আমি যাবো প্রকাশ্য রাস্তা দিয়ে জাহান্নামে এবার ----
তোমার সৃষ্টি তোমারই থাক ;
বন্ধু একটা শূন্য সংখ্যাতত্ত্ব
বন্ধুরা পেছনে বন্দুক হয়ে যায়
সীমাবদ্ধ
প্রতিটি উত্তরণ অবতরণের সীমানা ধরে তুমি হেটে যাও
চতুষ্কোণে আলোর নব্যতা তবুও বাদামী মণিতে
নিঃসঙ্গ আঁধারের ভ্রূকুটি ;
আমিও বুঝবার চেষ্টা করি পিথাগোরাস প্রমানে সিদ্ধ হতে
চেয়ে কতবার ভুল রেখা পেয়েছিলেন সেদিন ; এখনও
তর্কাতিত বিশ্বাসে বেহুলা বাসরে কাল সর্প অনেক বাসর
উপ্রে হেটে চলেন জ্বলন্ত রোমে
নিরোর বেহুলায় শুধুই আকাশ গঙ্গা !
আমি স্থির হয়ে গেলে তোমাদের নাগরিক আকাশ
এবং রহস্যের মোড়কে বিক্রি শরীর
আর প্রতিটি পতন কোনে সীমাবদ্ধ রেখে নিজেকে ---
সন্তানের জিনের ধারক বাহক ---
বৃষ্টিপাতের দিনগুলি
অদ্ভুত কিম্বা আশ্চর্য ঘটনা -- যে ধূসর মেঘটাকে দার্জিলিং ছেড়ে এসেছিলাম
তাকে এই ডেসিবেল মাপহীন পেতপুরিতে দেখতে পাবো
ভাবিনি , আশ্চর্য ঘটনায় বটে !
যদিও এই মেঘ ভাল লাগেনি একদম । দ্বিতীয় বার দেখবার
কোন শখ ছিল না মনের গোপন কোনে ,
ইচ্ছাছিল বিদেশ ভ্রমণ শেষ করে নতুন পরিপাট
সাজিয়ে নেব সোনার সংসার , পেছনের ইতিহাস
জলহীন মেঘের মত ফেলে এসেছিলাম সাহারায় ।
কতকিছুই তো ফেলে দিয়েছি আবর্জনা মনে করে এতদিন ;
আর কিছু পরে আছে মনের গুদাম ঘরে , শৈশব হারিয়েছে ,
বাঁশ বাগান সুপারি সারি ট্যাংরা মাছ ধরার সে সব দিন ---
কোন কালেই তো বিদায় দিয়েছি ---
এমনকি সেই বালিকাকেও ,
অদ্ভুত কিম্বা আশ্চর্য ঘটনায় বটে ---- নিমেশের মধ্যে
সমগ্র আকাশে মেঘের রাজত্ব , দেড় ঘণ্টার বৃষ্টি তে
ভেসে গেল মানিকতলা মেন রোডময় রেল কলোনির বস্তি
কাঁক ভেজা সমাপ্ত করে দশটা কুড়ির শান্তিপুর লোকাল যখন
শিয়ালদহ ৩ নং প্লাটফর্ম ছেড়ে বেড়িয়ে গেল -- হতাশায়
বৃষ্টি ভেজা রাতে দরদর স্রোত নেমে গেল ;
সমস্ত আয়েজন ব্যর্থ মনে হল ------
বাংলার বিপ্লব ছন্নছাড়া , সোভিয়েত ভেঙ্গে পুতুল বিয়ে হল , যেমন কেমন
যেন আকর্ষণহীন ফ্যাঁকাসে হয়ে গেল ,
বিপ্লব করবো জেনে প্রকাশ্য রাস্তায় দয়ামায়াহীন
আরক্ষ বাহিনীর লাঠির চিহ্ন এখনও জলন্ত উদাহরণের মত
বা পাশের কপালে , আজো
দ্যাস ক্যাপিটাল মরেটরে ভুত --- লক্ষ্যহারা সে সব সময়
পেছনে ফেলে এগিয়ে চলেছি ---
এমন কি এখন বৃষ্টি দেখলেই
আমার দরজা বন্ধ করতে ভাল লাগে
বাবা ধুলো হয়ে উড়ছেন সবগুলো নীড় ভাঙ্গা ঝড়ে !
আমরা রক্তের গতি ঠিক রাখতে মরিচা তুলবার
কাজ করছি হৃদয় থেকে
ইঞ্জিন জং পছন্দ করলেও আমরা ব্যবসায়ী , খুটে
খাওয়া পরন্নভোজী ।
শ্রীমান স্বপ্নরঞ্জন বোস
আমার কবিতায় যে শব্দ'রা কথা বলে তোমার নয় , আমার -
অনামিকায় যদিও তোমার নাম লেখা
অথচ
তুমি বাণিজ্যিকসত্ত্বা ভিত্তিক কৃষি
আমি পূর্বের নিবিড়সত্ত্বা ভিত্তিক কৃষি !
তোমার যৌবনে আমি দু'চারবার পাক খেয়ে গেলাম লাট্টুর মতো
সদ্য জন্মানো বাছুরের মত হৃদয় লাফাল বার ক'য়
তুমি ভুলে গেলে
গ্রহণ লাগার নিয়ম ----
তোমার প্রতিটি নখের আঁচরে আমার কাল জঙ্ঘার শোণিত ধারা ---
পাপ ক্ষলনে দেব শিশুর জন্ম ----
অহেতুক নয় কবিতা লেখা শ্রীমান স্বপ্নরঞ্জন বোস ---
তিতিক্ষার ভাষাতে আছে নতুন আঙ্গিকের দিশা
হাঙ্গর
নিঃশব্দ'রা যাবতীয় এলোমেলোর উৎস !
এভারেস্ট আমার মা ; বাবা'কে দেখিনি আমি ,
মা দেখেছিলেন , তিনিই চেনেন ?
দড়ি পাকাতে পাকাতে ক্ষুধা আসে - গগন সিংহাসনে
গণতন্ত্র ;
নির্বাক চ্যাপলিন চলচিত্রের হাসি গুলো
আসলে হাঙ্গর !
সোজা রাস্তাগুলো অব্যবহার যোগ্য নয়,- তবুও
বিপুল অর্থ ব্যয়ে নির্মিত
কাঁচা সড়ক লোকজন কোলাহল জমজমাট ।
"সঙ্ঘ " "সমিতি'তে" বিস্ফোরণ , ঈশ্বর গুটি
সাজিয়ে নৌকা বোরে , এরা এখানে , এখন
বিয়ে উপনয়ন শ্রাদ্ধের আমন্ত্রণ পত্র লেখা হয় এখানে !
পরিবর্তন চিরকাল পরিবর্তনের পক্ষপাতী
আকৃতি অবিকৃত রেখেও গুনাগুণ বদলে যায়
ফসলের স্থান ভেদে , এখন
শুধুই ঝুম চাষের সময় , হাত লাগাও !
কেউ বলেনা এই মরা চাঁদের নিচে আসর পেতেছি
বিশ্বাস করো রাত্রির উপপাদ্য ভেঙ্গে প্রমান করবো
সমস্ত যুদ্ধ জয়ের পেছনে আছে অফুরন্ত
রসদ ভাণ্ডার !
কিছু অসম যুদ্ধ আছে মাটির সঙ্গে আকাশের
জীবনের সঙ্গে বেঁচে থাকার
চুম্বনের সঙ্গে শরীরের --------
সৃষ্টির সঙ্গে অভাবের চিরন্তন গভীর বন্ধুত্ব ----
একদিন
জ্বালা জ্বালা জ্বালিয়ে দে মেঘ গহন বন
কাঙ্ক্ষিত সাপ আয় ফণা তুলে
এক রতি'তে নিষিক্ত হয়ে যায় তো যাক
জন্ম ঘুম মৃত্যুর ইতিহাস !
পুরুষ হতে শেখ আমাদের অঙ্গ
প্যাঁচা রাত ভুলে যা
আঁধার সৃষ্টি আঁধার রাতের তাঁরা
আমার ঘুম নেই !
কিম্বা কতঘুম শীতঘুম কিম্ভূত অদ্ভুত মান্যতায় !
কাঠের ফাঁক গলে এবার আগুনে চিতা মুখ -----
আমি ছিলাম বোধহয়
আমি ছিলাম না বোধহয় ?
শুধুই জন্ম মৃত্যুর মুখ -----
একদিন পাখি হবে তুমি ?
ফিরবার খবর
বৃষ্টি হয়ে গেছে সঙ্গোপনে , বিধৌত নাভি ,
জরায়ু'র অপূর্ব পারদর্শীতায় মেনপোজ পেরুলেই
সব মেঘ ; আহাঃ , এমন একটা দিন দীর্ঘ হোক ,
অচিরেই কৃষ্ণচূড়া ঝরে পরলে আকাশ সীমানায়
বাঁশি সুর প্রিয় ; বর্ষামঙ্গল , উদ্ভ্রান্ত সমগ্র শিল্প আজো
যাযাবর , এবার থেকে তুমিও ক্যানভাস !
সেই প্রথম মাস থেকেই ঈশ্বর পূজারী ,
রক্ষণাত্মক , উড়ে যাওয়া বিজাতীয় হাওয়া গোধূলি মমতা
থাক ঘর ছাড়া নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের দৃষ্টির মত ;
এবার শিল্প আসবে , ঈশ্বরী হয়ে উঠবেন যেসব
বঁধু তাদের জন্য আমি জিরাফের মুখ !
রঙ এসেছে , চেতনার নির্মোহি মূলে খেটে খাওয়া স্বপ্ন'রাও
বসন্ত অনুরাগী ; পাপ থাক আজ , পুণ্য'র খোঁজ
বিষাদের আঁতুড় ঘর ,
আজ হয়ে যাক সব এলোমেলো দুর্নিবার ঘূর্ণিতে ; একবার
আসুক কান্নার শব্দ বাতাসে ---
দ্যাখ , দ্যাখ আমিও জন্ম দিতে পারি , আমি ঈশ্বর !
কিছু কথা
তুমি জানো না সমস্ত কচি পাতায় পেছনের ইতিহাস
তোমার দম্ভ
তোমার পতন হয়ে যায়
ঋজু করো নিজেকে
দিগন্তে উড়ছে সৃষ্টি
ধর
আমিত্ব ঘেরা সংসার
আমিত্ব ক্ষয়
নিশ্চয়
শুদ্ধ হয়ে যাক চেতনা স্ব-মূলের
সব " ধূসর পাণ্ডুলিপি
জাগতিক বিশ্বাস মানেই নিজস্বতা
অহং একেশ্বরবাদী
আমি জা জানি সমস্তটাই ধ্রুবক
আমার জানার মধ্যে নেই কোন অজানা
আমি সৃষ্টি করি নিজেই
আমি হন্তক নিজের
তুমি জানো না
আড়ালে এখন সত্যর বাড়ি
মিথ্যা ভারি চটকদারি
ভোরের পেছনে ঝিঁঝিঁর আয়েজন
জল শুকিয়ে গেলে
আবার
বজ্রের সঙ্কেত
সত্য >> আজ থেকে আমার দাদার নাম সত্য
সত্য হয়ে উঠুক সমস্ত অবচেতন
যা কিছু করি
হয় যেন শাশ্বত
অনামিকা ক্যাফে
জানো ,
অপরিচিত লাগছে এই লেখার টেবিল
মাউসের বা'পাশ টা একটু বেশী ক্ষয়ে গেছে
অনেক অত্যাচার করেছি ওদের জেনে না জেনে !
কত ভুল লিখেছি , কতবার লিখতে গিয়ে হাত কেঁপেছে ,
কতবার ভেবেছি থাক এসব আমার জন্য নয় , তবুও
কে যেন ছিল , বলতো পারবি , পারবি তুই !
আর দেখ , কি বোকা আমি ---- লিখতে গিয়ে ভুলে গিয়েছি
আজ সকালে খাওয়া হয়নি --- গোগ্রাসে গিলে বোতলের জল
দাঁড়িয়েছি সামাজিক সাইটে !
যখন এখানে আসি কিচ্ছু ছিল না আমার , দেখলাম এক জগত
সব রঙ্গিন রঙ্গিন মূর্তি , দেখলাম মধ্যাহ্ন কামুক শামুক প্রজাতি
ঝরঝরে কনভেন্ট আধুনিক ফেক মেকী'র সাপ লুডো বন্ধু !
আর এলো অনুপম কিছু বন্ধু তন্ময়ের সরলতা সায়কের মুগ্ধতা
দেবাশিস দার স্নেহের আদর !
আর তারা যারা জেনেও যাবেন না কোনদিন কতোখানি রোদ বৃষ্টি
মালিকের সঙ্গে চোর ডাকাত খেলতে খেলতে যা লিখেছি তৎক্ষনত
তাতে নেই দ্বিতীয় পরিমার্জনের সময় ,
জানো , আমার আর কোন দুঃখ নেই কোন দুঃখতে , ভয় নেই কোন
একাকীত্বে ।
অনেকখানি পুড়ে শুধুই কাঠ কয়লা হৃদয় , অথচ বসন্ত গুলো আমাকে
ডেকে ডেকে ক্লান্ত হয়ে ফেরেছে যখন আমি আঁকছি এপ্রিলের দুঃস্বপ্ন !
হেই , দুঃখ নেই আমার , দুঃখ করো না তুমি , দ্যাখ পর্ণমোচী আবার
দাঁড়িয়েছে তোমার দরজায় , তার পাতায় পাতায় লিখে রেখো তোমার নাম !
আমি গেলেও অমর হয়ে রইবে তোমাদের সৃষ্টি সম্ভার -------
আমি কোন কবি নই , নই কোন কবিতার অগ্রদূত
বিশ্বাস করো আমার কোন দম্ভ ছিল না , আমার কোন গর্ব ছিল না ---
আমার কাঠিন্য আমার বর্ম
আমার কাঠিন্য আমার পেটে ভাত !
আর কত কথা রয়ে গেল বাকি , আর কতকথা গুমরে গুমরে অন্তরে !
আর কত অণুক্ষনের সেই সব ভাস্বর স্মৃতি -----
আর পারছি না ------- মাফ করে দিও সকল বন্ধু !
বিষাদ পোড়ে হেমন্তের ন্যাড়া জ্বলনের শূন্যতায় ,
জলবৎ তেলবৎ তবুও জীবন নিরুদ্বেগে
সম্মুখে এলে খুচরো পয়সার ঝুনঝুন
পাই পয়সা হিসাবের বাইরে না !
মিথ হয়ে গেলে প্রশ্ন অচল
মিথ হয়ে যাও
দেখ
মূর্তিতে কাকের বিষ্ঠা
বিষাদের জন্ম !
পাটকেল প্রতিরোধের অস্ত্র আমিও ছুড়তে পারতাম !
কতোটা তুমি নামাবে নিচে
আমি তার থেকেও অনেক নিচে আছি !
ভবিষ্যৎহীন কানাগলি
আমার নিয়তি সত্য শাশ্বত ---
নাহ
ভয় নেই কোন পতনে আর ----
শুধু ভালোবাসায় - ভয় পেয়েছি !
বাল্মীকি স্তুপ
ইদানীং নির্গমন পথ শতধারা বিভক্তিতে
উচ্ছিষ্ট ভোজী জীবনে অলীক পারাপারের স্বপ্ন ;
বিষণ্ণতায় মেঘ আরো ধূসর
গেরুয়া বৈরাগ্য এ
সুনিদিষ্ট রেখাচিত্র , সব হৃদ চোর --
সমকোণী মায়াতে নিবদ্ধ থেকে না ঘর কা না ঘাট কা
স্ত্রী ভূষণে আস্ত সম্রাজ্য -- আর নিবান্ধব সন্তানেরা
এক নিঃস্ব
সম্মুখে অনন্তের দরজা ;
সমাধিতে উই'য়ের সংসার -----
মৃত হোক আত্মগরিমা !
মন্দাকিনী
লাশ হয়ে গেলে আত্মজ ভীষণ তাপদাহ শরীরে শরীরে অবিরত
তখন এক গ্লাস জল লবন চিনি আর এক টুকরো বরফ কুঁচি ফেলে তাতে
মুখে দিও ; আসলে দিয়ে যাবে'ই রঙিন সেবক !
অথচ , সব কোলাহলে বিষাদ পাখি সবুজের প্রশ্নে বিভোর
আঁতর মাখানো সোনা ধান পরাগ শস্য , অথবা হেমেন মজুমদারের
বন্দিত তেল রঙ্গা পট্রেটে অবগুণ্ঠিত মুখোশধারি
মা হয়েও মা নন
দুঃখ ছবি একা সহজ বলেই সমস্ত সত্ত্বাই শিল্পী !
অহরহ , দেশ খুলে দেয় সমস্ত সংবিধানের দরজা , আর মেঘনাদ জানেন
সমগ্র পথ আকাশচুম্বী ;
হরিয়ালি বিজ্ঞাপিত ল্যাম্পপোস্টে
বিশ্বাস কিছু নিজস্ব মগজ ধোলায় ,
ঈশ্বরের আদিমতম অভিশাপ জন্ম অথবা মন্দাকিনী ধারা ----
নামে কি এসে যায়
01
এ শহরে শীত মাপ নিয়ে যায়
বস্ত্রের ;
অসহ্য যন্ত্রণা প্রচ্ছাবে নালী
আর পুঁজে ;
বাতি জ্বলছে ---
পতনের মাকড় !
০২
এ আমিত্বে বামুন মূর্তি
চ্যাংদোলা বেয়ারিশ লাশ ;
মূর্ত শকুন
ভাগাড়ে সবুজায়ন ---
একমুখী মৃত্যু
স্কন্ধহীন আজীবন !
০৩
বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ
ভাঙছে তাস দেশ পৃথিবী '
শেষ স্টেশনে অগুন্তি গাড়ি
উঠে পরুন
ভীরে মোচ্ছব
তৃপ্তির ঘর্ষণ
০৪
রহস্যের অপঘাতে মৃত্যু , এবং
রহস্য শ্লোগানে শ্লোগানে ;
বিরামহীন
বিষাক্ত র্যাটেল ফোঁস ---
সমানুপাতিক
দেশীয় প্রতিক্রিয়া !
০৫
সমস্ত অভিমান ঠোঁটের নিচে ---
পতন নিম্নমুখী
বৈজ্ঞানিক সত্য ;
একবার ধপাস
চিরন্তন
সব বিজ্ঞান , শোকও !
০৬
সব অভিনয় নিজস্ব পর্দায়
আকাশচুম্বী
কুড়ে
নিতম্বের মদন দৃষ্টি ;
হাল চাষ
বিদেকাঠির শলা
শস্য
সব মৃত্যুর আগের অভিনয় ---
এক দর্শক
রোমন্থন !
০৭
সংবেদনশীল ঈশ্বর গুলো আমাদের বাবা --
শুকতারার অনুকল্পে ;
লম্বা লম্বা লাইন
স্মৃতি'র দলিল ----
ঈশ্বর দূরে গেলে বিরতিতে
আমি ঈশর হয়ে যায়
প্রত্যেকদিন আকাশে নতুন কিছু তাঁরা !
সংবেদনশীল ঈশ্বর গুলো আমাদের বাবা --
শুকতারার অনুকল্পে ;
লম্বা লম্বা লাইন
স্মৃতি'র দলিল ----
ঈশ্বর দূরে গেলে বিরতিতে
আমি ঈশর হয়ে যায়
প্রত্যেকদিন নতুন কিছু তাঁরা !
সব অভিনয় নিজস্ব পর্দায়
আকাশচুম্বী
কুড়ে
নিতম্বের মদন দৃষ্টি ;
হাল চাষ
বিদেকাঠির শলা
শস্য
সব মৃত্যুর আগের অভিনয় ---
এক দর্শক
রোমন্থন !
সমস্ত অভিমান ঠোঁটের নিচে ---
পতন নিম্নমুখী
বৈজ্ঞানিক সত্য ;
একবার ধপাস
চিরন্তন
সব বিজ্ঞান , শোকও !
রহস্যের অপঘাতে মৃত্যু , এবং
রহস্য শ্লোগানে শ্লোগানে ;
বিরামহীন
বিষাক্ত র্যাটেল ফোঁস ---
সমানুপাতিক
দেশীয় প্রতিক্রিয়া !
বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ
ভাঙছে তাস দেশ পৃথিবী '
শেষ স্টেশনে অগুন্তি গাড়ি
উঠে পরুন
ভীরে মোচ্ছব
তৃপ্তির ঘর্ষণ
এ আমিত্বে বামুন মূর্তি
চ্যাংদোলা বেয়ারিশ লাশ ;
মূর্ত শকুন
ভাগাড়ে সবুজায়ন ---
একমুখী মৃত্যু
স্কন্ধহীন আজীবন !
এ শহরে শীত মাপ নিয়ে যায়
বস্ত্রের ;
অসহ্য যন্ত্রণা প্রচ্ছাবে নালী
আর পুঁজে ;
বাতি জ্বলছে ---
পতনের মাকড় !
মনোমালিন্য থাক , বিয়ে শ্রাদ্ধবাসরেও লেগে থাকে
এসব , আমিও ভুলেছি সমস্ত ছলাকলা !
হিসাবে শুধুই প্রাগৈতিহাসিক থেকে সংখ্যা সংগ্রহ
আমি এতসত বুঝিনা
আরো ঘনিষ্ঠ করে পেলে বেশ হতো লালসা নাভি অথবা
ক্ষরণ কোষের আঁধার জনিত অধ্যায় !
সংগ্রহীত হয়ে যাবে একদিন যাবতীয়
ট্র্যাফিক সিগন্যাল রহস্য
পশ্চিম মুখী ছুটছে বাস !
সংবহন তন্ত্র
এভাবে হারিয়ে যেও না ;
ততোধিক পরিচিত নয় তোমার মুখ ,
জল স্থল অন্তরীক্ষে এখনও অনেকখানি বাকি চিনবার
আর সূর্যের গায়ে গায়ে এত উষ্ণতা কাঁদার প্রলেপ মেখেও
খুঁজে পাবো না ; পুড়বো শুধু পুড়বো
অবিরাম অসুকের মত পরে থেকে ---
না না গিলতে পারবো না পাঁচন !
তেত্রিশ কোটি দেব দেবীর মত হয়ে যেও না তুমি !
শরীর দাও , অনিবার্য দহন
পাঁপড় হয়ে ফুলবো যখন
মচমচ দাঁতে চিবিয়ে নিও -- দেখো ভেঙ্গে পরা অংশে
অজস্র পিঁপড়ে
ওরা জানে না এই পাঁপড়ের স্বাদ শুধু তোমার মুখেই !
এভাবে হারিয়ে যেও না তুমি ; বিশ্বাস করো
আমাকেই বা চেনে ক'জন
এই গৃহস্থলী ব্যাগে ব্যাগে মাসকাবার লবণ হলুদ জিরে
শুঁকনো লংকা জ্বলন
না না , আর একবারও হাত ফস্কাতে দেবো না আমি ----
অনেক মৃত্যু পেড়িয়ে এই জীবন
দূষিত হয়ে গ্যাছে শরীর যাক
ফিরে এসো একবার
নতুন সংবহন তন্ত্র হৃদয়ে এবার !
অদ্ভুত কিছু জল বেরুচ্ছে দেখে ঈশ্বরের
আত্মীয়তা বেড়ে যায় রক্তের সঙ্গে ,
নাম নবীকরণের জন্য প্রস্তুতি সারলে গৃহকীট
সসম্মানে খোলে দুই দরজা !
দলে দলে সমস্ত শরণাগত শরণার্থী'র এক দৌড়
শুরু নিয়মবর্তিতায় , ঈশ্বর এগিয়ে আসেন ,
এক অদ্ভুত মায়াবী জ্যোতিষ্ক বিভা
ঈশ্বর খোঁজেন ---
সকলে স্থির চুল পতনের নিস্তব্ধতায় !
ঈশ্বর ফিরে যায় !
বন্দ হয়ে যায় সোনালী দরজার রূপরেখা ! কেঁদে ওঠে
আগত দর্শনার্থী ---
এক বজ্রনিনাধ -------- বাণী ,
সব কটা পশু , নিজেকেই নিজে ভালোবাসেনি কোন দিন ---
ঈশ্বর নিজেকে নিজে খুব ভালোবাসেন !
(কিছু একটা শুরু হবে এবার নাম পরে যাবে ভাবা )
না না ওভাবে তাকিয়ো না , হাতল ধরো
বাসের , আর একটাও পৃথিবী নেই যেখানে
জাগতিক আমার সমগ্র ভবিষ্যৎ ; শক্ত হাতে ধরো ,
আমার সন্তানের অনুতাপে পুড়তে দাও আমার হৃদ ,
নিঃস্ব হয়ে গেছে সমূলে যে চেতনা ভৈরবী বিদ্যার ক্ষণ ,
আমার আমি তোমার জঠরে , দেখ সব কম্পিত করতালি ,
শক্ত হও , দৃঢ় হাতে আঁকড়ে রাখো পৃথিবী !
আরো কঠোর হয়ে ওঠো তুমি মেয়েলী বিশ্বাসে ;
মেনে নাও বারবেলার কালক্ষণ গ্রহ নক্ষত্রের
অলিখিত নির্দেশ ; হেসে ওঠে তো উঠুক চশমা পণ্ডিত ,
আমিও অনেক উপেক্ষা করে দেখেছি ---
হয়তো সত্য নেই
হয়তো আদিম ভ্রান্ততায় পদক্ষেপ , তবুও মেনে নাও এবার
যা মেনে নিয়েছিলেন আমাদের পূর্বপুরুষ !
তারপর যদি ফোটে ফুল , না না মাধুর্য চাই না ----
আমিও আমাকে এখানে রেখে যেতে চাই
সমস্ত খাতায় আমার সই !
তোকে না পোড়ালে জিহ্বায় বিষ না অমৃত বুঝবো কি করে ;
ক্ষণে ক্ষণে দেবতা দেব, না বিশ্বাস -অবিশ্বাসে , বশীকরণ
অসুরবিদ্যা , বিকশিত দন্ত যুগলে দ্বেষ , এ পুরুষ নয় ,
খাসা খাসা শরীর , মেধ , মাংসের উত্তাপে গলে মাংস , ছায়
মন পরে পাশে , পুরুষ অশ্বমেধ হয় , আয় আয়
পোড়াই অঙ্গারে , আয় , এসে ঘুরে দ্যাখ নারী মোম গলন !
পুড়ে যা সব অসুর নির্বিষ সর্প নির্বংশ হয়ে যাক !
বিদ্রোহী কবি ইসলাম
অহরহ ভেসে গিয়ে আজ সমাদৃত সৃষ্টি সম্ভারে
উৎসাহিত নব্যমুখ , ইতিউতি জানালা খোলার
শব্দ , খুলে যাচ্ছে অনন্ত জিজ্ঞাসু দরজার খিল !
প্রাচীন হয়ে গেলেই বন্ধুত্বের সংখ্যাহীনের বাস্তব
তখন নিজেই নিজের বন্ধু ; তবুও এসব ছেড়ে
নির্বান্ধব নিজস্ব মুগ্ধতায় ভাবলেশহীন যে সৃষ্টি
এসেছিলো জীবনের উষ্ণতা ভালোবেসে তারা কত
কথা বলেগেছে আমাদের জন্য আর তোমার ছিল
শোনানোর ইচ্ছা পথছিল তবু আঁধার !
আজ যখন বিভ্রান্ত সৃষ্টিঘর , মরমীয় কথার অভাবে
ভুগছে উত্তরপুরুষ , নিজস্ব গণ্ডিতে নিজেকে বেঁধে
বাকে বাকে শুধু মিথ্যা আত্মকথার সারাংশ লিখে
বাহবা হৈচৈ , সত্যি আমার কষ্ট হয় এভাবেই কি
কবিতা লিখতে হয় ?
একবার ফিরে এসো যুগান্তের কবি - এই রিপুকালে
শুধুই ইঁদুর দৌড়ের আসর ,
আমাকে ফাঁকি দিয়েই আমাকে এগোনোর গল্প ---
দুঃখী মন মেরা
হীনমন্যতা গভীর রোগ ; সৃষ্টি পথের বাধা ,
কিছু বন্ধু আমাকে এড়িয়ে যায় , কেন , কে জানে !
স্বজাতী যতটা বন্ধু স্বজাতী'র তার থেকে অনেক বেশী
শত্রু , আমার হিংসা হয় পায়েল এত্ত সুন্দর কবিতা লেখে
না না ওর লেখায় কমেন্ট করবো না , অথচ
পায়েল ভাবে আমার প্রতিভা ওর থেকে ঢের বেশী !
কি এসে যায় বন্ধু এই দুই দিনের স্রোতে ভেসে !
অনেক লিখেছি আমি তুমি ---- যেগুলো থাকার সেগুলোই
কালের অক্ষরে অমর হয়ে যাবে !
ভুলে যাও এই আমিত্ব প্রস্তাব ----
আমি তোমার শৈল্পিক প্রতিদ্বন্দ্বী , বৃথা শত্রু কেন ভাবো ?
বিতর্ক
অনেক বিতর্ক সমূলে ইচ্ছা জগতে
ক্ষনুবৎ অনুক্ষণে দ্বন্দ্বের সমানুপাতিক বিশ্বাস ,
অথচ ক্রিয়নক দুর্দিনে ধাতু'র আত্মগরিমা এক আরক্ত
শরীরের উন্মেচিত বিভায় পতন নির্দিষ্ট নির্দেশেই !
সযত্নে ফুলদানী অথবা ডিমের মত গুছিরে রাখা
বিতর্কিত ইচ্ছাগুলি নিরালম্ব এক মুখী গতি নির্দেশে
ডুবে গেলে চাঁদ ! বিব্রত সমগ্র বন্দ জানালা আর নগ্নতার
পাশের শরীর কুম্ভকর্ণবৎ নিঝুম --
বলি তাতে দেখ অভাব নেই কোন পার্থিব অভাবে !
স্থির আমার চোখে তার চোখ , অজস্য সীমাহীন ঝি ঝি
রাতের নিস্তব্ধতা নিঃস্ব করে দিলে শুধু আয়েজনে মনস্তাত্ত্বিক
কোলাহল শব্দ পাতে সেই ধ্বনি কিছু দ্বন্দ্বের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া !
অহরহ খুঁজে দেখি সুসংহবদ্ধ শরীরের আনাচেকানাচে এই মেধ
আমার তো ? চিমতি কেটে রক্ত বেরিয়ে গেলেই আমি , অথচ
এযাবৎ তাবৎ নিরুত্তর প্রশ্ন শুধু উত্তরহীনতায় ভুগে ক্লান্ত
আমার মধ্যে আস্ত অন্য এক আমি যখন নিয়ন্ত্রন করে রক্ত ---
পৃথিবী ধরেই শুধু বিতর্ক সভা !
একাকীত্ব
একবার মৃত্যুতে ফিরে আয় প্রেম , সাতজন্ম পাপে সাতজন্ম
অভিলাষে ; আমার একাকীত্ব দে ঘুচিয়ে দে , আমার এই নাভিপদ্মে
আস্ত ঢুকিয়ে দে সমস্ত অঙ্গীকার !শেষ জন্মে সর্বভুক
নারী খেয়েছি শুঁয়োর খেয়েছি এবার প্রেমকে গিলে খাবো !
দে , দে ঈশান মেঘের বৃষ্টি ছানা , দে সাতপুরুষের ভিটে খানা
কাম সোহাগীর অঙ্গভূষণ পলাশ ফুলের গন্ধ বিকেল
জোঁক চোষকের রক্ত মুখ , দে অদ্ভুত সব মগের মুলুক !
আয় আয় ফিরে আয় প্রেম , নিষিদ্ধ রাতের প্রেম পিরিতি !
দ্যাখ সুমগ্র চেতনার মূল স্থির ; এযাবৎ
নির্বাক অভিমানে মৃত মানুষের কঙ্কাল , অথচ
সমগ্র সূচনার অন্তরালে প্রেমের দংশন ;
দাহ করেও দেখিছি শরীর পুড়ে যায় পার্থিব -----
আর চেতনাতে রেখে যায়
সেই সমস্ত একাকীত্ব অথবা প্রেম !
অগুন্তি ফুটপাত জুড়ে অদ্ভুত পোকা সৃষ্টির আবর্তনে
আর একখণ্ড রুমাল পেতে ধরেন অন্ধকার
শুঁড়ে শুঁড়ে জড়াজড়ি ওদিকে ততোখানি মিথ্যা অভিনয়
শেষ হলে অভিনেতা রঙ তুলে বিভীষণ !
হতভাগা নে উজাড় করে নে কায়িক শ্রম দেশ লম্বা লম্বা
লাইনে কেরোসিন পিপে ব্যাক ব্রাশ করে নিস চুলে
পরিচয় পত্রে দুঃখী রাখিস না মুখ
মৃত্যু ঠেকিয়ে রাখ আর দুটো মাস তারপর না হয় নখে
নীল চিহ্ন নিয়ে নিপাত যাস !
এই শহরের প্রত্যেকটা ফুটপাতে আমার যৌনাচার ,
অভয়ারণ্য
ঈশ্বরের প্রিয় যতক্ষণ সীমাবদ্ধ শব্দের সাথে আড়ি ;
তখন গোল্লাছুট খেলতে গেলে সীমাবদ্ধ শব্দ আসেনি ,
বাবা জামা কিনে আনতেন আমার থেকে দুই বছর
বড় দাদা যা গায়ে দিত সেই রকম ; হঠাৎ যেবার
আমার জামার পরিবর্তন হ'ল মায়ের মুখে শুনলাম
সীমাবদ্ধতা বলে একটা শব্দ আছে !
তারপর থেকেই হাওয়া জল খাবারের সীমাবদ্ধতা শুরু ,
বাসে উঠে দেখলাম আমি বিশেষ প্রাণী তাই অভয়ারণ্য !
নীলকণ্ঠ
রসিক নাগর আমার , এই নে স্কন্ধ মগজ পতনমুখী
অঙ্গের রেখাচিত্র ; অথবা তেল রঙে আঁকা রবি বর্মা'র
শৈল্পিক নগ্নতা'র আমার কোন মায়ের যৌবন !
বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ রাখনি , ফোঁসফোঁস বন্ধ কর ,
পাহাড়ি সাপ হয়ে গিয়ে বিষ ঢেলে দে সৃষ্টি গর্ভে ---
চাঁদও দুই অক্তের ক্ষিদে বাড়িয়ে যেসব ঘুমন্ত ভবিষ্যতকে
নামিয়ে দেয় খাদের কিনারে ; অমাবশ্যা পূর্ণিমার ফারাক
বুঝতে বুঝতে কবে যে নিজেই অবুঝ এক মা হয়ে আঁকড়ে
সমাজ ; না , না , সন্তানকে আমার কাছে রেখো না ---
বোঝেনা এখন শুধুই অস্তিত্বের সংকট ---
যুগান্তকারী সভ্যতা গণিকালয়ের মর্যাদায় !
ঘুম ভেঙ্গে গেলে প্রস্তুতি শুরু সাপের মুখ চুম্বনের ---
এই বিষ ধারণাতীত নীলকণ্ঠের ---
শব্দ
তোমার চোখে চোখ রেখে যেদিন হাত রাখি গ্লাসে
নিমজ্জিত ভবিষ্যতে তুমি খুলে ফেলো প্রসাধনী
অলঙ্কার ইজের বন্ধন
আমি চোখ বন্ধ করে অজানা শিহরণে , তুমি এভাবে কিছুক্ষণ থেকে
ভূষিত নতুন আভরণে উপেক্ষার দৃষ্টিতে তাকিয়ে
ক্ষনিকের " আসছি" বলে পথ ভাঙো
মনে মনে পাষণ্ড বল বোধহয় , প্রেম !
আমি দিশেহারা , শব্দ পাজল খেলে খেলে দিন যায় ,
বসন্তের শেষ আভাটুকু মুছে দিয়ে ভ্যাপা দিন এসে খেলে যায় দুপুর ,
ঘাসে ঘাসে গভীর অসুখ
পোড়া পাতা গন্ধ উপভোগ করি একান্তে
উস্নায়নে গোধূলি নামে এই সাতশো টাকার বসত ঘরে...
ঘড়ি টিক টিক
বাসের হর্ন
তুমি নামো , শব্দ পায় বাসনে বাসনে
আমি পুরুষ নেই ! শরীরে শরীরে কথা নেই এক যুগ ,
আমি নির্লিপ্ত অবগাহনের ক্ষয়িত চাঁদ দেখি
ফাঁকা টালির চাঁদ ভেদ করে তোমার ক্লান্তি মুখে...
খুলে পরা আভরণে তুমি মায়াবী
আমার প্রস্রাব চেপে যায় .........
তুমি তো একদিন এই শব্দ পাজল খুব ভালো বেসেছিলে...
তবে আজ.........
আমি আগুন প্রস্তুত করি
শব্দ পাজলের খাতা সারারাত ধরে বয়ে নিয়ে আছি...
আনন্দে ঘুমিয়েছি এতো দিন পর ।
সংসার
আমার কোন ছুঁৎমার্গ ছিলনা মৃত্যুর আগে ;
শব শ্মশান শরীর নিয়েই তেজারতি কারবার ,
অসংখ্যবার বার হাতছানি দেওয়া দুপুরে ঘর ছেড়েছি
পেত্নীর ঈশারায় , ক্ষয়িত মোম নিয়ে ফিরেছি যখন ঘরে
দেখি পশ্চিম বারান্দা থেকে রোদ সরছে , পিতৃদেব হুঁকোর
জল বদলের খেলায়্ , আমিও চুপি চুপি কামিজ বদলে
মগ্নতার শিখর চুরায় -
বুঝেছি একদিন সবই গৃহীত হয়ে যায় !
অসংখ্যবার সেই খুপরিতে
যেখানে অজস্র প্রজাপতির আস্তানা দেশী ভিনদেশী
আমি রঙ খুঁজিনি তাদের , আচ্ছা করে মন্দনে ঘর্ষণে আঁচরে
বিক্ষত করে শিখর মুখে প্রচ্ছাব করেছি রেল লাইনে
দেখি রানাঘাট লোকালে মুখের মেলা ---
আমি মনে বলেছি দ্যাখ , দ্যাখ
তুইও তো শালা ইতর ----
আমি শালা "কনিয়ামের " রুগী ----
অতৃপ্তি নিয়ে বাঁচিনি ?
তবুও
বুঝিনা কেন শেষ বেলার জল সেবার অমৃত লেগেছিল ----
মাথার পাশে আমার জন্মদাত্রী
এতদিন লক্ষ্যই করা হয়নি ইনিও ছিলেন জীবনে ----
মাথায় হাত রেখে যখন বলেছিলেন " খোকন তোর কিচ্ছু হবে না "
তখন বুঝেছিলাম
আর একটা জন্ম পেলে বেশ হতো , গুছিয়ে সংসার পাততাম !
No comments:
Post a Comment