Friday, 22 June 2012

কিছুমিছু১১



একাকীত্ব

একবার মৃত্যুতে ফিরে আয় প্রেম , সাতজন্ম পাপে সাতজন্ম
অভিলাষে ; আমার একাকীত্ব দে ঘুচিয়ে দে , আমার এই নাভিপদ্মে
আস্ত ঢুকিয়ে দে সমস্ত অঙ্গীকার !শেষ জন্মে সর্বভুক
নারী খেয়েছি শুঁয়োর খেয়েছি এবার প্রেমকে গিলে খাবো !
দে , দে ঈশান মেঘের বৃষ্টি ছানা , দে সাতপুরুষের ভিটে খানা
কাম সোহাগীর অঙ্গভূষণ পলাশ ফুলের গন্ধ বিকেল
জোঁক চোষকের রক্ত মুখ , দে অদ্ভুত সব মগের মুলুক !

আয় আয় ফিরে আয় প্রেম , নিষিদ্ধ রাতের প্রেম পিরিতি !
দ্যাখ সুমগ্র চেতনার মূল স্থির ; এযাবৎ
নির্বাক অভিমানে মৃত মানুষের কঙ্কাল , অথচ
সমগ্র সূচনার অন্তরালে প্রেমের দংশন ;
দাহ করেও দেখিছি শরীর পুড়ে যায় পার্থিব -----
আর চেতনাতে রেখে যায়
সেই সমস্ত একাকীত্ব অথবা প্রেম !







ছোট তবু ছোট নই

পাজলে পাজলে নিবান্ধব হয়ে উঠেছি রোগ ভোগের পর !
02 আলোক অধিবর্ষে কদাচিৎ দেখা হয় নিজের সাথে ,
০৩ --- আশ্চর্য , সংক্রমণ বাড়ছে খাবারে তৃতীয় জগতে
০৪ নির্মল ব্যাভিচারি রাত্রি - সুবাতাস মুগ্ধতা , সন্ধিবিচ্ছেদ
০৫ শরীর রসায়নে শুধুই জল তবুও তেল নিয়ে "ম্যাড ম্যাক্স '
০৬ বিক্ষুব্ধ চাঁদ গুলো আমার ভাই --- বুলেট সম্পর্ক বিহীন
০৭ রঙচঙে সেমিনারে আমন্ত্রিত রাসেদা বিবি -- ৩৬৪দিন ইঁদুরের মুখে তার হাত
০৮ -- বিশ্বাস অবিশ্বাসী নিরক্ষীয় বৃষ্টিপাত
০৯ - বন্ধুত্বের মুল মন্ত্র বশীকরণ নারীর ইজের
১০ নিমগ্ন হয়েই প্রজ্ঞ্যানের আসর দধীচি উপেক্ষায়
১১ সময়ের প্রত্যেকটা বাঁকে একটা করে ঈশ্বর অপলক এদিকে , মাড়িয়ে চোর
১২ কুকুরের উৎপাতে এ শহর , ভয় নেই নির্বিষ
১৩ এ শহর আমার জন্ম দিয়েও বেশ্যা - তবুও মা বিশ্বাসী
১৪ অনেক কিছু জানিনা বলেই জল স্থির থাকে , জানা দুঃখদায়ক
১৫ - লাস্টসাফারে নেই বিষাদ তার পর শূন্যতায় মা , এখনো
১৬ - শব্দ'রা বেয়াদপ , নেই পতন ভয়
১৮ নিয়ন্ত্রকের ভূমিকার প্রথম রিপু , নইলে ঈশ্বর
১৯ তাদের কথা শুনতে বেশ , হালকা শরীর , পেছনে গৃহস্ত কীট
২০ দ্বৈপায়ন যথেষ্ট নই লুকোনোর -- টাইগ্রিস বড় , তবু অসহয় যুগে যুগে











রহস্য

জানা হয়ে গেলে অংকের রহস্য
শুধু অক্ষর থেকে যায় খাতায় ;
অক্ষর চোখে দ্যাখা যায় বলে উৎসাহী ছাত্র
রাত জেগে অনিদ্রা'র প্রকোপে পরেন
অক্ষরের পাজল ভাঙেন
নির্বিষ হয়ে এলে রাত প্রভাতফেরী নামসঙ্কীর্তন
রহস্য আগাগোড়াই রাতে বাইরে থেকে খাতার বোঝা বারিয়ে যায় !

এভাবে বুঝবে না পাঠক ; আমি জানি লিখে লিখে !
আমি লিখছি এখানে কারন
শব্দের রহস্য জেনে গেছেন কিছু দ্বিজ
দিন রাত শব্দ ব্যবহারে শব্দকীট বলে নে খুঁজে অক্ষরের মহিমা ---
এখানের যা কিছু রহস্য
সেগুলি ক্ষেত খামার কলে মাঠে ঘাটে -----

এবারও বুঝলে না পাঠক , আমি জানি !
সঞ্চিতা , ক্লাস নাইন এ পড়ে , শরীরের বিশেষণ গুলো
বটতলা সাহিত্যে এতো প্রবল ,তো ছোঁড় ইয়ার ----
ওখান থেকেই পড়ে নিও ,
প্রথম দেখাতেই ঘুম উদাহ- রাতে স্বপ্নে এসে আমার ক্ষরণ ঘটিয়ে
যখন ফিরে যায় - মুরগি ডাক , ঘুম ভাঙ্গে ...
আবার আজকের প্রস্তুতি , শরীর ছোবার গন্ধ আবিষ্কারের ----
বিশ্বাস করুন ----
এই বয়সে এসে শুনলাম সঞ্চিতা কবিতা লিখত ----

কোন রহস্য ছিল জীবনে ??
পাঠক বোঝেনি এবার , ধরুন-----------------------









কাল

ধ্রুব নিঃসঙ্গতায় মাথালি ভিজছে জৈবিকটার চাঁদ ক্ষরণে ,
মাঠের শূন্যতায় আকাশগঙ্গা আর ইতিউতি ছড়িয়ে- ছিটিতে
আমাদের পূর্ব বংশধর বিষণ্ণটার মান্যতা মেনেই
অহরহ আমাকে রাজপুত্তুর বানিয়ে সময়ের
বলেছেন থাক এখানে !
আমরাও একশত জন্ম আগে ফুলের গন্ধ বুঝিনি
পেশাদারী হৃদয়ের আক্রমন বুঝিনি
তবুও সন্তানে ছড়িয়ে বীজের ধর্ম
এখনো জেগে আছি !
যেঁটুকু জ্বলবে না আগুনে চিতার সুগন্ধি কাঠে , সেখানে আমারদের
ভবিষ্যৎ , দুষিত রক্ত প্রবাহে ঢের জন্ম উজাগারে থেকে
শিখে নিয়েছে ভবিতব্য
এক মৃত্যু পেরিয়ে গেলেই বসন্তের হাতছানি ----
সেখানে বিক্ষুব্ধ মতের মর্যাদা দেয়নি সৃষ্টি
কিছুদিনের কাল জন্ম
উজার করে নে হেসে হেসে !












ইস্তেহার

বর্ধিত ভাতা দাও মুখে , সংলাপে
ফেরি করো যন্ত্র মানবের কথা ;
মুখের উল্কি খুলে ফেলে
আমরা প্রথম নগ্নতায় কথা বলি আজ !
কেমন আছো - কঙ্কাল ? সারাংশে সমগ্র দলীয় বৃত্তে
উপদলীয় অনুচ্ছেদ আনো
নতুন ইস্তেহার
সেমিনারের বাঁশ নিয়ে আমি , পতাকাবাহক সন্তান !

আমাদের মন্ত্রণা সভা ঘিরে পুলিশ সুপারেরা --
ডাইনেও না বা'য়েও নয় বুকে লক্ষ্য স্থির করে ----

নাম লাশ হয়ে গেলে সেমিনার সভা ঘিরে শকুনের উৎপাত
লাশ শহরতলীর লোকালে ভিড় বাড়িয়ে
নিমজ্জিত সম্ভোগে ---- আজ
রক্ত খুঁজে পেয়েছে দিশা
সমূলে উৎপাটিত বৃক্ষ আবার আগামীর নিমন্ত্রণে !









প্রথম পুরুষ ১৮

সারসংক্ষেপে অন্ধ বাতিঘরের গল্প - দূরে জাহাজ মাস্তুল চশমা নাবিক
মৃত্যুর সংক্ষিপ্ত দাঁড় বাহক , এবার জীবনের কদর্যতায় বিভ্রান্ত সত্যর
অপলাপ , মুখোমুখি বিবৃতি দাও সময় এবং পুরুষ , কে কতখানি ধিতস্থা
স্থিরতা মননের মধু ছড়িয়ে নারী মনের হয়েছেন ভিখারি !
বশীকরণ মন্ত্রগুপ্তি কাপালিকের শ্মশান ছায়ে লেগে থাকে নারীর উষ্ণতা
আর ঘন নিঃশ্বাস প্রশ্বাস শব্দে স্থির হলে শরীর , যুগান্তকারী অনুচর'রা
অদ্ভুত দাক্ষিণ্য নিয়ে দৌড় অভ্যন্তরে নিশি গন্ধ্যার অনুপ্রেয়নায় ; চোখ
জুড়ে শুধুই তোমার নিদ্রিত ভাবাবেগ , প্রভাতী'র তিথিক্ষণে পঞ্জিকায় শুভ যোগ
অমর থাকার মন্ত্র দিয়ে আমাকে বধে'র কাহিনী !

অনেক পেকেছে চুল ষড়যন্ত্রে আগুন শীতলতার খেলা খেলে ;
মাষ এর প্রলুব্ধতায় চরিতার্থ দৈহিক সতেজ থাকার নিবিড় রসায়ন - তার
নাম দিয়েছ প্রেম ; যারা অন্ধ , যারা প্রতিবন্ধী অথবা জন্মান্ধ তোমাদের
কুটিল চক্রিত চক্রের নিয়ম নিক্ষিপনে , তারাও একাকী সম্ভোগ খাটে
আঁধারে অভিসম্পতে রাখে নিজের নাম ঈশ্বরের সম্মুখে , বলে বৃথা গেল
চলে এই জীবন !

প্রথম পুরুষ , অনেক গুলি শব্দ ভেঙ্গে ভেঙ্গে অনুভবের নৌকায় আমার সংসার ,
পুরনো হয়ে গেছে সব পৌরুষ বিদ্যা , অলঙ্কারে সমৃদ্ধ করে নিতে পারো মানবিক
সম্পদ , দ্যাখ কালও তোমার ছিলাম আজো তোমার !











পীঠস্থান

কিছু রেখে যেতে পারিনি নিগৃহীত সময়ের ভগ্নাংশে !
ইতু ব্রতর সান্নিধ্যে নিয়ে ফিরে আসে কন্যা
আর লক্ষ্মীতে ভরে ওঠে গোলা
পিতাও ভুলে কন্যা শোক দ্বিতীয় দ্বিরাগমনের পথ চেয়ে
নতুন পুত্র সন্তান ; এবার মুখাগ্নি কাঠের পূর্ণতা --

এখন পরিচিত রাস্তাও বড্ড অচেনা
পথ ভুলতে একবার পৃথিবী ঘূর্ণন ই যথেষ্ট ;
সারিবদ্ধ মুখগুলো কৃষ্ণ সখা
এগিয়ে এসে ফিরবার তুমুল আগ্রহ ! এই ভুল পথ

ক্লান্তিতে লেগে থাকা মায়া , আমি বলি তারে , তবে তাই হোক ,
সেও ম্লান হেসে
আমিও পুড়েছি সতীর অঙ্গে অঙ্গে একান্নবার !









দুর্ঘটনা

থাক চেনা অচেনার সব জন্ম
বিভ্রান্তি প্রযুক্তি ঈশ্বরের খোলা মুখ ; থাক
সবুজ সঙ্কেত
ইষ্টিশন বাদাম খোল ফাঁকা জলের বোতল কুড়ানি যিশু
কাল কোটের নিত্য দৌড়
উদ্ভ্রান্ত যুবকের সিগারেট টুকরো
টুকটাক চা'য়ের হাঁকডাক
ইঞ্জিনের ঘেউ ঘেউ
অথবা মশকের উৎপাত রঙ্গিন নিতম্ব উন্মেচিত
লাস্যময়ী
বিয়ারের বিজ্ঞাপন -----------
তাতে দুঃখ নেই ----
সয়ে গেছে
চোখও ধারন ক্ষমতা বাড়িয়েছে একুশে আইনে ! লেকিন

যাহাদের যেখানে থাকিবার কথা ছিল
যাহাদের হাতে ছিল জন্ম বাঁধা
যাহাদের খুঁজে খুঁজে এলেছিলেন তারা হাজার ভীরে থেকে ---
তারা ?
আর তাহারা ? যারা বলেছিলেন ...
এই পাঁচ বছর আমাদের দিলে জান প্রাণের দায়িত্ব আমাদের !

এক পা এগিও না ট্রেন ------
মৃত্যু কোন সভ্যতার কথা বলে ?











যেদিন মৃত্যু হল আমাদের
নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র প্রমাণিত হল
তোমাদের ইস্কুলে ;
ইস্কুল ব্যাগের ক্লান্তি নেই ---
বিপ্লব বসত ঘর এখানেই

অনেক গুলো বছর পেরিয়ে , নতুন ব্যাগ--- 











মাছ শিকার

মনন গুলো পাশে রেখে
আবহমানতায় আমি ঝাঁপ দিয়ে নিশি আঁধারে
ভেসে যায় কূলের শান্তি সীমানা ছাড়িয়ে দূরে !
পিতৃ তর্পণ , বাঁশের ছায়া , পোয়াতি ধান ক্ষেত
তাকিয়ে থাকে এদিকেই , যেহেতু
এভাবেই পালিয়ে যাচ্ছি আমি ,
আমি কিছু দিতে পারিনি বলেই ঈষদুষ্ণ জলে মাছরাঙ্গা
ঝুপ , আমাকে দেখেও না দেখার ভান ,
আমি হাত বাড়িয়ে ডেকে উঠলাম
ভুলে গেলে , ভুলে গেলে
এখানেই আমার সব , ভিটে মাটি আমার সন্তান !

ঐ দূরে নোনা জলে ডুবছে রঙ্গিন ভবিষ্যৎ , দেখছি
প্রজন্ম চৌকাঠ ভিঙ্গিয়ে
নামলো গহনে
আমাকে নৌকা দাও
আমি পিছিয়ে পরেছি
বুকের রসায়নে আমাকে উত্তাপ দাও , নারীর উষ্ণ আলিঙ্গনে
আমাকে
পূর্ণ মানুষের মর্যাদা দাও , প্রেম

ফিরবো না , ফিরবো না অতীতের ছায়া শীতলতার মেঠো দাওয়ায় ,
বলবো না আমি ভিখারি
যখন তোমার বুকে জ্যোৎস্না বাণ ডেকে বলবে কৈ কৈ
সে পথিক কৈ -----
জানি সে ডাকে নেই আমার নাম লেখা !

তুমি শ্রাবণ সোহাগী রাতে দাদুরি'র মত্ততায়
আমি হ্যাডক মাছের প্রতীক্ষায় সুনীলে !







শীতলতা

ক্রমশ একদিন বিবিধ উপাচার রেখে
সমস্ত শীতল মানুষ নব্য আলোর সন্ধানে ;
আর পথ কাটা বিড়ালে ভয় নেই , হলুদ বমন ক্ষতে
নেই মাছিদের সুতীব্র চিৎকার , নেই দুধ ধানে চোষক পোকা
দূর হঠানোর নেই কোলাহল !
এই বরফ বিদ্যা আজীবন
আজীবন ভানুমতী
আজীবন চেয়ার সিটিং এর অম্লান ধূসর স্মৃতি !
যদিও ভুল করে ফেলে যাও মুখাগ্নি কাঠ
ব্লাড ব্যাংকের লম্বা লাইন কেরোসিন ডিলারের
বিক্রীত হাসি পরশুরাম ভ্রাতা রুপোলী আয়নায়
নায়িকার প্রচ্ছদ ---- তবে

আবার ফিরবার প্রস্তুতি নিয়ে নাও শীতলতায় থেকেই ----
অনেক দৃশ্য বদলের পরেই
রথের গতি তোমার দিকেই ------
চেয়ে দেখলে রথের ঘোড়া সেজেছে তোমার সহদর !











মন্দাকিনী

গলিত স্থবির শব বাহকে কুহক
রাত্রিক উপাচারে ধাতব চাঁদ ওঠে
শূন্য গালিচায় অফুরাণ বন জস্না
বিভেদের শঙ্খচূড়ে মস্তক ভার ব'য়
নুইয়ে পরে স্মৃতি- বিস্মৃতি দিনকাল
অপরিসীম শস্য গোলা ভুবন জয়ী
দেব সময়ের আকুতিতে পরাধীন
মুখপেক্ষা থাকে মন্দিরের দায়ভার ।

নিমেষে সত্যের মুখমুখি আজীবন
ঘূর্ণিপ্রপাতে আদি রসাত্বক জীবন
যন্ত্র- মানবে আদিম রিপুর তাড়না
আমি মন্দাকিনীর বুকে হাত বাড়িয়ে
আমাকে ভাসিয়ে নাও উভচরে জীব
আমিকে প্রশস্তি দাও আমি উপবাসী







সুরক্ষা আদালত

বিপ্লবে বিপ্লবে ক্লান্ত শরীর পুনরায় আঠাশের জন্মগ্রহি
অদ্ভুত লাবণ্য-গন্ধ ক্ষরণ সোমরস বৃষ্টি ময়ূরী ,
নিস্পলক দৃষ্টি উড়ে চলা মেঘে মননের আস্ফালন
এযাবৎ দেরী হয়নি চুল বাঁধতে এখন অরুচি !
শ্রীহীন শাখাপ্রশাখায় জটিল আগুন খেলা একা পোড়ে
বৃক্ষ একাই দ্বিতীয় স্রোতে ভেসে যাওয়ার মজা !

আমাকে ঈশ্বরী থাকতে দাও , ভোগ্য তালিকা থেকে মুছে দাও
আমার পরিচয় ---
ছড়িয়ে দাও এই খবর যদি ভালোবাসো আমায় তুমি ঈশ্বর সন্তান ---
আমার বয়স হলে ছয় -----
কেউ অভাবেও ছুঁয়ে দেখবে না ----
সৃষ্টি ঘর !







প্রথম পুরুষ ১৭

ততক্ষণৎ আগুন ছিল , মোমের বিরুদ্ধচারনে
উপলব্ধিত প্রতিক্রিয়ায় নিগুঢ় সম্পদ রক্ষনবেক্ষন ;
চিহ্ন বিহীন ঘুমন্ত সব অতীত শুধু রাতের শেষ ট্রেন
হুইচালে লোলুপ সাম্রাজ্য বিজয়ী'র দৃষ্টি নিয়ে নিবদ্ধিত
আস্ত এক পুরাতন সম্রাজ্যে !

প্রথম পুরুষ , আমার কোন অতীত ভবিষ্যৎ বর্তমান নেই -----
মশারি ঢেকে সূর্য প্রতিদ্বন্দ্বী , আর
ধান কুড়ানি মায়ের বুকে কত ঈশ্বর ---
মৃত্যু জন্মের রেষারেষি ফুটপাতে ফুটপাতে !





নিস্কাম

বুকের বা পাশে এক চিনচিনে বোধ ; পার হয়ে এলাম এক সমুদ্র
অশরীরী দেহ । সর্বস্ব নয় টিনের চালে বৃষ্টি সেঁতার ।
উগ্র অঙ্গারের জৈবিক দগ্ধতার স্মৃতিসম্বলে
আমার একুশে যুবক বেলা ;
পুরুষের সম্বল বলতেই শুধু ক্ষরণ আর প্রথম দ্বিতীয় রিপুর
অনিয়ন্ত্রিত গতিপথ ,
ব্যাতিরেখে সম্ভোগের খাট- পালঙ্ক আমি দেব শিশু ,
আঁচর কাটি যখন তোমার মাই'য়ে তুমি শিহরিত নও
ভগবান কবেই বা হয়েছেন মননের কামুক !

প্রলুব্ধতার ভরা চাঁদে এখনো রাতের নর্তকী ছদ্মবেশে
মাথা গলিয়ে খোলা জানালায় " কেমন আছিস ? " ,
আমি বুকচাপা রোগে হাফিয়ে উঠে
ভালো আছি আমরা ভালো আছি আমরা ভালো থাকি ।

প্রলব্ধকরণের সামগ্রীর অভাব নেই তোমার শরীরে , নারী !
নিস্কাম অণুভূতিক প্রেম , কথার মিথ্যাচার
স্বীকারউক্তিতে কবে উঠে এসেছে সত্য
স্বাগউক্তিতেই সত্যর বসত ঘর ।







প্রথম পুরুষ ১৬

খুলেছে কোথাও উৎসবের দরজা
ভিন্ন আঙ্গিকে উড়ছে যৌবন ,
বিকারগ্রস্থ শেষ বিকাল , কিছু আগের সেই মধ্যাহ্ন প্রভাতী
সঙ্গীত এখন সুরহীন এক যন্ত্রণা ; এখানে এখনো আবদ্ধ
গরিষ্ঠ সময়ের সিঁড়িভাঙ্গা অংক আর গুণিতকের
উৎপীড়নে আমার প্রেমের বেলা ; এযাবৎ আগুনের আগের
চরিত্র'রা মুঠো মুঠো দু'হাতে ছিটিয়ে বৈভব
অতলান্তিক শারীরিক প্রতিভার খোঁজে,
কখন যে ভুলে গেছে
তাদের মা ছিল কুসুম কুয়াশায় গ্রাম ছিল
ধান গাছের আলোড়নে তাদের বিকাল গোধূলির আলাপনে
আঁধারের প্রস্তুতি
নারী ছিল প্রেম ছিল সেখানে,অভাবেও , শত অভাবে !

অথচ , ফগ লাইটে কুয়াশা ভাঙছে নতুন মডেলের চারপেয়ি ,
মিলিয়ে যাচ্ছে সমস্ত চ্যাপলিন ছায়াছবি ------
গোলার্ধ বদলে গেলে মানুষ বদলেছে আলোক গতিতে ----
শুধু কিছু জল একই ধারায় প্রবাহিত !











বধ কাহিনী ......

যেদিন বেদনা মায়ের , আর আমি বুড়ি দাই'য়ের চমৎকার হাত ছাফায়
খেলায় অসময়ে চলে এলাম এখানে
নির্গমনের সমগ্র পথ বন্ধ করে ,তখন শুধু চমৎকৃত সময় ।
পিতৃদেবের চোখে ভরণপোষণের বিষাদ পাখির বাসা ছিল বলেই
মা দুপুরে কৃত্তিবাসী রামায়ণের সীতার তৃতীয় বনবাস পর্ব পড়তেন
আমি লব আমি কুশ অথবা তালপাতার সেপাই
পিতৃদেব নিহত করার তৃণ খুঁজতাম ।

তারপর পৃথিবী থেকে অনেক অনেক গুলো বলিষ্ঠ বসন্ত আমাকে কাবু
না করেই পার হয়ে গেলো সাত সাতটি সমুদ্র ;
আর আমি স্মৃতি বিচ্ছেদে রামায়ণ পাঠের শব্দ গেলাম ভুলে , এমনকি
মা'ও বনবাস পর্ব শেষ করে কোথায় গেলেন , খুঁজে পাচ্ছি না !

এতো দিন পরে লক্ষহারা গ্রহের গ্রহন্তর থেকে বেড়িয়ে এলাম যখন ,
দেখি পেয়েগেছি পিতৃদেবের উত্তরকাল ; স্বপ্ন ভাণ্ডারে কিছু কথা আছে
অথবা সিগারেটে আফিমে । ছোট্ট বেলার লব কুশ ধরে এনে তৃণ ছুড়লাম
লক্ষ্যে রেখে পিতৃদেব ......
আশ্চর্য ! আমার বুক দিয়ে বেরুচ্ছে রক্ত ! 









আমার শহর

এ শহর আমার নয়
দ্যাখ একটাও ইটে নেই আমার নাম লেখা
দ্যাখ একটাও বন্দুক নলে নেই গোলাপ ফুল
আর প্রতিটি টায়ার ক্ষত চিহ্ন নিয়ে
আর প্রতিটি নিয়ন মত্ততায় শরীরের দিক নির্দেশ
আমার নয়
এমনকি আমার পূর্বপুরুষে নয় এই শহর !
এই সময় ধরে শুধুই যুদ্ধ বন্দী প্রস্তাব অথবা
নরমেধ যজ্ঞাগার -------
ফাঁকি দিয়ে নিজেকেই তুলে নেয় নারীর শরীর
বেবিফুডের প্রোটিন সময় উপাসক ! অথচ
এই অন্ধগলির বিবিধ মিলন সেই দুই-একজনের হাতেই,
আর মুদ্রারাক্ষস বঁধুকে ডেকে এনে প্রকাশ্যে
নগ্ন হয় সমস্ত দৃষ্টি !

এ শহর আমার নয় !
ফুলশয্যা রাতে আমাদের পূর্বপুরুষ দেখেনি এই শহরের স্বপ্ন !
প্রতিটি জন্মে একটা একটা শহরের বাড়বাড়ন্তি !









আরো নিবান্ধব হয়ে যাও শব্দ'রা
শূন্য আসন পেতে রাখি সামিধের আয়েজন হলে সমাধা
ফিরে যাক যাজক পুরোহিত , অন্য যজ্ঞে আজ ঈশ্বর সন্তুষ্টি
রক্ষগনভোজনং হয়ে যেতে কতক্ষণ বা বাকী !

কুলীন দ্বিজ জ্ঞ্যানী ভাণ্ডারী গণ্ডূষ ভরে পান করে সুধা
শোকে তাপে ধীর স্থিরমতি আর্য প্রতিভা প্রতিভূত
অপরাজেয় ক্ষেত্রমণি ,
সমাদৃত হয়ে যাবে তাদের সৃষ্টি সম্ভার এখানের বিবর্তনের
স্রোতে , নিসপিস হাতে ধরে রেখে যৌবন
বিছানা ঘামে কামে আঁধার !







সনেট ......

রীতিমত হৈচৈ আজ ক্ষেপচুরিয়াসে
জুবিন সনেটে বলে খুঁজে নে জনতা ,
অনুপম মুগ্ধতায় সায়কের ঘুম
নেই অপলক দৃষ্টি রেজা কচি মিষ্টি
বিলিয়ে মিলিয়ে যান আহামরি একি
কালকের বিচ্ছিনতা আজ আন্দোলন
ভুলে গিয়ে মেতে আছে পাগল বংশ
দন্ত বিকশিত হোক দুঃখ অবলুপ্ত !

লিড দিয়েছেন কর্তা বিচ্ছিনতা যাক
আমার প্রাণে তোমার বাণী সমুজ্জ্বল
বন্ধু বলে সঙ্গী হলে কিসের হিসেব
আমার হাতে তোমার গ্রাস ভালোবেসে
পেয়েছে সে মন্ত্রগুপ্তি হাজার তারার
মাঝে সাঁজ সন্ধ্যা দিবা রাত্রি ভেসে থাকে !









প্রধান পুরুষ ১৫

উদ্ভত আত্মাহুতির চিরন্তন এক অমোঘ
লিপ্সা জৈব কোষে ক্ষরণ বাড়িয়ে নিয়ন্ত্রণ
করে মস্তিষ্কের গোপন কোন সর্বশক্তিমান কে ,
নির্দ্বিধায় সপে আত্মজ ইহ জগত আমি সম্রাজ্ঞী ,
খুলে ফেলে মুকুট নিশ্চিন্তে শেষ প্রাপ্তিস্বীকারের
জন্য প্রস্তুতি করি ভেসে থাকার শরীর , অভিলাষে
রাখিনা প্রিয়জনের জল শোক , নিজেকে ভুলতে ,
ভোলার মুহূর্তে ভুলে যেতে পারলে সব চোখ
দৃশ্যকল্পে থাকে না কোন শোক !

এভাবেই আমি , আমাদের বর্তমান , আমাদের অতীত
জন্মে ভালোবেসে নিজেকে
বিলিয়ে দিয়েছেন অনন্ত ভালোবাসায় প্রেমের নিমন্ত্রণে !









মধুচন্দ্রিমা

দিশাহীন উলট- পালট চাদে এক বুড়ি
লক্ষবছর ধরে ,
যখন ত্রিবেণী সঙ্গম ধূধূ পাথর
তখন একচাদ হেটে এসে কিছুক্ষণ জিরিয়ে গান শুনে পাথরের
ঘরে ফিরে যেতো
সন্ধ্যা নামার আগেই
এসব আমাদের জন্মের আগে ।

দশ হাজার বছর আগে
আমি তখন নব্য কৃষক , শিখেছি ফসল ফলানোর ম্যাজিক ,
মাটি কেটে কেটে
বীজ বপনে আমি সিদ্ধহস্ত , আরো শ্রম চাই , আরো জীবন ।

দশ হাজার বছর আগে আমি বিবাহিত ।
আমার স্ত্রীর নাম ডাইনা ।

আমাকে পাঠানো হয়েছে জেজিং গুহা প্রদেশে স্ত্রী সমেত ......
সন্তান চাই ।

আমি জেজিং গুহার , প্রথমা চাঁদ আকাশে
বিবর্তিত ঋতু চক্রের দিন
হিসাদ পোক্ত করি
এই আঠাসের মধুক্ষনেই আমার চাষের ভবিষ্যৎ
প্রগাঢ় যৌথ খামার
এক চাদের পূর্ণ কালে
আমার কৃষি অস্তিত্ব আরো ধারালো করে ফেলি ।

অথবা
মধু আদি সোমরস ,
জেজিং গুহা প্রদেশে আমরা দুইজন , কয়েক কাঠের জারে
ভর্তি মধু ,
চাঁদ ওঠে
মধু নেমে যায় পেটে
উষ্ণতায় ভাসে দেহ-মন , অথবা
কথিত বিশ্বাসে
নিত্যসেবন মধু
সমৃদ্ধ করে জয়ায়ু গৃহ
আমি প্রথম মাসের সুবাতাসেই
কৃষি খামারের শ্রমিক দিয়ে যায় ।













যতখানি লিখে গেছি কথা
আমার ছিল ;
কখন যে তোমার হয়ে রাতকে
আরো গাঢ় করে বলে -
কবি তুই চোর , আমাকেই
চুরি করেছিস !

চুপ হয়ে যায় অবচেতন ,
নির্লিপ্ত চেয়ে দেখি
কথা উড়ছে
হাসান মকবুল রহিম মিয়ার সাথে
আমি শব্দ কুরাচ্ছি
আমার অথবা আমার নয় !











প্রধান পুরুষ ১৪

শেষ হয়ে গেছে সমগ্র পুরুষালী বিদ্যা , ভয়ংকর এক
সত্য'র সম্মুখীন যন্ত্রমানব , নৈবদ্য ফলারে
ক্ষুধার্ত মানুষের চোখ সঙ্কুচিত ঈশ্বর ভূমিতে
শুধু পারদর্শী'র স্থান , কাল বিড়াল , মাটির গহনেও
নিস্তারহীন ভবিষ্যৎ , আধপোড়া শ্মশান কাঠে দ্বিতীয়
শবের মুখাগ্নি , লম্বা লম্বা লাইন শব গাড়ির , খই এর
বাজারদর গগনচুম্বী , ধোঁয়া নদী চর , আসুরিক
প্রতিভা মুলো দাতে হি হি ......
পালিবি কোথায় ?
অবশেষে নেমেছি মাঠে বধ হয়ে যায় অসুর রক্ত !
গোলা ধানে লেগে থাকুক কৃষাণীর ছোঁয়া হাজার বছর , তোর
ঐ চোখের আগুনে অনেক জ্বলেছি
জালিয়েছি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ মেয়েলী বেলা !

ফিরবার অঙ্গীকার লেগে থাক তোর অন্তরের ধ্বনিভোটে ,
এখানে নামিয়েছি নতুন ইস্তাহার ,
সঙ্গবদ্ধ বোনেদের জরায়ু আমাদের রক্ত-ঘামে ...
মন না থাকলে বিকৃত সৃষ্টি এসেছে পৃথিবীতে , জানিস না ......
তোর নাম জিজ্ঞাস করলে ...
নিজের বাপের নামও ভুল বলবে !











ফিরে এসো পুরনো পাখি - অভিমান গৃহস্ত ,
ঠোঁটে ঠোঁট রেখে দ্যাখো পুরনো স্বাদ'ই রেখেছি ,
একতা'ই নশ্বর ভূমিভাগ মিছে করোনা কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি ...
যতটা তুমি যন্ত্রণা ততটা আমিও পেয়েছি !







কবিদের জাত থাকতে নেই
কবিদের দল থাকতে নেই
কবিদের একটা মাথা আছে
তাকে কারুর কাছে বন্ধক দিতে নেই





বিধৌত করে নাও যন্ত্রণা , কবিতায় !
প্রজ্ঞ্যান অভিমুখেই বাল্মীকি স্তুপ !
অনন্ত রহস্য বুনে চলে রহস্য---
রহস্য বাঁধা'র তোমার কি দায় !







নীরব

যেটুকু লিখেছি আমি ------
শুধু আমার নই
বাঁকুড়ার সনাতন মাঝি আছেন
বাগবাজারের রতন শীল
সোনা --- র ঠোটে রঙ লাগানো মহুয়া ও আছেন !

প্রতিরাতে
প্রতিরাতে নিজেকে নিঃস্ব করে কিছু শব্দ আসে
কানে কানে বলে যায় কত কথা
সে সব দুধের হাহাকার , বনেট , আগুন ,
ফন্দিফিকির জিভ লালসা-------
দুই চোখ দিয়ে জল ঝরে পরে ,
তুমি দ্যাখো না ?

আমার কাছে কবিতা মানে আগুন মুখ
আমার কাছে কবিতা মানে বর্শা ফলক ,
আমার কাছে কবিতা মেনে প্রতিবাদ ,
আমার কাছে কবিতা মানে নিজেকে খোঁজা !

অথচ ,
তুমি চাইছ কবিতা তুমি একা পড়বে ,
তুমি চাইছ কবিতা তোমার সম্পদ হবে ,

আশ্চর্য , আশ্চর্য এক পাগ্মালিতে মেতেছে মন ,
স্রোত আটকে নদীকে তুমি বাঁচিয়ে রাখবে ?

ছুড়ে ফেলে দাও নিয়মের বেড়া জাল ...
ওরে বোকা
কবে সৃষ্টি কারুর নিজের সম্পত্তি হয়েছে ?











কি নাম দেবো

বৈদিক মন্ত্রাচ্চারণেও ফিরে আসে না মেঘ বৃষ্টি নিয়ে'
এদিকে মলমাস শস্যদানায় অপূর্ণতার স্বাদ
বিবিধ অঙ্গভূষণে অলীক স্বপ্ন শ্রাবণ,নিঃসঙ্গতা ধরে
জাগতিক সন্তান হাতের চেটো থেকে ঝরছে ক্ষয় ,
অবলুপ্তি সময় দিয়ে মনুসংহিতার রোদনে দীর্ঘ এক
বিবর্তন প্রজাতির গল্প !
আমি বুঝিনি মানুষে মানুষের কথা যৌবনের ভাঙাচোরা ,
পরবাসে'র ডলার রাজকন্যা'র পাখনায় রঙের বৈচিত্র্য -
আর বিধিবদ্ধ সমীকরণে নতুন ইস্তাহার গাছ জল এঁদো
পুকুরের ল্যাঠা মাছে'র স্বাদ এখনো কাঁপাতে পারে কি হৃদয়
ডলার কুমীরের !

বিধৌত মাটি বৃষ্টি গোষ্পদ সম্পদে বাঁশঝাড় লাউপাতা
নিরুচ্চারে একশত আটনাম অন্তরে
অভিসম্পত ন'ই তবু ভালখারার বাসনায় তুলসী মঞ্চে
প্রদীপে শুভ মাঙ্গলিক ,






























































































No comments:

Post a Comment