মেয়েটি
এক জীবনে কি পেয়ে যায় মেয়েটা ?
সর্বশেষ ভাতের থালা মা এর উচ্ছিষ্ঠ ;
বুঝে নিয়েছে হিসাব , ধনুকভাঙা পণ , হার
মেনেছেন পিতৃদেব ভাই এর নতুন সাইকেল ;
দেখে নিয়েছে সে তীব্র কিছু লোভ কামাক্ত ঠোঁট
ইশারায় কাছে ডাকে অন্ধ সুধীজন ;
এগিয়ে আসে কর্ম ক্ষেত্রে উপকারী বন্ধু -
নিরুত্তর প্রতিদানে চেয়ে নেন গোপন সান্নিধ্যে ;
এখন প্রতিটি আলোতেও দৃষ্টি ক্ষীণ --
দাঁত নখ বের করে শ্বাপদ , মেয়ের স্থান অপ্রতুল ;
মেনেছেন পিতৃদেব ভাই এর নতুন সাইকেল ;
দেখে নিয়েছে সে তীব্র কিছু লোভ কামাক্ত ঠোঁট
ইশারায় কাছে ডাকে অন্ধ সুধীজন ;
এগিয়ে আসে কর্ম ক্ষেত্রে উপকারী বন্ধু -
নিরুত্তর প্রতিদানে চেয়ে নেন গোপন সান্নিধ্যে ;
এখন প্রতিটি আলোতেও দৃষ্টি ক্ষীণ --
দাঁত নখ বের করে শ্বাপদ , মেয়ের স্থান অপ্রতুল ;
মৃত্যু বিষয়ক চিন্তা ভাবনা পাগলির
কিভাবে মৃত্যু হ'য় যদি কেউ জানতে চাই
আমি আস্তিন থেকে মৃত্যু সাপ বের করতে পারি ;
করছি না , সমকালীন বাস্তবে মৃতের গল্পে - মৃত্যু
আমদানি শুধু হাস্যকর নয় বেদনাদায়ক !
মৃত্যুতে ভয় পাবার কিচ্ছু নেই -- সেই ভয় বলুন
অনুকম্পা বলুন কাঙ্ক্ষিত সেই সময়ের আগে পর্যন্ত ;
ঠিক শেষ জল পানের পূর্বে মন এক লোহা হয়ে যায় , ঐ দিকে
পরমাত্মা সর্ব শক্তিশালী চুম্বক ;
মিলন অবধারিত পার্থিব নিয়মে ,
ভয়ের মধ্যে আদ্র অভূতপূর্ণ এক রহস্যের আস্তানা , অতএব
রহস্য ভাংতে পারিনা বলেই
মৃত্যু ছিনে জোঁকের মত রক্ত চুষে জন্ম- জন্মান্তর ধরে
যেন বাছুর খাওয়া কুমির ; হে হে হে -- নর- নারী ;
কি ভাবে মৃত্যু হয় বলেই দি ( নইলে বলবেন লেখিকা অজ্ঞ !)
শুনুন সুমতি পাঠক , মানবের মৃত্যু নেই কোন মৃত্যুতে ,
চেতনার মৃত্যু নেই --
শুধুই খোলস বদল আর মূর্খেরা মরে অজান্তেই নিত্য !
মৃত্যুতে ভয় পাবার কিচ্ছু নেই -- সেই ভয় বলুন
অনুকম্পা বলুন কাঙ্ক্ষিত সেই সময়ের আগে পর্যন্ত ;
ঠিক শেষ জল পানের পূর্বে মন এক লোহা হয়ে যায় , ঐ দিকে
পরমাত্মা সর্ব শক্তিশালী চুম্বক ;
মিলন অবধারিত পার্থিব নিয়মে ,
ভয়ের মধ্যে আদ্র অভূতপূর্ণ এক রহস্যের আস্তানা , অতএব
রহস্য ভাংতে পারিনা বলেই
মৃত্যু ছিনে জোঁকের মত রক্ত চুষে জন্ম- জন্মান্তর ধরে
যেন বাছুর খাওয়া কুমির ; হে হে হে -- নর- নারী ;
কি ভাবে মৃত্যু হয় বলেই দি ( নইলে বলবেন লেখিকা অজ্ঞ !)
শুনুন সুমতি পাঠক , মানবের মৃত্যু নেই কোন মৃত্যুতে ,
চেতনার মৃত্যু নেই --
শুধুই খোলস বদল আর মূর্খেরা মরে অজান্তেই নিত্য !
তবুও
মৎসান্যায় চলছে হৃদে ;
প্রত্যেকবার "লাস্ট সাফার " , দেখি
ক্রুশে ঝুলছে সবাক চলচিত্র ।
আমার জন্ম নেই বলে
প্রতিরাতে মৃত্যু বুঝি নিদারুণ অভিমানে ;
ডাইনে -বা'য়ে জীবনের অসংখ্য অক্টোপাস আস্টে - পিস্টে বেঁধে
দাম্ভিম প্রেমের স্খলন ,
ঐদিকে কাল জঙ্ঘার ফেনিল মাদকতায়
মৃত্যু নাচে ঝুম ঝুম র্যাটেল স্নেক বিষে ;
তীব্র আকাঙ্ক্ষায় নিবদ্ধ থেকে জাগতিক ঘুমে --- আর সেই স্বপ্ন
সব স্তব্ধ হ'লে মৃত্যুর পরে -----
কোন গোলাপে আছে ভালোবাসার অভিমান , প্রেম !
এবার জন্ম দাও
ক্রমশঃ নিয়মতান্ত্রিক ভীরের দিকেই উদ্বাস্তু জীবন ,
শালীনতার ভোরে'র ধিকধিক আগুনের পশ্চাৎ দেশে
সমগ্র স্বপ্ন নিয়ে স্থির উঠোন , উপেক্ষা করে এগিয়ে যাই জীবন -
ঐ ম্লান মুখে বাৎসান্যয় কলা , সবুজের সব মগ্নতা
ভুলে ইতস্তত বিক্ষিপ্ত আবার দৌড় ,
বহুবৎসরব্যাপী অমৃতযোগী নিষিদ্ধ হয়ে আছে কুটিল
ষড়যন্ত্রে , পিষাস ভুত পারদর্শী অতিকথনে
চুষে নিয়ে সব উত্তাপ ----
হিম মানব- মানবী পার্থিব শারীরিক প্রতিযোগিতায় !
এই নিয়মতান্ত্রিক গোলোকে
রিপু আতিথ্য'র আধিক্য পর্যায়ক্রমে মেলে পাখনা
শাশ্বত সত্যর বুকে আদর্শ পাথরচাপা ,
লক্ষ- কোটি বছর কোন জন্ম আসেনি
যে অপূর্ব মানবীয় লীলায় পাপ হন্তক পথের সুদূর প্রসারী
দিশারী কাণ্ডারি ম্লেচ্ছের ;
বারবার সাবানে কয়লা ধুয়ে ফেলে সযত্নে সকলের সম্মুখে ,
সমগ্র কালিমাতিপ্ত অনুশাসন প্রান প্রতিষ্ঠা পাই
গ্রন্থিত শরিরের আনাচে-কানাচে ;
প্রভূত ইচ্ছাশক্তি নিয়ে
হনন ক'রে মানবিক প্রাজন্মিক ঐতিহ্য
পরিচিত বাতাস থেকে প্রেম গানের সুর উধাহ ---
ভুলে ইতস্তত বিক্ষিপ্ত আবার দৌড় ,
বহুবৎসরব্যাপী অমৃতযোগী নিষিদ্ধ হয়ে আছে কুটিল
ষড়যন্ত্রে , পিষাস ভুত পারদর্শী অতিকথনে
চুষে নিয়ে সব উত্তাপ ----
হিম মানব- মানবী পার্থিব শারীরিক প্রতিযোগিতায় !
এই নিয়মতান্ত্রিক গোলোকে
রিপু আতিথ্য'র আধিক্য পর্যায়ক্রমে মেলে পাখনা
শাশ্বত সত্যর বুকে আদর্শ পাথরচাপা ,
লক্ষ- কোটি বছর কোন জন্ম আসেনি
যে অপূর্ব মানবীয় লীলায় পাপ হন্তক পথের সুদূর প্রসারী
দিশারী কাণ্ডারি ম্লেচ্ছের ;
বারবার সাবানে কয়লা ধুয়ে ফেলে সযত্নে সকলের সম্মুখে ,
সমগ্র কালিমাতিপ্ত অনুশাসন প্রান প্রতিষ্ঠা পাই
গ্রন্থিত শরিরের আনাচে-কানাচে ;
প্রভূত ইচ্ছাশক্তি নিয়ে
হনন ক'রে মানবিক প্রাজন্মিক ঐতিহ্য
পরিচিত বাতাস থেকে প্রেম গানের সুর উধাহ ---
বিষাদ পাখি
নিষ্প্রদীপ থেকে বিরহ ভাল ; তদ্রূপ সংজ্ঞাহীন
থাকার চেয়ে চেতনার মন্দ্রিত আবেশে যদি থাকে
কোন লাবণ্যকান্তা , তবে ইলপ যদিও ভূলোক প্রতিক্ষণে
তবে স্বপ্নাচ্ছন্ন থেকে কবিতায় কঠোর পাঠে শূন্য অভিঘাত
ভুলে বুদ্বুদ সৃষ্টি করো মদিরায় ; আকণ্ঠ পান করে
সমাচ্ছন্ন - বুঝে নাও রাতের সংজ্ঞা ।
যে সব বিশ্বাস তারাখসার মত মিলিয়ে যাই অনন্তে ;
ওখানে ঢের অপেক্ষা ছিল এতকাল ;
দ্বিরাগমনের নির্বাক শূন্যতায় চেয়ে থেকে গৃহ প্রাথমিক অবাক
একদিন নিঃস্বতা জল হাওয়ায় ভেঙ্গে পরে
আর প্রাথমিক বিশ্বাস ভেঙ্গে দ্যাখো এখনও দ্বিতীয় বিশ্বাসের
সবাক হাতছানি !
সব কিছুই ক্ষয়ে গেছে সময়ের অনিবার্য রাসায়নিক ইন্দনে ;
প্রত্যাশার সময় সরণী'তে লেখা আছে জীবন পাখির
ভোগ্যর ইতিহাস ;
যদিও তথাগত নয় হৃদয় তবুও অনুপম মান্যতা দিতে শিখে নিতে
হয় জন্মের গূঢ় কালেই আয়ুর সঙ্গে
পুংতি ভোজে হাত চাটাচাটি করে জন্ম আর বিষাদ !
ভুলে বুদ্বুদ সৃষ্টি করো মদিরায় ; আকণ্ঠ পান করে
সমাচ্ছন্ন - বুঝে নাও রাতের সংজ্ঞা ।
যে সব বিশ্বাস তারাখসার মত মিলিয়ে যাই অনন্তে ;
ওখানে ঢের অপেক্ষা ছিল এতকাল ;
দ্বিরাগমনের নির্বাক শূন্যতায় চেয়ে থেকে গৃহ প্রাথমিক অবাক
একদিন নিঃস্বতা জল হাওয়ায় ভেঙ্গে পরে
আর প্রাথমিক বিশ্বাস ভেঙ্গে দ্যাখো এখনও দ্বিতীয় বিশ্বাসের
সবাক হাতছানি !
সব কিছুই ক্ষয়ে গেছে সময়ের অনিবার্য রাসায়নিক ইন্দনে ;
প্রত্যাশার সময় সরণী'তে লেখা আছে জীবন পাখির
ভোগ্যর ইতিহাস ;
যদিও তথাগত নয় হৃদয় তবুও অনুপম মান্যতা দিতে শিখে নিতে
হয় জন্মের গূঢ় কালেই আয়ুর সঙ্গে
পুংতি ভোজে হাত চাটাচাটি করে জন্ম আর বিষাদ !
গ্রাফ
অপূর্ব গহ্বরটুকু দাও , চাঁদ নামছে এবার ---
মা'ও বোঝেন না কোনটায় লেগে আছে মায়া , আজন্ম ;
মা'ও বোঝেন না নিশি জনিত ভুঁইফোঁড় অভিযোজনে
প্রায় ছত্রিশ লক্ষাধিক অনুচরের ডুয়েল
সামরিক বিদ্যা
শত্রুনাশ রাজ্য জয়ের জন্ম-জন্মান্তরের !
বাঁচিয়ে দিয়েছ যেদিন তোমারই অগোচরে , মা ,
বিকৃত ইচ্ছাই - সর্বহন্তা অনিচ্ছায় ; মহান পুরুষ তিনি
এনেছেন জাহ্নবী
তোমার অপরূপ জীবনে দুধের সারসত্যে , মহিমায় ; তবে
শ্রেয় মনে করে সামগ্রিক লোকাচার বধ্যভূমি
তারাও দল বেঁধে
বিজয় ভূমির শর্তহীন যুগের সৈনিক ; তবুও কিছু পথ খোলা আছে
আজও ,
স্বাধীনতা সেদিন তোমার ও ছিল নিহত করার অজানা প্রতিভা ;
আমাদের সংজ্ঞা দাও জীবনের মরণের সৃষ্টির !
যদি কুলিন হয়ে এসে দাড়ায় জন্মের সম্মুখে তোমাদের পাড়া ,
তবে থাক তোমার ইচ্ছার অনিচ্ছার
অসংস্কৃতির স্বৈরচারীতা ; এখানে থাকতে রাজী আছি ;
আসার ব্যাপারে প্রাধান্য ছিল না কিছু আমাদের , জানি তোমার ইচ্ছাধীনের দাস ,
দাসখত দিয়ে আসিনি ঈশ্বরে ---
কিছু মৌমিতা না এলে ক্লিসে হতো না সৃষ্টি --
হতো ঈশ্বরের জনপ্রিয়তা নিম্নমুখী
প্রায় ছত্রিশ লক্ষাধিক অনুচরের ডুয়েল
সামরিক বিদ্যা
শত্রুনাশ রাজ্য জয়ের জন্ম-জন্মান্তরের !
বাঁচিয়ে দিয়েছ যেদিন তোমারই অগোচরে , মা ,
বিকৃত ইচ্ছাই - সর্বহন্তা অনিচ্ছায় ; মহান পুরুষ তিনি
এনেছেন জাহ্নবী
তোমার অপরূপ জীবনে দুধের সারসত্যে , মহিমায় ; তবে
শ্রেয় মনে করে সামগ্রিক লোকাচার বধ্যভূমি
তারাও দল বেঁধে
বিজয় ভূমির শর্তহীন যুগের সৈনিক ; তবুও কিছু পথ খোলা আছে
আজও ,
স্বাধীনতা সেদিন তোমার ও ছিল নিহত করার অজানা প্রতিভা ;
আমাদের সংজ্ঞা দাও জীবনের মরণের সৃষ্টির !
যদি কুলিন হয়ে এসে দাড়ায় জন্মের সম্মুখে তোমাদের পাড়া ,
তবে থাক তোমার ইচ্ছার অনিচ্ছার
অসংস্কৃতির স্বৈরচারীতা ; এখানে থাকতে রাজী আছি ;
আসার ব্যাপারে প্রাধান্য ছিল না কিছু আমাদের , জানি তোমার ইচ্ছাধীনের দাস ,
দাসখত দিয়ে আসিনি ঈশ্বরে ---
কিছু মৌমিতা না এলে ক্লিসে হতো না সৃষ্টি --
হতো ঈশ্বরের জনপ্রিয়তা নিম্নমুখী
নিজেই নিজে'র অনন্ত রূপ দেখে নিয়েছি মরণের আগে , জেনে
নাজেনে ধুলি চুমে , অক্লেশে রেণুসুধা পরাগের
দেখি কত জন্ম এসেছে ; আর
কিভাবে খোল করতালে খৈ ছড়িয়ে সকাল এসেছে দ্বারে ,
তুমিই জন্ম আর তুমিই মৃত্যু
তোমারই সুরারোপে সমস্ত সঙ্গীত ,
জটিল আবর্তে জড়িয়ে ধরে আছে মায়া , স্নেহের আম বাগান , তবু
এ বেলা সকলি পুণ্য - অপুণ্য'র ভাণ্ডার নিঃস্ব করে --
পেয়েছি আমি গোধূলি শেষে জ্যোৎস্নার আমন্ত্রণ !
জটিল আবর্তে জড়িয়ে ধরে আছে মায়া , স্নেহের আম বাগান , তবু
এ বেলা সকলি পুণ্য - অপুণ্য'র ভাণ্ডার নিঃস্ব করে --
পেয়েছি আমি গোধূলি শেষে জ্যোৎস্নার আমন্ত্রণ !
বঁধু
কিছুই নেই তোর ! শুধুই দিতে হ'বে সরলীকৃত
ঘাম হোক অথবা স্নানের দৃশ্য । অথবা পিচুটি
চোখে'র আগুনে জ্বলে যাবে একটা শরীর ।
তোর দিন নেই কোন , রাতের সংস্করণে ভেঙ্গে
পরে বৈধ - অবৈধের প্রকার ভেদে ইচ্ছা !
তুমি দাও শুধু , উষ্ণতার অবগাহনে বিছানার প্রচ্ছদ
ঘেসে তামাম চালচিত্র সৃষ্টি করো রাত্রে -- আর
নির্জনতা বল ঈশ্বর সম্বন্ধনিয় ভাবাবেগ বল
সবই পিছু হাঁটা সৈনিক !
প্রতিটি অপ্রসন্ন লগ্নে তোকেই দাড়াতে হবে ক্ষরণের
সামনে নির্বিকারে , রঞ্জিত মুখে'র শ্বাস প্রশ্বাসের আগুন
নিয়েই হতে হ'বে মার্জিত বঁধু , অথচ
লজ্জা পেয়ে ফিরে যাবে বউকথা কও পাখি - সূর্যের
নব নব সংবাদ ফিরে যাবে তোর উদাসীনতায় ।
প্রত্যেকবার আয়নার দাড় করিয়ে সেই পরিচিত তিল -
শরীরে দাগ আছে কিনা কোন দংশিত কীটের দেখে
নিয়ে বন্দ হবে দরজা ,
আর ভাল করে বুঝে নেবেন পুরুষ তোর চিল চিৎকারে
সংরক্ষিত অঞ্চলে পা রেখে ---
এখানে খেলে গেছে কিনা দিনান্তে অন্য প্রজাতি হরিণ
পরে বৈধ - অবৈধের প্রকার ভেদে ইচ্ছা !
তুমি দাও শুধু , উষ্ণতার অবগাহনে বিছানার প্রচ্ছদ
ঘেসে তামাম চালচিত্র সৃষ্টি করো রাত্রে -- আর
নির্জনতা বল ঈশ্বর সম্বন্ধনিয় ভাবাবেগ বল
সবই পিছু হাঁটা সৈনিক !
প্রতিটি অপ্রসন্ন লগ্নে তোকেই দাড়াতে হবে ক্ষরণের
সামনে নির্বিকারে , রঞ্জিত মুখে'র শ্বাস প্রশ্বাসের আগুন
নিয়েই হতে হ'বে মার্জিত বঁধু , অথচ
লজ্জা পেয়ে ফিরে যাবে বউকথা কও পাখি - সূর্যের
নব নব সংবাদ ফিরে যাবে তোর উদাসীনতায় ।
প্রত্যেকবার আয়নার দাড় করিয়ে সেই পরিচিত তিল -
শরীরে দাগ আছে কিনা কোন দংশিত কীটের দেখে
নিয়ে বন্দ হবে দরজা ,
আর ভাল করে বুঝে নেবেন পুরুষ তোর চিল চিৎকারে
সংরক্ষিত অঞ্চলে পা রেখে ---
এখানে খেলে গেছে কিনা দিনান্তে অন্য প্রজাতি হরিণ
কবিতার জন্ম
শব্দের শেষ প্রান্ত ভেঙ্গে ভেঙ্গে তৃষ্ণা লিখে
দিলে দুই'চার হরিণ লুটোপুটি বনে ,
কখন সবুজ পাতার দিকে
কখনও বৃষ্টির আবেদনে
ছুটোছুটি করে ক্লান্ত হলে পরে
বুঝে যাই একটা কবিতার জন্ম হল তবে !
০২
মৃতই ছিল সে কবিতা অবচেতনে রাহুকালে ,
দূরে বধ্য ভূমি থেকে নারীর হাহাকার --
অজস্র কাল শোক থেকে
পালায়নরত সেই নারী , হৃদয়ের দিকে ,
ও জানে না
এখান থেকে কবেই উবে গেছে স্নেহাতুর কপ্পুর তাপে --
শব্দ খুঁজে পেয়েছে শেষ আশ্রয় শব্দে !
ছুটোছুটি করে ক্লান্ত হলে পরে
বুঝে যাই একটা কবিতার জন্ম হল তবে !
০২
মৃতই ছিল সে কবিতা অবচেতনে রাহুকালে ,
দূরে বধ্য ভূমি থেকে নারীর হাহাকার --
অজস্র কাল শোক থেকে
পালায়নরত সেই নারী , হৃদয়ের দিকে ,
ও জানে না
এখান থেকে কবেই উবে গেছে স্নেহাতুর কপ্পুর তাপে --
শব্দ খুঁজে পেয়েছে শেষ আশ্রয় শব্দে !
পাপ
এত সহজে ভালোবেসে ফেল কেন , পাপ ;
গূঢ় রহস্যের অন্তরালে কি তোমার অভিলাষ !
আমিও ভালোবেসে ফেলি রূপবতী মেঘের গড়ন
অনিদ্রায় লিখে রাখি প্রেমের কথন
অন্তঃজলি যাত্রার প্রাক্কালে !
রূপকে রূপকে খেলা করি স্বঘন বাতাসের রাজ্যে
অবিন্যস্ত চুলের রন্ধে রন্ধে
যাবতীয় সমালোচনার ঊর্ধ্বের ইচ্ছা'রা
আমার ঘুড়ি সীমানা পেরুনোর অহমিকায় ;
আমিও বারবার অনিয়ন্ত্রিত এক মননের প্রজাপতি
রঙ খুঁজে দেখি এক প্রাণ ছাড়িয়ে
হাজারও প্রাণের ভীরে
আর বিস্মিত বিস্ময়ে ছুটে চলি সূক্ষ্ম লাটায়ের টানে ;
তুমি তারে পাপ বল বল কিনা পরকীয়া
আমার দৃষ্টি পথে এক সত্য সুন্দর
প্রেম বল ছায়া বল মায়া বল কিম্বা পরকীয়া সম্ভাষণে
আমি বারবার প্রেমে পরে যায় ভালোবেসে হৃদয়ের গ্রন্থি
তুমিও তবে কেন এতো ভালোবেসে ফেলো , পাপ !
অনিদ্রায় লিখে রাখি প্রেমের কথন
অন্তঃজলি যাত্রার প্রাক্কালে !
রূপকে রূপকে খেলা করি স্বঘন বাতাসের রাজ্যে
অবিন্যস্ত চুলের রন্ধে রন্ধে
যাবতীয় সমালোচনার ঊর্ধ্বের ইচ্ছা'রা
আমার ঘুড়ি সীমানা পেরুনোর অহমিকায় ;
আমিও বারবার অনিয়ন্ত্রিত এক মননের প্রজাপতি
রঙ খুঁজে দেখি এক প্রাণ ছাড়িয়ে
হাজারও প্রাণের ভীরে
আর বিস্মিত বিস্ময়ে ছুটে চলি সূক্ষ্ম লাটায়ের টানে ;
তুমি তারে পাপ বল বল কিনা পরকীয়া
আমার দৃষ্টি পথে এক সত্য সুন্দর
প্রেম বল ছায়া বল মায়া বল কিম্বা পরকীয়া সম্ভাষণে
আমি বারবার প্রেমে পরে যায় ভালোবেসে হৃদয়ের গ্রন্থি
তুমিও তবে কেন এতো ভালোবেসে ফেলো , পাপ !
জল হাওয়া
শৈশব ডুবছে সভ্যতার পাকচক্রে , মৈথুনক্রিয়
ধ্বংসাবশেষে যৌন হাড়-মাষ পশুদের অন্তিম
রূপবান অনুভব ; সহজলভ্য পারাপারের খেয়া
উপেক্ষায় থেকে শিখে নেয় মানবিক চরিত্রের
গুনাগুণ , স্থির জলের দিকে অবাক তাকিয়ে সেই
সুজন মাঝি'র হাঁকডাক গৃহ শয্যা থেকে প্রতিধ্বনিত
হয়ে ফেরে যখন , তখন ঈশারায় মাথা নত করে
দাড়িয়ে সূর্য -- আরো আগুনের রহস্য ভূমির সন্ধানে !
অগুন্তি শেয়াল কিছু দাহ্য কাঠের মহিমায় মহিমান্বিত
এই সময় কিম্বা আঁচলে ঠোঁট বা জীবনের ঘ্রাণ -- আর
গর্বিত কিছু কংক্রিটে লেপটে থেকে কিছু মুহূর্ত
ভাবে অক্ষয় , লোহা এগোচ্ছে জল হাওয়ার দিকে
গুনাগুণ , স্থির জলের দিকে অবাক তাকিয়ে সেই
সুজন মাঝি'র হাঁকডাক গৃহ শয্যা থেকে প্রতিধ্বনিত
হয়ে ফেরে যখন , তখন ঈশারায় মাথা নত করে
দাড়িয়ে সূর্য -- আরো আগুনের রহস্য ভূমির সন্ধানে !
অগুন্তি শেয়াল কিছু দাহ্য কাঠের মহিমায় মহিমান্বিত
এই সময় কিম্বা আঁচলে ঠোঁট বা জীবনের ঘ্রাণ -- আর
গর্বিত কিছু কংক্রিটে লেপটে থেকে কিছু মুহূর্ত
ভাবে অক্ষয় , লোহা এগোচ্ছে জল হাওয়ার দিকে
পলায়নরত
এক মাস ওমে রেখে হাঁস মুরগি ! ডিম ভাঙে ;
গাঢ় হলুদ থেকে সেই মুরগি প্রজাতি ।
এভাবেই চরম উষ্ণতায় সৃষ্টি ---
পৃথিবীতে চ'ড়ে কিছুকাল সূর্যের মত দরজা বন্দ করে
ফিরে যাই ;
এভাবেই বুঝিয়েছিল সেদিন সন্ন্যাসী ,
সেদিন গাছে'র কাছে নিয়ে যান সন্ন্যাসী , প্রধান
শেষ বাজীতে হাত চেপে ধরে বলেন
গাছেদের বাজী নেই বলে অনন্তকাল ---
জীবনের মুখে ;
চরম অজ্ঞের মত চেয়ে থেকে সন্ন্যাসী মুখ খুঁজি --
রক্তিম মুখে পালানোর পথ খুঁজি মরণের আগে ;
ফিরে যাই ;
এভাবেই বুঝিয়েছিল সেদিন সন্ন্যাসী ,
সেদিন গাছে'র কাছে নিয়ে যান সন্ন্যাসী , প্রধান
শেষ বাজীতে হাত চেপে ধরে বলেন
গাছেদের বাজী নেই বলে অনন্তকাল ---
জীবনের মুখে ;
চরম অজ্ঞের মত চেয়ে থেকে সন্ন্যাসী মুখ খুঁজি --
রক্তিম মুখে পালানোর পথ খুঁজি মরণের আগে ;
এভাবে মারীচ
একবার এক প্রকৃত প্রস্তাবে মারীচ এলো ;
উজ্জ্বল হোল ধুলো , বেদনার গাঢ় রঙ হ'তে
হারিয়ে গেল শুকতারা , বিবিধ অনৈক্যে
সমৃদ্ধ হ'ল আকাঙ্ক্ষা'র সমবেত সমাচার ,
বিপন্ন বিস্ময়ে বাস্পিভুত উচ্চাশা ঊর্ধ্বমুখী ,
নিচে'ই রয়েছে তুলনামূলক শীতলতা'র ঐতিহ্য ,
সল্পায়ু পথিক ভ্রুক্ষেপহীন মাংস মদ সরাইখানার
অভিমুখে আর বুকের মাঝখান জুড়ে তৃপ্তির
ঢেকুর উদগিরনের স্বেচ্ছাধীন নয় যা সেই ইচ্ছা ,
দ্যাখো তবে , সুনীল প্রান্তর হ'তে বনস্থলী চিরকালীন
নিবিড় নীরবতায় রুদ্ধশ্বাস লড়াই অথচ স্থির
কৃত সঙ্কল্পে ঋষভ উচ্চতায় ,
সমবেত কল্প জালে সম্ভোগ আর স্বর্ণ প্রত্যয়ী শরীরে
ভাবাবেগহীন অন্ধত্বে , দীর্ঘ মানচিত্র হ'তে
নিজেকে হারিয়ে মারীচ পিছু এবং পদস্খলন !
বিপন্ন বিস্ময়ে বাস্পিভুত উচ্চাশা ঊর্ধ্বমুখী ,
নিচে'ই রয়েছে তুলনামূলক শীতলতা'র ঐতিহ্য ,
সল্পায়ু পথিক ভ্রুক্ষেপহীন মাংস মদ সরাইখানার
অভিমুখে আর বুকের মাঝখান জুড়ে তৃপ্তির
ঢেকুর উদগিরনের স্বেচ্ছাধীন নয় যা সেই ইচ্ছা ,
দ্যাখো তবে , সুনীল প্রান্তর হ'তে বনস্থলী চিরকালীন
নিবিড় নীরবতায় রুদ্ধশ্বাস লড়াই অথচ স্থির
কৃত সঙ্কল্পে ঋষভ উচ্চতায় ,
সমবেত কল্প জালে সম্ভোগ আর স্বর্ণ প্রত্যয়ী শরীরে
ভাবাবেগহীন অন্ধত্বে , দীর্ঘ মানচিত্র হ'তে
নিজেকে হারিয়ে মারীচ পিছু এবং পদস্খলন !
পুনরুথ্থান
পুনরুথ্থান মুখে'ই যতোসব অমীমাংসিত ঝড় ;
দ্বৈপায়ন হ্রদে'র অনিবার্যতায় এক সত্য অবিনশ্বর -
ঘুম নেই মৃত্যু'র , খণ্ড অভিমান নিয়মের রাজত্বে
নয় বন্ধি , সংশয় পাপ আত্মবিশ্বাস একমুখী
পরাজিত ভয়ে নয় শঙ্কিত !
শরবিদ্ধ যন্ত্রণা কেন আরো কিছু মুহূর্তের ভিক্ষা মাগে
কোন উষ্ণতার অভিলাষে ? পতনের রথে চেপে
বাঁচার সুতীব্র কৌশল আত্মস্থ করেছিল যা মন
সেও নির্লিপ্ত চোখে রণবাদ্যে'র সুরে খুঁজেফেরে
বিজয়ী পতকাবাহক জীবনের ...
অথচ সেসব অক্রূর সবাক চালচিত্রের দর্শক
প্রতিনিধি , রক্ত হিম হন্তক সময়ের কথক ঠাকুর
গল্প করেন নির্জনতায় উত্তর পুরুষে
জয়-পরাজয় সবই পূর্ণিমার চাঁদের আগের চরিত্র !
সময়ে নেই চিরন্তন কোন সত্য ...
কল্প দৃশ্যে নিমজ্জিত ইতিহাস শুধুই ফাঁকি দিয়ে এগিয়ে যাবার
লড়াই , পুনরুথ্থান আশ্চর্য মায়াবী ফলের অপ্রাপ্তি নেশা
আঙ্গুরের রস অন্দরে উপরে শুধু দৃশ্যকল্প আর লোভ ।
পরাজিত ভয়ে নয় শঙ্কিত !
শরবিদ্ধ যন্ত্রণা কেন আরো কিছু মুহূর্তের ভিক্ষা মাগে
কোন উষ্ণতার অভিলাষে ? পতনের রথে চেপে
বাঁচার সুতীব্র কৌশল আত্মস্থ করেছিল যা মন
সেও নির্লিপ্ত চোখে রণবাদ্যে'র সুরে খুঁজেফেরে
বিজয়ী পতকাবাহক জীবনের ...
অথচ সেসব অক্রূর সবাক চালচিত্রের দর্শক
প্রতিনিধি , রক্ত হিম হন্তক সময়ের কথক ঠাকুর
গল্প করেন নির্জনতায় উত্তর পুরুষে
জয়-পরাজয় সবই পূর্ণিমার চাঁদের আগের চরিত্র !
সময়ে নেই চিরন্তন কোন সত্য ...
কল্প দৃশ্যে নিমজ্জিত ইতিহাস শুধুই ফাঁকি দিয়ে এগিয়ে যাবার
লড়াই , পুনরুথ্থান আশ্চর্য মায়াবী ফলের অপ্রাপ্তি নেশা
আঙ্গুরের রস অন্দরে উপরে শুধু দৃশ্যকল্প আর লোভ ।
জীবনে প্রথমবার গান ভেবে লেখা ---- কি জানি কি হয়েছে
তোমার জন্যই বেছেছি এই পথ , তোমার জন্যই এই
মাকড়সা জীবন ,
তোমার জন্য হেঁটেছি ভাঙ্গাচোরা পথ , তোমার জন্যই
জেগেছি সারারাত ,
তোমার জন্যই ঘরকে করেছি পর , তোমার জন্যই
বিলিয়েছি বেহালা গিটার ,
তোমাকে পেয়েছি কি পাইনি জানি না সে সবের মানে
আমার জন্যই তুমি আছো জেনেছি এতক্ষণে ।
তোমার জন্যই ফুটপাত যিশু বেঁচে আছে মাকে ভুলে
তোমার জন্যই সূর্য ফিকে হয়ে গেলে চাঁদ জেগে ওঠে -
বলে এসেছি আমি , এসেছি তোদের ঘরে ,
তোমার জন্যই দাঁড়াস খোলস খুলে গীতা পড়াই
পাখির শাবকে ,
তোমার জন্যই কাল বৈশাখী ঝড়ে ঘর ভাঙ্গা শালিক
ডানা ঝাপটিয়ে তীব্র প্রতিবাদ করে ,
তোমার জন্যই কৃষিজীবী যত ছিল কৃষিকাজ ছেড়ে
ভিক্ষা পাত্র ধরে ,
তোমার জন্যই ত্যাজে যদি পরিচয় নাম গোত্রহীন
এই শ্যাওলা জীবন , তবে আমিও রাজী আছি বাজী হতে ,
তোমার জন্যই আমার গান ধরা ,
দুঃখী মন গুলোকে একটু খুশী করা
তোমার জন্যই ঘরকে করেছি পর , তোমার জন্যই
বিলিয়েছি বেহালা গিটার ,
তোমাকে পেয়েছি কি পাইনি জানি না সে সবের মানে
আমার জন্যই তুমি আছো জেনেছি এতক্ষণে ।
তোমার জন্যই ফুটপাত যিশু বেঁচে আছে মাকে ভুলে
তোমার জন্যই সূর্য ফিকে হয়ে গেলে চাঁদ জেগে ওঠে -
বলে এসেছি আমি , এসেছি তোদের ঘরে ,
তোমার জন্যই দাঁড়াস খোলস খুলে গীতা পড়াই
পাখির শাবকে ,
তোমার জন্যই কাল বৈশাখী ঝড়ে ঘর ভাঙ্গা শালিক
ডানা ঝাপটিয়ে তীব্র প্রতিবাদ করে ,
তোমার জন্যই কৃষিজীবী যত ছিল কৃষিকাজ ছেড়ে
ভিক্ষা পাত্র ধরে ,
তোমার জন্যই ত্যাজে যদি পরিচয় নাম গোত্রহীন
এই শ্যাওলা জীবন , তবে আমিও রাজী আছি বাজী হতে ,
তোমার জন্যই আমার গান ধরা ,
দুঃখী মন গুলোকে একটু খুশী করা
সেই মেয়ে
একা একা চলে যাচ্ছে মেয়েটা সমুদ্র গর্ভে , অথচ
রোদ বৃষ্টি ঝড় উপেক্ষার দৃষ্টিতে ; অথচ
নমনীয় সম্পর্ক গুলো এখানেই , স্থির , অথবা
সম্পর্ক শুধুই দৃশ্যানুভব বলে তাদের কেউ কেউ
বিচলিত উদগ্রীব ,
অবশ্য সেই উদগ্রীবটা বিশল্যকরণী প্রত্যাশিত নয় !
মূলতঃ একা নয় মেয়েটি , রক্ত বংশ সৃষ্টি !
মেয়েটা একাধারে আগুনমুখী এখাধারে আগুনখেকো !
সময়ের প্রতিটি টুকরো ক্রিয়া- প্রতিক্রিয়াশীল ইন্ধনে -- অথবা ,
সৃষ্টি নচেৎ অন্ধকারের গহনে !
বিচলিত উদগ্রীব ,
অবশ্য সেই উদগ্রীবটা বিশল্যকরণী প্রত্যাশিত নয় !
মূলতঃ একা নয় মেয়েটি , রক্ত বংশ সৃষ্টি !
মেয়েটা একাধারে আগুনমুখী এখাধারে আগুনখেকো !
সময়ের প্রতিটি টুকরো ক্রিয়া- প্রতিক্রিয়াশীল ইন্ধনে -- অথবা ,
সৃষ্টি নচেৎ অন্ধকারের গহনে !
মিথ্যাচার
কি প্রত্যয়ে ছিল আমাদের বিশ্বাস সেদিন ,
সমস্ত আদিম রক্তে'ই বর্তমানের ধারক ,
প্রতিষ্ঠান এলেই মুছে গিয়ে চেতনা দেউলিপনা
রাজার অস্তিত্বে আমাদের পরিচয় ,
অসতবিম্বে প্রাণ প্রতিষ্ঠা , নেকড়ে ক্ষিদে
পচন সর্বগ্রাসী সময়ের ঘড়ি পিছে ফেলে ,
গলিত স্থবির শব আরো দুদণ্ড সময়ের অভিলাষে
উত্তেজক হরমোনে'র বহিঃনির্গমন প্রত্যাশী ,
অনেক গান ছিল বুকে মুখে লেখাছিল ভাই এর পরিচয় --
ক্ষমতার উৎস মুখে সম্পর্ক ফ্যাঁকাসে ,
এই জীবন এই মিথাচার !
রাজার অস্তিত্বে আমাদের পরিচয় ,
অসতবিম্বে প্রাণ প্রতিষ্ঠা , নেকড়ে ক্ষিদে
পচন সর্বগ্রাসী সময়ের ঘড়ি পিছে ফেলে ,
গলিত স্থবির শব আরো দুদণ্ড সময়ের অভিলাষে
উত্তেজক হরমোনে'র বহিঃনির্গমন প্রত্যাশী ,
অনেক গান ছিল বুকে মুখে লেখাছিল ভাই এর পরিচয় --
ক্ষমতার উৎস মুখে সম্পর্ক ফ্যাঁকাসে ,
এই জীবন এই মিথাচার !
অভূতপূর্ব
অভিমানের মত কতকিছু গিলে খেয়েছি
নারীর অন্ধ মাষ হোক পোড়া শহরের গন্ধ ;
তারপর নত শীরে ছড়িয়ে বৈভব অন্ধ প্যাঁচার মত
এক অন্ধকার প্রত্যাশী , যেন হাজার জন্ম ধরে
উপোষী রাক্ষস এক , নদী খেয়ে দেশ খেয়ে -- আরো
গভীর এক সর্বভুক ক্ষুধা উপাঙ্গ প্রদাহ দিয়ে যাই !
সুকোমল ঐতিহ্য থেকে বিবর্তিত আবর্তনে
নিষাদের গর্হিত শিকারি উপত্যকায় বসতঘর নারীর স্নানাগার
শস্যগোলা আর একটা স্কুল মানচিত্রে এই পৃথিবী ; এবং
ঠোঁটে লেগে থাকা সেই আমনের স্বাদ পৌনঃপুনিক ঋতুচক্র
কালঘাম রক্ত মাছি রক্ত নেশা --
আদম্য এক শারীরিক চক্র প্রতিষ্ঠা গোপন অন্দরে ; মানুষ
ক্ষয় ধর্মী মোমের অনুকরণে আর অনিবার্যতায়
দাহ্য উপকরণে সাজানো বাগানে মন্দিরের নেই অস্তিত্ব !
উপোষী রাক্ষস এক , নদী খেয়ে দেশ খেয়ে -- আরো
গভীর এক সর্বভুক ক্ষুধা উপাঙ্গ প্রদাহ দিয়ে যাই !
সুকোমল ঐতিহ্য থেকে বিবর্তিত আবর্তনে
নিষাদের গর্হিত শিকারি উপত্যকায় বসতঘর নারীর স্নানাগার
শস্যগোলা আর একটা স্কুল মানচিত্রে এই পৃথিবী ; এবং
ঠোঁটে লেগে থাকা সেই আমনের স্বাদ পৌনঃপুনিক ঋতুচক্র
কালঘাম রক্ত মাছি রক্ত নেশা --
আদম্য এক শারীরিক চক্র প্রতিষ্ঠা গোপন অন্দরে ; মানুষ
ক্ষয় ধর্মী মোমের অনুকরণে আর অনিবার্যতায়
দাহ্য উপকরণে সাজানো বাগানে মন্দিরের নেই অস্তিত্ব !
বশ্যতা
পাকদণ্ডী ধরে নেমে যাই লোভ ,জিহ্বার এই প্রত্যাশায় ছিল ;
মাংস , গলিত ভবিষ্যৎ কুমারীত্ব হনন পাখি'র বিষাদহীন
কাব্যে'র সব দেহতত্ত গানের শেষ বিন্দু দেহ !
তবে কোন পাপ করে'নি অসাড় অনুভবের ধার্মিক যাজক ;
যেভাবে সমগ্র বিস্মৃতির অন্তরালে প্রোজ্জ্বল স্মৃতির অন্তঃসলীল ,
লোকাচারের অভ্যন্তরে গৃহস্ত অনুমেয় উষ্ণতা
শালীনতার শব্দ বন্ধনে চরিতার্থ এক ভণ্ড লোভের মনস্তাত্ত্বিক
তস্কর ; জানে না কেউ --
সমভাবে সত্য এলে সামনে গিলেটিনে এখনও চাক্ষুস প্রজ্ঞ্যান !
অনেকবার বশ্যতা স্বীকার করেছে জটিল জ্যামিতিক জীবন
সুখ পাখির ডানা'য় রোদ্দুর লোভে ----
মরণের আগে মরণের পরে ;
দ্বিতীয় পথও আছে খোলা তাদের মিরা - নন্দ দুলাল --
নির্বাক হতে পৃথিবীর কতক্ষণ লাগে ---
অনৈক্য
তিনপুরুষ পাশাপাশি হাঁটছেন ; অথচ রাস্তা নেই !
অথচ একসঙ্গে থাকার কথা ছিলোনা যখন হাঁটা শুরু করেছিল ;
প্রথমে একা , কিছু দূর পরে দ্বিতীয় সব শেষে তৃতীয় ,
এখন তারা তিনজন ;
মাটি থেকে এক পাথর তুললেন প্রথম পুরুষ , ছুড়লে কতদূর যাবে ?
প্রথম জন বললেন অনেক টা দূর যাবে , দ্বিতীয় জন বেশী দুই নয় , তৃতীয় জন চিন্তা করে
উত্তর দেয় না কিচ্ছু !
তার পর থেকেই মাঝে মাঝে কাজে অকাজে দেখা হয় তিন জনের
একে অপরের দিকে চেয়ে হাসে অথবা কাঁদে !
একদিন হঠাৎ সম্ভোগ বিছানায় চুপিসারে উঠে পরে প্রথম জন , ফাঁকি দিয়ে দুই বন্ধু ,
ওমা ! একি আল্লা !
প্রস্তুতের মধ্যগগণে প্রথম দিশেহারা ......
দ্বিতীয় আজ রাহুক্ষন
তৃতীয় আজ যোগ বড়ই গোলমেলে ...
অগত্যা দুই চাপে আমি অসর ।
এর পর থেকেই মদ মেয়ে অথবা মিথে প্রথম জনের গমন স্থিতিশীল নয় ...
প্রথম জন পুতুল হয়ে উঠেছে দুই বন্ধুর !
বিভেদ করতে চাই সকল মৃত্যুচেতনা --
ইন্দ্রিয় ঘনত্বে জেরবার , বেদনায় আঙ্গুর
মাটি থেকে এক পাথর তুললেন প্রথম পুরুষ , ছুড়লে কতদূর যাবে ?
প্রথম জন বললেন অনেক টা দূর যাবে , দ্বিতীয় জন বেশী দুই নয় , তৃতীয় জন চিন্তা করে
উত্তর দেয় না কিচ্ছু !
তার পর থেকেই মাঝে মাঝে কাজে অকাজে দেখা হয় তিন জনের
একে অপরের দিকে চেয়ে হাসে অথবা কাঁদে !
একদিন হঠাৎ সম্ভোগ বিছানায় চুপিসারে উঠে পরে প্রথম জন , ফাঁকি দিয়ে দুই বন্ধু ,
ওমা ! একি আল্লা !
প্রস্তুতের মধ্যগগণে প্রথম দিশেহারা ......
দ্বিতীয় আজ রাহুক্ষন
তৃতীয় আজ যোগ বড়ই গোলমেলে ...
অগত্যা দুই চাপে আমি অসর ।
এর পর থেকেই মদ মেয়ে অথবা মিথে প্রথম জনের গমন স্থিতিশীল নয় ...
প্রথম জন পুতুল হয়ে উঠেছে দুই বন্ধুর !
বিভেদ করতে চাই সকল মৃত্যুচেতনা --
ইন্দ্রিয় ঘনত্বে জেরবার , বেদনায় আঙ্গুর
বিবর্তিত
অদ্ভুতভাবে পুরনো ঝুল বারান্দার মাঝ বাখারী ঝুলে পরে
গভীর ব্যর্থতায় ; ওঁত পেতে থেকেও ফিরে যায় সুযোগ শুধু
বাবা হাত রাখেন লেখার খাতায় সেই অবকাশে , আজকের সুযোগ গুলো
কালকে যখন ক্ষয় অসুখ হ'য়ে ইলেকট্রিক বিল নিয়ে আসে
মা মুষ্টিগোনা চালে হাড়ি জ্বালান দোকানীর মত মেপে জল ঢালেন
ফ্যানা ভাতে কাঁচা লংকা
বাবা হাত চেটে চেটে খান আমি সিঁথা উল্টিয়ে নব্য বন্দরের খোঁজে ।
বাবা ফেলে দেওয়া কিছু কাগজে শব্দ লেখেন বিরামহীন ভরা শ্রাবণেও ,
উইপোকা শক্তি বৃদ্ধি করে মুলিবাঁশের বেড়া যখন অর্ধেক মাটি
ঠিক তখনি একদঙ্গলের ক্রিকেট ব'লে আস্ত পৃথিবীর মানচিত্র বেড়া ,
বাবা রাতের আঁধারে একাদশীর চাঁদ দেখেন , ভুঁইচাপার নিসশব্দতায়
জোয়ারের শব্দ , পূর্বপুরুষের আয়নায় মুখ দেখেন মা -
বাবা লেখেন " অভাব আর কত দুঃখ দিবি তুই বল "
আমি স্কুলের বেস্ট স্টুডেন্ট পাওয়া পৃথিবী গ্লোবে খুঁজি কোথায় আমার দেশ ।
বাবা সুযোগ গুলো নিতে জানতেন না বলেই সুযোগ গুলোও পরিযায়ী হয় নিই ,
আমিও তো বাবার সন্তান ,
হাতফসকানো খেলা শিখেছি একুশ বছর ধরে একসঙ্গে একান্তে ।
আমি যেন দেখছি বাণিজ্য বন্দর গুলো দূরে দূরে হলুদ কুসুমের মত নিথর
হয়ে আছে আমাকে ডেকে ডেকে ......
আমিতো যেতেই চেয়েছিলাম ভাদ্রে
পারলাম না
বাবাকে দেখে শব্দ খেলায় আমার নেশা ধরে গেছে , আমি এখানেই আছি
ঘর থেকে আকাশ দেখবো বলে রাতে ।
মা মুষ্টিগোনা চালে হাড়ি জ্বালান দোকানীর মত মেপে জল ঢালেন
ফ্যানা ভাতে কাঁচা লংকা
বাবা হাত চেটে চেটে খান আমি সিঁথা উল্টিয়ে নব্য বন্দরের খোঁজে ।
বাবা ফেলে দেওয়া কিছু কাগজে শব্দ লেখেন বিরামহীন ভরা শ্রাবণেও ,
উইপোকা শক্তি বৃদ্ধি করে মুলিবাঁশের বেড়া যখন অর্ধেক মাটি
ঠিক তখনি একদঙ্গলের ক্রিকেট ব'লে আস্ত পৃথিবীর মানচিত্র বেড়া ,
বাবা রাতের আঁধারে একাদশীর চাঁদ দেখেন , ভুঁইচাপার নিসশব্দতায়
জোয়ারের শব্দ , পূর্বপুরুষের আয়নায় মুখ দেখেন মা -
বাবা লেখেন " অভাব আর কত দুঃখ দিবি তুই বল "
আমি স্কুলের বেস্ট স্টুডেন্ট পাওয়া পৃথিবী গ্লোবে খুঁজি কোথায় আমার দেশ ।
বাবা সুযোগ গুলো নিতে জানতেন না বলেই সুযোগ গুলোও পরিযায়ী হয় নিই ,
আমিও তো বাবার সন্তান ,
হাতফসকানো খেলা শিখেছি একুশ বছর ধরে একসঙ্গে একান্তে ।
আমি যেন দেখছি বাণিজ্য বন্দর গুলো দূরে দূরে হলুদ কুসুমের মত নিথর
হয়ে আছে আমাকে ডেকে ডেকে ......
আমিতো যেতেই চেয়েছিলাম ভাদ্রে
পারলাম না
বাবাকে দেখে শব্দ খেলায় আমার নেশা ধরে গেছে , আমি এখানেই আছি
ঘর থেকে আকাশ দেখবো বলে রাতে ।
কখনও বিশ্বাস করো না -- অবিশ্বাস ?
বিশ্বাস অবিশ্বাসের মাঝে স্থির বিন্ধু
বিশ্বাস করো আমি ওখানে নেই ,
তসনস করে দাও , বাল্মীকিস্তুপ ভাঙো পায়ে ,
আমি প্রতিবাদহীন নাগরিক !
কতটুকু চেনা যায় মুখে ; সম্পর্কের দীর্ঘ দীর্ঘ সংজ্ঞা ভেঙ্গে পরে
চৈত্রসংক্রান্তি গাঁজনে নিরালা উপবাসে ,
লোমকূপ খুলি হাড়ে নিরুত্তর সম্পর্কের মান্যতা
পিশাচসিদ্ধ হ'ও কাপালিক ব্রহ্মচারী
নিয়ম বহিঃভুত সকল দৃশ্যে অদৃশ্য এক হাহাকার
আরোপিত ভালবাসার সংজ্ঞা ব্যাতিরেখে
ভালোবাসা অসীম নিঃসীম অনন্ত !
তুমি উড়ে গেলে যাও শেষ প্রান্ত পর্যন্ত
যতখানি দৃষ্টিগোচর আর চেয়ে অঢেল অন্ধকার , দ্যাখো
কতোটুকু নামা যাই হৃদয়ে---
অন্ধকারে
বারবার ফিরে আসে ;
এই পেশাদারী অন্ধকার ভেঙ্গে ভেঙ্গে এঁটেল মেঠো রাস্তা
বাতাস নিঃসীম অভিঘাতে খেলছে চরাচরে
যবনিকা পতনের মত নিঃশব্দে ঘুমিয়ে আছে গ্রাম
সমস্ত অন্ধকার ভালোবাসে পায়ের ধ্বনি
এপাশে বিচুলিগাদা বা'পাশে ঘোষদের শ্যাওলা পুকুর
রেখে এগিয়ে যাচ্ছে
এখন বোধহয় বর্ষা কাল জ্যান্ত ব্যাঙের কিছু কোলাহল
কাছে-দূরে সাপে ব্যাঙ ধরেছে
বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার
ফুড়ুৎ করে হাসতে হাসতে একটা নধর বেঁজী মনে হয়
সম্ভোগের দিকে দৌড়ে গেল ;
প্রতি রাতেই আসতে হয় এখানে সেই বত্রিশ বছর ধরে
জল হাওয়া হিম ঠেঙিয়ে বারবার অনন্তবার
অপূর্ব পারদর্শিতায়
ঐ তো এসে গেছে ঠিক সেন দের আম বাগানের নিচে
সেও অপেক্ষা করে থাকে বারোমাস তার জন্যই
তার পাশে বসে
যেমন বসতো বত্রিশ বছর আগে সকালে বিকালে রঙ্গে - বেরঙে
গা ছমছম করে
নিস্তব্ধ আকাশ লুকোচুরি আকাশে তাঁরার
রক্ত রক্ত
বা বুকে তাজা রক্ত একই রকম আজও
আর হাত বাড়িয়ে বলছে ধর আমাকে নিয়ে চল সাথে
আজও বলে দাড়া তুই ক্ষানিক
নল সব কথা বলে রাত্রির
বলে বুক চেপে রাখ আর কিছুক্ষণ
রক্ত উষ্ণ রাখ আর কিছুক্ষণ
ওর পাশে বসে ওর ও বয়স হয়ে গেল প্রায় তার সমান
হাত বুলিয়ে দেয় ওর মাথায়
আর শরীর থেকে একটা রক্ত রক্ত গন্ধ উঠে মাতিয়ে দেয় বাতাস
এই গন্ধ ভাল লাগে তার ----
এই নেশায় ডেকে প্রতরাতে নিঃশব্দে অন্ধকারে
সমস্ত অন্ধকার ভালোবাসে পায়ের ধ্বনি
এপাশে বিচুলিগাদা বা'পাশে ঘোষদের শ্যাওলা পুকুর
রেখে এগিয়ে যাচ্ছে
এখন বোধহয় বর্ষা কাল জ্যান্ত ব্যাঙের কিছু কোলাহল
কাছে-দূরে সাপে ব্যাঙ ধরেছে
বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার
ফুড়ুৎ করে হাসতে হাসতে একটা নধর বেঁজী মনে হয়
সম্ভোগের দিকে দৌড়ে গেল ;
প্রতি রাতেই আসতে হয় এখানে সেই বত্রিশ বছর ধরে
জল হাওয়া হিম ঠেঙিয়ে বারবার অনন্তবার
অপূর্ব পারদর্শিতায়
ঐ তো এসে গেছে ঠিক সেন দের আম বাগানের নিচে
সেও অপেক্ষা করে থাকে বারোমাস তার জন্যই
তার পাশে বসে
যেমন বসতো বত্রিশ বছর আগে সকালে বিকালে রঙ্গে - বেরঙে
গা ছমছম করে
নিস্তব্ধ আকাশ লুকোচুরি আকাশে তাঁরার
রক্ত রক্ত
বা বুকে তাজা রক্ত একই রকম আজও
আর হাত বাড়িয়ে বলছে ধর আমাকে নিয়ে চল সাথে
আজও বলে দাড়া তুই ক্ষানিক
নল সব কথা বলে রাত্রির
বলে বুক চেপে রাখ আর কিছুক্ষণ
রক্ত উষ্ণ রাখ আর কিছুক্ষণ
ওর পাশে বসে ওর ও বয়স হয়ে গেল প্রায় তার সমান
হাত বুলিয়ে দেয় ওর মাথায়
আর শরীর থেকে একটা রক্ত রক্ত গন্ধ উঠে মাতিয়ে দেয় বাতাস
এই গন্ধ ভাল লাগে তার ----
এই নেশায় ডেকে প্রতরাতে নিঃশব্দে অন্ধকারে
সমস্ত যুদ্ধের শুরু ঠাণ্ডা ঘরে
শেষ হয় বুকে ------------
০১
সীমান্ত , অ্যাসল্ট রাইফেল , থ্রি নট থ্রি ,
সমগোত্রীয় ভাই - শত্রু ,
যে একবার আমার বাবা'কেও গালাগাল দেয়নি
তার বুকে আমার পা বা আমার বুকে তার ;
০২
ব্রেইন ওয়াস , মিথ্যা জাত্তাভিমানের ওয়াইন পান ,
হৃদয় উপড়ে অসুরের হৃদয় ,
অর্থ সঙ্কট নিরন্ন পরাজিত বুক অকুতোভয়
গেম বিতৃষ্ণা
এরাই স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র বুকে ;
০৩
চরম মুহূর্ত , শত্রু পক্ষ , গোলাগুলি ,
জীবন মরণ
পালানোর পথ রুদ্ধ কোর্ট মার্শাল ; তখন
না দেশ ,
না জাতি ,
না স্বাধীনতার স্বপ্ন ,
যুদ্ধে দেশ নয় , জয় - পরাজয় নয় --- সৈনিকের --
শুধুই নিজেকে বাঁচানোর লড়াই
যে একবার আমার বাবা'কেও গালাগাল দেয়নি
তার বুকে আমার পা বা আমার বুকে তার ;
০২
ব্রেইন ওয়াস , মিথ্যা জাত্তাভিমানের ওয়াইন পান ,
হৃদয় উপড়ে অসুরের হৃদয় ,
অর্থ সঙ্কট নিরন্ন পরাজিত বুক অকুতোভয়
গেম বিতৃষ্ণা
এরাই স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র বুকে ;
০৩
চরম মুহূর্ত , শত্রু পক্ষ , গোলাগুলি ,
জীবন মরণ
পালানোর পথ রুদ্ধ কোর্ট মার্শাল ; তখন
না দেশ ,
না জাতি ,
না স্বাধীনতার স্বপ্ন ,
যুদ্ধে দেশ নয় , জয় - পরাজয় নয় --- সৈনিকের --
শুধুই নিজেকে বাঁচানোর লড়াই
চন্দনের তিলক
অদ্ভুত পাখি উড়ে যায় খাঁচা থেকে আকাশে
অদ্ভুত ভাবে নিয়ে যাই পোশাকি পরিচয়
অদ্ভুত এক দিক সন্ধিক্ষণ আসে খাঁচার ভেতর
অদ্ভুত জানালা- দরজা বন্ধ হয় ক্ষিপ্ততায় ,
আশ্চর্য ক্ষমতা আছে সিলিং ফ্যানের
পেশীবহুল নাইলনের রশিও কর্তব্যে জানে তার
আম কাঠের ছোট্ট তুলটা পর্যাপ্ত স্বর্গ সিঁড়ি
এতকালের দিকভ্রস্ত পা এবার সঠিক পথে
ছোট্ট এক ঝাঁপ টুলে কেঁপে ওঠে পৃথিবী
সাত বছরে শিশুটিকে খেলতে পাঠিয়ে
মায়াও গেছে তার পিছু পিছু
জমাট সাঁড়াশি আক্রমণ ঝুলে আছে এক রূপকথা
চোখ ঠিকরে বেড়িয়ে অনন্ত জিজ্ঞাসু দৃষ্টি
" মা কালি" জিভে কি জানি কোন পিপাসা !
মহাশূন্যে ভাসছে চুম্বক তত্তে
ঝোলানো দু,বাহু মাঝখানে নিঃসাড় দুই আপেল
অনেক মৌমাছি মধু খেয়ে গেছে অনন্তবার তারাও
ভয় পাবে এবার ফুলের কাছে আসতে
নেবার কেউ নেই তোকে , ঘৃণা'র জীব ছিল যে
রাম রুইদাস সেই তোকে চন্দন পরাবে !
আশ্চর্য ক্ষমতা আছে সিলিং ফ্যানের
পেশীবহুল নাইলনের রশিও কর্তব্যে জানে তার
আম কাঠের ছোট্ট তুলটা পর্যাপ্ত স্বর্গ সিঁড়ি
এতকালের দিকভ্রস্ত পা এবার সঠিক পথে
ছোট্ট এক ঝাঁপ টুলে কেঁপে ওঠে পৃথিবী
সাত বছরে শিশুটিকে খেলতে পাঠিয়ে
মায়াও গেছে তার পিছু পিছু
জমাট সাঁড়াশি আক্রমণ ঝুলে আছে এক রূপকথা
চোখ ঠিকরে বেড়িয়ে অনন্ত জিজ্ঞাসু দৃষ্টি
" মা কালি" জিভে কি জানি কোন পিপাসা !
মহাশূন্যে ভাসছে চুম্বক তত্তে
ঝোলানো দু,বাহু মাঝখানে নিঃসাড় দুই আপেল
অনেক মৌমাছি মধু খেয়ে গেছে অনন্তবার তারাও
ভয় পাবে এবার ফুলের কাছে আসতে
নেবার কেউ নেই তোকে , ঘৃণা'র জীব ছিল যে
রাম রুইদাস সেই তোকে চন্দন পরাবে !
বিধিভঙ্গ
আর তো বিশেষ কিছু জানার নেই , এবার দগ্ধ ,
অনন্ত হাহাকার --- মেঘ বৃষ্টি ছায়া আগুনে
দগ্ধতা'র বারোমাস , আর তো কিছুই জানি না ;
কবেই অন্ধের যষ্টি'তে ফেলে এসেছি সেই পথ
হরিণী পায়ের ; লক্ষ কোটি বৎসর ঘাস
পুড়েছে আগুনে'র রসে ; এখন দৃষ্টিহীন ,
আহাঃ এবার বর্ণান্ধ ---
ভুলে গেলাম তার সামন্ত্রতান্ত্রিক চোখ !
কিছুই চাইনি আমি ; শুধু দেখেছি তার সুসংহত অভিঘাত
কবিতায় , দ্বিধাবিভক্ত আত্ম সংযমে ক্ষয়িত যুবক বয়স --
সমস্ত নিষিদ্ধতায়
প্রজ্ঞ্যান মুখের ভীরেও
গোপন তরবারি'র ধারালো অগ্রে প্রাচীন পুঁথি
খণ্ড- বিখণ্ডিত , রহস্য পাতা ভেঙ্গে পরছে মলমাসের
শুভ - অশুভর প্রাচীর !
সমস্ত অহংকার নিয়ে উবে যায় প্রাচীনতা লক্ষণরেখা
হাসি ঝলকে ওঠে
জ্বলন্ত মদন , মদন -- জ্বলে না অঙ্গ --
দূরে নিভছে সৃষ্টি আলো আঁধার ঘুম নেই , ঘুম নেই --
কোন সংস্রবে নেই মুক্তি ---- ভিখারি , আমিও সেও !
বিস্মিত জগৎ
নীল নীল ছবি উড়ছে অশুদ্ধ রক্ত লজ্জিত বেড কভার -
বুক ছুঁয়ে নিম্নে যন্ত্রণা ফুড়ুৎ পাখি এই আসে এই ফেরে
অন্তঃমূলে অগ্রিম হিসাব
বিকল দিক নির্ণয় যন্ত্র আকাশ বিদ্যা ;
অনন্ত মৃত্যুর মত নিঃশব্দে ঘরোয়া বিপ্লব সঙ্গীবিহীন ষোলকলা
রাত , টুকরো খসে পরে শরীরে আগুনের ,
দাউ দাউ , জ্বলন ,
সর্ষে ফুল -- মৌমাছি -- মধু ---
খোলা চুলে উড়ছে সন্ধি প্রস্তাবের বাতাস ;
নির্বাক দর্শক
ঢ্যামনা চাঁদ গলে যাচ্ছে মোম জঙ্ঘার পূর্ণতা মাষে
অবাক একটা জগৎ
প্রথম মুখে ভাত তুলেছে শিশু ;
জব্বর বিশৃংখল খেলা উন্মেচিত ভবিষ্যৎ
অচেনা গন্ধ অন্বেষণ চুপি চুপি একা নির্জন নির্মল ;
প্রশান্তি পরিপূর্ণতা আবিষ্কৃত জগৎ যুগের অবসান
অনন্ত মৃত্যুর মত নিঃশব্দে ঘরোয়া বিপ্লব সঙ্গীবিহীন ষোলকলা
রাত , টুকরো খসে পরে শরীরে আগুনের ,
দাউ দাউ , জ্বলন ,
সর্ষে ফুল -- মৌমাছি -- মধু ---
খোলা চুলে উড়ছে সন্ধি প্রস্তাবের বাতাস ;
নির্বাক দর্শক
ঢ্যামনা চাঁদ গলে যাচ্ছে মোম জঙ্ঘার পূর্ণতা মাষে
অবাক একটা জগৎ
প্রথম মুখে ভাত তুলেছে শিশু ;
জব্বর বিশৃংখল খেলা উন্মেচিত ভবিষ্যৎ
অচেনা গন্ধ অন্বেষণ চুপি চুপি একা নির্জন নির্মল ;
প্রশান্তি পরিপূর্ণতা আবিষ্কৃত জগৎ যুগের অবসান
নিয়ম
তারপর আলোক পাতের দিকে মুখ রেখে বসি ,
যেমন করে আমার তৃতীয় বা চতুর্থ পূর্বপুরুষ অথবা আমার গ্রাম
এখনো বসে আছে ঠায় ,
এখনো বসে আছে স্থির প্রতীক্ষিত আলোর দিশায় ।
এখনো ঢের কিছু জন্ম
এখনো ঢের কিছু মৃত্যু অন্ধকারের পথে ।
আমাকে মনে পরে প্রপিতামহ , তৎ প্রপিতামহ ?
এখানকার জল হাওয়ায় বেড়েওঠা প্রতিটুকরো সময়ের স্মৃতি
তোমাকে এখনো কাঁদায় ?
এখনো কি লবন জলে স্নান অথবা সমাধি ?
এখনো কি আমার জিহ্বায় তোমার স্বাদগ্রন্থি ?
প্রপিতামহ তৎ প্রপিতামহ ,
মনে পরে আমাকে ? চেন কি আমায় ? তোমারতো চিনবার কথাছিল আমাকে
অথবা তোমাকে চিনবার আমার...
তোমাকে দেখিনি আমি
যেমন দেখিনি কতকিছু আমি......
গল্পেও খুঁজে পায়নি তোমার আদলে আমার মুখ
খুঁজে পায়নি তোমার পেশীবহুল শরীরে সঙ্গে আমার শরীরের মিল......
তবু
শ্রুতি গল্পে শুনেছি
তুমি পাগলছিলে !
তোমার মধ্যে আরো একটা আস্ত তুমি , ছিলে নাকি তুমি !
প্রপিতামহ তৎ প্রপিতামহ ,
তুমি পাগলছিলে কেন ? তোমার গোলাভরা ধান ছিল , হাঁসের ডিম ছিল
বাঁধানো পুকুরছিল , সুন্দরী নারী ছিল !
বল তুমি আজ ? তবে কি প্রেম বিবাহ ভালোবাসা্ , নারী ,
জীবনের সবটুকু নয় ?
প্রপিতামহ তৎ প্রপিতামহ !
রক্তের গুণ তবে সংক্রমনিত ব্যাধি ?
যা আমার পিতামহের ছিল না
যা আমার আমার পিতার ছিল না......
তা আমার মাঝখানে বিদ্যমান .........
নিয়মের রাজত্বে নিয়ম বুঝেনেন তবে কি হিসেবনিকেশ নিয়মেই
এখনো ঢের কিছু জন্ম
এখনো ঢের কিছু মৃত্যু অন্ধকারের পথে ।
আমাকে মনে পরে প্রপিতামহ , তৎ প্রপিতামহ ?
এখানকার জল হাওয়ায় বেড়েওঠা প্রতিটুকরো সময়ের স্মৃতি
তোমাকে এখনো কাঁদায় ?
এখনো কি লবন জলে স্নান অথবা সমাধি ?
এখনো কি আমার জিহ্বায় তোমার স্বাদগ্রন্থি ?
প্রপিতামহ তৎ প্রপিতামহ ,
মনে পরে আমাকে ? চেন কি আমায় ? তোমারতো চিনবার কথাছিল আমাকে
অথবা তোমাকে চিনবার আমার...
তোমাকে দেখিনি আমি
যেমন দেখিনি কতকিছু আমি......
গল্পেও খুঁজে পায়নি তোমার আদলে আমার মুখ
খুঁজে পায়নি তোমার পেশীবহুল শরীরে সঙ্গে আমার শরীরের মিল......
তবু
শ্রুতি গল্পে শুনেছি
তুমি পাগলছিলে !
তোমার মধ্যে আরো একটা আস্ত তুমি , ছিলে নাকি তুমি !
প্রপিতামহ তৎ প্রপিতামহ ,
তুমি পাগলছিলে কেন ? তোমার গোলাভরা ধান ছিল , হাঁসের ডিম ছিল
বাঁধানো পুকুরছিল , সুন্দরী নারী ছিল !
বল তুমি আজ ? তবে কি প্রেম বিবাহ ভালোবাসা্ , নারী ,
জীবনের সবটুকু নয় ?
প্রপিতামহ তৎ প্রপিতামহ !
রক্তের গুণ তবে সংক্রমনিত ব্যাধি ?
যা আমার পিতামহের ছিল না
যা আমার আমার পিতার ছিল না......
তা আমার মাঝখানে বিদ্যমান .........
নিয়মের রাজত্বে নিয়ম বুঝেনেন তবে কি হিসেবনিকেশ নিয়মেই
কবি ও কবিতা
আমি তো ভুয়োদর্শী ! ভুয়োদর্শী না হ'লে বোধহয় দর্শন হয়ে ওঠে না , আর দর্শন না থাকলে কি আর কবি ! সেই জন্য কবিতা এখনও বিশুদ্ধ বিজ্ঞান নয় !আবার বিজ্ঞান ! কবির কল্পনার আঁতরে গন্ধ ওঠে অক্ষরে আর তুমি আমি বিমস হতে পারলে কবি নির্ভেজাল আনন্দে ডুবে যায় , ডুবে যায় অনন্তকাল ! অনেকেই মনে ভাবেন কবিতা আসলে কি ? আর কেনই বা কবিতা লেখা ?
কবিতা পৃথিবীর ভয়ঙ্করতম কিছু নেশার মধ্য একটা নেশা , কবিতা কিচ্ছু নেই -- যেমন মানুষ বলে কি আছে ?? মানুষ তো দেখা যায় না , দেখা যায় হাত পা চোখ -- ইত্যাদি , তবে মানুষ টা কে ? এই কারনেই সমাজে প্রয়োজন হয়েছে নাম করনেরর , সেই রকম কবিতা বলেও কিচ্ছু নেই --- অনেক গুলো অঙ্গ- প্রতঙ্গ জুড়ে আমরা সংগবদ্ধ শব্দের নাম দিয়েছি কবিতা ! কবিতা পৃথিবীর আদিমতম অভিমান অসহয়তা নিঃসঙ্গতা মুগ্ধতা স্বপ্ন চেতনা চালচিত্র -- যা একটা শরীর কে কুড়ে কুড়ে খাই ! আর এগুলো থেকে উত্তরণের পথের খুব অভাব -- এই অভাবজনিত
অবক্ষয় থেকে সৃষ্টি হয় একটা এক সুতোর মানবিক সুর --- যা পাঠে আমাকেও কাঁদাতে পারে - তোমাকেও ------------------------------
No comments:
Post a Comment