অভিষেক
কথা ছিল শেষ হলে যাত্রাপথ অনাহুত
মেঘের মত উঠে পরবো রথে -
কতক্ষণ ধরে ব'য়ে বেড়ানো যায় বোঝা !
অপার বিস্ময়ে পারাপারের খেয়া খই ছড়িয়ে
পথঘাট গোময় আল্পনায় উঠোন
বিচ্ছেদ হয়ে যাবে মদন- জতু সংসার !
ভুল জমেছিল যেসব ভুলে , সন্দেহ কৃত্রিম
অনুশোচনা আবেগ বিষাদের জন্ম কুঠি-
নিরুত্তর প্রশ্ন উত্তরহীনতার ভরাডুবি !
ধরো , যদি ছুঁয়ে ফেলি নির্বাসিত এই জীবনের
রহস্যখনি ; যদি বশীভূত হয়ে তুলে নি
আমাদের সন্তান আপত্য স্নেহে ,
দিকবিদিক শূন্যতায় ডাকবে কাঁক ?
ভয় নেই কোন যন্ত্রে মানবে , অপরিমেয়
ক্ষতি পুষিয়ে এই বসন্তে
দূরে ছুরে ফেলেছি আমার সিংহাসন
এবার তোমাদের রাজা খোঁজার পালা !
মাতৃ দিবসে দুই কবিতা
০১
অনেক গুলো ক্লান্তিকর দিন
শেষ হয়ে এলে
আনন্দে হেসে ওঠেন ঈশ্বর ;
সুনিপুণ হাতে কারিগর দীর্ঘ
সময় ধরে
দূর কোথা থেকে খুঁজে এনে
চোখ বসিয়ে দিলেন
আমি দেখলাম আশ্চর্য এক
মহিমান্বিত জগতসভা
তোমার ঘরদোর সাজানো
শস্য ভাণ্ডার অফুরন্ত খাবার !
এদিকে তুমিও চুপ থাকো নি ...
প্রতিদিন ঘুম ভাঙ্গে
জলে সিক্ত করো চারা
নিড়ানির অভিঘাতে উপ্রে আগাছা
শ্যামল রাখার চেষ্টা !
যতবার লাফিয়ে উঠি আমি শব্দে
গানে ভয়ে
লাথি মারি কষে বক্ষ জুড়ে
তীব্র যন্ত্রণায় কুঁকড়ে উঠে ও
হেসে ওঠো
ধন্যবাদে গোলা ভরিয়ে নেন ঈশ্বর !
মা ,
ওরা জানে না কতোগুলো বিনিদ্র রাতজেগে
কতরাত অভুক্ত থেকে
কত যন্ত্রণা হাসি মুখে ঢেকে
তুমি ফলিয়েছ ফসল
তোমার অস্তিত্বেই থাকবার কথা ছিল জন্ম
ভুলে গিয়েছি সেই ইতিহাস
জানোয়ার ও মাকে মনে রাখে আজীবন !
মা ০২
তোমার কি দোষ মা ?
তোমার কোন দোষ নেই মা ,
যুগে যুগে কত মা কতো মনু সন্তান ভাসিয়েছেন জলে
কতো মা ফেলেছেন চোখের জল চুপিসারে
রাতের অন্ধকারে একাকী -
আর হাতড়েছে জীয়নকাঠি
আমাকেই ভালোবেসে ,
তোমার কি দোষ বল মা ?
তুমি তো
তোমারই দুই-চার শাখা প্রশাখার জন্য ভাত চেয়েছিলে
আর আমাদের ছিল না ইচ্ছা বা আগ্রহ
তুমি তো শীতের উষ্ণতা খুজেছিলে
পুরনো কাপরে লেপ কম্বলে
সর্ষে দানায়
তেলের অপূরণীয় ভাণ্ডার
দু একজনে হাতেই আদি কাল থেকে বন্ধি
সে ভোজনে বা তেল মর্দনে ;
আমাদের শরীর হারিয়েছে সে অধিকার
জন্ম ধুয়াসা তিথি ক্ষণে !
তোমার কোন দোষ নেই মা ,
মা,মনে পরে সেই সব তুবড়ে যাওয়া মায়েদের মুখ
ভাঙ্গাচোরা মন , অন্তঃসলিলা বুকফাটা আর্তনাদ
শুঁখিয়ে যাওয়া বক্ষ সুধা ,
প্রতিরাতে
খুন করে নিজেকে
সকালে হাস্যমুখে "তাহাদের পদসেবা"
গল্প করে তোমার সাথে ?
আমার কথা বলে ?
মনে পরে মা আমার কথা.........
তোমার কোন দোষ নেই মা
তোমার কি দোষ বল মা ,
তুমি তো জানো না
আমাদের এখানে খিদে পেলে কাঁদতে নেই
আমাদের বুকে হাপরের টান এলে ওষুধ চাইতে নেই
আমাদের শীত পরলে কাপতে নেই
না হলে রঙচঙে সেমিনার সভা হবে কি করে ?
কে শুনবে ওদের কথা......।
বল মা ?
মা তুই আর কাঁদিস নে......
মা আর চোখের জল ফেলিস নে
এই বধিরদের সামনে
তুই কাঁদলে
তোর চুপসে যাওয়া মুখে
আমি প্রত্যেকটা শুঁকনো কাষ্ঠ খণ্ডে দেখি
খ্রিস্টের মুখ.........
ছোট তবু ছোট নই
০১
নিষিদ্ধ হতে আসা সব জন্ম
পূর্ব জীবনের ঈশ্বরের সন্তান
অহং বাঁধ ভাঙলে
আকুতিতে অন্য এক জীবন !
০২
দ্বিতীয় বিশ্বাসে নারী কিম্বা মা
প্রথম বিশ্বাসে শূন্যতা
মহার্ঘ্য ভাতা তুলে নাও শুধু
নির্জনে দেবালয় !
০৩
বিন্দু মানচিত্র এক নষ্ট নীড়
খামারে শুয়োর পালন
ইতিহাস পুনরাবৃত্তিতেই সিদ্ধহস্ত
আমরা ভুলে যায়
দ্বিতীয় অভাবে প্রথম অভাবের ক্রন্দন !
০৪
অনেক ইজ্জত আমাদের
থাপ্পড় ঘোমটা ইজের আঁচল
পা থেকে মাথা পর্যন্ত ইজ্জত
চেয়ে দ্যাখ
দৃশ্য বাদ দিয়ে
একটা মনও আছে !
০৫
জানালা দিয়ে কাছে তুলো গাছ
উড়ন্ত অবহেলায় প্রাণ
উড়ছে শিবু মাঝি
হেলিপ্যাডের প্রস্তুতি শেষ হয় !
০৬
ইতিহাস হয়ে যাওয়া চরিত্র
ইতিহাস হতে চাইনি কোন দিন
ঘাতক সেনা ইতিহাসের ছাত্র নয়
অণুঘটক রয়ে যায় !
০৭
শব্দ ভাণ্ডার কিছু শব্দ উদাহ
প্রতিপক্ষ নয়- শত্রু
জমিনের নির্দেশে
আমার ভাই --- আমি শত্রুনাশক !
০৮
দেশ কালের সীমানা ভাঙছে ক্ষিদে
দেশ প্রতিবেশী নিরন্ন বছর বছর
সাপ- নেউল হতে পারলে উপর উপর
শাসন ক্ষমতা বর্তায় !
০৯
প্রেমের কথা তুমি লেখো কবি
হাজার হাজার বছর
আমি হৃদয়ে হৃদয়ে উষ্ণতা এঁকে দিতে
খুঁজে নেবো আমার শহর
পুনরুথ্থান
পুনরুথ্থান মুখে'ই যতোসব অমীমাংসিত ঝড় ;
দ্বৈপায়ন হ্রদে'র অনিবার্যতায় এক সত্য অবিনশ্বর
ঘুম নেই মৃত্যু'র , খণ্ড অভিমান নিয়মের রাজত্বে
নয় বন্ধি , সংশয় পাপ আত্মবিশ্বাস একমুখী
পরাজিত ভয়ে নয় শঙ্কিত !
শরবিদ্ধ যন্ত্রণা কেন আরো কিছু মুহূর্তের ভিক্ষা মাগে
কোন উষ্ণতার অভিলাষে ? পতনের রথে চেপে
বাঁচার সুতীব্র কৌশল আত্মস্থ করেছিল যা মন
সেও নির্লিপ্ত চোখে রণবাদ্যে'র সুরে খুঁজেফেরে
বিজয়ী পতকাবাহক জীবনের ...
অথচ সেসব অক্রূর সবাক চালচিত্রের দর্শক
প্রতিনিধি , রক্ত হিম হন্তক সময়ের কথক ঠাকুর
গল্প করেন নির্জনতায় উত্তর পুরুষে
জয়-পরাজয় সবই পূর্ণিমার চাঁদ আঁধারের আগের চরিত্র !
সময়ে নেই চিরন্তন কোন সত্য ...
কল্প দৃশ্যে নিমজ্জিত ইতিহাস শুধুই ফাঁকি দিয়ে এগিয়ে যাবার
লড়াই , পুনরুথ্থান আশ্চর্য মায়াবী ফলের অপ্রাপ্তি নেশা
আঙ্গুরের রস অন্দরে উপরে শুধু দৃশ্যকল্প আর লোভ ।
কাল
গ্লভ মানচিত্রে চোখ নামিয়ে খুঁজি কোথায় আমার দেশ ,
কোন অক্ষরেখা নামিয়েছে উষ্ণতা ,
অবজ্ঞায় ক্ষয়ে গেছে কোন সীমান্ত প্রাচীর
কালো কালো লিলিপুট ঐ মানুষ কার ভাই ,
বেলা বেড়ে রাতনামে গঞ্জে , কুয়াশার আভরণে
ঢেকে যায় গৃহের অস্তিত্ব
পরিযায়ী পাখির দল শেকল খুলে প্রস্তুতি করে সঙ্গ
ফসফরাস চোখে শ্বাপদ
রক্ত আর নেশার অভিমুখে , এখনো !
একবার আঙ্গুলের চাপে ঘুরিয়ে মানচিত্র
আশ্চর্য
রঙ্গিন রঙ্গিন সীমান্ত রেখা গায়েব
এক পৃথিবী ঘুরছে
আমাদের গ্রাম ঘুরছে
আমাদের দেশ ঘুরছে
কিন্তু ঠাওর করতে পারছি না কোনটা আমার দেশ
আমার জন্মভূমি সব ৬৬ ডিগ্রী'র পরিমিত দৌড় !
যদি মুছে ফেলে দেওয়া যায় মানচিত্রে সীমানার রেখা চিত্র ?
আমি দেশ খুঁজে দেখবো না , গ্রাম খুঁজে দেখবো না ,
কায়াকে চরে আমাদের মৎস্য শিকার
হাইতি'র প্রসূতি
জন্ম দেবে সন্তান
এখানকার মাতৃসদন নিচ্ছে তারই প্রস্তুতি !
মেঘ করে এলে খুলে দিও জানালা
বৃষ্টি খেলে যাক পরিপাট শয্যা প্রচ্ছদে ;
চৌকাঠের মান্যতা মুছে ফেলে
ডুবে যাও মন্ত্রণার আঁধারে !
তুমি কতকাল নামোনি জলে ,
কতকালের এই ধুলি জন্ম ,
কতবার এসে ফিরে গেছে উদ্ভ্রান্ততার মূর্তমান ছবি
আমি নাম দিয়েছিলাম প্রেম
তুমি ভেবেছলে তোমার প্রতিদ্বন্দ্বী !
অক্ষরবৃত্তে ধার করা শব্দ নিয়ে কবিতা লিখি
উত্তর গোলার্ধে নেমে আসে বসন্ত
পঙ্গপালে খেয়ে যায় সম্পদ
সেই বোধিবৃক্ষ বৃদ্ধ
প্রতীক্ষায়
পাশ কেটে তুমি পগারপার ......
প্রেম চেননি প্রেমে ।।
অলৌকিক এক যানে উঠেই পরলাম , আমার অজান্তে ;
ফিক করে হেসে উঠে ঈশ্বর
বললেন " স্নান করে নিস প্রতিদিন , আবর্জনা " তারপর
থেকে জল খুঁজছি অবগাহনের......
চাঁদ যেবার মামা হয়ে ঘরে এলো
আমাদের ঘরে শুধুই নতুন ধানের গন্ধ ; হুলোটাও চেটে চেটে
থালা , অতিরিক্ত উগ্রে দিতো ঘাসে ...
চাঁদ নিয়ে ফুটবল খেলতাম কতো ......
এখন আর বাড়িতে চাঁদ আসতে দেখিনা ...
অন্য ঘরে নিমন্ত্রণে
আর আমিও ভুলে গেছি জল চাঁদের কথা ,
হাসছি ......
ঈশ্বর আবর্জনা চোখে পরছেনা কেন ?
সেদিন থেকে কলেজস্ট্রীট পাড়া শুন্য
কবিতা গুলি এদিক ওদিক কাতরাচ্ছে দেখে
ঘরে ফিরি
আলট্রাসনগ্রাফি দেখে ভ্রূণখোর
নিজের সৃষ্টি খেতে মজা আছে
নগ্নতা আঁধারেই ভাললাগে !
দ্বিতীয় জন্মে আমি প্রকাশক
রবীন্দ্র রচনাবলী দিয়ে
শীতের উত্তাপ
নীল হয়ে উঠলে শিরা
খুঁজে নিয়ে সম্ভোগ বিছানা
খুন হয়ে যাক দুষ্টু কবির দল ।
চাকা
সময় বাড়তে বাড়তে অবশেষে এক চাকা
বহু চর্চিত হয়ে উঠলো জীবন
বাতি ঘরে শুরু হল আগুনের খেলা
নাকের কাছে চোখ এনে কেউ লিখল ইতিহাস
পরিব্রাজকের রাজন্য ভাতা বৃদ্ধি পেল
উঠে এলো রাজকীয় সাতকাহন !
শরীরে তেল মেখে এগিয়ে যাচ্ছে কিছু মানুষ
তার পেছনে ছুটছেন আমার প্রথম পূর্বপুরুষ
পাখি-পাখালি গাছে গ্রাম ছিল তাদের
এখন দশ লক্ষ্যর রঙ্গশালা
শাদা জামা গুলতে রক্ত দাগ আছে তবু অদৃশ্য
ভানুমতীর খেল ......
তখন থেকে দৌড়াচ্ছেন বলে আমার পূর্বপুরুষ
ক্ষিদে বাড়ছে আমার
তেলের গ্যালনে টাকা
তাক লাগানো ধংস ভাণ্ডার ......
চাকাটা চিরতরে ভেঙ্গে গেলে বেশ হয় ......
নিজের হাতে নিজের খাবার মন্দ নয় মন্দ নয় ।
চিঠি
রাণী ,
সময় করে উঠতে পারিনি উত্তর দেবার , বল কেমন আছ ? মনে হচ্ছে তোমার কাছে চলে যায় , সারাদিন রাত তোমার কাছে থাকি , নদী নীল সাগরে ভেসে চলি আমরা দুই জন , তোমাকে
ছুঁতে চাওয়ার কি নিদারুণ ইচ্ছা আমার
জীবন অনেকখানি চাই ...... অনেক দিতে ইচ্ছা করে নিতে ইচ্ছা করে ঢের বেশী , কিচ্ছু ভাল লাগছে না , জীবনে শুধুই শুন্যতা
মনে হচ্ছে আমি তুমি দূর কোন পাহাড় সমুদ্র জঙ্গল ঘেরা কোন দেশে যায় , সারাদিন টো টো করে ঘুরবো দুজন , আর সেই নাম না জানা পাখি যখন ঠোঁটে করে নিয়ে আসবে প্রিয়ার খাবার দেখব দুই চোখ ভরে , আমি তুমি ক্লান্ত যখন -- রাত অন্ধকার কোন এক নির্জন কুঁড়ে ঘরে আমাদের আস্তানা ... তোমার ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চেটেপুটে খেয়ে নেব তোমার সব ক্ষিদে ... সারারাত ঝির ঝির বৃষ্টি জেন আমাদের জন্য আমাদের ভালবাসার জন্য ... তোমার সঙ্গে মিশে আমিও শুন্য ..............................
কালের সীমাহীন এই ক্রন্দনে মুছে যাক যাবতীয় রহস্য হাসি , দূরে যে ফাঁসি কাঠ এখনো প্রস্তুত মিলনে , তার নিচে দাড়িয়ে খুঁজে নেব না হয় জীবনের মন্ত্র ধ্বনি ,
এখন চুপ থাক সময় , অপরাহ্ণ আসুক দূরের বাঁশ গাছে ,এখনো প্রস্তুত নই এভাবে ক্ষয়ে যাবার , ঢের জন্ম এসেছিল আগে ঢের জন্ম পেছনে ফেলে দ্যাখ দাঁড়িয়েছি আমরা দুইজন... সবই মিথ্যার অভিপ্রায়ে ?
রাণী ---- খুলে ফেলেছি জীবনের রণসাজ , সত্যি বলে যদি কিছু থাকে বেঁচে সেখানে এই উভচরী প্রাণ হাঁসফাঁস ... গলবন্ধে তাবিজ-কুবিজ অনেক চাপিয়ে দেখেছি এতকাল , শান্তি নেই , সেই এক জন্ম এক মৃত্যু এক সন্তান জন্ম দেবার মেশিন , অনেক ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত , মথ থেকে এবার প্রজাপতি হবার পালা
কাটাকুটি খেলিনি নিজেকে নিয়ে , নিজেকে শুধু স্রোতে ভাসিয়ে চলেছিলাম এতদিন , যেদিকে মধু সেদিকেই ছিল জীবনের গতি ... এই অসময়ে বলছি- বিশ্বাস করো ঘেন্না ধরে গেছে জীবনে , এতদিন প্রাপ্তির ভাণ্ডারে কিছু সংখ্যাতত্তের ভীরে নিজে হারিয়ে এখন ভেসে উঠতে চাই তোমাকে ধরে
রাণী , যদি ভুলে যেতে চাও আমার বান্ধবহীন অস্তিত্ব , যদি ভুলে ভুলে যেতে চাও সময়ের বন্ধন , যদি ভুলে যেতে চাও আমার চোখের বিশ্বাসযোগ্যতা , তবে যেও আমিও দেবনা বাধা কিছুতেই ...
রাণী , তুমি জাননা বোধহয় বন্ধন মুক্তি নেই মৃত্যুতেও , মৃত্যুতেও নেই শান্তি প্রলেপ ... যতসব শাদা বক পায়রায় ঠোঁটে দ্যাখ লেগে আছে বিগত জীবনের স্বাদ , এই অবেলায় বুঝি একটা জন্ম যথেষ্ট নয় জীবনের জন্য , দ্বিতীয় জন্ম তৃতীয় জন্ম পেলে বেশ হত ... গুছিয়ে আবিস্কার করা যেত তোমাকে ।
ফিরে এসে পুনরায় বুকে তুলে নাও এই জীবন , দ্যাখ এখন হ্রদয়ের প্রতিটি হ্রিদপন্দনে তোমার সুর ই বাজে একতালে এক লয়ে
তোমার প্রতীক্ষায় রেখে গেলাম এই স্মৃতিসম্বল , বুকে আঁকড়ে রেখে
ভালোবাসায় তুলে নিও আমার হৃদয় ......
হীন
বুদবুদ থাকে যতক্ষণ-- আমি মায়াতে নিবদ্ধ থকি ।
সম্পূর্ণ দিয়ে তাকে ভাবি বাকী রইলো কি কিছু তবে !
আমার সম্বল বলতে একটা হৃদপিণ্ড , তাকে জল
আলো নক্ষত্রের সমারোহে সমৃদ্ধ করি , প্রস্তুত করি
আর প্রতিধ্বনি তুলবার জন্য ----
কিন্তু ঐ পর্যন্তই , তাকে আর ধরতে পারিনা,
সে ভেসে চলে গ্রহ থেকে গ্রহন্তরে ।
দেখি বালিয়াড়িতে সূর্য ডুবছে নির্দ্বিধায় , আর অক্লেশে
পেরিয়ে যাচ্ছে দিন বন্ধুর দল ,
এই দূরে থেকে নির্লিপ্ত চোখে শিখে নিতে চাইছি
বদলের ঘোড়ায় চরার রণকৌশল !
বন্ধুত্ব কি খুব ঘনিষ্ঠ ছিল ? বন্ধুত্ব হয় না মানুষে মানুষে ?
বন্ধুত্ব তো কিছু অনুভূতি ভিন্ন কিচ্ছু নয় !
আমি একশত বছর ঘুমিয়ে থাকতে চাই ......
ঘুম ভেঙ্গে যেন দেখি সব স্তব্ধ হয়ে গেছে ... , আর
আমি হাত চাটছি রাহুলের ......
একশত বছর আগের সেই রাহুল কি ?
প্রেম ও গল্প
এই ছেলেটা
তুই কেন আমার বাড়ির সামনে দিয়ে বার বার
পাক খাস সাইকেলে ,
তুই জানিস না মামনি চলে গেছে গত সাতদিন ,
যাবার সময় চুলের ফিতে , চিরুনি
ফেলে গেছে ,
কই বলেনি তো যাবার সময়
এগুলো গুছিয়ে রেখ ;
বলেতো যাইনি
"এখানে মনটাকে ফেলে গেলাম
তাকে বলে দিও আসবো ফিরে......"
এই ছেলেটা ফাঁকা ছাদের দিকে তাকিয়ে
কি দেখিস ?
এদিকে আয়
আয় আমার কাছে ,
দুপুর বেলায় বেলকুনিতে এসে দাড়ায় ...
আমরা দু'জন
তারপর মিলেমিশে
মামনির চুলের ফিতে
ফেলে যাওয়া প্রসাধনী
ওর আয়নায়
ওর ঘরের গন্ধে
ওর ড্রেসিং টেবিল
খুঁজে দেখি,
ফিরবার কোন লক্ষন থাকে যদি বেঁচে ?
বুকের বা পাশ শক্ত করে ধর
ডাকটা যদি শুনতে পায় -----
"দাদু ওকে বলে দিও আমি আসবো ফিরে "
পাপ ০৪
আগুনখোর
আরো জটিল আকৃতি নিয়ে মত্ততায় শিকারি চোখ
রাতের গহন বনে খুলে ফেলে নিজস্ব অভুরুচি ইচ্ছা
ঈশ্বরের সংবিধান হতে প্রেম শব্দ ছুড়ে দিয়ে নির্জনতায়
ধুম্রকাশে ন্যাড়া জ্বালিয়ে মোম গলানোর অভিপ্রায় !
স্বয়ংসিদ্ধ হয়ে ওঠা ধ্যানস্ত ঋষি কি জানি কোন পাতায়
টলোমলো , কোন উজানের হাওয়া এসে নারিয়ে অস্তিত্ব
ঋষিও ভুলে গিয়ে ঈশ্বর মুগ্ধতা নিতম্বে জল খাই !
পার্থক্য খুঁজে দ্যাখে পাগলা ভবানী , এই জন্মে মানুষ ছিল
কিছু শেয়ালের সহবস্থানে - অথচ ন্যাজ নারিয়ে রক্ত
অভিমুখে শেয়ালের ছুট - ছুঁৎমার্গ এই নর রক্তও খুঁজেছে
খুঁজেছে ঈশ্বরী , দিয়েছেন নাভিপদ্মে হাজার চুম্বন সোহাগ
রতি বীর্যের উত্তাপে ফসলের মায়া-মমতা ......
গলে যায় হাজার বছর তপস্যায় ঈশ্বর ... দানব দেবতা
হয়ে চাতুরী , বন্দী করেছেন যে ঈশ্বরে
সেই এই আঁধারের ভাষা বোঝেন ঈশর, ঈসদ হেসে ঈশারায়
বলে যায় সহচরে -- ওরা জানে না , মূর্খ ,
মুর্খামির সীমারেখা টানিনি আমরা এখনো !
তার পর হতে আগুন পিছে রেখে জনতা ন্যাড়া খড় নিয়ে
টানাটানি ; দৃশ্যাতুর অনুতাপে জ্বালিয়ে অঙ্গ
পোড়াতে চেয়েছেন নারীর মন ...
বন্ধু মহুয়া হেম্ব্রুম , বলে দাও তাদের , পোড়াতে চাইলে হৃদয়
মনে আগুন হয়ে ওঠো ......
এককাল ধরে বুঝে নাও আগুনের ব্যবহার ...
আমিও প্রস্তুত আছি পুড়তে
সাগর ০৪
সম্পর্ক গুলো সব এলোমেলো হয়ে গেছে সাগর ;
তুমি দায়ী নও বা সময়ের বজ্রপতন
উদাস হতে চেয়ে নিজে ডুবছি দ্যাখো সকলের
উদাস চোখের অন্তরালে ; তবে বল-- আমাদের
বন্ধুত্ব কি শক্ত বন্ধনে ছিল যেমন স্তনের সঙ্গে শিশুর !
সাগর অনেকখানি জ্বলেগেছি দুর্দিনে ; এবং মাছরাঙ্গা
দৃষ্টি নিয়ে যতক্ষণ জল দেখেছি
সেই অবসরে কয়েক কোটি গ্যালন জল ফারাক্কা ত্যাগ
করেছে , একটাও রঙ্গিন মাছ দেখিনি
যাকে ছোঁ মেরে তুলে বলবো চল আমার সাথে
তোর আমার মিলনের কথাছিল এই রাতে !
ভুলে যাও , যেমন করে কত সন্তান ভুলেছে পিতৃ পরিচয়
গ্রামের নামধাম মায়ের চোখের জল ; আর দানবেরা
তুলে নিয়ে মৃগ কস্তূরীনাভি পড়ন্ত বিকেল নারীর অহংকার
শরীর দিয়ে এঁকে গেছেন জীবনের ছবি !
ফিরে এসো না তুমি এই দ্বিতীয় মরাচাঁদে , ছাদের কার্নিশ
বেঁয়ে যে পরগাছার পাতায় রোদ নাচে মতমে ,
ক্ষণস্থায়ী , এই দৃশ্যকল্প আমি ......
ক্ষণিকের ছিলাম তোমার মনের স্বপ্ন চারিণী !
( পেটেন্ট থাকলে বাদ দেবো নাম , হা হা হা , এটা আমার এক
বন্ধুর কবিতায় আঁচর কেটে বেড়িয়ে এলো , ধন্যবাদ মিলন )
মায়া ছিল তোর ঠোটে
ছিল ছোট ছোট ঝর্ণা
আমার ছিল এক রণ পা
কতবার ভেবেছি এক ঝাঁপ
যেখানে ফেনিল
সেখানেই পরবো জানতাম
আর
তুই ও প্রস্তুতি নিয়ে
অনন্ত প্রতীক্ষায়
দ্যাখ কৃষ্ণা
তার পর থেকেই
ঘন মেঘ করে এলো
এক ঘূর্ণি
উড়ছি , এখনো উড়ছি
ঝাপসা হচ্ছে দিনকাল
এই তিনকালে এসে ঠেকে
বিশ্বাস কর
তোর ছায়াকেও আর ধরতে পাচ্ছি না
কানামাছি খেলায় তুই হাত পাকিয়েছিস বেশ !
আমি কবিতা লিখতে পারি না ...
গাছ , জোনাকি দেখে যতটা না রোমাঞ্চ জাগে
তার থেকেও ঢের বেশী জাগে ক্ষিদে , এরাই বেঁচে থাকে
বেঁচে থাকে চোখ যন্ত্র আর যান্ত্রিকতা !
সামনে থেকে সরছে যে সময় আমার , অথবা আমার নয়
নতশীরে দাড়িয়ে খাদ্য লাইনে যুগের ভবিষ্যৎ
ভবিতব্যে আমার মরণ মায়ের দীর্ঘশ্বাস
জানো না তুমি দেশ ?
কেন অর্ধাহার ক্ষেতখামার চাষার ছোট্ট মেয়ে ?
আমি প্রতিবাদ শিখিনি
প্রতিরোধ শিখিনি
এক অনন্ত সময় বেঁচে থেকে ভাষা শিখতে চেয়েছিলাম ......
জন্ম
তুই বিশ্বাস করবিনা কোনদিন এই রাহুকালে
পরে আছি যখন তুই এক মাসের ; অনেক গুলো
পানিপথ সংগঠিত হয়েছিল তুই আসবার আগে ,
অবশেষে জলেই ভেসে গেল আমার সত্ত্বা আর
নারীর চোখের জলে তোর মঙ্গলশঙ্খ ধ্বনি ,
এখন প্রতিরাতে বুকচাপা যন্ত্রণা অসহ্য , তুই বুঝবি
না কতোটা নিচে নামলে জলে অন্যকে ভাসিয়ে
রাখা যায় ! প্রত্যেকটা ডাক্তার যারা এক একটা
বাছুর খাওয়া কুমির তারা লম্বা হা করে গিলে
নিয়েছেন তোর মায়ের দুল আমার বিয়ের সাইকেল
যাতে করে তোর মামা বাড়ি গেছি বার কয় ......
আর সামনের লাইনে রেখেছি স্মৃতি আংটি বাবার
রুপোর হুঁকো আর ১০ পারসেন্ট সাইলক মহাজন !
তুই জানিস না -- আমার এই ছোট্ট মুদি দোকান
পাঁচ পেট , তুই বল তোর যায়গা কোথায় ?
আকাশ ছোঁয়া এই মূল্যবৃদ্ধি ঘটন- অঘটনে নিঃস্পৃহ
হরতাল - তালে তালে আখের সমৃদ্ধি তাদের , অথচ
ঘন ঘন আর্তনাদ গাড়ি - শ্লোগান গরিবি হটাও !
আমার বাবাও আখের গোছাতে জানতেন না বলেই
বি এ পাশ করে আমি হরি মুদি
আমিও তো বাবার সন্তান ---- দৌড় বুঝে গেছি নিজের !
তবে বল পাঠক -- জন্মের আকুতি জঠরের কান্না সব মিছে ?
জন্ম বলতেই কি সুযোগসন্ধানীর সব আত্মসাৎ
আর এক পেট বুভুক্ষ নিয়ে আমার সন্তানের জন্ম ...
আমরা উন্নত গণতন্ত্র !
শোন , শোন বেয়াদপের দল ------------
যতই আসুক ঝঞ্ঝা বাতাসের রুদ্ধশ্বাস
যতই আসুক বছর জুড়ে শুধুই চৈত্র মাস
জল আলো বাতাসকে সাক্ষী রেখে নামিয়েছি পৃথিবীতে তাকে ...
আমার সন্তান যেন বেঁচে থাকে বেঁচে থাকে বেঁচে থাকে !
পাপ ০৩
সুসংবদ্ধ গভীর খাদ , চাপা অন্ধকার ; তাই
যে স্থান অদৃশ্য থাকে সেখানেই সমস্ত কৌতূহল , এখনো !
সমতল ভূমিতে মাঝ বরাবর ভাগ করে দুই পাশ দিয়ে
উঠে গেছে দুই ভঙ্গিল পর্বত ,
যতো পর্বত প্রেমী সেদিকেই ,
সমতল ভূমির নিম্ন প্রদেশে এক নতি গভীর হ্রদ
কতশত পিপাসা পাখির আস্তানা ,
সমতল ভুমি উপরে যেখানে শেষ --- সেখান থেকে
এক নৈসর্গিক দৃশ্যর শুরু , আকাশে দুই চাঁদ অবিরাম
আর সাজানো বাগানে ফুলের নির্যাস দিয়ে
অফুরন্ত অমৃত ,
সমতল ভূমি নিম্নে যেখানে শেষ হয়েছে --- সেখান থেকে
সুজলা সুফলা ভুমি
জল বাতাস পরিচর্যার আবেদনে দাড়িয়ে আছে আজো
সেই পাথুরে জীবন থেকে .........
এই পর্বত এই নৈসর্গিকতা আর উজ্জ্বল ভূমিভাগে
বসত গড়ে পাখি ......
সারা দিনরাত খুটে খেয়ে চলে ফসল
বাধা দিতে মন চাই না মহুয়া হেম্ব্রুমের !
পাপ ০২
ফিরিয়ে দিয়েছি অমরত্তের প্রস্তাব ;
গলিত-স্খলিত শব ধুন্ধুমার রিপুকাল
নরম উপত্যকা ধরে কৃষকের ঝুম চাষ - এইভাবে
গহন উস্নায়নে কিলবিল কিছু জোঁক রক্ত লালাসায়----
সম্মুখের বোধিবৃক্ষ শূন্য !
সমগ্র পা ভাঙছে পথ নরম চরের দিকভ্রম দিশায় -
সমবেত দুই অভিগত গোলক স্বস্থানে
পত্রভ্রম নাবিকের দিশা এদিকেই ; জলন্ত বাতিঘরের
মায়া আর সর্বগ্রাসী এক মাতোয়ারা গন্ধ
আবেশ - ঘুম এসে যায় ক্লান্তিতে !
অধিকাংশ মানবের পথ এসে মিশেছে
একমুখী গহ্বর সম্মুখে , আর চাপা ফুলের
গন্ধে যখন ভয়ানক নিশা লাগিয়ে খুলে দেয়
অহংকার , নরম বিছানায় খেলা করে পরিতৃপ্তির চাঁদ
ঈশ্বর ছুড়ে দেন এক মুলো - খেয়ে নিয়ে
এই আবর্তিত জনজীবন !
এবার দ্বিতীয়বারের মত ফিরে গেল অমরত্তের প্রস্তাব
মহুয়া হেম্ব্রুম - এলিয়ে দিয়ে চুল বিছানায় , শোনে
কাছে দূরে শ্রাবণের শব্দ বারোমাস
আর প্রতিটি রাত গোপনতায় ডুবে যায় অন্ধকারে !
কিষাণ ...
টুপটুপ খসে পরে বৃষ্টি সেই অক্ষরেখায়,
মালকোঁচা মেরে ,
চাপিয়ে মাথালি পথ ভাঙ্গে সমগ্র শ্রাবণ কিষাণ ,
পোয়াতি বধু তার নির্জন অবহেলায় ঈশ্বরে নিযুক্ত দেবদাসী ,
ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে উল্টে মাস- বছর
এসে ফিরে যায় গাছের বয়স বাড়িয়ে ,
আল,নালাকেটে ভ্যাপা বৈশাখে "ভগিরত" কিষাণ জলসেচন ,
জীবনের হিসাব বড়ই গোলমেলে ,
ঠিক সময় ঠিক রকম বস্তু হস্তগত করে নিতে হয় ,
নইলে পস্তাতে হয় দ্বিতীয় দিনে ।
সম্বল বলতে মাত্র ক'বিঘা সাধু জমিন ,
জমিন নয় মা ,
সারাবছর মুখের হাসি ধরে রাখতে পেরেছে এই মায়ের জন্য ,
আসলে চাহিদা এক ফাঁকা চেক ...
সেখানে সংখ্যা বসানোর অভিপ্রায়ে কত জীবন
ভেসেছে গাঙে ইয়াত্তা নেই ,
কিষান বোঝেন না এতশত ,
গোগ্রাসে সকালের খাবার মুখে দিয়ে
ছুট - এক ছুটতে ছুটতে ঘোষ'দের সতেরবিঘা ধানী পেরিয়ে
মহেন মণ্ডলের পটল ক্ষেতেঁ যখন পা রাখে তখন
সূর্যি টুকি দিচ্ছে ,
আজ কি তবে দেরী হয়ে গেল ?
জীবনে কতকিছু দেরী হয়ে যায় -
কতকিছু সময়মত হয়না বলেই সময় বলে আসি ,
আবার দেখা হবে অন্যকোন খানে ,
বেশ ছিল কিষাণের জীবনের সন্ধ্যা রাত ,
রেডিও তে নিয়মিত সংবাদ যাত্রা নাটকে
আর সঙ্গিতে আবসরে আর কি চাই .........
জীবন শোনে না জীবনের কথা খুঁজেও দ্যাখে না জীবনের মানে ,
জীবন ধরেই শোকসভা আর যবনিকা পতন দৃশ্যের ,
অথচ দৃশ্যান্তরে'র যে জীবন থাকে তারা রাত্রি গভীর
হলে কেঁদে নিয়তির সাথে খোঁজ রাখেনা কেউ !
যাদের যেখানে থাকার কথা থাকে
তারা সেখানে থাকে না চিরকাল ,
যাদের থাকার কথা নয় তারা থেকে যায় নির্দ্বিধায় ,
আর সংবদ্ধ তিন চারটে প্রাণ তাকিয়ে থাকে যার
চোখের ঈশারায় ,
দেখে সেই মানুষ এক দিন ফানুস হয়ে উড়ছে দিগন্তে .........
এই শূন্যতা ,
এক গভীর শূন্যতা
কিষাণী বধু অবলুপ্তির এই বিশ্ব প্রতিনিধি হয়ে দাঁড়ায় যখন সমাজে ,
লোভী চোখ দৃশ্য ধর্ষক ,
হা করে তাকিয়া আছে কিষাণের ভূমি ,
ভূমিপুত্র নেই বলে কি দুঃখ আছে মায়ের !
কোদাল ভালোবেসেছিল কিষাণ,
হাতের পেশীতে অসুরের ত্বেজ ,
কিষাণ নেই - কিসানি ও বুঝে গেছেন জীবনের রহস্য ।
" মা আসছি " " হা দেখে শুনে যাস "
বেশ কাটছে সময় এই দুই কামরার ভাড়াবাড়ি ,
প্রতিদিন খাদ্যর লাইনে এবং একটা অপরিচিত শরীর বাড়ে বাসে ।
কিষাণ দেখে যেতে পারেনি তার সেই ছোট্ট মেয়ে কতাখানি
বড় হয়ে গেছে এই কংক্রিট জঙ্গলে ,
কিষাণের মেয়ে কৃষি শেখেনি এমন কি বোঝেনি জলের রূপভেদ ,
শুধু বুঝেছেন
এই সময় শুধু ফাঁকি দেওয়া
আর ইঁদুর দৌড়ের আসরে মত্ত ভগবান !
No comments:
Post a Comment