Saturday, 17 March 2012

তিন কবিতা ২



ভেসে যায় নীল জলে শরীর 

এক শৈল্পিক রাতের মুগ্ধতায় এভাবে পড়ে থেকে নশ্বর
পতনের আগের কিছু রাতে বেড়িয়ে পরি ; আঙ্গিনা পেরিয়ে
শাদা আলোতে দেখি পৃথিবীর বুক থেকে উঠে গেছে
সমস্ত চারাগাছ জোনাকি বাসর ! সমস্ত নাটমন্দির খিলানে
শুধুই পরিযায়ীয় বজ্জ । এগিয়ে চলি , পাশস্থ চিকন রাস্তায়
আগুন জ্বেলেছেন কিছু চৌকিদার , গল্প করছেন আগুনের ;
সুসংবদ্ধ আগুনে পিতাদের তর্পণ ! অথবা আমাদের ।
এখন যখন হাঁপর টেনে বের করে আনি ধবধবে কিছু
নির্লজ্জ বিষাদ ; ফাঁসি দড়ি দূরে আলো- আঁধারে মায়া জড়িয়ে
ডাকে আয় পতনে , বিশেষত দাড়িয়ে যায় ; এক বুক হাওয়া
ছেড়ে - যাও খুঁজে নিয়ে এসো আমার পূর্বপুরুষ , শুধু
আমি অনুমতি প্রত্যাশী !
ঈসদ দূরে মহীয়সী জ্যোৎস্নায় খেলছে কবরের ভূমি ইতিহাস
থেকেই ; ভুলে গিয়ে আমি এগিয়ে চলি ......
দেখি দৃশ্যান্তরে অহরহ আঁধার ভাঙ্গছে কিছু শরীর ,
ঠাওর করার আপ্রাণ চেষ্টা করি ওগুলো শরীরের ছায়া
না দৃষ্টি ভ্রুম হেতু শুধুই আঁধারের রূপান্তরে গাছের সঙ্গে
বাতাসের খেলা ?
এই পতনের ম্যাকবেথের দিকে এগুতেই থাকে যবনিকা পতনের
গাছ অথবা শরীর ;
আমিও প্রস্তুতিতে প্রস্তুতিতে পাথর তুলে এগিয়ে যায় ...

লম্বচ্ছেদ করে অখণ্ডিত সময়কে আমি ভেঙ্গে ফেলি ;
একপাশে আমি আমার আকাশ আর জোয়ান তারার সুসংহত সেনা
অন্য পাশে হয়তো ছায়ামূর্তি কিছু অশরীরী বা জন্মান্ধ আমাদের পূর্বপুরুষ

সেই ভয়ানক যুদ্ধে টিকে থাকি আমি । বিজয়ী হাসিতে ঘরমুখি ।
হঠাৎ কান্না শব্দ । পেছন ফিরে দেখি একি ! আমারই সব পূর্বপুরুস ।
তবে কি মৃত্যু বলে অবশিষ্ট নেই কোন মৃত্যুতে ! শারীরিক পচনে শুধু
রঙ বদল !
দূরে ফ্যাঁকাসে হচ্ছে কালো ; গান ধরে পুবমুখি কিছু চাষা ভাই ;
তমসা ভেদ করে আবার প্রতীক্ষিত আগুনের গল্প , তবুই আমিও
এখানে রেখে যাবো কিছু পেতাম্মার গল্প , আগামীর প্রয়োজনে ।










কবিও ভবিষ্যৎ

আজকাল গণ্ডগুচ্ছ কবিতা রসাগ্নিতে উপাদেয় সুষম
ভোজনে বদহজমের পাল্লায় ; মাত্রাতিরিক্ত পথ ধরে
অভিপ্রেত শব্দরা সঙ্কুচিত প্রসারণে হ্রিদয়ের জাত্রিক।
গভীর মনস্তাত্ত্বিক আক্ষেপ চেতনার অভিরুপে শুধুই
চরৈবেতি ; ক্ষনকালদর্শী প্রজ্ঞান হাতের মরমী স্পর্শানুভাবক
অভুক্ত রেখে জীবন সন্ধানী জীবনেরই পথ প্রদর্শক ;
বোঝেন ক'জন রিপুর অভিযাত্রিক !
ক্রান্তিদর্শী দিনক্ষণের মেধাবী নায়ক বুঝেছেন জীবন দিয়ে
নিজেকেই বুঝতে কতোখানি দূরে সরতে হয় নিজের ।

লেখা সবই দুইমুখি আয়না একদিকে আমি অপর দিকে
স্রস্টা , এক অভিমুখে এক নিয়মে এক রক্ত নিঙরে শব্দ
গড়েছেন সংসার এবং প্রত্যেকটা সংসার আত্মত্যাগের ।
আমিও পার হয়ে যায় সমতালে সমপায়ে বৈচিত্র্যতার
অনুভুতিক অনুক্ষণ ।

অতএব নির্লিপ্ত অথবা কাজনেই জেনেই সন্ধানী বন্ধুরা
কি করছিস ?
উত্তর তিরি রেখেছি অনেক দিন আগেই ,
আমি পাখি খুঁজছি যে পাখি গান গাইতে পারে আমার সাথে ।







 কাম


আত্ম গলিত স্থবির শবের উপলব্ধিত জনমে
বিলম্বিতলয়ে নিদারুন আত্মভিমানে উপেক্ষার
পারদে পারদে শুধুই সৃষ্টির নিয়মিত ব্যাঙ্গ ।
বৈশিষ্টগত আকৃতিতে অপরিবর্তিত অন্য মানবের
সাথে , তবু পরম লালিত্য হ্রিদয় দগ্ধ ।
গন্ধবাতাসহীন অনুভবের নাসিকারন্ধ , শুধু
ঝাঁঝালো স্বাদ আর তিক্ততার শারীরিক পাঁচনে
বিক্ষত অনুতাপে শীতলতার আচ্ছাদন হিসেবী চায়ে ।
গড়িয়ে গড়িয়ে প্রলুব্ধতার চাঁদের আলোক রেশ্নায়
আশ্চর্য ভাবে কুঞ্চিত চর্মে,দাদা থেকে কাকা হয়ে এখন
মাঝ বয়সী ঢ্যামনা দৃষ্টিতে কামচোর ।



No comments:

Post a Comment