যদিও এবং অথবা না আসে
একদিন হারিয়ে দেব তোমার অহংকার ;
তুমি তৈরি থেকো এখানেই ।
স্বদৃশ্য স্রোতের গা'বেয়ে ভয়ানক বৃষ্টির আবর্ত
বিম্বে প্রতিবিম্বে ছায়া স্বপ্ন এবং নিষ্ঠুর ধারালো বাস্তব !
শরীরের চারপাশে হাজার ঝাড়লণ্ঠন , মেধ ভাঙছে
অপরূপ নিয়মবর্তিতায় , অহেতুকছিল এত দিন
আলোর চালচিত্র ।
মৃত্যু উপত্যকায় কিম্বা দ্বিপ্রহরিক বৃষ্টি রামধনু
এক বোধ দিয়ে যাই
নির্বাক - নির্বাণ একমাত্রিক জীবনে
আত্মঘাতী হৃদয় লুণ্ঠনের পড়ে
নতুন জীবন ;
তুমি তৈরি থেকে অহংকার ভাঙবার দিনের প্রতীক্ষায়
বিম্বে প্রতিবিম্বে ছায়া স্বপ্ন এবং নিষ্ঠুর ধারালো বাস্তব !
শরীরের চারপাশে হাজার ঝাড়লণ্ঠন , মেধ ভাঙছে
অপরূপ নিয়মবর্তিতায় , অহেতুকছিল এত দিন
আলোর চালচিত্র ।
মৃত্যু উপত্যকায় কিম্বা দ্বিপ্রহরিক বৃষ্টি রামধনু
এক বোধ দিয়ে যাই
নির্বাক - নির্বাণ একমাত্রিক জীবনে
আত্মঘাতী হৃদয় লুণ্ঠনের পড়ে
নতুন জীবন ;
তুমি তৈরি থেকে অহংকার ভাঙবার দিনের প্রতীক্ষায়
কবি বোদ্ধারা চুপ থাকেন বলে
দু'কলম লিখতে পারি ,
যাদের আদর্শভাবি একলব্য মান্যতায়
তারা বিনিময়ে শুধু চাই
অ-সম
গুয়াহাটির নগ্ন মেয়েটাকে মনে পড়ে ?
ও আমার বোন নয় মা তো নয়ই নিদেন পক্ষে
পরিচিতও নয় ; অগত্যা টিভিতে চ্যানেল আসে যাই , আদিম সেই
দৃশ্য আসে , চোখ কচলে পিচুটি তুলি ক্লাস টুয়েলভ এ পড়া
মেয়েকে বলি দেশ উচ্ছেন্নে গেল , লক্ষ করিনা
আমার মেয়ে এই দৃশ্য দেখে একবার মরে গেল !
ঘরের পাশে ঘটলে হাহুতাস এবং সহানুভূতির অন্য বইয়ে
দিতাম , জানোয়ার গুলোকে ফাঁসী দাও বলে মধ্যহ্ন ভোজের
মটন হাড় দাঁত দিয়ে ভেঙ্গে আহাঃ
যারা ছবি তুলে নগ্নতার বাহাদুরি লুটেছে অথবা
টিভির টি আর পি খেলায় , তারা ?
মেয়েকে বলি দেশ উচ্ছেন্নে গেল , লক্ষ করিনা
আমার মেয়ে এই দৃশ্য দেখে একবার মরে গেল !
ঘরের পাশে ঘটলে হাহুতাস এবং সহানুভূতির অন্য বইয়ে
দিতাম , জানোয়ার গুলোকে ফাঁসী দাও বলে মধ্যহ্ন ভোজের
মটন হাড় দাঁত দিয়ে ভেঙ্গে আহাঃ
যারা ছবি তুলে নগ্নতার বাহাদুরি লুটেছে অথবা
টিভির টি আর পি খেলায় , তারা ?
অনির্বাণ আগুন ২২
প্রণয়ের দিকে হেটে আসে গণ্ডমূর্খ
যে উত্তাপে হিম গলে ঠিক ততখানি নয় বরং
এক স্পন্দিত হৃদ যে তাপে লীনতাপ হয়ে গলে
সেই মর্যাদায় ।
বেড়ে ওঠা জন্মপুরী তৈলাক্ত চটচটে মায়া
ক্ষণিকের স্বপ্ন সফর -
একদিন দধীচি হাড়ে যাদের পুনঃজন্ম এবং
জন্মক্ষতে মাছিদের সুতীব্র চিৎকার , অবশেষে এখানেই
দূরান্ত কিছু ভাগাড়
শকুন মাংসের সহবস্থানে কিম্বা লোভী শৃগাল
নদীপাড় মড়ক সাজানো শবগোলা
তুমি বলবে তবুও প্রণয়ের দিকে হেটে আসে গণ্ডমূর্খ ?
প্রতিটি ক্ষত মর্মোদ্ধার করো জীবন , জীবনের অপূরণীয় ক্ষতি
পুষিয়ে দিয়ে আক্রমনত্বক ভঙ্গিমায় এবার ---
প্রচলিত বিশ্বাসে প্রণয় ভেঙ্গে আগুন আনো
প্রমিথিউস ; দাউদাউ জ্বলবে বিচ্ছেদের স্মৃতি
বেড়ে ওঠা জন্মপুরী তৈলাক্ত চটচটে মায়া
ক্ষণিকের স্বপ্ন সফর -
একদিন দধীচি হাড়ে যাদের পুনঃজন্ম এবং
জন্মক্ষতে মাছিদের সুতীব্র চিৎকার , অবশেষে এখানেই
দূরান্ত কিছু ভাগাড়
শকুন মাংসের সহবস্থানে কিম্বা লোভী শৃগাল
নদীপাড় মড়ক সাজানো শবগোলা
তুমি বলবে তবুও প্রণয়ের দিকে হেটে আসে গণ্ডমূর্খ ?
প্রতিটি ক্ষত মর্মোদ্ধার করো জীবন , জীবনের অপূরণীয় ক্ষতি
পুষিয়ে দিয়ে আক্রমনত্বক ভঙ্গিমায় এবার ---
প্রচলিত বিশ্বাসে প্রণয় ভেঙ্গে আগুন আনো
প্রমিথিউস ; দাউদাউ জ্বলবে বিচ্ছেদের স্মৃতি
মৃত্যুগাঁথা শোক
ধরে রাখতে গিয়ে দেখেছি
আঙ্গুলের ফাঁক গলে সর্ষে দানায় মত সব গিয়েছে পড়ে ;
মনের অধীনস্থ কর্মচারী গর্হিত কাজের ভয়ে
কুঁকড়ে আছে , শোকগাথা সেই পতনের দিকে চেয়ে
জন্ম নিয়েছে একরত্তি চিলেকোঠা --
জন্ম থেকে যৌবনময় বার্ধক্য
চোখ বন্ধ ; স্বেচ্ছামৃত্যু কামনা আইনের মান্যতা পাই না পাই
অবধারিত মৃত্যু'র সংসার আইনের অসহ্য তারুণ্য
ব্যতিরেকে !
যাবতীয় সুখী শালিখ পথ চোখ কেন্দ্রীক ,
শরীরখন্ড টুকরো টুকরো করে দ্যাখো ----
কোন রহস্য নেই ;
পূর্নতার অলিখিত সমূহ চেতনায় অন্তলীন আত্মা !
আসলে যা ঘটে তাকেই বলে ভবিতব্য , কাল ---
মৃত্যুশোকও ক্ষণস্থায়ী কিছু নাটুকে অভিনয় !
জন্ম নিয়েছে একরত্তি চিলেকোঠা --
জন্ম থেকে যৌবনময় বার্ধক্য
চোখ বন্ধ ; স্বেচ্ছামৃত্যু কামনা আইনের মান্যতা পাই না পাই
অবধারিত মৃত্যু'র সংসার আইনের অসহ্য তারুণ্য
ব্যতিরেকে !
যাবতীয় সুখী শালিখ পথ চোখ কেন্দ্রীক ,
শরীরখন্ড টুকরো টুকরো করে দ্যাখো ----
কোন রহস্য নেই ;
পূর্নতার অলিখিত সমূহ চেতনায় অন্তলীন আত্মা !
আসলে যা ঘটে তাকেই বলে ভবিতব্য , কাল ---
মৃত্যুশোকও ক্ষণস্থায়ী কিছু নাটুকে অভিনয় !
শোভাবর্ধক
সব শোভাবর্ধক বস্তুতে সূর্যালোক ক্ষণকাল স্থির !
এখানে জন্ম , এই মৃত্তিকায় আদ্র সনাতনী জমিন ,
শোন প্রাজ্ঞ , স্থির হ'য়ে শোন , কে ছড়ায় এখানে
বীজ ! অঙ্কুরোদ্গম শস্য দানায় সেই আবাদ জনশ্রুত
প্রতিটি নিঃশ্বাসের চেয়েও ঢের জন্ম দেয় ;
শোন , শোন প্রাজ্ঞ , অসুস্থ গাছের থেকেও অনেক
বেশী অসুস্থ মাটি হাওয়া জল এবং অদ্বিতীয় তাদের
সন্তান ; এইসব স্বচ্ছ মৃত্যুময় হিমে গ্রামকে গ্রামময়
ক্লিষ্ট মৃত্যু সমাচার কাদের অধীনে নিয়ন্ত্রিত !
বস্তুত তাঁরার থেকেও ভয়ানক সত্য নিয়ে বুকে
সঞ্চারিত চেতনায় পক্ষীরাজ ঘোড়া ঠাকুমা আর দলছুট
সেই সব বালক জন্মের অপূর্ণতায় ;
হাজার হাজার ঘুম পিলে
রাত আসে , মনে মনে সকলেই জানেন পুনরায়
জেগে উঠতেই হবে
মৃত্তিকার ফসলের বৃক্ষমূলের ! তবুও ঘুমোতে দিই ।
শোন , শোন প্রাজ্ঞ , জ্বর মুখে
পৃথিবী খেয়ে দেখি বিস্বাদ পাউরুটি ,
তুমিও জানো -- জ্বর সারাই না ----
পৃথিবীর কাছে গেলে মানুষের জ্বরের প্রলোভন থাকে না
প্রতিটি নিঃশ্বাসের চেয়েও ঢের জন্ম দেয় ;
শোন , শোন প্রাজ্ঞ , অসুস্থ গাছের থেকেও অনেক
বেশী অসুস্থ মাটি হাওয়া জল এবং অদ্বিতীয় তাদের
সন্তান ; এইসব স্বচ্ছ মৃত্যুময় হিমে গ্রামকে গ্রামময়
ক্লিষ্ট মৃত্যু সমাচার কাদের অধীনে নিয়ন্ত্রিত !
বস্তুত তাঁরার থেকেও ভয়ানক সত্য নিয়ে বুকে
সঞ্চারিত চেতনায় পক্ষীরাজ ঘোড়া ঠাকুমা আর দলছুট
সেই সব বালক জন্মের অপূর্ণতায় ;
হাজার হাজার ঘুম পিলে
রাত আসে , মনে মনে সকলেই জানেন পুনরায়
জেগে উঠতেই হবে
মৃত্তিকার ফসলের বৃক্ষমূলের ! তবুও ঘুমোতে দিই ।
শোন , শোন প্রাজ্ঞ , জ্বর মুখে
পৃথিবী খেয়ে দেখি বিস্বাদ পাউরুটি ,
তুমিও জানো -- জ্বর সারাই না ----
পৃথিবীর কাছে গেলে মানুষের জ্বরের প্রলোভন থাকে না
সাতকাহন
মৃত্যুর পরে আর মানুষ থাকি না তবুও
শরীর অনেক লোকাচার করে যাই ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ;
দেখেছি- বেঁচে থাকতে শরীর যতখানি দিয়েছিল
দেশ ভাই জাতীকে ; মৃত্যুর পর দিয়ে যেতে পেরেছে
ঢের বেশি । শৃগালের খাদ্য হাড়ের জৈবসার আর কিছু
গুল্ম যখন কবর থেকে উঠেছে , বুঝেছি জন্মটা
সার্থক এবার ! অথচ জন্ম কালে
করতলের এই ম্লান রেখেগুলো তোমার দিকেই রেখাপাত
করেছে বলে বলেছিলেন জ্যোতিষ , সেই বিশ্বাসে
বিশ্বাস রেখে দেখেছিলাম বিশ্বাস বড় বিশ্বাসী হৃদয়ের -
হতোদ্যম হতেই চাই না --------
যে প্রচণ্ড ঘৃণায় তুমি তাকিয়ে থাকতে আর মনে বলতে
অপদার্থ - বুঝতাম এই কথা বলতে তোমার হৃদয় রক্তপ্লুত
হয়েছে অনেক ; ক্রমশ সীসার মত ভারী হতে হতে
আমি ডুবতাম তোমার মধ্যে ,
তুমি ব্যাভিচারি শেখনি বলে একদিন মৃত্যু হল আমার --
ঢের বেশি । শৃগালের খাদ্য হাড়ের জৈবসার আর কিছু
গুল্ম যখন কবর থেকে উঠেছে , বুঝেছি জন্মটা
সার্থক এবার ! অথচ জন্ম কালে
করতলের এই ম্লান রেখেগুলো তোমার দিকেই রেখাপাত
করেছে বলে বলেছিলেন জ্যোতিষ , সেই বিশ্বাসে
বিশ্বাস রেখে দেখেছিলাম বিশ্বাস বড় বিশ্বাসী হৃদয়ের -
হতোদ্যম হতেই চাই না --------
যে প্রচণ্ড ঘৃণায় তুমি তাকিয়ে থাকতে আর মনে বলতে
অপদার্থ - বুঝতাম এই কথা বলতে তোমার হৃদয় রক্তপ্লুত
হয়েছে অনেক ; ক্রমশ সীসার মত ভারী হতে হতে
আমি ডুবতাম তোমার মধ্যে ,
তুমি ব্যাভিচারি শেখনি বলে একদিন মৃত্যু হল আমার --
জো হুজুর
আজকাল কথা বলতে গেলে মনের থেকেও
দাঁতের ভয় বেশী ;
শাকাহারি দাঁত মাংসাশী কামড় সহ্য করতে
করতে পারবে তো ?
তবুও ধর্ম নয় জিরাফের দিকে ঊর্ধ্বতন গ্রাফ --
বেঁচে যায় এযাত্রায় !
অব্যক্ত কথাগুলো জমে জমে
পাহাড় । ধৃতরাষ্ট্র থেকে এই ব্যাধি সংক্রমনিত ,
কথা গুটিয়ে রাখো পেটে -- সঞ্জয়ের কাছে চাও
সুখের সংবাদ ।
সকলেই জানেন সূর্যের গতিপথ , তবুও বলছিনা
যদি এই সুস্থ মানুষের মধ্যে অসুস্থ প্রমানিত হই ;
বিপণনহীন সত্য সৃষ্টি থেকেই একনায়কতন্ত্র
হযবরল আসে যুগে যুগে
জো হুজুর , আহাঃ বত্রিশপাটির মুগ্ধতা !
তবুও ধর্ম নয় জিরাফের দিকে ঊর্ধ্বতন গ্রাফ --
বেঁচে যায় এযাত্রায় !
অব্যক্ত কথাগুলো জমে জমে
পাহাড় । ধৃতরাষ্ট্র থেকে এই ব্যাধি সংক্রমনিত ,
কথা গুটিয়ে রাখো পেটে -- সঞ্জয়ের কাছে চাও
সুখের সংবাদ ।
সকলেই জানেন সূর্যের গতিপথ , তবুও বলছিনা
যদি এই সুস্থ মানুষের মধ্যে অসুস্থ প্রমানিত হই ;
বিপণনহীন সত্য সৃষ্টি থেকেই একনায়কতন্ত্র
হযবরল আসে যুগে যুগে
জো হুজুর , আহাঃ বত্রিশপাটির মুগ্ধতা !
ঘরমুখো
পুরো রবিবার নিজের ছোট্ট খুপরিটাই বন্দী থাকি -
ছোট ছোট কবিতার ভাষা খুঁজি
শুনেছি আড়ালে - আবডালে বল ঘরমুখো ।
অবশ্য একবার বাজারের থলে হাতে
বেরুতেই হয় নরকে
সস্তা ইলিশ পচা বেগুন পটল নিয়ে নারাচারি করি
দোকানিরা চিৎকার করে বলেন "আসুন দাদা"
বলি এত দাম ! এই বাজারে ।
প্রায় খালি হাতেই বাড়ি ফিরি ।
লোকে বলে হাড়কিপটে ।
সকালে ভীর বাসে খাদ্য অন্বেষণে বেড়িয়ে
চিৎকার চেঁচামেচি পকেটে হাত ঢুকিয়ে পথ ভাঙ্গি
পাশে ডি এ টি এ বোনাস গলাগলি মারামারি
হাতল ধরে রাখার প্রতিযোগিতা দেখতে দেখতে
আশ্চর্য ক্ষিপ্ততাই " ঘুম পাহাড় "
বুকে আছড়ে পড়ে
ওখানেই তো যাবার কথা ছিল একদিন !
ভাবি , শরীর মেধা যতখানি সমৃদ্ধ করেছে তোমায়
মাটি থেকে সরিয়েছে অনেকখানি বেশী ।
সকাল ৯ টার দেওয়ালে টিকটিক আওয়াজ বাড়লে
বুকের ভেতরে হাপরের টান ওঠে
কচি ছাগলের মত রোদ নাচে শ্যাওলা কলপাড়ে
সবই কি মাটির সঙ্গে মিশে যাবে ?
একবার এই জন্ম , ভাবি ছুটে যাই
তুমি জানো ছুটবোই আমি ----
যেখানে রোদ বালিতে তোমার ছায়া পড়েছে
সেই শীতল জায়গায় বসবোই আমি , তারপর
ইট বালি কাঠ অথবা খড়কে প্রস্তুত করি
একটা আগুন চাই ! একটা জতুগৃহ -- আমাদের !
বেরুতেই হয় নরকে
সস্তা ইলিশ পচা বেগুন পটল নিয়ে নারাচারি করি
দোকানিরা চিৎকার করে বলেন "আসুন দাদা"
বলি এত দাম ! এই বাজারে ।
প্রায় খালি হাতেই বাড়ি ফিরি ।
লোকে বলে হাড়কিপটে ।
সকালে ভীর বাসে খাদ্য অন্বেষণে বেড়িয়ে
চিৎকার চেঁচামেচি পকেটে হাত ঢুকিয়ে পথ ভাঙ্গি
পাশে ডি এ টি এ বোনাস গলাগলি মারামারি
হাতল ধরে রাখার প্রতিযোগিতা দেখতে দেখতে
আশ্চর্য ক্ষিপ্ততাই " ঘুম পাহাড় "
বুকে আছড়ে পড়ে
ওখানেই তো যাবার কথা ছিল একদিন !
ভাবি , শরীর মেধা যতখানি সমৃদ্ধ করেছে তোমায়
মাটি থেকে সরিয়েছে অনেকখানি বেশী ।
সকাল ৯ টার দেওয়ালে টিকটিক আওয়াজ বাড়লে
বুকের ভেতরে হাপরের টান ওঠে
কচি ছাগলের মত রোদ নাচে শ্যাওলা কলপাড়ে
সবই কি মাটির সঙ্গে মিশে যাবে ?
একবার এই জন্ম , ভাবি ছুটে যাই
তুমি জানো ছুটবোই আমি ----
যেখানে রোদ বালিতে তোমার ছায়া পড়েছে
সেই শীতল জায়গায় বসবোই আমি , তারপর
ইট বালি কাঠ অথবা খড়কে প্রস্তুত করি
একটা আগুন চাই ! একটা জতুগৃহ -- আমাদের !
অনির্বাণ আগুন ০৯
জীবন ,গুছিয়ে নাও সমস্ত রহস্য গ্রন্থি !
নিজের থুঃথুঃ চাঁটতে যত্তখানি ঘৃণা লাগে তার
থেকেও একশতগুণ প্রেমে
"গম" প্রেমিকদের আবদার গম ফলন বৃদ্ধির , উপেক্ষা করো ,
থেমে যাক না হয় গমের ফলন , ক্ষতি কি ?
"গম" এর দানার মধ্যেই থাকে গমের সৃষ্টি বীজ ,
সৃষ্টি সকলেই জানেন কিম্বা জানেন , সৃষ্টি এসেছে এখানে
সময়- স্থান এবং পরিবেশের সঠিক ব্যবহারে --
ভালোবাসা না থাকলেও সৃষ্টি বলেনি আমি ক্লান্ত !
এবং এভাবেই অযুত লক্ষ কোটি কোটি গম -- যেহেতু
গমের জোগান প্রতুল
সেহেতু কাক পক্ষী খুঁতে খেলে কি এসে যায় গৃহস্তর !
নিরুত্তাপে দূরে তৃতীয় ছাগের মত মিটমিট চোখে আগুন দেখছে
এত্ত আগুন তবু আগুন কোথায় ?
আগুনের ব্যবহার শেখেনি ধর্ম শেখেনি
চিরকাল বন্ধু কম শত্রু ভেবেছে বেশী !
থেমে যাক না হয় গমের ফলন , ক্ষতি কি ?
"গম" এর দানার মধ্যেই থাকে গমের সৃষ্টি বীজ ,
সৃষ্টি সকলেই জানেন কিম্বা জানেন , সৃষ্টি এসেছে এখানে
সময়- স্থান এবং পরিবেশের সঠিক ব্যবহারে --
ভালোবাসা না থাকলেও সৃষ্টি বলেনি আমি ক্লান্ত !
এবং এভাবেই অযুত লক্ষ কোটি কোটি গম -- যেহেতু
গমের জোগান প্রতুল
সেহেতু কাক পক্ষী খুঁতে খেলে কি এসে যায় গৃহস্তর !
নিরুত্তাপে দূরে তৃতীয় ছাগের মত মিটমিট চোখে আগুন দেখছে
এত্ত আগুন তবু আগুন কোথায় ?
আগুনের ব্যবহার শেখেনি ধর্ম শেখেনি
চিরকাল বন্ধু কম শত্রু ভেবেছে বেশী !
কীর্তিনাশা
হাটবাজার থেকে কীর্তিনাশার দিকে
হেটে চলেছেন অদ্ভুত দ্বিকোষী জীব ,
দীর্ঘ সমৃদ্ধ যাত্রা পথে
লক্ষ্যভেদী অর্জুন আছেন , দুর্যোধন
কৌটিল্য কংশ , আছেন শকুনি , পথের দিকে তাকালেই
সব কাজ পণ্ড হয় , পণ্ড হয়
সব লেন-দেন ;
বুঝি সমগ্র ডাউন ট্রেনের গতি পথ
কীর্তিনাশাকে কেন্দ্র করে ,
কোন কাজই সুস্থভাবে গড়ে ওঠেনি জীবনে ।
আঁধারজনিত অন্ধকারে দেখিনা কিছুই
তবুও একদিন
জন্ম দিতে দিতে যেন স্বয়ংক্রিয় মেশিন
মনে মনে বলি " বেড়ে খেলেছিস "
যেখানেই পরশপাথর হাত রাখি
সেখানেই সোনা ফলে ,
অনুধাবন করতে পারি গল্পের প্রয়োজনে জীবন --
সোনা জাগিয়ে রেখেছে জাগতিক ভবিষ্যৎ ;
অনাকাঙ্ক্ষিত পৌষে বৃষ্টির মত
আমিও কীর্তিনাশা লাইনে ভীর বাড়িয়ে দিলে
নদী থেকে ছো মেরে চিতল মাছ তুলে গাব গাছে আবার
প্রতীক্ষায় আগামী শিকারের জন্য পানকৌড়ি ---
কৌটিল্য কংশ , আছেন শকুনি , পথের দিকে তাকালেই
সব কাজ পণ্ড হয় , পণ্ড হয়
সব লেন-দেন ;
বুঝি সমগ্র ডাউন ট্রেনের গতি পথ
কীর্তিনাশাকে কেন্দ্র করে ,
কোন কাজই সুস্থভাবে গড়ে ওঠেনি জীবনে ।
আঁধারজনিত অন্ধকারে দেখিনা কিছুই
তবুও একদিন
জন্ম দিতে দিতে যেন স্বয়ংক্রিয় মেশিন
মনে মনে বলি " বেড়ে খেলেছিস "
যেখানেই পরশপাথর হাত রাখি
সেখানেই সোনা ফলে ,
অনুধাবন করতে পারি গল্পের প্রয়োজনে জীবন --
সোনা জাগিয়ে রেখেছে জাগতিক ভবিষ্যৎ ;
অনাকাঙ্ক্ষিত পৌষে বৃষ্টির মত
আমিও কীর্তিনাশা লাইনে ভীর বাড়িয়ে দিলে
নদী থেকে ছো মেরে চিতল মাছ তুলে গাব গাছে আবার
প্রতীক্ষায় আগামী শিকারের জন্য পানকৌড়ি ---
অনির্বাণ আগুন ০৮
ছোট কালো পিঁপড়ের সুড়সুড়ি , হাত পা নেড়ে
পূর্বানুরাগে ঘুমিয়ে পড়ে স্বদেশ ।
অদ্ভুত শস্য গোলা নুইয়ে পড়ে ফসলের ভারে ,
বীজের তিন ফসলী রূপান্তরে শ্রেণীহীন স্বপ্ন বিন্যাস জল হাওয়া
আজও সমাজতান্ত্রিক , ফসলও বহুযুগ আগে -----
ক্ষিদে এলে এক চিনচিনে বোধ আসে অহংকারে
কংক্রিট আর লোহালক্কড়ের কারখানায় নিপুণ হাতের কাজ
সভ্যতা বলে
আমি একপেশি তাই আছি বেঁচে !
প্রগাঢ় আগুনের দায় নেই গৃহ হবে স্বদেশ না জতুগৃহ !
অভুক্ত হৃদ কিম্বা মরু হুবারট শিকারি শেখ
জ্বলে যাবে ,সর্বাঙ্গে লেলিহান শিখা , একদিন
সমস্ত ট্যাঁকশাল পুড়ে গেলে সত্য রূপে সমাজতন্ত্র , এখন , এখানে ।
আজও সমাজতান্ত্রিক , ফসলও বহুযুগ আগে -----
ক্ষিদে এলে এক চিনচিনে বোধ আসে অহংকারে
কংক্রিট আর লোহালক্কড়ের কারখানায় নিপুণ হাতের কাজ
সভ্যতা বলে
আমি একপেশি তাই আছি বেঁচে !
প্রগাঢ় আগুনের দায় নেই গৃহ হবে স্বদেশ না জতুগৃহ !
অভুক্ত হৃদ কিম্বা মরু হুবারট শিকারি শেখ
জ্বলে যাবে ,সর্বাঙ্গে লেলিহান শিখা , একদিন
সমস্ত ট্যাঁকশাল পুড়ে গেলে সত্য রূপে সমাজতন্ত্র , এখন , এখানে ।
অনির্বাণ আগুন
বাবা পুড়ছিলেন যখন
তবুও পুড়ছিলেন না দেখে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে
আগুনকে আর ধারল করছিল পড়শি কাকু'রা !
বাবা'ও হয়ত বলছিলেন " বাচ্চাদের দ্যাখো উৎপাত ,
পাগল ভেবেছ আমায় , পাগল " ,
অবশ্য কেউ বাবার কথা শুনে প্রতিবাদ করেননি
হরেন কাকুও না ,
সব্বাই তো জলের ধারার লেখচিত্র জানেন --
আমি দেখছি এবার হরেন কাকু বলছেন --
"জাম গাছের নিচে রক্ত গঙ্গা বইছে , কেউ এলে ঠ্যাং
ভেঙ্গে দেবো , আমার নাতনী খাবে " ,
আর আমি বাঁশ চালাচ্ছি দিক্বিদিক জ্ঞ্যানশূন্য হরেন কাকুর মাথায়
বলছি যাব না যাব না যাব না !
আস্কারা দিও না এখন
আস্কারা দিও না এখন ,
স্কেচে উঠে আসবে আফ্রিকা --
আমিও ভয়ভীতিহীন শব্দভেদী শিকারি
রাতের গদ্য জানি ।
এই জীবন পিতৃ পরিচয়ে স্বীকৃত
যদিও সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয় দেশ প্রেম প্রীতি
জনক ;
বাসব বিজয়ী ভগবান
সোমরসে ভুলেছিলেন যাবতীয় শোক ।
আস্কারা দিও না
শিলালেখ পাঠোদ্ধার হবে কিনা জানা নেই
ভয় আছে
ফসিলস এ যদি দেখে ফেলি আমারই চোখ !
এই জীবন পিতৃ পরিচয়ে স্বীকৃত
যদিও সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয় দেশ প্রেম প্রীতি
জনক ;
বাসব বিজয়ী ভগবান
সোমরসে ভুলেছিলেন যাবতীয় শোক ।
আস্কারা দিও না
শিলালেখ পাঠোদ্ধার হবে কিনা জানা নেই
ভয় আছে
ফসিলস এ যদি দেখে ফেলি আমারই চোখ !
অনির্বাণ আগুন ০৬
অপেক্ষমাণ, কারশেডের বাইরে লম্বা লাইন
সব্বাই প্লাটফর্মে ঢুকবার প্রতীক্ষায় ,
এক মন আকাশে প্রচলিত - অপ্রচলিত তারাদের
তদ্বির করছেন রাম কানাই --
খুঁজছেন কালকের আকাশের শূন্য স্থান , একি
আজ ভরেছে অন্য আলোতে ।
মুহুর্মুহু হুইচাল
প্রতীক্ষায় একদিন খুলে যাই দরজা !
অনেক বছর আগে আকাশ এত উঁচুতে ছিল না , ঠিক
ঠাকুমার ঝাঁটার নাগালেই ছিল ,
বেয়াদপি করলেই ঊর্ধ্ব অঞ্চলের সৃষ্টি
আচ্ছা করে ঝাঁটাপেটা করেছেন কত !
আকাশ- মন মিশলে অনিবার্য আগুন গড়ে ওঠে
দগ্ধ শুধুই অন্তরঙ্গ ;
বহিঃপ্রদেশ অপেক্ষাকৃত শস্য শ্যামল !
খুঁজছেন কালকের আকাশের শূন্য স্থান , একি
আজ ভরেছে অন্য আলোতে ।
মুহুর্মুহু হুইচাল
প্রতীক্ষায় একদিন খুলে যাই দরজা !
অনেক বছর আগে আকাশ এত উঁচুতে ছিল না , ঠিক
ঠাকুমার ঝাঁটার নাগালেই ছিল ,
বেয়াদপি করলেই ঊর্ধ্ব অঞ্চলের সৃষ্টি
আচ্ছা করে ঝাঁটাপেটা করেছেন কত !
আকাশ- মন মিশলে অনিবার্য আগুন গড়ে ওঠে
দগ্ধ শুধুই অন্তরঙ্গ ;
বহিঃপ্রদেশ অপেক্ষাকৃত শস্য শ্যামল !
সংকল্প
দেখি তোমার উদ্ভ্রান্ত যৌবনে ডুবছে গ্রহণের চাঁদ
অবশেষে ঘুমিয়ে পড়ে সমস্ত অবচেতন তোমার গন্ধের মুগ্ধতায় ,
ঢের ভালোবাসা উগ্রে দিয়ে দেখেছি এই সময়ে ---
আল পথে ছুটে খুঁজেছি তোমার ফেলে যাওয়া পথ ,
আমার মান অভিমান বিড়ম্বিত ল'য়ে তার পথ খুঁজে পাই একদিন ,
সেদিন প্রতীবাদহীন নিঃস্ব , যেখানেই ছায়া
দেখি তোমার , সেখানেই আমার আস্তানা গাড়ার
সেই নেশা আজও গেল না ,
পথই বেঁধে দিয়েছে মায়ায় - পথই জানে এর শেষ ঠিকানা
নীলাম্বরী আকাশের নিচে দাঁড়াবে যখন তুমি --
বলব তোমার সেই ডানা কৈ ?
যে ডানাতে উড়িয়েছিলে অষ্টাদশী যুবতী বেলা !
অপেক্ষায় থেকে অপেক্ষা শিখেছি মাকু যেমন স্থির সঙ্কল্পে ,
আমার মান অভিমান বিড়ম্বিত ল'য়ে তার পথ খুঁজে পাই একদিন ,
সেদিন প্রতীবাদহীন নিঃস্ব , যেখানেই ছায়া
দেখি তোমার , সেখানেই আমার আস্তানা গাড়ার
সেই নেশা আজও গেল না ,
পথই বেঁধে দিয়েছে মায়ায় - পথই জানে এর শেষ ঠিকানা
নীলাম্বরী আকাশের নিচে দাঁড়াবে যখন তুমি --
বলব তোমার সেই ডানা কৈ ?
যে ডানাতে উড়িয়েছিলে অষ্টাদশী যুবতী বেলা !
অপেক্ষায় থেকে অপেক্ষা শিখেছি মাকু যেমন স্থির সঙ্কল্পে ,
আর একটা জন্ম দিও
কর্ণার্জুন যুদ্ধে কোন দিকে ধর্ম ছিল তুমি বল ?
এবার একলব্য বৃদ্ধাঙ্গুল নয় ---
হৃদ উপ্রে বলবে -- নে দেশ , নে ইতিহাস
প্রায় বিয়াল্লিশ সপ্তাহের দৌড় ---
থেমে গেলে সাময়িক বদ রক্ত প্রবাহ
হে ঊর্ধ্বতন জননী আমার নমস্কার নিও ।
বিশ্বাস ছিল তোমাদের বছর বিয়োন গাভীর উপর ।
গাভীর বিশ্বাস ছিল কিনা সে প্রশ্ন থাক ।
চার সপ্তাহ পড়েই খাদ্য অভক্তি স্ফিত নাভি প্রদেশ
তৎসহ ঈশ্বরী সম্বন্ধীয় চিন্তা এলে
সারারাত জেগে থাকে তার সঙ্গে চাঁদ দেব শিশু
লুকোচুরি খেলবে বলে ।
লিঙ্গভেদী ঈশ্বর'রা এবার প্রস্তুতি সারেন অনন্ত যাত্রা
পথের নিঃশব্দে চুপি চুপি ।
ঐ এসেছে বাইশ সপ্তাহে কম্পাস --
এবার দিক নির্ণয় ,
কোন পথে ভবিষ্যৎ রাজপুত্র
কোন পথে গেলে আক্কেল সেলামী উপঢৌকন ভেট ।
এই বিয়াল্লিশ সপ্তাহের খেলা -- হায় হায় ,
দিক নির্ণয়ে জটিল ষড়যন্ত্রে পরিতাক্ত ,
ক্ষুদে ক্ষুদে ঈশ্বর এভাবেই অযত্নে ঝরে গেলে --
গাভীনির হাম্বা হাম্বা ডাক কে বোঝে আর !
চার সপ্তাহ পড়েই খাদ্য অভক্তি স্ফিত নাভি প্রদেশ
তৎসহ ঈশ্বরী সম্বন্ধীয় চিন্তা এলে
সারারাত জেগে থাকে তার সঙ্গে চাঁদ দেব শিশু
লুকোচুরি খেলবে বলে ।
লিঙ্গভেদী ঈশ্বর'রা এবার প্রস্তুতি সারেন অনন্ত যাত্রা
পথের নিঃশব্দে চুপি চুপি ।
ঐ এসেছে বাইশ সপ্তাহে কম্পাস --
এবার দিক নির্ণয় ,
কোন পথে ভবিষ্যৎ রাজপুত্র
কোন পথে গেলে আক্কেল সেলামী উপঢৌকন ভেট ।
এই বিয়াল্লিশ সপ্তাহের খেলা -- হায় হায় ,
দিক নির্ণয়ে জটিল ষড়যন্ত্রে পরিতাক্ত ,
ক্ষুদে ক্ষুদে ঈশ্বর এভাবেই অযত্নে ঝরে গেলে --
গাভীনির হাম্বা হাম্বা ডাক কে বোঝে আর !
অনির্বাণ আগুন ০৬
এক গর্বিত মানুষ সে দেখেছে নক্ষত্র ও পাতার
ছন্দ পতন হাওয়ার তালে , নেশার ভাঁড় ফেলে
অধিঃ বাস্তব দেব ভাষা শেখার মন্ত্রণা তবুও তার
গেল না । পাশে , নিঝুম রাত শুয়ে আছে সৃষ্টি
সিঁথি সিঁদুরের সমাজের মহাজনী মান্যতার বঁধু ,
অথচ তার ঘুম নেই , মোমের গলনে সেই স্বাদ
কৈ ? যদিও তস্কর নয় তবু সিঁদকাটে নিত্য ঈশ্বর ঘরে ।
এই অসুখের নাম মায়াবধ , দৈবসার্থকতা যদি
কিছু থেকে থাকে একাকীত্বে নির্জনতায় , তবে
প্রতিটি মর্মোদ্ধার করো সাঙ্কেতিক ঐশ্বরিক ভাষা ,
প্রতিস্পর্ধায় আগুনের দিকে হেটে যাও যৌনাঙ্গ
পুড়িয়ে , প্রসূতি ঘর ভেসে যাক বানের জলে ।
রক্ষণাত্মক ভঙ্গিমায় এত কালের কেঁচো জীবন
ছেড়ে শুঁয়োপোকার এবার প্রজাপতি হবার পালা !
সিঁথি সিঁদুরের সমাজের মহাজনী মান্যতার বঁধু ,
অথচ তার ঘুম নেই , মোমের গলনে সেই স্বাদ
কৈ ? যদিও তস্কর নয় তবু সিঁদকাটে নিত্য ঈশ্বর ঘরে ।
এই অসুখের নাম মায়াবধ , দৈবসার্থকতা যদি
কিছু থেকে থাকে একাকীত্বে নির্জনতায় , তবে
প্রতিটি মর্মোদ্ধার করো সাঙ্কেতিক ঐশ্বরিক ভাষা ,
প্রতিস্পর্ধায় আগুনের দিকে হেটে যাও যৌনাঙ্গ
পুড়িয়ে , প্রসূতি ঘর ভেসে যাক বানের জলে ।
রক্ষণাত্মক ভঙ্গিমায় এত কালের কেঁচো জীবন
ছেড়ে শুঁয়োপোকার এবার প্রজাপতি হবার পালা !
অনির্বাণ আগুন ০৫
আগুন লেখচিত্র রচনা করেছে এবার
ধাপে ধাপে লেখা হচ্ছে জলন্ত শিখর প্রদেশ
কতটা সমৃদ্ধ হয়েছে অস্থি পোড়ানো নীলাভ ছায়ায় !
কিংকর্তব্যহীন অসংখ্য সৃষ্টি বুঝি এভাবেই
মরে গিয়ে বেঁচে গিয়েছিল দেখে , গর্ভরেণু ঋিসভ
উচ্চতায়উঠে আশ্চর্য্য মুগ্ধতায় ফসলের ডালি সাজিয়ে
বলেছিল সফল হোক রূপসী প্রাজন্মিক ফলের স্বাদ ।
প্রথমত সেদিনের জন্মে পাথুরে ভূমিতে ছিল না
ফিসফিস সন্দেহ কথা ; এরপর বিবর্তিত পাথুরে অস্ত্র ভেঙ্গে
ধাতব পাতের টুংটাং , এলো মরণের ক্ষিপ্ততায় উজ্জ্বল অস্ত্র ,
অর্ধেক মানুষ অর্ধেক দেব ছিলেন যারা তারা নয় ,
আগুন নিয়ে এলেন সমাধিতে অভুক্ত লোভ !
কোথাও আর ভণিতা নেই , কিম্বা জীবনের ভুল ঠিকানা ,
যে উচ্চতায় আগুন পৌঁছে গেছে ধীরে অথচ সংযমী হয়ে
নিশ্চিন্তে জ্বলবে তিনঘণ্টা যা শরীরের পক্ষে যথেষ্ট
মরে গিয়ে বেঁচে গিয়েছিল দেখে , গর্ভরেণু ঋিসভ
উচ্চতায়উঠে আশ্চর্য্য মুগ্ধতায় ফসলের ডালি সাজিয়ে
বলেছিল সফল হোক রূপসী প্রাজন্মিক ফলের স্বাদ ।
প্রথমত সেদিনের জন্মে পাথুরে ভূমিতে ছিল না
ফিসফিস সন্দেহ কথা ; এরপর বিবর্তিত পাথুরে অস্ত্র ভেঙ্গে
ধাতব পাতের টুংটাং , এলো মরণের ক্ষিপ্ততায় উজ্জ্বল অস্ত্র ,
অর্ধেক মানুষ অর্ধেক দেব ছিলেন যারা তারা নয় ,
আগুন নিয়ে এলেন সমাধিতে অভুক্ত লোভ !
কোথাও আর ভণিতা নেই , কিম্বা জীবনের ভুল ঠিকানা ,
যে উচ্চতায় আগুন পৌঁছে গেছে ধীরে অথচ সংযমী হয়ে
নিশ্চিন্তে জ্বলবে তিনঘণ্টা যা শরীরের পক্ষে যথেষ্ট
অনির্বাণ আগুন ০৪
এবং চিতা থেকে কুণ্ডলী পাকিয়ে ধোঁয়া
অথবা গন্ধ উড়ছে , আগুন গোগ্রাসে গিলছে
মদ মাংস মায়া । কোন বেদ বাক্য প্রতিষ্ঠা পাইনি
বললে ভুল হবে জীবনে , এই সচল পৃথিবী খণ্ডে
অপেক্ষামান রূপসী ফসল ঘরে তুলতে গেলে
শালগ্রাম শিলায় তেল সিন্দুর পরে ঠিকই
অভিমুখ ঘন ঘন বদলে যাই ।
চোখ বাধা কানুনের মত আগুনও মায়া মান অভিমান
তেজারতি হিসাব একদিকে রেখে অন্যদিকে রেখে শরীর
জীবনের সমস্ত শোধবোধ পালাবদলে পরিপূর্ণ । কি জানি
অক্ষত নাভি জীবনের কোন সে কথা বলে !
আজকের কাঠুরিয়া মুখাগ্নির কাঠ বাহক
আগামীর আগুনে কে পোড়ে , অহংকার না ইজ্জৎ
অপেক্ষামান রূপসী ফসল ঘরে তুলতে গেলে
শালগ্রাম শিলায় তেল সিন্দুর পরে ঠিকই
অভিমুখ ঘন ঘন বদলে যাই ।
চোখ বাধা কানুনের মত আগুনও মায়া মান অভিমান
তেজারতি হিসাব একদিকে রেখে অন্যদিকে রেখে শরীর
জীবনের সমস্ত শোধবোধ পালাবদলে পরিপূর্ণ । কি জানি
অক্ষত নাভি জীবনের কোন সে কথা বলে !
আজকের কাঠুরিয়া মুখাগ্নির কাঠ বাহক
আগামীর আগুনে কে পোড়ে , অহংকার না ইজ্জৎ
অনির্বাণ আগুন ০৩
ইরেজার মুছেছে কত ইতিহাস পারাপারের
সেগুলো ঈশ্বর সম্বন্ধীয়ও হতে পারে !
পাক অরণ্য ছিল সর্ষের মধু খেয়ে ছুটে যেত
যে সকল মধু শ্রমিক স্বভাব চেতনায়
এই অক্ষ গোলকের দিকে --
বৈদিক মন্ত্রাচ্চারনে লিঙ্গ ভুত ভগবানের
সফল আমন্ত্রণে গেরুয়া তিলকের সেই বিকাল
কত ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন পুরোহিত ;
দৈব সংবাদে কৈলাস শিখরে অহরহ দিগম্বর
ধূপ - ধুনো - যজ্ঞ ডুমুরে হোমাগ্নি , এভাবে
ঈশ্বর মুখে হাসি , হয়তো বলেছেন তিনি
পুত্রের ভবিষ্যতে বেঁচে আছে পিতার সফলতা ।
আলস্যে ভেঙ্গে গা ঝারা দিয়ে বন টিয়া ---
আর সমগ্র সৃষ্টি দেখেছে মুগ্ধ সকালে পতন প্রাপ্তির ইতিহাস !
এই অক্ষ গোলকের দিকে --
বৈদিক মন্ত্রাচ্চারনে লিঙ্গ ভুত ভগবানের
সফল আমন্ত্রণে গেরুয়া তিলকের সেই বিকাল
কত ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন পুরোহিত ;
দৈব সংবাদে কৈলাস শিখরে অহরহ দিগম্বর
ধূপ - ধুনো - যজ্ঞ ডুমুরে হোমাগ্নি , এভাবে
ঈশ্বর মুখে হাসি , হয়তো বলেছেন তিনি
পুত্রের ভবিষ্যতে বেঁচে আছে পিতার সফলতা ।
আলস্যে ভেঙ্গে গা ঝারা দিয়ে বন টিয়া ---
আর সমগ্র সৃষ্টি দেখেছে মুগ্ধ সকালে পতন প্রাপ্তির ইতিহাস !
অনির্বাণ আগুন ০২
অলৌকিক সুদর্শনের মত লক্ষ্য চেন
সন্দিহান দৃষ্টি'র অন্তরালে বিষাদের কুঠির ,
নিমগ্ন হও ,পাথরের খাঁজে সকল জন্ম দাগে দ্বৈপায়ন হ্রদের
সেই কি শূন্যতা ?
অন্তিম বাক্যে সমস্ত শিলালেখ দ্বিতীয় শ্রুতিধরে দিয়ে
যাও প্রজাপতি ভূমি ,
একবার সমগ্র প্রলাপ ভেঙ্গে দৈববাণী -- সে আসছে ।
প্রতিস্পর্ধী পায়ে সমান্তরাল অরণ্য খুঁজে নাও
দেব ভাষা শিখে নিয়ে - সুদূরে কান পাত যথেষ্ট ঋষিবাক্য শোনার
সংযম গড়ে উঠুক অরণ্যর শিখর প্রদেশে ,
সনাতনী ঐতিহ্য মর্মোদ্ধার করে নাও অথবা
সর্বহন্তা অসুখ নিয়ে যিনি হেটেছিলেন বোধিবৃক্ষের দিকে
কান পেতে ধর তার অন্তরে ।
অলৌকিক যানে অদ্ভুত ক্ষিপ্ততায় পেত চিতা আগুন
উঠে পরে , শরীর দেবভূমি চ্যুত
অন্তিম বাক্যে সমস্ত শিলালেখ দ্বিতীয় শ্রুতিধরে দিয়ে
যাও প্রজাপতি ভূমি ,
একবার সমগ্র প্রলাপ ভেঙ্গে দৈববাণী -- সে আসছে ।
প্রতিস্পর্ধী পায়ে সমান্তরাল অরণ্য খুঁজে নাও
দেব ভাষা শিখে নিয়ে - সুদূরে কান পাত যথেষ্ট ঋষিবাক্য শোনার
সংযম গড়ে উঠুক অরণ্যর শিখর প্রদেশে ,
সনাতনী ঐতিহ্য মর্মোদ্ধার করে নাও অথবা
সর্বহন্তা অসুখ নিয়ে যিনি হেটেছিলেন বোধিবৃক্ষের দিকে
কান পেতে ধর তার অন্তরে ।
অলৌকিক যানে অদ্ভুত ক্ষিপ্ততায় পেত চিতা আগুন
উঠে পরে , শরীর দেবভূমি চ্যুত
অদ্ভুত অরণ্য এই দেশ
চিনা বাদামের খোসা ভাসে ঊর্ধ্ব দেশে
মেঘনাধ শঙ্খধ্বনিতে লুটোপুটি সে বালক
ঝর এই তমসি রাত্রি'র অরণ্যশোভিত গর্বিত
ধূলাতেও গড়ে উঠুক সবুজের সংসার ।
আজ ভোলা শিশু নক্ষত্রলোক গরুর খুঁড়ের
কাঁদায় মাতব্বরির অধিকারে ধানের গুচ্ছ ,
অনেক পথে উড়েছে পূর্বপুরুষ ধুলো
মহেঞ্জোদারো হরপ্পায় শস্যগোলা স্নানাগার
যে পথে ছুটে ছুটে --
আমাকে জন্ম দিয়েছে , অরণ্য বন সারস
বিলে অদ্ভুত ডিমে'র হলুদ কুসুমে সেই তো
ত্রিভুবন জয়ী ঈশ্বরের জন্ম ।
নিঃশব্দে ঈশ্বরের ভূমির দখলদারি অরণ্য দেশের মোহে
আজ ভোলা শিশু নক্ষত্রলোক গরুর খুঁড়ের
কাঁদায় মাতব্বরির অধিকারে ধানের গুচ্ছ ,
অনেক পথে উড়েছে পূর্বপুরুষ ধুলো
মহেঞ্জোদারো হরপ্পায় শস্যগোলা স্নানাগার
যে পথে ছুটে ছুটে --
আমাকে জন্ম দিয়েছে , অরণ্য বন সারস
বিলে অদ্ভুত ডিমে'র হলুদ কুসুমে সেই তো
ত্রিভুবন জয়ী ঈশ্বরের জন্ম ।
নিঃশব্দে ঈশ্বরের ভূমির দখলদারি অরণ্য দেশের মোহে
জন্ম
তুই বিশ্বাস করবিনা কোন দিন অনেক গুলো
পানিপথ সংগঠিত হয়েছিল তুই আসবার আগে ।
অবশেষে জলেই ভেসে গেল আমার সত্ত্বা আর
নারীর চোখের জলে তোর মঙ্গলশঙ্খ ধ্বনি ।
এখন প্রতিরাতে বুকচাপা যন্ত্রণা , অসহ্য , তুই বুঝবি
না কতটা নিচে নামলে জলে অন্যকে ভাসিয়ে
রাখা যায় ! প্রত্যেকটা ডাক্তার যারা এক একটা
বাছুর খাওয়া কুমির লম্বা হা করে গিলে
নিয়েছেন তোর মায়ের দুল আমার বিয়ের সাইকেল
যাতে করে তোর মামা বাড়ি গেছি বার কয় ......
আর সামনের লাইনে রেখেছি স্মৃতি আংটি বাবার
রুপোর হুঁকো আর ১০ পারসেন্ট সাইলক মহাজন !
তুই জানিস না -- আমার এই ছোট্ট মুদি দোকান
পাঁচ পেট , তুই বল তোর যায়গা কোথায় ?
আমার বাবাও আখের গোছাতে জানতেন না বলেই
বি এ পাশ করে আমি হরি মুদি
আমিও তো বাবার সন্তান ---- দৌড় বুঝে গেছি !
জন্মের আকুতি জঠরের কান্না সব মিছে ?
জন্ম বলতেই কি সুযোগসন্ধানীর আত্মসাৎ
আর এক পেট বুভুক্ষ নিয়ে আমার সন্তানের জন্ম ...
শোন , শোন বেয়াদপের দল ------------
যতই আসুক ঝঞ্ঝা বাতাসের রুদ্ধশ্বাস
যতই আসুক বছর জুড়ে শুধুই চৈত্র মাস
জল আলো বাতাসকে সাক্ষী রেখে নামিয়েছি পৃথিবীতে তাকে ...
আমার সন্তান যেন বেঁচে থাকে বেঁচে থাকে বেঁচে থাকে !
এখন প্রতিরাতে বুকচাপা যন্ত্রণা , অসহ্য , তুই বুঝবি
না কতটা নিচে নামলে জলে অন্যকে ভাসিয়ে
রাখা যায় ! প্রত্যেকটা ডাক্তার যারা এক একটা
বাছুর খাওয়া কুমির লম্বা হা করে গিলে
নিয়েছেন তোর মায়ের দুল আমার বিয়ের সাইকেল
যাতে করে তোর মামা বাড়ি গেছি বার কয় ......
আর সামনের লাইনে রেখেছি স্মৃতি আংটি বাবার
রুপোর হুঁকো আর ১০ পারসেন্ট সাইলক মহাজন !
তুই জানিস না -- আমার এই ছোট্ট মুদি দোকান
পাঁচ পেট , তুই বল তোর যায়গা কোথায় ?
আমার বাবাও আখের গোছাতে জানতেন না বলেই
বি এ পাশ করে আমি হরি মুদি
আমিও তো বাবার সন্তান ---- দৌড় বুঝে গেছি !
জন্মের আকুতি জঠরের কান্না সব মিছে ?
জন্ম বলতেই কি সুযোগসন্ধানীর আত্মসাৎ
আর এক পেট বুভুক্ষ নিয়ে আমার সন্তানের জন্ম ...
শোন , শোন বেয়াদপের দল ------------
যতই আসুক ঝঞ্ঝা বাতাসের রুদ্ধশ্বাস
যতই আসুক বছর জুড়ে শুধুই চৈত্র মাস
জল আলো বাতাসকে সাক্ষী রেখে নামিয়েছি পৃথিবীতে তাকে ...
আমার সন্তান যেন বেঁচে থাকে বেঁচে থাকে বেঁচে থাকে !
No comments:
Post a Comment