সপ্তসুর রমণকলা
সহসা উদিত নক্ষত্রলোকে কি রোমাঞ্চ রয়ে গেছে ;
মুখের ভাষার ভেতর আলজিহবা শেষে অফুরন্ত
কামনা জমা আছে স্পন্দিত রক্ত সংবহনে ,
বন্দিত পুরুষ বোঝনি তুমি নৈশলোকে দেহ নেমেছে
খাতের কিনারায় , রক্তিম হয়ে উঠেছে ফল গাঢ়
অনুরাগে , সর্পিনী মত বেঁকে ছুটতে চাইছে অভিমান
শীত কাঁপে তৃষিত আঙ্গুলের ফাঁকে গলে মোম ।
ঘুমন্ত শরীরের ওপর দিয়ে অনিবার্য সেই অঙ্গার সপ্তসুর
লয় ভুলে মেধাবী পারদর্শিতায় দাবানল সৃষ্টি ক'রে --
পাশে শিশু কেঁদে ওঠেন নির্মল বাস্তবতায় সারারাত
বৃষ্টি টিনের চালে নেচে গেলে ------
তুমিও অবকাশে একে বিরহ বল - বল সমস্ত অপূরণীয়
ক্ষতি মিটিয়ে দেবে প্রেম ?
অজ্ঞানতায় পরম্পরায় ঠোঁটের সঙ্গে ঠোঁট আদিম থেকে
মৃদু এই সমস্ত ক্ষারের অনুভব শেষ হলে
সাগর ঢেউ এর প্রশান্তির মত অনাগত এক ভবিষ্যৎ
খেলা করে রক্তের সাথে অন্তরের একাকীত্বের সাথে ।
খাতের কিনারায় , রক্তিম হয়ে উঠেছে ফল গাঢ়
অনুরাগে , সর্পিনী মত বেঁকে ছুটতে চাইছে অভিমান
শীত কাঁপে তৃষিত আঙ্গুলের ফাঁকে গলে মোম ।
ঘুমন্ত শরীরের ওপর দিয়ে অনিবার্য সেই অঙ্গার সপ্তসুর
লয় ভুলে মেধাবী পারদর্শিতায় দাবানল সৃষ্টি ক'রে --
পাশে শিশু কেঁদে ওঠেন নির্মল বাস্তবতায় সারারাত
বৃষ্টি টিনের চালে নেচে গেলে ------
তুমিও অবকাশে একে বিরহ বল - বল সমস্ত অপূরণীয়
ক্ষতি মিটিয়ে দেবে প্রেম ?
অজ্ঞানতায় পরম্পরায় ঠোঁটের সঙ্গে ঠোঁট আদিম থেকে
মৃদু এই সমস্ত ক্ষারের অনুভব শেষ হলে
সাগর ঢেউ এর প্রশান্তির মত অনাগত এক ভবিষ্যৎ
খেলা করে রক্তের সাথে অন্তরের একাকীত্বের সাথে ।
ভয়হীন
ফিরে এসো ফুল হ'য়ে নিমেষেই সব অভিমান
পাঁচনের মত গলাধঃকরণ ক'রে নেবো ক্রমশ
গভীর তৃষ্ণা ভুলে তোমার সৌগন্ধ আবিষ্কারে হবো লীন ।
অনেক দেখেছি আমি মরণের কিছু আগে জেনেছি
বিষ কাকে বলে বা তিতিক্ষায় থেকে বিদীর্ণ হৃদয়ের
সমূলে উৎপাটন কাকে বলে নীলকণ্ঠ হলহলের তীব্রতা !
মহাশূন্য অসীমের উপর মহাজাগতিক শূন্যতা সেখানে
হরিদ্রাভ ব্যথা নিয়ে দেখি যাবতীয় পতনের দৃশ্য ।
ভেঙ্গে পড়া শ্বাসের উপর দিয়ে দুরন্ত মৌমাছি মধু আহরণ
এই নগ্ন রোগশয্যার চারপাশে ঘিরে রেখে তামার বৃষ্টি
এক যুবতী যুবতী গন্ধ ছড়িয়ে যায় , দেখি জানালার ফাঁক
গলে একাদশীর লুটোপুটি জ্যোৎস্না কাদের আশ্রয় দিয়ে
ফিরে যাই নির্মোহি অহংকারে ।
এইরকম ব্যথাতুর মুগ্ধতা রেখে যাও কেন গর্বিত হৃদয়ে
তুমি , মায়া , এসো , এসো আজ গান হ'বো
চিরন্তন ছবি আঁকা হ'বে অন্তরে আর অজস্র বছর
শিউলি সুবাসে প্রভাতের বিশুদ্ধ দেশ হ'বে ভয়হীন মুখের
অবয়বে হৃদয় মেপে দেখো পৃথিবীর সমান
বিষ কাকে বলে বা তিতিক্ষায় থেকে বিদীর্ণ হৃদয়ের
সমূলে উৎপাটন কাকে বলে নীলকণ্ঠ হলহলের তীব্রতা !
মহাশূন্য অসীমের উপর মহাজাগতিক শূন্যতা সেখানে
হরিদ্রাভ ব্যথা নিয়ে দেখি যাবতীয় পতনের দৃশ্য ।
ভেঙ্গে পড়া শ্বাসের উপর দিয়ে দুরন্ত মৌমাছি মধু আহরণ
এই নগ্ন রোগশয্যার চারপাশে ঘিরে রেখে তামার বৃষ্টি
এক যুবতী যুবতী গন্ধ ছড়িয়ে যায় , দেখি জানালার ফাঁক
গলে একাদশীর লুটোপুটি জ্যোৎস্না কাদের আশ্রয় দিয়ে
ফিরে যাই নির্মোহি অহংকারে ।
এইরকম ব্যথাতুর মুগ্ধতা রেখে যাও কেন গর্বিত হৃদয়ে
তুমি , মায়া , এসো , এসো আজ গান হ'বো
চিরন্তন ছবি আঁকা হ'বে অন্তরে আর অজস্র বছর
শিউলি সুবাসে প্রভাতের বিশুদ্ধ দেশ হ'বে ভয়হীন মুখের
অবয়বে হৃদয় মেপে দেখো পৃথিবীর সমান
একটা ছোট গল্প
একটা লাইন ধরে লাল পিঁপড়ে চলছেন সার বেঁধে জারি গান গাইতে গাইতে , পিঠে তাদের শরীরের চেয়ে পাঁচগুন বেশী বোঝা । এই দৃশ্য দেখে এক কিশোর পাঁচমনি হাম্বার তুলে নিলেন - পৃথিবীর বাইরে ফেলবেন বলে ----------
জনাকীর্ণ এক দীঘি প্রান্তরে কিছু রাখাল আবিস্কার করলেন গলিত স্থবির এক শব , কেউ চিনতে পারলেন না -------
এই দৃশ্য দেখে যে সব রাখালে মন খারাপ হয়ে গেল তারা আর ঘরে ফিরল না , ঐ সেই যেদিকে বোধিবৃক্ষ ক্রুশ অমরাবতী ঘাট সেদিকে গেলেন ---
আর যারা শোকতাপ বিহীন বাঁশি বাঁজাতে বাঁজাতে ধুলো উড়িয়ে ঘরে ফিরলেন তারা আমার বাবা হন , এত্তদিন পড়ে জানলাম !
আমার বাবা'রা একদিন মরে গেলেন -- আমার খুব দুঃখ হল দেখি সেই রাখাল বালক'রা সূর্য পেছনে ফেলে ফিরছেন ঘরে ।
আর যারা শোকতাপ বিহীন বাঁশি বাঁজাতে বাঁজাতে ধুলো উড়িয়ে ঘরে ফিরলেন তারা আমার বাবা হন , এত্তদিন পড়ে জানলাম !
আমার বাবা'রা একদিন মরে গেলেন -- আমার খুব দুঃখ হল দেখি সেই রাখাল বালক'রা সূর্য পেছনে ফেলে ফিরছেন ঘরে ।
পলায়নরত
এক মাস ওমে রেখে হাঁস মুরগি ! ডিম ভাঙে ;
গাঢ় হলুদ থেকে সেই মুরগি প্রজাতি ।
এভাবেই চরম উষ্ণতায় সৃষ্টি ---
পৃথিবীতে চ'ড়ে কিছুকাল পৌনঃপুনিক শীতলতায়
ফিরে যাই ;
এভাবেই বুঝিয়েছিল সেদিন সন্ন্যাসী ,
সেদিন গাছে'র কাছে নিয়ে যান সন্ন্যাসী , প্রধান এবং
শেষ তুরুপে বলিষ্ঠ আঙ্গুল চেপে ধরেন
গৃহস্ত কলা ভেঙ্গে গাঢ় উচ্চরনে বলেন
'গাছেদের তুরুপ নেই বলে অনন্তকাল ---
জীবনের দিকে '
চরম অজ্ঞের মত চেয়ে থেকে সন্ন্যাসী মুখ খুঁজি --
রক্তিম মুখে পালানোর পথ খুঁজি মরণের আগে
ফিরে যাই ;
এভাবেই বুঝিয়েছিল সেদিন সন্ন্যাসী ,
সেদিন গাছে'র কাছে নিয়ে যান সন্ন্যাসী , প্রধান এবং
শেষ তুরুপে বলিষ্ঠ আঙ্গুল চেপে ধরেন
গৃহস্ত কলা ভেঙ্গে গাঢ় উচ্চরনে বলেন
'গাছেদের তুরুপ নেই বলে অনন্তকাল ---
জীবনের দিকে '
চরম অজ্ঞের মত চেয়ে থেকে সন্ন্যাসী মুখ খুঁজি --
রক্তিম মুখে পালানোর পথ খুঁজি মরণের আগে
সমাধি
এখানে এই জল-বাতাসে অস্তিত্ব বিহীন শিশির রাত
নাগরিক কান্নায় ঘুম এলে একসময় আর্ট ফ্লিল্মের আঙ্গিকে
চোখের পর্দায় স্বপ্ন আসে - যদি বলি সেকথা
একুরিয়ামের মাছের ন্যায় বন্দীদশা সর্বনাশ লিখে গেলে
হা-হুতাস টিমটিম লণ্ঠনের অভুরুপি জ্বলে থাকে , যদিও ---
অজ গাঁয়ে জন্ম , দিনের আলোতে রবিন খুড়ো'র দাম্পত্য
কলহ শ্যামলী বঁধুর কাঁখে কলশি গল্পে পরকীয়া মধু
শাদা হাঁসের ডানায় রোদের সমুদ্র সফর --
আহাঃ এমন একটা দিন দীর্ঘ হোক !
বাঁশঝাড়ে শেষ সূর্য ডুবে গেলে ঝিঁঝিঁ বর্ষার অবগাহনে
ঝুঁকে পড়া পাতা টুপটুপ ঝরে জল , আর ঐ দূরে শাদা শাদা
পেত বুড়ীর উড়ন্ত আঁচল - গলাগলি সব অধার্মিক আত্মা'র
রাতচাপা গোঙ্গানো স্বর এই শেষ রাতের জ্যোৎস্নায় পরস্পর
ঘন সঙ্ঘবদ্ধ - জীবন ভেঙ্গে সেই সমস্ত অন্ধকার প্রত্যাশী সন্তান
জেগে থাকে ফজরের আগে পর্যন্ত ;
ঐ তো আম গাছের পাশে শুয়ে আছেন বাবা দীর্ঘ বারো বছর
চুপি চুপি শাশ্বত ঘুমে , আর সাথি পাখি গুলো করুণ সুরে
গান গেয়ে ঘুম ভাঙাচ্ছেন বাবার , যেহেতু ওরা বাবার সাথি - সেহেতু
আমি রোজ কাছে ডাকি , গমের দানা ছিটিয়ে দিতে দিতে ভাবি
বেঁচে থাক তোরা - একদিন আমারও সন্তান ছড়িয়ে
এইভাবেই দানা । বাবাও উঠে গেলেন গান শুনে --
পিঠে নাঙল তুলে মংলা-বুধো কে তাড়াচ্ছেন মুখে চক চক শব্দ করে ।
এই সব দৃশ্যকল্পের জন্ম হলে রাত জাগা প্যাঁচার অনুকরণে
গভীর ঘুম আসে , গা ছমছম এই সমস্ত ঐতিহ্য গুছিয়ে রাখতে
রাখতে কানে এসে পৌঁছায় জেসপের সাইরেন ,
সমস্ত কাজ পণ্ড হয় , ভালোবাসার এই সমস্ত সরল সমাধি
হা-হুতাস টিমটিম লণ্ঠনের অভুরুপি জ্বলে থাকে , যদিও ---
অজ গাঁয়ে জন্ম , দিনের আলোতে রবিন খুড়ো'র দাম্পত্য
কলহ শ্যামলী বঁধুর কাঁখে কলশি গল্পে পরকীয়া মধু
শাদা হাঁসের ডানায় রোদের সমুদ্র সফর --
আহাঃ এমন একটা দিন দীর্ঘ হোক !
বাঁশঝাড়ে শেষ সূর্য ডুবে গেলে ঝিঁঝিঁ বর্ষার অবগাহনে
ঝুঁকে পড়া পাতা টুপটুপ ঝরে জল , আর ঐ দূরে শাদা শাদা
পেত বুড়ীর উড়ন্ত আঁচল - গলাগলি সব অধার্মিক আত্মা'র
রাতচাপা গোঙ্গানো স্বর এই শেষ রাতের জ্যোৎস্নায় পরস্পর
ঘন সঙ্ঘবদ্ধ - জীবন ভেঙ্গে সেই সমস্ত অন্ধকার প্রত্যাশী সন্তান
জেগে থাকে ফজরের আগে পর্যন্ত ;
ঐ তো আম গাছের পাশে শুয়ে আছেন বাবা দীর্ঘ বারো বছর
চুপি চুপি শাশ্বত ঘুমে , আর সাথি পাখি গুলো করুণ সুরে
গান গেয়ে ঘুম ভাঙাচ্ছেন বাবার , যেহেতু ওরা বাবার সাথি - সেহেতু
আমি রোজ কাছে ডাকি , গমের দানা ছিটিয়ে দিতে দিতে ভাবি
বেঁচে থাক তোরা - একদিন আমারও সন্তান ছড়িয়ে
এইভাবেই দানা । বাবাও উঠে গেলেন গান শুনে --
পিঠে নাঙল তুলে মংলা-বুধো কে তাড়াচ্ছেন মুখে চক চক শব্দ করে ।
এই সব দৃশ্যকল্পের জন্ম হলে রাত জাগা প্যাঁচার অনুকরণে
গভীর ঘুম আসে , গা ছমছম এই সমস্ত ঐতিহ্য গুছিয়ে রাখতে
রাখতে কানে এসে পৌঁছায় জেসপের সাইরেন ,
সমস্ত কাজ পণ্ড হয় , ভালোবাসার এই সমস্ত সরল সমাধি
দিগম্বর অম্বর হীনযান
ভুল ঝরে পড়ে , আবহসঙ্গীতে ব্যক্তিগত তৃষ্ণা-
স্বস্থানচ্যুত অভিমান হাঁসের মত ক্ষুধা নিয়ে আসে
ফুল কিম্বা অনামিকায় তুমি থাকো নিভৃত যতনে ।
পসরা সাজিয়ে মন্ত্রমুগ্ধ বিপণিতে মুখ ঢেকে থাকি
সেই কুঁচে মাছের মত পললের অন্তরে --
কবে চকিত চাহুনি , কবিতা লিখেছি দু'জনার
অনিবার্যভাবে ঝ'রে আবেশে মাখামাখি পাখির ঠোঁটে
প্রিয়তমার খাবার ; এইরূপ নিষ্কৃতি লিখে রাখে সময়-
পিঞ্জরে উড়বার সেই স্বাদ দেব ভাষা খোঁজে
তীব্র কাকের তৃষ্ণা নিয়ে রোদ আসে গল্পের কাক সব কাক নয় -
তৃষ্ণা লেখো শব্দসংযোজনে কোকিল গানের ভাষা আঁক ,
হৃদয়ে নিঃশব্দে বাজে যে ধ্বনি দ্বন্দ্ব আর জল ঝরে
পড়ে অপেরা , এসব নীরব সঙ্গীত অপূরণীয়
আকাঙ্ক্ষার জন্ম দিলে নির্বাণ পথ খোলে পৃথিবী
ভোগের নিষ্কৃতিহীন দহনে পোড়ে দিগম্বর কলা
সেই কুঁচে মাছের মত পললের অন্তরে --
কবে চকিত চাহুনি , কবিতা লিখেছি দু'জনার
অনিবার্যভাবে ঝ'রে আবেশে মাখামাখি পাখির ঠোঁটে
প্রিয়তমার খাবার ; এইরূপ নিষ্কৃতি লিখে রাখে সময়-
পিঞ্জরে উড়বার সেই স্বাদ দেব ভাষা খোঁজে
তীব্র কাকের তৃষ্ণা নিয়ে রোদ আসে গল্পের কাক সব কাক নয় -
তৃষ্ণা লেখো শব্দসংযোজনে কোকিল গানের ভাষা আঁক ,
হৃদয়ে নিঃশব্দে বাজে যে ধ্বনি দ্বন্দ্ব আর জল ঝরে
পড়ে অপেরা , এসব নীরব সঙ্গীত অপূরণীয়
আকাঙ্ক্ষার জন্ম দিলে নির্বাণ পথ খোলে পৃথিবী
ভোগের নিষ্কৃতিহীন দহনে পোড়ে দিগম্বর কলা
মুখে-ভাতে
নিজের ওপর শেষ বাজী ধরেছি এবার
জ্বালিয়ে দেবো সুশোভন কলা
যেমনটি সর্বসমক্ষে চাইনি এত দিন
এবার দেখবে
প্রাথমিক কলা পুড়বে , প্রতিভা অঙ্গীকার
সব ছায় হবে , ছায় হবে গৃহশয্যা খাটের
প্রচ্ছদ - তামাম বৃষ্টি ময়ময় শ্রাবণ গন্ধ
সবই জ্বলে যাবে মরণের আগে ।
আর কিচ্ছু করার নেই আমার
এবার নিঃশর্তে বলছি পরাজিত , পরাজিত
সময়ের কাছে মানুষের কাছে দাবীর কাছে
তোমার কাছেও বা
তামাম ঋকবেদ থেকেই পুড়ছি , মাটি জানে
দেশের জল হাওয়া জানে
আদ্যোপান্ত হাসির অন্তরালে জ্যান্তিব এই পিষাস
ঢের কবীর কে খুন করেছে প্রতিরাতে
চিৎকার ক'রে বলেছে অধিকার দাও মৌলিক অধিকার
এই সংবিধানে খাদ্য নিরাপত্তা বিল দাও
চার-পাঁচটা অভায়ারন্যে সৃষ্ট করে কি না তোমার গর্ব
দ্যাখো , অগুন্তি প্রজাতি মৃতপ্রায় বিলুপ্তিপ্রায়
আমি কোন বিজ্ঞান কংগ্রেস চাই না
চাঁদে চাষাবাদের স্বপ্নে বিভোর নয় এ মন
আমার নব প্রস্তবনা সমস্ত আফিমখোর ঈশ্বর দরবারে ।
খেলাচ্ছলে এনেছিলেন - বেশ করেছিলেন
হয় সংরক্ষিত ক'রো সন্তান
না হয় ফিরিয়ে দাও আমাদের সেই পাথুরে জীবন
আমার হাত আমার ভাত
প্রাথমিক কলা পুড়বে , প্রতিভা অঙ্গীকার
সব ছায় হবে , ছায় হবে গৃহশয্যা খাটের
প্রচ্ছদ - তামাম বৃষ্টি ময়ময় শ্রাবণ গন্ধ
সবই জ্বলে যাবে মরণের আগে ।
আর কিচ্ছু করার নেই আমার
এবার নিঃশর্তে বলছি পরাজিত , পরাজিত
সময়ের কাছে মানুষের কাছে দাবীর কাছে
তোমার কাছেও বা
তামাম ঋকবেদ থেকেই পুড়ছি , মাটি জানে
দেশের জল হাওয়া জানে
আদ্যোপান্ত হাসির অন্তরালে জ্যান্তিব এই পিষাস
ঢের কবীর কে খুন করেছে প্রতিরাতে
চিৎকার ক'রে বলেছে অধিকার দাও মৌলিক অধিকার
এই সংবিধানে খাদ্য নিরাপত্তা বিল দাও
চার-পাঁচটা অভায়ারন্যে সৃষ্ট করে কি না তোমার গর্ব
দ্যাখো , অগুন্তি প্রজাতি মৃতপ্রায় বিলুপ্তিপ্রায়
আমি কোন বিজ্ঞান কংগ্রেস চাই না
চাঁদে চাষাবাদের স্বপ্নে বিভোর নয় এ মন
আমার নব প্রস্তবনা সমস্ত আফিমখোর ঈশ্বর দরবারে ।
খেলাচ্ছলে এনেছিলেন - বেশ করেছিলেন
হয় সংরক্ষিত ক'রো সন্তান
না হয় ফিরিয়ে দাও আমাদের সেই পাথুরে জীবন
আমার হাত আমার ভাত
কিচ্ছু নেই তোমার
কিছুই নেই তোমার ! শুধুই দিতে হ'বে সরলীকৃত
ঘাম হোক অথবা স্নানের দৃশ্য । অথবা পিচুটি
চোখে'র শরির জ্বলে যাবে একটা আগুনে !
দিন নেই কোন , রাতের সংস্করণে ভেঙ্গে
পড়ে বৈধ - অবৈধের প্রকার ভেদ ইচ্ছা !
দাও শুধু , উষ্ণতা অবগাহনে বিছানার প্রচ্ছদ
ঘেসে তামাম চালচিত্র সৃষ্টি করো রাত্রে -- আর
নির্জনতা বল ঈশ্বর সম্বন্ধীয় ভাবাবেগ বল
সবই পিছু হাঁটা সৈনিক !
প্রতিটি অপ্রসন্ন লগ্নে দাড়াতে হবে ক্ষরণের
সামনে নির্বিকারে , রঞ্জিত মুখে'র শ্বাস প্রশ্বাসের আগুন
নিয়েই হতে হ'বে মার্জিত বঁধু ,
লজ্জা পেয়ে ফিরে যাবে বউকথা কও পাখি - সূর্যের
নবনব সংস্করণ ফিরে যাবে তোমার উদাসীনতায় ।
প্রত্যেকবার দাড় করিয়ে সেই পরিচিত তিল -
শরীরে দাগ আছে কিনা কোন দংশিত কীটের দেখে
নিয়ে বন্দ হবে দরজা ,
আরো ভাল করে বুঝে নেবেন পুরুষ তোর চিল চিৎকারে
সংরক্ষিত অঞ্চলে পা রেখে ---
এখানে খেলে গেছে কিনা দিনান্তে অন্য প্রজাতি হরিণ
পড়ে বৈধ - অবৈধের প্রকার ভেদ ইচ্ছা !
দাও শুধু , উষ্ণতা অবগাহনে বিছানার প্রচ্ছদ
ঘেসে তামাম চালচিত্র সৃষ্টি করো রাত্রে -- আর
নির্জনতা বল ঈশ্বর সম্বন্ধীয় ভাবাবেগ বল
সবই পিছু হাঁটা সৈনিক !
প্রতিটি অপ্রসন্ন লগ্নে দাড়াতে হবে ক্ষরণের
সামনে নির্বিকারে , রঞ্জিত মুখে'র শ্বাস প্রশ্বাসের আগুন
নিয়েই হতে হ'বে মার্জিত বঁধু ,
লজ্জা পেয়ে ফিরে যাবে বউকথা কও পাখি - সূর্যের
নবনব সংস্করণ ফিরে যাবে তোমার উদাসীনতায় ।
প্রত্যেকবার দাড় করিয়ে সেই পরিচিত তিল -
শরীরে দাগ আছে কিনা কোন দংশিত কীটের দেখে
নিয়ে বন্দ হবে দরজা ,
আরো ভাল করে বুঝে নেবেন পুরুষ তোর চিল চিৎকারে
সংরক্ষিত অঞ্চলে পা রেখে ---
এখানে খেলে গেছে কিনা দিনান্তে অন্য প্রজাতি হরিণ
একটা জীবন ছিল
কবিতার মত একটা জীবন ছিল ।
সূর্যের নবনব সংস্করণে বৈদিক দানপাত্র
হাতে মা ; বিলিয়ে দিচ্ছেন শরণাগত মুদ্রায় অহংকার ।
মা'কে মনে পড়ে না আর ।
মধ্যএশিয় উজ্জ্বল ঘোড়ার জীন ধরে আছেন বাবা
গোময় আলপনা খুঁড়ে মুছে দিয়ে পেড়িয়ে যাচ্ছেন জনপথ ।
ফুরফুরে হাওয়ায় পতপত উড়ছে গম গাছের কাণ্ড
মা জল দিচ্ছেন আগাছা নিরিয়ে ফসল তুলছেন ঘরে
নদী থেকে জল এনে রন্ধন ।
ঘোড়ায় চড়ে বাবা উপড়ে ফেলছেন ধানের গোলা বাথান
খেতকে খেতময় ঘোড়া চিবিয়ে খাচ্ছে গমের কচি শীষ
স্নান করে নদী থেকে উঠে আসছেন যে মা সে ইলপ হোল ।
এইরকম ভাবে জন্ম এলো আমার । তবুও রক্তে আমার
ঘোরায় চড়া জিন ঋিনাত্তক সপ্ন শ্যাম্পেন ।
তথাগতকে পিতৃ পরিচয়ে খুঁজে দ্যাখো শূন্যতা বৈ সামুদ্রিক ঝড়
শান্তির সমস্ত বিবর্তিত বানী পুরুষাঙ্গের বুদবুদে নয় মাতৃ অন্তরে
বিস্ময়
অভিমানে কতকিছু গিলে খেয়েছি
নারীর মাংস হোক পোড়া শহরের ডাস্টবিন ,
তারপর ঊর্ধ্বশীরে ছড়িয়ে বৈভব চামচিকের মত
অন্ধকার প্রত্যাশী , যেন হাজার জন্ম ধরে
উপোষী রাক্ষস , নদী খেয়ে দেশ খেয়ে -- অথচ
গভীর সর্বভুক ক্ষুধা উপাঙ্গ প্রদাহ দিয়ে যাই !
সুকোমল ঐতিহ্য থেকে বিতর্কিত আবর্তনে
নিষাদের গর্হিত শিকারি উপত্যকায় বসতঘর নারীর স্নানাগার
শস্যগোলা আর একটা স্কুল মানচিত্রে এই পৃথিবী ; এবং
ঠোঁটে লেগে থাকা সেই আমনের স্বাদ পৌনঃপুনিক ঋতুচক্র
কালঘাম রক্ত মাছি রক্ত নেশা --
আদম্য এক শারীরিক চক্র প্রতিষ্ঠা গোপন অন্দরে ; মানুষ
ক্ষয়ধর্মী অনুকরণে আর অনিবার্যতায়
দাহ্য উপকরণে সাজানো বাগানে , মন্দিরের নেই অস্তিত্ব !
উপোষী রাক্ষস , নদী খেয়ে দেশ খেয়ে -- অথচ
গভীর সর্বভুক ক্ষুধা উপাঙ্গ প্রদাহ দিয়ে যাই !
সুকোমল ঐতিহ্য থেকে বিতর্কিত আবর্তনে
নিষাদের গর্হিত শিকারি উপত্যকায় বসতঘর নারীর স্নানাগার
শস্যগোলা আর একটা স্কুল মানচিত্রে এই পৃথিবী ; এবং
ঠোঁটে লেগে থাকা সেই আমনের স্বাদ পৌনঃপুনিক ঋতুচক্র
কালঘাম রক্ত মাছি রক্ত নেশা --
আদম্য এক শারীরিক চক্র প্রতিষ্ঠা গোপন অন্দরে ; মানুষ
ক্ষয়ধর্মী অনুকরণে আর অনিবার্যতায়
দাহ্য উপকরণে সাজানো বাগানে , মন্দিরের নেই অস্তিত্ব !
একটা মৃত্যু মানে ( ভয় পাচ্ছেন ? )
সাত- সাতটা জীবনের হাতছানি ,
সাতটা জন্ম মানে
উনপঞ্চাশ টা জীবনের হাতছানি
উনপঞ্চাশ টা জীবন মানে
তিনশত তেতাল্লিশ টা জীবনের হাতছানি
তিনশত তেতাল্লিশ টা মানে ----------
আর হিসাব করে পারছিনা ---
দ্যাখ এত্ত গুলো জীবন দিয়ে গেলাম -- আর
একটা মৃত্যুতে এত্ত ভয় , ভীতু কোথাকার
এমন লোভের ফানডা বহুজাতিক কোম্পানির
তিনশত তেতাল্লিশ টা মানে ----------
আর হিসাব করে পারছিনা ---
দ্যাখ এত্ত গুলো জীবন দিয়ে গেলাম -- আর
একটা মৃত্যুতে এত্ত ভয় , ভীতু কোথাকার
এমন লোভের ফানডা বহুজাতিক কোম্পানির
লিখে রাখো বাস্তু ভুতের কথা
স্তব্ধ হও অপবিত্র সৈনিক , বালু ঘড়ি
জনরোষ বোঝে না --
গাছের শব্দে আছে মর্মর উত্থান-পতন ।
লীলা , করপুটে অচৈতন্য আয়ু লেখা ,
সমাধিক পরিচিত মিলন পিয়াসী রাত শ্মশানের
কিলো দরে কিনে আনা কাঠের জঞ্জালে শুয়ে আছে ---
লিখে রাখো বাস্তু ভুতের কথা !
র'চে বালির স্বপ্নিল সংসার মোহময়ী মোহন
ভোগের থালা চেটেপুটে সিন্নি পায়েস
হিতহিত জ্ঞ্যান শূন্য ; এবার জেগে ওঠো
শেষ আগুনে --
স্বপ্নের ভেতর বাড়িঘর বাতিস্তম্ভ লাল রক্ত নিশান
স্রোতের ভেতর চোরা স্রোত ক্যাপিটালিজম
শ্মশানের চিতায় আয়ু রেখা ডেমোক্রেসি
লিখে রাখো বাস্তু ভুতের কথা !
সমাধিক পরিচিত মিলন পিয়াসী রাত শ্মশানের
কিলো দরে কিনে আনা কাঠের জঞ্জালে শুয়ে আছে ---
লিখে রাখো বাস্তু ভুতের কথা !
র'চে বালির স্বপ্নিল সংসার মোহময়ী মোহন
ভোগের থালা চেটেপুটে সিন্নি পায়েস
হিতহিত জ্ঞ্যান শূন্য ; এবার জেগে ওঠো
শেষ আগুনে --
স্বপ্নের ভেতর বাড়িঘর বাতিস্তম্ভ লাল রক্ত নিশান
স্রোতের ভেতর চোরা স্রোত ক্যাপিটালিজম
শ্মশানের চিতায় আয়ু রেখা ডেমোক্রেসি
লিখে রাখো বাস্তু ভুতের কথা !
ছায়া অথবা পেত
প্রথমতঃ তুমি একা ভাবো আমায় , যেহেতু
জানানো হয়'নি প্রত্যেকটা প্রাথমিক দৃশ্যর অন্তরালে
অ-গুনিতক এক আদম্য জগত
একান্নপীঠ প্রতিভাও আছে কংসের কারাগার
যদিও সমস্ত মন্থিত হলাহল চমৎকৃত পানে
একবারও বিবেচিত হয়নি অমরত্ব প্রস্তাব
'ভেটো' আসে পরিচিত থেকেই
কথা বলা বেয়াদপি ভিন্ন কিচ্ছু নয় , নির্বাক অচলাতয়নে
সময়ের অনুক্ষণ ধরে লিপিবদ্ধ করেছি দ্বি-পদের
রহস্য তিতিক্ষায় , সংগোপনে ;
শালগ্রামশিলা স্থান বদল , বলবে বদলের রাজনীতি ?
সমিধে যেটুকু আগুন জ্বলেছিল
তাতে সাত টা পেতজন্ম পুড়ে গেল , তবুও
দ্বৈপায়ন থেকে একটাও জীবন বেড়িয়ে এলো না !
চারপ্রহর আলোর আলিঙ্গন শেষে সেই চিরায়িত আঁধার --
এই আঁধারে নিজের মুখও অদৃশ্য ছায়া অথবা পেত
যদিও সমস্ত মন্থিত হলাহল চমৎকৃত পানে
একবারও বিবেচিত হয়নি অমরত্ব প্রস্তাব
'ভেটো' আসে পরিচিত থেকেই
কথা বলা বেয়াদপি ভিন্ন কিচ্ছু নয় , নির্বাক অচলাতয়নে
সময়ের অনুক্ষণ ধরে লিপিবদ্ধ করেছি দ্বি-পদের
রহস্য তিতিক্ষায় , সংগোপনে ;
শালগ্রামশিলা স্থান বদল , বলবে বদলের রাজনীতি ?
সমিধে যেটুকু আগুন জ্বলেছিল
তাতে সাত টা পেতজন্ম পুড়ে গেল , তবুও
দ্বৈপায়ন থেকে একটাও জীবন বেড়িয়ে এলো না !
চারপ্রহর আলোর আলিঙ্গন শেষে সেই চিরায়িত আঁধার --
এই আঁধারে নিজের মুখও অদৃশ্য ছায়া অথবা পেত
পদাবলী
কে তুমি ঈশ্বর অবস্থান বদলাচ্ছ অবিরত ,
পায়ের কাছে চুপটি করে থাকা বিশ্বাস অহং
আধুনিকতা যেকোনো সময় বেহমিয়ান তেজে
বেড়িয়ে চিৎকার ,সার্থক করেছ যৌনতা জন্ম ?
আয়ু লেখা আছে কুষ্ঠীতে জাগতিক কিটের বিষ
সরাসরি কোন জন্ম নেই যে জেহাদী ভূমিকার
ঈশ্বরের প্রতিদ্বন্দ্বী , নিখিলের চারিপাশে কিছু
ঘটমান-বর্তমান অনামিকায় স্মৃতি প্রলাপ ।
যাবতীয় মহতী উদ্যোগের আশে-পাশে ছাগল
নাদ পরকীয়া বিষ্ঠা সে সমস্ত পথ রুদ্ধ ক'রে
স্তন বৃন্তে দুধ কল্প নয় আঠালো জেলি বিভ্রম ।
মুহূর্তের সকল জন্মে দাবীদাওয়া চাহিদার
পৌনঃপুনিক সাতসতেরো অষ্টরম্ভা আকাঙ্ক্ষার
মরণ নেই , এই স্থান বদলে কার সার্থকতা ?
আয়ু লেখা আছে কুষ্ঠীতে জাগতিক কিটের বিষ
সরাসরি কোন জন্ম নেই যে জেহাদী ভূমিকার
ঈশ্বরের প্রতিদ্বন্দ্বী , নিখিলের চারিপাশে কিছু
ঘটমান-বর্তমান অনামিকায় স্মৃতি প্রলাপ ।
যাবতীয় মহতী উদ্যোগের আশে-পাশে ছাগল
নাদ পরকীয়া বিষ্ঠা সে সমস্ত পথ রুদ্ধ ক'রে
স্তন বৃন্তে দুধ কল্প নয় আঠালো জেলি বিভ্রম ।
মুহূর্তের সকল জন্মে দাবীদাওয়া চাহিদার
পৌনঃপুনিক সাতসতেরো অষ্টরম্ভা আকাঙ্ক্ষার
মরণ নেই , এই স্থান বদলে কার সার্থকতা ?
কে যাই কে যাই বল
পায়ের নিচে মৃত্যু নাচে চোখের মাঝে বিষ
ওল চাঁদ এখনও কি তুই আমার কথা ভাবিস ?
রাত বিরেতে পেত্নী কুটুম চুলের খোঁপা বাঁধ
দুষ্টু রাখাল সৃষ্টি সুখে খাচ্ছে মায়া খাচ্ছে মাস ।
আঠাশ দিনের লীলাচক্র একুশ দিনই তুই মা
তিনশত দিনের রঙ্গভূমি ছেড়ে তুই সারাজীবন খা'স ।
উদরপূর্তি তোর লাগি নয় উদরস্ফীত তোর
এই মধুমাস শ্রাবণ বারোমাস তবুও যমের দুরায়ে যাস !
ধান তুলসী মঙ্গলশঙ্খ জন্মমৃত্যু ভূতভবিষ্য
এক্স- ওয়াই বিজ্ঞানকল্প মৃত রামদা'ই শান দেয় ।
বলি , কে যাই কে যাই বল গঙ্গাঘাটে ঐ
ম্যাইয়া জন্ম হইছে বইল্যা ম্যাইয়া চিরতরে আঁতুড় ঘরেই শো'ই
দুষ্টু রাখাল সৃষ্টি সুখে খাচ্ছে মায়া খাচ্ছে মাস ।
আঠাশ দিনের লীলাচক্র একুশ দিনই তুই মা
তিনশত দিনের রঙ্গভূমি ছেড়ে তুই সারাজীবন খা'স ।
উদরপূর্তি তোর লাগি নয় উদরস্ফীত তোর
এই মধুমাস শ্রাবণ বারোমাস তবুও যমের দুরায়ে যাস !
ধান তুলসী মঙ্গলশঙ্খ জন্মমৃত্যু ভূতভবিষ্য
এক্স- ওয়াই বিজ্ঞানকল্প মৃত রামদা'ই শান দেয় ।
বলি , কে যাই কে যাই বল গঙ্গাঘাটে ঐ
ম্যাইয়া জন্ম হইছে বইল্যা ম্যাইয়া চিরতরে আঁতুড় ঘরেই শো'ই
যান্ত্রিক কাব্য
নিষ্প্রদীপ থেকে বিরহ ভাল ; তদ্রূপ সংজ্ঞাহীন
থাকার চেয়ে চেতনার মন্দ্রিত আবেশে যদি থাকে
কোন লাবণ্যকান্তা , তবে ইলপ যদিও ভূলোক প্রতিক্ষণে -
তবে স্বপ্নাচ্ছন্ন থেকে কবিতায় কঠোর পাঠে শূন্য অভিঘাত
ভুলে বুদ্বুদ সৃষ্টি করো মদিরায় ; আকণ্ঠ পান করে
সমাচ্ছন্ন - বুঝে নাও রাতের সংজ্ঞা ।
যে সব বিশ্বাস তারাখসার মত মিলিয়ে যাই অনন্তে ;
ওখানে ঢের অপেক্ষা ছিল এতকাল ;
দ্বিরাগমনের নির্বাক শূন্যে চেয়ে থেকে গৃহ - প্রাথমিক অবাক ,
একদিন জল হাওয়ায় মুছে গিয়ে জেলির মত ব্যথা
আর প্রাথমিক বিশ্বাস ভেঙ্গে দ্যাখো এখনও দ্বিতীয় বিশ্বাসের
সবাক হাতছানি !
সব কিছুই ক্ষয়ে গেছে সময়ের অনিবার্য রাসায়নিক ইন্ধনে ,
প্রত্যাশার সময় সরণী'তে লেখা আছে জীবন পাখির
ভোগ্যর ইতিহাস ;
যদিও তথাগত নয় হৃদয় তবুও অনুপম মান্যতা দিয়ে শিখে নিতে
হয় জন্মের গূঢ় কালেই আয়ু রেখার সঙ্গে
পুংতি ভোজে হাত চাটাচাটি করে জন্ম আর বিষাদ !
ভুলে বুদ্বুদ সৃষ্টি করো মদিরায় ; আকণ্ঠ পান করে
সমাচ্ছন্ন - বুঝে নাও রাতের সংজ্ঞা ।
যে সব বিশ্বাস তারাখসার মত মিলিয়ে যাই অনন্তে ;
ওখানে ঢের অপেক্ষা ছিল এতকাল ;
দ্বিরাগমনের নির্বাক শূন্যে চেয়ে থেকে গৃহ - প্রাথমিক অবাক ,
একদিন জল হাওয়ায় মুছে গিয়ে জেলির মত ব্যথা
আর প্রাথমিক বিশ্বাস ভেঙ্গে দ্যাখো এখনও দ্বিতীয় বিশ্বাসের
সবাক হাতছানি !
সব কিছুই ক্ষয়ে গেছে সময়ের অনিবার্য রাসায়নিক ইন্ধনে ,
প্রত্যাশার সময় সরণী'তে লেখা আছে জীবন পাখির
ভোগ্যর ইতিহাস ;
যদিও তথাগত নয় হৃদয় তবুও অনুপম মান্যতা দিয়ে শিখে নিতে
হয় জন্মের গূঢ় কালেই আয়ু রেখার সঙ্গে
পুংতি ভোজে হাত চাটাচাটি করে জন্ম আর বিষাদ !
কে রে ?
ঠোঁটের ভেতর গোপনাঙ্গ ঠোঁটের ভেতর কে রে ?
ঠোঁটের ভেতর চব্যচোষ্য ঠোঁটের বাইরে কে রে ?
জলে আমার অঙ্গ-প্রদেশ জ্বলে আমার দধীচি হাড়
জ্বলছে আমার দু'ই রিপুকাল জ্বলছে ঊর্ধ্বগতি পারা ।
আহাঃ উষ্ণ বনের ক্ষুধার পাখি উষ্ণ বনের হাওয়া
ডানায় ভাসে সাতসমুদ্র তার ডানায় পতন লেখা ।
গম দানায় সৃষ্টি প্রলাপ গম ডানাতেই মনুর সার্থকতা
গম দানাতেই পুষ্টি মধুর গম দানাতেই বৈদিক মায়া ।
বারোমাস্য শস্যকর্তন বারোমাস্য চাষ আবাদ ভরা ক্ষেতে
রবি শস্য ঘরে তুলতেই দেখি বোরো নাড়ছে মাথা ।
জ্বলছে আমার দু'ই রিপুকাল জ্বলছে ঊর্ধ্বগতি পারা ।
আহাঃ উষ্ণ বনের ক্ষুধার পাখি উষ্ণ বনের হাওয়া
ডানায় ভাসে সাতসমুদ্র তার ডানায় পতন লেখা ।
গম দানায় সৃষ্টি প্রলাপ গম ডানাতেই মনুর সার্থকতা
গম দানাতেই পুষ্টি মধুর গম দানাতেই বৈদিক মায়া ।
বারোমাস্য শস্যকর্তন বারোমাস্য চাষ আবাদ ভরা ক্ষেতে
রবি শস্য ঘরে তুলতেই দেখি বোরো নাড়ছে মাথা ।
তবে এই পর্যন্তই থাক
পথ ভোলা পাখির ঠোটেও লেগে আছে ঘরের শূন্যতা
আমাকে কতটুকু চেন তুমি যে প্রেম চিনবে
কোন চেতনায় তুমি আমাকে হারাবে
মরতে মরতে অনেকবার বেঁচে দেখলাম
বেঁচে আছি এটাই মরণের ভিন্ন নাম
কৃষিজীবী হয়েছে মন , চাষ করো --
আর্যবংশদ্ভূত রক্তে সেকি তেজ, অস্তরাগের
সূর্যে ডুবে গ্যালে বিজাতীয় রক্তে আঁধার নেশা ,
এক পা এগিয়েই রয়েছে না না দু'পা পেছানোর
সেই সম্ভবনা করেই নিঃশেষ !
কত সম্ভবনার ঘুমপরী রাতের আঁধারে স্বপ্ন বেঁচে
আমার জানালায় , অথচ কাঠঠোকরা বিতিকিচ্ছিরি
শক্ত বুকে পোকার অন্বেষণ - ওরে থাম , যথেষ্ট
ক্ষয়ে গেছে ফুসফুস বিড়ির নিমন্ত্রণে , এবার তো
সেই সর্বভুক ক্ষুদার আগমন ---------
মৃত্যুকে জীবনের মত ক'রে পেলে বেশ হ'য় এবার ।
যূপকাঠে নধর নধর গলা সেখানেই সব চেয়ে আকর্ষণ
ছিল তোমার , কসাইও বোঝেন প্রাণহানির
সংবেদনশীল অঞ্চল কাকে বলে , ছোট্ট করে কাঠ-মাসে
একটা শব্দ উঠবে -- আহাঃ
এমন স্বপ্ন ছিল না জন্মে - এখন আরো দৃঢ় হয়েছে বিশ্বাস
এমন করেই আসে -- যার আসার কথাছিল এখানে
এই পাণ্ডুলিপি , একদিন ভয়াল বর্ষাকাল ঘুটের ভাণ্ডারে
ইঁদুরের শব ,ক্লান্ত গৃহস্ত বধু নিরুপায় এদিক-ওদিক
আগুন চাই আগুন --------
আমার বিষ অনুভূতি দিয়ে ভাত রান্না হয়েছিল বলে ---
জোয়ান মরদ বলেছিলেন - ভাতে আমি আমি গন্ধ পাচ্ছি কেন ?
কত সম্ভবনার ঘুমপরী রাতের আঁধারে স্বপ্ন বেঁচে
আমার জানালায় , অথচ কাঠঠোকরা বিতিকিচ্ছিরি
শক্ত বুকে পোকার অন্বেষণ - ওরে থাম , যথেষ্ট
ক্ষয়ে গেছে ফুসফুস বিড়ির নিমন্ত্রণে , এবার তো
সেই সর্বভুক ক্ষুদার আগমন ---------
মৃত্যুকে জীবনের মত ক'রে পেলে বেশ হ'য় এবার ।
যূপকাঠে নধর নধর গলা সেখানেই সব চেয়ে আকর্ষণ
ছিল তোমার , কসাইও বোঝেন প্রাণহানির
সংবেদনশীল অঞ্চল কাকে বলে , ছোট্ট করে কাঠ-মাসে
একটা শব্দ উঠবে -- আহাঃ
এমন স্বপ্ন ছিল না জন্মে - এখন আরো দৃঢ় হয়েছে বিশ্বাস
এমন করেই আসে -- যার আসার কথাছিল এখানে
এই পাণ্ডুলিপি , একদিন ভয়াল বর্ষাকাল ঘুটের ভাণ্ডারে
ইঁদুরের শব ,ক্লান্ত গৃহস্ত বধু নিরুপায় এদিক-ওদিক
আগুন চাই আগুন --------
আমার বিষ অনুভূতি দিয়ে ভাত রান্না হয়েছিল বলে ---
জোয়ান মরদ বলেছিলেন - ভাতে আমি আমি গন্ধ পাচ্ছি কেন ?
পুনর্জন্ম
সাদা হাঁসের ডানাই রোদ নাচে , কি মুগ্ধতায়
দিন আসে , মুহূর্তে পালাবদল গাছে- মাঠে-
বেলা হেসে ওঠে , দু'হাতে মহাজাগতিক জীবন
দু'হাতে মৃত্যু , সময়ের গৃহীত গভীর খাতে
ডুবে যাই চণ্ডাল বেদনা তবুও জেহাদী যৌবন
দেখেছি কি কোন সুন্দর অভ্রান্তের ছবি ?
যে প্রেম চেনাবে ! শরীরে শরীরে শুধু দাগ কণ্ঠে
নিরুদ্বেগে কান্নাধ্বনি পদস্খলন লেখা থাকে কাষ্ঠ
খণ্ডে আগুনে আগুনে আর যাকিছু পুনর্জন্ম সবই
স্থিতিশীল স্থিতিস্থাপক ভঙ্গিমায় , মানা এবং না মানা
সমস্ত বৈষয়িক রন্ধে আনুপাতিক অর্থ হুন্ডি কেউ
কেউ তুলে নেন , আমার জানা জগত যাবতীয়
উদ্যোগের রসায়ন ভস্মীভূত , পার্থিব সন্ধি যাপন ছায় ।
জীবনে আর বন্দীমুক্তি খেলা নেই যা সময় চেনাবে
উভয়মুখী বন্দ প্রকোষ্ঠে তবুও মুক্তির সেই আবেদন
গেল না জন্মেও , তুমিই প্রতিষ্ঠা করেছ জীবন
রঙ্গমঞ্চে কাঠপুতুল সুতো সবই সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম
তোমারই গর্বিত চেতনার ইচ্ছাধীনে ।
পৃথিবীকে এবার শয্যা ক'রে তোল , পতনের ক'তো
সংকেত লিখে রেখেছ তুমি - একটাই লটকে দাও
আমার শরীর - কি জানি এরপর পুনর্জন্ম !
মৌমিতা মণ্ডলের কাব্য প্রতিভা কিম্বা ভ্যানিস
যদি ধরে নাও
একটা কবিতা = এককিলো মোটা চাল
একটা প্রথম প্রেম = একঘটি জলে একটা পিঁপড়েরে হাবুডুবু
তবে
হাবুডুবু চাল কবিতা প্রেম সআনুপাতিক
এক কিলো ইউরিয়া সার = পাঁচ কেজি ধান
একটা জোঙ্গাল = দুটো গোরুর কাঁধ
হাবুডুবু চাল কবিতা প্রেম ইউরিয়া ধান জোঙ্গাল কাঁধ সমানুপাতিক
একজন কৃষক = পাঁচ পেটের ক্ষুধা মুক্তি
একজন রাজা = একশত কোটির হাসিকান্নার ধারক বাহক
হাবুডুবু চাল কবিতা প্রেম ইউরিয়া ধান জোঙ্গাল কাঁধ কৃষক পাঁচপেট রাজা হাসিকান্না সমানুপাতিক
অতঃএব একটা কবিতা = ক্ষুধামুক্তি ----------
বিনয় মজুমদার অনাহারে মরে কেন ? তুমিও ??
হাবুডুবু চাল কবিতা প্রেম সআনুপাতিক
এক কিলো ইউরিয়া সার = পাঁচ কেজি ধান
একটা জোঙ্গাল = দুটো গোরুর কাঁধ
হাবুডুবু চাল কবিতা প্রেম ইউরিয়া ধান জোঙ্গাল কাঁধ সমানুপাতিক
একজন কৃষক = পাঁচ পেটের ক্ষুধা মুক্তি
একজন রাজা = একশত কোটির হাসিকান্নার ধারক বাহক
হাবুডুবু চাল কবিতা প্রেম ইউরিয়া ধান জোঙ্গাল কাঁধ কৃষক পাঁচপেট রাজা হাসিকান্না সমানুপাতিক
অতঃএব একটা কবিতা = ক্ষুধামুক্তি ----------
বিনয় মজুমদার অনাহারে মরে কেন ? তুমিও ??
নবীনকরণ
তবে কি উবে যাচ্ছি প্রখর তাপে ,
আয়নায় কার ছবি , ঐ অসম প্রেত বিন্দুতে দাড়িয়ে যে
ভৌতিক মুখায়ব ? শুকিয়ে গেলে বৃক্ষ মূলে জল ঢেলে
মজা নেই ; জীবনের সুতীব্র চিৎকারে বলবে না
স্নাতসিক্ত হয়ে উঠেছি এবার , তোরা থাম !
বিষ দৃশ্য পেছনের কোলাহল মুকুটহীন রাজরানীর অঙ্গ সাজ
দীর্ঘশ্বাস ; অথৈ জল , ক্লান্ত নাবিকের ঘরে ফেরার স্বপ্নে
নেই একটাও চুম্বনের দৃশ্য , বলিষ্ঠ হতে শিখে যায় যারা
তারাও বলিষ্ঠ নয় একাকীত্বে !
আমি উবে যাচ্ছি বলে চমৎকার সমৃদ্ধ হয়ে উঠছে
সকলের চেতনার সাম্রাজ্য , শোকও ভুলছে বিগত যৌবনের
মৌ বন পলাশের স্মৃতি আর নুড়ি রাস্তাঘাট ; বিগত
হতে গেলে একটা মুহূর্তের সময়ের নবীকরণই অনেকখানি ---
এবার উবে গিয়ে মোম হয়ে মিশে যাবো সমস্ত আগুনে ----
লালসায় আস্ত পৃথিবী ; যদি এমন হয়
চুম্বনের কষে লেগে থাকবে নবীনত্বের প্রস্তাব
স্নাতসিক্ত হয়ে উঠেছি এবার , তোরা থাম !
বিষ দৃশ্য পেছনের কোলাহল মুকুটহীন রাজরানীর অঙ্গ সাজ
দীর্ঘশ্বাস ; অথৈ জল , ক্লান্ত নাবিকের ঘরে ফেরার স্বপ্নে
নেই একটাও চুম্বনের দৃশ্য , বলিষ্ঠ হতে শিখে যায় যারা
তারাও বলিষ্ঠ নয় একাকীত্বে !
আমি উবে যাচ্ছি বলে চমৎকার সমৃদ্ধ হয়ে উঠছে
সকলের চেতনার সাম্রাজ্য , শোকও ভুলছে বিগত যৌবনের
মৌ বন পলাশের স্মৃতি আর নুড়ি রাস্তাঘাট ; বিগত
হতে গেলে একটা মুহূর্তের সময়ের নবীকরণই অনেকখানি ---
এবার উবে গিয়ে মোম হয়ে মিশে যাবো সমস্ত আগুনে ----
লালসায় আস্ত পৃথিবী ; যদি এমন হয়
চুম্বনের কষে লেগে থাকবে নবীনত্বের প্রস্তাব
তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ
কোনদিন তোমাকে কিচ্ছু বলিনি , তুমিও বেশ
স্বয়ংসিদ্ধা ভঙ্গিমায় বাসনে শব্দ বাড়িয়ে প্রশস্ত করেছ
অন্ধ গলিপথের ভূমিকা'য় নিজস্ব কথন
অবলুপ্তি চাঁদের ফিরবার প্রতীক্ষার মত অনেক শেয়াল সঙ্গীত
কবরে হাসনুহানা সন্তানেরে অপত্য স্নেহে চুম্বন এঁকে দিয়ে ভেবেছি
সমস্ত গোলকধাঁধা পথ খুলে দেয়
গ্রীবা কপোল থেকে উষ্ণ ঘামে পুনরায় ভাসে বিছানা একদিন
চাহিদার নিজস্ব জগতে সুখ পাখিকে খুদকুঁড়ো দাও
দাও বসত কোঠা তবুও সেই ফুড়ুৎ নেশা জন্মজন্মান্তর
ধ্বনির মধ্যে প্রতিধ্বনি একান্ত আপন নিজের
নিয়ন্ত্রণের ভূমিকায় শরীর নয় ধুকপুকে শূন্যতা
প্রথমে একটা বুদবুদ উথলে ওঠে , নোনা জল আক্রোশে
হাজার নিযুত বুদবুদ , সমগ্র হৃদয় জুড়ে খাবি খাওয়া মাছের
পতন দৃশ্য , ভয়ানক সর্বগ্রাসী বোধের উত্থান
পুরুষালী অহংকার ভেঙ্গে কে জানে কে রাধিকা কেবা বেশ্যা
চোখ সংলগ্ন অথবা ভবঘুরে
উৎসাহহীন , জট চুলে উকুন বাছে মাঝ রাস্তায়
লাল ইটে এঁকে দাবার কোট - মাথার চুল তোলেন
বোড়ে নৌকা গজ হাতি বেড়ে খেলার প্রস্তুতি
হুস-হাস চারচক্র জান , "শ্যালা পাগল আছে দেক্কে চল "
লজ্জা অঙ্গ লকলকে ঢ্যাঁড়া সাপের মত নিস্তেজ
বা হাঁটুতে মাছির আঁতুড়ঘর
ডান কানে গোজা আধপোড়া বিড়ি আগুন জ্বালাতে
ভুলেছে কিম্বা কতকাল আগুন জ্বলেনি
এদিকে ওদিকে
টায়ার পোড়া ছায় কুণ্ডলী পাক নেয় হাওয়ায়
লুক্কায়িত অঞ্চল থেকে বেড়িয়ে পড়ে তলবারি
কিছু পতাকা দুমড়ে গেছে অপঘাতে কিছু পতাকা পতপত
উড়ছে , রক্ত চেনে রক্ত , রক্ত চেনে শ্মশানঘাট
ভ্রূক্ষেপহীন এই সেনাপতি চিৎকার করে
" যুদ্ধ লেগেছে যুদ্ধ , প্রজা মরে প্রজা মরে "
"এই শ্যালাকে লোটকে দেবো " একসেনা পতির ঘোষণা
সমস্ত অপঘাত থেকে অদ্ভুত বেঁচে যায় এই চক বাজারের
নায়ক প্রতিদিন ; প্রতিদিন বাজারে যেতে অফিস যেতে
আসতে দেখি - মেঘ আসে বৃষ্টি আসে বজ্র পতনে মৃত্যু
সংবাদ ভাসে চোখে -- ভাবি আজ কি -----
কতটুকু বেশী বুঝছি বলে আমি এক গর্বিত হৃদয়ী ?
আমার থেকে যে বেশী বোঝেন তার চোখে আমি --
লজ্জা অঙ্গ লকলকে ঢ্যাঁড়া সাপের মত নিস্তেজ
বা হাঁটুতে মাছির আঁতুড়ঘর
ডান কানে গোজা আধপোড়া বিড়ি আগুন জ্বালাতে
ভুলেছে কিম্বা কতকাল আগুন জ্বলেনি
এদিকে ওদিকে
টায়ার পোড়া ছায় কুণ্ডলী পাক নেয় হাওয়ায়
লুক্কায়িত অঞ্চল থেকে বেড়িয়ে পড়ে তলবারি
কিছু পতাকা দুমড়ে গেছে অপঘাতে কিছু পতাকা পতপত
উড়ছে , রক্ত চেনে রক্ত , রক্ত চেনে শ্মশানঘাট
ভ্রূক্ষেপহীন এই সেনাপতি চিৎকার করে
" যুদ্ধ লেগেছে যুদ্ধ , প্রজা মরে প্রজা মরে "
"এই শ্যালাকে লোটকে দেবো " একসেনা পতির ঘোষণা
সমস্ত অপঘাত থেকে অদ্ভুত বেঁচে যায় এই চক বাজারের
নায়ক প্রতিদিন ; প্রতিদিন বাজারে যেতে অফিস যেতে
আসতে দেখি - মেঘ আসে বৃষ্টি আসে বজ্র পতনে মৃত্যু
সংবাদ ভাসে চোখে -- ভাবি আজ কি -----
কতটুকু বেশী বুঝছি বলে আমি এক গর্বিত হৃদয়ী ?
আমার থেকে যে বেশী বোঝেন তার চোখে আমি --
স্পন্দনে
স্পন্দনে থাকো
আমাদের বাল্য শৌখিন যৌবন মৌ-বন
এসো 'তিতাসের' ভাঙ্গা চাঁদে
থৈ থৈ তাথৈ তাথৈ
থেকো স্পন্দনে থেকো তুমি প্রেম !
স্টোররুমে ভাঙ্গা আয়নায় পড়ে আছে অতীতের আমি
লাল শালুতে যত্নে বাঁধা কুষ্ঠী
হিসাব করে হিসাব গোনে জন্মদাতা
সিদ্ধ ধানে কতটা উত্তাপে খুদ কম চাল বেশী জমে
তবাঃ তবাঃ এসব থাক পাশে
তুমি থাকো পাশে স্পন্দনে স্পন্দনে
এই চরে চড়ে গৃহস্ত মোষ গরু অবগাহনের
এসেছে দুপুর চড়কে খেজুরে মজা লোট মজা লোট
বাণিজ্য জাহাজ যাক যে মুখী
দে দোল দে দোল যৌবন দোলনায়
স্পন্দনে স্পন্দনে এসো মিলে যাই
থেকো স্পন্দনে থেকো তুমি প্রেম !
স্টোররুমে ভাঙ্গা আয়নায় পড়ে আছে অতীতের আমি
লাল শালুতে যত্নে বাঁধা কুষ্ঠী
হিসাব করে হিসাব গোনে জন্মদাতা
সিদ্ধ ধানে কতটা উত্তাপে খুদ কম চাল বেশী জমে
তবাঃ তবাঃ এসব থাক পাশে
তুমি থাকো পাশে স্পন্দনে স্পন্দনে
এই চরে চড়ে গৃহস্ত মোষ গরু অবগাহনের
এসেছে দুপুর চড়কে খেজুরে মজা লোট মজা লোট
বাণিজ্য জাহাজ যাক যে মুখী
দে দোল দে দোল যৌবন দোলনায়
স্পন্দনে স্পন্দনে এসো মিলে যাই
ডার্টি মাইন্ড
অসম্ভব ক্ষিপ্ততাই বাদামের খোসা ছাড়িয়ে
ছোট চোখের মণির মত দানা আকাশে তুলে
হা করা মুখে পড়লে মাধ্যাকর্ষণ প্রভাবে
খেয়ে নাও - তুমি পারো তবে
হাই ভোল্টেজ বিদ্যুৎ , চোখের পরিচলন স্রোতে
নেশা , শাড়ির ফাঁক গলে আহাঃ দৃষ্টিনন্দন
ব্র্যাণ্ডেড জুতো উপর থেকেই মনন সাম্রাজ্য
গভীর হতাশাজনিত অধ্যায় ওখানেই অসাম্মানিক
লেনদেন , থাক সে কথা ,
ধীর পায়ে এগিয়ে আসছে ব্যবিলনের শূন্যদ্যান
ঝুলন্ত উপত্যকা , অথচ কি নটরাজ পদক্ষেপ
সংকোচিত- প্রসারিত থরে থরে কাপছে তুলতুলে
হরিণীর চর্চিত মেধ
ওহঃ নিম্নে চিনচিনে জ্বালা ইউরিনের বেগ ,
উলটানো ভাতের হাড়ির মত বাঁয়া আঙ্গুলের
স্পর্শানুভাবের প্রত্যাশা , তার উপর থেকেই আসমুদ্র
রাতের নির্জনতায় আহাঃ
নিস্পলক অভিরাম রিপু লীলা আগুনের দিকে ---------
তুমি পারো তবে বাদাম ছাড়াতে চিরকাল অন্ধকারে
হাই ভোল্টেজ তেজে খুঁজে কি পাবে ডেফিনেশন প্রেমের !
হাই ভোল্টেজ বিদ্যুৎ , চোখের পরিচলন স্রোতে
নেশা , শাড়ির ফাঁক গলে আহাঃ দৃষ্টিনন্দন
ব্র্যাণ্ডেড জুতো উপর থেকেই মনন সাম্রাজ্য
গভীর হতাশাজনিত অধ্যায় ওখানেই অসাম্মানিক
লেনদেন , থাক সে কথা ,
ধীর পায়ে এগিয়ে আসছে ব্যবিলনের শূন্যদ্যান
ঝুলন্ত উপত্যকা , অথচ কি নটরাজ পদক্ষেপ
সংকোচিত- প্রসারিত থরে থরে কাপছে তুলতুলে
হরিণীর চর্চিত মেধ
ওহঃ নিম্নে চিনচিনে জ্বালা ইউরিনের বেগ ,
উলটানো ভাতের হাড়ির মত বাঁয়া আঙ্গুলের
স্পর্শানুভাবের প্রত্যাশা , তার উপর থেকেই আসমুদ্র
রাতের নির্জনতায় আহাঃ
নিস্পলক অভিরাম রিপু লীলা আগুনের দিকে ---------
তুমি পারো তবে বাদাম ছাড়াতে চিরকাল অন্ধকারে
হাই ভোল্টেজ তেজে খুঁজে কি পাবে ডেফিনেশন প্রেমের !
অনির্বাণ আগুন ২৪
বিক্ষিপ্ত রোদ ছায়া এখানে ওখানে
লিখে যাই সময়ের গান ,
অষ্টারম্ভা চৈতন্য বিগড়ে বেদনার গাঢ় নীলে
যখন অসুরভূমি তাদের সন্তান
সৃষ্টিকেই শাপ - শাপন্ত
নির্বাক লীলাচলে
নারীর প্রথম রক্তক্ষরণের মত সে আবেগ খুঁজেছে কৈ নর
কে খুঁজে দ্যাখে পরিপক্ক ফসলের ঘ্রাণে রহস্যের হীরা খনি ?
কে লিখে রেখেছে এখানে গমের ডানায় জীবনের পরিচয় ?
সে সুখ কৈ মরণে ? সে সুখ কৈ সম্ভোগে ?
এখানে তবুও আঙুরের রসে বেদনার জন্ম হয়
দেব মূর্তির পেছনে - কাঠামো খড়ে
প্রভূত ভাত রান্না হয়
মাঘে মাঘে শীত আসে , এসে ভীর করে বিপন্ন বিস্ময়ে
বিস্মিত কিছু জগত
ঢের নক্ষত্রলোক পেড়িয়ে
ঢের মহাশূন্য পেড়িয়ে জীবনের আবেদনে একটাই জন্ম এসেছে
বহুযুগ আগে , বহুযুগ পড়ে
আগুন শুধুই রন্ধন প্রণালিতে প্রসিদ্ধ নয়
হৃদয়কেও জ্বালাতে বলেছিল অন্ধকারে
সৃষ্টিকেই শাপ - শাপন্ত
নির্বাক লীলাচলে
নারীর প্রথম রক্তক্ষরণের মত সে আবেগ খুঁজেছে কৈ নর
কে খুঁজে দ্যাখে পরিপক্ক ফসলের ঘ্রাণে রহস্যের হীরা খনি ?
কে লিখে রেখেছে এখানে গমের ডানায় জীবনের পরিচয় ?
সে সুখ কৈ মরণে ? সে সুখ কৈ সম্ভোগে ?
এখানে তবুও আঙুরের রসে বেদনার জন্ম হয়
দেব মূর্তির পেছনে - কাঠামো খড়ে
প্রভূত ভাত রান্না হয়
মাঘে মাঘে শীত আসে , এসে ভীর করে বিপন্ন বিস্ময়ে
বিস্মিত কিছু জগত
ঢের নক্ষত্রলোক পেড়িয়ে
ঢের মহাশূন্য পেড়িয়ে জীবনের আবেদনে একটাই জন্ম এসেছে
বহুযুগ আগে , বহুযুগ পড়ে
আগুন শুধুই রন্ধন প্রণালিতে প্রসিদ্ধ নয়
হৃদয়কেও জ্বালাতে বলেছিল অন্ধকারে
বিপ্লবী
প্রাথমিক নেশা ছিল মায়ের স্তনে
দ্বিতীয় নেশা অরণ্যদেবে
তৃতীয় ফরাসী পারফিউম গন্ধে রাত ; অথচ
একদিন , এগুলো বৈচিত্র্যহীন , এলো
নড়বড়ে কলে যন্ত্রবিদ্যা - কালা জাদু
লিজমের টু পাইস ধান্দা ; এযাবৎ
বিকৃত বোধে জন্ম দিয়েছে শ্রেণী দখিনা বাতাসে উড়ছে পতাকা
রোদ বৃষ্টি ঝড়ে বাহক
পতাকা বাঁচানোর লড়াই লড়ি না
কেরোসিন থেকে গ্যাসের উনুন এ আসা লড়াই ; এবং
কিছু রক্ত ঝরলে কুমির কেঁদে বিষাদে রোদ পোহায় বালিতে
ধর্মে -জিরাফে- সেমিনারে বিপ্লবী ; অতএব
এখন বড় হতে হতে ভুলে গেছি মা ছিলেন , অরণ্যদেব
ফরাসী সুগন্ধি ছিলেন জেগে
বুঝি , বিপ্লব নিয়ে গেছে ক্ষিদের সঙ্গে আস্ত একটা সকাল থেকে
দূরান্ত শৈশব , রক্তের ধর্মে যুগ ধর্মে -----
স্পেস
গভীর খাত অন্ধকার
গান হবে পেতগান
পুড়ে যাবে সব ঠোঁটের অহংকার
চর্চিত জীবনের
আমুদে খেটে খাওয়া স্বপ্ন দিক্বিদিক
অতঃএব এবার
দশ আহম্মকের চরিত্র হৃদয়ের ক্ষুণ্ণবৃত্তি
একটা স্পেস তৈরি হয়
স্পেস , জন্ম ঘর থেকে মৃত্যু অবধি
নগর বাউল বৈরাগ্য
স্পেস , অসীম সসীম দৃষ্টি বহিঃভুত
গোচরহীন
ফিঙের ডিম হলুদ কুসুম
স্পেস , সমান্তরাল জীবনের প্রতিদ্বন্দ্বী পথ
স্পেস , রাশিকৃত আগুন ঝলসানো
মেঘ
আহম্মক স্পেস পূরণের খেলা করেন ঘরে --
স্পেস -- বুকের বা পাশে
আমুদে খেটে খাওয়া স্বপ্ন দিক্বিদিক
অতঃএব এবার
দশ আহম্মকের চরিত্র হৃদয়ের ক্ষুণ্ণবৃত্তি
একটা স্পেস তৈরি হয়
স্পেস , জন্ম ঘর থেকে মৃত্যু অবধি
নগর বাউল বৈরাগ্য
স্পেস , অসীম সসীম দৃষ্টি বহিঃভুত
গোচরহীন
ফিঙের ডিম হলুদ কুসুম
স্পেস , সমান্তরাল জীবনের প্রতিদ্বন্দ্বী পথ
স্পেস , রাশিকৃত আগুন ঝলসানো
মেঘ
আহম্মক স্পেস পূরণের খেলা করেন ঘরে --
স্পেস -- বুকের বা পাশে
ওহে
এযাবৎ বৃষ্টি দিয়ে গেছে সহজাত প্রতিভা
তেত্রিশ কোটি অবিনশ্বরের আদলে নয় মুখ !
ওসব ঐশ্বরিক ধান্দা বুঝিও না
অজ গা'য়ে জন্ম
ধুলো বালি কাঁকরে গাব গাছ থেকে ঝাঁপিয়ে স্নান করেছি
পৌষ সংক্রান্তিময় পিঠে-পুলিতে আজন্ম বেড়েছি
লোকাইত পার্বণে নারীর সান্নিধ্যের আশায় একটা
প্রকৃত সময় খুঁজেছি
শুধু হাত ধরে বলব " এ হাত ছারছিনা "
আঠা , থকথকে জিবলি আঠা আছে অন্দরে
এসো , পাঁকাটির আগাই ফড়িং নিবদ্ধ আঠায় ডানা ঝাপটিয়ে
ছটফট করে
তুমি - তোমার জন্যই তো জরায়ুর বাড়বাড়ন্তি
দশ মাসের ওম ভেঙ্গে বেড়িয়ে
আহাঃ একি ক্ষুধা
নিবৃতি করো আহত ক্ষতে প্রলেপ দাও , দাও রক্ত
ধমনী শিরা উপশিরায় প্রবাহিত হোক আমার সংবহন --
আহাঃ কতকাল অনাহারী
গুড়িয়ে দেবো সমস্ত চাকার চক্রান্ত -- আহারের মুখে ভাত নয়
ওহে বিন্যস্ত চুলের গহনে ডুবে যাবে সমস্ত অন্ধকার
তেত্রিশ কোটির একটাও যদি পথ ভুলে তোমার পথে ----
অজ গা'য়ে জন্ম
ধুলো বালি কাঁকরে গাব গাছ থেকে ঝাঁপিয়ে স্নান করেছি
পৌষ সংক্রান্তিময় পিঠে-পুলিতে আজন্ম বেড়েছি
লোকাইত পার্বণে নারীর সান্নিধ্যের আশায় একটা
প্রকৃত সময় খুঁজেছি
শুধু হাত ধরে বলব " এ হাত ছারছিনা "
আঠা , থকথকে জিবলি আঠা আছে অন্দরে
এসো , পাঁকাটির আগাই ফড়িং নিবদ্ধ আঠায় ডানা ঝাপটিয়ে
ছটফট করে
তুমি - তোমার জন্যই তো জরায়ুর বাড়বাড়ন্তি
দশ মাসের ওম ভেঙ্গে বেড়িয়ে
আহাঃ একি ক্ষুধা
নিবৃতি করো আহত ক্ষতে প্রলেপ দাও , দাও রক্ত
ধমনী শিরা উপশিরায় প্রবাহিত হোক আমার সংবহন --
আহাঃ কতকাল অনাহারী
গুড়িয়ে দেবো সমস্ত চাকার চক্রান্ত -- আহারের মুখে ভাত নয়
ওহে বিন্যস্ত চুলের গহনে ডুবে যাবে সমস্ত অন্ধকার
তেত্রিশ কোটির একটাও যদি পথ ভুলে তোমার পথে ----
নগর নারায়ণ
অপ্রকৃস্ত আভরণ খুলে পড়ে শরীরের
উন্মেচিত এক রহস্য জগত
সমিধ বাহক অন্য হাত
ফুল মালা চন্দন ধূপের জ্বলন
নিঃশেষ চুম্বকঘন কিছু মুহূর্ত ;
প্রথাগত বিনিময়ে দুধের লাইনে ভিন্ন মুখ
একাদশী খাদ্য অরুচি
ঝরে গেলে পর্ণমোচী
দৃশ্যভূমিতে নতুন নতুন দৃশ্যপাত ;
এর থেকে জোরালো কোন দৃশ্য নেই ছায়াছবিতে
অনায়াস দক্ষতায়
কালকের চিত্র তোলা আছে--
এডিটিংহীন কাঁচামাল ;
হলাহল কলা জাগিয়ে তোলে প্রকৃতিক্ষেত্র
ঘূর্ণাবাত
দুধের ফ্যানার ন্যায় উথলে অদ্ভুত যৌবন
পতনের সনাতনী পাখি ;
সঙ্গবদ্ধ রসায়ন এভাবেই
ভেঙ্গে ভেঙ্গে সূর্যের সামগ্রিক তেজে একদিন
শূককীটের খেলোয়াড় প্রতিভা
শূন্যর মাধ্যাকর্ষণ উপ্রে মহাশূন্যে কিম্বা ব্রহ্মাণ্ডের
শীতল কুঠিতে
আগামী যাপনের প্রতীক্ষায় -----------
নিঃশেষ চুম্বকঘন কিছু মুহূর্ত ;
প্রথাগত বিনিময়ে দুধের লাইনে ভিন্ন মুখ
একাদশী খাদ্য অরুচি
ঝরে গেলে পর্ণমোচী
দৃশ্যভূমিতে নতুন নতুন দৃশ্যপাত ;
এর থেকে জোরালো কোন দৃশ্য নেই ছায়াছবিতে
অনায়াস দক্ষতায়
কালকের চিত্র তোলা আছে--
এডিটিংহীন কাঁচামাল ;
হলাহল কলা জাগিয়ে তোলে প্রকৃতিক্ষেত্র
ঘূর্ণাবাত
দুধের ফ্যানার ন্যায় উথলে অদ্ভুত যৌবন
পতনের সনাতনী পাখি ;
সঙ্গবদ্ধ রসায়ন এভাবেই
ভেঙ্গে ভেঙ্গে সূর্যের সামগ্রিক তেজে একদিন
শূককীটের খেলোয়াড় প্রতিভা
শূন্যর মাধ্যাকর্ষণ উপ্রে মহাশূন্যে কিম্বা ব্রহ্মাণ্ডের
শীতল কুঠিতে
আগামী যাপনের প্রতীক্ষায় -----------
এভাবেও আসতে পারো তুমি , মৃত্যু
সব কিছুই পরিকল্পিত , ঈশারায় ফুড়ুৎ পাখি !
এভাবেই শুরু করা যেত নাটকের যবনিকা পতনের দৃশ্য ;
করছিনা , ঘ্রাণে ঘ্রাণে মুখরিত হোক শরীর
ইলিসের আঁশটে গন্ধ লেগে থাকুক আর কিছুক্ষন গ্লাসে
ঢকঢক এক ঘটি জলে শান্তি পাক পাকযন্ত্র ----
তারপর ----
কত সহজ ভাবেই কাটিয়ে দেওয়া যায় নিঃসঙ্গতা নিঃসীম
সমস্ত অঙ্গীকার ; উচাটানে বদ ঢেঁকুর
ছেঁড়া ইতিহাসের পাতায় বুবুক্ষ মিছিলের পদধ্বনি , না
আমার নয় , চিনিও না সে সব নোংরা পা ,
ওখানেই গলা জড়াজড়ি করে নেব না হয় !
বিদীর্ণ করেছি ভয়ের মহাকাব্য , আসুরিক অভিযানে
নগ্ন করে দিয়ে পৃথিবী বলব হাঙর শিকারি আমি , হারপুনে বিষাক্ত
বিষ লাগিয়েছি --
তুমিও নশ্বর ছিলে মহাভারত যুগে
আর আমি ব্যাধ মৃত্যুর অগ্রদূত !
এভাবেও বলব না ----
বিছানা থেকে উঠে গেলে পুরুষের গন্ধ --- আমি তো মৃতই ---
শরীর নিয়ে গেলে যা যা যা ---
চিতাতে জীবনের নির্বিষ সব অঙ্গীকার
ঢকঢক এক ঘটি জলে শান্তি পাক পাকযন্ত্র ----
তারপর ----
কত সহজ ভাবেই কাটিয়ে দেওয়া যায় নিঃসঙ্গতা নিঃসীম
সমস্ত অঙ্গীকার ; উচাটানে বদ ঢেঁকুর
ছেঁড়া ইতিহাসের পাতায় বুবুক্ষ মিছিলের পদধ্বনি , না
আমার নয় , চিনিও না সে সব নোংরা পা ,
ওখানেই গলা জড়াজড়ি করে নেব না হয় !
বিদীর্ণ করেছি ভয়ের মহাকাব্য , আসুরিক অভিযানে
নগ্ন করে দিয়ে পৃথিবী বলব হাঙর শিকারি আমি , হারপুনে বিষাক্ত
বিষ লাগিয়েছি --
তুমিও নশ্বর ছিলে মহাভারত যুগে
আর আমি ব্যাধ মৃত্যুর অগ্রদূত !
এভাবেও বলব না ----
বিছানা থেকে উঠে গেলে পুরুষের গন্ধ --- আমি তো মৃতই ---
শরীর নিয়ে গেলে যা যা যা ---
চিতাতে জীবনের নির্বিষ সব অঙ্গীকার
হন্তক
পুড়ে যাচ্ছে সমস্ত কোমল অঙ্গ
আমাকে চুম্বন ঠোট অজানুলম্বিত বাহু
কাল মখমলের চুল
স্মৃতিচিহ্নময় অনামিকা ক্রোধের তর্জনী
ফিনফিনে শান্তিপুরী ধুতি আগেই খুলেছে
যা আজও তোমার প্রিয় ছিল ;
একমন রোদ নিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে রোদের নিম্নতলে ।
গনকক্কাস অভিমুখী শরীর
কত শ্মশান দেখেছে আগুনের শোষণ দেখেছে
একবারও নিজের অস্তিত্ব পোড়ানো আগুন দেখেনি
অথচ সমস্ত চিতাতেই জ্বলছে বাবা ।
আগুনের বৈধ- অবৈধ প্রকারভেদ ছিনিয়ে নিয়েছে
কোদালের হাতল নিড়ানি ;
একদিন অন্যদিন রূপভেদে অন্য শরীর ।
আগুনের ফলা থেকে তির্যক স্বীকারুক্তি -
শরীর চেনে না আগুন -- পূর্বপুরুষ বর্তমান---------
ফিনফিনে শান্তিপুরী ধুতি আগেই খুলেছে
যা আজও তোমার প্রিয় ছিল ;
একমন রোদ নিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে রোদের নিম্নতলে ।
গনকক্কাস অভিমুখী শরীর
কত শ্মশান দেখেছে আগুনের শোষণ দেখেছে
একবারও নিজের অস্তিত্ব পোড়ানো আগুন দেখেনি
অথচ সমস্ত চিতাতেই জ্বলছে বাবা ।
আগুনের বৈধ- অবৈধ প্রকারভেদ ছিনিয়ে নিয়েছে
কোদালের হাতল নিড়ানি ;
একদিন অন্যদিন রূপভেদে অন্য শরীর ।
আগুনের ফলা থেকে তির্যক স্বীকারুক্তি -
শরীর চেনে না আগুন -- পূর্বপুরুষ বর্তমান---------
নগর প্রেমিক
রসিক নাগর আমার , এই নে স্কন্ধ মগজ পতনমুখী
অঙ্গের রেখাচিত্র ; নে তেল রঙে আঁকা রবি বর্মা'র
শৈল্পিক নগ্নতা'র মায়ের যৌবন !
বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ রাখিনি , ফোঁসফোঁস বন্ধ কর ,
পাহাড়ি সাপ হয়ে গিয়ে বিষ ঢেলে দে সৃষ্টি গর্ভে ---
চাঁদও দুই অক্তের ক্ষিদে বাড়িয়ে যেসব ঘুমন্ত ভবিষ্যতকে
নামিয়ে দেয় খাদের কিনারে , অমাবশ্যা পূর্ণিমার ফারাক
বুঝতে বুঝতে কবে যে নিজেই অবুঝ এক মা হয়ে আঁকড়ে
সমাজ , না , না , সন্তানকে আমার কাছে রেখো না ---
বোঝনা এখন শুধুই অস্তিত্বের সংকট কাল ----
যুগান্তকারী সভ্যতা গণিকালয়ের মান্যতায়
ঘুম ভেঙ্গে গেলে প্রস্তুতি শুরু করো সাপের মুখ চুম্বনের
এই বিষ ধারণাতীত নীলকণ্ঠের তবুও তড়তড় চলছে সময়
পাহাড়ি সাপ হয়ে গিয়ে বিষ ঢেলে দে সৃষ্টি গর্ভে ---
চাঁদও দুই অক্তের ক্ষিদে বাড়িয়ে যেসব ঘুমন্ত ভবিষ্যতকে
নামিয়ে দেয় খাদের কিনারে , অমাবশ্যা পূর্ণিমার ফারাক
বুঝতে বুঝতে কবে যে নিজেই অবুঝ এক মা হয়ে আঁকড়ে
সমাজ , না , না , সন্তানকে আমার কাছে রেখো না ---
বোঝনা এখন শুধুই অস্তিত্বের সংকট কাল ----
যুগান্তকারী সভ্যতা গণিকালয়ের মান্যতায়
ঘুম ভেঙ্গে গেলে প্রস্তুতি শুরু করো সাপের মুখ চুম্বনের
এই বিষ ধারণাতীত নীলকণ্ঠের তবুও তড়তড় চলছে সময়
সংবহন তন্ত্র
এভাবে হারিয়ে যেও না
ততোধিক পরিচিত নয় তোমার মুখ ;
জল স্থল অন্তরীক্ষ এখনও অনেকখানি বাকি চিনবার ।
সূর্যের গায়ে গায়ে এত উষ্ণতা কাঁদার প্রলেপ মেখেও
খুঁজে পাবো না ; পুড়বো শুধু পুড়বো
অবিরাম অসুকের মত পরে থেকে ---
না না গিলতে পারবো না পাঁচন !
তেত্রিশ কোটি দেবদেবীর মত হয়ে যেও না তুমি !
শরীর দাও , অনিবার্য দহন
পাঁপড় হয়ে ফুলবো যখন
মচমচ দাঁতে চিবিয়ে নিও -- দেখো ভেঙ্গে পরা অংশে
অজস্র পিঁপড়ে
ওরা জানে না এই পাঁপড়ের স্বাদ শুধু তোমার মুখেই !
এভাবে হারিয়ে যেও না তুমি ; বিশ্বাস করো
আমাকেই বা চেনে ক'জন
এই গৃহস্থলী ব্যাগে মাসকাবার লবণ হলুদ জিরে
শুঁকনো লংকা জ্বলন
না না , আর একবারও হাত ফস্কাতে দেবো না আমি ----
অনেক মৃত্যু পেড়িয়ে এই জীবন
দূষিত হয়ে গ্যাছে শরীর যাক
ফিরে এসো একবার
নতুন সংবহন তন্ত্র হৃদয়ে এবার !
খুঁজে পাবো না ; পুড়বো শুধু পুড়বো
অবিরাম অসুকের মত পরে থেকে ---
না না গিলতে পারবো না পাঁচন !
তেত্রিশ কোটি দেবদেবীর মত হয়ে যেও না তুমি !
শরীর দাও , অনিবার্য দহন
পাঁপড় হয়ে ফুলবো যখন
মচমচ দাঁতে চিবিয়ে নিও -- দেখো ভেঙ্গে পরা অংশে
অজস্র পিঁপড়ে
ওরা জানে না এই পাঁপড়ের স্বাদ শুধু তোমার মুখেই !
এভাবে হারিয়ে যেও না তুমি ; বিশ্বাস করো
আমাকেই বা চেনে ক'জন
এই গৃহস্থলী ব্যাগে মাসকাবার লবণ হলুদ জিরে
শুঁকনো লংকা জ্বলন
না না , আর একবারও হাত ফস্কাতে দেবো না আমি ----
অনেক মৃত্যু পেড়িয়ে এই জীবন
দূষিত হয়ে গ্যাছে শরীর যাক
ফিরে এসো একবার
নতুন সংবহন তন্ত্র হৃদয়ে এবার !
No comments:
Post a Comment