বিধিভঙ্গ
আর তো বিশেষ কিছু জানার নেই , এবার দগ্ধ ,
অনন্ত হাহাকার --- মেঘ বৃষ্টি ছায়া আগুনে
দগ্ধতা'র বারোমাস , আর তো কিছুই জানি না ;
কবেই অন্ধের যষ্টি'তে ফেলে এসেছি সেই পথ
হরিণী পায়ের ; লক্ষ কোটি বৎসর ঘাস
পুড়েছে আগুনে'র রসে ; এখন দৃষ্টিহীন ,
আহাঃ এবার বর্ণান্ধ ---
ভুলে গেলাম তার সামন্ত্রতান্ত্রিক চোখ !
কিছুই চাইনি আমি ; শুধু দেখেছি তার সুসংহত অভিঘাত
কবিতায় , দ্বিধাবিভক্ত আত্ম সংযমে ক্ষয়িত যুবক বয়স --
সমস্ত নিষিদ্ধতায়
প্রজ্ঞ্যান মুখের ভীরেও
গোপন তরবারি'র ধারালো অগ্রে প্রাচীন পুঁথি
খণ্ড- বিখণ্ডিত , রহস্য পাতা ভেঙ্গে পরছে মলমাসের
শুভ - অশুভর প্রাচীর !
সমস্ত অহংকার নিয়ে উবে যায় প্রাচীনতা লক্ষণরেখা
হাসি ঝলকে ওঠে
জ্বলন্ত মদন , মদন -- জ্বলে না অঙ্গ --
দূরে নিভছে সৃষ্টি আলো আঁধার ঘুম নেই , ঘুম নেই --
কোন সংস্রবে নেই মুক্তি ---- ভিখারি , আমিও সেও !
বিস্মিত জগৎ
নীল নীল ছবি উড়ছে অশুদ্ধ রক্ত লজ্জিত বেড কভার -
বুক ছুঁয়ে নিম্নে যন্ত্রণা ফুড়ুৎ পাখি এই আসে এই ফেরে
অন্তঃমূলে অগ্রিম হিসাব
বিকল দিক নির্ণয় যন্ত্র আকাশ বিদ্যা ;
অনন্ত মৃত্যুর মত নিঃশব্দে ঘরোয়া বিপ্লব সঙ্গীবিহীন ষোলকলা
রাত , টুকরো খসে পরে শরীরে আগুনের ,
দাউ দাউ , জ্বলন ,
সর্ষে ফুল -- মৌমাছি -- মধু ---
খোলা চুলে উড়ছে সন্ধি প্রস্তাবের বাতাস ;
নির্বাক দর্শক
ঢ্যামনা চাঁদ গলে যাচ্ছে মোম জঙ্ঘার পূর্ণতা মাষে
অবাক একটা জগৎ
প্রথম মুখে ভাত তুলেছে শিশু ;
জব্বর বিশৃংখল খেলা উন্মেচিত ভবিষ্যৎ
অচেনা গন্ধ অন্বেষণ চুপি চুপি একা নির্জন নির্মল ;
প্রশান্তি পরিপূর্ণতা আবিষ্কৃত জগৎ যুগের অবসান
অনন্ত মৃত্যুর মত নিঃশব্দে ঘরোয়া বিপ্লব সঙ্গীবিহীন ষোলকলা
রাত , টুকরো খসে পরে শরীরে আগুনের ,
দাউ দাউ , জ্বলন ,
সর্ষে ফুল -- মৌমাছি -- মধু ---
খোলা চুলে উড়ছে সন্ধি প্রস্তাবের বাতাস ;
নির্বাক দর্শক
ঢ্যামনা চাঁদ গলে যাচ্ছে মোম জঙ্ঘার পূর্ণতা মাষে
অবাক একটা জগৎ
প্রথম মুখে ভাত তুলেছে শিশু ;
জব্বর বিশৃংখল খেলা উন্মেচিত ভবিষ্যৎ
অচেনা গন্ধ অন্বেষণ চুপি চুপি একা নির্জন নির্মল ;
প্রশান্তি পরিপূর্ণতা আবিষ্কৃত জগৎ যুগের অবসান
নিয়ম
তারপর আলোক পাতের দিকে মুখ রেখে বসি ,
যেমন করে আমার তৃতীয় বা চতুর্থ পূর্বপুরুষ অথবা আমার গ্রাম
এখনো বসে আছে ঠায় ,
এখনো বসে আছে স্থির প্রতীক্ষিত আলোর দিশায় ।
এখনো ঢের কিছু জন্ম
এখনো ঢের কিছু মৃত্যু অন্ধকারের পথে ।
আমাকে মনে পরে প্রপিতামহ , তৎ প্রপিতামহ ?
এখানকার জল হাওয়ায় বেড়েওঠা প্রতিটুকরো সময়ের স্মৃতি
তোমাকে এখনো কাঁদায় ?
এখনো কি লবন জলে স্নান অথবা সমাধি ?
এখনো কি আমার জিহ্বায় তোমার স্বাদগ্রন্থি ?
প্রপিতামহ তৎ প্রপিতামহ ,
মনে পরে আমাকে ? চেন কি আমায় ? তোমারতো চিনবার কথাছিল আমাকে
অথবা তোমাকে চিনবার আমার...
তোমাকে দেখিনি আমি
যেমন দেখিনি কতকিছু আমি......
গল্পেও খুঁজে পায়নি তোমার আদলে আমার মুখ
খুঁজে পায়নি তোমার পেশীবহুল শরীরে সঙ্গে আমার শরীরের মিল......
তবু
শ্রুতি গল্পে শুনেছি
তুমি পাগলছিলে !
তোমার মধ্যে আরো একটা আস্ত তুমি , ছিলে নাকি তুমি !
প্রপিতামহ তৎ প্রপিতামহ ,
তুমি পাগলছিলে কেন ? তোমার গোলাভরা ধান ছিল , হাঁসের ডিম ছিল
বাঁধানো পুকুরছিল , সুন্দরী নারী ছিল !
বল তুমি আজ ? তবে কি প্রেম বিবাহ ভালোবাসা্ , নারী ,
জীবনের সবটুকু নয় ?
প্রপিতামহ তৎ প্রপিতামহ !
রক্তের গুণ তবে সংক্রমনিত ব্যাধি ?
যা আমার পিতামহের ছিল না
যা আমার আমার পিতার ছিল না......
তা আমার মাঝখানে বিদ্যমান .........
নিয়মের রাজত্বে নিয়ম বুঝেনেন তবে কি হিসেবনিকেশ নিয়মেই !
এখনো ঢের কিছু জন্ম
এখনো ঢের কিছু মৃত্যু অন্ধকারের পথে ।
আমাকে মনে পরে প্রপিতামহ , তৎ প্রপিতামহ ?
এখানকার জল হাওয়ায় বেড়েওঠা প্রতিটুকরো সময়ের স্মৃতি
তোমাকে এখনো কাঁদায় ?
এখনো কি লবন জলে স্নান অথবা সমাধি ?
এখনো কি আমার জিহ্বায় তোমার স্বাদগ্রন্থি ?
প্রপিতামহ তৎ প্রপিতামহ ,
মনে পরে আমাকে ? চেন কি আমায় ? তোমারতো চিনবার কথাছিল আমাকে
অথবা তোমাকে চিনবার আমার...
তোমাকে দেখিনি আমি
যেমন দেখিনি কতকিছু আমি......
গল্পেও খুঁজে পায়নি তোমার আদলে আমার মুখ
খুঁজে পায়নি তোমার পেশীবহুল শরীরে সঙ্গে আমার শরীরের মিল......
তবু
শ্রুতি গল্পে শুনেছি
তুমি পাগলছিলে !
তোমার মধ্যে আরো একটা আস্ত তুমি , ছিলে নাকি তুমি !
প্রপিতামহ তৎ প্রপিতামহ ,
তুমি পাগলছিলে কেন ? তোমার গোলাভরা ধান ছিল , হাঁসের ডিম ছিল
বাঁধানো পুকুরছিল , সুন্দরী নারী ছিল !
বল তুমি আজ ? তবে কি প্রেম বিবাহ ভালোবাসা্ , নারী ,
জীবনের সবটুকু নয় ?
প্রপিতামহ তৎ প্রপিতামহ !
রক্তের গুণ তবে সংক্রমনিত ব্যাধি ?
যা আমার পিতামহের ছিল না
যা আমার আমার পিতার ছিল না......
তা আমার মাঝখানে বিদ্যমান .........
নিয়মের রাজত্বে নিয়ম বুঝেনেন তবে কি হিসেবনিকেশ নিয়মেই !
পিতা
আমি পিতা ......
বসন্ত হাওয়ায় পিদিমের আগুন নিয়ে যায় , নাভি উষ্ণতায়
ভগবানও মোম , দাহ্য পাশাপাশি , নিবিড় ,
নেই বিষাদের জন্ম ,
এবার পিতা হবার পালা
আমি পিতা
ঝাপট খেতে খেতে ডানা উল্টে সময়ের এক সালিখ বা চড়ুই ,
উঠোনময় সিদ্ধ ধান ,
ফাগুণের মনকাড়া বেলা বাড়ে ,
চাপে চাপে স্তন ফুলে ফেঁপে আস্ত পাহাড়
অভুক্ত রেখো না খোকা
আমাকে দুধ দাও মা জননী ।
আমি পিতা ......
উষ্ণ উপত্যকায় ভ্যাপা চাঁদ নিয়ে রাত নামে নিয়মের যন্ত্রণায় ,
কৃষ্ণসাগর, তোমার তামাম চোখে জলবায়ু সন্ধিতে প্রস্তুত ,
খুলে দিই একাদশীর জানালা
একঝাক উত্তরে হাওয়া... শীত শীত ভাব
শিশু ওঠে কেঁদে
তোমার বুক থেকে আমার ঠোঁট সরে যায় ...
হেসে ওঠে নিয়ম ।
আমি পিতা ......
দূরত্বের প্রাচীরে আমি তুমি , মাঝখানে রঙ্গিন স্বপ্নের স্থান ,
সংগোপন কথা , এক দিন নির্দ্বিধায় দুজনে ,
এখন লজ্জায় , ঘর ভরে যায় আলোয় , চুপ করো ,
জেগে আছে দ্বিতীয় ভগবান ,
নির্বিষ হয়ে যায় রাত , হাত নেমে আসে যার যার মাথায় ,
ঘুম ভাঙ্গে
আমিও তবে কি হয়েগেছি ভগবান !
নেই বিষাদের জন্ম ,
এবার পিতা হবার পালা
আমি পিতা
ঝাপট খেতে খেতে ডানা উল্টে সময়ের এক সালিখ বা চড়ুই ,
উঠোনময় সিদ্ধ ধান ,
ফাগুণের মনকাড়া বেলা বাড়ে ,
চাপে চাপে স্তন ফুলে ফেঁপে আস্ত পাহাড়
অভুক্ত রেখো না খোকা
আমাকে দুধ দাও মা জননী ।
আমি পিতা ......
উষ্ণ উপত্যকায় ভ্যাপা চাঁদ নিয়ে রাত নামে নিয়মের যন্ত্রণায় ,
কৃষ্ণসাগর, তোমার তামাম চোখে জলবায়ু সন্ধিতে প্রস্তুত ,
খুলে দিই একাদশীর জানালা
একঝাক উত্তরে হাওয়া... শীত শীত ভাব
শিশু ওঠে কেঁদে
তোমার বুক থেকে আমার ঠোঁট সরে যায় ...
হেসে ওঠে নিয়ম ।
আমি পিতা ......
দূরত্বের প্রাচীরে আমি তুমি , মাঝখানে রঙ্গিন স্বপ্নের স্থান ,
সংগোপন কথা , এক দিন নির্দ্বিধায় দুজনে ,
এখন লজ্জায় , ঘর ভরে যায় আলোয় , চুপ করো ,
জেগে আছে দ্বিতীয় ভগবান ,
নির্বিষ হয়ে যায় রাত , হাত নেমে আসে যার যার মাথায় ,
ঘুম ভাঙ্গে
আমিও তবে কি হয়েগেছি ভগবান !
রহস্য
ঘুম যাযাবর হ'লে গ্রহন্তরে কিছু কাঠ পোড়ে ,
মহিমান্বিত ঐতিহ্য ভেঙ্গে পরে মানবের ।
জীবন , দেখেছো কিনা কোন সুন্দর অভ্রান্তের
ছবি , যে প্রেম চেনাবে !
আবৃত রহস্যের মায়া জালে নট-নর্তকী ভোগে
তীব্র জৈবিক উন্মাদনা , নিঃশেষিত প্রাণ-বায়ু
যেবার স্বাধীন , প্রিয় কিছু জলে, দেওয়ালে ফুলের
মালায় দৃশ্য সুখ কিছুদিন !
কালান্তরি ব্যাধি আমি সর্বস্যে গভীর অঙ্গে ,
প্রতি মুহূর্তে ভেঙ্গে পরে স্বর্গের সিঁড়ি, যেমন
ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে সেই বন্দীর মত
চোখ বন্দ করে থাকে মৃত্যু ফিরে যাবে বলে !
হাজার রহস্যের মোড়কে একটা জীবন
শ্মশানে জন্ম আছে রহস্যে নেই অবশেষে
আবৃত রহস্যের মায়া জালে নট-নর্তকী ভোগে
তীব্র জৈবিক উন্মাদনা , নিঃশেষিত প্রাণ-বায়ু
যেবার স্বাধীন , প্রিয় কিছু জলে, দেওয়ালে ফুলের
মালায় দৃশ্য সুখ কিছুদিন !
কালান্তরি ব্যাধি আমি সর্বস্যে গভীর অঙ্গে ,
প্রতি মুহূর্তে ভেঙ্গে পরে স্বর্গের সিঁড়ি, যেমন
ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে সেই বন্দীর মত
চোখ বন্দ করে থাকে মৃত্যু ফিরে যাবে বলে !
হাজার রহস্যের মোড়কে একটা জীবন
শ্মশানে জন্ম আছে রহস্যে নেই অবশেষে
পথ
বহুদিন যাবৎ আত্মসাৎ করে প্রজাপতি রঙ
ভেবেছিল বাদবাকি রঙ সব ফ্যাঁকাসে ; আয়েজনে
মাতোয়ারা মচ্ছবেসোম রসে
ভোজনে রসিক নাগর । এদিকে আশ্চর্য এক ভ্রূণের
রসে মজেছে জঠর
তারা ভাবেছিল শুদ্ধ করে নেবো বিজ্ঞানে বাঞ্ছিত-অবাঞ্ছিতের
লালন দায়ভার ।
এতদিন যাবৎ ফুলের মত যা কিছু সত্য অভ্রান্ত অনুরণনের অরুণ জেগেছিল ;
পাপড়ি ভাঁজে অফুরান যৌন সংক্রমণ , আর নিষাদের মন জুড়ে
খানিক খানিক শরীর , সব সরীসৃপ গমনে
প্রতিরাতে ভুলেছে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য !
আজ প্রতি আঁধার রাতে মাঠে জ্বালিয়ে ন্যাড়া ; বিধর্মী যতো বক ধার্মিক
সেঁকে নিয়ে হাত-পা
খুঁজে নিক খামারের ঠিকানা ; ওরা জানে কি
কত পথ পাড়ি দিতে আছে বাকি ?
রসে মজেছে জঠর
তারা ভাবেছিল শুদ্ধ করে নেবো বিজ্ঞানে বাঞ্ছিত-অবাঞ্ছিতের
লালন দায়ভার ।
এতদিন যাবৎ ফুলের মত যা কিছু সত্য অভ্রান্ত অনুরণনের অরুণ জেগেছিল ;
পাপড়ি ভাঁজে অফুরান যৌন সংক্রমণ , আর নিষাদের মন জুড়ে
খানিক খানিক শরীর , সব সরীসৃপ গমনে
প্রতিরাতে ভুলেছে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য !
আজ প্রতি আঁধার রাতে মাঠে জ্বালিয়ে ন্যাড়া ; বিধর্মী যতো বক ধার্মিক
সেঁকে নিয়ে হাত-পা
খুঁজে নিক খামারের ঠিকানা ; ওরা জানে কি
কত পথ পাড়ি দিতে আছে বাকি ?
তথাগত
অনিবার্য এক অন্তঃমুখী নিত্য উৎপাদিত চাহিদা'য়
শান্তি নাই , ফ্রেমে লটকে আছে সন্তান টিউশন
ফিস স্ত্রী অলঙ্কারের গন্ধ ; চড়া রোদ,নিরুৎসাহি
সাংসারিক বৃষ্টি মুছে দিচ্ছে মুখচ্ছবি গত বিগত
সত্যাচার ! মুখে বলিরেখা উজ্জ্বল , কাটাকুটি ,
জটিল জ্যামিতি বিন্যাসে আবদ্ধ সময়ের জন্ম ঘর ।
সমুজ্জ্বল বৃক্ষেরা অনন্তবার শীতলতার আহ্বান ।
লাজুক মুখে এক সাম্য যুবক তার নিচে , গুটিকয়
রাখাল বালক শিখছেন পশু প্রেম ---
আমিত্ব বর্জিত হ'বার ইহকালিন আনন্দধারায়
ভেসে থাকার সুপ্তকথা !
ঐ যুবক বৃক্ষের নিচে বিলীন হয়ে গেল একদিন ---
তথাগত ইহকালের আগুন দিয়ে গেলেন প্রত্যেক মনে ---
ভুতকাল নয় , একালের পরমপ্রাপ্তি , বিশ্বাসে
সত্যাচার ! মুখে বলিরেখা উজ্জ্বল , কাটাকুটি ,
জটিল জ্যামিতি বিন্যাসে আবদ্ধ সময়ের জন্ম ঘর ।
সমুজ্জ্বল বৃক্ষেরা অনন্তবার শীতলতার আহ্বান ।
লাজুক মুখে এক সাম্য যুবক তার নিচে , গুটিকয়
রাখাল বালক শিখছেন পশু প্রেম ---
আমিত্ব বর্জিত হ'বার ইহকালিন আনন্দধারায়
ভেসে থাকার সুপ্তকথা !
ঐ যুবক বৃক্ষের নিচে বিলীন হয়ে গেল একদিন ---
তথাগত ইহকালের আগুন দিয়ে গেলেন প্রত্যেক মনে ---
ভুতকাল নয় , একালের পরমপ্রাপ্তি , বিশ্বাসে
ঈশ্বর অবিশ্বাসী দামাল
অনেকবার সামনে পতন দেখেও মাথা নোয়াইনি
কোন কৃত্রিম মূর্তির পাদদেশে ; সবুজ সংকেত
পেয়ে যারা সাঁ সাঁ বেগে চলে গেছে আমার পাশ দিয়ে ,
তারা কেউ আমার বন্ধু ছিল কেউবা বন্ধুর বন্ধু কিম্বা
পরিচিতি অর্ধপরিচিত অথবা সুদখোর বাপের সন্তান ,
একে একে সব্বাই গাড়িতে উঠে গেছে , যেখানে আমিও
চড়তে পারতাম , আয়েশ করে বসে বলতে পারতাম
"বন্ধুর সাথে শেয়ার করে সিগারেট খাওয়ায় মজাই আলাদা !"
বারবার "মিস" করি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যবস্তু , ইচ্ছাধীন নয়
যে সব পার্থিব জগতের ইচ্ছা নামক বস্তু , সেখানে যখন
পৌঁছায় যেন "হরির লুটের" শেষ হরি আমি , সব
উপাদেয় আহার সামগ্রী উবে গেছে অন্য মুখে ! মা তবুও
উৎসাহ দিয়ে যান " লেগে থাক , লেগে থাক "
আর আমিও স্বউৎসাহে প্রতিবার এগিয়ে যায় এক মায়াবী
জাদু মোহে , অবশ্য ফিরে আসতেই হ'য় কুয়াশা মোড়কে
চুপিসারে নিস্তব্ধতায় ! তখনি দেখি শিশির বিন্ধু জমেছে শরীরে ,
হাত দিয়ে দেখি শিশির নয় সমগ্র শরীর থেকে লাভা বেরুচ্ছে
আর অসহ্য এক যন্ত্রণায় নিবদ্ধ থেকে দেখি -------
অন্ধকার ভেঙ্গে স্বলজ্জিত চোখে উঠে আসছে সূর্য -- , অথচ
আমি কিছুই দেখতে পাচ্ছি না !
পিতৃদেব বুঝে গেছে "অকাল কুস্মান্দু " পয়দা ভুল বশতঃ গ্রহের ফেরে !
আমি ও ঐ চোখের দিয়ে তাকাই না --- আঁধার নামে একসময় ,
আমি মা'কে খুঁজি শুধু ,
আমার মৃত্যু নেই ক্ষয় নেই ধ্বংস নেই লেখা চিত্রগুপ্তের খাতায় --
আমি মা'য়ের স্তন খুঁজি , আমাকে পুনরায় অমৃত দাও মা ---
পরিচিতি অর্ধপরিচিত অথবা সুদখোর বাপের সন্তান ,
একে একে সব্বাই গাড়িতে উঠে গেছে , যেখানে আমিও
চড়তে পারতাম , আয়েশ করে বসে বলতে পারতাম
"বন্ধুর সাথে শেয়ার করে সিগারেট খাওয়ায় মজাই আলাদা !"
বারবার "মিস" করি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যবস্তু , ইচ্ছাধীন নয়
যে সব পার্থিব জগতের ইচ্ছা নামক বস্তু , সেখানে যখন
পৌঁছায় যেন "হরির লুটের" শেষ হরি আমি , সব
উপাদেয় আহার সামগ্রী উবে গেছে অন্য মুখে ! মা তবুও
উৎসাহ দিয়ে যান " লেগে থাক , লেগে থাক "
আর আমিও স্বউৎসাহে প্রতিবার এগিয়ে যায় এক মায়াবী
জাদু মোহে , অবশ্য ফিরে আসতেই হ'য় কুয়াশা মোড়কে
চুপিসারে নিস্তব্ধতায় ! তখনি দেখি শিশির বিন্ধু জমেছে শরীরে ,
হাত দিয়ে দেখি শিশির নয় সমগ্র শরীর থেকে লাভা বেরুচ্ছে
আর অসহ্য এক যন্ত্রণায় নিবদ্ধ থেকে দেখি -------
অন্ধকার ভেঙ্গে স্বলজ্জিত চোখে উঠে আসছে সূর্য -- , অথচ
আমি কিছুই দেখতে পাচ্ছি না !
পিতৃদেব বুঝে গেছে "অকাল কুস্মান্দু " পয়দা ভুল বশতঃ গ্রহের ফেরে !
আমি ও ঐ চোখের দিয়ে তাকাই না --- আঁধার নামে একসময় ,
আমি মা'কে খুঁজি শুধু ,
আমার মৃত্যু নেই ক্ষয় নেই ধ্বংস নেই লেখা চিত্রগুপ্তের খাতায় --
আমি মা'য়ের স্তন খুঁজি , আমাকে পুনরায় অমৃত দাও মা ---
রোগশয্যা
আর খানিকক্ষণ আলো রেখো জ্বালিয়ে ,
স্যালাইন বোতলে বিষ ঢুকিয়ে শেষ লড়াই ,
মৃত্যুতে নয় , যত ভয় ছিল জন্মে ; অষ্টাদশ দিবস
নামলো বোধহয় , সঞ্জয় আমি কিছু শুনছি না কেন ?
সচারচর নিষ্কর জমি নারী'কে ছিনিয়ে নিতে হয়
মরণের আগে , আর তর্জনীতে নাচিয়ে দিনকাল
অস্থাবর বাড়িয়ে কেবিনে দ্যাখো দিব্যি শীত ঘুমের
প্রস্তুতি ; ঘুম আসে ? ঘুম আসে না ?
মরণ
অহেতুক নয় বংশী , কারন আছে বলিষ্ঠ জোরালো এবার ;
অনেক বসন্তে ফলিয়ে ফসল সুখী নই ?
প্রেমে হারজিত মাপিনি বেলুনে তুলেছি নিজেকে অহরহ ,
পাইগণ্ডা ছারিনি শরিকে , সমগ্র মাঠে আমার ধর্মের
ফসল ফলিয়ে ক্লান্ত আমি ?
এখনো অনেক বাকি আছে , বীজতলা , জল সিঞ্চন ,
অগ্রহায়ণে ধানের গন্ধ নবান্নের সে সব রাতে ...
এক পাগলী
আমাকে পাগল করার আগেই .........
জন্ম
ভয় নেই আকাশে ভেসে থেকে ...
কতবার পৃথিবী ঘুরে গেল আমাকে পেছনে রেখে ...
বিশ্বাস ছিল জলের কাছে মাটির কাছে স্নেহ চুম্বনে'র কাছে
ফিরে আসে প্রিয়'রা এভাবেই ,
এক রোগ্ এক মৃত্যু এক হাহাকারে
ভুলেছি জন্ম
ভুলেছি মৃত্যু
ভুলেছি দেশ কাল পিতৃ পরিচয় ...
যত ক্ষেদ ক্ষোভ সন্তান চুম্বন স্বাদ ঠোটে নিয়ে
খোলস বদলে'র খেলা ----
সচারচর নিষ্কর জমি নারী'কে ছিনিয়ে নিতে হয়
মরণের আগে , আর তর্জনীতে নাচিয়ে দিনকাল
অস্থাবর বাড়িয়ে কেবিনে দ্যাখো দিব্যি শীত ঘুমের
প্রস্তুতি ; ঘুম আসে ? ঘুম আসে না ?
মরণ
অহেতুক নয় বংশী , কারন আছে বলিষ্ঠ জোরালো এবার ;
অনেক বসন্তে ফলিয়ে ফসল সুখী নই ?
প্রেমে হারজিত মাপিনি বেলুনে তুলেছি নিজেকে অহরহ ,
পাইগণ্ডা ছারিনি শরিকে , সমগ্র মাঠে আমার ধর্মের
ফসল ফলিয়ে ক্লান্ত আমি ?
এখনো অনেক বাকি আছে , বীজতলা , জল সিঞ্চন ,
অগ্রহায়ণে ধানের গন্ধ নবান্নের সে সব রাতে ...
এক পাগলী
আমাকে পাগল করার আগেই .........
জন্ম
ভয় নেই আকাশে ভেসে থেকে ...
কতবার পৃথিবী ঘুরে গেল আমাকে পেছনে রেখে ...
বিশ্বাস ছিল জলের কাছে মাটির কাছে স্নেহ চুম্বনে'র কাছে
ফিরে আসে প্রিয়'রা এভাবেই ,
এক রোগ্ এক মৃত্যু এক হাহাকারে
ভুলেছি জন্ম
ভুলেছি মৃত্যু
ভুলেছি দেশ কাল পিতৃ পরিচয় ...
যত ক্ষেদ ক্ষোভ সন্তান চুম্বন স্বাদ ঠোটে নিয়ে
খোলস বদলে'র খেলা ----
ইদানীং কিছু অদম্য ইচ্ছাশক্তির বিরুদ্ধে
মাথা নত হয়ে যায় অহরহ '
সে ভুল করলেও ধরিয়ে দেবার অনীহা --
সূর্য ডোবে পুনরায় ভেসে ওঠার অপেক্ষায় -
আমি ডুবে গেলেই অন্ধকারে
কবিতার খাতা খুঁজে পাই প্রেম !
দ্বিস্বত্বাধিকারী -----------
অন্তুনিহিত কিছু রূপান্তরে আমি কাঠখড়
পুরুষ ;এবার নারীর মর্যাদায় খুঁজে দ্যাখো ।
স্মরণাতীত কাল ধরে গর্ভ ভ্রূণে প্রজ্ঞান এঁকেছেন মাতৃছবি ,
উপেক্ষিত পুরুষের মাতৃযোগ । শরীর সংস্থাপনে'ই পূর্ণতা
গহ্বরে'র কোষের , অথচ আমরা ---
স্ফীত স্তন ব্যাতিরেখে মা ; আমাকে অক্ষম করেছো সৃষ্টিতে
বলেই কি অনুভূতি শক্তিহীন আফিম আসক্ত ভ্যাপা সন্ধ্যা শুধু
আমার মনন ! যে বীজ খেলা করে জঠরের প্রান্তদেশ হতে
মাঝমাঠ তিনশত দিন , তুমি শারীরিক অনুভাবক
মানবিক আমার হৃদ ।
অধিকার জুড়ে নিয়মে পাওনা নাড়ীর যোগ আর কিছু ব্যথা সম্বলের
অণুক্ষণ স্মৃতি তোমার , আর মধ্যস্ততাকারি আমার ভূমিকা !
যুগান্তধরে'ই সর্বশক্তিমানকে ডেকে'ই সৃষ্টির মধুময়তায়
রাঙিয়েছিলাম পঞ্জিকার রতিকাল মাধুরী অন্বেষণে ;
সমপাপে সম ভোগী , বিরাজিত সৃষ্টি সাম্যদিশার পথপ্রদর্শক ,
আমাদের সৃষ্টি গৌরবান্নিত করেছো তুমি
অধিকারে মা হয়নি বটে হৃদয় জুড়ে মা'কেই পাবে ।
"" আমি যদি ভুল হই বাবা'রাই বলতে পারবেন সঠিক কথা ''
গহ্বরে'র কোষের , অথচ আমরা ---
স্ফীত স্তন ব্যাতিরেখে মা ; আমাকে অক্ষম করেছো সৃষ্টিতে
বলেই কি অনুভূতি শক্তিহীন আফিম আসক্ত ভ্যাপা সন্ধ্যা শুধু
আমার মনন ! যে বীজ খেলা করে জঠরের প্রান্তদেশ হতে
মাঝমাঠ তিনশত দিন , তুমি শারীরিক অনুভাবক
মানবিক আমার হৃদ ।
অধিকার জুড়ে নিয়মে পাওনা নাড়ীর যোগ আর কিছু ব্যথা সম্বলের
অণুক্ষণ স্মৃতি তোমার , আর মধ্যস্ততাকারি আমার ভূমিকা !
যুগান্তধরে'ই সর্বশক্তিমানকে ডেকে'ই সৃষ্টির মধুময়তায়
রাঙিয়েছিলাম পঞ্জিকার রতিকাল মাধুরী অন্বেষণে ;
সমপাপে সম ভোগী , বিরাজিত সৃষ্টি সাম্যদিশার পথপ্রদর্শক ,
আমাদের সৃষ্টি গৌরবান্নিত করেছো তুমি
অধিকারে মা হয়নি বটে হৃদয় জুড়ে মা'কেই পাবে ।
"" আমি যদি ভুল হই বাবা'রাই বলতে পারবেন সঠিক কথা ''
নবকেতন
কেননা বিপর্যয় ঘটে গেছে বৃষ্টিতে , সমগ্র রাত
নিঃশব্দে বিপ্লব কবিতার খাতা জুড়ে ; বহুত
ইন্ধন ছিল এখানে বিলুপ্তি হবার ! মর'লেই উৎসব
পার্থিব - অপার্থিব সাম্রাজ্যে সমূহ উৎসাহে ।
কিছু জন্ম যেন বেঁচে থাকে ভোগের ছন্দ তরান্বিত
করা অবধি , ফিরে যাবার সময় বোঝেন জন্মটা
বৃথায় গেল চলে ; নিজের জন্য কিচ্ছু করা হ'ল না
অবশেষে !
এখানে চেনাজানা এত মানুষ , পথ , গন্তব্য , ইচ্ছাধীন
অনিচ্ছাধীন সুখী থাকার প্ররোচনা শিকড়বাকড়ের
সংগৃহীত অস্তিত্ব আর অখণ্ড একটা জীবন নিয়ে --
ওহে জীবন তবুও বৃষ্টিহীন ফসল পোড়া কান্না !
এখানে বিপর্যয় ঘটে যাচ্ছে রোজ রাতে স্বেচ্ছায় অনিচ্ছায় ;
মন্ত্রগুপ্তি পাঠরত সমগ্র প্রয়াসে এবার নবজাগরণ ,
বিষাদের দিনপাত শেষে অপরূপ সুস্থতায় রেখে গিয়ে জীবন
মরণের ঘরে'ই সৃষ্টির নবকেতন -- বার বার এখনও -----
কিছু জন্ম যেন বেঁচে থাকে ভোগের ছন্দ তরান্বিত
করা অবধি , ফিরে যাবার সময় বোঝেন জন্মটা
বৃথায় গেল চলে ; নিজের জন্য কিচ্ছু করা হ'ল না
অবশেষে !
এখানে চেনাজানা এত মানুষ , পথ , গন্তব্য , ইচ্ছাধীন
অনিচ্ছাধীন সুখী থাকার প্ররোচনা শিকড়বাকড়ের
সংগৃহীত অস্তিত্ব আর অখণ্ড একটা জীবন নিয়ে --
ওহে জীবন তবুও বৃষ্টিহীন ফসল পোড়া কান্না !
এখানে বিপর্যয় ঘটে যাচ্ছে রোজ রাতে স্বেচ্ছায় অনিচ্ছায় ;
মন্ত্রগুপ্তি পাঠরত সমগ্র প্রয়াসে এবার নবজাগরণ ,
বিষাদের দিনপাত শেষে অপরূপ সুস্থতায় রেখে গিয়ে জীবন
মরণের ঘরে'ই সৃষ্টির নবকেতন -- বার বার এখনও -----
লাল টকটকে আঙুর ফলের দিকেই
যুগপৎ বিষাদ দৃষ্টি ; সকলের প্রদত্ত
অঙ্গুলি হেলনে'র বিরুদ্ধে স্থির থাকতে
পারলে -- তুমি বলিষ্ঠ মেয়ে !
স্নান ঘর
নির্দ্বিধায় বলছি লুণ্ঠিত হতে এসেছি , তোমার স্নানঘরে !
অপারগতার সমস্ত বিভ্রাম কাটিয়ে স্নান কল্পে
এবার নিঃস্ব , বেলা ফিরেছে ঘরে আর অবগাহনের
এই সমাপ্তিপর্বে তালুতে রাখবো এবার ভবিষ্যৎ !
প্রত্যহিক তোমার দুঃসাহসী দৃষ্টিক্ষেপণে এক একটা অঙ্গ হনন ,
কিম্বা হৃদয়ের লাল কার্পেট পেতে যার প্রতীক্ষায়
তার ফিরবার ইচ্ছাশক্তি থাক তোমার মনে ,
শালিকের ডানায় যে ক্ষণিকের বৃষ্টি'র অনুতাপ লাগে ---
এসো আমারাও সর্বশেষ অনুতাপে দগ্ধ হই
বলবো না আমি বিদেহী আত্মার অনুরোধে হৃদয় কেটেছি ,
ছিন্ন করেছি সমগ্র অস্তিত্বের নেশাতুর বন্ধন এই মাঘে ,
আমি তো সেই পুরুষ , যার কামনার রঙ্গে রাঙ্গা হয় বনস্পতি
বৃক্ষের ফল গড়ে ওঠে ফসলের সুমহান ঐতিহ্য ;
আর দ্যাখো , আমার অক্ষত বুকে সমস্ত নদীর ঢেউ
ভুলে যায় তারা জীবনের গতিপথ , ভালোবেসে ;
শোন প্রথম অনুরাগ , আমি প্রসিদ্ধ হয়েছি অনন্তে --
রাত্রির বুকে লেখা আছে আমার চর পরিচয় ;
জীবনের বহিঃমূলে যতখানি সম্মুখের ঘরোয়া পরিচয়ে পরিচিত
আর চেয়ে ঢের বেশী লুক্কায়িত চাঁদের গহ্বরে'র মত
বস্তুত দৃশ্যিত বাস্তবে এক স্বপ্ন সাগর ;
ভুলে গেছো তুমি , সমস্ত সমুদ্র পথ ঈশানের মেঘ রক্তিম
হলে পরে - আমি পুরুষ ; বাহুবলী অধিকারে নারীয়ে পেয়েছি যতো
তার থেকেও অনেক বেশিবার বিলীন হয়েছে সৃষ্টি বুকে
ভালোবেসে - নিজেকে পুড়াতে ভালবেসে !
আজ নির্দ্বিধায় বলছি -- পৃথিবীর সমস্ত লোকাচারে আমার অনন্ত রূপ
যে পেয়েছে সে ভুলেছে সব অধিকার ---
সপাট বন্ধ করে দ্যাখো স্নান ঘরের দরজা , -- দ্যাখো দ্যাখ ---
তুমি সত্যি বল
তোমার সিক্ত অঙ্গে আমার অঙ্গের অনুভব -- সত্যি বল আজ !
প্রত্যহিক তোমার দুঃসাহসী দৃষ্টিক্ষেপণে এক একটা অঙ্গ হনন ,
কিম্বা হৃদয়ের লাল কার্পেট পেতে যার প্রতীক্ষায়
তার ফিরবার ইচ্ছাশক্তি থাক তোমার মনে ,
শালিকের ডানায় যে ক্ষণিকের বৃষ্টি'র অনুতাপ লাগে ---
এসো আমারাও সর্বশেষ অনুতাপে দগ্ধ হই
বলবো না আমি বিদেহী আত্মার অনুরোধে হৃদয় কেটেছি ,
ছিন্ন করেছি সমগ্র অস্তিত্বের নেশাতুর বন্ধন এই মাঘে ,
আমি তো সেই পুরুষ , যার কামনার রঙ্গে রাঙ্গা হয় বনস্পতি
বৃক্ষের ফল গড়ে ওঠে ফসলের সুমহান ঐতিহ্য ;
আর দ্যাখো , আমার অক্ষত বুকে সমস্ত নদীর ঢেউ
ভুলে যায় তারা জীবনের গতিপথ , ভালোবেসে ;
শোন প্রথম অনুরাগ , আমি প্রসিদ্ধ হয়েছি অনন্তে --
রাত্রির বুকে লেখা আছে আমার চর পরিচয় ;
জীবনের বহিঃমূলে যতখানি সম্মুখের ঘরোয়া পরিচয়ে পরিচিত
আর চেয়ে ঢের বেশী লুক্কায়িত চাঁদের গহ্বরে'র মত
বস্তুত দৃশ্যিত বাস্তবে এক স্বপ্ন সাগর ;
ভুলে গেছো তুমি , সমস্ত সমুদ্র পথ ঈশানের মেঘ রক্তিম
হলে পরে - আমি পুরুষ ; বাহুবলী অধিকারে নারীয়ে পেয়েছি যতো
তার থেকেও অনেক বেশিবার বিলীন হয়েছে সৃষ্টি বুকে
ভালোবেসে - নিজেকে পুড়াতে ভালবেসে !
আজ নির্দ্বিধায় বলছি -- পৃথিবীর সমস্ত লোকাচারে আমার অনন্ত রূপ
যে পেয়েছে সে ভুলেছে সব অধিকার ---
সপাট বন্ধ করে দ্যাখো স্নান ঘরের দরজা , -- দ্যাখো দ্যাখ ---
তুমি সত্যি বল
তোমার সিক্ত অঙ্গে আমার অঙ্গের অনুভব -- সত্যি বল আজ !
বৃষ্টি'তে শুয়ে আছি ফসলের বুকে
এখনও বুঝিনি কারে ঠিক ভালোবাসা বলে
আর্ত ঠোঁটের কোন অভিমুখে ভালোবাসা ঝরে পরে ;
চিৎ হয়ে শুয়ে থেকে দিগম্বরী ধানের গুচ্ছের মাঝে
কত হাওয়া চুপিসারে কঙ্কণ বাঁজায় মনে ;
মুহূর্তরা এসে হঠাৎ বাড়িয়ে দিয়েছে কিছু নাম ,
আমিও চোখ বন্ধ করে ফেলি কান পেতে পাতালের
শ্বাস শুনি ; মনে রাখিনি ছেড়া চপ্পলের গতিপথ ,
মনেও রাখিনি কোন দাবীদাওয়া , তবুও র্মোহি
অহংকারে জেগে ওঠে পিছুটান !
সেবার বৃষ্টি আসে মাঠকে মাঠ আমনের ক্ষেত জুড়ে ,
সমস্ত দুঃস্মৃতিকে ভুলে বৃষ্টিতে ফসলের সংসার --
বুঝিনি এখনও কাকে বৃষ্টি বলে কাকে ভালোবাসা
মুহূর্তরা এসে হঠাৎ বাড়িয়ে দিয়েছে কিছু নাম ,
আমিও চোখ বন্ধ করে ফেলি কান পেতে পাতালের
শ্বাস শুনি ; মনে রাখিনি ছেড়া চপ্পলের গতিপথ ,
মনেও রাখিনি কোন দাবীদাওয়া , তবুও র্মোহি
অহংকারে জেগে ওঠে পিছুটান !
সেবার বৃষ্টি আসে মাঠকে মাঠ আমনের ক্ষেত জুড়ে ,
সমস্ত দুঃস্মৃতিকে ভুলে বৃষ্টিতে ফসলের সংসার --
বুঝিনি এখনও কাকে বৃষ্টি বলে কাকে ভালোবাসা
ব্যক্তিগত
আমাকে আস্কারা দিও না তুমি ---
সব জটিল সমীকরণ -- তারপর মনস্তাপ
পুনশ্চঃ উদ্গিরন সঙ্ঘবদ্ধ ভয়ঙ্কর অতীত
খণ্ডকৃত দুপুর নূপুর ঝঙ্কার !
তার চেয়ে তস্কর থাকি , তস্কর থাকি লাবণ্যর --
সুমহান রাত্রের ,
নিষিদ্ধ হয়ে গেলেও আমার কাছে আমি
সেই চোখ , সেই চোখ খুলে রেখো তুমি , আমিও
সর্ষে পোকা হয়ে যদি না কাঁদিয়ে দিতে পারি ---
খুলে রেখো চোখ তুমি !
অসম্ভব জ্বলে গেছে ,
জ্বলে গেছে অস্থি মজ্জা সুসম্নাকাণ্ডময় ভাতের থালা ,
আর এগিয় না ;
নাছোড়বান্দা জেদ ছাড়ো , অশরীরীর পূর্বজন্ম নেই -
মৃত্যু নেই ,
শুধুই পাণ্ডুলিপি'তে
লিপিবদ্ধ আমিত্ব তুমিত্ব আর ব্যক্তিগত সরল স্বীকারোক্তি ;
আর কোন প্রেমের বৃষ্টি নয় আকাশে ---
এখন শুধু জোঁকের মত রক্ত চুষে নাও ব্যক্তিগত
তার চেয়ে তস্কর থাকি , তস্কর থাকি লাবণ্যর --
সুমহান রাত্রের ,
নিষিদ্ধ হয়ে গেলেও আমার কাছে আমি
সেই চোখ , সেই চোখ খুলে রেখো তুমি , আমিও
সর্ষে পোকা হয়ে যদি না কাঁদিয়ে দিতে পারি ---
খুলে রেখো চোখ তুমি !
অসম্ভব জ্বলে গেছে ,
জ্বলে গেছে অস্থি মজ্জা সুসম্নাকাণ্ডময় ভাতের থালা ,
আর এগিয় না ;
নাছোড়বান্দা জেদ ছাড়ো , অশরীরীর পূর্বজন্ম নেই -
মৃত্যু নেই ,
শুধুই পাণ্ডুলিপি'তে
লিপিবদ্ধ আমিত্ব তুমিত্ব আর ব্যক্তিগত সরল স্বীকারোক্তি ;
আর কোন প্রেমের বৃষ্টি নয় আকাশে ---
এখন শুধু জোঁকের মত রক্ত চুষে নাও ব্যক্তিগত
এখানে বৃষ্টি নেমেছিল
অশেষ বৃষ্টিতে ভিজে গ্যাছে রাজপথ গুমটি চিলেকোঠা ,
হাঁসের ডানায় প্রতিফলিত রোদের মত এবার সরেছে
বৃষ্টি, অতিসত্বর । আমিও নাছোড় এক , উলঙ্গ শিশুর
মত কেঁদে কেঁদে বলি দুধ দাও , দূরত্ব বারা ছায়ায় মুখ
খুঁজি পরিচিতের , আর কুড়োতে থাকি ধুলো বালি --
যদি এই পথে আলস্যে ভেঙ্গে উঠে আসে কোন পরী ---
তাকে আমি চিনি , চিনতাম যখনি জখম হৃদয় !
গভীর কোন তৃষ্ণা নয় - কুকুরের অভ্যাস বশতঃ লালা
ঝরানোর মত এক সর্বভুক ক্ষুধা হতাশ করে দেয় , ক্লান্ত
করে দিলে অস্তিত্বের বন্ধন , মর্মছেঁড়া সেই একই ডাক ।
অথচ সম্মুখে শীতল জলের কুঁজো আর সেই বোকা কাকের
মত হা-পিত্যেস ---
আর সমস্ত বিমূঢ় চেতনার অন্তঃমূলে প্রসিদ্ধ সেই উপেক্ষা
অনন্তের যাত্রিকের মত সরাইখানার অপেক্ষায় !
খুঁজি পরিচিতের , আর কুড়োতে থাকি ধুলো বালি --
যদি এই পথে আলস্যে ভেঙ্গে উঠে আসে কোন পরী ---
তাকে আমি চিনি , চিনতাম যখনি জখম হৃদয় !
গভীর কোন তৃষ্ণা নয় - কুকুরের অভ্যাস বশতঃ লালা
ঝরানোর মত এক সর্বভুক ক্ষুধা হতাশ করে দেয় , ক্লান্ত
করে দিলে অস্তিত্বের বন্ধন , মর্মছেঁড়া সেই একই ডাক ।
অথচ সম্মুখে শীতল জলের কুঁজো আর সেই বোকা কাকের
মত হা-পিত্যেস ---
আর সমস্ত বিমূঢ় চেতনার অন্তঃমূলে প্রসিদ্ধ সেই উপেক্ষা
অনন্তের যাত্রিকের মত সরাইখানার অপেক্ষায় !
পরিনতি
অবশ্যম্ভাবী এক যুগ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে যাবে
সমস্ত গাড়ি , নেই হুইচাল সতর্ক রেফারী ,
বৈপরীত্য নিয়ে তবুও কিছু জন্ম কারুর মার্জিত হস্তক্ষেপে
খুঁজে পাবে পথ , হাত বদল হয়ে যাবে জন্ম- মৃত্যু ।
অদ্ভুত খড়ি'র রসস্যঘেরা গোপনতায় লুকিয়ে আছে জীবন
ফাঁকি দেবে বলে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠানের উদ্ধত্য ;
তবুও পৌঁছে যায় সে সমগ্র নিজস্ব সম্পর্কের বেড়া'র বন্ধন
ছিন্ন করে অসম্ভব নিস্তব্ধতায় ।
সকল জীবন সূর্যের পথে স্থির থাকে গভীর আত্মানুসন্ধানে ,
মারীচের অনুকল্পে এসে দাঁড়ায় সময়ের দাবী , তখন
বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণের বোর্ড পোরে থাকে চৌকাঠের
ওপাশে - এপাশে খোলা হাওয়া রঙ্গমঞ্চ
রঙ্গিন রাত -- রাত পরীদের সম্মোহন ! এবার
দাঁড়িয়ে আছে লাইনে , আগুন্তি আগুনের ফুলকি , আকাশে
কখনও মানুষ পোড়া গন্ধ -- কখনও অপরিচিত পশুর !
অদ্ভুত খড়ি'র রসস্যঘেরা গোপনতায় লুকিয়ে আছে জীবন
ফাঁকি দেবে বলে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠানের উদ্ধত্য ;
তবুও পৌঁছে যায় সে সমগ্র নিজস্ব সম্পর্কের বেড়া'র বন্ধন
ছিন্ন করে অসম্ভব নিস্তব্ধতায় ।
সকল জীবন সূর্যের পথে স্থির থাকে গভীর আত্মানুসন্ধানে ,
মারীচের অনুকল্পে এসে দাঁড়ায় সময়ের দাবী , তখন
বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণের বোর্ড পোরে থাকে চৌকাঠের
ওপাশে - এপাশে খোলা হাওয়া রঙ্গমঞ্চ
রঙ্গিন রাত -- রাত পরীদের সম্মোহন ! এবার
দাঁড়িয়ে আছে লাইনে , আগুন্তি আগুনের ফুলকি , আকাশে
কখনও মানুষ পোড়া গন্ধ -- কখনও অপরিচিত পশুর !
দশটি বছর
বাবা , তুমি যাবার প'রে পৃথিবী দশবার
সূর্যের পেছনে ঘুরেছে , দশবার শ্রাবণ এসে
করেছে মাতম , দু'ইবার এর ফাঁকে রাজা
বদলেছি আমরা --- কিন্তু
তোমাকে জিজ্ঞাস করলেই হয়তো বলবে
" এই তো সেদিনের কথা , মা "
এর ফাঁকে মশকের কতশত জন্ম গেছে
মংলি পাঁচবার জন্ম দিয়েছে তিনটে বকনা দু'টো এঁড়ে ,
পাতা খসিয়ে গাছে'রাও ভুলেছে পূর্বজন্মের স্মৃতি
মা'য়ের শান্তিপুরী শাড়ি আলমারিতে গন্ধ নিচ্ছে
বড়'দির বড় ছেলেটা ক্লাস টু এ পড়ে, তোমার
ছবি দেখে নমস্কার শিখেছে
তোমাকে জিজ্ঞাস করলেই হয়তো বলবে
" হে হে হে - এ আর ক'দিনের , মা "
তুমি যাবার সময় যারা গর্ভে সৃষ্টির পূর্ণতার দিকে ছিল
তারা আজ এক একটা দস্যু ,
আমাদের ঘরের পাশে যে বিচিত্র রঙের বাগান ছিল
শুধু তারাই চাঁদের মত স্থির , বাড়েনি একটুও ,
আমাদের গ্রাম জেগেছে - কাঁদা নেই আর
মোবাইল টাওয়ারে পৃথিবী নিবদ্ধ করেছি
পার্কে পার্কে
খুলে গেছে শৈশব , জানি তোমাকে জিজ্ঞাস করলেই বলবে
" এই তো কটা দিন মাত্র , মা "
বাবা ,
তুমি যাবার পর আর তুমি নেই এখানে ,
তোমার অগোচরে সৃষ্টির সুমহান ঐতিহ্য ভয়ঙ্কর বদলে দিয়েছে
রুটি'র গড়ন ,
প্রত্যেকটা অনুক্ষণে বদলেছে পৃথিবীর মানচিত্র
তুমি বলবে " এই তো ক'দিন --- "
আমি জানি হারিয়েছি জীবনের দশটি বছর নয় একটা যুগ ----
তোমাকে জিজ্ঞাস করলেই হয়তো বলবে
" এই তো সেদিনের কথা , মা "
এর ফাঁকে মশকের কতশত জন্ম গেছে
মংলি পাঁচবার জন্ম দিয়েছে তিনটে বকনা দু'টো এঁড়ে ,
পাতা খসিয়ে গাছে'রাও ভুলেছে পূর্বজন্মের স্মৃতি
মা'য়ের শান্তিপুরী শাড়ি আলমারিতে গন্ধ নিচ্ছে
বড়'দির বড় ছেলেটা ক্লাস টু এ পড়ে, তোমার
ছবি দেখে নমস্কার শিখেছে
তোমাকে জিজ্ঞাস করলেই হয়তো বলবে
" হে হে হে - এ আর ক'দিনের , মা "
তুমি যাবার সময় যারা গর্ভে সৃষ্টির পূর্ণতার দিকে ছিল
তারা আজ এক একটা দস্যু ,
আমাদের ঘরের পাশে যে বিচিত্র রঙের বাগান ছিল
শুধু তারাই চাঁদের মত স্থির , বাড়েনি একটুও ,
আমাদের গ্রাম জেগেছে - কাঁদা নেই আর
মোবাইল টাওয়ারে পৃথিবী নিবদ্ধ করেছি
পার্কে পার্কে
খুলে গেছে শৈশব , জানি তোমাকে জিজ্ঞাস করলেই বলবে
" এই তো কটা দিন মাত্র , মা "
বাবা ,
তুমি যাবার পর আর তুমি নেই এখানে ,
তোমার অগোচরে সৃষ্টির সুমহান ঐতিহ্য ভয়ঙ্কর বদলে দিয়েছে
রুটি'র গড়ন ,
প্রত্যেকটা অনুক্ষণে বদলেছে পৃথিবীর মানচিত্র
তুমি বলবে " এই তো ক'দিন --- "
আমি জানি হারিয়েছি জীবনের দশটি বছর নয় একটা যুগ ----
অফুরন্ত কান্না দিয়ে যায় কারা এখানে ?
গোলার স্বপ্ন দেখিয়ে কারা কেটে নিয়ে যায় মাঠের ধান ?
শ্মশান কাঠে লেগে থাকা জল কোন ভালোবাসার কথা বলে ?
একদিন নিভৃতে যোজন যোজন ব্যাপী শূন্যতা --
অসীম নৈশলোকে সৃষ্টির মার্জিত নব নব সংস্করণ , অথচ
জন্মের দৈন্যতায় জীবনের ক্রিয়াভূমি মৃত্যুর অসামাজিক
কার্যকলাপে দিনলিপি সত্যর !
জন্মের দৈন্যতায় জীবনের ক্রিয়াভূমি মৃত্যুর অসামাজিক
কার্যকলাপে দিনলিপি সত্যর !
নির্মল প্রত্যয়ে
জীবনের রংঘর বুঝিনি আমি , যে শিশু এসেছে আজ
কোমল আলোর স্বাদ ভালবেসে এক অপূর্ব মাতৃ মহিমায়
প্রেম নাম নিয়ে , তাকে ছেড়ে দিয়েছি এই আকাশ !
যৎসামান্য এই জীবনের উপর অনন্ত অখণ্ড আকাশ
ব্যাপ্তিতে নির্বাণ সুনীলে বিধৌত আত্মগরিমা , প্রখর এই
সংযমী বোধ আমাদের আকৃষ্ট করে, আর যুগ যুগ ধরে
প্রাগৈতিহাসিক পূর্বপুরুষ অগ্রসর হতে বলেন জীবনের দিকে !
সমস্ত চেষ্টার ফসল আমাদেরই আয়ত্তাধীন , অধরা জ্যোৎস্না
হোক সেও সিংহের মত কেশর নাড়াতে জানে রাতের বুকে ,
আমাদের উদগ্রীব করে দিলে প্রশান্ত এক প্রশস্তি হৃদয়
অবধি পথ করে দেয় , আমারও মুষ্টিবদ্ধ হাতে রাতের বিছানায়
ধরে রেখে সমস্ত অনন্ত প্রত্যাশা , আকাশেই কান পেতে রই !
এই সব অভিজ্ঞতা আমাদের রক্তে , প্রত্যয়ের মহা সংগ্রামী
জীবনে , সমস্ত ভাস্বর অনুভব সীমান্ত সৈনিকের মত জেগে
আছে হৃদয়ের সীমান্তে , অনুভব সর্বদা লবণাক্ত নয় !
ব্যাপ্তিতে নির্বাণ সুনীলে বিধৌত আত্মগরিমা , প্রখর এই
সংযমী বোধ আমাদের আকৃষ্ট করে, আর যুগ যুগ ধরে
প্রাগৈতিহাসিক পূর্বপুরুষ অগ্রসর হতে বলেন জীবনের দিকে !
সমস্ত চেষ্টার ফসল আমাদেরই আয়ত্তাধীন , অধরা জ্যোৎস্না
হোক সেও সিংহের মত কেশর নাড়াতে জানে রাতের বুকে ,
আমাদের উদগ্রীব করে দিলে প্রশান্ত এক প্রশস্তি হৃদয়
অবধি পথ করে দেয় , আমারও মুষ্টিবদ্ধ হাতে রাতের বিছানায়
ধরে রেখে সমস্ত অনন্ত প্রত্যাশা , আকাশেই কান পেতে রই !
এই সব অভিজ্ঞতা আমাদের রক্তে , প্রত্যয়ের মহা সংগ্রামী
জীবনে , সমস্ত ভাস্বর অনুভব সীমান্ত সৈনিকের মত জেগে
আছে হৃদয়ের সীমান্তে , অনুভব সর্বদা লবণাক্ত নয় !
এখনও কর্ণরা --------
নদী গর্ভে প্রথম উচ্চারিত হল আমার নাম ?
তুমি ভুল বলবে ? নদীই আমার মা !
আমার কোন গর্ভধারিণী মা নেই ,
অগুন্তি সন্তান খেয়ে ফেলেছেন সমস্ত মা ,
আমার কোন পিতা নেই ,
সমস্ত হিংস্র প্রস্তাবে থেকেছে তারই নিরব সম্মতি !
দিব্যজ্যোতি , তুমি বিশ্বাস করবে না , জানি ,
বল তুমি এই কি বাবা-মায়ের দায়বদ্ধতা ?
এই কি ঈশ্বরের নির্দেশিত পথের দিশা ?
আমি তো মরেই যেতাম
মরেই গিয়েছি কবে পরিচয়হীন জঞ্জালে !
নদী কূলে বসে জীবনের রহস্য খুঁজেছি আমি , নিষাদে'র
পরিচয়ে পরিচিত ঈশ্বর হোক অথবা তার সন্তান !
এখানেই শত পাগলের জন্ম
হাজার লক্ষ কোটি কীটপতঙ্গ পশু কিছু ধর্ষক
আত্মস্থ করে শরীরের যাদু---
যারা এলাম ঈশ্বরের ক্রিয়া ভূমি ছেড়ে
ভালোবেসে বেসে রক্ত ঘাম জঠরের উষ্ণতা'কে
তারা তো চলার পথে সঙ্কল্পে ছিল ধির স্থির স্থিরকল্প --
তাদের কি দোষ বল , বল দিব্যজ্যোতি ---
তুইও অনাথ দিব্যজ্যোতি , মুখোশ খুলে দ্যাখ --
দ্যাখ মুখোশ খুলে সম্পর্কের ফানুসে সময় , তোর
মৃত্যুতেও থামবে না ইউরেটাসের লিলা
রসালো ফল দেবে সুগন্ধি ফুল
তুই শুধু ডোমের পেট ভরাবি !
যে আমাকে পাঠাল , নির্বাক জন্ম দিল অনন্তবার , তাকে সেলাম !
যে আমাকে দিয়ে গেল এই উপাঙ্গ প্রদাহ , তাকে সেলাম !
যে আমার দেবীর মুখে বসিয়ে দিলো মায়ের মুখোশ , তাকে প্রনাম !
যে আমাকে স্বাধীনতা দিল , প্রত্যয়ে রেখে গেলো ঝরা অনুভব , তাকে নমস্কার !
হে আমার চিরাকাঙ্ক্ষিত সৃষ্ট্ যে শরীরে একটা মন দিয়ে গেল -- তাকে যুদ্ধের হুংকার !
আমার কোন পিতা নেই ,
সমস্ত হিংস্র প্রস্তাবে থেকেছে তারই নিরব সম্মতি !
দিব্যজ্যোতি , তুমি বিশ্বাস করবে না , জানি ,
বল তুমি এই কি বাবা-মায়ের দায়বদ্ধতা ?
এই কি ঈশ্বরের নির্দেশিত পথের দিশা ?
আমি তো মরেই যেতাম
মরেই গিয়েছি কবে পরিচয়হীন জঞ্জালে !
নদী কূলে বসে জীবনের রহস্য খুঁজেছি আমি , নিষাদে'র
পরিচয়ে পরিচিত ঈশ্বর হোক অথবা তার সন্তান !
এখানেই শত পাগলের জন্ম
হাজার লক্ষ কোটি কীটপতঙ্গ পশু কিছু ধর্ষক
আত্মস্থ করে শরীরের যাদু---
যারা এলাম ঈশ্বরের ক্রিয়া ভূমি ছেড়ে
ভালোবেসে বেসে রক্ত ঘাম জঠরের উষ্ণতা'কে
তারা তো চলার পথে সঙ্কল্পে ছিল ধির স্থির স্থিরকল্প --
তাদের কি দোষ বল , বল দিব্যজ্যোতি ---
তুইও অনাথ দিব্যজ্যোতি , মুখোশ খুলে দ্যাখ --
দ্যাখ মুখোশ খুলে সম্পর্কের ফানুসে সময় , তোর
মৃত্যুতেও থামবে না ইউরেটাসের লিলা
রসালো ফল দেবে সুগন্ধি ফুল
তুই শুধু ডোমের পেট ভরাবি !
যে আমাকে পাঠাল , নির্বাক জন্ম দিল অনন্তবার , তাকে সেলাম !
যে আমাকে দিয়ে গেল এই উপাঙ্গ প্রদাহ , তাকে সেলাম !
যে আমার দেবীর মুখে বসিয়ে দিলো মায়ের মুখোশ , তাকে প্রনাম !
যে আমাকে স্বাধীনতা দিল , প্রত্যয়ে রেখে গেলো ঝরা অনুভব , তাকে নমস্কার !
হে আমার চিরাকাঙ্ক্ষিত সৃষ্ট্ যে শরীরে একটা মন দিয়ে গেল -- তাকে যুদ্ধের হুংকার !
অর্ধ মৃত
পারতো আলিঙ্গন করে নাও ভালোবাসা , অনেক
পুড়েছি ; রাজী আছি শিকার হতে , দেখে নিও শুধু
তৃণে যেন না থাকে পুরনো রক্ত !
একবার ধুলিজন্ম , এক পতন , এক স্রোতে
প্রবাহিত ধারা ধরে ভণ্ড জোঁক
ছারবেনা আধিকার সে ......
পারতো উষ্ণতা দিয়ে লুকিয়ে রেখো !
তবে তাই হোক ! আসমান জমিন ফারাক আমার সঙ্গে আমার
শরীর কতখানি শরীরের
মেধ চাবকে তুলে মাষ
দ্যাখ ভেতরে থরে থরে হেমলক রস ...
তাই
নিমজ্জিত জগত আমার , আমি নিজেই প্রজা নিজেই অধীশ্বর !
তবে ভুলিনি কেন এখনো ? তোমার ধাতু দিয়ে আমার ভবিষ্যৎ !
ওরে মরণ , শান্তি নাই ......
অর্ধ মৃত
জীবনের থেকে ভয়ংকর !
প্রবাহিত ধারা ধরে ভণ্ড জোঁক
ছারবেনা আধিকার সে ......
পারতো উষ্ণতা দিয়ে লুকিয়ে রেখো !
তবে তাই হোক ! আসমান জমিন ফারাক আমার সঙ্গে আমার
শরীর কতখানি শরীরের
মেধ চাবকে তুলে মাষ
দ্যাখ ভেতরে থরে থরে হেমলক রস ...
তাই
নিমজ্জিত জগত আমার , আমি নিজেই প্রজা নিজেই অধীশ্বর !
তবে ভুলিনি কেন এখনো ? তোমার ধাতু দিয়ে আমার ভবিষ্যৎ !
ওরে মরণ , শান্তি নাই ......
অর্ধ মৃত
জীবনের থেকে ভয়ংকর !
ঃঃঃঃঃঃঃ
মন , মন যখন শরীরের দিকে ঝোঁকে
চেতনা যখন অন্ধ দৃষ্টি'র মোহে
আকাশে যখন লেগে আছে অতৃপ্তির নেশা
আমি বুঝি রোগ হয়েছে তোমরা ভাবো প্রেম !
বাঁক নিয়েছে আমার শরীরের রেখা
অগ্রে পশ্চাৎ পরে রয়েছে ঐশ্বরিক অনুভব
রক্তে রঙ্গিন দিন এসেছে শরীর এবং মনে
বৃষ্টি গন্ধ স্নান ঘরে দিনে রাতে পায়ের চিহ্ন বাড়ে !
রুচিহীন সব একাকী নিঃস্বতা লাগে বড় ভালো
বুকের মাঝে সর্বক্ষণ হাজার জলের শব্দ
চুলের বাঁধন এতকাল খোলাই পরে ছিল
এখন করবী খোঁপা নিত্যসঙ্গী মনে মেয়ে মেয়ে গন্ধ !
বাঁক নিয়েছে আমার শরীরের রেখা
অগ্রে পশ্চাৎ পরে রয়েছে ঐশ্বরিক অনুভব
রক্তে রঙ্গিন দিন এসেছে শরীর এবং মনে
বৃষ্টি গন্ধ স্নান ঘরে দিনে রাতে পায়ের চিহ্ন বাড়ে !
রুচিহীন সব একাকী নিঃস্বতা লাগে বড় ভালো
বুকের মাঝে সর্বক্ষণ হাজার জলের শব্দ
চুলের বাঁধন এতকাল খোলাই পরে ছিল
এখন করবী খোঁপা নিত্যসঙ্গী মনে মেয়ে মেয়ে গন্ধ !
সৃষ্টি করেন মানুষ কিছু মূর্তি
তাতে চক্ষুদান আর নিজের মননের দ্রবণ মিশলে
রূপ রস চিন্তন নিয়ে একটা মূর্তি হেসে ওঠেন
বলেন আমি "তোমাদের লোক "
নাস্তিক বলেন ঈশ্বর নেই , আমিও বলি নেই -- বলি ,
নাস্তিককে একবার মূর্তি গড়ে দ্যাখো
তুমিও জানো -- তোমার চেতনায়
এক টুকরো কাঠও ঈশ্বর হতে পারেন !
নাস্তিককে একবার মূর্তি গড়ে দ্যাখো
তুমিও জানো -- তোমার চেতনায়
এক টুকরো কাঠও ঈশ্বর হতে পারেন !
আমার কোন দেশ নেই
নেই জাতী ধর্ম ধর্মাগুণ ;
একটা খাতা একটা কলম পেলে
প্রতিটি অক্ষরে একটা দেশ গড়ি ,
এক পৃষ্ঠায় ধর্ম রাখি
দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় নিজে ধর্ম কথা তৈরি করি !
বৃষ্টির গান
আমাকে বাদ দিয়েও এমন বেহায়া বৃষ্টি হয়
তিলোত্তমায় , কাকে দ্যাখাও তুমি দেহপল্লবী,
স্নাত শরীর হতে বিন্ধু বিন্ধু জল,ওহে মুছে ফেল-
কাকে দেখাচ্ছ তুমি আগুনের লোভ !
এবার ভিজে নাও তোমার শেষ প্রণয়ে ,জলে স্থলে
অন্তরীক্ষে এসেছে তারই দিন , ধুধু পিচ রাস্তা ধরে
ভ্রম মরীচিকা টায়ার পোড়া গন্ধ- শুধুই রোদনের
দিন ভুলে ভিজিয়ে দাও নিয়ন বাতি হোক হাতে টানা
রিক্স , পাগলা মাতাল হোক বনেয়াদি মিনার ।
ভিজিয়ে দাও তুমি শরীরে মননে দহনে , এই বৃষ্টি
তুমি কাকে দ্যাখাচ্ছ ভয় ! কার হৃদয় ক্ষতে তোমার
প্রলেপ ! সোজা সোজা বাইপাস ধরে কীর্তিনাশা বৃষ্টি
আরো এগিয়ে যাও আমনের ক্ষেতে --
দ্যাখ , তিলোত্তমার চেয়েও কোন সুন্দর তিলত্তমা বঁধু
প্রতিক্ষিয়া দাওয়ায় আর বাখারিতে বাঁধা আছে সোনালী
স্বর্ণের উপঢৌকন ; যদি পারো তো বৃষ্টির ইতিহাস হও
সম ভালোবেসে - সৃষ্টির তিলোত্তমায় !
এবার ভিজে নাও তোমার শেষ প্রণয়ে ,জলে স্থলে
অন্তরীক্ষে এসেছে তারই দিন , ধুধু পিচ রাস্তা ধরে
ভ্রম মরীচিকা টায়ার পোড়া গন্ধ- শুধুই রোদনের
দিন ভুলে ভিজিয়ে দাও নিয়ন বাতি হোক হাতে টানা
রিক্স , পাগলা মাতাল হোক বনেয়াদি মিনার ।
ভিজিয়ে দাও তুমি শরীরে মননে দহনে , এই বৃষ্টি
তুমি কাকে দ্যাখাচ্ছ ভয় ! কার হৃদয় ক্ষতে তোমার
প্রলেপ ! সোজা সোজা বাইপাস ধরে কীর্তিনাশা বৃষ্টি
আরো এগিয়ে যাও আমনের ক্ষেতে --
দ্যাখ , তিলোত্তমার চেয়েও কোন সুন্দর তিলত্তমা বঁধু
প্রতিক্ষিয়া দাওয়ায় আর বাখারিতে বাঁধা আছে সোনালী
স্বর্ণের উপঢৌকন ; যদি পারো তো বৃষ্টির ইতিহাস হও
সম ভালোবেসে - সৃষ্টির তিলোত্তমায় !
রংঘর
জলের বৈধ-অবৈধ প্রকারভেদে ছিনিয়ে নিয়ে প্রাণ
পয়ন্ত এক অট্টহাসি হৃদয়ের ; ক'জন বা
দুঃখকে বলে যা ঘুরে আয় হাসি পাহাড়
এখন যে অনেক কাজ বাকি । ধূধূ প্রান্তসীমা
ঘিরে সেই তো রোদের নৃত্য , লু , বালিয়াড়ি
শুকনো পাহাড়ে'র খাদে বসতঘর আজীবন
নিঙরে রক্ত কালঘাম , হাস্যবিশারদ ক্যাবারে
শোক নেই তাপ নেই , পিস্টনে চাপ বাড়ে ঘূর্ণন
শুধুই চাকা ... ঘোরে তেল রাস্তায় ... কি জানি
এই রাস্তায় কিছু ঘর ছিল একসময় এখন শূন্যতায় !
গ্রাম ঘর বসত দূরে নিথর শামুক ; প্রাচীন বিদ্যায়
মুলিবাঁশে পেরেকের আন্দোলন
সবকিছু কি ভুলিয়ে দেয় সময় ?
ক'জন ই বা বোঝেন আত্মচরিতে জল বাহক চোখ
শুধু আমার নয় , সেই হিমাংশু পট্টনায়ক কাদের মিয়া
অরুন্ধুতি সেন যেভাবে ছবি এঁকেছিলেন হৃদয়ে
আমারটাও ততোখানি ......... কিম্বা নয় !
ঘর গুলোই থেকে যায় শুধু দুর্দিনেও অসহয়তার প্রতীক হয়ে ......
আমিও অন্যঘরে রঙ মাখিয়ে
বুরুশে তুলে রঙ তৃতীয় চতুর্থ পঞ্চম ঘরের নিবিড় খোঁজে ...
যদি পেয়ে যায় অবেলায়
ঘিরে সেই তো রোদের নৃত্য , লু , বালিয়াড়ি
শুকনো পাহাড়ে'র খাদে বসতঘর আজীবন
নিঙরে রক্ত কালঘাম , হাস্যবিশারদ ক্যাবারে
শোক নেই তাপ নেই , পিস্টনে চাপ বাড়ে ঘূর্ণন
শুধুই চাকা ... ঘোরে তেল রাস্তায় ... কি জানি
এই রাস্তায় কিছু ঘর ছিল একসময় এখন শূন্যতায় !
গ্রাম ঘর বসত দূরে নিথর শামুক ; প্রাচীন বিদ্যায়
মুলিবাঁশে পেরেকের আন্দোলন
সবকিছু কি ভুলিয়ে দেয় সময় ?
ক'জন ই বা বোঝেন আত্মচরিতে জল বাহক চোখ
শুধু আমার নয় , সেই হিমাংশু পট্টনায়ক কাদের মিয়া
অরুন্ধুতি সেন যেভাবে ছবি এঁকেছিলেন হৃদয়ে
আমারটাও ততোখানি ......... কিম্বা নয় !
ঘর গুলোই থেকে যায় শুধু দুর্দিনেও অসহয়তার প্রতীক হয়ে ......
আমিও অন্যঘরে রঙ মাখিয়ে
বুরুশে তুলে রঙ তৃতীয় চতুর্থ পঞ্চম ঘরের নিবিড় খোঁজে ...
যদি পেয়ে যায় অবেলায়
অতি কথন
মধ্যরাতে দাঁড়িয়ে আছি ওহে জীবন !
এঁটেল কাদায় বদ্ধ নিউরন নৈকট্য এসেছে
যন্ত্রণা অজস্র সাপ হিস হিস করে সারারাত
প্রিয়তমা ভেবে ব্যাঙের মুখে চুমি !
অখণ্ড এক ব্যাপ্তিতে জগৎ
প্রাগৈতিহাসিক থেকেই নির্মাণ হৃদয়ে কুড়ে ঘর
সব দেঁতো পশুর চেতনা আমায় টানে
স্তব্ধ হবো সে বিশ্বাস নেই প্রাণে !
তোমার শরীর কে নয়
নিজের কায়া-ছায়া শত্রু আমার সর্বনাশ
রক্তের মাঝে হেমলকের ছড়াছড়ি
নিম্ন প্রদেশ রক্তে মাখামাখি
কেঁপে ওঠে তাঁরা আমার সাথে মধ্যরাতের যামিনী !
স্বপ্ন বিহীন বিনিদ্র রাতের গল্প
নিভে গেছে মোম আমিও আগুন খুঁজি
যেখানেই হাত রাখি ভুষো কয়লার অনুভব
আপাদমস্তক কাঁথাতে মুখ ঢেকে
নিজেকেই নিজে খুন করি !
এবার অমৃত থেকে বিষ খুঁজে নেন মানুষ
তরল অনুতাপ প্রতিরাতে পান করে
স্বপ্ন মানুষ
বিষাদের আকৃতি গড়েন
প্রিয়তমা ভেবে ব্যাঙের মুখে চুমি !
অখণ্ড এক ব্যাপ্তিতে জগৎ
প্রাগৈতিহাসিক থেকেই নির্মাণ হৃদয়ে কুড়ে ঘর
সব দেঁতো পশুর চেতনা আমায় টানে
স্তব্ধ হবো সে বিশ্বাস নেই প্রাণে !
তোমার শরীর কে নয়
নিজের কায়া-ছায়া শত্রু আমার সর্বনাশ
রক্তের মাঝে হেমলকের ছড়াছড়ি
নিম্ন প্রদেশ রক্তে মাখামাখি
কেঁপে ওঠে তাঁরা আমার সাথে মধ্যরাতের যামিনী !
স্বপ্ন বিহীন বিনিদ্র রাতের গল্প
নিভে গেছে মোম আমিও আগুন খুঁজি
যেখানেই হাত রাখি ভুষো কয়লার অনুভব
আপাদমস্তক কাঁথাতে মুখ ঢেকে
নিজেকেই নিজে খুন করি !
এবার অমৃত থেকে বিষ খুঁজে নেন মানুষ
তরল অনুতাপ প্রতিরাতে পান করে
স্বপ্ন মানুষ
বিষাদের আকৃতি গড়েন
No comments:
Post a Comment