মারীচ সংবাদ
অসচ্ছ প্রস্তাবে কিছু মারীচ এলো ।
দৃশ্যত গৃহীত হল রাময়ণের উপাখ্যান শ্বাসরোধী
কৃতকল্পে , বিস্তৃত বন বনস্থলী ঘুম ভাঙ্গা পাখিদের
আর্ত চিৎকারে সমৃদ্ধ হোল বেদনার রঙ --
গাঢ় অভিমানে রক্তিম হোল কপোল ।
বস্তুত , বায়ুর প্রাবল্যহেতু চিরতরের শ্লেষ্মার আগমন ,
বস্তুত , শরীরের নরম মেধের নিচে পারমাণবিক
ধ্বংসাত্মক অঞ্চল , ক্ষণজীবী পথিকের সমস্ত দ্বেষ
ধারন করে আছে নাটকের কংশ চরিত্রের মেকাপে ।
স্বয়ংসম্পূর্ণ এই সব দৃশ্য একাঙ্ক নাটক সৃষ্টি করলে
রাতের নির্জনতায় আকাশ পথের মিটমিট জালিকা বিন্যাস
স্মিত হেসে বলে তুই থাক ।তখন ঢের শব দৃঢ় ঘোষণায় বলেন
হে জল হে সুনীল হে তেত্রিশ কোটি জলস্থল অন্তরীক্ষের
দেবদেবীগণ যদিও মুখের আদল তোমার মতন নয়
যদিও অপূরণীয় পিপাসার গহন অন্তরালে লীন হয়ে আছে
আত্মা , তবুও কি শবে প্রাণ ছিল না ? অনেকবার ভুল
পদক্ষেপের পর ম্যাচিং অর্ডার দেন রেফারী ! তুমি ?
এই সমস্ত পল্লবিত চিন্তা স্থির থেকে একদিন আলোড়ন
সৃষ্টি ক'রে তখন যে যার মনস্তাত্ত্বিক আক্ষেপ নিয়ে
ইতস্তত ঈশ্বর ঘর ফেলে শ্মশানমুখী কি জানি জীবনের কি
সব কথা বলতে বলতে এগিয়ে চলে
গাঢ় অভিমানে রক্তিম হোল কপোল ।
বস্তুত , বায়ুর প্রাবল্যহেতু চিরতরের শ্লেষ্মার আগমন ,
বস্তুত , শরীরের নরম মেধের নিচে পারমাণবিক
ধ্বংসাত্মক অঞ্চল , ক্ষণজীবী পথিকের সমস্ত দ্বেষ
ধারন করে আছে নাটকের কংশ চরিত্রের মেকাপে ।
স্বয়ংসম্পূর্ণ এই সব দৃশ্য একাঙ্ক নাটক সৃষ্টি করলে
রাতের নির্জনতায় আকাশ পথের মিটমিট জালিকা বিন্যাস
স্মিত হেসে বলে তুই থাক ।তখন ঢের শব দৃঢ় ঘোষণায় বলেন
হে জল হে সুনীল হে তেত্রিশ কোটি জলস্থল অন্তরীক্ষের
দেবদেবীগণ যদিও মুখের আদল তোমার মতন নয়
যদিও অপূরণীয় পিপাসার গহন অন্তরালে লীন হয়ে আছে
আত্মা , তবুও কি শবে প্রাণ ছিল না ? অনেকবার ভুল
পদক্ষেপের পর ম্যাচিং অর্ডার দেন রেফারী ! তুমি ?
এই সমস্ত পল্লবিত চিন্তা স্থির থেকে একদিন আলোড়ন
সৃষ্টি ক'রে তখন যে যার মনস্তাত্ত্বিক আক্ষেপ নিয়ে
ইতস্তত ঈশ্বর ঘর ফেলে শ্মশানমুখী কি জানি জীবনের কি
সব কথা বলতে বলতে এগিয়ে চলে
জাতক কাল
মুছে গেছে সহস্র সহবাসের অম্লান অধ্যায়
রতিবিহঙ্গিনি আদুরে পল
ঘাম জলীয় বাষ্প সিঁদুরে মেঘের কাল ।
তবে থামলে কেন ?
সপ্তসাগরের অনুশাসনহীন তরঙ্গিত সফেন
রাত্রির মুদ্রার থেকেও প্রভূত শক্তিশালী , নাবিক জানেন
দিকভ্রম শুধুই শারীরিক কলার নির্দেশিত পথ নয়
আর অনন্ত কিছু পিপাসা আছে
সে সমুদ্র বল গাঢ় হিমালয়ের সর্বচ্চ শিখরে বল ।
কতখানি বেদনা আছে - যা ক্ষিদের চেয়েও সর্বাত্মক ক্ষতিকারক ?
যে আগুনে পাখনা পোড়ে পতঙ্গের
সেই আগুনই জ্বালিয়ে রাখে মালসা আঁতুড় ঘরে
আমাদের জন্মের আগে , জন্মের পড়ে থেকেই লালসা আত্মা
শর্তসাপক্ষে কিছু অনুমতি দেয় মায়ের স্তনে দুধ খেতে --
এই অভ্যাস ভুলে যেতে হয় একদিন , জ্বরের সময়ের প্রলাপ
মনে রাখলে আবার সেই জ্বর জ্বর অনুভব
এসব ভুল সময়গুলো আমাদের নিয়ন্ত্রানাধিন বলে
মারাত্মক ব্যাধিকালে নেশানাভি হোক প্রলুব্ধ বুকের ভুত
সবই পালানোর পথ খোঁজে মনের সীমানা ছেড়ে
সপ্তসাগরের অনুশাসনহীন তরঙ্গিত সফেন
রাত্রির মুদ্রার থেকেও প্রভূত শক্তিশালী , নাবিক জানেন
দিকভ্রম শুধুই শারীরিক কলার নির্দেশিত পথ নয়
আর অনন্ত কিছু পিপাসা আছে
সে সমুদ্র বল গাঢ় হিমালয়ের সর্বচ্চ শিখরে বল ।
কতখানি বেদনা আছে - যা ক্ষিদের চেয়েও সর্বাত্মক ক্ষতিকারক ?
যে আগুনে পাখনা পোড়ে পতঙ্গের
সেই আগুনই জ্বালিয়ে রাখে মালসা আঁতুড় ঘরে
আমাদের জন্মের আগে , জন্মের পড়ে থেকেই লালসা আত্মা
শর্তসাপক্ষে কিছু অনুমতি দেয় মায়ের স্তনে দুধ খেতে --
এই অভ্যাস ভুলে যেতে হয় একদিন , জ্বরের সময়ের প্রলাপ
মনে রাখলে আবার সেই জ্বর জ্বর অনুভব
এসব ভুল সময়গুলো আমাদের নিয়ন্ত্রানাধিন বলে
মারাত্মক ব্যাধিকালে নেশানাভি হোক প্রলুব্ধ বুকের ভুত
সবই পালানোর পথ খোঁজে মনের সীমানা ছেড়ে
কৃপা করো
সব দৃষ্টি অন্ধ কারে দাও প্রভু ।
টিভির বিজ্জাপনের যুগে আমার মেয়ে বড় হচ্ছে
একটা নেকড়েও যদি ওত পেতে থাকে ?
পা গুলোকে ছোট করে দাও প্রভু ।
এরা জোরে দৌড়াচ্ছে মাটি থেকে ঊর্ধ্বলোকে
মানুষ কি এত্ত দৌড়াতে পারে ?
দ্যাখো , এখনও প্রাণ আছে প্রভু , ওর বুকে ।
তোমার কাশি বাড়ছে বুঝি পতন সম্মুখে ,
এ ভার আর তুমি বইতে পারবে না
হয় , সকলকে পুনরায় মানুষ করে দাও নচেৎ
ভেঙ্গে ফেল তোমার সাম্রাজ্য
বেহড আতলামি
অসংখ্য আত্মজীবনী হস্তান্তর যোগ্য জমি দলিল
জানালার ভেতরে রেখে এবার দেশন্তরি ; শুনেছি পূর্ববঙ্গেও
এসব ফেলে এসেছিলেন কেউ , কিন্তু তেমন ভাবে নয়
এবার দীর্ঘ যাত্রায় বেড়িয়ে যাচ্ছি ।
দেখেছি কিনা , পর্ণমোচীর উড়ে চলা পাতা গৃহস্ত ছায় ক্রমে ক্রমে
ঘুরতে ঘুরতে কি সব রূপান্তরের মধ্যে পড়ে মাটির উধঃতলের
নব্যতা বাড়িয়ে কি সমস্ত ফসল দিয়ে গেছে ;
কেউ কেউ বলেন পৃথিবীর কোন রূপান্তর নেই ,
বদলের দৃষ্টিতে যাকিছু পরিবর্তিত তা আমাদের দৃষ্টিভ্রম
যা কিছু সৃষ্টি করেছে পৃথিবী
তার সঠিক মাত্রার ব্যবহার জানে সে , অথচ এই রূপান্তরভেদ
যে সমস্ত দৃশ্যকল্প সৃষ্টি করে
সেখানেই আমার সমগ্র আগ্রহ । কেউ কি নিশ্চিত বলতে পারেন
আমি সৃষ্টি করেছি সন্তান ! পূর্বপুরুষের রক্তে আমি আছি ?
জীবনের রহস্য যারা জীবনের মধ্য খোঁজেন ব্যর্থতায়
ধ্বংসস্তূপ থেকে হাড় খোঁজেন বাঁদরের
তারা আপেক্ষিক কিছু বিষাদ বাড়িয়ে দিলে
ভাবি জীবনের সুঁড়িখানায় বেহড মাতাল হয়ে
কিছু সংখ্যাতত্ত্বের বোঝা বাড়িয়ে এই যে আজ পথে নেমেছি
সে সব কি আমারই ছিল ?
দেখেছি কিনা , পর্ণমোচীর উড়ে চলা পাতা গৃহস্ত ছায় ক্রমে ক্রমে
ঘুরতে ঘুরতে কি সব রূপান্তরের মধ্যে পড়ে মাটির উধঃতলের
নব্যতা বাড়িয়ে কি সমস্ত ফসল দিয়ে গেছে ;
কেউ কেউ বলেন পৃথিবীর কোন রূপান্তর নেই ,
বদলের দৃষ্টিতে যাকিছু পরিবর্তিত তা আমাদের দৃষ্টিভ্রম
যা কিছু সৃষ্টি করেছে পৃথিবী
তার সঠিক মাত্রার ব্যবহার জানে সে , অথচ এই রূপান্তরভেদ
যে সমস্ত দৃশ্যকল্প সৃষ্টি করে
সেখানেই আমার সমগ্র আগ্রহ । কেউ কি নিশ্চিত বলতে পারেন
আমি সৃষ্টি করেছি সন্তান ! পূর্বপুরুষের রক্তে আমি আছি ?
জীবনের রহস্য যারা জীবনের মধ্য খোঁজেন ব্যর্থতায়
ধ্বংসস্তূপ থেকে হাড় খোঁজেন বাঁদরের
তারা আপেক্ষিক কিছু বিষাদ বাড়িয়ে দিলে
ভাবি জীবনের সুঁড়িখানায় বেহড মাতাল হয়ে
কিছু সংখ্যাতত্ত্বের বোঝা বাড়িয়ে এই যে আজ পথে নেমেছি
সে সব কি আমারই ছিল ?
চণ্ডাল জন্ম
পিতৃদাহ করে যে ঘরে ফিরছিল
সে আসলে চণ্ডাল , সন্তান নয় ,
যিনি জন্ম দিয়েছেন তিনিই পারেন ভালোবাসা পোড়াতে ।
সন্তান চণ্ডাল প্রতিনিধি
যিনি নিজের মুখে নিজে আগুন না দিতে পারেন তিনিই চণ্ডাল !
যিনি আগুনে ভাত রান্না করে খাওয়ান তিনি ঝি ।
মুখ থেকে মুখে খাদ্য তুলে দেন মা
মা যখন রান্না করেন তখন তিনিও নিজেকে নিজে ঝি-ই ভাবেন
তখনই মা, মা হন
আমার তিন বছরের ছোট বোনের ঠোঁট থাকে যখন মায়ের প্রাণে ।
আমি সন্তান হয়ে উঠলেই স্ত্রী'র অধিকার সীমাবদ্ধ
স্ত্রী কিছুকাল অভিনয় করে
ফিরে গেলে দূরে নিস্তেজ কবর থেকে একটা ছেলেবেলা গন্ধ ওঠে
মায়েরই বোধহয়
পেশাদারী মঞ্চ থেকে আমিও ফিরে গেলে
কিছু চণ্ডালের জন্ম দিয়ে যায়
যিনি নিজের মুখে নিজে আগুন না দিতে পারেন তিনিই চণ্ডাল !
যিনি আগুনে ভাত রান্না করে খাওয়ান তিনি ঝি ।
মুখ থেকে মুখে খাদ্য তুলে দেন মা
মা যখন রান্না করেন তখন তিনিও নিজেকে নিজে ঝি-ই ভাবেন
তখনই মা, মা হন
আমার তিন বছরের ছোট বোনের ঠোঁট থাকে যখন মায়ের প্রাণে ।
আমি সন্তান হয়ে উঠলেই স্ত্রী'র অধিকার সীমাবদ্ধ
স্ত্রী কিছুকাল অভিনয় করে
ফিরে গেলে দূরে নিস্তেজ কবর থেকে একটা ছেলেবেলা গন্ধ ওঠে
মায়েরই বোধহয়
পেশাদারী মঞ্চ থেকে আমিও ফিরে গেলে
কিছু চণ্ডালের জন্ম দিয়ে যায়
পলায়নরত
পালিয়ে যাওয়া কোন মাধ্যমই নয় জীবনের
সৃষ্টিকুলে মাংসাশীরাই পালানোর জন্য প্রসিদ্ধ লাভ করেছে
কারন রক্তের উষ্ণতা রক্ত চেনে ,
আমার দাঁত যেহেতু ততোখানি ধারালো নয়
নখ দৃঢ় নয় খাবলে তুলবার জন্য
পায়ের পেশীও ঠিক চিতার মত সংগঠিত নয় যে
তুমি চোখ রাঙালেই ৮০ কিমি বেগে ছুটবো ।
পক্ষীদের দাঁত নেই বলে মিলন বেশী লড়াই কম
ঝাঁকে আসে ঝাঁকে চড়ে
আমি কেন তোমাকে ভয় পায় ?
তোমার দাঁত যদি শাকাহারি হয় , নখ যদি ভঙ্গুর
হাঁটুর গড়ন যদি আমারই মত , তবে আমি পালাই কেন ?
বিনিময় প্রথা যুগে পালাতাম- ফালাতাম না
সমস্ত সর্বনাশের মূলে প্রমিথিউস আর আগুন ,
ধাতব এলো , এলো বেড়ি , এলো মুদ্রা রাক্ষস
এখন , যদি বলি ভয় পায় না , পাটক্ষেতে আমার লাশ
জৈব সার হয়ে উর্বরতা বৃদ্ধি করবেই করবে
নখ দৃঢ় নয় খাবলে তুলবার জন্য
পায়ের পেশীও ঠিক চিতার মত সংগঠিত নয় যে
তুমি চোখ রাঙালেই ৮০ কিমি বেগে ছুটবো ।
পক্ষীদের দাঁত নেই বলে মিলন বেশী লড়াই কম
ঝাঁকে আসে ঝাঁকে চড়ে
আমি কেন তোমাকে ভয় পায় ?
তোমার দাঁত যদি শাকাহারি হয় , নখ যদি ভঙ্গুর
হাঁটুর গড়ন যদি আমারই মত , তবে আমি পালাই কেন ?
বিনিময় প্রথা যুগে পালাতাম- ফালাতাম না
সমস্ত সর্বনাশের মূলে প্রমিথিউস আর আগুন ,
ধাতব এলো , এলো বেড়ি , এলো মুদ্রা রাক্ষস
এখন , যদি বলি ভয় পায় না , পাটক্ষেতে আমার লাশ
জৈব সার হয়ে উর্বরতা বৃদ্ধি করবেই করবে
আয়ুরেখা
কিছুদিন আমরা চলি সটান আয়ু রেখা ধরে দু'জন
বাঁকে বাঁকে হাত ধরি , রাতের পেতকল্পে ভীত ঠোঁটে
এঁকেদি স্মৃতি চুম্বন ;
কোন রাতে রহস্য আসে কোন রাতে নারায়ণ ,
নীলপরীর ডানায় মেঘের সাম্রাজ্য বিদীর্ণ করে সমস্ত উত্তমাশা
সংসার গড়ে ভগ্নস্তূপ ভেঙ্গে ,
এইরূপ সর্বাধিক বিবিধ আয়েজন পূর্ণতার প্রাপ্তিনেশা শেষ
হতে না হতেই
মানচিত্রে জটিল লেখচিত্র
তোমাকে দাঁড়াতে বলে আয়ুরেখা ভাঙি ঝড়-জল-ঘূর্ণাবাত না মেনে ।
দাঁড়িয়ে থেকে ক্লান্ত হলে
চিরায়ত বসন্তভূমি থেকে ডাকপারি , প্রিয়তমা
পেয়েছি পথ
তুমিও পিছু তাকাতে তাকাতে পেছনের রণভূমি শস্যগোলা
হাঁসের বিষ্ঠা পেড়িয়ে আমবাগান বিবর দৃশ্যাবলি
অবশেষে খুঁজে পাই পথ , আয়ুরেখা নিয়ে চলি দু'জন সেই পথে
নীলপরীর ডানায় মেঘের সাম্রাজ্য বিদীর্ণ করে সমস্ত উত্তমাশা
সংসার গড়ে ভগ্নস্তূপ ভেঙ্গে ,
এইরূপ সর্বাধিক বিবিধ আয়েজন পূর্ণতার প্রাপ্তিনেশা শেষ
হতে না হতেই
মানচিত্রে জটিল লেখচিত্র
তোমাকে দাঁড়াতে বলে আয়ুরেখা ভাঙি ঝড়-জল-ঘূর্ণাবাত না মেনে ।
দাঁড়িয়ে থেকে ক্লান্ত হলে
চিরায়ত বসন্তভূমি থেকে ডাকপারি , প্রিয়তমা
পেয়েছি পথ
তুমিও পিছু তাকাতে তাকাতে পেছনের রণভূমি শস্যগোলা
হাঁসের বিষ্ঠা পেড়িয়ে আমবাগান বিবর দৃশ্যাবলি
অবশেষে খুঁজে পাই পথ , আয়ুরেখা নিয়ে চলি দু'জন সেই পথে
[নেশাগ্রস্থ সিরিজ ]
হেমন্ত
প্রহলিকা আসে প্রত্যেক আমন ধান কাটা রাত্রে ।
হেমন্তে ফসলের রব ওঠে মাঠের পর্দায়
জ্যোৎস্না খুলে দিলে সমস্ত বাঁধন
মাঠকে পাকা সোনা ঝলসে ওঠে , সমস্ত কলরব শান্ত হলে
ন্যাড়া জমিনের বুকফাটা ক্রন্দন
সুচেতনা , এক সময় আমি মানুষ ছিলাম , মায়ের জঠরের সেই
অপূরণীয় ক্ষতি পুষিয়ে দেবো ভেবেছিলাম --
তোমার নাভিপদ্ম থেকে উঠে আসা কুস্তুরিনাভ গন্ধে
বিশ্বাস করো সুচেতনা
কাস্তে ভুলেছি কোদালের হাতলে ঘামের দাম ভুলেছি
আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে যে বুভুক্ষনালী
এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে চাঁদ সূর্য জোয়ারভাটা বৃষ্টির হুল্লোড়
আমি চাইনি ; অথচ মরতেও চাইনি কোন অন্ধকার রাতে
গাব গাছে রশি বেঁধে জাঁতাকলে ইঁদুরের মত
অবশ্য বাঁচতেও চাইনি ডাঙ্গায় তোলা মাছের মত খাবি খেতে খেতে কিছুক্ষণ
মরে যাওয়া বেঁচে থাকার মধ্যবর্তী কোন শব্দ নেই - যে শব্দে
জীবনের মানে চেনাবে ; চুল্লুর ঠেক বল বিয়ারের ক্যান
ব্রান্ডেড সিগারেটের ছায়
সেই উষ্ণতা কৈ ? যা পেয়েছিলাম তেইশ বছর আগে জঠরে
মাঠকে পাকা সোনা ঝলসে ওঠে , সমস্ত কলরব শান্ত হলে
ন্যাড়া জমিনের বুকফাটা ক্রন্দন
সুচেতনা , এক সময় আমি মানুষ ছিলাম , মায়ের জঠরের সেই
অপূরণীয় ক্ষতি পুষিয়ে দেবো ভেবেছিলাম --
তোমার নাভিপদ্ম থেকে উঠে আসা কুস্তুরিনাভ গন্ধে
বিশ্বাস করো সুচেতনা
কাস্তে ভুলেছি কোদালের হাতলে ঘামের দাম ভুলেছি
আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে যে বুভুক্ষনালী
এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে চাঁদ সূর্য জোয়ারভাটা বৃষ্টির হুল্লোড়
আমি চাইনি ; অথচ মরতেও চাইনি কোন অন্ধকার রাতে
গাব গাছে রশি বেঁধে জাঁতাকলে ইঁদুরের মত
অবশ্য বাঁচতেও চাইনি ডাঙ্গায় তোলা মাছের মত খাবি খেতে খেতে কিছুক্ষণ
মরে যাওয়া বেঁচে থাকার মধ্যবর্তী কোন শব্দ নেই - যে শব্দে
জীবনের মানে চেনাবে ; চুল্লুর ঠেক বল বিয়ারের ক্যান
ব্রান্ডেড সিগারেটের ছায়
সেই উষ্ণতা কৈ ? যা পেয়েছিলাম তেইশ বছর আগে জঠরে
গাছ ও ভবিষ্যৎ
লম্বা যে সমস্ত গাছ পাহাড়ের গা বেঁয়ে উঠে পাহাড়
প্রতিদ্বন্দ্বী সে গুলো বাবা ;
বড়ই দর্শন সুখ ,
গাছের নিচে ছোট ছোট লতা গুল্ম নামহীন গাছ
পাহাড়ি ভেড়া চব্যচূষ্য পায়ে মাড়িয়ে দিলেও ক্ষানিক পরে
গা ঝাঁরা দিয়ে ওঠে
সে গুলো আমার মা ।
আমি , বড় বড় গাছের মধ্যে বাবাকে দেখতে পাই
প্রকাণ্ড শাখাপ্রশাখা নিয়ে বিস্তৃত প্রতিনিধি , প্রতিপালকের ,
আমার ছোটখাটো হা পা দিয়ে নাগাল পাই না তার
যত উৎপাত ঐ গুল্ম কে করি , সেও অকৃপণ হাসিমুখে
আমাকে মান্যতা দেয় ।
যেহেতু , বাবা বড় গাছ - সেহেতু ঝড়-ঝাঁপটা নাকি তাকেই সইতে হয় বেশী
ইদানীং মাঝে মধ্যে দেখা হয় তার সাথে
কি সব কুশল বিনিময় হয়
এর পর ঘরের দরজা বন্দ হয়
বুঝি , খাড়া পায়ে দাড়িয়ে থাকতে গেলে গাছের জল হাওয়ার দিকেই
মনোনিবেশ করতে হয় বেশি , শেকড়ের দিকে নয় !
গাছ কি টের পায় ? সমস্ত বাড়বাড়ন্তি তার ইচ্ছাধীনে হলেও
আমার এই অপলক মুগ্ধতা নিয়ে যদি না বলতাম
"গাছ আমি তোমায় ভালোবাসি "
এই মুগ্ধতার কথা সে শুনত কি অন্য মুখে ?
পাহাড়ি ভেড়া চব্যচূষ্য পায়ে মাড়িয়ে দিলেও ক্ষানিক পরে
গা ঝাঁরা দিয়ে ওঠে
সে গুলো আমার মা ।
আমি , বড় বড় গাছের মধ্যে বাবাকে দেখতে পাই
প্রকাণ্ড শাখাপ্রশাখা নিয়ে বিস্তৃত প্রতিনিধি , প্রতিপালকের ,
আমার ছোটখাটো হা পা দিয়ে নাগাল পাই না তার
যত উৎপাত ঐ গুল্ম কে করি , সেও অকৃপণ হাসিমুখে
আমাকে মান্যতা দেয় ।
যেহেতু , বাবা বড় গাছ - সেহেতু ঝড়-ঝাঁপটা নাকি তাকেই সইতে হয় বেশী
ইদানীং মাঝে মধ্যে দেখা হয় তার সাথে
কি সব কুশল বিনিময় হয়
এর পর ঘরের দরজা বন্দ হয়
বুঝি , খাড়া পায়ে দাড়িয়ে থাকতে গেলে গাছের জল হাওয়ার দিকেই
মনোনিবেশ করতে হয় বেশি , শেকড়ের দিকে নয় !
গাছ কি টের পায় ? সমস্ত বাড়বাড়ন্তি তার ইচ্ছাধীনে হলেও
আমার এই অপলক মুগ্ধতা নিয়ে যদি না বলতাম
"গাছ আমি তোমায় ভালোবাসি "
এই মুগ্ধতার কথা সে শুনত কি অন্য মুখে ?
বেঁচে থাকে শব্দ
আবারো বিভাজন ভুলে রাস্তা খোঁজে পরিজন ।
অবিন্যস্ত চাঁদের কলা ভেঙ্গে গৃহস্ত দিনকাল উদাসী হলে
মুঠো জ্যোৎস্নায় যেসব জোনাকি জীবনের পথ খোঁজে
উল্টো স্রোতে
তারা যথেষ্ট ভুঁইফোঁড় । তবুও
মোহময়ী এই সব আলো নিভে গেলে পড়ে থাকে বীতশোক
চণ্ডাল ব্যাধি , ওদিকে হরিণীমেধ স্বর্ণালংকার মারীচ তৃষ্ণা
বহুত চাহিদা খেয়ে নিলে
কিছু উৎপাদনশীল দীর্ঘশ্বাস পালানোর পথ খোঁজে ।
কি ভাবে লেখা হয় সময়ের গান ? রণভূমির কোন হাসনুহানা
প্রেমের কথা বলে ? যে প্রেম চেনাবে !
পাকদণ্ডী বেঁয়ে লালসা নাভির দিকে চরৈবেতি
আত্মশুদ্ধি , বিড়ালের নিরামিষাশী অহংকার ---
শব্দ ভেঙ্গে ওম ব্রহ্মা শব্দের বুৎপত্তিগত উৎপত্তি -- অতএবঃ
শব্দ বেঁচে থাকে ব্রহ্ম নয়
তারা যথেষ্ট ভুঁইফোঁড় । তবুও
মোহময়ী এই সব আলো নিভে গেলে পড়ে থাকে বীতশোক
চণ্ডাল ব্যাধি , ওদিকে হরিণীমেধ স্বর্ণালংকার মারীচ তৃষ্ণা
বহুত চাহিদা খেয়ে নিলে
কিছু উৎপাদনশীল দীর্ঘশ্বাস পালানোর পথ খোঁজে ।
কি ভাবে লেখা হয় সময়ের গান ? রণভূমির কোন হাসনুহানা
প্রেমের কথা বলে ? যে প্রেম চেনাবে !
পাকদণ্ডী বেঁয়ে লালসা নাভির দিকে চরৈবেতি
আত্মশুদ্ধি , বিড়ালের নিরামিষাশী অহংকার ---
শব্দ ভেঙ্গে ওম ব্রহ্মা শব্দের বুৎপত্তিগত উৎপত্তি -- অতএবঃ
শব্দ বেঁচে থাকে ব্রহ্ম নয়
দেবভাষা গৃহস্ত জীবনে
সুদর্শনের মত লক্ষ্য চেন ,
নিমগ্ন হও ,পাথরের খাঁজে সকল জন্ম দাগে দ্বৈপায়ন হ্রদের
সেই কি শূন্যতা ?
অন্তিম বাক্যে সমস্ত শিলালেখ দ্বিতীয় শ্রুতিধর কে দিয়ে
যাও , প্রজাপতি নিবান্ধব ক'রো
এবার সমগ্র প্রলাপ ভেঙ্গে দৈববাণী -- সে আসছে ।
প্রতিস্পর্ধী পায়ে সমান্তরাল অরণ্য খুঁজে নাও ,
দেবভাষা শিখে নিয়ে - সুদূরে কান পাত যথেষ্ট ঋষিবাক্য শোনার
সংযম গড়ে উঠুক অরণ্যর শিখর প্রদেশের মত ,
সনাতনী ঐতিহ্য মর্মোদ্ধার করে নাও অথবা
সর্বহন্তা অসুখ নিয়ে যিনি হেটেছিলেন বোধিবৃক্ষের দিকে
কান পেতে ধর তার অন্তরে ।
অলৌকিক যানে অদ্ভুত ক্ষিপ্ততায় পেত চিতা আগুন
উঠে পরে , শরীর দেবভূমি চ্যুত ----
সাদা পৃষ্ঠাতে লেখো অমর কাহিনী
যাও , প্রজাপতি নিবান্ধব ক'রো
এবার সমগ্র প্রলাপ ভেঙ্গে দৈববাণী -- সে আসছে ।
প্রতিস্পর্ধী পায়ে সমান্তরাল অরণ্য খুঁজে নাও ,
দেবভাষা শিখে নিয়ে - সুদূরে কান পাত যথেষ্ট ঋষিবাক্য শোনার
সংযম গড়ে উঠুক অরণ্যর শিখর প্রদেশের মত ,
সনাতনী ঐতিহ্য মর্মোদ্ধার করে নাও অথবা
সর্বহন্তা অসুখ নিয়ে যিনি হেটেছিলেন বোধিবৃক্ষের দিকে
কান পেতে ধর তার অন্তরে ।
অলৌকিক যানে অদ্ভুত ক্ষিপ্ততায় পেত চিতা আগুন
উঠে পরে , শরীর দেবভূমি চ্যুত ----
সাদা পৃষ্ঠাতে লেখো অমর কাহিনী
কি অপরূপ
সবই ছিল চেনা-অচেনা নাম নিয়ে
কবজকুণ্ডলীতে কাম খোঁজ পাবে বিশল্যকরণী ।
এসব পরস্পর বিরোধী মতামত ।
রহস্য প্রভূত উৎপাদনশীল ,
গলধঃকরন করে নিলে হলাহল সংগঠিত ঈশ্বর দেন
প্রজন্ম ধরে অমরত্বের বিজ্জাপন ,
আমরা এসব অলৌকিক জানি - আর সমস্ত অলৌকিক
ভানুমতী নচেৎ আমরাবতীশ্বর !
সৃষ্টি জঠর কঠোর নিয়মবর্তিতায় সুর তোলে
গাছপালা জোয়ারভাটা রোদের পরিচলন নিষিক্ত বেঁচে
জলের দামে ;
মার্জার জাতি দুধ পিপাসীরা স্তনে পৃথিবী ভেবে
ঢের ভুল ক'রে যখন পালায়নের পথ খোঁজেন , তখন
লম্বা লম্বা ফর্দ কি সব মাসকাবারি
পথ আটকে বলে " এবেলা যেতে দিচ্ছিনে " ,
বহিঃ নির্গমন অন্তঃনির্গমনের সমস্ত পথ খোলা --
শুধু একটা ধাক্কা চাই বদলের গাড়িতে উঠবার
গলধঃকরন করে নিলে হলাহল সংগঠিত ঈশ্বর দেন
প্রজন্ম ধরে অমরত্বের বিজ্জাপন ,
আমরা এসব অলৌকিক জানি - আর সমস্ত অলৌকিক
ভানুমতী নচেৎ আমরাবতীশ্বর !
সৃষ্টি জঠর কঠোর নিয়মবর্তিতায় সুর তোলে
গাছপালা জোয়ারভাটা রোদের পরিচলন নিষিক্ত বেঁচে
জলের দামে ;
মার্জার জাতি দুধ পিপাসীরা স্তনে পৃথিবী ভেবে
ঢের ভুল ক'রে যখন পালায়নের পথ খোঁজেন , তখন
লম্বা লম্বা ফর্দ কি সব মাসকাবারি
পথ আটকে বলে " এবেলা যেতে দিচ্ছিনে " ,
বহিঃ নির্গমন অন্তঃনির্গমনের সমস্ত পথ খোলা --
শুধু একটা ধাক্কা চাই বদলের গাড়িতে উঠবার
[নেশাগ্রস্থ সিরিজ ]
মোলায়ম সন্ধ্যা
ঠিক খাদ্যনালীকে ড্রিবল ক'রে
জলন্ত একটুকরো সূর্য ডুবে যায় হৃদপিণ্ডে ;
মহাজাগতিক স্পাই তসনস করে দেয় তামাম মানবিক সাম্রাজ্য
আমিও শালা জব্বার রহমান কসাই
মেধ পেলে বাপ'কেও ছারিনে -----
ও হরি ! ভেবেছিলাম নধরকান্তি মেধবহুল খাদ্য- খাদকের
কোন রসালো বস্তু
যা দেখে স্বয়ং মৃত্যু দেবতাও পথভুলে পিতৃগৃহে সম্বন্ধ গরেন
এ তো দিনরাত জ্বালিয়ে মারে -- মরণ
আমি তো শালা হিসাব ভিন্ন দ্বিতীয় কিছু বুঝি না !
আমার নামময় বাপের নামময় চোদ্দগুষ্ঠির নাম
জলের দরে বেঁচেছি এজলাসে ---
না , এ আমাকে ঘুমোতে দেবে না ,
শালা , প্রেমে পরাজিত নয় , অনেকবার প্রমান করেছেন স্ত্রী
সন্তান উৎপাদনে তিনি পারদর্শী নন - বছর বিয়ানো রত্নগর্ভা !
তবে ? এখন হাত কাঁপে , সরু গলা প্রস্তুত করি ফলার মুখে --
আগুন জ্বলে ওঠে হৃদয়ে
কাবা'তে ফজর শুরু হয়েছে বোধহয় ---
কোনদিকে কাবা ? চিনেছি কি কোনদিন ?
মহাজাগতিক স্পাই তসনস করে দেয় তামাম মানবিক সাম্রাজ্য
আমিও শালা জব্বার রহমান কসাই
মেধ পেলে বাপ'কেও ছারিনে -----
ও হরি ! ভেবেছিলাম নধরকান্তি মেধবহুল খাদ্য- খাদকের
কোন রসালো বস্তু
যা দেখে স্বয়ং মৃত্যু দেবতাও পথভুলে পিতৃগৃহে সম্বন্ধ গরেন
এ তো দিনরাত জ্বালিয়ে মারে -- মরণ
আমি তো শালা হিসাব ভিন্ন দ্বিতীয় কিছু বুঝি না !
আমার নামময় বাপের নামময় চোদ্দগুষ্ঠির নাম
জলের দরে বেঁচেছি এজলাসে ---
না , এ আমাকে ঘুমোতে দেবে না ,
শালা , প্রেমে পরাজিত নয় , অনেকবার প্রমান করেছেন স্ত্রী
সন্তান উৎপাদনে তিনি পারদর্শী নন - বছর বিয়ানো রত্নগর্ভা !
তবে ? এখন হাত কাঁপে , সরু গলা প্রস্তুত করি ফলার মুখে --
আগুন জ্বলে ওঠে হৃদয়ে
কাবা'তে ফজর শুরু হয়েছে বোধহয় ---
কোনদিকে কাবা ? চিনেছি কি কোনদিন ?
[চতুর্দশপদী ]
সৃষ্টি দ্বার
বিনম্র উঠে গেছে গাছ-গাছালি পাখিদের ঘর-
সংসার , এক্ষুনি জখম ভরে নাও হৃদয়ের ,
ভয় নেই , আসমুদ্র-হিমালয় বিষের ফণায়
ভীত নয় , যতটুকু বিষ ঢেলেছিলে অভ্যান্তরে
তার চেয়ে আহরহ জ্বলেছি নিজ বিষে অন্তরের ।
দাবীহীন এ জীবন - সে তুমি নীলাম্বরী আঁচলে
যে দানপত্র লেখো - বা রাত্রির অবকাশে নাভির
উত্তাপে আঁক প্রাজন্মিক যে ভবিষ্যৎ পৌরুষে--
স্বপ্ন শ্যাম্পেনে আত্মসমর্পণ দাসখতে থাকুক
অন্য কেউ বহাল তবিয়তে , উত্তরীয়র ভোগী
অবতলে মাংস লোভ দ্বেষ মধ্যসত্তাভোগীর
নিদারুণ কলা প্রসিদ্ধ হয়েছে পর্যাপ্ত প্রাপ্তিতে ।
বিলিয়ে দিয়েছি সমগ্র সম্ভবনা রেসকোর্সের
সাইলক বিকালে , অপমৃত্যুতে খোলে সৃষ্টির দ্বার ---
ভয় নেই , আসমুদ্র-হিমালয় বিষের ফণায়
ভীত নয় , যতটুকু বিষ ঢেলেছিলে অভ্যান্তরে
তার চেয়ে আহরহ জ্বলেছি নিজ বিষে অন্তরের ।
দাবীহীন এ জীবন - সে তুমি নীলাম্বরী আঁচলে
যে দানপত্র লেখো - বা রাত্রির অবকাশে নাভির
উত্তাপে আঁক প্রাজন্মিক যে ভবিষ্যৎ পৌরুষে--
স্বপ্ন শ্যাম্পেনে আত্মসমর্পণ দাসখতে থাকুক
অন্য কেউ বহাল তবিয়তে , উত্তরীয়র ভোগী
অবতলে মাংস লোভ দ্বেষ মধ্যসত্তাভোগীর
নিদারুণ কলা প্রসিদ্ধ হয়েছে পর্যাপ্ত প্রাপ্তিতে ।
বিলিয়ে দিয়েছি সমগ্র সম্ভবনা রেসকোর্সের
সাইলক বিকালে , অপমৃত্যুতে খোলে সৃষ্টির দ্বার ---
[নেশাগ্রস্থ সিরিজ ]
আশ্চর্য মাছ
কিরূপ গন্ধ ছড়াও তুমি স্থল বিন্দুতে , প্রসিদ্ধ হলে
সোনালী আঁশের বর্ণচ্ছটা
জ্বালিয়ে দেয় পুরুষ মেধ ত্বরিত , আহা ,
অর্জুনও তির্যক চোখে তৃণ খোঁজেন
সেসব বুঝিনা আমি -----
চোখ চাই , ছোট মার্বেল গুলির মত
বাদামী মণি চাই ।
কথা শোন , কথা শোন মৎস্য কন্যা
প্রভূত পরাক্রমশালী অর্জুন বারবার তোমাকে বিদ্ধ করে
পুচ্ছ মস্তক ডিমের ভাগ পাই পঞ্চভুত
সেসব নেই আমার
মহাভারতের চরিত্র নই , এমনকি আর্য
বংশভুত রক্ত প্রবাহ নেই শরীরে , ম্লেচ্ছ , ম্লেচ্ছ ---
লুকিয়ে যেও না জলের গহন অন্ধকারে
ঢের প্রতীক্ষা সয়েছি ছাব্বিশ বছর বিশ্বাস করে
খাবো না তোমায় আমি ----
অলৌকিক জলে ভেসে যাবার আগে কিছু গন্ধ দাও
কিছু গন্ধ দাও -- কেটে যাবে কিছু আবর্তন আমার ।
জ্বালিয়ে দেয় পুরুষ মেধ ত্বরিত , আহা ,
অর্জুনও তির্যক চোখে তৃণ খোঁজেন
সেসব বুঝিনা আমি -----
চোখ চাই , ছোট মার্বেল গুলির মত
বাদামী মণি চাই ।
কথা শোন , কথা শোন মৎস্য কন্যা
প্রভূত পরাক্রমশালী অর্জুন বারবার তোমাকে বিদ্ধ করে
পুচ্ছ মস্তক ডিমের ভাগ পাই পঞ্চভুত
সেসব নেই আমার
মহাভারতের চরিত্র নই , এমনকি আর্য
বংশভুত রক্ত প্রবাহ নেই শরীরে , ম্লেচ্ছ , ম্লেচ্ছ ---
লুকিয়ে যেও না জলের গহন অন্ধকারে
ঢের প্রতীক্ষা সয়েছি ছাব্বিশ বছর বিশ্বাস করে
খাবো না তোমায় আমি ----
অলৌকিক জলে ভেসে যাবার আগে কিছু গন্ধ দাও
কিছু গন্ধ দাও -- কেটে যাবে কিছু আবর্তন আমার ।
চতুর্দশপদী
দিতে পারি নিতে কি সক্ষম
কতটুকু নেবে তুমি এই চেনা-অচেনা রঙ্গভূমি
দিতে পারি হৃদয়ের উষ্ণতা সমস্ত ভাটিয়ালি ।
কোন ইতিহাস নেই ব্যাঙ্ক লকারের স্বাদু গন্ধ ,
বিক্ষিপ্ত মঞ্চে আলোয় ক্ষণিকের স্বপ্ন , দ্যাখ লীলা
লেখা থাকে তাদের পরম্পরা , চারিদেকে চতুর
প্রেমের ভ্রুকুটি জ্বালাময়ী তেজে দেহের অধিক
আর কতই বা জ্বালাবে তুমি , বল ? সে বিপণন
নিঃস্ব যেদিন অথবা পণ্যে অন্য হাত,ভুলভ্রান্তি
যেসব ভাষা শেখাবে তুমি ? রাত জাগা চোখে ঘুম
ঘোড়ে প্রলাপ বকলে - আমি জানিয়ে দেবো নারীত্বে
আছি , নির্দ্বিধায় এসে আবৃত করো শরীর দোহে
মিতালী সঙ্গম করো গর্বিত অহংকার ভেঙ্গে
এ আমার জিত নয় পুরুষ নারীত্বের নিয়তি -
অভিমান আছে আহত হরিণীর নিষাদ বনে
বিক্ষিপ্ত মঞ্চে আলোয় ক্ষণিকের স্বপ্ন , দ্যাখ লীলা
লেখা থাকে তাদের পরম্পরা , চারিদেকে চতুর
প্রেমের ভ্রুকুটি জ্বালাময়ী তেজে দেহের অধিক
আর কতই বা জ্বালাবে তুমি , বল ? সে বিপণন
নিঃস্ব যেদিন অথবা পণ্যে অন্য হাত,ভুলভ্রান্তি
যেসব ভাষা শেখাবে তুমি ? রাত জাগা চোখে ঘুম
ঘোড়ে প্রলাপ বকলে - আমি জানিয়ে দেবো নারীত্বে
আছি , নির্দ্বিধায় এসে আবৃত করো শরীর দোহে
মিতালী সঙ্গম করো গর্বিত অহংকার ভেঙ্গে
এ আমার জিত নয় পুরুষ নারীত্বের নিয়তি -
অভিমান আছে আহত হরিণীর নিষাদ বনে
খেলা
প্রতিটি উত্তরণ অবতরণের সীমানা ধরে তুমি হেটে যাও
চতুষ্কোণে আলোর নব্যতা ছড়িয়ে তবুও বাদামী মণিতে
নিঃসঙ্গ আঁধারের ভ্রূকুটি ; কেন মেয়ে !
হিসাবে শুধুই প্রাগৈতিহাসিক থেকে সংখ্যা সংগ্রহে
আমি এতসত বুঝিনা
আরো ঘনিষ্ঠ করে পেলে বেশ হতো লালসা নাভি অথবা
ক্ষরণ কোষের আঁধার জনিত অধ্যায় !
প্রলয় এসো বিগগ্ধ তাপে , ক্ষরণে মরণের আগে
চুম্বক করে দাও শরীর , হৃদয় উত্তাপে গলে যাক
বিভেদের শীতলতা , অভিমানে রেখো না একটাও মেঘ ।
আত্মস্থ করে নিয়েছি জীবনে বাঁচার মন্ত্রধ্বনি ,
প্রসিদ্ধ হয়ে ওঠো জীবন , ধ্যানস্ত ঋষিকে ঘুমোতে দাও ,
নারী গন্ধের সান্নিধ্যে থেকে দূরে রাখো পুরুষে , উঠতি যুবকের
বুকে লিখে দাও অপূর্ব হেমলক থেকে থাকো দূরে !
মায়ার ঊর্ধ্বাতনে উঠে দেখেছি জব্বর বিশৃঙ্খল খেলা
উন্মেচিত বর্তমানে ভবিষ্যতের ছায়া ।
যুদ্ধ
চেতনা দ্বারা কিচ্ছু বোঝাইনা
অন্তঃচেতনা বহিঃচেতনা বললে তবুও কিছু মানে হয় ,
চেতনা একটা শামুক , অন্তঃচেতনা উপরের কঠিন খোলসের
অভ্যন্তরে থাকে থকথক কোমলতা নিয়ে
ওখান থেকে রামায়ণ রচিত হয়েছিল
শামুকের উপরে যে কঠিন ধাতবের মত পদার্থ
বহিঃচেতনা চেতনা বলে তাকে , ওখান থেকেই
সমস্ত যুদ্ধ সংগঠিত হয়
যুদ্ধ থামানোর উপাই এখনও আবিষ্কৃত হয়নি ।
মনে হয় - শামুক আমাদের ভয়ে ভীত হয়ে কাঠীনত্বে ঢেকেছেন নিজেকে --
আমার যদি রোজদিন ভালোবেসে আলত তেলের প্রলেপ লাগিয়েদি
প্রত্যেকদিন চুমু খাই
তবে একদিন কিছু যুদ্ধ কমলেও কমতে পারে !
ওখান থেকে রামায়ণ রচিত হয়েছিল
শামুকের উপরে যে কঠিন ধাতবের মত পদার্থ
বহিঃচেতনা চেতনা বলে তাকে , ওখান থেকেই
সমস্ত যুদ্ধ সংগঠিত হয়
যুদ্ধ থামানোর উপাই এখনও আবিষ্কৃত হয়নি ।
মনে হয় - শামুক আমাদের ভয়ে ভীত হয়ে কাঠীনত্বে ঢেকেছেন নিজেকে --
আমার যদি রোজদিন ভালোবেসে আলত তেলের প্রলেপ লাগিয়েদি
প্রত্যেকদিন চুমু খাই
তবে একদিন কিছু যুদ্ধ কমলেও কমতে পারে !
উলট পুরাণ
অর্জুন সারথি মথুরাপতি
বিস্তৃত খ্যাত-অখ্যাত যুগের মনস্তাত্ত্বিক বিভক্তিতে
কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের প্রাক্কালে অর্জুনের কানে সামরিক
সমাজতত্ত্ব নন্দনতত্ত্ব দৈহিকতত্ত্ব ইত্যাদি ইত্যাদি
মন্ত্রগুপ্তি পাঠ করালেন আমরা বললাম গীতা
সেই বাক্য গলধঃগ্রহন করে
অর্জুন ক্ষত্র তেজে ইতিহাস রচনা করলেন , সে ইতিহাস থাক ।
আবার ঐ দিকে রাধিকা'কে প্রেম শিখিয়ে এলেন
চরম উষ্ণতা শিখিয়ে এলেন
সে গল্প অন্যদিন ------
হাজার হাজার বছর পর নবদ্বীপে এক সোম্য
অন্ধ'জনে প্রেম বিলালেন
অশান্তির মাঝে উড়িয়ে দিলেন সাদা পায়রা
প্রথম জনের মুখ নিঃসৃত শব্দ থেকে মূল তৈরি হ'ল
যা ফুলে ফেঁপে পরিনত বৃক্ষ
প্রথম জনকে অবতার বলছি ------
দ্বিতীয় জনকেও অবতার বলছি ------- আশ্চর্য
দু'জনই এক'জন ( ধর্ম বিশ্বাসীরা তাই বলেন ) কিন্তু সময়ের সাথে
দুজনার বক্তব্যের কত অমিল -
তাহলে ----
সময়ই সব , আমারা পুতুল এবং দেবতারাও সময়ের পুতুল
সময়ই নিয়ন্ত্রণ করে মানুষকে দেবতাকেও
আজকের সত্য -- কালকের ভুল
মন্ত্রগুপ্তি পাঠ করালেন আমরা বললাম গীতা
সেই বাক্য গলধঃগ্রহন করে
অর্জুন ক্ষত্র তেজে ইতিহাস রচনা করলেন , সে ইতিহাস থাক ।
আবার ঐ দিকে রাধিকা'কে প্রেম শিখিয়ে এলেন
চরম উষ্ণতা শিখিয়ে এলেন
সে গল্প অন্যদিন ------
হাজার হাজার বছর পর নবদ্বীপে এক সোম্য
অন্ধ'জনে প্রেম বিলালেন
অশান্তির মাঝে উড়িয়ে দিলেন সাদা পায়রা
প্রথম জনের মুখ নিঃসৃত শব্দ থেকে মূল তৈরি হ'ল
যা ফুলে ফেঁপে পরিনত বৃক্ষ
প্রথম জনকে অবতার বলছি ------
দ্বিতীয় জনকেও অবতার বলছি ------- আশ্চর্য
দু'জনই এক'জন ( ধর্ম বিশ্বাসীরা তাই বলেন ) কিন্তু সময়ের সাথে
দুজনার বক্তব্যের কত অমিল -
তাহলে ----
সময়ই সব , আমারা পুতুল এবং দেবতারাও সময়ের পুতুল
সময়ই নিয়ন্ত্রণ করে মানুষকে দেবতাকেও
আজকের সত্য -- কালকের ভুল
ভাগচাষী
দেখেছ সমস্ত সম্ভবনা আর ব্যর্থতা পাশাপাশি ধূলিকণায় ।
সমস্ত প্রলয় নিয়ে উগ্রতা ছড়াই সময় তোমার পথে ,
লিপিবদ্ধ হয় সব গোপন তথ্য কোথাও নৈশ আঁধারে
রেটিনায় কি সব ক্ষরণ নিয়ে বিসর্জনের দিন ভাসে ।
পৌষ শ্রাবণ একপথে গলাগলি পথ খোঁজে
প্রতিপদে সম্মোহন কালাজাদু কৌতুক করে
পার্থিব জনজোয়ারে প্রতিটি মুখকে উজ্জ্বল ধ্রুবক ধরে
জীবনটাকে দূষিত বজ্যর অনুকরণে নিক্ষেপ করেও - দেখ
এক আকাশ তারা নিবিড় পাশাপাশি তবুও সাথি নয় ।
গাঢ় অশ্রুপংক্তি হিসাব রাখে অতীতের সব অশ্রুপংক্তি
অনন্ত বেদনায় পোড়া মাটি দিয়ে কোন মূর্তি তৈরি হবে
যে ভুলে যেতে বলবে নীরব অশ্রুবিন্দুর পতনের দিন ?
সমগ্র অস্তিত্ব প্রকট হল কর্ণ জীবনে
তারাখসার রূপবান ক্ষণে তোমাকে চাইবার সময়
উন্মেচিত হয়ে বলে গেল ---
নীরব অঞ্জলি যা কিছু ছিল সে বেলা তোমার বধির
আত্মসম্মানের অন্তরালে
ভাগচাষীর মর্যাদায় কিছু তো ফেরত দেবে তুমি !
পৌষ শ্রাবণ একপথে গলাগলি পথ খোঁজে
প্রতিপদে সম্মোহন কালাজাদু কৌতুক করে
পার্থিব জনজোয়ারে প্রতিটি মুখকে উজ্জ্বল ধ্রুবক ধরে
জীবনটাকে দূষিত বজ্যর অনুকরণে নিক্ষেপ করেও - দেখ
এক আকাশ তারা নিবিড় পাশাপাশি তবুও সাথি নয় ।
গাঢ় অশ্রুপংক্তি হিসাব রাখে অতীতের সব অশ্রুপংক্তি
অনন্ত বেদনায় পোড়া মাটি দিয়ে কোন মূর্তি তৈরি হবে
যে ভুলে যেতে বলবে নীরব অশ্রুবিন্দুর পতনের দিন ?
সমগ্র অস্তিত্ব প্রকট হল কর্ণ জীবনে
তারাখসার রূপবান ক্ষণে তোমাকে চাইবার সময়
উন্মেচিত হয়ে বলে গেল ---
নীরব অঞ্জলি যা কিছু ছিল সে বেলা তোমার বধির
আত্মসম্মানের অন্তরালে
ভাগচাষীর মর্যাদায় কিছু তো ফেরত দেবে তুমি !
মাইক
তথাগত শব্দ দিয়ে বুদ্ধ'কে বোঝায়
বুদ্ধ দ্বারা তথাগত বোঝায় না ,
বুদ্ধ গৌতম ছিলেন যখন , তথাগত শব্দ তখনও ছিল
বুদ্ধ জন্মের আগেও ছিল এমনকি পড়েও
তাহলে কি দারাল -----
শব্দ দ্বারা মানুষ বোঝায় , মানুষ দ্বারা শব্দ নয়
তাহলে শব্দ মানুষের আগে এসেছে পৃথিবীতে
তারপর বুদ্ধ মহম্মদ কৃষ্ণ এরা সকলে
তার পর আমরা
তথাগত কিছু বাণী দিলেন
" দুঃখ আছে , দুঃখ উপশমের উপাই আছে '' , ধ্বনিগত
কিছু শব্দ --
মানে তথাগত বলার আগেও আমরা জানতাম , মানে কেউ জানতেন
তাহলে তথাগত যা বললেন -- তা তার কথা নয় --
তাহলে তথাগত একটা মাইক
মাইকের দ্বারা তিনি সকলকে শোনালেন
অতএব , এবার দাঁড়াচ্ছে টা কি ?
তুমিও মাইক হলে একদিন তথাগত হবে
তাহলে কি দারাল -----
শব্দ দ্বারা মানুষ বোঝায় , মানুষ দ্বারা শব্দ নয়
তাহলে শব্দ মানুষের আগে এসেছে পৃথিবীতে
তারপর বুদ্ধ মহম্মদ কৃষ্ণ এরা সকলে
তার পর আমরা
তথাগত কিছু বাণী দিলেন
" দুঃখ আছে , দুঃখ উপশমের উপাই আছে '' , ধ্বনিগত
কিছু শব্দ --
মানে তথাগত বলার আগেও আমরা জানতাম , মানে কেউ জানতেন
তাহলে তথাগত যা বললেন -- তা তার কথা নয় --
তাহলে তথাগত একটা মাইক
মাইকের দ্বারা তিনি সকলকে শোনালেন
অতএব , এবার দাঁড়াচ্ছে টা কি ?
তুমিও মাইক হলে একদিন তথাগত হবে
অন্তরালে
তুমি যে কেবলি করাঘাত ক'রো দরজায় , জানি
কেন ! দেবীরাও এই ব্যাধি থেকে মুক্ত নয় সেই তো
প্রাচীন কালে হস্তীমুণ্ডু সেই কথা বলে !
যদিও আড়ালে যাও চলে , বহিঃদৃশ্যে একটা শোক ওঠে
আমার , অপার মমতাময়ী সে হাতে বিলিয়ান ট্রিলিয়ান
কোম্পানির জনসংযোগ , হ্যালো , "আমি রেশমি বলুন
স্যার কি করতে পারি ? "
নিস্তারলাভের সমস্ত দৃশ্যাবলী তোমারই তৈরি বলে
তুমি বার বার করাঘাত করো -- একা , একাএকা রাত
নিয়নের উজ্জ্বল আলোতে ব্যর্থ সকল বারিপাত ।
কেবলি তোমার কুসুমের অভ্যন্তরস্ত মধু ঈর্ষিত অভিলাষে
চাপ দিতে থাকে , বহাল তবিয়তের স্থান চাই ,
মালিকার গাঁথা ঘ্রাণে সে স্বাদ কৈ ? তুমি ভাবো ।
একরাতের রাগে মান- অভিমানে যে শিশু এসেছিল কোলে
তারে , আহা , তারে ছেড়ে তুমিও --------
তুমি করাঘাত করো কেন রোজরাতে ? এ জীবন সমাপ্ত
হতে দাও , ক্রমাগত সমগ্র ক্রন্দন শীর্ষদেশে আঁধার সৃষ্টি
করুক , তোমার সকল চিন্তাপাত স্বাধীন মুহূর্তরা
অলৌকিক ফসল দিয়ে গেলে ----
দিকভ্রম নাবিকের মনস্তাপে বাড়ছে সেই শিশু
আমার , অপার মমতাময়ী সে হাতে বিলিয়ান ট্রিলিয়ান
কোম্পানির জনসংযোগ , হ্যালো , "আমি রেশমি বলুন
স্যার কি করতে পারি ? "
নিস্তারলাভের সমস্ত দৃশ্যাবলী তোমারই তৈরি বলে
তুমি বার বার করাঘাত করো -- একা , একাএকা রাত
নিয়নের উজ্জ্বল আলোতে ব্যর্থ সকল বারিপাত ।
কেবলি তোমার কুসুমের অভ্যন্তরস্ত মধু ঈর্ষিত অভিলাষে
চাপ দিতে থাকে , বহাল তবিয়তের স্থান চাই ,
মালিকার গাঁথা ঘ্রাণে সে স্বাদ কৈ ? তুমি ভাবো ।
একরাতের রাগে মান- অভিমানে যে শিশু এসেছিল কোলে
তারে , আহা , তারে ছেড়ে তুমিও --------
তুমি করাঘাত করো কেন রোজরাতে ? এ জীবন সমাপ্ত
হতে দাও , ক্রমাগত সমগ্র ক্রন্দন শীর্ষদেশে আঁধার সৃষ্টি
করুক , তোমার সকল চিন্তাপাত স্বাধীন মুহূর্তরা
অলৌকিক ফসল দিয়ে গেলে ----
দিকভ্রম নাবিকের মনস্তাপে বাড়ছে সেই শিশু
নেশাগ্রস্থ সিরিজ
আজকাল তাকে ধরতে গেলেই পাকাল ,
ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠছে যে সব চেতনা
তার মধ্যে লীন হয়ে গেলে পড়ে থাকে প্রবল আক্রমনাত্বক
ভঙ্গিমার যুদ্ধংদেহী রণভূমি ,
প্রভূত ধ্বংসাত্মক নিয়মে যুদ্ধ শুরু
একপাশে পড়ে থাকে দু'জনার লাশ
নীল , নীল শিরা চোখ ঠিকরে দেখছি তামাম রহস্যভূমি
জনপথ ক্রমশ অস্তমিত সূর্য
বুক হাতড়ে এগোতে চাই , সেও পশ্চাৎ দিকে এগিয়ে চলে
না না না
এই চেয়ার সিটিং খেলায় শেষ চেয়ারে পৌঁছাতেই হবে আমায়
এর পড় গাঢ় ঘুম , মৃদু উচ্চারিত হতে থাকে তার নাম
ক্রমশ হাওয়ার তালে মিলিয়ে যাই সেই সুর
পালিয়ে যাচ্ছি আমি কালো ষাঁড়ের পীঠে চড়ে
অদ্ভুত ভাবে ঝুঁকে সেই দৃশ্য দেখছে সে
প্রভূত ধ্বংসাত্মক নিয়মে যুদ্ধ শুরু
একপাশে পড়ে থাকে দু'জনার লাশ
নীল , নীল শিরা চোখ ঠিকরে দেখছি তামাম রহস্যভূমি
জনপথ ক্রমশ অস্তমিত সূর্য
বুক হাতড়ে এগোতে চাই , সেও পশ্চাৎ দিকে এগিয়ে চলে
না না না
এই চেয়ার সিটিং খেলায় শেষ চেয়ারে পৌঁছাতেই হবে আমায়
এর পড় গাঢ় ঘুম , মৃদু উচ্চারিত হতে থাকে তার নাম
ক্রমশ হাওয়ার তালে মিলিয়ে যাই সেই সুর
পালিয়ে যাচ্ছি আমি কালো ষাঁড়ের পীঠে চড়ে
অদ্ভুত ভাবে ঝুঁকে সেই দৃশ্য দেখছে সে
নেশাগ্রস্থ সিরিজ
আজকাল তাকে ধরতে গেলেই পাকাল ,
ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠছে যে সব চেতনা
তার মধ্যে লীন হয়ে গেলে পড়ে থাকে প্রবল আক্রমনাত্বক
ভঙ্গিমার যুদ্ধংদেহী রণভূমি ,
প্রভূত ধ্বংসাত্মক নিয়মে যুদ্ধ শুরু
একপাশে পড়ে থাকে দু'জনার লাশ
নীল , নীল শিরা চোখ ঠিকরে দেখছি তামাম রহস্যভূমি
জনপথ ক্রমশ অস্তমিত সূর্য
বুক হাতড়ে এগোতে চাই , সেও পশ্চাৎ দিকে এগিয়ে চলে
না না না
এই চেয়ার সিটিং খেলায় শেষ চেয়ারে পৌঁছাতেই হবে আমায়
এর পড় গাঢ় ঘুম , মৃদু উচ্চারিত হতে থাকে তার নাম
ক্রমশ হাওয়ার তালে মিলিয়ে যাই সেই সুর
পালিয়ে যাচ্ছি আমি কালো ষাঁড়ের পীঠে চড়ে
অদ্ভুত ভাবে ঝুঁকে সেই দৃশ্য দেখছে সে
প্রভূত ধ্বংসাত্মক নিয়মে যুদ্ধ শুরু
একপাশে পড়ে থাকে দু'জনার লাশ
নীল , নীল শিরা চোখ ঠিকরে দেখছি তামাম রহস্যভূমি
জনপথ ক্রমশ অস্তমিত সূর্য
বুক হাতড়ে এগোতে চাই , সেও পশ্চাৎ দিকে এগিয়ে চলে
না না না
এই চেয়ার সিটিং খেলায় শেষ চেয়ারে পৌঁছাতেই হবে আমায়
এর পড় গাঢ় ঘুম , মৃদু উচ্চারিত হতে থাকে তার নাম
ক্রমশ হাওয়ার তালে মিলিয়ে যাই সেই সুর
পালিয়ে যাচ্ছি আমি কালো ষাঁড়ের পীঠে চড়ে
অদ্ভুত ভাবে ঝুঁকে সেই দৃশ্য দেখছে সে
মর্মক্ষতে
মুজরার তালে নাচতেন মা
সিলিং থেকে ঝাড়বাতির রোমহর্ষক আভা
চুয়ে যেত মায়ের রূপবতী শরীর
মুগ্ধতার ধারাপাতে অপলক দৃষ্টিতে ধর্ষণের দাগ গায়ে মেখে
হারেম ছাড়লে না
কোন এক রাতে অশরীরীর ন্যায় চাঁদ নেমে এসে মায়ের মুখে
চুমু খেয়ে যেতেন
এসব জানতাম না
আর আমার গর্বিত পিতা যে রাতে শয্যা ভরিয়েছিলেন জুঁই ফুলে
মায়ের কোমলতা নিয়ে হাত দিয়েছিলেন সৃষ্টিতে
মা নিজেও বোঝেননি
কোন ফুল নিষিক্ত হয়ে এবার গন্ধ ছড়াবে সেই পৈত্রিক চোখে
এভাবেই জন্ম হল আমার
এভাবেই জন্ম হল আমার বোনের
মাতঙ্গিনী কলোনির ১০ বাই ১০ স্যাঁতসেঁতে ঘরে
বাবার ছবি দেখিনি
পূবের দেওয়ালে ক্রুশবিদ্ধ একটা ঘুণে ধরা যিশুর ছবি আছে টানানো
ফাঁকা হয়ে গেলে ঘর
রোজ দুপুরে ফ্যালফ্যাল চেয়ে থাকে তিনি আমার দিকে
আমিও তার মুখের দিকে তাকিয়ে
ভাবি এত অল্প বয়সে পরমায়ু গেল চলে --
মৃত্যুর আগে খুউব লেগেছিল ? তার না ?
একদিন হঠাৎ যিশু হেসে ওঠেন অবিকল পুরুষের মত
আশ্চর্য ব্যাপার
আমি পুরুষ পুরুষ গন্ধ পাচ্ছি -- অবিকল , অবিকল পুরুষের মত
যিশু স্মিত হাসেন
বলেন বুঝি বুঝি মেয়ে -- সবই বুঝি
আমিও পুরুষ বটে ! যারা মেরেছিলেন তারা পুরুষ সিংহ ---
আমার এই স্বজাতি রক্তও ছাড়েনি তাড়া সেদিন
তোমার বেজাতি রক্ত
দাঁতে দাঁতে ছিন্ন হবে তোমার মাংস এ
হারেম ছাড়লে না
কোন এক রাতে অশরীরীর ন্যায় চাঁদ নেমে এসে মায়ের মুখে
চুমু খেয়ে যেতেন
এসব জানতাম না
আর আমার গর্বিত পিতা যে রাতে শয্যা ভরিয়েছিলেন জুঁই ফুলে
মায়ের কোমলতা নিয়ে হাত দিয়েছিলেন সৃষ্টিতে
মা নিজেও বোঝেননি
কোন ফুল নিষিক্ত হয়ে এবার গন্ধ ছড়াবে সেই পৈত্রিক চোখে
এভাবেই জন্ম হল আমার
এভাবেই জন্ম হল আমার বোনের
মাতঙ্গিনী কলোনির ১০ বাই ১০ স্যাঁতসেঁতে ঘরে
বাবার ছবি দেখিনি
পূবের দেওয়ালে ক্রুশবিদ্ধ একটা ঘুণে ধরা যিশুর ছবি আছে টানানো
ফাঁকা হয়ে গেলে ঘর
রোজ দুপুরে ফ্যালফ্যাল চেয়ে থাকে তিনি আমার দিকে
আমিও তার মুখের দিকে তাকিয়ে
ভাবি এত অল্প বয়সে পরমায়ু গেল চলে --
মৃত্যুর আগে খুউব লেগেছিল ? তার না ?
একদিন হঠাৎ যিশু হেসে ওঠেন অবিকল পুরুষের মত
আশ্চর্য ব্যাপার
আমি পুরুষ পুরুষ গন্ধ পাচ্ছি -- অবিকল , অবিকল পুরুষের মত
যিশু স্মিত হাসেন
বলেন বুঝি বুঝি মেয়ে -- সবই বুঝি
আমিও পুরুষ বটে ! যারা মেরেছিলেন তারা পুরুষ সিংহ ---
আমার এই স্বজাতি রক্তও ছাড়েনি তাড়া সেদিন
তোমার বেজাতি রক্ত
দাঁতে দাঁতে ছিন্ন হবে তোমার মাংস এ
কদিন ----
আর সেদিন এঘরে অন্য মেয়ে -- আমিও নিসচুপ -- আবার দু'জন
মর্ম
ক্ষতে কে কার মলম লাগাবে ?আর সেদিন এঘরে অন্য মেয়ে -- আমিও নিসচুপ -- আবার দু'জন
মর্ম
No comments:
Post a Comment