Saturday, 4 August 2012

05\ 08\ 12



নিরুত্তর

পরিমার্জিত সংস্করণে ভুখামিছিলে
গুলিচালনা শব্দ বাদ দেওয়া হল চুলচেরা বিশ্লেষণের পর ।
ভুখামিছিল শব্দে একটা তৃতীয় তৃতীয় ভাব থাকে 

শিল্প ঘরানায় উন্নত উন্নত প্রথম প্রথম বিশ্ব ,
অবশেষে সর্বজন স্বীকৃতি পেল শিল্প ঘরানায় গুলি চালনা -----

তোপখানায় থরে থরে সাজানো সেই বিজয়ী রাইফেল --
আপাত নিরীহ বস্তুটার মধ্যে সেই উৎসাহ নেই যেকিনা রক্ত চেনে ,
তবুও রাইফেলের গায়ে শুঁখে দেখি রক্ত গন্ধ আছে কিনা -
নাহ! তবে কি ট্রিগারের আঙ্গুল রক্ত চোষক !

দৌড়ে বেড়িয়ে আসি , জেনারেল ডায়াস অন্তর্নিহিত কিছু
বক্তব্য রেখেছিলেন জালিওনালাবাগে
ক্ষমতা ঊর্ধ্বতনের স্বদেশও সাম্রাজ্যবাদের শাশ্বত জেরক্স কপি
ক্ষমতার প্রতিষ্ঠা শুধুই রক্ত পিপাসী










বন্ধুত্ব

স্কুলের গেট থেকে হারিয়ে গেল সেই মুখ
যদিও এব্যাপারে আমার কিছু করার ছিল না
যদিও যদি বলতাম দাঁড়াও তবুও শুনত কি শুনত জানা নেই

এভাবেই হারিয়ে যাই

যদি বলতাম আমাকে নাও সঙ্গে , দেখিয়ে দিত তবে
একাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞানের বই , আমি চরম মূর্খ ,
বই এর প্রথম পাতাতেই থেকে যেতাম আজীবন
সেও ডিসটিংসন নিয়ে আবার হারিয়ে যেত

এভাবেই হারিয়ে যাই সক্কলে গেট থেকে , খেলার মাঠ থেকে
চৌধুরীদের রোয়াক থেকে -- এয়ারপোর্টের দিকে সমুদ্রের দিকে
পশ্চিমের দিকে , আমি নির্ভেজাল চোখ নিয়ে দৃশ্য দেখি
জোয়ান চাঁদ ওঠে গম খেতের কাকতারুয়া
আমার সাথে জেগে জেগে পাহারা দেয় পাচীন বিশ্ব



















বন্ধুত্ব

স্কুলের গেট থেকে হারিয়ে গেল সেই মুখ
যদিও এব্যাপারে আমার কিছু করার ছিল না
যদিও যদি বলতাম দাঁড়াও তবুও শুনত কি শুনত জানা নেই

এভাবেই হারিয়ে যাই

যদি বলতাম আমাকে নাও সঙ্গে , দেখিয়ে দিত তবে
একাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞানের বই , আমি চরম মূর্খ ,
বই এর প্রথম পাতাতেই থেকে যেতাম আজীবন
সেও ডিসটিংসন নিয়ে আবার হারিয়ে যেত

এভাবেই হারিয়ে যাই সক্কলে গেট থেকে , খেলার মাঠ থেকে
চৌধুরীদের রোয়াক থেকে -- এয়ারপোর্টের দিকে সমুদ্রের দিকে
পশ্চিমের দিকে , আমি নির্ভেজাল চোখ নিয়ে দৃশ্য দেখি
জোয়ান চাঁদ ওঠে গম খেতের কাকতারুয়া
আমার সাথে জেগে জেগে পাহারা দেয় পাচীন বিশ্ব










বেঁটে লোক

সমস্ত সম্ভাবনার গায়ে ফেবিকুইক লাগিয়ে দিয়েছি ।
হিজলি বনের পানকৌড়ির মত উদাস নয় অপরাহ্ণে ।

একটা ঠেসমূলের দরকার এই জলীয় উপত্যকায় ----
কিম্বা একটা রণপা পেলে খাটো থাকার লড়াই থেকে জিতে জেতাম ।

আমার থেকেও ছোট প্রাণী আছে ?
সমস্ত বর্ষা আমাকেময় বাড়িঘর ডুবিয়ে দেয়
রেল লাইনে ঘর বেঁধে কিছুদিন উচু থাকার চেষ্টা করি
হঠাৎ সেদিন
একজন তালগাছ লোক এলেন রেল কলোনিতে লাল নীল খাতা নিয়ে
বললেন উঠে যেতে হবে ---
আমিও নিরুপায় , পা ছুঁয়ে বলি বাবু আসুন ঘরে যদি কিছু করতে পারি
অপূর্ব পারদর্শিতায় আমার ভাঙ্গা কুড়েতে ঢুকে গেলেন
আমার মত বেটেও বাখারিতে খোঁচা খাই বারবার










দশ হাজার বছর আগে

আজ থেকে দশ হাজার বছর আগে আমার মুখে
ধর্ষণের দাগ ছিল না , গণিকা শব্দ অনেক পড়ে এসেছে
সমুদ্র বাণিজ্যর সঙ্গে , আমি তখন মুরগী পুষতাম গম দানা

ছড়িয়ে দিতাম পাহাড়ের খাঁজে ---
যাকে এখন বণিতা বল তুমি - সে তোমার প্রাচীন মা , গয়ার পাণ্ডাদের
সুবিশাল খাতা দেখো -- আছে লেখা নাম ধাম গোত্র পরিচয় ? নেই
তবে অন্যখানে খুঁজে দ্যাখো ,
ধর্ষিতা মেয়েটি তোমার প্রপিতামহীর আট নম্বর প্রপিতামহী ?
প্রপিতামহী বাংলা মানে ? কোন এক তোমার মা ?

এই ইতিহাস জানে না , যে আমার প্রেমিক প্রবর ।
আমিও লুকিয়ে রাখি এসব, যেমন ও বি সি সার্টিফিকেট বন্ধু সমাজে
লুকিয়ে রেখে আম্বেতকর তুলোধন হয় ;
সত্যি বড্ড কুইনাইন ।

পরীক্ষা করে দেখেছি প্রেমিকের ঠোঁটে চুমু খাওয়ার সময়
এসব ভাবলে শরীর ঘিনঘিন ক'রে ,
এর বাবাও হয়তো আমার মাকে ধর্ষণ করেছিলেন , কিম্বা
আমার ঠাকুমার কুঠিতে রাত কাটিয়েছিলেন প্রেমিকের ঠাকুরদা ।










রহস্যের অন্তরালে

অতপর , কিছু অন্তঃনিহিত রহস্য
খুলে দেয় দরজা ;
সংসারী প্রজাপতির ডানা থেকে খসে পড়ে

টুকরো টুকরো রঙ ,
বিস্বাদে পড়ে থাকে সমস্ত লেনদেনের খাতা ---

তাদের পরিপক্ক বিষাদ থেকে
অন্তঃলীন কিছু রঙ
পুনরায় উঠে আসে
সংলাপ লিখে চলে যামিনীকলা

জেগে থাকে মধ্যরাত্রির প্রলোভন বিদ্যা উষ্ণ শয্যার প্রচ্ছদ ঘেসে ,
উড়বার সেই স্বাদ শেষ হলে পাখির
তিল পরিমান বেঁচে নেই গৃহ --
চাষাবাদ ভূমি ;

ম্লান স্মৃতিরেখা ধরে
শারীরিক অভিযোজনে মোহের আন্তর্জালিকা বেয়ে
ঘুণপোকা
অভিমানের গিরিখাতে লম্ফ- ঝাপ ;

দ্বার রুদ্ধ ক'রে
নির্মোহী অহংকার খুলে পড়ে তর্কাতিত বাস্তব
পরাজিত ভঙ্গিমায় হাঁটুগেড়ে বসি
শুদ্ধাচারে
সমধিক পরিচিত সমিধের সমগ্র আয়েজনে
এই বিশাল উপাচার থালা - সন্তুষ্টির অপেক্ষায় ;

পৃথিবীর আভরণভেদী সংকল্পিত রোদ হ'তে
মারীচের উজ্জ্বল বর্তমান
গৃহস্ত সুখের সমস্ত আঙ্গিনায়
রূপান্তরিত ভেদাভেদে
দশাবতারও চুপি চুপি ফিরে যান অসংশোধিত
সংবিধান থেকে -- আর
লোকারণ্যে ভেঙ্গে পড়ে প্যাণ্ডুয়া বক্স ।

একদিন প্রসিদ্ধ হয়ে ওঠে অযাচিত বিষাদ ,মোহে !







একটা মিরাকেল চাই ---

পশু খামার থেকে চিরতরে হারিয়ে যাবে পাচন
দুধ খাবে গাভিনির বাছুর -----
নইলে --------- 


তুমি প্রভাতী দুধ চা খেতে গেলে গাভিনির গলায়
চুমু খেতে হবে সাতবার
বাছুর কে বসাতে হবে প্রাতঃকালিন আহারে তোমার সন্তানের সাথে
তোমার ছেলে আর বাছুর নামতা পড়বে এক ঘরে










রসাতলের গল্প
( কাউকে বিব্রত কিম্বা আঘাত দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই কবিতা নয় )

আমাকে মরতে হবে , পূর্বনির্ধারিত ,
তোমাকেও মরতে হবে , হবে কি ? 

আমি শ্মশানে যাবো , অথবা কবরে ?
তুমি শ্মশানে যাবে ? কিম্বা কবরে ? যাবে ?

এই সমস্ত ঐতিহাসিক চিত্রকল্প আঁকছিলেন বীরভূমের
মারগ্রামের আয়েশা রসেল বিবি , বছরে- দশবছরে গাঁএ গেলে
ঠিক দেখা হয় তার সাথে , আমার ঠাকুমার আদলে তার মুখ
ঠিক বাঁ ঠোঁটের ওপরে ঠাকুমার আদলে কালো জড়ুল
দস্তা পান খেয়ে ক্ষয় দাঁতের সেই চেনা হাসি -- ঠাকুমা কুলীন ব্রাহ্মণী
একাদশী মানেন গেঁটে বাতে ভোগেন রাতে দুধ রুটি খান কাঁঠালি কলায় ।
ঠাকুমা সনাতনী হিন্দু আয়েশা রসেল বিবি মুসলমান !
ভাবি , যে চিত্রশিল্পী দু'জনকে এঁকেছিলেন এখানে পাঠানোর আগে
তিনি হিন্দু না মুসলমান !
আয়েশা রসেল বিবি - অগ্রহায়ণ ধানের ইঁদুর গর্তে যখন হাত ঢুকান
জন্মের থেকেও সুমিষ্ট ছোট স্বর্ণদানা হাতে উঠে আসে
পরম মমতায় আঁচলের কোঁচে ধান বাঁধেন ,
তখন ঠাকুমা দাওয়ায় শীতলপাটি পেতে কৃত্তিবাসী রামায়ণের
"বনবাস " পর্ব পড়েন সুরতুলে ।

আয়েসা রসেল বিবি হতে পারতেন আমার ঠাকুমা ! তবে
দেখতাম আমার ধর্ম ভেঙ্গে পড়ছে বালির বাধের মত --- আর
লম্বা লম্বা ধর্ম খাওয়া জিরাফগুলি চিৎকার করে বলছেন
পৃথিবী রসাতলে গেল ------













গণতন্ত্র

একটা ভাগাড়ে একটা গরু পড়ে আছে ---
প্রায় তিরানব্বই শকুন খুবলে খাচ্ছে মাংস
বাস্তুতন্ত্রে গরুকে মরতেই হয়
শকুনের খাবারের জন্য ---





শ্রেণীচক্রের অনাড়ম্বর বিরামহীন দিন আসে কাঁটা
ঝোপ বেতের ফাঁকগলে ,
পৌষের ন্যাড়া মাঠের শূন্যতায় নিরিবিচ্ছিন্ন আবহমান একাকীত্ব,
অর্থাৎ এক বহুরূপী সর্বভুক ক্ষিদে যেন জুয়াড়ি --
তসনস করে জীবনের সম্পদ জোঁকের ন্যায় লবণ স্বাদ চোষক । 

এও রোগ । পূর্বপুরুষ হতে

যুগে যুগে চলে আসে প্রাণ সুঁড়িখানা পথে ,
মাঝে মাঝে সুঁড়িখানা ছাড়লেই টলমল পা আর হঠাৎ
কোনোএক প্রপিতামহ সহাস্যে কেমন আছিস ?
ভাল থাকা জিজ্ঞাস করাও একটা আত্মশ্লেঘ
যেন দাঁড়িপাল্লাই তোল তাকে আর বুঝে নাও কে কত দুঃখী !
বিরামহীন উদ্বাস্তু সময়ের ক্ষণ ধরে দীর্ঘ যাত্রা অতলান্তিক দিশায় ,
ইচ্ছা - অনিচ্ছা কিছু শব্দ বৈ
কিচ্ছু না , না আছে এর বিশ্বাসযোগ্যতা না আছে গ্রহনযোগ্যতা ।

এভাবেই জন্ম , সময়েই পূর্বনির্ধারিত ভবিতব্যের শৃঙ্খল
আর বেড়ী লাগিয়ে চেতনার অন্তঃমূলে
সুমহান সৃষ্টি অদ্ভুত পূর্ণতার কথা বলে !







‎[নেশাগ্রস্থ সিরিজ ]
রিপু বসন্তের অন্তরালে

পুড়ে যাচ্ছি , পুড়ে যাচ্ছি এই গ্রহণ চাঁদে ,
ছায় , কতবার বলেছি আমাকে দিগম্বর করো না -

বস্ত্র দাও ধরিত্রী দেবী , আমিও সমস্ত নিষেধ মানি
তর্জনীর ক্ষমতা মানি আঁচলে বেলচাঁপা ফুলের গন্ধ জানি ,
জানি , জানি পরাগ মিলনের শর্ত মার্জারের দুধভাত বুঝি ,
রক্তের রূপভেদে নেশা দেখেছি , বিজ্ঞাপিত লাস্যময়ীর
নিতম্বের রূপটান পাঠ করেছি পরিবারের সঙ্গে -- এবং তুমি ,
সেই তুমি , সবই জানো আমার নাড়ীনক্ষত্র এমনকি
রাক্ষসগণ এই জতকের সমস্ত চরম অধ্যায় ।

দূরে যাবে ? যাও , যাও যেভাবে মাও ভুলেছেন সন্তানরে
নারীর যোগ কাটাকুটির পড়ে , তুমিও সেভাবে ? যাও , যাও ---
যদিও বিশ্বাস সেই নিশিপদ্ম উজাগরি রাতে
তোমার শরীরের বাহুল্যে অন্য হাত , সুষুম্নাকাণ্ডে জলজ স্রোত -
ভাসবে , তুমি ভাসবে শরীরে শরীরে
বিশ্বাস করো , বিশ্বাস করো তুমি , রাগবে না এ মন এমন অবসাদে
রাতে , জানি , তোমার ধমনীতে আমার রক্তের যোগ --
চরম উষ্ণতায় জানি জানি তুমি আমাকেই স্মরণ করবে ।










হঠকারী

প্রাকৃতিক প্রান্তরে হঠকারী দৃশ্যাবলী ।
মাইলকে মাইল জুড়ে বালির উপর সন্ধ্যা নামছে
বিবিধ ঐক্যতানে গোধূলির নির্মোহি আঁধারে

গোরুর খুঁড়ে রাঙা ধুলো উড়ছে , ছিন্ন দৃষ্টিকল্প ।

আবারও অভূতপূর্ব আছিলায়
শুরু হবে শূন্য থেকে সময়ের সংখ্যাতত্ত্ব গণনা ,
অবলীলায় লজ্জাহীন সমগ্র যুবক বয়স একমুখী
দাবানলের দিকে এগিয়ে গেলে
যেন মুহূর্তের মধ্যে ধ্বংসাত্মক ক্রিয়াকলাপ ,
এই সব অভিলিপ্সিত অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে
দিগ্‌ভ্রান্ত সমগ্র সমূহ স্বমূলের চেতনা !

নিদিষ্ট কোন গতিপ্রকৃতি নেই , জীবনের ব্যর্থ অভিলাষ
জাগতিক সম্মোহনের বিষাদ দৃষ্টিতে অসুখ সৃষ্টি করেছে যখন
আর সংক্রমণিত এই অস্পষ্ট অনুভব উঁই এর অনুশাসনে হৃদয়
ক্ষইয়ে দিলে পড়ে থাকে বায়কেমিক শরীর
উজান স্রোতের ভাঁটিচর ।

বুকের বা দু'পাশে ধ্বনি এবং অহংকার , যা কিছু স্পর্শসুখ
ভ্রান্ত প্রতিমার ইস্পাত মুখ - তা অহরহ
দোদুল্যমান আর চিন্তার ঘরে সিঁধেল চোর ক্ষণিকের অতিথি
বিসর্জিত হয়ে যায় সমস্ত বর্তমান ।
মূর্খের স্বর্গে চেতন-অবচেতনে বুঝি পরিকল্পনাহীন বাস্তবতায়
আমৃত্যু জোয়ারভাটা নক্ষত্রলোকের গতিপথ
অনুন্নত জীবনের কথা না একবারও , বসববিজয়ী শ্রষ্ঠা পরাজিত
হলেও অমৃত দিয়েছে দ্বিজ , ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই জানেন । আমার
অপরিকল্পিত জীবনে সাদ-সাধ্যর মাঝে
বৈতরণীর অমোঘ আকস্মিত খেয়াঘাট ।

এই সমস্ত জন্ম তুলনামূলক সাহিত্য প্রঞ্জাল , ঢের ঘ্যাটাঘেটি হবে
হৃদয় কচলে - পাঠক সরে গেলে রিডিং রুমের শূন্যতা













ধোঁয়াশা জগত

কতকাল যেন দেখা হয়নি , কতকাল ধরে যেন
ভুতগ্রস্থ বিমর্ষে আছি , সর্ষে ফুল থেকে মধু নিয়ে
কর্মী জীবন ছুটছে আর ছুটছে -- আমিও কতকাল

তোমাকে ছুঁতে পারিনি ,দ্যাখো , দ্যাখো রঙ বদলে
প্রসিদ্ধ প্রজাপতি দি দারুন ভুলেছে অতীত ।
আমার এই সচিত্র পরিচয়পত্র নিয়ে দাঁড়াবো না জনতায় , গণভোটে
কোন কালেই বা প্রেম জিতেছে -- এখানে
অবিকাল , অবিকল আমারই মত আমাকে দেখি রাতের ঝুল বারান্দায়----
যে দিকে আমি সেও সেদিকে মুখ করে থাকে
আর বাস্তুচ্যুত দিকভ্রমে তোমাকে খুঁজতে গেলে
রাতের উপপাদ্যে --
সেই যন্ত্র মানব পিছু নেয় পিছে পিছে -- যদি তার মনেও থাকে
তোমার বসত ঘর ?

ক্ষ্যান্ত দাও এবার , ক্ষ্যান্ত দাও , ঢের অস্থি মজ্জা কশেরুকা
পুড়েছে আমার , যোনী , যোনী , আজন্ম অনলে --
পানপাত্র ধরেছি তুলে , তিল তুলসী দূর্বা মঙ্গল কুলোয়
শঙ্খধ্বনি মঙ্গলময়
বিভেদ মুছে ফেল , মুছে ফেল আগ্রাসনের পাচির ।













হঠকারী

প্রাকৃতিক প্রান্তরে হঠকারী দৃশ্যাবলী ।
মাইলকে মাইল জুড়ে বালির উপর সন্ধ্যা নামছে
বিবিধ ঐক্যতানে গোধূলির নির্মোহি আঁধারে

গোরুর খুঁড়ে রাঙা ধুলো উড়ছে , ছিন্ন দৃষ্টিকল্প ।

আবারও অভূতপূর্ব আছিলায়
শুরু হবে শূন্য থেকে সময়ের সংখ্যাতত্ত্ব গণনা ,
অবলীলায় লজ্জাহীন সমগ্র যুবক বয়স একমুখী
দাবানলের দিকে এগিয়ে গেলে
যেন মুহূর্তের মধ্যে ধ্বংসাত্মক ক্রিয়াকলাপ ,
এই সব অভিলিপ্সিত অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে
দিগ্‌ভ্রান্ত সমগ্র সমূহ স্বমূলের চেতনা !

নিদিষ্ট কোন গতিপ্রকৃতি নেই , জীবনের ব্যর্থ অভিলাষ
জাগতিক সম্মোহনের বিষাদ দৃষ্টিতে অসুখ সৃষ্টি করেছে যখন
আর সংক্রমণিত এই অস্পষ্ট অনুভব উঁই এর অনুশাসনে হৃদয়
ক্ষইয়ে দিলে পড়ে থাকে বায়কেমিক শরীর
উজান স্রোতের ভাঁটিচর ।

বুকের বা দু'পাশে ধ্বনি এবং অহংকার , যা কিছু স্পর্শসুখ
ভ্রান্ত প্রতিমার ইস্পাত মুখ - তা অহরহ
দোদুল্যমান আর চিন্তার ঘরে সিঁধেল চোর ক্ষণিকের অতিথি
বিসর্জিত হয়ে যায় সমস্ত বর্তমান ।
মূর্খের স্বর্গে চেতন-অবচেতনে বুঝি পরিকল্পনাহীন বাস্তবতায়
আমৃত্যু জোয়ারভাটা নক্ষত্রলোকের গতিপথ
অনুন্নত জীবনের কথা না একবারও , বসববিজয়ী শ্রষ্ঠা পরাজিত
হলেও অমৃত দিয়েছে দ্বিজ , ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই জানেন । আমার
অপরিকল্পিত জীবনে সাদ-সাধ্যর মাঝে
বৈতরণীর অমোঘ আকস্মিত খেয়াঘাট ।

এই সমস্ত জন্ম তুলনামূলক সাহিত্য প্রঞ্জাল , ঢের ঘ্যাটাঘেটি হবে
হৃদয় কচলে - পাঠক সরে গেলে রিডিং রুমের শূন্যতা







সময়

শিশুটি বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে
বাবার হাত ছেড়ে হাটতে শিখে নিয়েছে দিব্যি ,
সাঁকোর ওপারে জীবন
এপারে ছিল জন্ম ।







দেবী

ঢের জন্ম গেছে দেবী , ঢের জন্ম সম্মুখে ,
পুরুষের শিরাউপশিরার ধ্বনিভোটে সেই অহংকার
সংকল্পিত জীবনের যা কিছু নিয়ান্ত্রানাধীন নয় সেই সব কাঁটার মুকুট নিয়ে 

আমাদের পথে পথে তোমার ভূমিচাষের প্রাগৈতিহাসিক লিপ্সা --
না , না , এ ব্যাধি আমার নয়
আমার পূর্বপুরুষ সংক্রমনিত এই নিষাদ ব্যাধি
আমাকে খেয়েছে ;
এবার মান্যতা দাও দেবী , চরম কাঙ্ক্ষিতক্ষণের প্রলাপ ভেবো না এসব
তোমার মেধ তোমার শারীরিক তরঙ্গে - দ্যাখ দ্যাখ
আমার পঞ্চ আঙ্গুলের সমাহার
জীবন দাও দেবী - না হয় দাও মৃত্যু
আমার খেটে খাওয়া মহাসংগ্রামী জীবনে বুকের স্পন্দন হতে দূরে আছ
এর থেকে আর কত দুঃখ দেবে তুমি ।

দেবী , একে বাঁচা বলে না , এর থেকেও পাশের বাড়ির হুলো
সুখে আছে বেশী পচা কাটায় ক্ষুধা মিটিয়ে , এই অনল
এই মৃদু মদন -- আঃ আর পারিনা
এবার উৎসব হোক
শোকের দিনেও দ্যাখনি জলের ক্ষুধা বুকের ?
অনিবার্য মরন , বুঝি বুঝি - আমার সীমাবদ্ধ অঞ্চলে শোক তাপ উত্তাপ
ছায় , ছায় , ভস্ম হোক তোমার ছলাকলা নূপুরের কিংকন
আমার পুরুষালী অঙ্গে -
আহাঃ এদিনের স্বপ্ন দেখিও না আর মন
আমাকেও রঞ্জিত করতে শেখাও অধর প্রদেশ , মোলায়ন পশমের বেডকভারের
মত তুলতুলে করে দাও এই মন -----
একটাও বিজাতীয় শরীরের মুগ্ধতার মুখবন্ধ রেখনা ।

দেবী , এসো , এসো নগ্ন শুয়ে পড়ি কলঙ্কিত রাতের আঁধারে
চুম্বন সৃষ্টি করো , মানবিক চুম্বন সৃষ্টি করো ---
আমি তো মরতেই পারি যে কোন সময়
ঈশারা নয়
পারতপক্ষে কাছে এসে বল " পুরুষ আমি ঘৃণা করি তোমায় " বিশ্বাস করো
তোমার এই একটা ধ্বনিতে আমার শ্মশান প্রাপ্তি
আর সেই দীর্ঘউচ্চারণ প্রতিধ্বনিত হয়ে ফিরবে তোমার অন্তরে
পর্যায়ক্রমে অনন্ত প্রত্যাশার পড়
" এভাবেই কি ফিরিয়ে দিতে হয় সব "
















ঈশ্বর

১ ঈশ্বর সম্বন্ধে সমস্ত ভাবাবেগ
চুল্লুর ঠেক থেকে জোরালো নয়
অহরহ ঈশ্বরের আবির্ভাব হয় এখানে ।


০২ মৃত্যু দেখেও যাদের চোখ কাঁপে না
তারাই নিয়ন্ত্রণ করে জন্ম
কামবতী পুরুষ মহিলা সৃষ্টি করেছেন বলে ঈশ্বর নন .

০৩ জিনতত্ত্ব বুঝে গেলে গুরু গৃহের ছাত্র বোঝেন
ঈশ্বরের চেয়েও সর্বসত্য জন্মদাতা দাত্রী
আবহমান অন্ধকার স্থানেই
ঈশ্বরের ঘর ।

০৪ সেই একদিন মৃত্যু আসে পাতা ঝরা দুপুরের সত্যতাই
জননতন্ত্র হৃদপিণ্ড থেমে যায়
একটা শারীরিক পতনে কোটি ঈশ্বরের মৃত্যুবরণ ।

০৫ আদিগঙ্গা মনের ভয়ভীতির ফাঁকফোকর গলে
ঈশ্বরের আগমন
দরজা খুলে রেখে আগুন দ্যাখো ঈশ্বর পথ পাবে না ঢুকবার ।

০৬ কত অপঘাতের সময় ঈশ্বরকে ডাকি
সেই অবকাশে
কিছু পাখি উড়ে গেলে সেই নির্জনতায়
কিছু ঈশ্বরে জন্ম হয় ।

০৭ প্রচণ্ড ভয় পাই আমি নিজেকে
সমগ্র ঝড়-ঝাঁপটা পারতপক্ষে আমাকে সহনশীল করেছে
মরে যাবার মধ্যে শিল্প পেলে
বেঁচে থাকবার মধ্যে কোন ঈশ্বর থাকবেন না ।

০৮ এই সমগ্র জাগতিক বোঝা-অবোঝার মধ্যেও
সুরক্ষিত রাখি বিনয়
বিনয় ঈশ্বর সম্বন্ধীয় না হলেও তুমি ভাবতে পারো এটাই ঈশ্বর ।

০৯ ঈশ্বরের সেই অনুভূতি নেই , যে অনুভূতিতে
সদ্যজাত সন্তান ঠোঁটে আমার মায়া
এই পর্যালোচনা সুরক্ষিত থাকে নিজস্ব অন্তরে ।

১০ দশাবতর কৌলীন্য বৃদ্ধি করে ব্রাহ্মণের
দুধেলু গাভী দানপাত্রে রাখলে
ব্রাহ্মণ ঈশ্বরের গল্প করতে করতে পথ হাটেন
যদিও নিজের জ্ঞ্যানের ব্যাপারে সে সন্দিহান !






















































































































No comments:

Post a Comment