Friday, 22 June 2012

কিছুমিছু ১৫



মুরগি

সব পাখি ফিরে গেলে আপনার ঘরে
দরিদ্র হতে আসে যে চাঁদ
তার গায়ে এঁকে দিয়ে যন্ত্রণার আল্পনা
কল্পনায় সারি সারি মুখচ্ছবি
যারা ছিল আপন
যারা ছিল আপনের থেকেও আপন
তারা দূরে দূরের নিশিপদ্ম
থোকা থোকা ফুটে আছে
অঞ্জলির অভিপ্রায়ে , অথচ
এখানে থাকার কথাছিল - পাশাপাশি
পুংতি ভোজের আসরে
ওদের গ্রাসে ছিল আমার ভবিষ্যৎ !

দূরে গেলেই ফিকে হয়ে যায় রঙ
এই দাম্ভিক সময়ে দাড়িয়ে থেকে
যতবার শিখে নিতে চাই বিভেদের
কুটিল ষড়যন্ত্র
দেখি দূরে নির্জন একাকী মরুপথে আমাদের
মেষপালক
দুই হাতে মেলে ধরেছেন সতেজ ঘাস
কতটাই বা খেতে পারে পশু ......

ঘুম ভেঙ্গে যায় , উঠে পরি , নেমে রাস্তায়
বুঝি পায়ের নিচ থেকে সরছে পথ ......
আর সেই সোহাগী বন্ধ'র দল
এক একটা খ্যাঁক শেয়াল , মুরগি খুঁজছে ......









গুরুদেব

তুমি জানতে বোধহয় একদিন আমি এসে খুলে দেবো
তোমার শেকলখানি মরমিয়া প্রান্তিক কবি ;
যা কিছু শব্দ আছে যতখানি জানার পরিধি , আমি
আধুনিক হয়েও আধুনিকের একবালতি গোময় হয়ে আছি ,
তুমিই জানো আমার সকল কথাগুলি !
যাকিছু লিখিনা কেন ভেবে- চাবুক মারছি বুকে - কবিতা নয়
যা লিখছি কবিতা সিংহ নিনাদধ্বনি ...
না না সব ভুল - সব কথাই লিখেগেছেন আপনি , কবি !

তবুও , দেখি পরিচিত অপরিচিত জনসমাগম ছাতিমতলায়
বারুদের অস্ত্রাগার , তোমার লালিত্যভূমিতে শেয়াল শকুনের
পদচারণ , আগুনে জ্বালিয়ে সৃষ্টি সম্ভার পতপত রঙ্গিন পতাকায়-
রাজা বলছেন আমার ধর্মের বীজ বুনবে এখানে , বিদ্রোহী
বলছেন সুচাগ্র ভূমি ছাড়বে কেন আমার সন্তান !
আর জন্মতিথি জুড়ে মচ্ছবের আয়েজন-----
সবাই কে ফাকি ফিয়ে সবাই এগিয়ে যাবার লড়াই !

এইগুলোই চেয়েছিলে তুমি ? পূজা মূর্তি কাকের বিষ্ঠা !
হাজার ভীরের মাঝে হারিয়ে তুমি , কিছু ধান্দা কিছু ব্যবসা
কিছু ভণ্ড কবিয়াল তোমাকেই নামিয়ে পথের ধূলায় ...

ফিয়ে এসো কিছু যুগাতীর্ণ কবি ......
অনেক নেমেছি নিচে , আর নয় , আর নয় মিছে জন্মতিথি
তোমার জন্ম দিনে নেমে আসুক এখানে এক নতুন ঈশ্বর





বন্ধু

আমার সংস্পর্শ হতে পালিয়ে যদি বেঁচে যায়
কিছু বন্ধু - তবে তাই হোক ।
সৃষ্টি তে নিমগ্ন থেকে তারা খুঁজে নিয়ে মানসী
প্রেমিক প্রবর পিতা হয়ে একদিন-----
আমার এই ভয়ানক বাস্তব গল্প কথাও
মনে পরে একবার;
আমিও হাসি মুখে মেনে নেবো সময়ের
যাবতীয় অত্যাচার !
তবে তাই হোক , ফালাফালা করে দিয়ে হৃদয়
সময় নুন দাও কোষে কোষে
এযাবৎ ত্রাহি ত্রাহি চিৎকার করেছে নীল পাখি
এবার চুপ -
গান থেমে গেলে জীবনে ভূমিষ্ঠ ভবিষ্যতে
রেখোনা একটাও প্রাচীন সূর্য
নতুন আবেদনে তুলে নিও তোমাদের যোগ্য বন্ধু----

তবুও কেউ জেনে গেল না এই মাউস ঘরে বাতাস নেই
দমবন্ধ ঘরে হাজার জানালা খুলে দিয়েও
আলো নেই , নেই বৃষ্টির ঝাঁঝালো স্বাদ ...

কখন যে ভুলে গিয়েছি আমি এক মানুষ ছিলাম
কখন যে ভুলে গিয়েছি আমি এক মেয়ে ছিলাম ......
হাতড়ে হাতড়ে অবাক হয়ে গেলাম ...
আমি ধরতে পারছিনা তোমাদের ......

ইতিহাস একমুখী চলনে সিদ্ধহস্ত ......











রাতে , ঘুম ভেঙ্গে গেলেই টুপটাপ ঝড়ে পরে জ্যোৎস্না -
অতীত শুধুই দৃশ্য সুখ ,টেনেহিঁচড়ে যন্ত্রণা
শরণাগতর কাছে ফেলি না - ভাললাগে কাঁদা ঘেঁটে
গায়ে মেখে দুঃখের কবিতা লিখে যেতে !
প্রথম প্রথম সহানুভূতির চোখ গুলো মনে হয় শিল্প -
যেন হাজার বছর আমাকে উষ্ণ রাখার অভিপ্রায়ে
আর আমিও নট নাট্য গোগ্রাসে গিলে সহানুভূতি
লিখেফেলি "প্রিয়তমা এক জীবনে আর কত দুঃখ দেবে? "

রাস্তা নেই বলে থেমে গেছে যেসব হাঙর বাস
তারা ইঞ্জিনে মানুষ
দাড়িয়ে পথের অপেক্ষায় ......
তুইও তবে ইঞ্জিন হয়ে গেলি ?







সভ্যতা

ভগ্নপ্রায় সেই পাথর খোঁদলে যূথীবদ্ধ নগ্ন পা - ঈশারা সংকেত
ভীমনাদে ছুটে শিকারি- থরে থরে সাজানো কাঁচা মাংস
বধ্যভূমি উপাচারে মণ্ডিত উপঢৌকন ঈশদ খুশী চোখে
ঈশ্বর ভেট - বলি শান্ত হ এই ঝড় রাত ... এত্ত আগুন
আগুনের অভাব দাত গুলো কি গড়েছ তুমি শ্বাপদের ন্যায় !

তারপর দলে দলে বিভক্তি ; প্রকাশ্য নগ্নতা দিয়ে নগ্নতা বধ
ধনুক ছিলা পাথরের সুকোমল অস্ত্র ভাণ্ডার
শরীর খাওয়া শরীর গুলি প্রতিদ্বন্দ্বী সমরাঙ্গন রাত- ভোর আলো উষ্ণতা
থামেনা যুদ্ধ , যুদ্ধ থামলেই খাদ্যভাব !

অথচ অনন্ত শান্তি ; খুঁটে খাওয়া হাতেই সাম্যবাদ স্নেহের গল্প ,
আর আগুনের গল্প নেই বলেই
আঁধারে মুখের রেখাগুলো আমারই মত , ঐ কাছে যে বসে
আমার ভাই অথবা আমার কেউ নয়
তবুও আমারই সমব্যথী ......

এলো কিছু আগুন শিকারি খুঁজে নিয়ে আগুনের উৎস
আমাকে বন্দী করে নিয়ে গেল আগুনের পাশে
দেখি পাশে বসে আমার ভাই , চেনা মুখ তবুও চিনছে না...

আমি মহারাজ ......
নারায়ণ নয় আমি পেয়েগেছি নর সেনা
সমগ্র বিন্দু আমার ধর্মের বীজ বুনে ফিরে আসে করেনা প্রতীবাদ









সমারোহ

ঐ তো ভাব সমারোহ ; রোদে জলে পাতায় ছুড়ে দিয়ে অঙ্গ
মানুষ সৃষ্টি হ'ল ;- অনুভব খেয়ে নিয়ে পাসা
কাগুজে বন্ধনে কিছু সম্পর্ক আমাদের , আমাদের
পূর্বজীবনের ; এবার তবে কোন পুনজন্মে
রথ কলা বইচিরামের হাট
আর রোজ নিষিক্ত হতে হতে আত্মা
কোন সে জীবনের কথা বলে ?

চৌকাঠ মাড়িয়ে আঙিনায় গমন , ছায়া রোদে চিল
ধানের স্বাদ আমাদের হয় ? আমাদের
হয়েছিল কোন দিন ?
বিকৃত ক্ষয় নিয়ে আমাদের ছায়া - কল্প ইতিহাস ! অথবা
আমাদের নয় যেসব মা দেশ ভাই
তারা আপন নয় ঈশ্বরের আমাদের !

নষ্ট , নষ্ট সামগ্রিকতায় দিন রাতের উপন্যাস ......
কিছু সন্ন্যাসী যে পথে আজো
মায়া ভুলে.........
ঈশ্বর হতে গেলে বন্ধন মুক্তি .........
জীবনে মায়া অনুচ্চারিত ক্রন্দন ......






বিশ্বাসঘাতক সব মেঘরঙ ফিনফিনে শান্তিপুরী
শাড়ি , বিশ্বাসঘাতক দুষ্টু প্রজাপতি কাল
শ্রাবণ নিম্বাস মেঘের দল ......

সেই করে থেকে আগুন সংসার
এক রান্না রাত আঁধার
এক ক্ষয়
এক শরীরে হাজার পরী ...
বুনো গন্ধ
আমার কুঁড়ে কুঁড়ে খায়

ঘাতক নিজেই নিজের হন্তা সর্বদা
একটা বিশ্বাসঘাতক একটা হৃদয়ক্ষয়
 ·  ·  · May 7 at 10:48am · 

রহস্য

অতপর হারিয়ে যায় সব পরিচয় , মেঘেরাও খুলে ফেলে
রণসাজ - বাসর খেলায় মজে রাত ;
ইতস্তত সমস্ত বিভ্রান্তি সেই ঈশ্বর থেকে
ঈশ্বর থেকে দুই জন্ম এক মৃত্যু আত্মগলিত সঙ্গম.........

অপরিমেয় উষ্ণ বাদল ঝঞ্ঝা জতু জঠর ভ্রূণখোর সাপ
মৃতবৎসা'র স্তনসুধা হায়
কোন রাতে তবে ফিরে আসে পথ ভুলে জীবন ভালোবেসে
বক্ষ ক্ষেত হড়িয়ালের আমন্ত্রণে ?

নিম্নাঙ্গ জুড়ে'ই ত্রিকাল পুরুষালী শাশ্বত আত্মগরিমা ; যুগপৎ
আসক্ত নেশা নিজেকে লুকিয়ে নিজেকেই খোঁজা
মাঠকে মাঠ জুড়ে এক শূন্য
মা বোঝেনা এতশত দোষারোফে মূর্তিমান ......

প্রস্তুতি শুরু নোংরা পচা রক্ত পেছনে ফেলে সেই অতিতকাল ;
স্ফীত অঙ্গ লোভাতুর চোখের ঈশারায় নয় প্রস্তুত...
আরো গভীর রহস্য লিখে রেখেছেন সৃষ্টিকর্তা সুদূরকালে
একই অঙ্গে দ্বিধারা জন্মে আছি এবার তোমার প্রেমে খুঁজে নেবার পালা ...
 ·  ·  · May 7 at 9:27am · 





পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কৃষ্ণা
( যদি বাঁশরিয় না হয়) রেড লাইটে
নিতম্বে'র অনুচাপ
জ্যান্ত শকুন
দ্বিপদ যেকালে বিলীনের চাঁদ ,
আমি নেই তখন
হাহাকারে এক জন্ম
মা নয় , নয় বঁধু
মধু শিকারি
প্রতিটি আমি
জানোয়ারের প্রতিনিধি



রোগশয্যা

আর খানিকক্ষণ আলো রেখো জ্বালিয়ে
স্যালাইন বোতলে বিষ ঢুকিয়ে শেষ লড়াই
মৃত্যুতে নয় যত ভয় ছিল জন্মে ; অষ্টাদশ দিবস
নামলো বোধহয় , সঞ্জয় আমি কিছু শুনছি না কেন ?
সচারচর নিষ্কর জমি নারী'কে ছিনিয়ে নিতে হয়
মরণের , আর তর্জনীতে নাচিয়ে দিনকাল
অস্থাবর বাড়িয়ে কেবিনে দ্যাখো দিব্যি শীত ঘুমের
প্রস্তুতি ; ঘুম আসে ? ঘুম আসে না ?

মরণ

অহেতুক নয় বংশী , কারন আছে বলিষ্ঠ জোরালো এবার ;
অনেক বসন্তে ফলিয়ে ফসল সুখী নই ?
প্রেমে হারজিত মাপিনি বেলুনে তুলেছি নিজেকে অহরহ ,
পাইগণ্ডা ছারিনি শরিকে , সমগ্র মাঠে আমার ধর্মের
ফসল ফলিয়ে ক্লান্ত আমি ?
এখনো অনেক বাকি আছে , বীজতলা জল সিঞ্চন ,
অগ্রহায়ণে ধানের গন্ধ নবান্নের সে সব রাতে ...
এক পাগলী
আমাকে পাগল করার আগেই .........

জন্ম

ভয় নেই আকাশে ভেসে থেকে ...
কতবার পৃথিবী ঘুরে গেল আমাকে পেছনে রেখে ...
বিশ্বাস ছিল জলের কাছে মাটির কাছে স্নেহ চুম্বনে ...
ফিরে আসে প্রিয় এভাবেই
এক রোগ এক মৃত্যু এক হাহাকারে
ভুলেছি জন্ম
ভুলেছি মৃত্যু
ভুলেছি দেশ কাল পিতৃ পরিচয় ...
যত ক্ষেদ ক্ষোভ নবান্ন স্বাদ ঠোটে
খোলস বদলে নিয়ে
দ্বিতীয় জীবনে ......







একাকী সেই মেয়ে , এক বৃদ্ধর ঘাড়ে চেপেছিল
নিয়মে ; তার আপেলত্তের দিকে তাকিয়ে গোটা চোখ
নির্লজ্জ সম্মানহানি , বুড়োর কি এখনো বাহাত্তুর ধরেছে ?
কাঁকড় চালে জেগে থাকে যেটুকু ভবিষ্যৎ
অর্ধপেটে আলু সিদ্ধে জাতীয় জীবন
মাউস ঘুরিয়ে স্যানফান্সিস্ক'র রঙিন অপ্সরা - ক্যাপিটাল
ঢেকে উর্দিতে ......
এই তো দিনগুলো তে আমরা উন্নত প্রজাতি !

তবে প্রেম নয় ! আরো গভীর কিছু ক্ষত নিয়ন্ত্রণ করে
জীবন ; হাজার উপড়ানো স্বপ্নে পা মিলিয়ে
এক বুলেট -- রক্তরস আমারই ......

কেউ বোঝেনা কোনদিন গোপন ভাষা ......
মুখে'র হাসিতে কত ক্ষিদে আছে মিশে





মৃত্যু বিষয়ক ০৯

অথচ দানবেরা কতকিছু রেখে যায় - মৃত্যুর
আগে পরেও বা ;
কিছু দিতে পারিনি আমি , সোনার নেকলেস
রঙচটা বাড়ি এমন কি রেখে যেতে পারিনি
দ্বিতীয় পরিচয় , যতবার
ফ্যালফ্যালে চোখে আকাশের দিকে তাকিয়েছি
যেন সবগুলো ধ্রুবসত্য তারা
আমারই মত নির্লিপ্ত থেকে বলেছে----
সব স্তব্ধ হয়ে যাবে একদিন ;
সব রঙ একদিন বিবর্ণ পাতায় উগ্রে দেবে ক্ষোভ ।

এসো , এসো অতৃপ্ত আত্মা ----------
কাল সলীলে ডুবে যায় একা একা , পরিচিত
জনসমাগম নিঃশ্বাস নিক প্রাণ ভরে পরাজিত
মানুষটি চিরতরে স্তব্ধ হয়ে গেছে জেনে ...
মরণে কি সব স্বাদ যায় মুছে ?

অজান্তেই কত প্রাণ ঝোরে গেলে
কতশত অশ্রু ফল্গুধারা ............
যদি কাঁদতেই হয় মরণে --- কারুর , কেঁদো একবার...
দমচাপা ঘরে এই পাণ্ডুলিপি ভিজিয়ে দিও জলে...
অনেক আগুনে পুড়েছে শব্দ - জীবনে ......









তিন কবিতা

০১

সব বসন্ত বাতাসে নদী আপন গর্ভে
কাছে এসেও খুঁজে না পেয়ে জল - সেই নীলপরী
মৎস্যকন্যা'কে দোষারোফ করলো বটে
না পাবার যন্ত্রণায় --- আমি জানি শুধু
সব নদী এখনো প্রবাহিত গৃহস্ত সুখে !

০২

কিছু পথ ধরে আসা যাওয়া উড়িয়ে ধুলা ,বৃথা রাখাল বালক
বাঁশরিয় মন ময়না ;
খই ছড়িয়ে গোময় ছিটিয়ে পবিত্র আকাশ
না না তাকাবো না বাঁশকাঠি ধান গোলায়
এবার মায়া রেখে যাক সন্তান
গৃহ কি গৃহ হয়ে আসে জীবনে !

০৩

ভালবাসলে কেঁচো মুখ তুলে দ্যাখে পৃথিবী নেই ;
নেই গ্রাম সীমান্ত প্রাচীর উর্দির ভয় ভীত দৃষ্টি ,
সমস্ত মরাল ভুল করে পথ জল কেই করে নেয় শত্রু,
অথচ এতো সব ভুল করি
এতো মিছিলে লড়ায়ে রাজপথে আমাদের আমি ......
আমিও যদি একবার দেখতে পেতাম পৃথিবী নেই .........







স্বর্গ হতে দূরে ... ০২

০১

সেই পাঞ্জাবী আবার চাপিয়েছি
যেটা প্রিয়ছিল আগুনের চেয়েও তোমার
শুধু বিপ্লবে পরতাম
যদিও সেই সব পতঙ্গ
যারা ভাল বাসে নিজেকে
আগুন পূজারী
আমি হিম হয়ে গেলাম ।

০২

দুর্বোধ্য সঙ্কেতে
ছায়া-রণ নিজের
চুম্বনে বিকালের ঘ্রাণ ফেলে সুবেশী নাবিক
অতলান্তিকেও কি নোঙ্গর ফেলে
গৃহের ?

০৩

এদ্দিন পরে
কলজে'তে এক যুবক কাল
ঘুম ভাঙ্গেনি যেসব
রাত্রি পিশাচের
তারা তবু
এখনো চোখ উল্টিয়ে ভয় দ্যাখায় !

০৪

ভয় ছিল না জ্যান্ত জীবনে
মরণে অনেকটা বেড়েছে
নাগ ফণাতে ডরায় নিই শিশু
তখন
এখন ফোঁসফোঁস শব্দে
রক্তের গতি কমছে ।

০৫

চেনাজানা সমস্ত দরজা জানালা
গরম তেলে লাশ
ষাঁড় বাহক বিশারদ সম্মুখে
প্রস্তুতি সারছেন সময় ;
কাছে দূরে
ফ্যাঁকাসে চুলের অগ্র
খড়কুটোও হতে পারেনি
ডুবন্ত সময় ,
প্রেমে- অপ্রেমের দ্বন্দ্ব
স্বর্গ প্রাপ্তিতেই বুঝিয়েছেন দুর্বার সময় !







রংঘর

জলের বৈধ-অবৈধ প্রকারভেদে ছিনিয়ে নিয়ে প্রাণ
পয়ন্ত এক অট্টহাসি হৃদয়ের ; ক'জন বা
দুঃখকে বলে যা ঘুরে আয় হাসি পাহাড়
এখন যে অনেক কাজ বাকি । ধূধূ প্রান্তসীমা
ঘিরে সেই তো রোদের নৃত্য , লু , বালিয়াড়ি
শুকনো পাহাড়ে'র খাদে বসতঘর আজীবন
নিঙরে রক্ত কালঘাম , হাস্যবিশারদ ক্যাবারে
শোক নেই তাপ নেই , পিস্টনে চাপ বাড়ে ঘূর্ণন
শুধুই চাকা ... ঘোরে তেল রাস্তায় ... কি জানি
এই রাস্তায় কিছু ঘর ছিল একসময় এখন শূন্যতায় !

গ্রাম ঘর বসত দূরে নিথর শামুক ; প্রাচীন বিদ্যায়
মুলিবাঁশে পেরেকের আন্দোলন
সবকিছু কি ভুলিয়ে দেয় সময় ?

ক'জন ই বা বোঝেন আত্মচরিতে জল বাহক চোখ
শুধু আমার নয় , সেই হিমাংশু পট্টনায়ক কাদের মিয়া
অরুন্ধুতি সেন যেভাবে ছবি এঁকেছিলেন হৃদয়ে
আমারটাও ততোখানি ......... কিম্বা নয় !

ঘর গুলোই থেকে যায় শুধু দুর্দিনেও অসহয়তার প্রতীক হয়ে ......
আমিও অন্যঘরে রঙ মাখিয়ে
বুরুশে তুলে রঙ তৃতীয় চতুর্থ পঞ্চম ঘরের নিবিড় খোঁজে ...
যদি পেয়ে যায় অবেলায়





কি নাম দেবো ......

বিলতে পেরেছি বলেই , তোমায় পেয়েছি
ধরতে শিখিনি বলেই , হারিয়েও তোমায় হারায় নিই

আজকাল শব্দরা ভীষণ কৃপণ বুঝলে ,
আজ কিচ্ছু ভাল লাগছে না ,
মনে হচ্ছে আমি একা নই তবু একা ,
এক চাপ আমার বুকে চেপে বসছে ......
সরিয়ে দিয়ো তুমি আজ রাতে ......
মন্থিত শব্দ ভাণ্ডারে শুধুই একশব্দ তুমি ......
আমি নশ্বর ,
একদিন ফাঁকি ,
তোমার গাছ রাখবে তোমায় মনে ,
হারিয়ে গেলে খুঁজে দেখো আমার মাটি ,
জন্মে নয় , সমাধিতেই আমাদের পরিচয়
আমাকে নিয়ে এভাবে খেলো না সময় ,
দাসরাও দেখো দুদণ্ড সময় মাগে ,
বিসর্জিত প্রস্তুতি করেছি সারা ,
একবার ডাকলে সলীলে প্রেম ভালোবাসা
মঞ্চ আসর তাসের পার্টি হাজির ...
সংখ্যা দিয়ে রাণী বধের খেলা
চোখের ভাষায় উদাস কালো মেঘ ,
জল নামবে হয়তো ধীরে ধীরে
অনেক পতন অনেক লেখা লেখি ,
সপ্তঋষি চোখে অহনিশি
দূর্বার এই অভিপ্রেত স্রোত ,
তুমি ডাঙ্গায় আমিই ভেসে চলি
বজ্রনিনাদ শঙ্খ উলুধ্বনি , শূন্যদৃষ্টি শূন্য সৃষ্টিখানি , অতল সুনীল
গভীর মনের খনি ......






মৃত্যু বিষয়ক ০৮

ওহে নশ্বর , আগুন শ্মশান স্কন্ধকাটা শব ,
আর আমরা ,
একবাতি নিয়নে কাদের নিয়মের রাজত্ব ?
হিঁচড়ে টেনে আনবো আমি , এক লাইট পোস্ট
এক আগুন , বাদবাকি অন্ধকার ...
তোমার নিয়মে জন্ম
শুধুই হিচুর কারবারি , অথচ দালাল বেশ্যা বসতবাড়ি
রঙচঙে ট্রেনে চড়ে জনপথ ফাঁকি , ধান্দা পাইস ইনকাম
ট্যাক্স ট্যাক্সি সাটেল মোটর
ইঁদুর দৌড়ের আসর ... খোলা ইতিহাস পাতায়
রক্ত ঘাম জল প্রেম
নিস্প্রিহ চাহুনি বকুনি বেগুনী হিংসুটে পাংশুটে বিবর্ণ
মুখমণ্ডল ... অপদার্থ ,
দেখ চেয়ে ........................
শ্যাওড়া গাছে'র দায় নেই সময়ের শব্দের শরীরের মনের ...

একবার চেপে ছেপে দে নিজের শরীর প্রতিবিম্বে
শান্তিতেই সমাধি দেবতার !
 ·  ·  · May 4 at 7কবি

গত পঞ্চাশ বছর এক কলম লিখিনি আমি
গত পঞ্চাশ বছর সব কবি নিজস্ব দাসত্বে ।

আজ এক কবি মরছে হাসপাতালে তিলতিল
বাঁচা গেল , শালা খচ্চর
নিজের জলে কাঁপিয়েছে কলমদানি ফুলস্কোপ ।

শালা , গত পঞ্চাশ বছর
গত পঞ্চাশ বছর এক কবি লিখে এক মুঠো ভাত দেয়'নি
আমার পেটে
যাবো , যাবো শোকসভায় কবির ......
বিড়ি রেখেছি কানে গুঁজে
আলুরদম পরোটায় পেট ভরাবোই ভরাবো ......
লেখ কোটি কোটি কবি ......
রোজদিন শোকসভা ...... হা হা হা , পেটে ভাত

বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ কবি কবিতা লিখুন জোরকদমে
হাড়িয়া মুরমু আছে লাইনে ...
জীবনে দাওনি , মরণে দিতে চাইলে খাবার ......
আসো কবিতা লিখি









মৃত্যু বিষয়ক ০৭

অপবিত্র নয় ছায়ামূর্তি ভুশণ্ডি'র অতি বিপ্লবী সন্তান ,
এক কালে অপূর্ব জাদু বিদ্যায় স্তনে দুধ এনে
আমাকে দেখিয়ে জৌবিক উপত্যকা কালো বিড়ালের
ন্যাজে পগারপার ...
সেই থেকে বিড়ালের সঙ্গে আড়ি ......
যদিও প্রতিটি চরিত্রই শববাহক
ডোমের চরিত্রে বৈকুণ্ঠ অধিপতি ...
আর সকলের জন্মের আগে সাত কাহন
তবু কোন জলে ভেজেনি শ্মশান অগ্নি ।
( ভুত ভবিষ্যৎ )
কি দেখছো তুমি প্রিয় ?
কণ্ঠনালী ভিজিয়ে নিয়েছ জলে ?

বুঝেছি বুঝেছি , বারবার আমার টিনের চালে তোমার
পদধ্বনি , তুমি এক শিল্পী আমি শিল্পখানি ......
ভুশণ্ডির মাঠ কাঁপিয়ে এক নতুন অতিথি ...
আমার মধ্যে তুমি তোমার মধ্যে আমি 







অর্ধ মৃত

পারতো আলিঙ্গন করে নাও ভালোবাসা , অনেক
পুড়েছি ; রাজী আছি শিকার হতে , দেখে নিও শুধু
তৃণে যেন না থাকে পুরনো রক্ত !
একবার ধুলিজন্ম , এক পতন , এক স্রোতে
প্রবাহিত ধারা ধরে ভণ্ড জোঁক
ছারবেনা আধিকার সে ......
পারতো উষ্ণতা দিয়ে লুকিয়ে রেখো !

তবে তাই হোক ! আসমান জমিন ফারাক আমার সঙ্গে আমার
শরীর কতখানি শরীরের
মেধ চাবকে তুলে মাষ
দ্যাখ ভেতরে থরে থরে হেমলক রস ...
তাই
নিমজ্জিত জগত আমার , আমি নিজেই প্রজা নিজেই অধীশ্বর !

তবে ভুলিনি কেন এখনো ? তোমার ধাতু দিয়ে আমার ভবিষ্যৎ !
ওরে মরণ শান্তি নাই ......
অর্ধ মৃত
জীবনের থেকে ভয়ংকর !









ফিরে আসা

এক মৃত্যু ফেলে আসতে পেরেছি বলে
কিছু আধপোড়া ছায় দেখেলে এখনো ভয় পায় দ্বিধা'রা

অবিনশ্বর শস্যগোলা থেকে গন্ধ মেখে
আমার জন্মের আগে
আমার জন্মের পরে
শাদা শাদা মাখনপাখি উড়ছে
হয়তো দ্বিতীয় গোলাতে পরিয়ায়ি ......
আধখানা সিগারেটে পুড়ছে সময় ......

বল তবে কে মৃত্যুঞ্জয়ী সময়ের ? বিশুদ্ধতার মিশেলে রঙ মশলা
উড়ন্ত চাকতিতে কিছু জন্ম
এক ব্যাধি
ভালো লাগেনা শব্দ ঝংকার
পাঁচফোড়ন ঝাঁজ , যন্ত্রণা





















:55pm · 




























































No comments:

Post a Comment