বাল্মীকি স্তুপ
জানো না ? সে শব্দ শোননি ? নিদারুণ প্রলাপ
ভেঙ্গে অট্টহাসি নারীঘাতী পিশাচ দাও দাও অপূর্ব
গহ্বর টুকু দাও , সংবেদনশীল অঞ্চল দাও , কালো
জঙ্ঘা থেকে রক্ত দাগ মুছে দিয়ে পুনরায় দাঁড়িয়ে
কেরোসিন লাইনে - বলো ১৫ আগস্ট আমার , এই
দেশের প্রতিটি ধুলো কণা আমার আমার আমার ।
এজলাশে এ কথা উঠবে যখন ফরিয়াদি কণ্ঠে মরা বান ,
ভাষার জটিল আবর্তে পড়ে অপরাধ বেকসুর খালাস ,
অসহয় ক্ষত চিহ্ন নিয়ে আমি চেতলা থেকে বলছি , আমি
পার্ক স্ট্রীট , আমি মালদা , শুনছেন , শুনছেন ধর্মাবতর --
চরাচরব্যাপী উত্থান- পতনের আয়ু রেখা ধরে অগুন্তি
স্বপ্নের দেশ ছিল স্বদেশ , ধমনীতে চেতনার মূলমন্ত্র উড়েছিল
গঙ্গা পাড়ে এই তো সেদিন , আর মাঠে মাঠে মশাল অথবা
খোলা আগুনে নেচেছিল নবান্ন রাত --
আজ দ্যাখো আগুনে পুড়ছে ইতিহাস , পুড়ছে বাল্মীকি স্তুপ ।
অসহয় ক্ষত চিহ্ন নিয়ে আমি চেতলা থেকে বলছি , আমি
পার্ক স্ট্রীট , আমি মালদা , শুনছেন , শুনছেন ধর্মাবতর --
চরাচরব্যাপী উত্থান- পতনের আয়ু রেখা ধরে অগুন্তি
স্বপ্নের দেশ ছিল স্বদেশ , ধমনীতে চেতনার মূলমন্ত্র উড়েছিল
গঙ্গা পাড়ে এই তো সেদিন , আর মাঠে মাঠে মশাল অথবা
খোলা আগুনে নেচেছিল নবান্ন রাত --
আজ দ্যাখো আগুনে পুড়ছে ইতিহাস , পুড়ছে বাল্মীকি স্তুপ ।
মর্মোদ্ধার
ভাদুরে চড়া রোদে আম কাঁঠালের শূন্যপ্রাণে
প্রবর্তিত সেই পুরাতনী চোরা পথে তোমার
হৃদয় ছোঁয়ার বাসনা গেল না , বিদেহী আত্মা
কি চাও তুমি ? অনন্ত পাখি-পাখালি সবুজ ফসলের
গুচ্ছে কোন মায়া রেখে গেছে সে ?
শুধু , মায়া রেখে যায় এখানে , ড্রেসিং টেবিল চুলের ফিতে
বেলজিয়াম কাঁচে এই নিশুতি রাতে কার ছায়া ভাসে ?
কে রেখে যায় রক্তের অনুভূতিতে স্নেহাতুর সন্তান
আলমারি ভাজে গোছানো সাড়ি ন্যাপথলিনের
সে সব গন্ধ কোন রাতের কথা বলে , প্রেম ?
সময়ের গ্রন্থিতে নেশা দিয়ে গেছো , সময়ের উত্তাপে
রেখে গিয়ে তোমার শরীর কোথায় হয়েছ আজ অন্তঃলীন
জাহ্নবী ?
এভাবেই গলে যায় একবার ছ্যাদে সুচের অভ্যন্তরে সুতো
আর মায়াবী ক্ষিপতাই জুড়ে দিয়ে নকশী কাঁথা
সময়ের কোন সে শীতের প্রতিদ্বন্দ্বী ?
কত কিছু ফিরে আসে রি-সাইকেলে ---
রাতপরী হোক ঠাকুমার রাজকুমারী --
এই জীবনে শুধু হারানো , শুধু খুঁজে ফেরা --
এই জীবনে পেয়েও পাওয়া হোল তোমার করুণাধারা !
সে সব গন্ধ কোন রাতের কথা বলে , প্রেম ?
সময়ের গ্রন্থিতে নেশা দিয়ে গেছো , সময়ের উত্তাপে
রেখে গিয়ে তোমার শরীর কোথায় হয়েছ আজ অন্তঃলীন
জাহ্নবী ?
এভাবেই গলে যায় একবার ছ্যাদে সুচের অভ্যন্তরে সুতো
আর মায়াবী ক্ষিপতাই জুড়ে দিয়ে নকশী কাঁথা
সময়ের কোন সে শীতের প্রতিদ্বন্দ্বী ?
কত কিছু ফিরে আসে রি-সাইকেলে ---
রাতপরী হোক ঠাকুমার রাজকুমারী --
এই জীবনে শুধু হারানো , শুধু খুঁজে ফেরা --
এই জীবনে পেয়েও পাওয়া হোল তোমার করুণাধারা !
পাগ্লি
জাহাজ মাস্তুল ফ্যান্টাসি , চেনে সফেন
রূপটান রোদ্দুর মহিসোফানের ওধারে নারকেল সারি ।
অকৃত্রিম পাল চেনে হাওয়ার পরিচলন
কম্পাসে লেগে থাকে বিস্ময়
ভূমিরূপ নগ্ন পা ঈশ্বরভূমি অকৃপণ হাতে ডাকে
সাহসী নাবিককে ।
সহসা নিলাম ঘরে বাতি জ্বলে ,
স্যাঁতসেঁতে ডেরা থেকে বনজ শার্দূল
রক্ত লালসায় লালা ঝরিয়ে হুঙ্কার , মশলা দ্বীপ চাই
নারী চাই , দাস চাই ক্রীতদাস , যেন হয় তেমনি আদিম
রোমান গ্লাডিয়েটর ।
সেন্ট ক্যাথিড্রাল গির্জার পাদ্রী
সাতান্ন বছরের সেন্ট লুইস কনফেস রুমে ডুকরে ওঠে
' প্রভু , কারা যেন কিনছে পৃথিবী , জলের দরে ,
আমিও যদি শরিক হই বেনিয়ার , তাদের অনুশাসনে
গড়ে ওঠে তোমার ঘর , তোমাকে পাবো কি সেথায় ? '
কালিকটে জাহাজঘাটে নোঙর পড়ে , এক পৃথিবী বন্দী হোল
নোঙ্গরঘাটাই , অতলান্তিকে আগে ডোবে সূর্য ।
রক্ত লালসায় লালা ঝরিয়ে হুঙ্কার , মশলা দ্বীপ চাই
নারী চাই , দাস চাই ক্রীতদাস , যেন হয় তেমনি আদিম
রোমান গ্লাডিয়েটর ।
সেন্ট ক্যাথিড্রাল গির্জার পাদ্রী
সাতান্ন বছরের সেন্ট লুইস কনফেস রুমে ডুকরে ওঠে
' প্রভু , কারা যেন কিনছে পৃথিবী , জলের দরে ,
আমিও যদি শরিক হই বেনিয়ার , তাদের অনুশাসনে
গড়ে ওঠে তোমার ঘর , তোমাকে পাবো কি সেথায় ? '
কালিকটে জাহাজঘাটে নোঙর পড়ে , এক পৃথিবী বন্দী হোল
নোঙ্গরঘাটাই , অতলান্তিকে আগে ডোবে সূর্য ।
মহুয়া
দৃশ্যর মধ্যেই অদৃশ্য হয়ে আছো , যেমন
কূলের জলের মধ্যে লুকিয়ে ঢেউ এর শক্তিমানতা ।
কাঁচের চুড়ি হোক নোলকে , বিনুনি চুলে হোক
রঙিন ওষ্ঠে , কোমর বন্ধনীময় সোনালী বিছাহার ,
যতটুকু দেখি তোমায় তার চেয়ে বেশী আছো
রাঙ্গামাটি ধূলায় মহুয়া পলাশে নির্জন দুপুরে
ছেলে খাওয়ানো স্তনে ।
যারা দুধ ফুটিয়ে ঘি খেতে শিখেছে হাত চেটে ,
তোমার ভাস্কর্যর দিকে সর্বাধিক মাছরাঙ্গা উদাসী বিকালে
ছোঁ -মারার প্রতীক্ষায় ,
কোন শূন্য পথে ফেলে যাও তুমি মরালী গ্রীবা , তার
নিচের উষ্ণ মাংসের গন্ধ ছড়িয়ে ছুটে যেতে যেতে
ভেবে দ্যাখনি যা চোখের লাবণ্যে আছে নেশাতেও
আছে সক্রিয় মানবের ।
আনাদের সমস্ত বীরত্বের অরণ্যে , এই ব্যাধের জন্মে ,
তীক্ষ্ণ তৃণে রক্ত লেগে থাকে হৃদস্পন্দন একটুকুও নয় !
তোমার ভাস্কর্যর দিকে সর্বাধিক মাছরাঙ্গা উদাসী বিকালে
ছোঁ -মারার প্রতীক্ষায় ,
কোন শূন্য পথে ফেলে যাও তুমি মরালী গ্রীবা , তার
নিচের উষ্ণ মাংসের গন্ধ ছড়িয়ে ছুটে যেতে যেতে
ভেবে দ্যাখনি যা চোখের লাবণ্যে আছে নেশাতেও
আছে সক্রিয় মানবের ।
আনাদের সমস্ত বীরত্বের অরণ্যে , এই ব্যাধের জন্মে ,
তীক্ষ্ণ তৃণে রক্ত লেগে থাকে হৃদস্পন্দন একটুকুও নয় !
সেনা
তারপর , আরব্য ঘোড়ায় চেপে ছোট ছোট দলে
বিভক্ত হয়ে 'সপ্তসিন্ধু' পদানত তরবারি অশ্ম খুড়ে ।
এই ঘটনা প্রবাহ থেকে আজ পর্যন্ত আমি শৃঙ্খলিত ,
শতাব্দীর আকাশে শুধুই পরাজয়ের গ্লানি , সভ্যতা
নিমগ্ন চিত্তে অজস্র শ্রেণী বিন্যাসের ধব্জা তুলে
লিখে গেছেন সূর্যচোরের ইতিহাস !
প্রতিবার ইতিহাস দাগ রেখে গেছে হৃদয়ে রক্ত আঁকড়ে ,
আর শতাব্দী শতাব্দী পুরাতন দুর্গ থেকে সূর্য রঙ মেখে
সন্তর্পণে সে সাহসী বীর সেনা সিংনাদে যাচ্ছে রণাঙ্গনে
বুকে তাদের পৃথিবীর ভয়ঙ্করতম গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন পেরুনো
নেশা , গাঢ় ঘূর্ণাবাত মুছে দিয়েছে যে সমস্ত পথ
এই শাসন উপড়ানো বুক তচনচ করে দিয়ে প্রলয় রাত্রি
সামনে রেখেছে শুধুই সূর্যের গতিপথ ।
আজ ভেঙ্গে যাবে সমস্ত বিজয়ী রথের চাকা , গুপ্ত ঘাতকের
চক্রান্ত ভেদ করে সমগ্র আর্যাবতে শালীনতার ভোর ।
আমি দেখছি , দেখছি শতাব্দীর বিজয়ী ফলকে শ্যাওলা তুলে
শহিদের নাম নবীকরণ পর্ব , সমস্ত প্রত্যয়ী সেনাদল
লুকানো কৃপাণ খুলে আগাছা উপ্রে খুলছে নতুন পথ ।
এত দেরী কেন সেনাপতি ? সূর্যের হাঁকডাকে শোন আজ
সে সবই প্রত্যাশা যা আমি বুকে নিয়ে আছি হাজার বছর ।
ফেরো , তাড়াতাড়ি কাজ করে ফিরে এসো পাখির প্রান্তরে ,
নিষিদ্ধ কালো রাত্রি অপলকে চেয়ে থাকুক তোমরা ঘরে
ফিরছ বলে ,
এবার প্রকাশ্যে আনো চক্রান্তের সমস্ত অধ্যায় , চরম মূল্য
চুকিয়ে হিসাব বরাবর করো সভ্যতার ইতিহাস ----
সমাধি গড়ার আগে চোখে রাখো মুগ্ধতারাশি ।
পাপ
এক এক ঘরে খুলে পড়ে অঙ্গভূষণ , দেহপল্লবী
রুপালী আঁশের মত বিনম্র , দৃশ্য যখন খুলে রাখছিলে
দেরাজে আলমারি ড্রেসিং টেবিলে , কাঁচুমাচু মুখে
গির্জা ঘড়ি ঢংঢং - বুঝি বারোটা বেজে গেছে ।
হঠাৎ আলো নিভে গেলে আঁধার যেন এক পেত
শরীর পেতে চাই তুমুল আক্রোশে , অভূতপূর্ণ ক্ষিপ্ততাই
পেত খেলে যাই অনাবৃত শরীরের আনাচে-কানাচে --
নির্বাক টিউব লাইট আঁধারের কাব্যে মাতোয়ারা , এ মাতম
তীব্র থেকে তীব্রতম হলে ------
টিউব হেসে ওঠে , সমস্ত বীজই কি তবে অন্ধকারে এসে
আলোতে পেয়েছে পূর্ণতা !
পৃথিবীর আকাঙ্ক্ষার ঘোলা জলে যে সমস্ত বীজ বপন ক'রে
দ্বৈতসত্তা দীর্ঘতম দীর্ঘশ্বাস অতিক্রম ক'রে ,
এই রকম চক্র নিয়মিত হত্যা ক'রে উদ্বেলিত কুসুমের
পাপড়ি ধুমসো কালো ক্ষানিক অস্তিত্ব রেখে গেলে --
আমিও রক্তের মধ্যে দশ হাজার বছর পুরনো হত্যাকারীকে
বাঁচিয়ে রাখি দ্বিতীয় কোন দৃশ্যর প্রয়োজনে
তীব্র থেকে তীব্রতম হলে ------
টিউব হেসে ওঠে , সমস্ত বীজই কি তবে অন্ধকারে এসে
আলোতে পেয়েছে পূর্ণতা !
পৃথিবীর আকাঙ্ক্ষার ঘোলা জলে যে সমস্ত বীজ বপন ক'রে
দ্বৈতসত্তা দীর্ঘতম দীর্ঘশ্বাস অতিক্রম ক'রে ,
এই রকম চক্র নিয়মিত হত্যা ক'রে উদ্বেলিত কুসুমের
পাপড়ি ধুমসো কালো ক্ষানিক অস্তিত্ব রেখে গেলে --
আমিও রক্তের মধ্যে দশ হাজার বছর পুরনো হত্যাকারীকে
বাঁচিয়ে রাখি দ্বিতীয় কোন দৃশ্যর প্রয়োজনে
প্রতিদ্বন্দ্বী
একটা জোনাকি জ্বলতে না জ্বলতে রাহুহত চন্দ্রিমা
জেগে উঠে বলল 'বিদায় হ ' ,
এই দেখে খেতের রজনীগন্ধা বেদনায় নীল হয়ে
ফুল ঝরিয়ে দিলো দু'চারখান ।
জানি , পরিপক্ক আপেলের মুগ্ধতা তোমার সামন্ত্রতান্ত্রিক
চোখে , প্রত্যেকটা প্রথাবিরোধী আঁধার ভাঙবার চিরন্তন
শখ , একশত কুড়ি কোটি জোনাক ম্লান থেকে ম্লানতম হয়
তোমারই এক অঙ্গুলি হেলনে ---
যেন প্রাগৈতিহাসিক গ্রীকদেবী নতজানু মাথায় তোমার
যতসব অহংকার ।
তোমার ঘোরতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমি , জন্মজন্মান্তরের মুগ্ধ
মানচিত্রে তোমার জ্বলজ্বল বুকের উপর সেঁটে দেবো পোস্টার
বুড়ো হয়েছ ঢের ছাড় , ছাড় অধিকার , যৎসামান্য জোনাক
আলো এখনও প্রতিদ্বন্দ্বী তোমার !
যেন প্রাগৈতিহাসিক গ্রীকদেবী নতজানু মাথায় তোমার
যতসব অহংকার ।
তোমার ঘোরতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমি , জন্মজন্মান্তরের মুগ্ধ
মানচিত্রে তোমার জ্বলজ্বল বুকের উপর সেঁটে দেবো পোস্টার
বুড়ো হয়েছ ঢের ছাড় , ছাড় অধিকার , যৎসামান্য জোনাক
আলো এখনও প্রতিদ্বন্দ্বী তোমার !
বুন
নীরব চাহুনি বুনে চলে নক্ষত্রখসা প্রলাপ রাত ,
দীর্ঘতম সিঁড়ি ভেঙ্গে আকাশ অথবা পাতালের
শিখরের দিকে এগিয়ে চলার শৌখিনতায় কে বলে
সব কোলাহল আরতি ধুনোরগন্ধ শেষ হ'লে , আমিও
নিবিড় বনবাস পেড়িয়ে দাঁড়িয়েছি দরজায় তোমার ।
আমার কোন মোহরের গল্প ছিল না যে প্রেম চেনাবে !
সময়ের মন্ত্রণায় অকাতর আকাঙ্ক্ষার নির্মাণ ছড়িয়ে
নিঃশব্দের ভেতর জ্বলন বুঝে নিতে নিতে পেশাজীবী
শরীর কোন অবকাশে রোহিণী আকাশে শিল্প শিখবে ?
দূরগামী হে আগুনরাণী তোমার ঝলসানো রূপ ও সাফল্য
বস্তুত শতাব্দী প্রাচীন পুরুষের নিষিদ্ধতায় বিলুপ্ত হতে হতে
আঁধারজনিত রাতে জলের কিছু বুদবুদ ।
শরীর কোন অবকাশে রোহিণী আকাশে শিল্প শিখবে ?
দূরগামী হে আগুনরাণী তোমার ঝলসানো রূপ ও সাফল্য
বস্তুত শতাব্দী প্রাচীন পুরুষের নিষিদ্ধতায় বিলুপ্ত হতে হতে
আঁধারজনিত রাতে জলের কিছু বুদবুদ ।
যে রাতে কবিতা লেখা হয়
ভয়াল পৌষ ইঁদুরের গর্তে সাপ ঘুমে
নিরিবিচ্ছিন্ন বোরো ধানের গুচ্ছে চুপি চুপি শিশির
লিখে রাখে জন্ম-পরিচয়
ঘন মেঘের পর্দায় নিরুৎসাহী জ্যোৎস্না ঢিমে পায়ে চৌধুরীদের
বাঁশবাগান পেড়িয়ে কানাপুকুরে লীন ,
তক্ষনি , জলে -পাতায় একটা নক্ষত্র দুলে ওঠে
কবিতা তখন " ফুল্লরার বারোমাস্য "র বিরহ পর্ব ।
সমগ্র রাত ধরে হাওয়ার পরিচলন
মেধহীন রাতের তৃতীয় প্রহর জুড়ে চরাচরে আণবিক বিস্ফোরণে
কবির ন্যায়-নীতিবাক্য শব্দের ধুলোই মাখামাখি , যেন
রাত জানতে চাই " ওহে কবি , প্রসব বেদনার মত
ব্যথাতুর হতে পেরেছেন কবিতায় " ,
হরিহর প্রাতঃকাজে খোলা মাঠে বদনা হাতে --
নেশাতুর রাত ডুবছে রাহুকালে
শব্দকীট চেয়ে আছে কবিতার দিকে --
এক কলাম ভণিতা লিখেছেন কবি সারারাত
পিশাচ খেয়েছে অস্থি খেয়েছে মজ্জা
অক্ষরের অমরত্ব
বিদীর্ণ আলোর নিচে মৃতপ্রায়
সামগ্রিক পতনে কথা নেই , ভাষা নেই , নির্বাক পৃথিবী এসাইলাম ।
অবাক
সমস্ত কথা বলা হ'য়ে গেলেও
আরো কথা র'য়ে যায় মনের পাদদেশে অসন্তোষে ,
পুনরায় গাছের শ্বাসে সময়ের ভাস্কর্য যেন ফলিত বিজ্ঞান
বহুশ্রম শীর্ষসঙ্গীত মন্তাজ অহরহ বিরহ চিহ্ন রেখে যাই মনে ।
যে যেমন পারে দড়ি ধরে সমুদ্র মাপে ,
মুখের ছেঁদ বিন্দু খুলে শাসনের ভঙ্গীতে নিজেকে প্রতিষ্ঠার আপ্রাণ
চেষ্টা , আদিম শিল্পের সহজতর পদ্ধতি
লক্ষ্যচ্যুত হ'লে এমন মনগড়া হাজার ভাষণ !
সমগ্র সম্ভাষণ ওঠা-পরা ছায়াছবির মত আসে যাই
রসালো ক্ষণের পরতে পরতে অবিশ্বাস ধুলো-বালি --
গগলস চোখে সম্মুখের দৃশ্যই গোচর , অদ্ভুত প্রত্যয়ে
সমস্ত অবক্ষয় নিয়ে ধান কাটা দিন আসে --
আসে বিপন্ন বিস্মিত ভবিষ্যৎ ।
বুঝি , সমগ্র পথ এবং অরণ্য , চারণভূমি্ ,কৃষিক্ষেতের ইজারা নিয়ে
পুরো দস্তুর সাংসারিক জগত প্রসিদ্ধলব্ধ এক বধ্যভূমি ,
ঐ দিকে মন্ত্রপূত জল যজ্ঞডুমুর বেলপাতা সমিধ আগুন
অভয়ারণ্য দিয়ে গেলে সেদিকে শূন্যতা ।
সমস্তই দিয়ে গেছে সম্রাট , সূচনাপর্ব হতেই অবক্ষয় ।
এত সৃষ্টি গহ্বর , ভাতে রক্তের দাগ , বুঝি অন্তিম অধ্যায়ে এবার
সমগ্র সম্ভাষণ ওঠা-পরা ছায়াছবির মত আসে যাই
রসালো ক্ষণের পরতে পরতে অবিশ্বাস ধুলো-বালি --
গগলস চোখে সম্মুখের দৃশ্যই গোচর , অদ্ভুত প্রত্যয়ে
সমস্ত অবক্ষয় নিয়ে ধান কাটা দিন আসে --
আসে বিপন্ন বিস্মিত ভবিষ্যৎ ।
বুঝি , সমগ্র পথ এবং অরণ্য , চারণভূমি্ ,কৃষিক্ষেতের ইজারা নিয়ে
পুরো দস্তুর সাংসারিক জগত প্রসিদ্ধলব্ধ এক বধ্যভূমি ,
ঐ দিকে মন্ত্রপূত জল যজ্ঞডুমুর বেলপাতা সমিধ আগুন
অভয়ারণ্য দিয়ে গেলে সেদিকে শূন্যতা ।
সমস্তই দিয়ে গেছে সম্রাট , সূচনাপর্ব হতেই অবক্ষয় ।
এত সৃষ্টি গহ্বর , ভাতে রক্তের দাগ , বুঝি অন্তিম অধ্যায়ে এবার
গর্ভদেশ ভাঙার চিহ্ন ।
No comments:
Post a Comment