ক
মাঝে মাঝে রাত্রি আর দিনের কাব্যে , বিষাদের
ট্র্যাজিক চরিত্র এলোমেলো করে দিয়ে যায় গোছানো সংসার ,
প্রতিষ্ঠিত আমুদে চাঁদ শ্যাওলা ঘাট অরণ্যের বসতি কিছু পাখি
জীবনের সবখানি নয় ; গভীর এক আমি আর আমাদের
রক্তে খেলা করে জিন পুরুষেরা , আমি তারে পারিনা সরাতে ।
পথ বদলে চেনাজানা মেঘ দ্বিতীয় তৃতীয় রাস্তা ধরে
পেরুলো যখন দিগন্ত আমি জালালার গরাদে দাড়িয়ে দেখি
অযত্নে বেলা গরিয়ে প্রস্তুতি সারছেন পশ্চিমি ঝঞ্ঝা ।
এভাবেই উস্নায়নের পরে শীতল হাওয়ার ঘূর্ণবাত
শূন্যস্থান পূরণের খেলায় ভয়ঙ্কর কিছু ক্ষত রেখে যায়
আমাদের ভাবাবে বলেই ।
একত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ
৩১ অথবা আমাকে শূলে চড়িয়ে দাও তীব্র দাহে , অথবা
জ্বালিয়ে দাও আগুনে ; নিত্য দাবালনে ছায় হয়ে নিত্য মন
অনাহারে উড়ে উড়ে ধুলি ঝড়ে , এবার আগুনের গল্প এনে দাও মনে ।
৩২ বিবেচনায় ছিলোনা পদবী কালো রঙ তোমাদের ফুটপাতে
যৌন সংসার ; পাতাভরে আঁকা ছিল শ্যাম বাঁশি তোমার কালো কেশের
আভরণ ; বাঁশি রেখে দাও তুলে পারলে আগুনের কাঠ জোগাড় করে আনো ।
৩৩ অসহিস্নু বিকেল মাঞ্জা ঘুড়ি ছিল প্রস্তুতি ; ইশারার আমন্ত্রনের
প্রত্যাশায় আজো থেমে আছে ঘুড়ি , খুলে দিতে পারি আজো সুতো নীলিমায়
কাটতে পারে অনেক চাদিয়ালির দম্ভ , থেমে আছি শুধু আগুন ভালোবাসি ।
৩৪ বিছানায় খেলছে প্রত্যয়ী ষোল জ্যোৎস্না ; দিগম্বরে প্রস্তুতির আসর ,
গ্লাসে গ্লাসে দুধ মধুও আছে আয়েজনে সব প্রতীক্ষার প্রস্তুতি , আয়েজন
সিদ্ধ করে দাড়িয়ে জানালায় মেঘ পাশ কাটে , শরীরে আগুন জলে কৈ !
৩৫ জল ভাঙ্গায় বেঁচে কবেই উভচর ; জলের পোকা ঘৃণা চোখে ডাঙ্গার
ভাষা ভুলে গেছি এইবার ; সম্পর্ক সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম পরমাণু আর নিজস্বতার
ব্যাধি , ভুলে গিয়ে নিজের অস্তিত্ব শুধু আগুনের উত্তাপ খুঁজি ।
এখনো চমৎকার ওথেলো
......
কূট বাঁচালি আর বৎসান্যয় আর
অবিশ্বাস আর রুমাল নিয়ে
ওথেলো নিমগ্ন
মন পাখি ফুড়ুৎ জলাভূমি অথবা
স্যাঁতসেঁতে জঞ্জালে
এক গুপ্ত স্থানে জমাট আকরে
শ্লেষ তিক্ত কফ
পগলভ বিলাসী প্রলাপ
মনকে নিয়ন্ত্রন অবিশ্বাসের ।
আঙ্গুল প্রতিনিধি মননের
এক সাঁড়াশি অথবা ধাতব ফাঁস
এখনো মননের অন্ধকার স্থান
বড় খতরনাক
এখনো অনেকখানি কালোকে
নিয়ন্ত্রন করে কালো
ভোগ্য বস্তু এবং নারী
টাটকা প্রত্যাশী
পচা নিশ্চিত দুর্গন্ধ ।
বিশ্বাস অন্ধ তাই
অবিশ্বাস ছোঁয়াচে অবিশ্বাসী , রোগ ,
অধিকার বিন্দুজুরে আমার রক্ত
বিজাতীয় ফসলে অরুচি ,
এখনো চমৎকার ওথেলো
চমৎকার আক্রোশে টুটি
এখনো আমার বিশ্বাস
আমি ছিলাম আছি
একমুখী ।
আমুদে ভগবান
নিজের বোঝা নিজে বয়ে নিয়ে মাঝ পথে এসে দাড়ায়
যখন শিরদাঁড়া দিয়ে এক কাল ঘাম আর মেঘেরা ট্র্যাক
বদলের খেলায় পারদর্শিতা অর্জনে ব্যাস্ত ।
দেখি আমি তোমার বাদামী শরীর দূরে কিছু দূরে দৌড়াচ্ছে
কুকুরে তাড়িত খ্যাক শিয়ালের মত ন্যাজ গুঁটিয়ে , আর তোমার
পেছনে পেছনে অগুন্তি মশাল হাতে ভালোবাসা ।
আমার সুখ দুঃখ , আমার ব্যর্থতার একুশটি বসন্তকে তুমি
সেই যে উদ্বেগের জোয়ারে রেখে গেলে
তারপর দামোদর ব্যারেজ দিয়ে কয়েকশত কোটি কিউসেক
জল লণ্ডভণ্ড করে দিলো উপত্যকা
জয়ায়ুতে এলো কিছু ফুটপাতের যীশু
মগ্নচরার দখল পেলো বিদেশী জনজাতি
ধবলী বকনা জন্ম দিয়ে আর মাদার ডেয়ারি সমৃদ্ধ করে ক্লান্ত ...
তবু এলে না তুমি ফিরে ।
এখনো আমি প্রতি গৌরিক বিকালে আল পথ ভাঙ্গি একা ,
প্রজজনের আল কেঁউতে খুঁজে খুঁজে সাথিহারা
আমাকে ডাকে কাছে
খেয়ে নে আমার বিষ
মরবিনা সেতো জানি , জ্বালাটা যদি কমে !
দুঃখরা শরীরের চেয়ে সংখ্যাধিক্য নয় কোন কালে জন্মে ।
কোন কালেই তৃপ্তটা নেই সম্ভোগে মাঠে-ক্ষেতে পশুখামারে ।
কোন কালেই দ্বিপদি জানোয়ার বোঝেনি চোখের ভাষা মানে ।
কোন কালেই রাঁধা ছাড়া গত্যন্তর নেই নারী অথবা নরের ।
ওহে আমুদে ভগবান বেশ করেছিলে খেলারচ্ছলে মূর্তি গড়ে ......
শরীর দিয়েছিলে মন টা কেন দিতে গেলে !
ছাব্বিশ থেকে ত্রিশ
২৬ প্রলুব্ধতার চাঁদে ক্ষনিকে ক্ষুধা উদাহ খোকনের ,
বন্ধু চাঁদ অল্প দিনে শত্রু হয়ে ওঠার গল্পের মধ্যেই নিহিত
বুলেট আর বনেটের লড়াই , ঈশ্বর নিয়মতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ।
২৭ নিজের অস্তিত্ব করে না দাবী জীবন , অধিকার উত্তর
পুরুষের ফ্যানাভাতের ; ওহে সঞ্জয় দেখো তো দেখি চেয়ে
সমরাঙ্গনে কোন দিকে শব বাড়ে , ঈশ্বর এক বিষাদ পাখি ।
২৮ খুলে পরে তাজ মহাধিরাজের , ফাঁসি দড়িতে ঝুলিয়েছ
শরীর , মেইন ক্যাম্প পোড়াবে কোন আগুনে ! রক্তবীজের
সংখ্যাধিক্য চেতনায় , ঈশ্বরের আজ চশমার বড় প্রয়োজন ।
২৯ এভাবে তাকিয়ে তাকিয়ে দৃশ্য ধর্ষক জাত , সপাট দরজা
জানালা আটকিয়ে অন্ধকার কতক্ষণ বাইরে রাখা জায় !
আঁধারের অণুচ্ছেদে পরম প্রাপ্তি তোমার , ঈশ্বর শুধু বিশ্বাসীর ।
৩০ সীমারেখাহীন অসীমান্ত দেশে আমার কুড়ে ঘর ; গুহা মানচিত্রে
এঁকে দেবো আমাদের ইতিহাস , আমার হাতে তুলে দেবো
তোমার মুখে ভাত , তবেই ঈশ্বর আমার ঈশ্বর তোমার ঈশ্বরের গায় গান
মাঝে মাঝে রাত্রি আর দিনের কাব্যে , বিষাদের
ট্র্যাজিক চরিত্র এলোমেলো করে দিয়ে যায় গোছানো সংসার ,
প্রতিষ্ঠিত আমুদে চাঁদ শ্যাওলা ঘাট অরণ্যের বসতি কিছু পাখি
জীবনের সবখানি নয় ; গভীর এক আমি আর আমাদের
রক্তে খেলা করে জিন পুরুষেরা , আমি তারে পারিনা সরাতে ।
পথ বদলে চেনাজানা মেঘ দ্বিতীয় তৃতীয় রাস্তা ধরে
পেরুলো যখন দিগন্ত আমি জালালার গরাদে দাড়িয়ে দেখি
অযত্নে বেলা গরিয়ে প্রস্তুতি সারছেন পশ্চিমি ঝঞ্ঝা ।
এভাবেই উস্নায়নের পরে শীতল হাওয়ার ঘূর্ণবাত
শূন্যস্থান পূরণের খেলায় ভয়ঙ্কর কিছু ক্ষত রেখে যায়
আমাদের ভাবাবে বলেই ।
একত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ
৩১ অথবা আমাকে শূলে চড়িয়ে দাও তীব্র দাহে , অথবা
জ্বালিয়ে দাও আগুনে ; নিত্য দাবালনে ছায় হয়ে নিত্য মন
অনাহারে উড়ে উড়ে ধুলি ঝড়ে , এবার আগুনের গল্প এনে দাও মনে ।
৩২ বিবেচনায় ছিলোনা পদবী কালো রঙ তোমাদের ফুটপাতে
যৌন সংসার ; পাতাভরে আঁকা ছিল শ্যাম বাঁশি তোমার কালো কেশের
আভরণ ; বাঁশি রেখে দাও তুলে পারলে আগুনের কাঠ জোগাড় করে আনো ।
৩৩ অসহিস্নু বিকেল মাঞ্জা ঘুড়ি ছিল প্রস্তুতি ; ইশারার আমন্ত্রনের
প্রত্যাশায় আজো থেমে আছে ঘুড়ি , খুলে দিতে পারি আজো সুতো নীলিমায়
কাটতে পারে অনেক চাদিয়ালির দম্ভ , থেমে আছি শুধু আগুন ভালোবাসি ।
৩৪ বিছানায় খেলছে প্রত্যয়ী ষোল জ্যোৎস্না ; দিগম্বরে প্রস্তুতির আসর ,
গ্লাসে গ্লাসে দুধ মধুও আছে আয়েজনে সব প্রতীক্ষার প্রস্তুতি , আয়েজন
সিদ্ধ করে দাড়িয়ে জানালায় মেঘ পাশ কাটে , শরীরে আগুন জলে কৈ !
৩৫ জল ভাঙ্গায় বেঁচে কবেই উভচর ; জলের পোকা ঘৃণা চোখে ডাঙ্গার
ভাষা ভুলে গেছি এইবার ; সম্পর্ক সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম পরমাণু আর নিজস্বতার
ব্যাধি , ভুলে গিয়ে নিজের অস্তিত্ব শুধু আগুনের উত্তাপ খুঁজি ।
এখনো চমৎকার ওথেলো
......
কূট বাঁচালি আর বৎসান্যয় আর
অবিশ্বাস আর রুমাল নিয়ে
ওথেলো নিমগ্ন
মন পাখি ফুড়ুৎ জলাভূমি অথবা
স্যাঁতসেঁতে জঞ্জালে
এক গুপ্ত স্থানে জমাট আকরে
শ্লেষ তিক্ত কফ
পগলভ বিলাসী প্রলাপ
মনকে নিয়ন্ত্রন অবিশ্বাসের ।
আঙ্গুল প্রতিনিধি মননের
এক সাঁড়াশি অথবা ধাতব ফাঁস
এখনো মননের অন্ধকার স্থান
বড় খতরনাক
এখনো অনেকখানি কালোকে
নিয়ন্ত্রন করে কালো
ভোগ্য বস্তু এবং নারী
টাটকা প্রত্যাশী
পচা নিশ্চিত দুর্গন্ধ ।
বিশ্বাস অন্ধ তাই
অবিশ্বাস ছোঁয়াচে অবিশ্বাসী , রোগ ,
অধিকার বিন্দুজুরে আমার রক্ত
বিজাতীয় ফসলে অরুচি ,
এখনো চমৎকার ওথেলো
চমৎকার আক্রোশে টুটি
এখনো আমার বিশ্বাস
আমি ছিলাম আছি
একমুখী ।
আমুদে ভগবান
নিজের বোঝা নিজে বয়ে নিয়ে মাঝ পথে এসে দাড়ায়
যখন শিরদাঁড়া দিয়ে এক কাল ঘাম আর মেঘেরা ট্র্যাক
বদলের খেলায় পারদর্শিতা অর্জনে ব্যাস্ত ।
দেখি আমি তোমার বাদামী শরীর দূরে কিছু দূরে দৌড়াচ্ছে
কুকুরে তাড়িত খ্যাক শিয়ালের মত ন্যাজ গুঁটিয়ে , আর তোমার
পেছনে পেছনে অগুন্তি মশাল হাতে ভালোবাসা ।
আমার সুখ দুঃখ , আমার ব্যর্থতার একুশটি বসন্তকে তুমি
সেই যে উদ্বেগের জোয়ারে রেখে গেলে
তারপর দামোদর ব্যারেজ দিয়ে কয়েকশত কোটি কিউসেক
জল লণ্ডভণ্ড করে দিলো উপত্যকা
জয়ায়ুতে এলো কিছু ফুটপাতের যীশু
মগ্নচরার দখল পেলো বিদেশী জনজাতি
ধবলী বকনা জন্ম দিয়ে আর মাদার ডেয়ারি সমৃদ্ধ করে ক্লান্ত ...
তবু এলে না তুমি ফিরে ।
এখনো আমি প্রতি গৌরিক বিকালে আল পথ ভাঙ্গি একা ,
প্রজজনের আল কেঁউতে খুঁজে খুঁজে সাথিহারা
আমাকে ডাকে কাছে
খেয়ে নে আমার বিষ
মরবিনা সেতো জানি , জ্বালাটা যদি কমে !
দুঃখরা শরীরের চেয়ে সংখ্যাধিক্য নয় কোন কালে জন্মে ।
কোন কালেই তৃপ্তটা নেই সম্ভোগে মাঠে-ক্ষেতে পশুখামারে ।
কোন কালেই দ্বিপদি জানোয়ার বোঝেনি চোখের ভাষা মানে ।
কোন কালেই রাঁধা ছাড়া গত্যন্তর নেই নারী অথবা নরের ।
ওহে আমুদে ভগবান বেশ করেছিলে খেলারচ্ছলে মূর্তি গড়ে ......
শরীর দিয়েছিলে মন টা কেন দিতে গেলে !
ছাব্বিশ থেকে ত্রিশ
২৬ প্রলুব্ধতার চাঁদে ক্ষনিকে ক্ষুধা উদাহ খোকনের ,
বন্ধু চাঁদ অল্প দিনে শত্রু হয়ে ওঠার গল্পের মধ্যেই নিহিত
বুলেট আর বনেটের লড়াই , ঈশ্বর নিয়মতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ।
২৭ নিজের অস্তিত্ব করে না দাবী জীবন , অধিকার উত্তর
পুরুষের ফ্যানাভাতের ; ওহে সঞ্জয় দেখো তো দেখি চেয়ে
সমরাঙ্গনে কোন দিকে শব বাড়ে , ঈশ্বর এক বিষাদ পাখি ।
২৮ খুলে পরে তাজ মহাধিরাজের , ফাঁসি দড়িতে ঝুলিয়েছ
শরীর , মেইন ক্যাম্প পোড়াবে কোন আগুনে ! রক্তবীজের
সংখ্যাধিক্য চেতনায় , ঈশ্বরের আজ চশমার বড় প্রয়োজন ।
২৯ এভাবে তাকিয়ে তাকিয়ে দৃশ্য ধর্ষক জাত , সপাট দরজা
জানালা আটকিয়ে অন্ধকার কতক্ষণ বাইরে রাখা জায় !
আঁধারের অণুচ্ছেদে পরম প্রাপ্তি তোমার , ঈশ্বর শুধু বিশ্বাসীর ।
৩০ সীমারেখাহীন অসীমান্ত দেশে আমার কুড়ে ঘর ; গুহা মানচিত্রে
এঁকে দেবো আমাদের ইতিহাস , আমার হাতে তুলে দেবো
তোমার মুখে ভাত , তবেই ঈশ্বর আমার ঈশ্বর তোমার ঈশ্বরের গায় গান
No comments:
Post a Comment