উজ্জ্বল চাকা
বিনম্র ভাবে জানাচ্ছি চলে যেতে দাও , পৈশাচিক
দৃষ্টির অন্তরালে চলে যেতে দাও , যাবজ্জীবন ছাই-ভস্ম মেখে
উত্যক্ত করেছি , তিরের ফলায় বিদ্ধ করেছি করোটি- মজ্জা
তাতেও নেভেনি লোভ , মহাশেকড় উপ্রে খুনি নামে
বাঁচতে পারবো সে বিশ্বাস নেই , মহাফেজখানায়
ঢুঁকে যাবার আগে শেষ খানাতল্লাশি করে নিলে নাও ,
পথ দাও , আর একটুও তিক্ততা নেই ঠোঁটে,
উপনিষদ থেকে এখন অবধি ঢের ক্ষয়েছি বিষাদ কাব্যে -
আর সংক্রমণের ভারে ধপাধপ পতনের শব্দে
চলে যেতে দাও ।
শেষ সুযোগ এবার , এতকাল দু'জন দু'জনার তাজা রক্ত খেয়েছি,
শেষ বেলাই তুই পালিয়ে গেলি
ত্রিশঙ্কু পার্লামেন্টে এখন তোর মূর্ত সাম্রাজ্যবাদ ,
নির্বাচনী ইস্তাহারে তুই মন ভোলাতে জানিস , দ্যাখ , দ্যাখ --- তোর
নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠের দিকে এগিয়ে যেতে যেতে
ভাঙছে আমার প্রতিটি কোণ ,
বোধহয় , অসম দুই কোণে আমি আর তুই
আমাদের ভবিষ্যৎ ,
শোন , পালিয়ে যেতেই হবে আমার ,
শেষবার পালিয়ে যেতে যেতে দেখে যেতে চাই তোর পরাজয় !
চলে যেতে দাও ।
শেষ সুযোগ এবার , এতকাল দু'জন দু'জনার তাজা রক্ত খেয়েছি,
শেষ বেলাই তুই পালিয়ে গেলি
ত্রিশঙ্কু পার্লামেন্টে এখন তোর মূর্ত সাম্রাজ্যবাদ ,
নির্বাচনী ইস্তাহারে তুই মন ভোলাতে জানিস , দ্যাখ , দ্যাখ --- তোর
নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠের দিকে এগিয়ে যেতে যেতে
ভাঙছে আমার প্রতিটি কোণ ,
বোধহয় , অসম দুই কোণে আমি আর তুই
আমাদের ভবিষ্যৎ ,
শোন , পালিয়ে যেতেই হবে আমার ,
শেষবার পালিয়ে যেতে যেতে দেখে যেতে চাই তোর পরাজয় !
বধির
নিরুত্তর ব্যর্থতা ভুলে যাবে ? আত্মচরিত হতে রক্ত খুঁজি
যেন লেগে আছে শ্বাপদ জিহ্বায় হাজার বছর ,
হিংস্র প্রলাপে নৃশংসতা জেগে ওঠে চন্দ্রাহুত রাতে , একমাত্র
শববাহক অশরীরী নপুংসক রাত্রি ভেঙ্গে শান্তি চিতায় গঙ্গা ঢালেন ,
তড়িদাহত সময়ে শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আর বিতর্কিত জতু গৃহে
জ্বলন অনন্ত দগ্ধ হাহাকার ,
এখানে আপেক্ষার সমান্তরাল নেই প্রেম , বিচ্যুতি নক্ষত্রের নিচে
ঘুমানো ঘোড়ার জীনে কে অপলক দৃষ্টি রেখে সঙ্গমের মত্ততায়
বলে সব স্তব্ধ হয়ে যাবে একদিন ?
এসো , এসো সমস্ত কংকাল বোধ , অনির্বাণ প্রশ্বাসের মুখে
গলিত স্থবির প্রতিস্থাপিত শরীর শালীনতার মন্ত্রণায় গলে যাই ?
আপেক্ষার নির্যাসে ধাতু আয়ু ক্ষয়ে ক্ষয়ে পুত্রকল্পে যজ্ঞাগারে
তাবৎ রতি বিভ্রম , মানি কৃত বিশ্বাসে উৎপাদনশীল হাতুড়ে
জন্মানো মেশিনে তির্যক কোণে নিয়ত ভাঙ্গে ঈশ্বরীকলা ।
এখানে আগুনে মুখ রেখে সেই তো শরীর তাপানোর গল্প লেখা হয়
বংশানুক্রমিক লয়ে ।
দূরে কোথাও খোলা চাঁদে কীর্তনভাসে মাঠের অনুমত্যানুসারে --
বলে সব স্তব্ধ হয়ে যাবে একদিন ?
এসো , এসো সমস্ত কংকাল বোধ , অনির্বাণ প্রশ্বাসের মুখে
গলিত স্থবির প্রতিস্থাপিত শরীর শালীনতার মন্ত্রণায় গলে যাই ?
আপেক্ষার নির্যাসে ধাতু আয়ু ক্ষয়ে ক্ষয়ে পুত্রকল্পে যজ্ঞাগারে
তাবৎ রতি বিভ্রম , মানি কৃত বিশ্বাসে উৎপাদনশীল হাতুড়ে
জন্মানো মেশিনে তির্যক কোণে নিয়ত ভাঙ্গে ঈশ্বরীকলা ।
এখানে আগুনে মুখ রেখে সেই তো শরীর তাপানোর গল্প লেখা হয়
বংশানুক্রমিক লয়ে ।
দূরে কোথাও খোলা চাঁদে কীর্তনভাসে মাঠের অনুমত্যানুসারে --
বর্তমান
মনোনীত দুঃখ কে বলি
যেমন র'চেছ তুমি প্রাসাদ সমুদ্র গর্ভে
সহজতর উচ্চারণে আজীবন ;
আত্মগ্লানিতে দেহ নয় পিশাচ জন্ম দেখো আকারন
গলিত শারীরিক সঙ্গমে
নির্বাসিত করেছো , অহংকারে ;
এই বৃষ্টিহীন আগত ভবিষ্যতকে বলি
এসো , এসে চরিত্র উপ্রে দিয়ে ভাসানের দিনে গান লেখো
আগমনীর , নির্বাপিত জীবনের কাছে সময়ের দীর্ঘ প্রত্যাশার প্রত্যয়ে
গাঢ়তর হোক যন্ত্রণা ,
আমার ঋণের নির্যাসে
আগামীর কালাব্যাধির দেশন্তরী নির্দেশ লেখা হোক ।
এসো , এসে চরিত্র উপ্রে দিয়ে ভাসানের দিনে গান লেখো
আগমনীর , নির্বাপিত জীবনের কাছে সময়ের দীর্ঘ প্রত্যাশার প্রত্যয়ে
গাঢ়তর হোক যন্ত্রণা ,
আমার ঋণের নির্যাসে
আগামীর কালাব্যাধির দেশন্তরী নির্দেশ লেখা হোক ।
সূচনা পর্ব
এই বর্ষা অন্য কিছু লিখে গেছে হাওয়াই , নাম , জানিনা
তার পরিচয় , জন্মান্ধ বিশ্বাসে সে এসেই পড়েছে ,
অন্ধকার পথ আসে নির্জন একা , তার মুখে চুমু খাই -
হেসে উঠি , তার ছোট্ট আঙুল খুঁজি - আমার হাতুড়ি শাবলের
করতলে রাখি তার হাত , অভিমানে বলি তারে ভালোবাসি ,
ভালোবাসি আমি তোকে সর্বোত্তম উত্তাপে , সে ভাষা বোঝে না ,
এই তিমির কালেই যদিও তার আবির্ভাব ,
আমিও সেসব ভুলে গিয়ে জঠরে কান পাতি , শ্বাসের শব্দে
শব্দে
বৃষ্টি নামে টালি চালে , ধুয়ে যাই গাছের পাতা শালিকের নীড় ।
বন হতে বনান্তরে পাখির পালকে উড়বার স্বাধীনতা , আর
ঈশ্বরের অভয়ারণ্যে এসে দীপ্ত ঘোষণা ক'রে সে জীবন
এসেছি দীর্ঘ পথ পেরিয়ে , এসেছি সর্বাত্মক ডাকে মাতৃত্বের ,
প্রবাহমান শুকতারা স্মৃতি ধরে রাখে পিতৃত্বের আবহমান
প্রেমের জন্ম দাগের , দীন পরিচয়ে শঙ্কিত হৃদয় এক মোলায়ম
সন্ধ্যায় ভুলে গিয়ে দৈন্যতা হেসে ওঠে , হেসে ওঠে
অবিকল ঈশ্বরের অনুরূপে , নিজেকে ঈশ্বর ভেবে ।
বৃষ্টি নামে টালি চালে , ধুয়ে যাই গাছের পাতা শালিকের নীড় ।
বন হতে বনান্তরে পাখির পালকে উড়বার স্বাধীনতা , আর
ঈশ্বরের অভয়ারণ্যে এসে দীপ্ত ঘোষণা ক'রে সে জীবন
এসেছি দীর্ঘ পথ পেরিয়ে , এসেছি সর্বাত্মক ডাকে মাতৃত্বের ,
প্রবাহমান শুকতারা স্মৃতি ধরে রাখে পিতৃত্বের আবহমান
প্রেমের জন্ম দাগের , দীন পরিচয়ে শঙ্কিত হৃদয় এক মোলায়ম
সন্ধ্যায় ভুলে গিয়ে দৈন্যতা হেসে ওঠে , হেসে ওঠে
অবিকল ঈশ্বরের অনুরূপে , নিজেকে ঈশ্বর ভেবে ।
অ১
মাস্তুলে বসে থাকা পাখি
ঢেউ গুনে নিল
এদিকে নামলো গোধূলি
বুঝি ভোর হয় কোনখানে
ফজরে ফজরে
অ২
বনস্পতি ছাই রেখে গেল স্মৃতিতে
মাটিতে বিলীন মাটি
যে সব জন্ম বলো
সারি সারি কবরের ভূমি
মাটি জন্ম মৃত্যু মাখামাখি
গ্রহনে অপ্রাগ
কতটুকু নেবে তুমি এ চেনা-অচেনা রঙ্গভূমি
দিতে পারি হৃদয়ের উষ্ণতা সমস্ত ভাটিয়ালি ।
কোন ইতিহাস নেই ব্যাঙ্ক লকারের স্বাদু গন্ধ ,
বিক্ষিপ্ত মঞ্চে আলোয় ক্ষণিকের স্বপ্ন , দ্যাখ লীলা
লেখা থাকে তাদের পরম্পরা , চারিদেকে চতুর
প্রেমের ভ্রুকুটি জ্বালাময়ী তেজে দেহের অধিক
আর কতই বা জ্বালাবে তুমি , বল ? সে বিপণন
নিঃস্ব যেদিন অথবা পণ্যে অন্য হাত,ভুলভ্রান্তি
যেসব ভাষা শেখাবে তুমি ? রাত জাগা চোখে ঘুম
ঘোড়ে প্রলাপ বকলে - আমি জানিয়ে দেবো নারীত্বে
আছি , নির্দ্বিধায় এসে আবৃত করো শরীর দোহে
মিতালী সঙ্গম করো গর্বিত অহংকার ভেঙ্গে
এ আমার জিত নয় পুরুষ নারীত্বের নিয়তি -
অভিমান আছে আহত হরিণীর নিষাদ বনে
ঘোড়ে প্রলাপ বকলে - আমি জানিয়ে দেবো নারীত্বে
আছি , নির্দ্বিধায় এসে আবৃত করো শরীর দোহে
মিতালী সঙ্গম করো গর্বিত অহংকার ভেঙ্গে
এ আমার জিত নয় পুরুষ নারীত্বের নিয়তি -
অভিমান আছে আহত হরিণীর নিষাদ বনে
এই শতকের গান
এই ঘূর্ণি সামাল দেবার নয় , চূর্ণবিচূর্ণ প্রেমিক নগর
চেনা- অচেনা সন্ধ্যা ছটফট অভিমান ঝাঁঝালো শরীরে
ভীতু মনের ভেতর দিয়ে শিরদাঁড়া ভাঙছে এই ঘূর্ণি ।
ভেসে যাচ্ছে উবে যাচ্ছে সমস্ত মেনুফেস্ট
কচ্ছপের মাথা ঢুকছে বেরোচ্ছে
সর্পিণী সঙ্গম রাহুগ্রস্থ চন্দ্রিমা শঙ্কিত বিভ্রমে
ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতম হয়ে আসা হাতের পাঞ্জা কোন শক্তিতে
ধরে রাখবে এই বাখারি ? তার
উশৃঙ্খল মেধ যা সমন্বয় রেখেছিল আমার চোখের সঙ্গে
তীব্র আবেগে , আজ আগুন , দিকে দিকে দগ্ধতার বারোমাস
কুটিল ষড়যন্ত্র , পাশাপাশি পাশার নিমন্ত্রণ
রোজ রোজ আবেগতারিত জনসভা লাইভ টক সো
ঘূর্ণিতে ভাঙছে সময়ের মানচিত্র ,
এও উত্তাল কাপালিক কাল , শ্মশান ছাই বিষণ্ণ আগুনের মুখে
আমার একুশ , আমাদের একুশ শতক
শতহস্ত দূরে থাকো প্রেমিক
রক্ত সংবহনে কামসূত্র জাগিয়ে রাখো বিষ দাঁতের অন্তরালে ,
তন্ময় হও বিভোর হও শরীরে শরীরে
এই দশকের ষড়যন্ত্রী রিপু , এই শতক স্বপ্ন ও সমাধি ।
তীব্র আবেগে , আজ আগুন , দিকে দিকে দগ্ধতার বারোমাস
কুটিল ষড়যন্ত্র , পাশাপাশি পাশার নিমন্ত্রণ
রোজ রোজ আবেগতারিত জনসভা লাইভ টক সো
ঘূর্ণিতে ভাঙছে সময়ের মানচিত্র ,
এও উত্তাল কাপালিক কাল , শ্মশান ছাই বিষণ্ণ আগুনের মুখে
আমার একুশ , আমাদের একুশ শতক
শতহস্ত দূরে থাকো প্রেমিক
রক্ত সংবহনে কামসূত্র জাগিয়ে রাখো বিষ দাঁতের অন্তরালে ,
তন্ময় হও বিভোর হও শরীরে শরীরে
এই দশকের ষড়যন্ত্রী রিপু , এই শতক স্বপ্ন ও সমাধি ।
সম্ভবপর
সমস্ত দৃষ্টি বিভ্রম আয়ু পথ খোঁজে অজান্তেই ,
সম্ভবপরের জন্য সমস্ত সম্ভবনার পথ বাঁচিয়ে রাখতে হয়
জীবনের প্রয়োজনে , শিল্পীরা বলেন শিল্প !
তাবৎ ভবিষ্যৎ নিয়ে বর্তমানের কুঠিতে
আলোর সুর শেখো ;
ধমনীতে পুরুষানুক্রমী রক্ত প্রবাহে জিনের নিগূঢ় অবসাদ
যা আমার নয় তার ভাগ পেয়ে
জানি খুশী নই , অনিবার্য আগুন সময়ের সামনে দাঁড়িয়ে
শোক ভোল , লীন হতে শিখে নাও নিজের আত্মজে ,
সময়ের প্রবঞ্চনায় যা কিছু কুলসিত স্বপ্ন মায়া প্রেম
তিথি নক্ষত্র বদলের মত এরাও একদিন
কোন একদিন বিলীনের চিত্র আঁকে পটে , যেন হাজার
রাতের মাঝে প্রথম প্রভাত , তুমিও লুটে নাও সূর্যের রঙ
আর এই অনুভূতির প্রভাত রাখো অনন্ত কাল বাঁচিয়ে ।
একবার সমস্ত পথ তাদের ভুল যাত্রাপথ ভেবে থামে , এবং
পুনরায় ফিরে আসে চেনা পথে ভালোবেসে সত্য শাশ্বত
সনাতনী বিশ্বাসে , সম্ভবপর চিরকালীন বিশ্বাসের জন্ম কুঠির -
যে মর্যাদায় ধান পাকে , সেই বিশ্বাসে তোমার হৃদয় ঈশ্বরের ঘর ।
সময়ের প্রবঞ্চনায় যা কিছু কুলসিত স্বপ্ন মায়া প্রেম
তিথি নক্ষত্র বদলের মত এরাও একদিন
কোন একদিন বিলীনের চিত্র আঁকে পটে , যেন হাজার
রাতের মাঝে প্রথম প্রভাত , তুমিও লুটে নাও সূর্যের রঙ
আর এই অনুভূতির প্রভাত রাখো অনন্ত কাল বাঁচিয়ে ।
একবার সমস্ত পথ তাদের ভুল যাত্রাপথ ভেবে থামে , এবং
পুনরায় ফিরে আসে চেনা পথে ভালোবেসে সত্য শাশ্বত
সনাতনী বিশ্বাসে , সম্ভবপর চিরকালীন বিশ্বাসের জন্ম কুঠির -
যে মর্যাদায় ধান পাকে , সেই বিশ্বাসে তোমার হৃদয় ঈশ্বরের ঘর ।
রাহুকাল
পুরনো প্রেমিকার ঠোঁটে চুক চুক শব্দ করে চুমু খাই ,
ঠোঁটে লেগে থেকে আঠালো থুথু ,
আমাদের প্রাগৈতিহাসিক রাত্রি পাথরে সহবাস সন্তান উৎপাদন
সব কিছুই কেমন নিষিদ্ধতার আবহে ম্লান ,
কিঞ্চিৎ জন্ম আর ছয় পাউণ্ড শরীর নিয়ে প্রাদুর্ভাব কালে
জীবনের সমস্ত ব্যর্থ প্রয়াসের লেখচিত্র পর্যায়ক্রমে
পথ ক'রে দেয় ,
এর পর খেটে খাওয়া স্বপ্নরা রাতের রঙমহল মিনাবাজারে
প্লাটফর্ম গুমটি থেকে তুলে নিয়ে স্বাদ পরী ,
এক হাতে পৃথিবী রেখে অন্য হাতে রাখে সম্ভোগ !
এইরূপ পৃথিবীর বেচাকেনা , রথের মেলা , পার্বণ ,
অরন্ধন , জাতিয় শোক এলে
সমস্ত দিন বোধহয় একা একা রূপ বেচে ক্লান্ত হ'লে
পৃথিবীতে রাত নামে , আর এই সব শোকের ছবি
কামারশালার হাপরের টানে জ্বলতে থাকে ,
আমিও রাত চিনি , প্রাচীন রাতের শিকারি
সমস্ত প্রেমিকার ঠোঁটে চুমু খেতে খেতে ক্লান্ত যেবার
ভয়ানক প্রাচ্ছাবের বেগ ,
সমস্ত সৃষ্টি গর্ভ তাকিয়ে থাকে কামনিয় ঈশারায় ,
বুঝিনা সেসব , ইউরিন খালাস হতে হতে
শুনি মঙ্গল শঙ্খধ্বনি , সৃষ্টি নবরূপে , আমার পতনে ।
এক হাতে পৃথিবী রেখে অন্য হাতে রাখে সম্ভোগ !
এইরূপ পৃথিবীর বেচাকেনা , রথের মেলা , পার্বণ ,
অরন্ধন , জাতিয় শোক এলে
সমস্ত দিন বোধহয় একা একা রূপ বেচে ক্লান্ত হ'লে
পৃথিবীতে রাত নামে , আর এই সব শোকের ছবি
কামারশালার হাপরের টানে জ্বলতে থাকে ,
আমিও রাত চিনি , প্রাচীন রাতের শিকারি
সমস্ত প্রেমিকার ঠোঁটে চুমু খেতে খেতে ক্লান্ত যেবার
ভয়ানক প্রাচ্ছাবের বেগ ,
সমস্ত সৃষ্টি গর্ভ তাকিয়ে থাকে কামনিয় ঈশারায় ,
বুঝিনা সেসব , ইউরিন খালাস হতে হতে
শুনি মঙ্গল শঙ্খধ্বনি , সৃষ্টি নবরূপে , আমার পতনে ।
ভগ্নস্তুপ
ধরে রাখতে গিয়ে দেখেছি
পড়ে গেছে চালুনি থেকে সর্ষে দানার মত ছোট ছোট সময় ,
আর অসহ্য তারুণ্য নিয়ে সমস্ত উত্থান - পতন
যাপন বিস্তার করে যেবার স্থির , তখন , চতুর্দিকে প্রভূত ঝড় উঠেছে
উপ্রে গেছে মহারুহু শেকড় , যার
শাখা- প্রশাখা বাঁকলে ঝড়ের স্মৃতি ।
কখনও দোষারোফ করিনি
জন্ম - পুনর্জন্ম , রাতের নেশাতুর কলা থেকে যে বৈভব ঝোরে পড়ে,
অট্টালিকার চতুরকোণ সূর্য ঢেকে দিলে
নমনীয় ঝিঁঝিঁর ডাকে কোমল সন্ধ্যায় , অথবা
ল্যাম্পপোস্ট নিয়ন বাতি -- আলো- আঁধার
ক্রুশবিদ্ধ যীশু দেওয়ালে পাশাপাশি পেন্ডুলাম ঘড়ি , দিন মাপে --
সমস্ত নোনা মাটির দাওয়ায় শীতলপাটি , রাধিকার
মান - অভিমান ------
সমগ্র স্বপ্নের আনাগোনা
সমস্ত গুণীরা যে নেশা ছড়িয়ে রাখে এখানে ওখানে --
তাদের তো দোষারোফ করিনি আমি ।
বদলের ঘোড়ার পিঠে চড়ে
দিন বদলের গান মাঠ পেড়িয়ে রোদ ভাঙ্গে ,
কতোসব মুহূর্তরা অতীত হতে বর্তমানে , আর বর্তমানের মুহূর্তটা
একদিন দরজার কড়া নেরে ক্লান্ত হয়ে ফিরে যাওয়ার পথে
চিলের ছোঁ মারার মত বৃষ্টি নামে
দুপুর থেকে অপরাহ্ণ থেকে সাঁঝের নব্যতায় ছেঁড়া চোখে অপূরণীয়
দৃষ্টিতে ধরে রাখতে গিয়ে দেখি
যবনিকা পতনের দৃশ্য আঁকছে রাত্রি ।
সমস্ত দায়ভার নিয়ে সময়ের গ্রন্থিতে গ্রন্থিতে শ্মশানের শোক বার্তা ,
সমস্ত দিন ধরে আগুনের শোকাতুর হরি সঙ্গীত গেয়ে চলে
বিরামহীন আগুনের সন্তান ,
সময়কে ধরে রাখা হাতে অনাহুত বর্গীর ন্যায় অনায়াসে
তলোয়ার উঁচিয়ে ধেয়ে আসে পতনের সম্রাট ,
তির্যক দৃষ্টিতে প্রতিরোধ গড়ি মরা ঘাসের উপর শুয়ে থেকে -
মরণের আগে অথবা মরণের পড়ের চরিত্ররা
ধান বোনে পিত মাটিয়ে
তার নবান্নের স্বাদ গেল না মরণে -জন্মে -- মরতে মরতে ,
পরাধীন নয় শরীর , অথচ বর্ণের কাছে স্বচ্ছ জলের কাছে
কি প্রত্যাশায় না রাখে ,
কাঠ কয়লা উনুনে ভাতের হাড়ি লাল আলু জ্বলতে থাকে
আর মুহূর্তেই খিদেরা অনায়াসে
প্রতিষ্ঠানের মোহে ধান ভাণে শিবের গীত গেয়ে
লাল নীল নিশানার দিকে ভয়শূন্য দৌড় ।
কিচ্ছু ধরে রাখিনি আমি , আমার ধরে রাখার না রাখার মুহূর্তের পড় থেকে
শুরু হয় নিয়মতান্ত্রিক সমাজ , প্রেম , বিরহ
শহীদ বেদীর রক্ত গোলাপের স্মৃতিসৌধ ;
যা কিছু সমসাময়িক অথবা নিলামের ঘর পশুখামার রাজদম্ভ
দণ্ডকৃত আসামী , ফরিয়াদি , বনেদী গৃহ শয্যা নিজে আস্ত সাম্রাজ্য
আলোতে সমুজ্জ্বল প্রবাহিত আলকানন্দা
অট্টালিকার চতুরকোণ সূর্য ঢেকে দিলে
নমনীয় ঝিঁঝিঁর ডাকে কোমল সন্ধ্যায় , অথবা
ল্যাম্পপোস্ট নিয়ন বাতি -- আলো- আঁধার
ক্রুশবিদ্ধ যীশু দেওয়ালে পাশাপাশি পেন্ডুলাম ঘড়ি , দিন মাপে --
সমস্ত নোনা মাটির দাওয়ায় শীতলপাটি , রাধিকার
মান - অভিমান ------
সমগ্র স্বপ্নের আনাগোনা
সমস্ত গুণীরা যে নেশা ছড়িয়ে রাখে এখানে ওখানে --
তাদের তো দোষারোফ করিনি আমি ।
বদলের ঘোড়ার পিঠে চড়ে
দিন বদলের গান মাঠ পেড়িয়ে রোদ ভাঙ্গে ,
কতোসব মুহূর্তরা অতীত হতে বর্তমানে , আর বর্তমানের মুহূর্তটা
একদিন দরজার কড়া নেরে ক্লান্ত হয়ে ফিরে যাওয়ার পথে
চিলের ছোঁ মারার মত বৃষ্টি নামে
দুপুর থেকে অপরাহ্ণ থেকে সাঁঝের নব্যতায় ছেঁড়া চোখে অপূরণীয়
দৃষ্টিতে ধরে রাখতে গিয়ে দেখি
যবনিকা পতনের দৃশ্য আঁকছে রাত্রি ।
সমস্ত দায়ভার নিয়ে সময়ের গ্রন্থিতে গ্রন্থিতে শ্মশানের শোক বার্তা ,
সমস্ত দিন ধরে আগুনের শোকাতুর হরি সঙ্গীত গেয়ে চলে
বিরামহীন আগুনের সন্তান ,
সময়কে ধরে রাখা হাতে অনাহুত বর্গীর ন্যায় অনায়াসে
তলোয়ার উঁচিয়ে ধেয়ে আসে পতনের সম্রাট ,
তির্যক দৃষ্টিতে প্রতিরোধ গড়ি মরা ঘাসের উপর শুয়ে থেকে -
মরণের আগে অথবা মরণের পড়ের চরিত্ররা
ধান বোনে পিত মাটিয়ে
তার নবান্নের স্বাদ গেল না মরণে -জন্মে -- মরতে মরতে ,
পরাধীন নয় শরীর , অথচ বর্ণের কাছে স্বচ্ছ জলের কাছে
কি প্রত্যাশায় না রাখে ,
কাঠ কয়লা উনুনে ভাতের হাড়ি লাল আলু জ্বলতে থাকে
আর মুহূর্তেই খিদেরা অনায়াসে
প্রতিষ্ঠানের মোহে ধান ভাণে শিবের গীত গেয়ে
লাল নীল নিশানার দিকে ভয়শূন্য দৌড় ।
কিচ্ছু ধরে রাখিনি আমি , আমার ধরে রাখার না রাখার মুহূর্তের পড় থেকে
শুরু হয় নিয়মতান্ত্রিক সমাজ , প্রেম , বিরহ
শহীদ বেদীর রক্ত গোলাপের স্মৃতিসৌধ ;
যা কিছু সমসাময়িক অথবা নিলামের ঘর পশুখামার রাজদম্ভ
দণ্ডকৃত আসামী , ফরিয়াদি , বনেদী গৃহ শয্যা নিজে আস্ত সাম্রাজ্য
আলোতে সমুজ্জ্বল প্রবাহিত আলকানন্দা
প্রত্যাশার পারদে তামার ঐতিহ্যময় আমিও উড়ে গেলে ঝড়ে
এখানে পড়ে পড়ে থাকে মহেঞ্জোদারোর ভগ্নস্তুপ ।
No comments:
Post a Comment