Friday, 22 June 2012

কিছুমিছু ১২



প্রধান পুরুষ ১৩

সেই গন্ধটা আমার খুব প্রিয় ছিল ; আমি
পেতাম মাতাল সেই গন্ধ - এক এক বিশেষ
সময় , গন্ধ অবশ্য উগ্র নয় , ঝিম এসে যেত ,
আর তখন দূরে সরতো চাঁদ , আমার খোলা চুলে
এলিয়ে পরতো হাত , সময়ের অবগাহনে
হ্রদয়ের কথা হৃদয় নিতো খুঁজে !
এখন বোধহয় সেই গন্ধ অন্য কেউ আবিষ্কার
করে নিয়েছে , আচ্ছা স্থান কাল পাত্র ভেদে
গন্ধ পরিবর্তিত হয় না ? মানুষকে দেখেছি !
এখন এখানে মাতাল হাওয়ার মাতলামিতে
সন্ধ্যা নামছে , তুলসী প্রদীপে ধুলিস্বৎ হলে গেলে
পাপ , এসে জরো হয় নতুন কিছু শূন্যতা ,
যে অক্ষাংশ গুলো উত্তরে এগিয়ে শীতলতায়
ডুবছে সেও শুরু করেছিল চলন উস্নায়ন থেকে !
এখন যখন দেখি কাল ব্লাউজেও ঠিকরে বেরুচ্ছে
সময়ের উগ্র লোভ
নিয়মিত বদ রক্ত ক্ষরণে সময়ের ধারাপাত , আর
অনাকাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির ছাঁটে খাড়া লোমকুপের দায়বদ্ধতা-----
তখন বুঝি
অনেক কিছু দেওয়ার থাকে জীবনে নেওয়ার লোকের অভাব !





আমার গ্রাম

দূরে অস্পষ্ট রেখায় কুসুমের মত নিথর পরে আছে
আমার গ্রাম ; আধুনিক জালে বন্দী হয়ে এই শহর
এই প্রাণ নগ্নতা গিলছে যখন সন্তান সম্মুখে তখন
আজান সুর খোল করতালে গোধূলি নামছে গেরুয়া
ধুলা উড়িয়ে গোরুর পায়ে পায়ে !
ওরা হয়তো এতোখানি ভাল নেই ! ওরা হয়তো কংক্রিটে
কংক্রিটে আলো আটকে বাতাস রুদ্ধ করে শীততাপ
নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রে যান্ত্রিক সম্ভোগের খাটে নেই , তবু আঁধার
নেমে এলে পাড়ায় পাড়ায় জোনাক মেলা ধুলো উঠোনে
মাদুরে মাদুরে ঠাকুমা আর রাক্ষসে দুয়োরাণী সুয়োরানী
আলি বাবা চল্লিশ চোরে হেসে কেশে হুটোপুটি লুটোপুটি
হ্যারিকেনে মোগল সম্রাজ্য পতনে ভাল আছে !









হনুমান কবিতা

পিচ রাস্তা জ্বলছে উদ্বেগ
শকুন পতনভুক মাছরাঙ্গা লালসা
মাকড়সা অঙ্গীকারে
দেহদান , অহরহ ঘর্ষণ আগুন ছায়
মশকের গুঞ্জন নারী স্তম্ভে দৃশ্য নেশা স্ফীত অঙ্গ
গণিকালয় লোকায়ত মুখরিত
দালাল থুঃথুঃ গান্ধী মূর্তি
বিষ্ঠায় রাজ নগর
পাচিল ক্ষয় পড়ন্ত বিকেল ছেলেবেলা মেনী মুখো
স্তনে ডুবছে সূর্য !

লুটিয়ে পড়েছে মাগী , অপূর্ব নিতম্বে'র ঘামে
দীর্ঘশ্বাস যন্ত্র যৌবন মৌ বন পলাশে
মাতম হাড়িয়া নেশা
পরে আছে মানবিক একাগ্রতায়
ছিন্ন জীবনের গান !

একটা বাণ মারবো উচ্চে
খসে পরবে ভগবানের ন্যাজ
এখানে হনুমানের ন্যাজ একটা করে......
আমাদেরও ......







পেঁয়াজ

মা'কে কোনদিন কাঁদতে দেখিনি ---
ঝড় গুলো সব উলটপালট করে দিয়েছে যখন
তখনো মা সকালে গোল গোল রুটি গড়ছেন
গরম প্যানে হাত লাগলে ঈশ করছেন !
সেবার যখন ছোটো মামা হারিয়ে গেলো অমরনাথে
খবর পেলাম , দেখি মা চুপ
আমরা দুপুরে খাবার সময় বুঝলাম তরকারীতে আজ
লবণ দিতে ভুলে গেছেন মা !
বড়দি যেদিন ফিরে এলে স্বামী সংসার ফেলে এক মাঘে
বাবার চোখ ছলছল বাড়ি সাইলেন্স ভ্যালি
মা সেদিন রাতে আমাদের তরকা করে খাইয়েছিলেন
গিলতে গিলতে দেখছিলাম
মা মাথা নিচু করে বলছেন পলাশ " আর একটু দেবো " ,

এই তো ক'দিন আগে ছোট বোন টা যখন পাশের বাড়ির
ছেলের সঙ্গে কাটল ...... মা চুপ , কথা নেই ,
মা রান্না ঘরে , আস্ত আস্ত পেঁয়াজ কাটছেন
চোখ দিয়ে ঝরছে জল ......
আমি লক্ষ্য করেছি অনেক দিন , ঝড় এলেই
মায়ের পেঁয়াজ কাটা বেড়ে যায় !











প্রধান পুরুষ ১২

মরণের পরে মুছে যাবে সব লোকাচার
ষড়যন্ত্রীর কুটিল ভ্রুক্ষেপ , নির্দয় হৃদয়ের
যত পাশাখেলা শেষ হবে , দূরত্বের ক্ষয়ে
গলে গিয়ে অহংবোধ আমি বেঁচে যাবো
প্রিয় , প্রধান পুরুষ !
কতকাল হয়নি ঘুম কতকালের এই শ্যাওলা
জীবন , কতবার অনিবার্য আকর্ষণ দমিয়ে পায়ে
ভেসে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা .........
সব মিথ্যা ?
আমার সত্য যদি তোমার পাঁজরে কম্পন না
লাগাতে পরে , তবে কিসের অহংকার জীবনে ?

আজ পাতায় পাতায় পেয়েছি সংকেত নবজাগরণের ...
এক মুখি স্রোতে ভেসে কি লাভ ......
এসো প্রেম , তুমি আমি কাল সলিলে ডুবে যায়
একা একা









রহস্যের অন্তরালে

প্রতিরাতে নিষিদ্ধতার মহাভোজ ;
লেবু চটকে চটকে তিক্ত হলে পরে
গন্ধবিহীন এক বিস্বাদ
এক পাশে চুপচাপ পরে থাকে আগ্রহ নেই
স্বাদ গ্রন্থিররস চাখবার !
অনন্ত মায়াবী এক লাজুক ক্ষিদে অবিরাম
কোষে কোষে সঙ্কেত পাঠিয়ে বলে
প্রস্তুত হ ; শ্রাবণে কর্ষণ করে নে ভূমি
ফসলের আবেদনে !
গাভীর ডাক শোন প্রয়োজন কালে
হন্য চোখে ধম্মের ব্যাকুলতায় উদাসী
মাঠ ধরে দৌড় ম্যারাথনে ;
নিষিক্ত হতে চেয়ে পরাগে পরাগে
তিতলি অন্বেষণ , এবং প্রতিরাতে

নিভৃতে স্রোত প্রতিস্রোতের নিবিড় যৌথ মিলন ...
অগ্রদূত শক্তিশালী প্রত্যেক প্রজতি
নিজেকে ক্ষয় করে ভালোবাসার সমাধি , অথচ
শিল্প শেখেনি শেখেনি উত্তাপের রহস্য ...
নিজেকে নিঃস্ব করে ঘড়ঘড় শব্দে ঝিঁঝিঁ ......
নিজেকে রাখি কোথায় ?









অমীমাংসিত রয়ে গেছে অনেক দ্বন্দ্ব ,
উজবুকের মত প্রশ্ন করি নিজেকে নিজে
ভাল থাকতে গেলে ওসুদের মত কিছু
তিক্ত গিলতেই হয় !
মহা নীমে রোজ নিয়ম করে জল ঢালতেন
পিতা কি স্নেহে সেই প্রশ্ন উহ্য ; তবু ক্লান্ত
হতেন না , ভালোবাসার সম্পদ সন্তান , গুণে
নয় , বুকের এক চাপা যন্ত্রণা নিয়ন্ত্রণ করে
প্রেম , সেখান থেকেই হাঁস মুরগি কুকুর
কখন যে সন্তান হয়ে ওঠেন পিতা বোঝেন না , অথচ
পুত্র ( প্রভেদ হীন মূত্রের , শুধু কিছু সময়ের এদিক ওদিক )
পরশুরাম , কাঠুরিয়া ইজারা পেয়েছেন জঙ্গল ছাপের !

সেদিন মহানীম সমূলে উপ্রে গেল
বাবা মৃত শয্যায় ডাকের অপেক্ষায় !

গড়িয়ে পরে দু'ফোটা জল ............
জলের দাম দিতে শিখলে তৈরি হয় না ইতিহাস ......









প্রধান পুরুষ ১১

আমায় জ্বালিয়ে দে তোর তপনে
দাউদাউ জ্বলতে জ্বলতে মরণের
আগে নশ্বর হয়ে যাক প্রেম ,
তুই আতি বলিষ্ঠ কণ্ঠে বলে দে
এক নারী সবখানি নয় হৃদয়ের
আমাকে দোষের আগে দোষ দাও
অর্জুন সারথির !

আমিও জেনেছি জিনের গুণাবলী
নিহিত সত্য আছে যতকিছু জীবনে
মৃত্যু শয্যায় শ্লেষ্মা কফে লেগে থাকে
এক আকুতি আরো কিছু নারী পেলে
গুছিয়ে নেওয়া যেত সংসার , পরমেশ্বর
আর কিছুদিন বাঁচিয়ে রাখো অধমে !

আজ বেরিয়েছি জনতা ভীর ভেঙ্গে অভিলাষে
সেই পুরুষ মূর্তি ,
সঁপেছি জীবন আলোর উৎসে
মিরা প্রেমে ভাসিয়ে দিতে দুঃসহ সব স্মৃতি !







প্রধান পুরুষ ১০

প্রলয় আসো , বিগগ্ধ তাপে ক্ষরণে মরণের আগে,
চুম্বক করে দাও শরীরে শরীরে , হৃদয় উত্তাপে গলে যাক
বিভেদের শীতলতা , অভিমানে রেখো না একটাও মেঘ ।
আত্মস্থ করে নিয়েছি জীবনে বাঁচার মন্ত্রধ্বনি ,সুখী কবুতরের
পাখনায় জীবনের রসদ ভাণ্ডার , বিলিয়ে দিয়েছি আত্ম
বিড়ম্বিত জতু কাল , মায়ার ঊর্ধ্বাতনে উঠে দ্যাখ সেজেছি
মননের বঁধু সমগ্র পথ দ্বিরাগমনের দিকে আছে চেয়ে !
প্রসিদ্ধ হয়ে ওঠো জীবন , ধ্যানস্ত ঋষিকে ঘুমোতে দাও ,
নারীর সান্নিধ্যে থেকে দূরে রাখো পুরুষে , উঠতি যুবকের
বুকে লিখে দাও অপূর্ব বিষ থেকে থাকো দূরে !

অহল্যা , মা আমার , যৌবনের ক্ষণে ক্ষণে নিষাদ এর
প্রবল দৃষ্টি , সর্বভুক প্রাণী মা'কেও ছাড়েনি ক্ষুধাকালে
আমাকে গিলতে কতক্ষণই ?
অনেক কেঁদেছি , অনেক মন্দাকিনী লিখে গেছেন জলের
ইতিহাস , আর নয় , আর নয় প্রথম পুরুষ ......
শরীর নগ্ন করতে আমিও জানি ......
আমিও মদনে তোকে পোড়াতে জানি ...







প্রধান পুরুষ ০৯

দৌড়াতে দৌড়াতে বেলা পরে এলে-
মুছে যায় মেয়ে বেলা , অভিমান , রক্ত দাগ !
শুধু দগদগে এক ঘা'য়ের দাগ
প্রতিনিধি দুঃসময়ের ।
আবহমান ধরে কিছু জন্ম আসে রক্ত ঘাম জল
ভালোবেসে , থেকে যায় শেকড়ের তৃষ্ণায় ।

চুরমার হয়ে গ্যাছে সব প্রাচীন দৃশ্যপট !
অনাহুত রাহুকাল জুড়েই মানুষের কান্না !
শব্দ নেই , শব্দে নেই মানুষের কথা !
মৃত সব অতীতের ইতিহাসে আজ নেই চোখের জল !

ওহে , প্রথম পুরুষ , এবারো চমৎকার
সঙ্গোপনে খুলে ফেলেছ বন্ধনের শেকল ,
উড়বার স্বাধীনতা তোমার একারই ছিল না ...
সেদিন আমিও উড়বার মন্ত্র শিখেছিলাম !







উইল

প্রথম ইচ্ছা ...

ঈশ্বর নাম যেন সবাই লিখতে পারেন কাগজে !

দ্বিতীয় ইচ্ছা

ঈশ্বরের ঘরের পেছনে আমাদের ঘরে বৃষ্টিতে জল না পরে !

তৃতীয় ইচ্ছা

মুকবুলের মেয়ের বিয়েতে হারান মল্লিক যেন দেখি পাত্রী কর্তা !

তারপর ..................

ঈশ্বর একটা আপেল দিও আমি ঘুমিয়ে যাব !









চোর

আবারো ফিরে আসি পায়ে নিয়ে আস্ত সকাল
গগনচুম্বী অট্টালিকা সব তাস ঘর
দ্বিতীয় আগুন চোর
প্রমিথিউস অবাক বিস্ময়ে
ভয় নেই তোর
দেখ চেয়ে অগুন্তি ককাসাস পাহার বানিয়েছেন সেবক !

বন্দী হতেই হয় -
জিউস এর রাজ চর খুঁজে নিয়ে দেহ
প্রতিরাতে ঈগলে খুবলে খেয়ে শরীর
বাড়ি ফেরে
জমজমাট সত্যনারায়ণ সিন্নিতে
হাত চেটে সন্তানে
বর্ণপরিচয়ের গোপালের গল্প বলেন !

আগুন এনেছিলাম ......
প্যারানডার বাস্ক রেখেছিলাম লুকিয়ে ...
অজানার উৎসাহী ভাই'রা
বন্দ দুয়ারেই খোঁজের অভিলিপ্সিত বস্তু ...

হাওয়ায় উড়ছে ব্যাধি ......
টুপটাপ ঝরেছে জীবন ......
সংক্রমনিত ইহ জগত









প্রথম পুরুষ ০৮

অনেকখানি দূরে সরে গেছে হাত কোন নক্ষত্র পতনে ,
স্পর্শানুভাবে এখন গৃহস্ত শীতলতা , বৈপরীত্য উত্তাপ ,
একদিন সুদৃঢ় হাতে রেখে হাতে সময়খোর দুই জন্ম ,
গ্রন্থিতে গ্রন্থিতে উজ্জ্বলতা সময় ধর্মের , বৃষ্টি নামলে
মনে - পৃথিবীর আদিমতম খেলা , চক্রাকারে প্রবর্তন
এক মুখ , সবুজতা দেখেছিলাম সবুজে !
তারপর
চমৎকার সাজিয়ে নিয়েছ ঘর , আলো রঙের উৎসবে !
পারিস, মার্বেলের আভরণে ঢেকে গেছে বিগত ইতিহাস ,
ডাইনিং ঝুলে ঝার লণ্ঠন আগুনের রহস্য
হাল ফ্যাশানের বক্স খাটে নেই ছারপোকার উৎপাত ।

এদিকে এখন অনাবাদী ভূমি ভাগে আগাছার বাড়বাড়ন্ত ,
জল দাও প্রথম পুরুষ , নিড়ানিতে উপ্রে ফেল আগাছা ,
এখনো অনেক কৃষি বাকী আছে মাটির গহনে !





প্রধান পুরুষ ০৭

ভালোবেসেই ভুলে গ্যালে সংকল্প , তুমিও প্রেমিক ছিলে
যুগে যুগে আমি কদম বন আমি অশোক বন আমি রাধা
আমি সীতা , সতীত্বের গুনাগত বিচারে ডিস্টিংশন নিয়ে
উত্তীর্ণ প্রজাপতি , তবুও লোকায়ত হাওয়া সরে গ্যালে
ধূসর উপত্যকা , আন্ধি , ভেসে চলা উপেক্ষিত স্রোতে !
প্রধান পুরুষ , জানো না , মর্যাদায় দৃহ রজুতে বাধা এক
নাম , দাঁড়িয়ে থেকেও ভগ্ন চরায় তোমাকে বাঁচানোর
এক চিরায়িত খেলা --
ভুলে গেছি আমার জন্ম , জন্ম পরিচয় পিতৃ শাসনের উদাস
ভ্রুকুটি , নিঃস্ব হতে চেয়ে নিঃস্বরাও ক্লান্ত অথচ স্বজন হারানোর
প্রীতিভোজের আসরে মত্ত মাতলামি - এসব আতলামি নয়
সময়ের !

প্রিয় , বুঝবে না আগুনের রহস্য , এক শরীর পুড়ে কাঠকয়লা ;
কাঠকয়লা পুড়িয়ে বাঁচিয়ে রেখেছি উত্তাপ ...
অনেক হিমবাহ ভাঙতে পারে এই জাহাজ ... নাবিকের অনুমত্যানুসারে !









প্রধান পুরুষ ০৬

ফাঁকা হয়ে গেলে বিপণন ,মোড়কে লেগে থাকে যন্ত্রণা ;
অষ্টরম্বা বোধ নিয়ে দুধের ঝিনুকে মুক্তো খুঁজে হয়রাণ ,
মরণ ফাঁদ পেতেছেন কেউ একজন আত্মহুতি নিশ্চিত
এই বেলা ! নোনতা জলের স্বাদ সাগরে যতখানি ঢের
বেশী এই রামমোহন দে লেনের স্যাঁতসেঁতে প্যালেস্তার
খসা দেওয়ালের ভেতরে , বারোমাস ক্ষয় ঋতু আর
বিবর্তিত রোদের ছায়া , তুমি ছিলে বলে !
নির্জনতা যতটা নির্লিপ্ততা দেবে ভেবেছিলাম তার থেকে
অনেক বেশী কোলাহল এসে বলে আজ বিসর্জন
চল সিঁদুর খেলে আসি !

স্বভাবতই তুমি পিকাসোর নগ্নতা খুঁজে চলছ , আঁধারে
রাণীর উন্মুখ আপেল বৃন্ত , সারাটা রাত রেখে দাও ক্যানভাসে
জাগিয়ে নারীর চোখ , ইদুর , হুটোপুটি মাতিয়ে দেয়
প্যারিস শয্যা , দামী বেডকভার !
দূরে গেলেই পিছু সরে কাল !









প্রধান পুরুষ ০৫

বিদ্যা দাও , শ্মশান বিদ্যা দাও ;
চাবকে ছাল ছাড়িয়ে অঞ্জলি দেবো আগুনে
তোর অস্থি নিয়ে যদি মতম করে শেয়াল শকুন
উস্কে দেব আমি তাদের লালসার জিভ !
আরো কিছু সময় দাও - আরো কিছু কাজ বাকি ,
অতৃপ্ত আত্মা নিয়ে তাণ্ডব , শেষ ঘূর্ণনে শুধু সতী কাটে
আজ প্রত্যেকটা পুরুষাঙ্গ কেটে নিঃশেষ করে দেবো কাল ...
জ্বলন দ্যাখ - একই রকম জ্বলে লিঙ্গ ভুলে !

আয় আয় আয় প্রথম পুরুষ শরীরের সীমাহীন ক্ষয়ে
খুঁজে নে জিনতত্ত্ব ; অনেক জনমে অনেক মরণে
আমার জন্ম , বিসর্জন দিয়েছি কোমল অঙ্গ ,
আয় , খুজে খা শরীর - প্রত্যেকটা শরীরে আমি নগ্ন ভুত !









বিছানা পেতে রেখেছেন মা
দূরেই মৃত্যুর হাতছানি
তৃণ ছুড়েছেন মহিষে চরে
শাদা কিছু অনুভব মেরে ফিরবে জানি
জীবন বলে
ওরে ক্ষ্যাপা দাড়া , তুই দুদণ্ড দাড়া
এত্ত কাজ পরে রয়েছে
আমার যাবার নেই কো কোন তারা !









প্রধান পুরুষ ০৪

গৃহীত হয়ে গেল হৃদয়ে দাবানল --খাক হয়ে যাবে পদ্ম!
সেই সব বসন্ত স্থানে আগুনের হুল্লোড়,আর কাল বিড়াল
পথ কেটে গেলে দাঁড়াবো না , অনেক দেখেছি নিয়মের
বেড়াজালে অনিয়মের বসত সংসার !
তুমি বলবে সেন্টপিটাসবর্গে ভয়ানক ঠাণ্ডা , জল জমে
বরফ , ফায়ারপ্লেস হিটার জ্বালিয়ে রাত নামে , নিঃস্ব হতে
বিশ্ব , কতোখানি জমেছ তুমি ওখানে ?
এখানে দ্যাখো ৩৮ ডিগ্রী সেলসিয়ালে জ্বলছে বঙ্গ , অথচ
আমার হৃদয়ে এক ডিসেম্বরের হিমালয় ...
আরো ঠাণ্ডা চাও তুমি ?





শাদাকে শাদা কালো কে কালো বলা একটা আর্ট ! অনেকসময় ( বেশীর ভাগ সময়) যা ভাবি তা বলি না পাছে বদনাম হয়ে যায় ! নিজেকে ভাসিয়ে রাখার কি নিদারুণ আত্মসংযম ! একটাই জন্ম ( জন্মান্তরে বিশ্বাসী দের কথা বলছি না ) অঢেল কাজ ! চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রহস্যর পর রহস্য , যেখানে যায় দেখি আমিত্ব আর আমিত্ব ! অথচ , নিষ্ঠুর এক বাস্তবের সামনে উদাস হতে চাইলে পেটে টান চিনচিনে ব্যথা !
আমরা পেরিয়ে যাচ্ছি বিরামহীন এক পথ , আমাদের আত্মগরিমা ছড়িয়ে যাচ্ছি আগামীর প্রয়োজনে ? তবে এতো ভণিতা কেন ? কেন বলতে পারি না তুই হাসিস না - রাহুকাল !
হায় যুগের কবি -- নিজেকে আর কত নামাবেন নিচে ! কবিতা আপনার ? যদি আপনার হয় তবে রাখুন আপনার কাছে -- আপনার হায়হুতাস উপভোগ করুন নিজে রাত্রি গভীর হলে !

খুলে ফেলে দাও এসব মরণ সাজ ! দীপ্ত কণ্ঠে কথা বলুন আমাদের , আমাদের মায়ে দের , আমাদের জন্মের , আমাদের মাঠের , আমাদের মাটির !
ক্ষয়ে জান সকলের মাঝে -----
তারপর একদিন বেঁচে উঠবেন তাদের কোলে !











প্রধান পুরুষ ০৩

অহেতুক উত্তেজনা নয় , তুষ থেকেও আগুন জ্বলে দেখলাম;
অনেকটা পুড়ে গেলে শুরু হয় অনন্ত জ্বলন , বিমুঢ় কিছু ছবি
নির্বাক - তবুও সময়ে কতকথা ভাসে !
অপষ্ট রেখায় পুরাতনী জন্ম , মহুয়াবন কামুক মাদল রাত
সব কিছু ভুলিয়ে দেওয়া বাতাসে এক নাম প্রেম- আর কত
মেয়ে মা হবার আবেদনে ছড়িয়ে সুবাস , তুমিও করো না
প্রতীবাদ , প্রতিরোধ আমিও শিখিনি সেদিন !

প্রধান পুরুষ , এখন প্রতিরাতে খুন হতে হতে জঙ্ঘা জুড়ে নখ
আঁচর , রস নেই ! ছিবড়া তে পরে আছে তবু আগুনের রসদ ,
হয় পুড়ে যা না হয় পুড়িয়ে দে আমায় !









প্রধান পুরুষ ০২

ঘুম ভেঙ্গে গেলে জ্যোৎস্নার দুই প্রাণ , নিয়ন্ত্রিত
লম্বচ্ছেদ - একপাশে হাড়গোড় রক্ত হায়না নিয়ে
সমগ্র যৌনাচার আগুন ক্ষিদে ; আর দূরে ফরাসী
আঁতরে শ্যাম্পেন রাত অগুন্তি প্রজাপতি টাই ধরে
ঝুলে লাস্যময়ী অনাবৃত বুকের স্পর্ধা ঢেউ চোখ
রূপটানে বিলীন বলীরেখা - আঁচল অগ্রে গাঢ় কফ !
ঝুল বারান্দা ধরে জ্যোৎস্না নাচে বাহুডোরে সুঠাম
তনু , অণুপরমাণু বিভক্ত হলে , না চাহিদার বাহাত্তর
ঘণ্টা - একটা জন্ম - একটা মৃত্যু , প্রধান পুরুষ !
দ্বিতীয় চাঁদ এসে ফিরে ফেলে দেখবে না বিছানায় রক্তদাগ
কত পাপ জলাঞ্জলি শ্রাদ্ধবাসরে কে মনে রাখে !

পেত্নী , পেত্নী হয়েছি শুধু লালসায় , লিকলিকে হাতে
শরীরে দলাকৃত সফেদ মাংস দাও রাজা ......
ভূমি বিদ্যা আমিও জানি ভূতের সহবস্থানে ...
জ্বালিয়ে দিতে পারি অনলে পুরুষ এবং প্রথম রিপুর
সর্বভুক ক্ষিদে !







প্রধান পুরুষ

পেতজন্ম , আগুন জ্বালিয়ে তাপীয়ে হৃদ ম্লেচ্ছ করে দিও
ক্ষণিকের অনুভব ক্ষণ ; লাল কার্পেট , সম্বর্ধনা সভা
কে সি দাসের এক হাড়ি রসগোল্লা তৈরি রেখে পাকা কথা
দাও --- না না এই বৈশাখ লগণ ভাল !
হাড়িয়া মাতাল চণ্ডালে শ্মশান ছায় পেতপুরী দীর্ঘ পেতজন্ম
ঈশারা মাতাল হাওয়া দর্পণে মুখমণ্ডল ভুষাকালি'র আভরণে
নৈবেদ্য সাজিয়ে প্রতীক্ষা , ছায় ভেসে অন্ধ দৃষ্টি , তখন দূরগামী
ট্রেনের সাইরেন - নামলেন যুবক , ফটো শিকারির ঝলকানি ,

এক যুগ নারী জন্ম , প্রধান পুরুষ গোধূলিতে মিলিয়ে গেলেই
ভারী বাতাস -- আঁধারে চোখের জল বেদামী







পাখি

আত্ম নিমগ্নতা নিয়ে বধ্যভূমি বায়ে রেখে
খুলে ফেলে পাশবিক সাজ ---
সবুজ প্রান্তর , কোলাহল জনতা ভীর উগ্র
রাজভক্ত অনুচরের শোণিত দৃষ্টি দিয়েছি ফাঁকি -
বাকী রাখিনি কোন বন্ধন -
অপলক দৃষ্টি নিয়ে নীড়ে সহজাত সৃষ্টি খুঁজে
হয়রাণ কথা দিয়েছি ফিরবোই তাতে বেলা
যতখানি গড়িয়ে যায় যাক !

মা আমি ; এই দুর্দিনে দেখিয়েছি তাদের পৃথিবীর
মুখ ডিম ভেঙ্গে , হাজার দাঁড়াস লালাসা
তৃণের জন্মান্ধ ফলার মুখ থেকে বেঁচে এসে তা দিয়ে
মমতায় গড়েছি সংসার ...
ছন্নছারা হতে দেবো না !

বাছা , শোন তোরা ,
রাজার ভাষণ শোন তোরা যত ইচ্ছা মন চাই , শুধু
মাথাটা রাখবি নিজের কাছে ...
তার পর যত ইচ্ছা হাততালি দে রাজার ভাষণ শেষ হলে !














































































No comments:

Post a Comment