Sunday, 5 August 2012

kichumichu 666666666


আমি পিতা ......

বসন্ত হাওয়ায় পিদিমের আগুন নিয়ে যায় , নাভি উষ্ণতায়

ভগবানও মোম , দাহ্য পাশাপাশি , নিবিড় ,
নেই বিষাদের জন্ম ,
এবার পিতা হবার পালা

আমি পিতা

ঝাপট খেতে খেতে ডানা উল্টে সময়ের এক সালিখ বা চড়ুই ,
উঠোনময় সিদ্ধ ধান ,
ফাগুণের মনকাড়া বেলা বাড়ে ,
চাপে চাপে স্তন ফুলে ফেঁপে আস্ত পাহাড়
অভুক্ত রেখো না খোকা
আমাকে দুধ দাও মা জননী ।

আমি পিতা ......

উষ্ণ উপত্যকায় ভ্যাপা চাঁদ নিয়ে রাত নামে নিয়মের যন্ত্রণায় ,
কৃষ্ণসাগর, তোমার তামাম চোখে জলবায়ু সন্ধিতে প্রস্তুত ,
খুলে দিই একাদশীর জানালা
একঝাক উত্তরে হাওয়া... শীত শীত ভাব
শিশু ওঠে কেঁদে
তোমার বুক থেকে আমার ঠোঁট সরে যায় ...
হেসে ওঠে নিয়ম ।

আমি পিতা ......

দূরত্বের প্রাচীরে আমি তুমি , মাঝখানে রঙ্গিন স্বপ্নের স্থান ,
সংগোপন কথা , এক দিন নির্দ্বিধায় দুজনে ,
এখন লজ্জায় , ঘর ভরে যায় আলোয় , চুপ করো ,
জেগে আছে দ্বিতীয় ভগবান ,
নির্বিষ হয়ে যায় রাত , হাত নেমে আসে যার যার মাথায় ,
ঘুম ভাঙ্গে
আমিও তবে কি হয়েগেছি ভগবান !













রহস্য

ঘুম যাযাবর হ'লে গ্রহন্তরে কিছু কাঠ পোড়ে ,
মহিমান্বিত ঐতিহ্য ভেঙ্গে পরে মানবের ।
জীবন , দেখেছো কিনা কোন সুন্দর অভ্রান্তের

ছবি , যে প্রেম চেনাবে !
আবৃত রহস্যের মায়া জালে নট-নর্তকী ভোগে
তীব্র জৈবিক উন্মাদনা , নিঃশেষিত প্রাণ-বায়ু
যেবার স্বাধীন , প্রিয় কিছু জলে, দেওয়ালে ফুলের
মালায় দৃশ্য সুখ কিছুদিন !

কালান্তরি ব্যাধি আমি সর্বস্যে গভীর অঙ্গে ,
প্রতি মুহূর্তে ভেঙ্গে পরে স্বর্গের সিঁড়ি, যেমন
ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে সেই বন্দীর মত
চোখ বন্দ করে থাকে মৃত্যু ফিরে যাবে বলে !

হাজার রহস্যের মোড়কে একটা জীবন
শ্মশানে জন্ম আছে রহস্যে নেই অবশেষে













পথ

বহুদিন যাবৎ আত্মসাৎ করে প্রজাপতি রঙ
ভেবেছিল বাদবাকি রঙ সব ফ্যাঁকাসে ; আয়েজনে
মাতোয়ারা মচ্ছবেসোম রসে 

ভোজনে রসিক নাগর । এদিকে আশ্চর্য এক ভ্রূণের
রসে মজেছে জঠর
তারা ভাবেছিল শুদ্ধ করে নেবো বিজ্ঞানে বাঞ্ছিত-অবাঞ্ছিতের
লালন দায়ভার ।

এতদিন যাবৎ ফুলের মত যা কিছু সত্য অভ্রান্ত অনুরণনের অরুণ জেগেছিল ;
পাপড়ি ভাঁজে অফুরান যৌন সংক্রমণ , আর নিষাদের মন জুড়ে
খানিক খানিক শরীর , সব সরীসৃপ গমনে
প্রতিরাতে ভুলেছে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য !

আজ প্রতি আঁধার রাতে মাঠে জ্বালিয়ে ন্যাড়া ; বিধর্মী যতো বক ধার্মিক
সেঁকে নিয়ে হাত-পা
খুঁজে নিক খামারের ঠিকানা ; ওরা জানে কি
কত পথ পাড়ি দিতে আছে বাকি ?










নীল খামে হাত রাখেনা কেউ

হাতুড়ি শাবলে কোদালে ঘামে রক্তে গা মোছামুছি করি ,
নিরুত্তাপ চাঁদ দেয় শ্লেষে গা গরম দৌড়
কার অভিমুখে ? কে জানে ! 

পঞ্চবটীর ঝোলানো ডাক বাক্সে নীল খামে
চিঠি পরে আছে নিলাদ্রির , চিঠি পরে আছে ,
পরে থাকি হেমন্তে হেমন্তে ;

নীল ডানা'য় ভর করে উদাসী হাওয়া এলোমেলো ,
নট নর্তকী ঘুম ভেঙ্গে আড় চোখে দেখে নেয়
রক্তদাগ আছে কি লেগে বিগত জীবনে'র ,
পিত পাথরে ইয়েতির ফসিলস পথিকের
মুগ্ধতার ইতিহাস নেই লেখা তবু
ক্লান্ত করে দেয়
ক্লান্ত করে করে্‌ , খোঁজ খোঁজ ;

সুগন্ধি মশলা ব্যবসায়ী পাল খুলে দেয় জাহাজের ,
মাল ওঠে , মাল নামে বন্দরে বন্দরে ,
ঘামে ঘামে লেখা হয় চিঠি ,
নীল খামে ভরে ঠিক ঠিকানায় ।
পঞ্চবটীর ডাক বক্স
হাওয়ায় দোলে না
এক অভিমুখে স্থির
চিঠির নীল খামে হাত রাখেনা কেউ ।







তথাগত

অনিবার্য এক অন্তঃমুখী নিত্য উৎপাদিত চাহিদা'য়
শান্তি নাই , ফ্রেমে লটকে আছে সন্তান টিউশন
ফিস স্ত্রী অলঙ্কারের গন্ধ ; চড়া রোদ,নিরুৎসাহি

সাংসারিক বৃষ্টি মুছে দিচ্ছে মুখচ্ছবি গত বিগত
সত্যাচার ! মুখে বলিরেখা উজ্জ্বল , কাটাকুটি ,
জটিল জ্যামিতি বিন্যাসে আবদ্ধ সময়ের জন্ম ঘর ।

সমুজ্জ্বল বৃক্ষেরা অনন্তবার শীতলতার আহ্বান ।
লাজুক মুখে এক সাম্য যুবক তার নিচে , গুটিকয়
রাখাল বালক শিখছেন পশু প্রেম ---
আমিত্ব বর্জিত হ'বার ইহকালিন আনন্দধারায়
ভেসে থাকার সুপ্তকথা !

ঐ যুবক বৃক্ষের নিচে বিলীন হয়ে গেল একদিন ---

তথাগত ইহকালের আগুন দিয়ে গেলেন প্রত্যেক মনে ---
ভুতকাল নয় , একালের পরমপ্রাপ্তি , বিশ্বাসে










ঈশ্বর অবিশ্বাসী দামাল

অনেকবার সামনে পতন দেখেও মাথা নোয়াইনি
কোন কৃত্রিম মূর্তির পাদদেশে ; সবুজ সংকেত
পেয়ে যারা সাঁ সাঁ বেগে চলে গেছে আমার পাশ দিয়ে ,

তারা কেউ আমার বন্ধু ছিল কেউবা বন্ধুর বন্ধু কিম্বা
পরিচিতি অর্ধপরিচিত অথবা সুদখোর বাপের সন্তান ,
একে একে সব্বাই গাড়িতে উঠে গেছে , যেখানে আমিও
চড়তে পারতাম , আয়েশ করে বসে বলতে পারতাম
"বন্ধুর সাথে শেয়ার করে সিগারেট খাওয়ায় মজাই আলাদা !"

বারবার "মিস" করি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যবস্তু , ইচ্ছাধীন নয়
যে সব পার্থিব জগতের ইচ্ছা নামক বস্তু , সেখানে যখন
পৌঁছায় যেন "হরির লুটের" শেষ হরি আমি , সব
উপাদেয় আহার সামগ্রী উবে গেছে অন্য মুখে ! মা তবুও
উৎসাহ দিয়ে যান " লেগে থাক , লেগে থাক "

আর আমিও স্বউৎসাহে প্রতিবার এগিয়ে যায় এক মায়াবী
জাদু মোহে , অবশ্য ফিরে আসতেই হ'য় কুয়াশা মোড়কে
চুপিসারে নিস্তব্ধতায় ! তখনি দেখি শিশির বিন্ধু জমেছে শরীরে ,
হাত দিয়ে দেখি শিশির নয় সমগ্র শরীর থেকে লাভা বেরুচ্ছে
আর অসহ্য এক যন্ত্রণায় নিবদ্ধ থেকে দেখি -------
অন্ধকার ভেঙ্গে স্বলজ্জিত চোখে উঠে আসছে সূর্য -- , অথচ
আমি কিছুই দেখতে পাচ্ছি না !

পিতৃদেব বুঝে গেছে "অকাল কুস্মান্দু " পয়দা ভুল বশতঃ গ্রহের ফেরে !
আমি ও ঐ চোখের দিয়ে তাকাই না --- আঁধার নামে একসময় ,
আমি মা'কে খুঁজি শুধু ,
আমার মৃত্যু নেই ক্ষয় নেই ধ্বংস নেই লেখা চিত্রগুপ্তের খাতায় --
আমি মা'য়ের স্তন খুঁজি , আমাকে পুনরায় অমৃত দাও মা ---










রোগশয্যা

আর খানিকক্ষণ আলো রেখো জ্বালিয়ে ,
স্যালাইন বোতলে বিষ ঢুকিয়ে শেষ লড়াই ,
মৃত্যুতে নয় , যত ভয় ছিল জন্মে ; অষ্টাদশ দিবস

নামলো বোধহয় , সঞ্জয় আমি কিছু শুনছি না কেন ?
সচারচর নিষ্কর জমি নারী'কে ছিনিয়ে নিতে হয়
মরণের আগে , আর তর্জনীতে নাচিয়ে দিনকাল
অস্থাবর বাড়িয়ে কেবিনে দ্যাখো দিব্যি শীত ঘুমের
প্রস্তুতি ; ঘুম আসে ? ঘুম আসে না ?

মরণ

অহেতুক নয় বংশী , কারন আছে বলিষ্ঠ জোরালো এবার ;
অনেক বসন্তে ফলিয়ে ফসল সুখী নই ?
প্রেমে হারজিত মাপিনি বেলুনে তুলেছি নিজেকে অহরহ ,
পাইগণ্ডা ছারিনি শরিকে , সমগ্র মাঠে আমার ধর্মের
ফসল ফলিয়ে ক্লান্ত আমি ?
এখনো অনেক বাকি আছে , বীজতলা , জল সিঞ্চন ,
অগ্রহায়ণে ধানের গন্ধ নবান্নের সে সব রাতে ...
এক পাগলী
আমাকে পাগল করার আগেই .........

জন্ম

ভয় নেই আকাশে ভেসে থেকে ...
কতবার পৃথিবী ঘুরে গেল আমাকে পেছনে রেখে ...
বিশ্বাস ছিল জলের কাছে মাটির কাছে স্নেহ চুম্বনে'র কাছে
ফিরে আসে প্রিয়'রা এভাবেই ,
এক রোগ্‌ এক মৃত্যু এক হাহাকারে
ভুলেছি জন্ম
ভুলেছি মৃত্যু
ভুলেছি দেশ কাল পিতৃ পরিচয় ...
যত ক্ষেদ ক্ষোভ সন্তান চুম্বন স্বাদ ঠোটে নিয়ে
খোলস বদলে'র খেলা ----










ইদানীং কিছু অদম্য ইচ্ছাশক্তির বিরুদ্ধে
মাথা নত হয়ে যায় অহরহ '
সে ভুল করলেও ধরিয়ে দেবার অনীহা --
সূর্য ডোবে পুনরায় ভেসে ওঠার অপেক্ষায় -
আমি ডুবে গেলেই অন্ধকারে
কবিতার খাতা খুঁজে পাই প্রেম !





দ্বিস্বত্বাধিকারী -----------

অন্তুনিহিত কিছু রূপান্তরে আমি কাঠখড়
পুরুষ ;এবার নারীর মর্যাদায় খুঁজে দ্যাখো ।
স্মরণাতীত কাল ধরে গর্ভ ভ্রূণে প্রজ্ঞান এঁকেছেন মাতৃছবি , 

উপেক্ষিত পুরুষের মাতৃযোগ । শরীর সংস্থাপনে'ই পূর্ণতা
গহ্বরে'র কোষের , অথচ আমরা ---

স্ফীত স্তন ব্যাতিরেখে মা ; আমাকে অক্ষম করেছো সৃষ্টিতে
বলেই কি অনুভূতি শক্তিহীন আফিম আসক্ত ভ্যাপা সন্ধ্যা শুধু
আমার মনন ! যে বীজ খেলা করে জঠরের প্রান্তদেশ হতে
মাঝমাঠ তিনশত দিন , তুমি শারীরিক অনুভাবক
মানবিক আমার হৃদ ।

অধিকার জুড়ে নিয়মে পাওনা নাড়ীর যোগ আর কিছু ব্যথা সম্বলের
অণুক্ষণ স্মৃতি তোমার , আর মধ্যস্ততাকারি আমার ভূমিকা !
যুগান্তধরে'ই সর্বশক্তিমানকে ডেকে'ই সৃষ্টির মধুময়তায়
রাঙিয়েছিলাম পঞ্জিকার রতিকাল মাধুরী অন্বেষণে ;
সমপাপে সম ভোগী , বিরাজিত সৃষ্টি সাম্যদিশার পথপ্রদর্শক ,
আমাদের সৃষ্টি গৌরবান্নিত করেছো তুমি
অধিকারে মা হয়নি বটে হৃদয় জুড়ে মা'কেই পাবে ।

"" আমি যদি ভুল হই বাবা'রাই বলতে পারবেন সঠিক কথা ''










নবকেতন

কেননা বিপর্যয় ঘটে গেছে বৃষ্টিতে , সমগ্র রাত
নিঃশব্দে বিপ্লব কবিতার খাতা জুড়ে ; বহুত
ইন্ধন ছিল এখানে বিলুপ্তি হবার ! মর'লেই উৎসব

পার্থিব - অপার্থিব সাম্রাজ্যে সমূহ উৎসাহে ।
কিছু জন্ম যেন বেঁচে থাকে ভোগের ছন্দ তরান্বিত
করা অবধি , ফিরে যাবার সময় বোঝেন জন্মটা
বৃথায় গেল চলে ; নিজের জন্য কিচ্ছু করা হ'ল না
অবশেষে !

এখানে চেনাজানা এত মানুষ , পথ , গন্তব্য , ইচ্ছাধীন
অনিচ্ছাধীন সুখী থাকার প্ররোচনা শিকড়বাকড়ের
সংগৃহীত অস্তিত্ব আর অখণ্ড একটা জীবন নিয়ে --
ওহে জীবন তবুও বৃষ্টিহীন ফসল পোড়া কান্না !

এখানে বিপর্যয় ঘটে যাচ্ছে রোজ রাতে স্বেচ্ছায় অনিচ্ছায় ;
মন্ত্রগুপ্তি পাঠরত সমগ্র প্রয়াসে এবার নবজাগরণ ,
বিষাদের দিনপাত শেষে অপরূপ সুস্থতায় রেখে গিয়ে জীবন
মরণের ঘরে'ই সৃষ্টির নবকেতন -- বার বার এখনও -----










লাল টকটকে আঙুর ফলের দিকেই
যুগপৎ বিষাদ দৃষ্টি ; সকলের প্রদত্ত
অঙ্গুলি হেলনে'র বিরুদ্ধে স্থির থাকতে
পারলে -- তুমি বলিষ্ঠ মেয়ে !







মাকড়সা

আস্তিন গুঁটিয়ে কিছু মাকড়সা খেলা করে ;
আমি যাচ্ছি না
ছাড়ছিনা আমার অধিকার

সঙ্গম মনে ---
শরীর ক্ষয় মানে , আমি প্রতীক , প্রেমের ।

কিছু শিল্প জীবন দিয়ে আঁকতে হয় ,
শরীর নশ্বর
পা গিলছে যখন উত্তেজনায় কাঁপছে শরীর , এবার
ধিরে ধিরে শরীর , এবার
ভুলে যাবে জন্ম , মৃত্যু ,
আমি প্রেমিক ।

যখন স্থির পৃথিবী
দুই চারটে ডানা পায়ের টুকরো ছড়ানো ছিটানো
তখন মনে পড়ে
কে তোমার সোহাগী ?
অমৃতলোকে
ভিক্ষামাগে দ্বিতীয় জীবনের প্রত্যাশায় ।
আবার ক্ষয় , আবার নির্বাণ , আবার মৃত্যু , আবার প্রেম ,
তবুও
ক্ষয়ে ক্ষয়ে
উঠে দাঁড়াবে দ্বিতীয় জীবনে , ক্ষয় ভালোবেসে !










যদি ছেড়ে যেতে চাই
পথ করে দিও বন্ধু ;
যদি ভাসতে চাই , সাঁতার শিখিয়ে দিও বন্ধু ।
যদি মরতে চাই---
ফিরবার ঠিকানায় তুমিই থেকো বন্ধু !





উপভোগ

আমাকে আগলে রেখো আরো কিছু সময় তোমার
যুগল স্তনবৃন্তে ,
অমৃতের স্বাদ লেগে থাকা ধূলিময় গেরুরা গোধূলি

শুধু স্বপ্ন নয়
আমার আরো একটা আস্ত সত্ত্বা,আগলে রাখো
বিনুনি নদী চুলে ;

যে দিকেই ঢাকের বাদ্য বাজনা শুনি , সে তো শুধু শব্দ নয় ,
রণডঙ্কা , ১৮ অক্ষহনি হ'য় বাহিনী আসছে ধেয়ে
১৯ দিবস কুরুক্ষেত্র সমরে আমাকে করেছে সেনাপতি...
আমি তোমার নাভিদেশ স্পর্শ করবো এখন
মেপে নিয়ে শরীরের উষ্ণতা , কোষে কোষে জিনের আবেদন নিয়ে বলবো
আমি দুর্যোধন বংশধর
দ্বৈপায়ন হ্রদে লুকিয়ে থাকবো না আজীবন , আয় তুই , দাড়িয়ে আছি
মাথা সোজা করে
বধ কর আমাকে...... দাড়িয়ে আছি মৃত্যু কামনায় !

মৃত্যু আরো দুদণ্ড সময় ভিক্ষা মাগি...
প্রিয়তমা , এই কুরুক্ষেত্রে জয় পরাজয় সব মিথ্যা অভিনয়
রোজ মরছি মনে মনে প্রেমে অপ্রেমে , দন্দে ধন্দে
রোজ মরে মননে মননে স্বপনে জাগরণে" দ্রোণে "
নেই কোন আক্ষেপ আর কোন মৃত্যু তে ,
শুধু শেষ অনুনয়ে তোমার জরায়ু গর্ভে নব দূর্বাদল শ্যাম রেখে
যেতে পারলে মৃত্যু টা উপভোগ করা যেতো বেশ !










স্নান ঘর

নির্দ্বিধায় বলছি লুণ্ঠিত হতে এসেছি , তোমার স্নানঘরে !
অপারগতার সমস্ত বিভ্রাম কাটিয়ে স্নান কল্পে
এবার নিঃস্ব , বেলা ফিরেছে ঘরে আর অবগাহনের

এই সমাপ্তিপর্বে তালুতে রাখবো এবার ভবিষ্যৎ !

প্রত্যহিক তোমার দুঃসাহসী দৃষ্টিক্ষেপণে এক একটা অঙ্গ হনন ,
কিম্বা হৃদয়ের লাল কার্পেট পেতে যার প্রতীক্ষায়
তার ফিরবার ইচ্ছাশক্তি থাক তোমার মনে ,
শালিকের ডানায় যে ক্ষণিকের বৃষ্টি'র অনুতাপ লাগে ---
এসো আমারাও সর্বশেষ অনুতাপে দগ্ধ হই

বলবো না আমি বিদেহী আত্মার অনুরোধে হৃদয় কেটেছি ,
ছিন্ন করেছি সমগ্র অস্তিত্বের নেশাতুর বন্ধন এই মাঘে ,
আমি তো সেই পুরুষ , যার কামনার রঙ্গে রাঙ্গা হয় বনস্পতি
বৃক্ষের ফল গড়ে ওঠে ফসলের সুমহান ঐতিহ্য ;
আর দ্যাখো , আমার অক্ষত বুকে সমস্ত নদীর ঢেউ
ভুলে যায় তারা জীবনের গতিপথ , ভালোবেসে ;

শোন প্রথম অনুরাগ , আমি প্রসিদ্ধ হয়েছি অনন্তে --
রাত্রির বুকে লেখা আছে আমার চর পরিচয় ;
জীবনের বহিঃমূলে যতখানি সম্মুখের ঘরোয়া পরিচয়ে পরিচিত
আর চেয়ে ঢের বেশী লুক্কায়িত চাঁদের গহ্বরে'র মত
বস্তুত দৃশ্যিত বাস্তবে এক স্বপ্ন সাগর ;

ভুলে গেছো তুমি , সমস্ত সমুদ্র পথ ঈশানের মেঘ রক্তিম
হলে পরে - আমি পুরুষ ; বাহুবলী অধিকারে নারীয়ে পেয়েছি যতো
তার থেকেও অনেক বেশিবার বিলীন হয়েছে সৃষ্টি বুকে
ভালোবেসে - নিজেকে পুড়াতে ভালবেসে !
আজ নির্দ্বিধায় বলছি -- পৃথিবীর সমস্ত লোকাচারে আমার অনন্ত রূপ
যে পেয়েছে সে ভুলেছে সব অধিকার ---
সপাট বন্ধ করে দ্যাখো স্নান ঘরের দরজা , -- দ্যাখো দ্যাখ ---
তুমি সত্যি বল




বৃষ্টি'তে শুয়ে আছি ফসলের বুকে

এখনও বুঝিনি কারে ঠিক ভালোবাসা বলে
আর্ত ঠোঁটের কোন অভিমুখে ভালোবাসা ঝরে পরে ;
চিৎ হয়ে শুয়ে থেকে দিগম্বরী ধানের গুচ্ছের মাঝে

কত হাওয়া চুপিসারে কঙ্কণ বাঁজায় মনে ;

মুহূর্তরা এসে হঠাৎ বাড়িয়ে দিয়েছে কিছু নাম ,
আমিও চোখ বন্ধ করে ফেলি কান পেতে পাতালের
শ্বাস শুনি ; মনে রাখিনি ছেড়া চপ্পলের গতিপথ ,
মনেও রাখিনি কোন দাবীদাওয়া , তবুও র্মোহি
অহংকারে জেগে ওঠে পিছুটান !

সেবার বৃষ্টি আসে মাঠকে মাঠ আমনের ক্ষেত জুড়ে ,
সমস্ত দুঃস্মৃতিকে ভুলে বৃষ্টিতে ফসলের সংসার --
বুঝিনি এখনও কাকে বৃষ্টি বলে কাকে ভালোবাসা







ব্যক্তিগত

আমাকে আস্কারা দিও না তুমি ---
সব জটিল সমীকরণ -- তারপর মনস্তাপ
পুনশ্চঃ উদ্গিরন সঙ্ঘবদ্ধ ভয়ঙ্কর অতীত 

খণ্ডকৃত দুপুর নূপুর ঝঙ্কার !
তার চেয়ে তস্কর থাকি , তস্কর থাকি লাবণ্যর --
সুমহান রাত্রের ,
নিষিদ্ধ হয়ে গেলেও আমার কাছে আমি
সেই চোখ , সেই চোখ খুলে রেখো তুমি , আমিও
সর্ষে পোকা হয়ে যদি না কাঁদিয়ে দিতে পারি ---
খুলে রেখো চোখ তুমি !

অসম্ভব জ্বলে গেছে ,
জ্বলে গেছে অস্থি মজ্জা সুসম্নাকাণ্ডময় ভাতের থালা ,
আর এগিয় না ;
নাছোড়বান্দা জেদ ছাড়ো , অশরীরীর পূর্বজন্ম নেই -
মৃত্যু নেই ,
শুধুই পাণ্ডুলিপি'তে
লিপিবদ্ধ আমিত্ব তুমিত্ব আর ব্যক্তিগত সরল স্বীকারোক্তি ;

আর কোন প্রেমের বৃষ্টি নয় আকাশে ---
এখন শুধু জোঁকের মত রক্ত চুষে নাও ব্যক্তিগত
























































































No comments:

Post a Comment