গ
বিচ্ছেদ
আমি চলে যাচ্ছি
হাজার জোনাক আর শুকতারার
মধ্যে রাস্তা দিয়ে ;
গুটিকয় সারসের ডানায়
অম্লান রোদ
তৃষ্ণাতুর চাতকের পালকে তবু কিছু জল ।
পিছু সরছে বাসের হর্ন
পায়ে মিলিয়ে দিঘার সৈকত
রবি শস্যর পাতায়
ডুবে সূর্য
সম্মুখে তৈরি একলক্ষ পথ ।
ঐ দূরে নীল তারার গা বেয়ে
ঝরছে সোহাগী রাত
কুক্ষিগত তোমার যৌবন
এলোমেলো বিকেল নামছে বাঁশ গাছে
আমি স্তত পায়ে
পেড়িয়ে যাচ্ছি
জাহান্নুম
এই প্রথম বাঁধা দিলো না কেউ !
নল জাতক
নিষিক্ত নিয়মরীতি গোলমেলে প্যাঁচালো
অনুভূতিক সঠিক মাত্রা প্রয়োগ দুর্বোধ্য ক্রিয়াকলাপ ।
এক চৈত্র ফাটা মাঠের শূন্যতা নিয়ে রঙিন রাত নামে যেদিন
সেদিন আরাধনার থাকে না কোন কমতি ;
ঈশ্বরের অস্তিত্বে ঘৃত চন্দন বেল মালা সমাদারে পান চরণামৃত
তিন পুরুষের গুরুভাই ; মন্ত্রোচ্চারণে ধুপ ধুনো হোমাগ্নি যজ্ঞ কাঠ ,
উপোষী নয়নে বিকেল গড়িয়ে আঁধারের ঘরে ফেরার আয়েজন
তবুও এক গভীর ক্ষত কাঁদিয়েছে আগেও এখনো বা ।
অস্থির সময়ে মাদুলি ওঝা তাবিজে বাহুময় নিতম্ব দড়ি
এক আদিম ইতিহাসের বর্তমান প্রতিনিধি জীবন ।
অর্থ বাহুলতা বাড়িয়ে সময়ের চোখের জল ঢেকেছে সম্মুখের ;
নৈসর্গিক এক বিলাসী স্বপ্ন খেলা করে যখন রাত্রি গভীর হলে
তার ঠোটের হাম্মিতেই জগতের সুখ বিছানা কিম্বা হয়ে ওঠে
ঈশ্বরের জননী ;
সব বৃথা । বৃথা হয়ে ওঠে অস্তিত্ব ; অভিমানের মেঘে ভাসে যখন
পালঙ্ক তখন অন্ধকারের আয়েজনে শালীনতা দুমড়ে গিয়ে অভিসারিণী
করে দাও ; দয়াময় জঠর রেখো না তুমি বন্ধ্যা ।
এক দিন দেখাবো তাকে মুখ পৃথিবীর ; সমস্ত অরণ্য প্রজাতি
হবে নিমন্ত্রিত অতিথি ; আর রক্ত রস ঘাম ভালোবেসে ফুটবে ফুল
উজাড় করে বক্ষসুধা ;
আমি এনেছি তাকে অনেক খড়কুটো জ্বালিয়ে কৃত্রিম নলে
এই দুর্দিনে দেখিয়েছি আলো ; সব কিছু ভেসে যায় তো যাক
সে শুধু বেঁচে থাক ।
বিচ্ছেদ
আমি চলে যাচ্ছি
হাজার জোনাক আর শুকতারার
মধ্যে রাস্তা দিয়ে ;
গুটিকয় সারসের ডানায়
অম্লান রোদ
তৃষ্ণাতুর চাতকের পালকে তবু কিছু জল ।
পিছু সরছে বাসের হর্ন
পায়ে মিলিয়ে দিঘার সৈকত
রবি শস্যর পাতায়
ডুবে সূর্য
সম্মুখে তৈরি একলক্ষ পথ ।
ঐ দূরে নীল তারার গা বেয়ে
ঝরছে সোহাগী রাত
কুক্ষিগত তোমার যৌবন
এলোমেলো বিকেল নামছে বাঁশ গাছে
আমি স্তত পায়ে
পেড়িয়ে যাচ্ছি
জাহান্নুম
এই প্রথম বাঁধা দিলো না কেউ !
নল জাতক
নিষিক্ত নিয়মরীতি গোলমেলে প্যাঁচালো
অনুভূতিক সঠিক মাত্রা প্রয়োগ দুর্বোধ্য ক্রিয়াকলাপ ।
এক চৈত্র ফাটা মাঠের শূন্যতা নিয়ে রঙিন রাত নামে যেদিন
সেদিন আরাধনার থাকে না কোন কমতি ;
ঈশ্বরের অস্তিত্বে ঘৃত চন্দন বেল মালা সমাদারে পান চরণামৃত
তিন পুরুষের গুরুভাই ; মন্ত্রোচ্চারণে ধুপ ধুনো হোমাগ্নি যজ্ঞ কাঠ ,
উপোষী নয়নে বিকেল গড়িয়ে আঁধারের ঘরে ফেরার আয়েজন
তবুও এক গভীর ক্ষত কাঁদিয়েছে আগেও এখনো বা ।
অস্থির সময়ে মাদুলি ওঝা তাবিজে বাহুময় নিতম্ব দড়ি
এক আদিম ইতিহাসের বর্তমান প্রতিনিধি জীবন ।
অর্থ বাহুলতা বাড়িয়ে সময়ের চোখের জল ঢেকেছে সম্মুখের ;
নৈসর্গিক এক বিলাসী স্বপ্ন খেলা করে যখন রাত্রি গভীর হলে
তার ঠোটের হাম্মিতেই জগতের সুখ বিছানা কিম্বা হয়ে ওঠে
ঈশ্বরের জননী ;
সব বৃথা । বৃথা হয়ে ওঠে অস্তিত্ব ; অভিমানের মেঘে ভাসে যখন
পালঙ্ক তখন অন্ধকারের আয়েজনে শালীনতা দুমড়ে গিয়ে অভিসারিণী
করে দাও ; দয়াময় জঠর রেখো না তুমি বন্ধ্যা ।
এক দিন দেখাবো তাকে মুখ পৃথিবীর ; সমস্ত অরণ্য প্রজাতি
হবে নিমন্ত্রিত অতিথি ; আর রক্ত রস ঘাম ভালোবেসে ফুটবে ফুল
উজাড় করে বক্ষসুধা ;
আমি এনেছি তাকে অনেক খড়কুটো জ্বালিয়ে কৃত্রিম নলে
এই দুর্দিনে দেখিয়েছি আলো ; সব কিছু ভেসে যায় তো যাক
সে শুধু বেঁচে থাক ।
No comments:
Post a Comment