প্রকৃতি
কোথাও গমের ক্ষেত থেকে উড়ে পক্ষীমাত
জিহ্বায় রাখো যে স্বাদ সেই স্বাদে সন্তানের জন্ম হ'য় ;
কাক তারুয়া নির্লিপ্ত চোখে দ্যাখে এই মাটি'তে
জনশ্রুত লোকজন জ্ঞানহীন ভাবাবেগে --
পক্ষীমাত অস্থির গমের ক্ষেতে তবুও সন্তানেরে অবহিত
করে জল-হাওয়া বুঝে নেবার ।
অস্ফুট যে সমস্ত মানবিক চিৎকার মন্দিরের ঘণ্টা ধ্বনি
থেকেও জোরালো , সে ভাষা শিখে নিতে হ'য়
পক্ষীমাতার পালকে সূর্যের নব নব সংস্করণে ।
পক্ষীমাত কত বিপদসঙ্কুল ক্ষেতের ফাঁদ পেড়িয়ে
এ সত্য ব'লে যাই - প্রকৃত ক্ষিদের কাছে এলে
ঈশ্বর নেমে আসেন মাঠে
পক্ষীমাত অস্থির গমের ক্ষেতে তবুও সন্তানেরে অবহিত
করে জল-হাওয়া বুঝে নেবার ।
অস্ফুট যে সমস্ত মানবিক চিৎকার মন্দিরের ঘণ্টা ধ্বনি
থেকেও জোরালো , সে ভাষা শিখে নিতে হ'য়
পক্ষীমাতার পালকে সূর্যের নব নব সংস্করণে ।
পক্ষীমাত কত বিপদসঙ্কুল ক্ষেতের ফাঁদ পেড়িয়ে
এ সত্য ব'লে যাই - প্রকৃত ক্ষিদের কাছে এলে
ঈশ্বর নেমে আসেন মাঠে
সমাধি
ফিরে এসো কোন জন্মে ঐ ট্রাম ডিপোর বা'পাশেই
আমাদের ঘর ছিল , ঘরে লুক্কায়িত আলমারি , থরে থরে
সাজানো তুতেম খামের সমস্ত সম্পদ ।
চিলে কোঠার ঘরটা এখনও আছে তালাবন্দ , চুপি চুপি পারো তো
ঢুকে যেও তালা ভেঙ্গে , পা' ভাঙ্গা ছোটো নিচু খাটের নিচেই লুকানো আছে
আমার জাতীয় সম্পদ , অনিশ্চয়তার কথায় লেখা আছে জুডাসময়
ফলিত বস্তি বিজ্ঞান ; তুমি
যদি পর্বতারোহণের বিশ্বাস নিয়ে জন্মে থাকো তবে সন্ধি বিচ্ছেদ কর শব্দের
ভুল গুলো মুছে দিয়ে তাল পাতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করো ;
যদি চর্যাপদের অনুসন্ধিস্নু দৃষ্টি থাকে কারুর -------জানবে
এই অববাহিকা একদিন বন্ধ্যা ধূসর , নদীর ঢাল বেয়ে রক্ত স্রোত
প্রেম অপ্রেমের গল্প
জীবন , প্রেম আবার পরাজয় মানে নাকি ?
জীবন থেমে গেল বলেই কি জীবন থেমে গেল ?
কম্পিত ছায়া মাটির অশেষ কৃপায় গমের গুচ্ছে
বায়বীয় সময়ের সমস্ত ইন্ধন হ'তে অতীতের
হাজার জন্ম , রৌদ্র সফর
কার কথা বলে ? এখনও আকাশকুসুম স্বপ্ন তলে
দাঁড় ভাঙ্গা মাঝির চিৎকার শোনা যায় নিঃসীম দমকা হাওয়ার
অভিঘাতে , কার জন্য ? বল
অন্ধ রামরাজ্য ভেঙ্গে ইমিগ্রেশন লাইনে ভীর বাড়ে
বাহুবলী'র তাণ্ডবে নারীর ইজ্জত বল
পোশাকি পরিচয় হারিয়ে
নগরায়নের নিম্ন মুখে আঁচলে বেচেন যে মা প্রেম --
সততঃ সত্যর বাজারে -- সেও
এখনও নির্বাণ মুখে । ক্রমাগত ধীরে ধীরে
আলো নির্ভর সূর্যের যাত্রা পথে বিকিয়ে দিয়েছে দেশ জাতি অহংকার
প্রেমেরই অভাব পূরণের নেশাই ; সত্বর
জীবন আসে সময়ের যুগাতীর্ণ বিপুল প্রভিতায় ঘরে ঘরে
পরস্পরাহীন ভাষা হতে পারে কিম্বা দেশের প্রাচীর ,
ক্রমান্বয়ে প্রেম বাড়ে সন্ধ্যা কালীন গুঞ্জনের মত ।
হাজার জন্ম , রৌদ্র সফর
কার কথা বলে ? এখনও আকাশকুসুম স্বপ্ন তলে
দাঁড় ভাঙ্গা মাঝির চিৎকার শোনা যায় নিঃসীম দমকা হাওয়ার
অভিঘাতে , কার জন্য ? বল
অন্ধ রামরাজ্য ভেঙ্গে ইমিগ্রেশন লাইনে ভীর বাড়ে
বাহুবলী'র তাণ্ডবে নারীর ইজ্জত বল
পোশাকি পরিচয় হারিয়ে
নগরায়নের নিম্ন মুখে আঁচলে বেচেন যে মা প্রেম --
সততঃ সত্যর বাজারে -- সেও
এখনও নির্বাণ মুখে । ক্রমাগত ধীরে ধীরে
আলো নির্ভর সূর্যের যাত্রা পথে বিকিয়ে দিয়েছে দেশ জাতি অহংকার
প্রেমেরই অভাব পূরণের নেশাই ; সত্বর
জীবন আসে সময়ের যুগাতীর্ণ বিপুল প্রভিতায় ঘরে ঘরে
পরস্পরাহীন ভাষা হতে পারে কিম্বা দেশের প্রাচীর ,
ক্রমান্বয়ে প্রেম বাড়ে সন্ধ্যা কালীন গুঞ্জনের মত ।
মনের বারোমাস্য নির্বাক
চৌকাঠের ওপাশেই চলচিত্র সবাক
বেলা পড়ছে পশ্চিম অনুরাগে
বন্দী আমি জন্ম- জন্মান্তরে ।
ঈশ্বরী
বৃষ্টি হয়ে গেছে সঙ্গোপনে , বিধৌত নাভি ,
জরায়ু অপূর্ব পারদর্শীতায় মেনপোজ পেরুলেই
সব মেঘ ; বৃষ্টি , আহাঃ
অচিরেই কৃষ্ণচূড়া ঝরে পড়লে আকাশ সীমানায়
বাঁশি সুর প্রিয় ; বর্ষামঙ্গল ,
এবার থেকে তুমিও ক্যানভাসে শিল্পীর ।
এই প্রথম আঠাশের পরিক্রমণ জগত ,
রক্ষণাত্মক ,
ঘর ছাড়া নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের উদাসী দৃষ্টির মত
অপরাহ্ণ আসে ,
এবার শিল্প আসবে , ঈশ্বরী হয়ে উঠবেন যেসব
বঁধু তাদের জন্য ।
রঙ এসেছে , চেতনার নির্মোহি মূলে খেটে খাওয়া স্বপ্ন'রাও
বসন্ত অনুরাগী ; পাপ থাক আজ , পুণ্য'র খোঁজে
বিষাদের আঁতুড় ঘর মালসা আগুনে ,
আজ হয়ে যাক সব এলোমেলো দুর্নিবার ঘূর্ণিতে ; একবার
আসুক কান্নার শব্দ বাতাসে ---
দ্যাখ , দ্যাখ আমিও জন্ম দিতে পারি , আমি ঈশ্বরী !
বাঁশি সুর প্রিয় ; বর্ষামঙ্গল ,
এবার থেকে তুমিও ক্যানভাসে শিল্পীর ।
এই প্রথম আঠাশের পরিক্রমণ জগত ,
রক্ষণাত্মক ,
ঘর ছাড়া নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের উদাসী দৃষ্টির মত
অপরাহ্ণ আসে ,
এবার শিল্প আসবে , ঈশ্বরী হয়ে উঠবেন যেসব
বঁধু তাদের জন্য ।
রঙ এসেছে , চেতনার নির্মোহি মূলে খেটে খাওয়া স্বপ্ন'রাও
বসন্ত অনুরাগী ; পাপ থাক আজ , পুণ্য'র খোঁজে
বিষাদের আঁতুড় ঘর মালসা আগুনে ,
আজ হয়ে যাক সব এলোমেলো দুর্নিবার ঘূর্ণিতে ; একবার
আসুক কান্নার শব্দ বাতাসে ---
দ্যাখ , দ্যাখ আমিও জন্ম দিতে পারি , আমি ঈশ্বরী !
চাঁদ ও মানুষ
বড়ই বেয়াদপ ছিল চাঁদ খানিকটা অন্ধকার খেয়ে
সোহাগী বারাঙ্গনার মত আলস্য ছড়িয়ে
সমূদয় ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়ে ;
খানিক আগে পরতে পরতে মৌতাত আর
আফিমখোর বৃদ্ধের ঝিমুনিতে
রতি ভস্ম হ'লে ক্ষরণ অঙ্গ জুড়ে চিনচিন জ্বালা
তবুও ইউরিন নালী'তে বীতশোক ;
সময়টা বড়ই সুসময় , গান্ধী মূর্তি উড়িয়ে দিলেই
লস ভেগাসের লাস্যময়ী মুঠোয় , আহাঃ এমন একটা দিন
দীর্ঘ হোক !
আচম্বিতে যদিও যৌথ খামারের স্বপ্নে
এসে ভীর করে ছেঁড়া পাতার অতীত পিতৃ পুরুষের রক্ত
ঘাম -- দাওয়ায় প্রতীক্ষীয়া অতৃপ্ত রমণ ঋতু
আহাঃ স্বখেদে বলবে পুরুষ
আমি বেহমিয়ান !
লালা গ্রন্থি নিরুচ্চারে দেঁতো মাংসাশী পশুর অনুকরণে
ক্ষরণ করে মদন ;
যেহেতু আমারদের পোশাক আছে একটা , আছে পোশাকি
পরিচয় , সেহেতু মুখ ঢাকার জায়গা বিস্তর , অতএব
চাঁদ আসবেই প্রতিরাতে বিছানায় মুখ লুকাতে !
আফিমখোর বৃদ্ধের ঝিমুনিতে
রতি ভস্ম হ'লে ক্ষরণ অঙ্গ জুড়ে চিনচিন জ্বালা
তবুও ইউরিন নালী'তে বীতশোক ;
সময়টা বড়ই সুসময় , গান্ধী মূর্তি উড়িয়ে দিলেই
লস ভেগাসের লাস্যময়ী মুঠোয় , আহাঃ এমন একটা দিন
দীর্ঘ হোক !
আচম্বিতে যদিও যৌথ খামারের স্বপ্নে
এসে ভীর করে ছেঁড়া পাতার অতীত পিতৃ পুরুষের রক্ত
ঘাম -- দাওয়ায় প্রতীক্ষীয়া অতৃপ্ত রমণ ঋতু
আহাঃ স্বখেদে বলবে পুরুষ
আমি বেহমিয়ান !
লালা গ্রন্থি নিরুচ্চারে দেঁতো মাংসাশী পশুর অনুকরণে
ক্ষরণ করে মদন ;
যেহেতু আমারদের পোশাক আছে একটা , আছে পোশাকি
পরিচয় , সেহেতু মুখ ঢাকার জায়গা বিস্তর , অতএব
চাঁদ আসবেই প্রতিরাতে বিছানায় মুখ লুকাতে !
প্রেমের কবিতা
বেত গাছের ফাঁক দিয়ে উঁকি দেয় সতেজ রোদ্দুর ,
ওদিকে হরিণীর পায়ে লাগে পাথরের আঘাত
সেই স্বপ্ন পুরুষ আমারই মতন । এবার
গুনাগত দিনপাতে ফুলের কোমল অঙ্গ থেকে
উড়ে গেলে তিতলি
উৎকণ্ঠায় থাকে পটলের নারী ফুল
সর্বজনহিতে বিসর্জিত নদী
খুলে দেয় অঙ্গ-শোভা ; এই দেখে
রক্তিম হ'লে পঞ্চদর্শী তরুণী
স্নান ঘরে অযথা সময় ব্যয়
বেলজিমায় কাঁচ থেকে
বেড়িয়ে ভ্রমর
এত্ত মধু , ভ্রমর রাখবে কোথায় ? তারপর
একদিন প্রথম ঐশ্বরিক লাল বৃষ্টি এসে
ভিজিয়ে দেয় কাঁথার প্রচ্ছদ
ঘুম অথব ঘুম নেই অথবা এলোকেশী , তখন
সেই ঠাকুমার গল্পে'র টগবগিয়ে রাজপুত্তুর ঘোড়া
তেপান্তরের মাঠ পেরুচ্ছে প্রতিরাতে ---
পৃথিবীতে প্রায় অর্ধেক প্রেমের কবিতা লিখেছেন নারী এই রাতে ।
গুনাগত দিনপাতে ফুলের কোমল অঙ্গ থেকে
উড়ে গেলে তিতলি
উৎকণ্ঠায় থাকে পটলের নারী ফুল
সর্বজনহিতে বিসর্জিত নদী
খুলে দেয় অঙ্গ-শোভা ; এই দেখে
রক্তিম হ'লে পঞ্চদর্শী তরুণী
স্নান ঘরে অযথা সময় ব্যয়
বেলজিমায় কাঁচ থেকে
বেড়িয়ে ভ্রমর
এত্ত মধু , ভ্রমর রাখবে কোথায় ? তারপর
একদিন প্রথম ঐশ্বরিক লাল বৃষ্টি এসে
ভিজিয়ে দেয় কাঁথার প্রচ্ছদ
ঘুম অথব ঘুম নেই অথবা এলোকেশী , তখন
সেই ঠাকুমার গল্পে'র টগবগিয়ে রাজপুত্তুর ঘোড়া
তেপান্তরের মাঠ পেরুচ্ছে প্রতিরাতে ---
পৃথিবীতে প্রায় অর্ধেক প্রেমের কবিতা লিখেছেন নারী এই রাতে ।
ভুত
রাত ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়ছে সিঁড়িভাঙ্গা অঙ্কে , বাঁশ গাছের
ছায়া অন্ধকারে শুয়ে আছে বাবা , এখনও ,
আলোহীন যেতে ভয়
একদিন গলা জড়িয়ে ভুতের গল্প শুনেছি
তবে -- বাবাও ভুত ? অদ্ভুত !
তখন পর-দাত লবণে ঘষে হেসেছি
আজ দেখলেই হিম হিম অথবা ঘাম আসে
বাবা - বাবা থাকা কালে ভুত থাকেনা
মরণ নতুন জীবের সৃষ্টি করে ।
আজও চমৎকার রাত আর আমি -- পাশাপাশি
খৈ ছিটালেই
নতুন নতুন বাস্তুভুত ----
তবে -- বাবাও ভুত ? অদ্ভুত !
তখন পর-দাত লবণে ঘষে হেসেছি
আজ দেখলেই হিম হিম অথবা ঘাম আসে
বাবা - বাবা থাকা কালে ভুত থাকেনা
মরণ নতুন জীবের সৃষ্টি করে ।
আজও চমৎকার রাত আর আমি -- পাশাপাশি
খৈ ছিটালেই
নতুন নতুন বাস্তুভুত ----
রাষ্ট্র বিজ্ঞান
বহুদিন আগে ফুটপাত থেকে কপ্পুর হয়ে গিয়ে সকাল
রাষ্ট্রতান্ত্রিক পার্লামেন্টের উপর বর্ষিত ; অন্ধকারের জন্ম
নিদারুণ আত্মাভিমানে পোশাকি পরিচয়ে'র গণ ভোটের লম্বা লাইনে --
একটা চিল চিলচিৎকারে বলে না
আরে ভাইয়া দুধের লাইন দেখেছ কি ? শিশু কাঁদছে !
মরণ বাঁচনের কবিতা লিখিনা , ছা-পোষ উইপোকা নিয়ে নেই মাথা ব্যথা ,
জোনাক আগুনে কাব্যবিশারদ
নায়িকার ফুটবলে হাত পা ছোঁয়ানোর তিতিক্ষায় যতবার ফাউল করেন
পৃথিবী ঘুরে যাই দু'তিন বার , তখন
কোম্পানির দুধের গাড়ির লাইনে
আর খুঁজে পাই'না যীশু'র নগ্ন পা , যাকে দেখেছিলাম ফুটপাতে ।
আমের গুঁটিতে গুঁটিতে বুঝি কিছু একটা ঘটেছে পরিবর্তন ;
হাওয়ার বেগে সেই পরিবর্তিত পরিস্থিতি
আত্মভোলা ঈশ্বরের অঙ্গুলি হেলনে ঋতুর বর্তন
ম্যাসেজে ম্যাসেজে ছয়লাপ
রাষ্ট্র ও খুঁজে পেয়েছেন ভাল আছো কিনা জেনে নেওয়ার পন্থা
যারা মোবাইলের অধিকারী , আশ্চর্য !
আরে ভাইয়া দুধের লাইন দেখেছ কি ? শিশু কাঁদছে !
মরণ বাঁচনের কবিতা লিখিনা , ছা-পোষ উইপোকা নিয়ে নেই মাথা ব্যথা ,
জোনাক আগুনে কাব্যবিশারদ
নায়িকার ফুটবলে হাত পা ছোঁয়ানোর তিতিক্ষায় যতবার ফাউল করেন
পৃথিবী ঘুরে যাই দু'তিন বার , তখন
কোম্পানির দুধের গাড়ির লাইনে
আর খুঁজে পাই'না যীশু'র নগ্ন পা , যাকে দেখেছিলাম ফুটপাতে ।
আমের গুঁটিতে গুঁটিতে বুঝি কিছু একটা ঘটেছে পরিবর্তন ;
হাওয়ার বেগে সেই পরিবর্তিত পরিস্থিতি
আত্মভোলা ঈশ্বরের অঙ্গুলি হেলনে ঋতুর বর্তন
ম্যাসেজে ম্যাসেজে ছয়লাপ
রাষ্ট্র ও খুঁজে পেয়েছেন ভাল আছো কিনা জেনে নেওয়ার পন্থা
যারা মোবাইলের অধিকারী , আশ্চর্য !
দ্বি-কোষী
জীবন আমার নব্য ভাটির চর
জন্ম আমার বিভেদের এই ঘরে
মরণ বলে আমি বেসেছি তোকে ভালো
রাত্রি শেষে কোনদিন দেখবো না কি প্রভাতের সেই আলো !
জ্ঞ্যান পিপাসী ক্ষুদ্র এই হৃদ
পান্তা খেলেই কবিতার ক্ষুধা বাড়ে
অভুক্ত যদিও পাকদণ্ডি নালী
শব্দ আঁকি শব্দ নিয়েই বাঁচি ।
ভাবি এই রাত্রি থাকুক অনন্ত কাল ধরে
আলো এলে মুখে যান্ত্রিক হাসি
চালের কিলো ত্রিশ টাকা ছুঁইছুঁই
এদিকে ঘর ভাড়াও বাকী আছে ষাটদিন ।
অম্লান মুখে তুমি যখন লিখে চ'ল
আমার মনে ভাইয়ের টিউশন ফিস
মানুষ দেখে কি মানুষ চেনা যায়
শরীর কবে হয়েছে মনের প্রতিনিধি ।
আমার অহংকার তোমারা ভেবেছ আত্মস্লেঘ
আমার জন্মেই লেখা আছে সুনিদিষ্ট গতিপথ
পালাতে গেলেই জীবন বলে আমি তোরই মায়া
পালাবোই বা কোথায় নিয়তি নিজেই ---
আমি নিজেই নিজের হন্তক ।
জ্ঞ্যান পিপাসী ক্ষুদ্র এই হৃদ
পান্তা খেলেই কবিতার ক্ষুধা বাড়ে
অভুক্ত যদিও পাকদণ্ডি নালী
শব্দ আঁকি শব্দ নিয়েই বাঁচি ।
ভাবি এই রাত্রি থাকুক অনন্ত কাল ধরে
আলো এলে মুখে যান্ত্রিক হাসি
চালের কিলো ত্রিশ টাকা ছুঁইছুঁই
এদিকে ঘর ভাড়াও বাকী আছে ষাটদিন ।
অম্লান মুখে তুমি যখন লিখে চ'ল
আমার মনে ভাইয়ের টিউশন ফিস
মানুষ দেখে কি মানুষ চেনা যায়
শরীর কবে হয়েছে মনের প্রতিনিধি ।
আমার অহংকার তোমারা ভেবেছ আত্মস্লেঘ
আমার জন্মেই লেখা আছে সুনিদিষ্ট গতিপথ
পালাতে গেলেই জীবন বলে আমি তোরই মায়া
পালাবোই বা কোথায় নিয়তি নিজেই ---
আমি নিজেই নিজের হন্তক ।
আজকের পরে -------------
আজকের পরে
জাহান্নামে যাবে মৌমিতা মণ্ডল ,
মৌমিতা মণ্ডলের দরকার ছিল না পৃথিবীর
না ছিল পৃথিবীকে দরকার মৌমিতা মণ্ডলের ।
ঢের রক্ত চুষে খেয়েছি তোর
ঢের জন্ম অভিলাষে ঢের জন্ম পাপে , দে , দে বানজারা চাঁদ
এই পঞ্চভূতের জন্ম দে ঘুচিয়ে দে ।
এবার পরিচিত জনগণ নিঃশ্বাস নিক প্রাণ ভরে
পরাজিত মেয়েটি স্তব্ধ হ'য়ে গেছে চিরতরে ,
আর কতকিছু স্তব্ধ হয়ে যায়
শারীরিক মৃত্যুতে একটা শরীর অদৃশ্য ----
কবেই মরে গেছি
অন্যভাবে হাসি মুখে হাসি মুখে
মৌমিতা মণ্ডলের প্রয়োজন ছিল না কবিতায়
এই শখের করাতে বহুত কেটে দেখেছি ।
ভাল থাকো বলার অধিকার ভুলে গেলে জীবনে --
বলে যাই শেষবার চমৎকার থাকুন ,
প্রতীক্ষায় থাকুন ----------
অন্য শ্রুতিধর গল্প বলতে আসবে আপনাদের দরবারে
ঢের রক্ত চুষে খেয়েছি তোর
ঢের জন্ম অভিলাষে ঢের জন্ম পাপে , দে , দে বানজারা চাঁদ
এই পঞ্চভূতের জন্ম দে ঘুচিয়ে দে ।
এবার পরিচিত জনগণ নিঃশ্বাস নিক প্রাণ ভরে
পরাজিত মেয়েটি স্তব্ধ হ'য়ে গেছে চিরতরে ,
আর কতকিছু স্তব্ধ হয়ে যায়
শারীরিক মৃত্যুতে একটা শরীর অদৃশ্য ----
কবেই মরে গেছি
অন্যভাবে হাসি মুখে হাসি মুখে
মৌমিতা মণ্ডলের প্রয়োজন ছিল না কবিতায়
এই শখের করাতে বহুত কেটে দেখেছি ।
ভাল থাকো বলার অধিকার ভুলে গেলে জীবনে --
বলে যাই শেষবার চমৎকার থাকুন ,
প্রতীক্ষায় থাকুন ----------
অন্য শ্রুতিধর গল্প বলতে আসবে আপনাদের দরবারে
কেড়ে নাও
কেড়ে নাও তোমার মাতৃত্ব , অলৌকিক সব অধিকার ।
এক দশকের যুবতী ক্যানভাস হতে
মুছে দাও ঘর-দোর স্মৃতিপটের নির্ভেজাল অণুপল ।
আনুপাতিক মাতৃত্বের খনি যা অপূর্ণভব সম্পদ
তাকে পাঠিয়ে দাও হৃদয়ের নরকে ।
মায়ের অভাব পূর্ণ করেছে কোন নারী ?
অদ্ভুত একাকীত্বে শিথিল হয়ে আসে
ঘাম গ্রন্থি ,
কালজয়ী বিশ্বাসের ভঙ্গুর মুখে
এই একুশে যুবতী বেলা
বিশ্বাস থাকে যেসব বিশ্বাসীদের সাথে
তারাই খুলে দেয় লাটাইয়ে সুতো , এবার
ভো-কাট্টা -- কোন অলিখিত নির্দেশে ।
পচা ঘা বা হলাহলে মৃতপ্রায়
আত্মা নিয়েও -
সালোয়ার কামিজে ঢেকে গেলে শরীর
এক পৃথিবী মানুষ
সিঁড়ি ভাঙ্গে সাপ লুডো
তারাও রাত গভীর হলে অন্ধকার ভালোবেসে
নিজেকেই শুনিয়ে শুনিয়ে ক্লান্ত জীবনের গান ।
এভাবেই নিশি যাপন নিশি যাপন যন্ত্র যাপন ।
তাকে পাঠিয়ে দাও হৃদয়ের নরকে ।
মায়ের অভাব পূর্ণ করেছে কোন নারী ?
অদ্ভুত একাকীত্বে শিথিল হয়ে আসে
ঘাম গ্রন্থি ,
কালজয়ী বিশ্বাসের ভঙ্গুর মুখে
এই একুশে যুবতী বেলা
বিশ্বাস থাকে যেসব বিশ্বাসীদের সাথে
তারাই খুলে দেয় লাটাইয়ে সুতো , এবার
ভো-কাট্টা -- কোন অলিখিত নির্দেশে ।
পচা ঘা বা হলাহলে মৃতপ্রায়
আত্মা নিয়েও -
সালোয়ার কামিজে ঢেকে গেলে শরীর
এক পৃথিবী মানুষ
সিঁড়ি ভাঙ্গে সাপ লুডো
তারাও রাত গভীর হলে অন্ধকার ভালোবেসে
নিজেকেই শুনিয়ে শুনিয়ে ক্লান্ত জীবনের গান ।
এভাবেই নিশি যাপন নিশি যাপন যন্ত্র যাপন ।
অভিষেক
কথা ছিল শেষ হলে যাত্রাপথ অনাহুত
মেঘের মত উঠে পরবো রথে -
কতক্ষণ ধরে ব'য়ে বেড়ানো যায় বোঝা !
অপার বিস্ময়ে পারাপারের খেয়া খই ছড়িয়ে
পথঘাট গোময় আল্পনায় উঠোন --
বিচ্ছেদ হয়ে যাবে মদন- জতু সংসার !
ভুল জমেছিল যেসব ভুলে , সন্দেহ কৃত্রিম
অনুশোচনা আবেগ বিষাদের জন্ম কুঠি-
নিরুত্তর প্রশ্ন উত্তরহীনতার ভরাডুবি !
ধরো , যদি ছুঁয়ে ফেলি নির্বাসিত এই জীবনের
রহস্যখনি ; যদি বশীভূত হয়ে তুলে নি
আমাদের সন্তান আপত্য স্নেহে ,
দিকবিদিক শূন্যতায় ডাকবে কাঁক ?
ভয় নেই কোন যন্ত্রে মানবে , অপরিমেয়
ক্ষতি পুষিয়ে এই বসন্তে
দূরে ছুরে ফেলেছি আমার সিংহাসন
এবার তোমাদের রাজা খোঁজার পালা !
পথঘাট গোময় আল্পনায় উঠোন --
বিচ্ছেদ হয়ে যাবে মদন- জতু সংসার !
ভুল জমেছিল যেসব ভুলে , সন্দেহ কৃত্রিম
অনুশোচনা আবেগ বিষাদের জন্ম কুঠি-
নিরুত্তর প্রশ্ন উত্তরহীনতার ভরাডুবি !
ধরো , যদি ছুঁয়ে ফেলি নির্বাসিত এই জীবনের
রহস্যখনি ; যদি বশীভূত হয়ে তুলে নি
আমাদের সন্তান আপত্য স্নেহে ,
দিকবিদিক শূন্যতায় ডাকবে কাঁক ?
ভয় নেই কোন যন্ত্রে মানবে , অপরিমেয়
ক্ষতি পুষিয়ে এই বসন্তে
দূরে ছুরে ফেলেছি আমার সিংহাসন
এবার তোমাদের রাজা খোঁজার পালা !
সে গল্প থাক
আজ সেসব গল্প থাক ,
তর্জনী উঁচিয়ে থাক প্রেম অ্যাসিডের বোতলে থাক মায়া ।
তোমার গোপন রহস্য আমিও জানি
আমিও দেখেছি ক্ষিদে কাকে বলে সর্বভুক পশুদের -
থাক সেসব কথা ;
কেটে- ছিঁড়ে গেলে যে রক্ত ঝরে
ভয়াল বিষধর সাপ কেটে দিলে রক্তও ঝরে যন্ত্রণাও আমৃত্যু
একথাও রেখে দেবো যদি তুমি বল !
পশুর ও তুমি দু'জনেই সমান ভয়ঙ্কর !
নির্জনে ওঁত পেতে থেকে দলছুট কমজোরি শিকারের উপর আক্রমণ
যত রক্ত তত উল্লাস ,
সেকথাও থাক তবে আজ !
আমিও সব কিছু ভুলে যেতে পারি মোম উত্তাপে
আমিও মা হয়ে বলে যেতে পারি
প্রত্যেকটা গম দানায় ওড়ে যে সুখ পাখি তোমার চাহিদার
সেখানে বঁধুও আছে , আছে বারবধূ - ভবিষ্যতের আছে তোমারই দৌহিত্রী
আমিও দেখেছি ক্ষিদে কাকে বলে সর্বভুক পশুদের -
থাক সেসব কথা ;
কেটে- ছিঁড়ে গেলে যে রক্ত ঝরে
ভয়াল বিষধর সাপ কেটে দিলে রক্তও ঝরে যন্ত্রণাও আমৃত্যু
একথাও রেখে দেবো যদি তুমি বল !
পশুর ও তুমি দু'জনেই সমান ভয়ঙ্কর !
নির্জনে ওঁত পেতে থেকে দলছুট কমজোরি শিকারের উপর আক্রমণ
যত রক্ত তত উল্লাস ,
সেকথাও থাক তবে আজ !
আমিও সব কিছু ভুলে যেতে পারি মোম উত্তাপে
আমিও মা হয়ে বলে যেতে পারি
প্রত্যেকটা গম দানায় ওড়ে যে সুখ পাখি তোমার চাহিদার
সেখানে বঁধুও আছে , আছে বারবধূ - ভবিষ্যতের আছে তোমারই দৌহিত্রী
রকবাজ কবিতা
ফেলে আসা দিন গুলো
সোনা ঝরা সে ফাগুনও
আগুন জ্বেলেছিল মনে
ইতিউতি মানবী মুখ ।
পকেট গড়ের মাঠ
নিঃস্ব বিশ্ব সিগারেটে সুখটান
রূপটানে নেচে নেচে চলে
পাড়ার মৌসুমি সেন ।
রকের প্যালেসটার খসে
গুলতানিতে সূর্যতাতে
ওড়না খুলে গেলে ললনার
ষাঁড়াষাঁড়ি বানে ভাসে মন ।
সাতটার কোচিং শেষ
পালসারের রিজার্ভে তেল
তিন মূর্তি পাপিৎজাত
ডায়নার পেছনে ছোটে ।
অকথ্য ব্রজবুলি
শিস এ শিস এ চৌরাশিয়া এই বঙ্গ
পান করে দেশী আকণ্ঠ
উচ্ছল নৃত্য রঙ্গ ।
সামনে অগুন্তি মুখ
বিজ্জাপনে নাভি বুক
হা হুতাশের অফুরান্ত খাদ্য
নির্জনতায় হাতে হাতে মনের প্রশান্ত ।
কারও পিতৃদেব
পরকীয়া মোচ্ছবে বাঁচে
দেখে সমস্ত রক্তিম লাভা
রকে বসেই নারীকে পেত্নী ভাবে ।
মলে মলে ঠাঁসা আধুনিক বৈভব
এদিকে রকের ছোরার
হাঁড়িতে চালের অভাব
হাতে হাতে ঝলসে ওঠে "গান" ।
পাড়ার মাতব্বর
রঙ্গিন পতাকা তলে
ডেকে নেন রকবাজ
বস্তি উচ্ছেদের হাতিয়ার ।
তবুও একদিন
গভীর রাত শুনশান নির্জন এই পাড়া --
সাহেবরা সম্ভোগ খাটে
বিধবা বিমল কাকিমার বউ এর ব্যথা ওঠে
চিৎকার করে ডাকে লোক --
কুকুরের সাড়া পাই
ঘেউ ঘেউ
সকলে অন্ধ রাজা হয়ে আছে --------
হঠাৎ
কোথা থেকে দৌত্যরা দৌড়ে আসে
ভ্যানে তুলে লম্বা ছুট
ঈশ্বর এদের বুকে লিখে গেছেন নাম --
আমাদের ব'য়ে গেছে দিতে তাদের দাম !
পকেট গড়ের মাঠ
নিঃস্ব বিশ্ব সিগারেটে সুখটান
রূপটানে নেচে নেচে চলে
পাড়ার মৌসুমি সেন ।
রকের প্যালেসটার খসে
গুলতানিতে সূর্যতাতে
ওড়না খুলে গেলে ললনার
ষাঁড়াষাঁড়ি বানে ভাসে মন ।
সাতটার কোচিং শেষ
পালসারের রিজার্ভে তেল
তিন মূর্তি পাপিৎজাত
ডায়নার পেছনে ছোটে ।
অকথ্য ব্রজবুলি
শিস এ শিস এ চৌরাশিয়া এই বঙ্গ
পান করে দেশী আকণ্ঠ
উচ্ছল নৃত্য রঙ্গ ।
সামনে অগুন্তি মুখ
বিজ্জাপনে নাভি বুক
হা হুতাশের অফুরান্ত খাদ্য
নির্জনতায় হাতে হাতে মনের প্রশান্ত ।
কারও পিতৃদেব
পরকীয়া মোচ্ছবে বাঁচে
দেখে সমস্ত রক্তিম লাভা
রকে বসেই নারীকে পেত্নী ভাবে ।
মলে মলে ঠাঁসা আধুনিক বৈভব
এদিকে রকের ছোরার
হাঁড়িতে চালের অভাব
হাতে হাতে ঝলসে ওঠে "গান" ।
পাড়ার মাতব্বর
রঙ্গিন পতাকা তলে
ডেকে নেন রকবাজ
বস্তি উচ্ছেদের হাতিয়ার ।
তবুও একদিন
গভীর রাত শুনশান নির্জন এই পাড়া --
সাহেবরা সম্ভোগ খাটে
বিধবা বিমল কাকিমার বউ এর ব্যথা ওঠে
চিৎকার করে ডাকে লোক --
কুকুরের সাড়া পাই
ঘেউ ঘেউ
সকলে অন্ধ রাজা হয়ে আছে --------
হঠাৎ
কোথা থেকে দৌত্যরা দৌড়ে আসে
ভ্যানে তুলে লম্বা ছুট
ঈশ্বর এদের বুকে লিখে গেছেন নাম --
আমাদের ব'য়ে গেছে দিতে তাদের দাম !
তবে আজ নেমে গেলাম সিঁড়ি বেঁয়ে শ্মশানে স্মৃতিখেকো
শকুনের দল , শকুনের ঠোটে ঠোটে শেষ হোক বিষাদের শ্যাম্পেন ;
মুগ্ধতার আবেদনে ডুবে যাক অন্য যৌবন
দেখি যেন শুধু গ্রহণ চাঁদে পোড়ে না যেন একটাও নারী মুখ !
আরো আছে অভিপ্রায় শেষ শ্বাসে যতোটা লাগে সময় ; বা
একবার ঝুপ করে পানকৌড়ি যতোটা নিয়েছে সময়
সেসময় টুকু আমায় দাও ,
খুলে ফেলে দেবো কাঁটার উস্নিব খোলা পূর্ণিমায় বন্ধন সব
ছিঁড়ে খেতে চাইবো না হাড়মাষ ।
দাঁড়াবো না কোন খণ্ডিত অতীতের জানালার গারদে মাথা রাখে
উড়ে যাওয়া হাওয়া ঘরে ফেরানোর অভিপ্রায়ে ;
দাঁড়াবো না পাথরে মুখ ঘসে কোমল বুকের রুচিতে , শুধু অন্ধ হয়ে
কিছু আলোক বর্ষ কেঁচো হয়ে মুখগুজে আঁধারের গভীরতায় ...
চোখ মেলবো যেদিন দেখি যেন পৃথিবীতে খেলছে আলোয়
আর ঠোটে ঠোট রেখেছে সব ভালোবাসায় !
দেখি যেন শুধু গ্রহণ চাঁদে পোড়ে না যেন একটাও নারী মুখ !
আরো আছে অভিপ্রায় শেষ শ্বাসে যতোটা লাগে সময় ; বা
একবার ঝুপ করে পানকৌড়ি যতোটা নিয়েছে সময়
সেসময় টুকু আমায় দাও ,
খুলে ফেলে দেবো কাঁটার উস্নিব খোলা পূর্ণিমায় বন্ধন সব
ছিঁড়ে খেতে চাইবো না হাড়মাষ ।
দাঁড়াবো না কোন খণ্ডিত অতীতের জানালার গারদে মাথা রাখে
উড়ে যাওয়া হাওয়া ঘরে ফেরানোর অভিপ্রায়ে ;
দাঁড়াবো না পাথরে মুখ ঘসে কোমল বুকের রুচিতে , শুধু অন্ধ হয়ে
কিছু আলোক বর্ষ কেঁচো হয়ে মুখগুজে আঁধারের গভীরতায় ...
চোখ মেলবো যেদিন দেখি যেন পৃথিবীতে খেলছে আলোয়
আর ঠোটে ঠোট রেখেছে সব ভালোবাসায় !
কিছু কথা
পুনরায় অনেকবার তোমাকে খুঁজলাম
রিপু ভেঙ্গে ভেঙ্গে ; পর্দাশিন বুকের ভেতর যতদূর
চোখ যাই - তত দূর পইপই করে খুঁজলাম , তোমাকে ।
সমস্ত ইন্ধন যুক্ত ঈশারা রেখে খণ্ডিত কাঁচের টুকরে
আলো হয়ে যতদূর গেছো ----
আমিও সর্বভুক হাঁসের ক্ষিদে নিয়ে চৌকাঠ মাড়িয়ে দেখি
এখনও অনতিক্রম সেই হিমালয় -
তুমি অপরাক্রমশালী -- পরাজিত করা গেল না !
জানি , সমস্ত নির্ভুল চাহিদা এবারও তোমার শুদ্ধ অন্তঃকরণে
লালিত্য ; যেরূপ তথাগত মান্যতা অদ্ভুত নির্বাণের লক্ষ্যে
কিন্তু এই পক্ষে শুধুই শরীরের দাবী ,
অযাচিত সময় ধরে ব্যর্থতা পেড়িয়ে যাবে শরীর
আলো হয়ে যতদূর গেছো ----
আমিও সর্বভুক হাঁসের ক্ষিদে নিয়ে চৌকাঠ মাড়িয়ে দেখি
এখনও অনতিক্রম সেই হিমালয় -
তুমি অপরাক্রমশালী -- পরাজিত করা গেল না !
জানি , সমস্ত নির্ভুল চাহিদা এবারও তোমার শুদ্ধ অন্তঃকরণে
লালিত্য ; যেরূপ তথাগত মান্যতা অদ্ভুত নির্বাণের লক্ষ্যে
কিন্তু এই পক্ষে শুধুই শরীরের দাবী ,
অযাচিত সময় ধরে ব্যর্থতা পেড়িয়ে যাবে শরীর
অন্তঃমূলে
সন্তর্পণে ঝোরে যাই যা কিছু গোপন ছিল এতকাল ,
ব্যর্থ আকাঙ্খায় নীলাম্বরী পটে রামধনু দৃশ্যকলা
বিস্মিত বিস্ময়ে ঢের পতন বাড়িয়েছে আগেও এখনও ।
একদিন স্বপ্নে ছায়া-শীতলতায় দুরন্ত অপরাহ্ণে দুই
সাবেকী শরীরের দীর্ঘ প্রতীক্ষা ; তারপর হৃদয়ে স্মৃতি
জমে জমে যে দুর্গন্ধ ঊর্ধ্ব উদ্গিরনের সৃষ্টি করে , সে
অনন্তবার দুষ্পাচ্য ব্যথার সৃষ্টি করে এগিয়ে গেলে
মহাবিশ্বের শূন্যতা ; এবং সমগ্র তৃষ্ণা জলহীন
মরুপথের পথিকের ন্যায় গাঢ় হ'লে ভয়ানক মরণ-বাচন
ক্ষিধে , এই বুঝি সমস্ত রূপটান শেষ করে
পশ্চিমে ডুবছে সময়ের শেষ আকাঙ্ক্ষা পুরিয়ে সূর্য !
সাবেকী শরীরের দীর্ঘ প্রতীক্ষা ; তারপর হৃদয়ে স্মৃতি
জমে জমে যে দুর্গন্ধ ঊর্ধ্ব উদ্গিরনের সৃষ্টি করে , সে
অনন্তবার দুষ্পাচ্য ব্যথার সৃষ্টি করে এগিয়ে গেলে
মহাবিশ্বের শূন্যতা ; এবং সমগ্র তৃষ্ণা জলহীন
মরুপথের পথিকের ন্যায় গাঢ় হ'লে ভয়ানক মরণ-বাচন
ক্ষিধে , এই বুঝি সমস্ত রূপটান শেষ করে
পশ্চিমে ডুবছে সময়ের শেষ আকাঙ্ক্ষা পুরিয়ে সূর্য !
তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ
এযাবৎ কাল ধরে শূন্য হৃদ বিপরীত সংখ্যাতত্বের ।
চাহিদার এক ঘেয়ে অভিঘাতে সরছে জগত , আর
এগিয়ে আসছে শ্রেণীবদ্ধ বিজ্জাপনে নারীর লোভনীয়
আপেলত্বের দৃশ্যপট !
এযাবৎ সংখ্যাতত্বের ভীরে কিছুই পান করিনি ঈশ্বরের মুখ অথবা
নারীর স্তন এমনকি মায়ের আশিস ;
তিল তিল জমানো অনুরাগে ভাস্বর হয়েছে আকাশ গাঙের জল
মুকুলের আম বাগান ,
এক উচাটান , খুঁজছি সধর্মী বন্ধু , নিযুত লক্ষ তারার মাঝে শুধুই
কালপুরুষ আর পতনের দিকের কিছু জ্যোতিষ্কপ্রভা
বিনা নিমন্ত্রণে হয়েছে যেন অতিথি ।
সংখ্যারা এখনো নিয়ন্ত্রাধিন নয় সংখ্যার । আমিতো তো কতোগুলো
সাময়িক সংখ্যাতত্বে ভীর বাড়ানো লোকাল বাস ...
বাসের হাতল ধরে ছুটছি শুধু অপরের পায়ে -পায়ে ;
ছুটে ছুটেই চক্রাকার বিবর্তন , হাতলটাও কালকে ছাড়তে হবে জানি ...
এযাবৎ সংখ্যাতত্বের ভীরে কিছুই পান করিনি ঈশ্বরের মুখ অথবা
নারীর স্তন এমনকি মায়ের আশিস ;
তিল তিল জমানো অনুরাগে ভাস্বর হয়েছে আকাশ গাঙের জল
মুকুলের আম বাগান ,
এক উচাটান , খুঁজছি সধর্মী বন্ধু , নিযুত লক্ষ তারার মাঝে শুধুই
কালপুরুষ আর পতনের দিকের কিছু জ্যোতিষ্কপ্রভা
বিনা নিমন্ত্রণে হয়েছে যেন অতিথি ।
সংখ্যারা এখনো নিয়ন্ত্রাধিন নয় সংখ্যার । আমিতো তো কতোগুলো
সাময়িক সংখ্যাতত্বে ভীর বাড়ানো লোকাল বাস ...
বাসের হাতল ধরে ছুটছি শুধু অপরের পায়ে -পায়ে ;
ছুটে ছুটেই চক্রাকার বিবর্তন , হাতলটাও কালকে ছাড়তে হবে জানি ...
ফিরে এসো বিনয় ---
কত অনুজ্জ্বল নভেশ্চর স্বল্প বিদ্যায় ধানভাঙ্গা গীত গেয়ে
বহিঃরঙ্গে'র মঞ্চে ভ্রুবক প্রতিভা , মননে ভদকা - হাড়িয়ার
বিষে উগ্রে কথন ভাস্বর ত্রিমূর্তিধারী নান্দিক শিল্পী ;
গাছের ছায়াপাতে কপোত- কপোতী প্রেমে নির্বাক শিমুলতলা
গ্রাম , আর ডাইরির খাতা জুড়ে লিখে রেখে জীবনের অভিনয় -
দানের মুল্যে নেই প্রত্যাশার কড়ি - গণ্ডা ।
অনর্গল নালী পথে দূষিত জলের স্রোতে ভেসে গেলে ছিন্ন
পাণ্ডুলিপি হৃদয় বিদারক শোক কৈ ? তোমার ?
কিঞ্চত অনুশোচনা বিহীন প্রভূতবার শরীরের অরন্ধন -
জরাব্যাধি তৃষিত উটের ন্যায় মরুপথে এলে
তোমারই সৃষ্টি ব্যাঙ্গচিত্রের অনুকরণে ব্যাঙ্গ করে ক্লান্ত হলে পরে
ঘুম আসে - ঘুম আসে ঈশ্বর প্রিয় সন্তানের ;
একদিন উঠোনে শুঁকোতে দেওয়া ধানের লোভে ছো মারা
কাকের মতন মরণ এলে তোমার বুকের পাষাণ হালকা হয় ;
কেউ কেউ বা অন্ধ যারা তুলসী পাতা গঙ্গাজল খৈ ছিটিয়ে
পুরনো তোষক গুঁটিয়ে জীবনের আয়েজনে !
বহুত প্রতারকের পুনঃ জন্ম এসেছে স্বেচ্ছাধীন - অনিচ্ছাধীন
শারীরিক বিবর্তনে ;
নারীত্বের প্রবর্তিত বিশ্বাসে এই কবির দ্বিধাহীন ঘোষণা - যদি
পুনঃজন্ম বলে কিছু থেকে থাকে -- তবে
এই স্তনের লালিত্য মাতৃত্বে ফিরে আসুক দ্বিতীয় চাকার রূপকার !
গ্রাম , আর ডাইরির খাতা জুড়ে লিখে রেখে জীবনের অভিনয় -
দানের মুল্যে নেই প্রত্যাশার কড়ি - গণ্ডা ।
অনর্গল নালী পথে দূষিত জলের স্রোতে ভেসে গেলে ছিন্ন
পাণ্ডুলিপি হৃদয় বিদারক শোক কৈ ? তোমার ?
কিঞ্চত অনুশোচনা বিহীন প্রভূতবার শরীরের অরন্ধন -
জরাব্যাধি তৃষিত উটের ন্যায় মরুপথে এলে
তোমারই সৃষ্টি ব্যাঙ্গচিত্রের অনুকরণে ব্যাঙ্গ করে ক্লান্ত হলে পরে
ঘুম আসে - ঘুম আসে ঈশ্বর প্রিয় সন্তানের ;
একদিন উঠোনে শুঁকোতে দেওয়া ধানের লোভে ছো মারা
কাকের মতন মরণ এলে তোমার বুকের পাষাণ হালকা হয় ;
কেউ কেউ বা অন্ধ যারা তুলসী পাতা গঙ্গাজল খৈ ছিটিয়ে
পুরনো তোষক গুঁটিয়ে জীবনের আয়েজনে !
বহুত প্রতারকের পুনঃ জন্ম এসেছে স্বেচ্ছাধীন - অনিচ্ছাধীন
শারীরিক বিবর্তনে ;
নারীত্বের প্রবর্তিত বিশ্বাসে এই কবির দ্বিধাহীন ঘোষণা - যদি
পুনঃজন্ম বলে কিছু থেকে থাকে -- তবে
এই স্তনের লালিত্য মাতৃত্বে ফিরে আসুক দ্বিতীয় চাকার রূপকার !
এও প্রত্যাশী
এসো বৃষ্টি এসো ; এসো বৃষ্টি , তামাম বালির বাঁধ
ভেঙ্গে জল ঢুকে সুশোভন অঙ্গে -- না না তাণ্ডব নয়
নটরাজ করুক নৃত্য । এসো বৃষ্টি এসো ।
গর্হিত অপরাধে দোষী , সময়ের প্রাধান্যহেতু
উৎপীড়নে লেগে থাকা চোখের জলে
বাস্তুচ্যুত আশাগুলো এভাবে লুকিয়ে রাখে যে , সে
মহান শিল্পী , এযাবৎ কল্পিত ঈশ্বর বিশ্বাসে
এক টুকরো পাথরও যেদিন শালগ্রাম শিলার মহিমান্বিত
মর্যাদায় ধূপ ধুনো ফুলের দাম বাড়িয়ে
কিছু ভক্তের উদর পূর্তি করে খুশীতে ডগমগ --
নিদেনপক্ষে দশ হাত কাপড়ে'র হতাশ অভাবে
তোমার লজ্জা তোমার নারীত্ব
কুলসিত তাজ্জব চোখের সামনে ---
ঢের দুর্যোধন অক্ষপক্ষের রাজন্যভাতার প্রতীক্ষায় অন্ধ --
বৃষ্টি তখন এসো । তখন এসো বৃষ্টি ----
বৃষ্টি এসো তখন -- অপরূপ বর্ষণে লজ্জা ঢেকে দিয়ে
তোমার সন্তানেরে রক্ষা কোর ;
এই নিষাদের বাহুল্য জীবন আসবে যাবে উইপোকার
মত উগ্রে বজ্য - বলবে
আর একবার জন্ম দাও , নারীর বুকে মাথা রাখার সময়
দাও অফুরন্ত , আর তুমিও ঈশ্বর --
যাকে শালীনতা ঢাকবার কাপড় দাওনি -- তাকেই , তাকেই
ভোগের জন্য অনন্ত জীবন দিয়ে যাবে !
উৎপীড়নে লেগে থাকা চোখের জলে
বাস্তুচ্যুত আশাগুলো এভাবে লুকিয়ে রাখে যে , সে
মহান শিল্পী , এযাবৎ কল্পিত ঈশ্বর বিশ্বাসে
এক টুকরো পাথরও যেদিন শালগ্রাম শিলার মহিমান্বিত
মর্যাদায় ধূপ ধুনো ফুলের দাম বাড়িয়ে
কিছু ভক্তের উদর পূর্তি করে খুশীতে ডগমগ --
নিদেনপক্ষে দশ হাত কাপড়ে'র হতাশ অভাবে
তোমার লজ্জা তোমার নারীত্ব
কুলসিত তাজ্জব চোখের সামনে ---
ঢের দুর্যোধন অক্ষপক্ষের রাজন্যভাতার প্রতীক্ষায় অন্ধ --
বৃষ্টি তখন এসো । তখন এসো বৃষ্টি ----
বৃষ্টি এসো তখন -- অপরূপ বর্ষণে লজ্জা ঢেকে দিয়ে
তোমার সন্তানেরে রক্ষা কোর ;
এই নিষাদের বাহুল্য জীবন আসবে যাবে উইপোকার
মত উগ্রে বজ্য - বলবে
আর একবার জন্ম দাও , নারীর বুকে মাথা রাখার সময়
দাও অফুরন্ত , আর তুমিও ঈশ্বর --
যাকে শালীনতা ঢাকবার কাপড় দাওনি -- তাকেই , তাকেই
ভোগের জন্য অনন্ত জীবন দিয়ে যাবে !
দৃষ্টিভ্রম
স্বভাববশতঃ কতকিছু ফেলে আসি আমরা
পুরনো ঘর-দোর ক্লিসে হয়ে আসা চিঠিপত্র মাল্যদানের
মালা টোপর , জন্মানো আটচালা আঁতুড় ঘর ।
আসলে স্মৃতি , রোমন্থন ভালোবাসে ,
ঠিকানা বদলে গেলে বলদে গিয়ে অভ্যাস
মায়ের হাসিমুখে তৎকালে প্রাচীনপন্থী অবসাদ ;
কোলের শিশু যিশু সে বোঝেনা অবাক পরিবর্তিত ছবি --
তার গরুর দুধ আছে , নেই অপলক দৃষ্টিতে
গরুর ন্যাজে খ্যাদানো "দাস" এ দের দঙ্গল ।
বিবিধ এই শূন্যস্থান পূরণের অংকে
আজকের বাস্তব কালকে চোখে জল নিয়ে এলে পিতৃদেব
গভীর মনস্তাত্ত্বিক আক্ষেপে ডুবে ভুলে যান হুঁকোর টান ,
এখানেই ভিত পূজন উপনয়ণ- বিবাহের আসর ,
এখানেই সন্তানের জন্ম হ্যাচাকে অন্নপ্রাশন ;
এখানেই ঢের অট্টহাসি অভিমানিত নববধূর মানভঞ্জন ---
গলিত- স্থবিত এক ভবিষ্যৎ এসে দাঁড়ালে একবার
ভেঙে পরে মহানীমের পার্থিব জগত ;
উত্তরসূরির দায় নেই বাঁচানোর তাই দায়িত্বহীন নির্দেশে
এসে কংক্রিট উপ্রে দেয় জটিল শেকড়বাকড় ;
নির্বিষ হয়ে এলে চেতনা -- দৃষ্টিভ্রম !
ঠিকানা বদলে গেলে বলদে গিয়ে অভ্যাস
মায়ের হাসিমুখে তৎকালে প্রাচীনপন্থী অবসাদ ;
কোলের শিশু যিশু সে বোঝেনা অবাক পরিবর্তিত ছবি --
তার গরুর দুধ আছে , নেই অপলক দৃষ্টিতে
গরুর ন্যাজে খ্যাদানো "দাস" এ দের দঙ্গল ।
বিবিধ এই শূন্যস্থান পূরণের অংকে
আজকের বাস্তব কালকে চোখে জল নিয়ে এলে পিতৃদেব
গভীর মনস্তাত্ত্বিক আক্ষেপে ডুবে ভুলে যান হুঁকোর টান ,
এখানেই ভিত পূজন উপনয়ণ- বিবাহের আসর ,
এখানেই সন্তানের জন্ম হ্যাচাকে অন্নপ্রাশন ;
এখানেই ঢের অট্টহাসি অভিমানিত নববধূর মানভঞ্জন ---
গলিত- স্থবিত এক ভবিষ্যৎ এসে দাঁড়ালে একবার
ভেঙে পরে মহানীমের পার্থিব জগত ;
উত্তরসূরির দায় নেই বাঁচানোর তাই দায়িত্বহীন নির্দেশে
এসে কংক্রিট উপ্রে দেয় জটিল শেকড়বাকড় ;
নির্বিষ হয়ে এলে চেতনা -- দৃষ্টিভ্রম !
চতুর্দশপদী
যে ইচ্ছা'রা সাদা বকের ডানায় দিপান্তরি হয়,
এই মখমলে'র উপত্যকায় শতাব্দী প্রাচীন
জড় ভরত হৃদপিণ্ডে যেকোনো মৎস্য কন্যা'র
আলোকরশ্মি চুইয়ে পড়ে , স্থিরবৎ সেই দীর্ঘ
প্রত্যয়ে বিভাবতি প্রোজ্জ্বল মুখে'র গড়নে আদি-
আদিমতম প্রত্যয়ী আগুন , যদিও হিংস্র হাড় -
মাসখোর এই শরীরের বিস্মিত চোখে সমগ্র
মূক পাখি স্বপ্ন সঞ্চারী রাতে'র আকাশ জরিপে ,
সেখানেই নারী'র চিরন্তনী ধ্বজা'য় আকাঙ্ক্ষার
বিষাদ মেঘ অঝোরে ঝরিয়ে দিলে জল নির্বাক
চোখে অনন্ত ক্ষুধা , এসব কায়াহীন শব্দহীন
বলে প্রত্যন্ত হৃদয় সাম্রাজ্যে অনাহুত স্রোতের
নব্য সংস্করণ ; আর তখনি মাঝ দরিয়ায়
পাল উপড়ে ভেঙ্গে পরে হৃদয়ে খচিত বজরা !
প্রত্যয়ে বিভাবতি প্রোজ্জ্বল মুখে'র গড়নে আদি-
আদিমতম প্রত্যয়ী আগুন , যদিও হিংস্র হাড় -
মাসখোর এই শরীরের বিস্মিত চোখে সমগ্র
মূক পাখি স্বপ্ন সঞ্চারী রাতে'র আকাশ জরিপে ,
সেখানেই নারী'র চিরন্তনী ধ্বজা'য় আকাঙ্ক্ষার
বিষাদ মেঘ অঝোরে ঝরিয়ে দিলে জল নির্বাক
চোখে অনন্ত ক্ষুধা , এসব কায়াহীন শব্দহীন
বলে প্রত্যন্ত হৃদয় সাম্রাজ্যে অনাহুত স্রোতের
নব্য সংস্করণ ; আর তখনি মাঝ দরিয়ায়
পাল উপড়ে ভেঙ্গে পরে হৃদয়ে খচিত বজরা !
পুরোহিত দর্পণ এবং ------
নির্জন হয়ে এলে আকাশ ---
এক বেশ্যা চুপিসারে ঢুকে যায় মন্দির গর্ভে ,
বৃদ্ধ পুরোহিত একা আসনে
বেশ্যা বসে ঠিক তার পাশে ;
পাশের নদী গর্ভ থেকে শিরশিরে হাওয়া ব'য়
দেব দাসীরাও ঘুমে অচৈতন্য পাশের ঘরে
কতকাল যেন হয়নি ঘুম ,
বৃদ্ধ উঠে আসেন ধীরপায়ে , কাঠের দরজা বন্ধের শব্দ হয় ,
এই মাত্র লেনদেনের খাতা থেকে চোখ তুলে
স্থির হয় জীবন ----
প্রথম প্রভাতের আগেই বেড়িয়ে আসে বেশ্যা এক
অনাবিল আনন্দে ;
বেশ্যালয়ে এখন প্রতিদিন লোকে লোকারণ্য --
দেওয়ালে টানানো সেই ঈশ্বর হাস্যময় ছবি গুলো শুধু উঠে গেছে --
বেশ্যা সেদিন বুঝে নিয়েছেন পুরোহিতের কাছে ধর্ম
পুরোহিতও একদিন যুবক ছিলেন ---
বেশ্যার মনে পাপ নেই আর ---
পাশের নদী গর্ভ থেকে শিরশিরে হাওয়া ব'য়
দেব দাসীরাও ঘুমে অচৈতন্য পাশের ঘরে
কতকাল যেন হয়নি ঘুম ,
বৃদ্ধ উঠে আসেন ধীরপায়ে , কাঠের দরজা বন্ধের শব্দ হয় ,
এই মাত্র লেনদেনের খাতা থেকে চোখ তুলে
স্থির হয় জীবন ----
প্রথম প্রভাতের আগেই বেড়িয়ে আসে বেশ্যা এক
অনাবিল আনন্দে ;
বেশ্যালয়ে এখন প্রতিদিন লোকে লোকারণ্য --
দেওয়ালে টানানো সেই ঈশ্বর হাস্যময় ছবি গুলো শুধু উঠে গেছে --
বেশ্যা সেদিন বুঝে নিয়েছেন পুরোহিতের কাছে ধর্ম
পুরোহিতও একদিন যুবক ছিলেন ---
বেশ্যার মনে পাপ নেই আর ---
No comments:
Post a Comment