Thursday, 21 June 2012

কিছুমিছু



অতি কথন

মধ্যরাতে দাঁড়িয়ে আছি ওহে জীবন !

এঁটেল কাদায় বদ্ধ নিউরন নৈকট্য এসেছে
যন্ত্রণা অজস্র সাপ হিস হিস করে সারারাত
প্রিয়তমা ভেবে ব্যাঙের মুখে চুমি !

অখণ্ড এক ব্যাপ্তিতে জগৎ
প্রাগৈতিহাসিক থেকেই নির্মাণ হৃদয়ে কুড়ে ঘর
সব দেঁতো পশুর চেতনা আমায় টানে
স্তব্ধ হবো সে বিশ্বাস নেই প্রাণে !

তোমার শরীর কে নয়
নিজের কায়া-ছায়া শত্রু আমার সর্বনাশ
রক্তের মাঝে হেমলকের ছড়াছড়ি
নিম্ন প্রদেশ রক্তে মাখামাখি
কেঁপে ওঠে তাঁরা আমার সাথে মধ্যরাতের যামিনী !

স্বপ্ন বিহীন বিনিদ্র রাতের গল্প
নিভে গেছে মোম আমিও আগুন খুঁজি
যেখানেই হাত রাখি ভুষো কয়লার অনুভব
আপাদমস্তক কাঁথাতে মুখ ঢেকে
নিজেকেই নিজে খুন করি !

এবার অমৃত থেকে বিষ খুঁজে নেন মানুষ
তরল অনুতাপ প্রতিরাতে পান করে
স্বপ্ন মানুষ
বিষাদের আকৃতি গড়েন







অভিমান

বেঁচে থাকে যদি এক চোরাকারবারি দালাল দেহ
স্বভাবে জাল বুনে ঋণী রাখে কিছু হৃদয়
দিব্য আলো পিছু ফেলে অভিযানে শবে শ্মশানে
শেষ জল ঢেলো না প্রিয়
ভিজবে না , ভিজবে না শরীর
পারোতো নামিয়া দাও মেঘমল্লায় রবীন্দ্র সঙ্গীত
বৃষ্টি এলে -- যেমন
ধান ছড়িয়ে দিতেন কত সেই সব মা !
আমাকে মনে পরে ?
সেই সব মা গল্প করেন ? যখন তুমি ঠোঁট রাঙিয়ে বলো
প্রিয়তোষ বড় ভালো ছেলে !

ঘরদোর কিছু অহংকার
লেজ উঁচিয়ে তেড়েফুঁড়ে গলি সারমেয় দিনান্তে
ভাদুরে স্বপ্নে উপোষী । মা

এখনো মনে পরে ? জন্মান্ধ ব্যথা সুযোগ সন্ধানী নয় স্নেহের ,
নিত্তিতে দেশ তোল প্রতিবেশী'র প্রাচীর
শ্মশান ছায়ে প্রথম জলটুকু
জঠরের ভালোবাসার শতগুণ অভিমানে !









অনুভবে যাপন

অনুভবের হিমরাতে শ্বাপদ আর শান্তি
করমর্দন কোলাকুলি দ্বৈপায়নে ;
সব মিথ্যা ,
অযুত সেনা , হ'য় বাহিনীর টগবগ দৌড়
রক্তপুরিতে জন্মের সুতীব্র চিৎকার
লালাসার লালা ঝরিয়ে
কে তবে মৃত্যুঞ্জয় সময়ের ;

প্রেম নয় , জাগতিক মায়া সবখানি নয়
ধূসর আত্মসম্মানে ,
জয় পরাজয় মিথ্যা
শুধু মনের দ্বিতীয় ক্ষুধা যা অন্তর কুড়ে খেয়ে
নামিয়ে দেয় সম্মুখ সমরে ;

আমাকেই প্রতিষ্ঠা করেছে আমার আমিত্ব পৌরুষ ;
কোমলতার পদার্পণে আমি হীন নারী
যুদ্ধ জয় পরাজয় সব সম্মুখের অভিনয়
আমি পুরুষ
নিয়ত লড়ে চলি প্রতিষ্ঠার লড়াই ।











এখনও কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প

হিটলার মরে- টোরে ভুত হয়ে গেলে
"মেইন ক্যাম্পের" হাত রাখে কেউ ?
বীভৎস গনহন্তক উদ্ভাবনী ক্ষমতা ছিল লোকটার
"কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প " শব্দটা দিয়ে যাননি শুধু
লোলুপ কিছু হায়নাও দিয়ে গেছেন চেতনায় !
দেশীয় কোন "লকআপে" হোক ইরাকের কোন
খেজুর ক্ষেতের পাশেই হোক -- নখ উপ্রে নেবার
সেই দৃশ্য এক -- অথচ চরিত্র শুধু ভিন্ন !
স্থান কাল পাত্র বদলে যায় , বদলে যায় বুলেট
বুট বনেট , কিন্তু বুকে সেই আঘাতের চিহ্ন
সেই কৃষ্ণচূড়া ফুলে'র রঙ্গে তাজা রক্ত
সেই যন্ত্রণাই প্রিয় মুখের সারি চোখের সামনে ,
আমার গঙ্গার রক্ত যেন মিশে গেছে টাইগ্রিস রক্তে !

পশুরাও স্বপ্ন দেখেন তবু রক্তের নয় !
যারা শরীরের প্রতি টুকরো ক্ষতে লবণ ছড়িয়ে দেন
নাইট্রিক অ্যাসিড তৃষ্ণাকালে ,
মরণও তবে তবে দৃশ্য সৃষ্টি করে ?
আর যখন মৃত্যু আসে নির্ভীক বুকে তখন তোমার
বুকের ঈশ্বর ?









কবি জন্ম

মৃত্যু চেয়েছিলাম ,
দ্যাখো কি দারুণ জন্ম পেয়ে গেলাম , তৎসহ
এই কবি পরিচয় ফ্রিতে ;
তৎক্ষণাৎ মনে পড়লো আমার কোন পরিচয় নেই
সম্পর্কহীন কিছু গোলকধাঁধায় বেঁধে দিয়েছেন
আমার সরস্বতী ;

আসলে আমি মৃত্যুই চেয়েছিলাম প্রথম একাদশের
খেলোয়াড় হিসাবে , তার বদলে পেয়ে এলাম
গৃহস্ত কীটের নামাবলী ;
উপসর্গ হিসাবে কিছু পেটের দায়িত্ব আমার
অনেক ত্বৎবির করে যদিও বা কিছু শব্দ আসে --
দেখি ভাত আসেনে
আর এখানেই সেই সুতো ধরে রাখা ক্যাপ্টেনের করিস্মা
জানেনই - ভাত না এলে
শব্দ আসবেই আসবে ;

আমি দ্বিতীয় কোন জন্ম প্রত্যাশা করতেই পারি !
সর্বশক্তিমানে অঙ্গুলি হেলনের বিরুদ্ধে হাঁটতেই পারি !
জন্মেই লেখা আছে আমার স্বাধীনতার স্বপ্ন ;
অনেক কবি জন্ম আসবেই শক্তিমান !
অর্থহীন এই শব্দ কারিগর জীবনে ---
হয় মৃত্যু দাও নচেৎ দাও লিখবার সুস্থ স্বাধীনতা









দ্বিতীয় জন্ম

আমিও তো ফিরে আসতে সেই পরিযায়ী চেনা পথে --
ফুল হয়ে ফল হয়ে দুপুরের গাছের পাতা ঝোরে
এখানকার সিংহ সিংহাসনে ;
সেই তো জন্ম জন্ম আর জন্ম , অঙ্কুরোদ্গম
ধানের বীজের মতো
ধর্মে ও জিরাফে ;
আর সেই নদীর প্রান্ত জুড়ে বসতি বিয়ের আসর
স্তুপাকার বারুদ - বারুদের গন্ধ
সেই তো দিগন্তের এপারে সংসার ওপারে স্বর্গ
সুর দেবাসুর নন্দি-ভিঙ্গি মাৎলামি আতলামি ;

ফিরে তো আসাই যায় , কিন্তু কি হবে ?
একটা জন্মের সাথে আর একটা জন্মের পার্থক্য শুধু শূন্যতা
দ্বিতীয় জীবনেও প্রথমে জীবনেরই সব অনুক্ষণ









এই ম্লান মুখে তোমার ছায়া ভাসে আমার স্বভাবে ,
পঙ্কিল জীবন চর্চায় পরভোজী আত্মা নিষিক্তের
বিভোর স্বপ্ন-স্যাম্পেনে ; তুমিও পান পাত্র হাতে ঠাই
দাওয়ায় , কত তাঁরা নিবিড় পাশাপাশি আজীবন তবুও
কেউ চেনে না কাউকে ! সব অভিমান রেখে হাত ধুয়ে ফেলি ,
দাঁতে লেগে থাকা টুকরো মাংসের,স্বাদ ঠিক মাংসের নয় ,
তবু , চেতনা বিলাপ বলো অভাবের অন্তঃমূলে তোমাকে
খুঁজবার আমার সেই স্বাদ গেল না ষাঁড়াষাঁড়ি বানেও মুছে!

আমাকে আর দ্বিতীয় জন্ম দিতে পারিনি,যে ভুলে গিয়ে
সমস্ত অন্যায় আবদার কিম্বা নারীর মধু মোহ লোভ
ফেলে তোমার প্রজ্ঞ্যান ঠোঁটে লেখা রবে শুধুই আমার
ঠোঁটের সীমাবদ্ধতা !
তুমিও করোনি কোন দাবী মূল্যবোধের,সেসব আকাশের
মত নিজেকে বিলিয়ে দিয়েই ডুবে যাও চক্রান্ত বৃষ্টিতে , খুঁজে
হন্য হয়েও ধরতে পারিনা যখন -- তখন চেতনার হুলিয়া
জারি করি তোমাকে ধরার আয়েজনে !

এবার বৃষ্টি হবে , আকাশ পথেই খুঁজে নেবো আমার নাম -
নিরুচ্চারিত তোমার গোপন কথাতে লেখা আছে জানি
শুধুই আমারই মান অভিমান













ঘুরে দাঁড়াতে চাইবো না আর ,
অনেকবার দেখেছি
ঘুরেফিরে সেই একই শব্দের দিকে ফিরে আসা
একই থালা একই থালার মাছি ।
ঘুরে দাঁড়ানো সহজ চিন্তা বলে
প্রথমতঃ সকলেই একবার দেখেন ।

তাই
এবার লিখবো সব থেকে দুঃখের কবিতা --

তারপর দুঃখ থাকবে না !















দুই মেয়ে

মেয়েটিকে এবার বৃষ্টি দেবে পুঙ্খানুপুঙ্খ সহজাত
প্রভা ; মেয়েটিও দেহাতী হতে পারেন কিম্বা
কাজের মাসি অথবা নামহীন কারুর মা --
প্রশ্ন থাক, আদালতে যেমন জমা থাকে ফরিয়াদির
সন্তান হারানোর ইতিকথা ।
বৃষ্টিতে ভেসে গেলেই শরীর , মেয়েটির মনে এক
বোধজন্ম নেয় , রমাকান্ত সেন লেনের পাঁচ তারা
গগনচুম্বী আকাশে যে মহুয়া দাসগুপ্তা থাকেন
তিনি আর আমার মেয়ে
সম্পূর্ণ আলাদা ---
তবুও বৃষ্টি ক্যাপিটাললিজম পড়েনি বলে দু'জন সমান
মাত্রায় ভেজেন , দু'জনের একসঙ্গে দেখা হলে রাস্তায়
একই রকম মেয়ে মেয়ে দৃশ্য গুলো রাস্তায় ফোটে --
আমি দু'জনকে আলাদা করতে পারি না --
তবুও কত আলাদা !

এবং প্রতিরাতে
একজন ভাতের থালার লোভে
দ্বিতীয় জন অট্টালিকার মোহে খুন হয়ে গেলে ---
শান্তনা সেই একই বৃষ্টি --
জল সর্বদা পতনমুখী বৃষ্টি হোক চোখে হোক









জোকার কাহিনী

আমাকে মৃত্যু দাও ।
অনেক ঘেঁটে দেখেছি শরীর বল শব বল
মায়ের আঁচল ময় নারীর নরম বিছানা
পুতুল ঈশ্বর যম দুয়ার শ্মশান সিঁড়ি ।
মরে যাব , মরেই যাব আমি সে ইলেকট্রিক
চুল্লীতেই হোক বা ভেজা কাঠে ।
সমস্ত চামড়া জুড়েই খেলা শুরু হয়েছে মৃত্যুর
সাধের নদী থেকে নোঙর তুলে নিয়েছে নৌকা
আর নেই সেইতির প্রয়োজন ; আর পারছিনা
যৌবন , সমস্ত ব্যাবধান ভেঙ্গে গেছে সূর্য থেকে
আমার , শাশ্বত বিশ্বাস ব্যক্তি বিশেষ থেকে উঠে
গিয়ে দ্যাখ কঙ্কাল - আর জন্ম নেই
এই জীবনে আর সেই উত্তাপ এলো কই ?
বেঁচে তো দেখেছি আমি ---
সেই শরীর শরীর শরীর এবং অন্ধকারে নিজের
সঙ্গে নিজের লুকোচুরি , অনেক খেলেছি
তরমুজে অনেকবার রাঙিয়ে নিয়েছি ঠোঁট ,
প্রচ্ছাবে জ্বালা বুঝেছি
বুঝেছি ঝরে গেলে সব সাদা নেশা
পৃথিবীতে একটাও নারী নেই যে বঁধু নয় মধু নয়
মায়ের তৃষ্ণা চোখে আয় দরজা খুলে রেখেছি তোর !

ঢের বেঁচেছি আমি মৃত আত্মা নিয়ে বৈভবে ছন্দ রসে ,
আমার কি প্রয়োজন ছিল পৃথিবীতে ?
নারীর উষ্ণতায় - হাই হাই
ব্লাউজের ফাঁক গলে হাত গ্যালে সেই জ্বলন , সেই
নিম্ন প্রদেশ ক্ষুদার্থ হাহাকার
এবার শাস্তি দাও আঙ্গুল কে রোমকূপের সেই ছেদবিন্দু
বরফ শীতল করে দাও জেন একটা জন্ম ও
কেঁপে না ওঠে
আগুনের সান্নিধ্যে !
বেঁচে এতো জ্বালাছিল বুঝিনি , বুঝিনি
আবর্ত কীটের সেই ধ্বংসাত্মক ইউরেটাসের বিধিবদ্ধ
নিয়মাবর্তিতা ; অথচ তুমিও নারী
প্রলোভনে নিষিদ্ধ ইন্ধনে কামনার জলে প্রতিমাসে
নিজেকে এভাবে সমৃদ্ধ করে লোভ দেখাও ?
ভেবেছ আমিও সাপুড়ে ওঝা ?
যে বিষ দাঁত ভেঙ্গে দিয়ে আমার শয্যাসঙ্গিনী ?

সমস্ত ঘটনা প্রবাহ তোমাদেরই নিয়ে জন্মদাত্রী পিতা-মাতা !
বেশ আছো হিপক্র্যাপির দল ,
গুছিয়ে নিয়ে ওধারে সংসার - এই জটিল বিবর্তনে
আমি আমার আস্ত যৌন সাম্রাজ্য রেখে
নধর বসন্ত গিলছ --- যাও যাও , আজ তোমরাও মুক্ত
এই মৃতের বন্ধন থেকে ,
দেখি , যদি আজ প্রত্যেকটা তরতাজা দেওয়াল থেকে
ঈশ্বর না কেঁদে ওঠেন আমার মৃত্যুতে --
বন্ধুগন
বুঝে নেবেন ঈশ্বর জোকার পুষতে ভালোবাসেন !















জীবনের গান

একবার এক স্বচ্ছ বকের ডানায় কিছু চোখ
ডুবে গেল , সুনীল প্রান্তরে প্রাকৃতির প্রস্তাবে
রঙ্গিন হ'ল মাছরাঙা , গাঢ় অন্ধকারে দৃশ্য
প্রকট হয়ে পুরনায় ব্যথা নেমে এল জগৎে ।
এই দৃশ্য দেখে অনুভবের শ্লেষে পূর্ণতা পেল
সবুজ ফল , পক্কতায় কৃপণ স্বাদে !

চরম আকাঙ্ক্ষার স্বপ্নমূলে আঁচল ওড়ে সমগ্র
দৃশ্যকল্পে , ওর নিচেই রয়েছে নধরকান্তি ছাগ
মেধের মত এক বিস্মিত ভবিষ্যৎ ; স্বল্পায়ু'রা
চিরকাল পলায়ন করে বাস্পভুত অনুভবের দিকে ।

তুমিও , তুমিও পলায়নরত মেঘ-ছায়া- সমুদ্র থেকে ,
কিম্বা দ্যাখো অসুস্থ চাঁদ সূর্য কিম্বা অজাতশত্রু বৃক্ষেরা
বা সমগ্র বনস্থলী কুঁকড়ে কুঁকড়ে ঘাত-প্রতিঘাতে
নিশ্চল স্থির ধিতস্তি ; তবুও একদিন
যে যার ভূমিতে নিঃশব্দে বিপ্লবে অথবা জেগে
থেকে গেয়ে যাই জীবনের পূর্ণতার গান !









সাতকাহন

মৃত্যুর পরে আর মানুষ থাকি না তবুও
শরীর অনেক লোকাচার করে যাই ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ;
দেখেছি- বেঁচে থাকতে শরীর যতখানি দিয়েছিল
দেশ ভাই জাতীকে ; মৃত্যুর পর দিয়ে যেতে পেরেছে
ঢের বেশি । শৃগালের খাদ্য হাড়ের জৈবসার আর কিছু
গুল্ম যখন কবর থেকে উঠেছে , বুঝেছি জন্মটা
সার্থক এবার ! অথচ জন্ম কালে
করতলের এই ম্লান রেখেগুলো তোমার দিকেই রেখাপাত
করেছে বলে বলেছিলেন জ্যোতিষ , সেই বিশ্বাসে
বিশ্বাস রেখে দেখেছিলাম বিশ্বাস বড় বিশ্বাসী হৃদয়ের -
হতোদ্যম হতেই চাই না --------

যে প্রচণ্ড ঘৃণায় তুমি তাকিয়ে থাকতে আর মনে বলতে
অপদার্থ - বুঝতাম এই কথা বলতে তোমার হৃদয় রক্তপ্লুত
হয়েছে অনেক ; ক্রমশ সীসার মত ভারী হতে হতে
আমি ডুবতাম তোমার মধ্যে ,
তুমি ব্যাভিচারি শেখনি বলে একদিন মৃত্যু হল আমার --











মর্গ

মর্গে সেই শান্তি নেই ; পাখির ঠোটে নেই
গম দানা , নেই বায়ে শেয়ালের ব্যবসাপাতি ,
নেই সারস ডানায় শান্তি নিশান প্রেমিকার আঁচলে
জাগতিক ভবিষ্যৎ !
দেখুন , অথচ কি দারুণ ঘুমিয়ে আছে শাবক
মাতৃ ছাড়া লাশ নাম নিয়ে , শল্যবিশারদ
জার্মানি কাঁচি নিয়ে প্রস্তুত হৃদয়ে আঘাতের চিহ্ন
আছে কতখানি মরণের পরে খুঁজে নিতে !
এই নিঝুম নিস্তব্ধ উপত্যকা'য় সার বেধে ইতিহাসের
চরিত্র ঘুমিয়ে আছে ; দম্ভ মায়া লালিত্য মমতা ,
বেঁচে ছিল যখন তখন ধুন্ধুমার, আমি'র সাথে আমিত্বের লড়াই ,
এখন দ্যাখো "আমি" কতসুন্দর শুয়ে আছে "আমিত্ব"
পাঠিয়েছি তোমার ঘরে !
বেশ সাজিয়ে নিয়েছ তুমি মর্গ ইঁদুর বিড়াল ছাগলে পাগলে ,
আর কিছুক্ষণ থাকো এইভাবে ঘুমিয়ে
কতকাল হয়নি কো ঘুম
কতরাত বিনিদ্র পাহারায়
কত উপোষী দিনে জটিল মন্ত্রণা সভা , রাজপথ স্বদর্প
ঘোষণা , বদলের স্বপ্ন সমাধি ...
এবার ঘুমোও তুমি ......

মর্গ স্বপ্ন ধরে রেখে ক্লান্ত এবার ! মর্গ
বিস্বাদ গুমট ছন্নছাড়া নিঃশ্বাস প্রশ্বাসে ভুলে গেছে সে নিজেই
এটা রঙ্গমঞ্চ ক্ষয়িত বিশ্বাসের ,
বিষাক্ত এই উপত্যকা ধরেই জন্ম মৃত্যুর সীমাহীন ক্রন্দন ...

ঈশ্বর কোটি বছর ধরে এই সংবিধান এবং একী মৃত্যু লেখা --
সংশোধনীর নেই বিরোধী প্রস্তাব ?













প্রেম -অপ্রেমে ছিটেফোটা

কোথাও দিকভ্রষ্ট হয়েছেন নাবিক এই ভেবে এখনো
আকাঙ্ক্ষার কবরী ফোটেনি , ক্ষিপ্ত নাকবিক ,
দিকদর্শী চক্র বিপথ গামী , অবশ্য কেউ খুশী হয়েছিল ,
ভুল পথে কত কেউ পেয়ে জান পথের দিশা !
পৃথিবীতে সমস্ত সন্ধান পর্বে অপূর্ব জ্যোৎস্না দিয়ে গেছে
কেউ , নিদ্রার মাঝে অজস্র জোনাকি স্তন পান করে যাই
রাতের , অভাবিত অসীম শূন্যতায় হৃদয় উন্মাদ হয় ,
সুদূর প্রসারী এক চিন্তন আকৃতি দিয়ে গড়ে তোলে
প্রিয় আল পথ গমের ক্ষেত আহ্লাদী মায়ের মুখ
ফিঙে পানকৌড়ি নদীর আস্ত সাম্রাজ্য আঁচলে মুছে যাওয়া
বিকালের সব অভিমান ! 






















































No comments:

Post a Comment