পুনর্জন্ম
সাদা হাঁসের ডানাই রোদ নাচে , কি মুগ্ধতায়
দিন আসে , মুহূর্তে পালাবদল গাছে- মাঠে-
বেলা হেসে ওঠে , দু'হাতে মহাজাগতিক জীবন
দু'হাতে মৃত্যু , সময়ের গৃহীত গভীর খাদে
ডুবে যাই চণ্ডাল বেদনা তবুও জেহাদী যৌবন
দেখেছি কি কোন সুন্দর অভ্রান্তের ছবি ?
যে প্রেম চেনাবে ! শরীরে শরীরে শুধু দাগ কণ্ঠে
নিরুদ্বেগে কান্নাধ্বনি পদস্খলন লেখা থাকে কাষ্ঠ
খণ্ডে আগুনে আগুনে আর যাকিছু পুনর্জন্ম সবই
স্থিতিশীল স্থিতিস্থাপক ভঙ্গিমায় , মানা এবং না মানা
সমস্ত বৈষয়িক রন্ধে আনুপাতিক অর্থ হুন্ডি কেউ
কেউ তুলে নেন , আমার জানা জগত যাবতীয়
উদ্যোগের রসায়ন ভস্মীভূত , পার্থিব সন্ধি যাপন ছায় ।
জীবনে আর বন্দীমুক্তি খেলা নেই যা সময় চেনাবে
উভয়মুখী বন্দ প্রকোষ্ঠে তবুও মুক্তির সেই আবেদন
গেল না জন্মেও , তুমিই প্রতিষ্ঠা করেছ জীবন
রঙ্গমঞ্চে কাঠপুতুল সুতো সবই সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম
তোমারই গর্বিত চেতনার ইচ্ছাধীনে ।
পৃথিবীকে এবার শয্যা ক'রে তোল , পতনের ক'তো
সংকেত লিখে রেখেছ তুমি - একটাই লটকে দাও
আমার শরীর - কি জানি এরপর পুনর্জন্ম
স্থিতিশীল স্থিতিস্থাপক ভঙ্গিমায় , মানা এবং না মানা
সমস্ত বৈষয়িক রন্ধে আনুপাতিক অর্থ হুন্ডি কেউ
কেউ তুলে নেন , আমার জানা জগত যাবতীয়
উদ্যোগের রসায়ন ভস্মীভূত , পার্থিব সন্ধি যাপন ছায় ।
জীবনে আর বন্দীমুক্তি খেলা নেই যা সময় চেনাবে
উভয়মুখী বন্দ প্রকোষ্ঠে তবুও মুক্তির সেই আবেদন
গেল না জন্মেও , তুমিই প্রতিষ্ঠা করেছ জীবন
রঙ্গমঞ্চে কাঠপুতুল সুতো সবই সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম
তোমারই গর্বিত চেতনার ইচ্ছাধীনে ।
পৃথিবীকে এবার শয্যা ক'রে তোল , পতনের ক'তো
সংকেত লিখে রেখেছ তুমি - একটাই লটকে দাও
আমার শরীর - কি জানি এরপর পুনর্জন্ম
রূপান্তর
বহু ফসলী রূপান্তরের দিকে চলে গেছো তুমি
বীজের খোলস ছড়িয়ে -ছিটিয়ে
জলের ঘূর্ণনের মধ্যের স্থির অন্ধ প্রত্যাশায় পারদে
বসে সুনীলের গভীরতা দেখি
কোন এক গন্ধক সন্ধ্যায় বিশুদ্ধ গণিতের সুদকষা নিয়মে
যদি ফিরে আসো
যদি ফিরে আসো আত্মমন্থিথ হৃদয়ের গোপন অন্দরে ।
তাবৎ জীবন ধরে নিষিদ্ধ মারিজুয়েনার নেশাতুর বাস্তব
অন্ধগলি পথে ভুঁইফোঁড় অভিযোজনে
অঙ্কুরোদ্গম বীজের সোনালি ফসলের আকাঙ্ক্ষায়
বিশৃঙ্খল খেতে- খামারে
কৃষকের স্বপ্ন চোখে নবান্ন রাতের মত চেয়ে থাকি
এক ঈশ্বরী কন্যা যেন
বিনুনি চুলে নেমেছে তোমার ঘরোয়া সন্ধ্যা
ঠিক সাওতাল রমণীর মত হাতে মাতির প্রদীপে
কামনিয় লালিত্য তুমি ।
বেদেনীর ঝুড়িতে বিষদাঁত ভেঙ্গে যতবার শেকল পড়িয়েছি
মার্জিত শাসনে --- আর যখনই অন্ধকার নেমেছে
তুমিও সকল বাঁধন খুলে কোন এক রুপান্তরে ।
অন্ধগলি পথে ভুঁইফোঁড় অভিযোজনে
অঙ্কুরোদ্গম বীজের সোনালি ফসলের আকাঙ্ক্ষায়
বিশৃঙ্খল খেতে- খামারে
কৃষকের স্বপ্ন চোখে নবান্ন রাতের মত চেয়ে থাকি
এক ঈশ্বরী কন্যা যেন
বিনুনি চুলে নেমেছে তোমার ঘরোয়া সন্ধ্যা
ঠিক সাওতাল রমণীর মত হাতে মাতির প্রদীপে
কামনিয় লালিত্য তুমি ।
বেদেনীর ঝুড়িতে বিষদাঁত ভেঙ্গে যতবার শেকল পড়িয়েছি
মার্জিত শাসনে --- আর যখনই অন্ধকার নেমেছে
তুমিও সকল বাঁধন খুলে কোন এক রুপান্তরে ।
মুরতমান
মূর্তি যে মন্দিরে যেমন রূপ পেলে ব্যাখ্যা দিতে
জানেন নারদ বণিতা ঘরের খরিদ্দারের মত পিপাসীরা
লক্ষ্য চেনেন বস্তু নন ।
গন্তব্য ছিল শস্য সমৃদ্ধি সংহতির দিকে , সমস্ত
প্রেরণার সম্ভাষণ একমুখী চলনে সিদ্ধান্ত নি'লে সহজতর
ভঙ্গিমায় মহানতম ইচ্ছারা ক্রীতদাস -- আর
তোমার অঙ্গুলি হেলনে গান ঝরে পড়ে বিশ্বাসের ।
বিবিধ অপব্যাখ্যা নৈরাজ্যের কুহকে জড়িয়ে নিজেকেই
ভাবেন সময়ের উত্তরণের ধ্রুবক , স্বয়ংসিদ্ধ তাপে
পুড়িয়ে দিয়ে গৃহস্ত অঙ্গন নিরাপদ দূরত্বে যাবতীয়
নির্বাণ শোষণের মহারাজ !
আমরা মনে সোনার সাফল্য সুখ খুঁজি ছাই গাঁদায় ,
অকাতর ছড়িয়ে আত্মকথন শ্রমের ক্রিয়া থেকে দূরের
বহু দূরের যেন এক রূপসী নগর নারায়ণ
আমাদের স্বপ্নের ভেতর খেলা করে দশদিকে ;
নিস্তব্ধ এই একাকীত্বের মধ্যে নিঃশব্দ দহন জ্বালা
আমাদেরই অপরাগে জেগে থাকে আমৃত্যু ।
সব পথ একদিন ক্লান্ত হ'লে পড়ে থাকে শ্রম
গার্হ্যস্ত কীটের নাদায় ক্ষুধার্থ পশুদের হামলে পড়া মুখ
ভাবেন সময়ের উত্তরণের ধ্রুবক , স্বয়ংসিদ্ধ তাপে
পুড়িয়ে দিয়ে গৃহস্ত অঙ্গন নিরাপদ দূরত্বে যাবতীয়
নির্বাণ শোষণের মহারাজ !
আমরা মনে সোনার সাফল্য সুখ খুঁজি ছাই গাঁদায় ,
অকাতর ছড়িয়ে আত্মকথন শ্রমের ক্রিয়া থেকে দূরের
বহু দূরের যেন এক রূপসী নগর নারায়ণ
আমাদের স্বপ্নের ভেতর খেলা করে দশদিকে ;
নিস্তব্ধ এই একাকীত্বের মধ্যে নিঃশব্দ দহন জ্বালা
আমাদেরই অপরাগে জেগে থাকে আমৃত্যু ।
সব পথ একদিন ক্লান্ত হ'লে পড়ে থাকে শ্রম
গার্হ্যস্ত কীটের নাদায় ক্ষুধার্থ পশুদের হামলে পড়া মুখ
প্রেম , তোমাকে ধরতে পারিনি বলে
মাঝিমল্লার কণ্ঠে এলো ভাটিয়ালি , চরার
একপ্রান্তে এক পায়ে গ্রীবা উঁচিয়ে বক
শুনলো বিষাদ সঙ্গীত
প্রসিদ্ধ হোল কবির দৃষ্টিতে দৃশ্য ;
বিচিত্র লীলাচলে অঙ্কিত চিত্রিত পড়ে থাকে ঢেউ ,
খোঁজ , বৈচিত্র্যর যে পথ
ঘুরছে লতাপাতায় দুনের পাইনতলে লোমশ ভেড়ার
পায়ে পায়ে ;
এই দুপুরে বৃষ্টি নেই বলে ফিরে এসো না
বন্দিত জানুতে ধরো , ধরো
প্রপাতের ধ্বনি , তাকেও কেউ প্রেমই বলে জানে ,
করতলে উচাটান কবি , করতলে প্রেম ,
করতলে শিলালেখ পড় ;
প্রত্যাশার আড়ালে কবিতা রেখে প্রেমের সুলুকসন্ধানে
কোথায় নামবে তুমি ?
কবি মরে যায় , কবিতার প্রান্তিক প্রান্তে প্রেমের বাস
ভাটিয়ালির বিষাদে এবার প্রেমের জয় হয়
পায়ে পায়ে ;
এই দুপুরে বৃষ্টি নেই বলে ফিরে এসো না
বন্দিত জানুতে ধরো , ধরো
প্রপাতের ধ্বনি , তাকেও কেউ প্রেমই বলে জানে ,
করতলে উচাটান কবি , করতলে প্রেম ,
করতলে শিলালেখ পড় ;
প্রত্যাশার আড়ালে কবিতা রেখে প্রেমের সুলুকসন্ধানে
কোথায় নামবে তুমি ?
কবি মরে যায় , কবিতার প্রান্তিক প্রান্তে প্রেমের বাস
ভাটিয়ালির বিষাদে এবার প্রেমের জয় হয়
ব্যক্তিগত
প্রবল ব্যক্তিগত ভাবে বেঁচে আছি ,
কারুর দাক্ষিণ্য ছাড়া ভিড় ট্রেনে ওঠাই যাই না ,
একটুখানি পা-দানি পেলেও বহুচর্চিত শরীর
ধনুকের মত বেঁকে ঠিক তৎপরতাই শব্দভেদী বানে
ঘায়েল করতাম যাত্রী ;
অবশ্য আমি পারিনা বলেই সকলে নিরামিষ মার্জার নয়
কাঁটা বাছতে শেখেনি ইলিসের !
এসব দেখতে দেখতে প্রবল ব্যক্তিগত ভাবে বেঁচে আছি ,
শরীরের সমস্ত অঙ্গ ব্যক্তিগত রেখে তর্জনী শুধু গণতন্ত্রে ,
সমগ্র পতাকাতলে হাত নারি , সমস্ত সঙ্গীতের কোরাসে
হাঁসের মত প্যাক প্যাক করি রক্তের গতি ঠিক রাখতে
বায়ুর প্রাবল্য নিয়েই প্রবলভাবেই আছি ব্যক্তিগত দিনপাতে ।
সেন্সেক্সর উত্থানপতন জি ডি পি ক্রাইম রিপোর্টে
নাম নেই দেখেই বুঝি ---
যারা বোঝেন তারা জনতায় আছেন , আমি প্রবল ভাবে
আছি নিজের খোলসে নিজে , প্রবল ভাবেই আছি ----------
শরীরের সমস্ত অঙ্গ ব্যক্তিগত রেখে তর্জনী শুধু গণতন্ত্রে ,
সমগ্র পতাকাতলে হাত নারি , সমস্ত সঙ্গীতের কোরাসে
হাঁসের মত প্যাক প্যাক করি রক্তের গতি ঠিক রাখতে
বায়ুর প্রাবল্য নিয়েই প্রবলভাবেই আছি ব্যক্তিগত দিনপাতে ।
সেন্সেক্সর উত্থানপতন জি ডি পি ক্রাইম রিপোর্টে
নাম নেই দেখেই বুঝি ---
যারা বোঝেন তারা জনতায় আছেন , আমি প্রবল ভাবে
আছি নিজের খোলসে নিজে , প্রবল ভাবেই আছি ----------
৪৭
নির্বিষ একটা সাপ
বীণ ঠোঁটে সাপুড়ে
ফোঁসফোঁস ও করছে না
না দিচ্ছে ধরার আমন্ত্রণ
ভিক্ষুকের থলের মতন
নিস্পলক চেয়ে আছে ।
সেই সাতচল্লিশ থেকেই চেয়ে আছে
যেন কোন বশীকরণ
হাত পড়বে তার মাথায়
আর
প্রলয়ের কোন এক রাতে
কেউ বলবে
কি হয়েছে তোর ? মন খারাপ ?
হাত পড়বে তার মাথায়
আর
প্রলয়ের কোন এক রাতে
কেউ বলবে
কি হয়েছে তোর ? মন খারাপ ?
হে
হে তরুণ , হে মধ্যরাতের সন্তান
দৈব-দুর্বিপাকে বুঝি মিলেছে কুষ্ঠীর সাথে
স্বাধীনতার শালীনতার ভোর ;
ঢের বুলেট রক্ত খেয়ে ক্ষ্যান্ত হ'লে শুক্লপক্ষ
ভেঙ্গে নবারুণের পূর্বের ঈশারা , আর
কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যভেদে দৃঢ়সংকল্পে
নদী পাহাড়-পর্বত জীবনের উষ্ণতা
ভালোবেসে স্থির প্রতীক্ষায় , যেন বলে
ব্যবহার করো , ব্যবহার করো আমায় ।
হে তরুণ , হে মধ্যরাতের সন্তান
পরিচয় লিপিতে নামের বদলে দেশ আঁকো ,
এই দুর্দিনে পাথর ভাঙো বুকের ---
প্রত্যেকটা মধ্যরাতে
জরুথুরু পৃথিবী ঘুমিয়ে গেলে ------
দীর্ঘ উচ্চারণে ঘোষিত হোক
আজ তোমার জন্মদিন !
হে তরুণ , হে মধ্যরাতের সন্তান
পরিচয় লিপিতে নামের বদলে দেশ আঁকো ,
এই দুর্দিনে পাথর ভাঙো বুকের ---
প্রত্যেকটা মধ্যরাতে
জরুথুরু পৃথিবী ঘুমিয়ে গেলে ------
দীর্ঘ উচ্চারণে ঘোষিত হোক
আজ তোমার জন্মদিন !
জাদু সড়ক
কি ভাবে অস্বীকার করবো আমি জন্ম পুনশ্চঃ জন্মদাগ ,
নিস্তেজ ডোরল্যাম্পের আলোতে যতই নিসর্গ
কত গুলি বিন্দু আঁকি স্রেফ নিজেকে ভাওতা দিয়ে , অথচ
ক্রমাগত তোমার সেই চোখ , হাড়মাস খুবলে খাওয়া
চোখ কি করে ভাবি এখন বর্ণান্ধ ?
এখন যখন বিদ্যুৎচুল্লীতে দাউ দাউ পুড়তে থাকে পুড়তে থাকে
করোটি ব্রহ্মতালু স্পর্শকাতর সমস্ত অঙ্গ
দূরে গঙ্গাপারে শেয়াল ক্ষুধায় ডাকতে থাকে ডাকতে থাকে --
থাম , থাম তোরা থাম
এখনও ঢের রাত বাকি ঢের শরীর তোদের প্রতীক্ষায় ।
ক্রমশঃ যৌথ কারবারে লিপ্ত হয়ে উঠি , তোমার উপেক্ষার
শরীর চাটতে চাটতে একটা মৈথুন সংস্রবের প্রতীক্ষায়--
হাজার বারের এই পাপ জন্মে যতই তুমি কুণ্ডলীকৃত জল দাও
হোমের আগুনে শুদ্ধ করো বুক
দেবী , থাম্বে না , থাম্বে না এ জ্বলন ।
ক্ষিদে , গভীর ক্ষিদে নিয়ে তলিয়ে যাচ্ছে অপরাহ্ণের সূর্য ,
হঠাৎ হঠাৎ অদ্ভুত সমুদ্র মুদ্রা নিয়ে দাঁড়িও না সামনে
আমার এই পিশাচ , এই পিশাচ চোখের সামনে
তোমার ঐ রক্তের লোভ দেখিও না আদিম লালসায় ,
এ কোন সড়ক দিয়ে চলছ তুমি আমি হাজার ক্রোশ দূরে
সমগ্র কোলাহল থেকে রক্তের উত্তাপ থেকে --
এভাবেই নেপথ্যচারিণী কোন ভাগাড় পথে ফেলে যাও আমায় --
রোজ আমার হত্যা রক্তে বুঝি সূর্যস্নান
আর স্পষ্টত পাল্টে যাচ্ছে বুঝি আসমুদ্র-হিমাচল
স্পষ্টত বুঝি গুমোট অহংকারে তোমার বুৎপত্তি !
থাম , থাম তোরা থাম
এখনও ঢের রাত বাকি ঢের শরীর তোদের প্রতীক্ষায় ।
ক্রমশঃ যৌথ কারবারে লিপ্ত হয়ে উঠি , তোমার উপেক্ষার
শরীর চাটতে চাটতে একটা মৈথুন সংস্রবের প্রতীক্ষায়--
হাজার বারের এই পাপ জন্মে যতই তুমি কুণ্ডলীকৃত জল দাও
হোমের আগুনে শুদ্ধ করো বুক
দেবী , থাম্বে না , থাম্বে না এ জ্বলন ।
ক্ষিদে , গভীর ক্ষিদে নিয়ে তলিয়ে যাচ্ছে অপরাহ্ণের সূর্য ,
হঠাৎ হঠাৎ অদ্ভুত সমুদ্র মুদ্রা নিয়ে দাঁড়িও না সামনে
আমার এই পিশাচ , এই পিশাচ চোখের সামনে
তোমার ঐ রক্তের লোভ দেখিও না আদিম লালসায় ,
এ কোন সড়ক দিয়ে চলছ তুমি আমি হাজার ক্রোশ দূরে
সমগ্র কোলাহল থেকে রক্তের উত্তাপ থেকে --
এভাবেই নেপথ্যচারিণী কোন ভাগাড় পথে ফেলে যাও আমায় --
রোজ আমার হত্যা রক্তে বুঝি সূর্যস্নান
আর স্পষ্টত পাল্টে যাচ্ছে বুঝি আসমুদ্র-হিমাচল
স্পষ্টত বুঝি গুমোট অহংকারে তোমার বুৎপত্তি !
স্বাধীনতা
প্রভুত মনস্তাপের নাম স্বাধীনতা
জিহ্বায় অদ্ভুত মমতায় উচ্চারণের নাম স্বাধীনতা
মুরগি ডাকা ভোরে কৃষকের লাঙল কাঁধে তোলার নাম স্বাধীনতা
পার্কে প্রেমিক যুগলের ঠোঁটে ঠোঁটে চুম্বনের নাম স্বাধীনতা
প্রবাহিত নদীর ধারার নাম স্বাধীনতা
দাতব্য চিকিৎসালয়ের সেবিকার হাতের স্পর্শের নাম স্বাধীনতা
অটো ড্রাইভারের রাত বারোটাই প্রসূতিকে হাসপাতালে পৌঁছে দেবার নাম স্বাধীনতা
অন্ধ নজরুলের ট্রেনে বা
দাম বিক্রির নাম স্বাধীনতা
ক্লাবে রক্তদান শিবিরের নাম স্বাধীনতা
প্রত্যেকটা আমন খেতের নাম স্বাধীনতা
গঙ্গাঘাটে মহালয়া পিতৃ তর্পণের নাম স্বাধীনতা
লক আপে থার্ড ডিগ্রি পাঁচনের নাম স্বাধীনতা
ধর্ষিতার হুজুর আমার মাই-বাপ এর নাম স্বাধীনতা
টিভিতে যৌনবর্ধক বিজ্ঞাপনের নাম স্বাধীনতা
এ অথবা ইউ সার্টিফিকেট প্রাপ্য ফিল্মের নাম স্বাধীনতা
কালাহান্দি আমলাশোলের যক্ষ্মার নাম স্বাধীনতা
ফেস্টুনে ফেস্টুনে ছাদে পতাকার নাম স্বাধীনতা
আমার স্বপ্নের নাম স্বাধীনতা
আমার দেশের নাম স্বাধীনতা
আমার ভাই এর নাম স্বাধীনতা
আমার ভাতের নাম স্বাধীনতা
আমার বুকের মাঝে স্বাধীনতা , আমার পেটের নাম স্বাধীনতা
আমার মুখের ভাষা স্বাধীনতা , আমার কবিতার নাম স্বাধীনতা
ক্লাবে রক্তদান শিবিরের নাম স্বাধীনতা
প্রত্যেকটা আমন খেতের নাম স্বাধীনতা
গঙ্গাঘাটে মহালয়া পিতৃ তর্পণের নাম স্বাধীনতা
লক আপে থার্ড ডিগ্রি পাঁচনের নাম স্বাধীনতা
ধর্ষিতার হুজুর আমার মাই-বাপ এর নাম স্বাধীনতা
টিভিতে যৌনবর্ধক বিজ্ঞাপনের নাম স্বাধীনতা
এ অথবা ইউ সার্টিফিকেট প্রাপ্য ফিল্মের নাম স্বাধীনতা
কালাহান্দি আমলাশোলের যক্ষ্মার নাম স্বাধীনতা
ফেস্টুনে ফেস্টুনে ছাদে পতাকার নাম স্বাধীনতা
আমার স্বপ্নের নাম স্বাধীনতা
আমার দেশের নাম স্বাধীনতা
আমার ভাই এর নাম স্বাধীনতা
আমার ভাতের নাম স্বাধীনতা
আমার বুকের মাঝে স্বাধীনতা , আমার পেটের নাম স্বাধীনতা
আমার মুখের ভাষা স্বাধীনতা , আমার কবিতার নাম স্বাধীনতা
ফাইট
অবশেষে পড়ে আছি ধান খেতে ।
একটু আগে দ্রাম দ্রাম
দিক্বিদিক গোলা-গুলি
আর্ত চিৎকার
পাশে শুয়ে আছে পলাশ
রক্তে মাখামাখি মুখ
কালো জমাটবদ্ধ রক্ত-জলে-কাঁদায়
আঃ বেঁচে আছি !
আশ্চর্য
তিনটে বুলেট ধরেছে শরীর
দুটো পেটে একটা বুকের বা পাশে
আস্তে আস্তে বন্ধুরা ঝিমিয়ে পড়ছে
ডাকছি প্রাণপণ পলাশ দীপক ওঠ
এখনই নামতে হবে পথে
ওরা ওঠেনা দেখে শেষমেশ আমি উঠে পড়ি
এখন অনেক পথ দিতে আছে বাকি পাড়ি
পুনশ্চঃ প্রভাতী ব্রেকিং নিউজ
কাল রাতে গান ফাইটে -- স্থানে আমন খেতে
পড়ে আছে একটা লাশ
সন্দেহ হচ্ছে অন্য সাথী'রা পালিয়েছে ।
No comments:
Post a Comment