পথ
বহুদিন যাবৎ আত্মসাৎ করে প্রজাপতি রঙ
ভেবেছিল বাদবাকি রঙ সব ফ্যাঁকাসে ; আয়েজনে
মাতোয়ারা মচ্ছবে
ভোজনে রসিক নাগর । আর আশ্চর্য এক ভ্রূণের
রসে মজেছে জঠর
তারা ভাবেছিল শুদ্ধ করে নেবো বিজ্ঞানে বাঞ্ছিত-অবাঞ্ছিতের
লালন দায়ভার ।
এতদিন যাবৎ ফুলের মত যা কিছু সত্য অভ্রান্ত অনুরণনের অরুণ জেগেছিল ;
পাপড়ি ভাঁজে অফুরান যৌন সংক্রমণ , আর নিষাদের মন জুড়ে
খানিক খানিক শরীর , সব সরীসৃপ গমনে
প্রতিরাতে ভুলেছে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ ।
আজ প্রতি আঁধার রাতে মাঠে জ্বালিয়ে ন্যাড়া ; বিধর্মী যতো বক ধার্মিক
সেঁকে নিয়ে হাত-পা
খুঁজে নিক খামারের ঠিকানা ; ওরা জানে কি
কত পথ পাড়ি দিতে আছে বাকি ?
প্র
প্রগাঢ় বন্ধুত্বের দিনে খেজুর রস হতে
মৌমাছি তুলে নিয়ে কিছু মিষ্টতা
ছড়িয়ে দেয় ঘরে ; তখন রক্ত জল হয়ে
রেল লাইন বেঁকে ঢুকে যায় দিগন্তে ।
কেউ কেউ ভুলে গিয়ে পূর্বজন্ম কথা সঙ্গবদ্ধ আবেগে
মজ্জাগত বাহক সময়ের ; সূরিখানা জুড়ে আতলামির মাতলামি এতএব
এই চাঁদভূমি আমার জায়গিদার ;পাঁচ হাজারী মসনবদার এখনো
চমৎকার ক্ষাত্রত্বেজে ।
কিছু নদী ছিল সেদিন ; রাত্রি গভীর হলে গান গেয়ে যেতো, দেখে হাপুস নয়নে
চাঁদ ; থেমে যেতো সমস্ত বিষাদের গল্প ; বিক্ষিপ্ত বাউল হাওয়ায়
থেমে গিয়ে নিশাচরের লম্বিত প্রত্যয় ... সকলে ভাই ছিল ;
সেদিন ভাল ছিলনা বেশী ; কলেরা গুঁটি বসন্তের সহবস্থানে ক্ষিদে নিয়ে অথবা
মহামারী জলে , তবু বেশ ছিল লাঠালাঠি মারামারি আম চুরি করে...
এখন চুরি করে উত্তাপ শুধু দুই-একজনের ঘরেই শুধু আগুন ।
পার্থিব হুন্ডির অধিকারে নাম লেখা গুটিকয় শেয়ালের । আর আমার আগুন
চোর ভাইয়েরা চুপিসারে পথ ভাঙ্গে আঁধারে ......
আঁধার ও ভাবছে এই আঁধারের শেষ কোথায় !
প্রেম অপ্রেমের গল্প
অবসাদ ! ঘৃণা করো প্রিয়তম ;
অঞ্জলিতেও রাখিনি তব নাম
স্মৃতি বিভেদে ভুলে গেছি আকর্ষী
পার্থিবে গঙ্গাপাড় সোনালী বিকালের
মেঠো আল্পনা ;কল্পনার আঙ্গিকে
নতুন কালের ধ্বনি মৎসান্যয়ে
প্রিয়মুখ বাতিস্তম্ভের খোঁজে নিয়তি রাত !
প্রিয়তম , ক্ষমা করো ; প্রকাণ্ড অন্তরাল
গড়ে তুলে একপাশে রেখো আমায় , আর
সত্যর প্রজ্ঞানে জেগে থাক তোমার
বর্তমান , এই বিলাসী রূপ ক্ষণিকের
প্রজাপতি , ফুটো হয়েছে নৌকা সেইতি
দিয়ে জল সেচি গভীর জলে চলেছি
জানি ডুববো এখুনি ।
প্রিয়তম , বল ভুলে গেছি ! ভুলে যাও তুমি ।
কতজন ভুলে যায় পরিচিত নাম মায়ের
অঙ্গীকার সন্তান অধিকার ; ভুলে যায়
নাম ধাম গোত্র পরিচয় হাসের ডিমের
স্বাদ বাবার হুপিং কাশি পরাজিত মানুষের
আত্মকথন ।
প্রিয়মন , গহনে রেখো না স্মৃতির প্রোজ্জ্বল
ভীরে আমায় ; আমাকে মরতে দাও আগ বা সলীলে
একটা লোভী কাকও কাঁদবে না
তুমিও চোখ মুছো না পর্দার অন্তরালে ।
প্রেম মহাদেব
দ্যাখো চেয়ে ঝিনুক খোলস অভ্যন্তরে
নরম মাংস থক থকে কাঁদা কাঁদা এক হৃদয় ; আর
শক্ত খোলসের উপর তুমি বৃথা খোঁজো
তোমার ভবিষ্যৎ ।
মহাদেব এসো কাছে , শিউলিতে ফুটে আছে এক সকাল
আর তেল রঙে আঁকা দেওয়ালে টাঙানো ঘৃতকুমারী
আমার এক অজানা ঠাম্মা সতী ছিল , ভেসেছিল কিন্তু
রতিতে !
মহাদেব , চমৎকৃত শরীরের আগুন বিষ , চমৎকার আঁধারে
সিঁদকাঁটা চোরের উৎপাত ; একটুখানি ঘরে সম্পদ বৈভবের
নিদারুণ অভিমান , তেল মেখেছে শরীরে চোর শুধু তুলে
নেবার অপেক্ষায় !
মহাদেব , গাড়ল হয়েছে বোধহয় তোমার যৌবন ! দ্যাখো চেয়ে
প্রস্তুতিতে সেজেছে সন্ধ্যা ; বনান্তর থেকে উঠেছে দুর্লভ ঝড়
ভাসতে চেয়েছে সতী মনের মাধুরতায়
তুমি ঝিনুক খুঁজেছো খোলসে সঁপেছো মন !
আর ঠোটে ঠোট রেখেছে সব
ভালোবাসা
তবে আজ নেমে গেলাম সিঁড়ি বেঁয়ে শ্মশানে স্মৃতিখেকো
শকুনের দল , শকুনের ঠোটে ঠোটে শেষ হোক বিষাদের শ্যাম্পেন ;
মুগ্ধতার আবেদনে ডুবে যাক অন্য যৌবন
দেখি যেন শুধু গ্রহণ চাঁদে পোড়ে না যেন একটা পুরুষ মুখ ।
আরো আছে দুদণ্ড সময়ের অভিপ্রায় শেষ শ্বাসে যতোটা লাগে সময় ; বা
একবার ঝুপ করে পানকৌড়ি যতোটা নিয়েছে সময়
সেসময় টুকু আমার
খুলে ফেলে দেবো কাঁটার উস্নিব খোলা পূর্ণিমায় বন্ধন সব
তারপর উষ্ণ রক্ত স্রোতে নেই আর
ছিঁড়ে খেতে চাই হাড়মাষ ।
দাঁড়াবো না কোন খণ্ডিত অতীতের জানালার গারদে মাথা রাখে
উড়ে যাওয়া হাওয়া ঘরে ফেরানোর অভিপ্রায়ে ;
দাঁড়াবো না পাথরে মুখ ঘসে কোমল বুকের রুচিতে , শুধু অন্ধ হয়ে
কিছু আলোক বর্ষ কেঁচো হয়ে মুখগুজে আঁধারের গভীরতায় ...
চোখ মেলবো যেদিন দেখি যেন পৃথিবীতে খেলছে আলো
আর ঠোটে ঠোট রেখেছে সব ভালোবাসায় !
মল মাস
যুগপৎ বিচ্ছেদে গৃহীত হয়ে গেল মলমাস ।
লব্ধিত উপলব্ধিতে স্বপ্ন ভূমিতে রেখেছি ভাগাড়
শকুনের আসর । ধাতস্ত হয়েগেছি যন্ত্র চালনায় ।
এই মাত্র নেমে এলাম ক্যানিয়নে , গভীরতায় ডুবে গিয়ে খুঁজে দেখি
পতন এখনো কতখানি নিন্মমুখি ।
অনুরোধে ছিলোনা শাড়ীর আঁচল মৃগকস্তূরীনাভ সুবাতাসের
মহিমান্বিত গৌরিক গোধূলি ; অপরিমেয় মহিমা নিয়ে
চক্ষু কাজল আঁজলায় ধরে রেখে যৌবন
শৃঙ্গারে ছিলোনা অতৃপ্তি ;
তবে কি নারী দেহ সবখানি নয় ! সবখানি নয় সময়ের ভগ্নাংশ ধরে
সুনিপুণ হাতে গড়ে ওঠা শরীরের খাঁজ !
যে দিকে তাকায় ধূসর উপত্যকা জুড়ে শুধুই থরে থরে সাজানো আমি ;
আমি এগিয়ে যায় হাতরে হাতরে ধরতে পারিনা , কানামাছি খেলা,
বুঝতে পারি যে আমি কথা কইছি সেই আমি সবটুকু নই , আমার
মধ্যে আস্ত একটা আমি , আমি তারে পারিনা সরাতে ।
অবশেষ বুঝেছি অদৃশ্য এক নির্দেশক নির্দেশনায় ......
শরীর গুলো রঙচঙে পুতুল মূর্তি , আমি নিয়মিত সরছি নিজের থেকে ।
No comments:
Post a Comment