকছে আকাশ , জল চারিদিক জল ।
তখন সরকারী গুদামে অন্ধকার ঘরে
কালো ত্রিপল , খাদ্য যেখানে সঞ্চিত থাকে
সেখানে ইঁদুরের বাসা , পোকা ধরা চিরে গুড়
সরকারী ওষুধ গুলো তদারকি সরকারী কর্মচারীসহ নিঝুম ঘুমে ।

বুদ্ধিজীবী বাসে ট্রেনে বন্যত্রানের অভিযোগ ,
বহু পরিকল্পনা করে যে জলটুকু ছাড়া হয় , সেই জল
জলের সঙ্গেই আরো কিছু নিয়ে গেছে ......
তখন ভাসছে মৃত দেহ , দ্রুত ভাসছে গবাদি পশু
পাগল প্রেমীদের গল্পের গায়গা
বাউন্দুলে কবির পাণ্ডুলিপি , গদ্যময় দুপুর এবং
অন্ধকার গায়ের রাত সোনালী ফসল ।
এখন দিকে দিকে দরদী মেঘনাথের হাতের স্পর্শ ,
পরিকল্পনা এত ব্যাপক তা কার্যকরী ২-৩ পার্লামেন্টের পর ।

এই সুযোগে নদীরা বাড়িয়েছে ত্বেজ , হাসছে আহ্লাদীর মত
মেঘেরা গাইছে পপ সঙ্গীত ।
তবুও আকাশই চাইবে চোখ , নির্মম অহংকার
ভাঙবেই অবশেষে ,
মৃত্যুর কিনারা থেকে উঠে এসে মানুষ দাঁড়িয়েছে আবার
শালীনতার ভোর......
এদেশে মানুষ মরে
তবে বর্ষা আসে বর্ষা যায় ।








No comments:

Post a Comment