Tuesday 11 September 2012

হে



যে ছেলেটি শহরের হার্ট থ্রব হতে গিয়ে হারিয়ে যাবে 
সে বুঝেছিল লাল সার্ট মেয়েদের মুখের দিকে
উৎসর্গকৃত প্রথম থেকেই ! 

সে বুঝেছিল হার্ট থ্রবের মধ্যে বাবার কাশির প্রেসক্রিপশন 
বোনের পাকা দ্যাখা 
শহরের মধ্য দ্বিরাগমনের আগুন গৃহ ! 

সে যে বাইকে চেপে রোমিও সেটা বন্ধুর
দুপুরের পিচ ঢালা রাস্তা রাষ্ট্রের
রে ব্র্যান্ড সানগ্লাস ইটালিয়ান !

যেহেতু তার পেছনে পঙ্গপাল সেহেতু সে
হাসি চিনেছে ,
হাসির পেছনে কান্নাটুকু তার নয় !

সে হার্ট থ্রব হতে চেয়েছিল শহরের
চোখেমুখে মাতাল গন্ধ
সামনের রাস্তা গাঢ় অন্ধকার , জীবনের হার্ট থ্রব !








০২ 










কোন এক যুবকের মুখে একালের ভ্রান্ত পরাজয় দেখি ।

এহেন পরাজয়ের মুখে সে একা , অথচ
মানুষ তো সেদিনও চিতার সামনে অহরহ আগুন জ্বালিয়ে
ডাল- ভাতের ক্ষুধা রেখে পুনর্বার কাঠ আনতে গেছেন
তারা ফিরে আসবে অথবা আসবেনা দেখে
তাদের সন্তান চাল খুঁজতে বেড়িয়েছেন অন্যখানে
সকলের সমুদ্রের মত প্রাণ ছিল

পূর্বজন্ম থেকেই মানুষ সংগ্রহ করে এনেছেন বিশ্বাস ।
ঝাড়লন্ঠনের মত উজ্জ্বল আলোর ব্যবহার শিখে
অমীমাংসিত ঝড়ের সামনে দাঁড়িয়ে
খুলে দিয়েছেন শিরস্ত্রাণ
নগ্ন পায়ে সমস্ত প্রতিরোধের সামনে জীবনের অঙ্গীকারে
রেখেছেন অপার বিস্মিত জগতের রূপচর্চা
শ্মশান ছাই গঙ্গাজলে ধত্রি পুজা

এবার , এখন , এসব জীবের পরাজয় দেখে জন্মাই ক্রোধ ।
বলি , তোর বৃষের মত কাধ , সিংহনিনাদ , বজ্রকঠিন সংকল্প
কোথায় বিসর্জন দিয়ে গৃহ কবুতরের খুপরিতে !

এসময়ের সমস্ত যুবকের দুঃখকে ভিখারির থলের থেকেও ম্লান লাগে 


০৩ 





তুমি চলে যাচ্ছ বলে কোন দুঃখ নেই ;
এখানে থাকার সময়টা লেবেল ক্রসিং এ রাতের
শেষ ট্রেনের হুইসাল এর মত বাজবে , এই যা !
আসলে ততোধিক পরিচিত নয় আমার মুখ ,
শেষ বাজারের বাজারি কানা বেগুন তুলে নিয়ে থলেতে
দাম কষাকষির সুযোগ পাবেই ,
আমিও হাত বদল হতে হতে সমগ্র নক্ষত্র পতনের দিকে চেয়ে
ধন্যবাদ দিতে নিয়ে বিলিয়ে যাবো ;
সময়ের সুযোগের মধ্যে অগুন্তি ফাঁকফোঁকর নোংরা জলাশয়
মশকের আঁতুড় রক্তের কামনায়
শ্রেণীবদ্ধ জীবের জিভের প্ররোচনায় বিকৃত নেশায়
কর্ষণ বর্ষণ সঙ্গমে
প্রভূতবার নতজানু ,
এই সমস্ত দৃশ্য দেখে , ওহে বলিষ্ঠ মরালী
তোমার সাতজন্ম ওমে , বুকের আগুনে , ঠোঁটের ঈপ্সায় ---
মরণের আগে , মরণের পড়ে
জন্মজন্মান্তর তুমি বুকের শেষ ট্রেনের হুইসাল ।







০৫ 


ক্রমাগত অন্ধকারে মিলিয়ে যাচ্ছি ,
সাত সতের তুমি রাখো । সেখানে আর কেউ থাকেনা
বুঝি ? বাড়ির মধ্যে ঘর তার মধ্যে তোমার সোনার
সংসার ? তুমি আসবে আসবে করে এলেনা কেন ?
এখানে এ বছর চাষ নেই ,দাম্ভিক মাঠ থেকে
মাঝে মধ্যে দমকা হাওয়া ওঠে 
আমি পাট কেটে বীজ তলা তৈরি করতে , তৈরি করতে থাকি 
তোমাকে দেখতে যাতেই পারতাম

অঙ্কুরোদ্গম ধানের দিকে চেয়ে
বৃষ্টি'র সঙ্গে মিশে যেতে বেশ লাগে আমার ।

একদিন যদি মিশে যায় এই বীজ শস্যগোলা আমন ধানের
গন্ধ , মাটির সঙ্গে ? তারাই বোধহয় পুনরায় মাটিকে
উর্বর করতে করতে দুষ্টু রাখালের মত সিস দিতে দিতে
তোমাকেই ডাকবে ? এই জীবনে ?

আমি তো যেতেই চেয়েছিলাম তোমার কাছে
পৃথিবী ঘূর্ণন বড় বেদনার , তবুও এই ফসলের উত্তাপে
মিলিয়ে যেতে যেতে তোমার কাছেই পৌঁছে
যাবো একদিন !











০৬









তুমি চলে যাচ্ছ বলে কোন দুঃখ নেই ;
এখানে থাকার সময়টা লেবেল ক্রসিং এ রাতের
শেষ ট্রেনের হুইসাল এর মত বাজবে , এই যা !
আসলে ততোধিক পরিচিত নয় আমার মুখ ,
শেষ বাজারের বাজারি কানা বেগুন তুলে নিয়ে থলেতে
দাম কষাকষির সুযোগ পাবেই ,
আমিও হাত বদল হতে হতে সমগ্র নক্ষত্র পতনের দিকে চেয়ে
ধন্যবাদ দিতে নিয়ে বিলিয়ে যাবো ;
সময়ের সুযোগের মধ্যে অগুন্তি ফাঁকফোঁকর নোংরা জলাশয়
মশকের আঁতুড় রক্তের কামনায়
শ্রেণীবদ্ধ জীবের জিভের প্ররোচনায় বিকৃত নেশায়
কর্ষণ বর্ষণ সঙ্গমে
প্রভূতবার নতজানু ,
এই সমস্ত দৃশ্য দেখে , ওহে বলিষ্ঠ মরালী
তোমার সাতজন্ম ওমে , বুকের আগুনে , ঠোঁটের ঈপ্সায় ---
মরণের আগে , মরণের পড়ে
জন্মজন্মান্তর তুমি বুকের শেষ ট্রেনের হুইসাল ।











০৮ 










ধানের শীর্ষবিন্দু সূক্ষ্ম এবং ধারালো ।
সেই জন্য যারা অস্ত্র ব্যবহার জানেন
তারা পরস্ত্রীর মত ঘরে তুলেছেন , ওহে
হরিহর মুরমু , তুমি অহিংস অহিংস ছাগল
লজ্জা করে না , ধানের দিকে হাত বাড়াও ?

ধান পাথরের মত শক্ত ।
হরিহর মুরমু , তুমি কচু পাতা মেটে আলু
খেয়ে বড় হয়েছে ; আমিষ দাঁতের মত তোমার দাঁত
তত পুষ্ট এবং ধারালো নয় ,
অতএবঃ যারা আমিষাশী এবং দাঁত গুলো মাংসাশীর ন্যায়
ধারালো এবং সঙ্গবদ্ধ , নিয়মেই ধানের
অধিকার তাদের বর্তায় !

ধানের তুষ তেমন কাজের নয় মাংসাশীদের ।
ওগুলো ধান কলে ধান ভাঙানোর স্মারক মনে করে ঘরে
তুলতেই পারো ,
ওগুলো পিষলে ভাল তেল বের হয় ,
তোমার সন্তানের গায়ে লাগিও , শুনেছি সর্বরোগ হন্তক
সেই তেল এবং শরীরের পুষ্টিকারিও বটেক !














০৯ 









শোন , কিছু দিন ধরেই ঘুম নেই ;
পঞ্চাননতলা হাসপাতাল পাড়ায় রোদের ওঠানামা দেখি
ঋতুময়ি মেঘের স্রাবে পাশের নীম গাছে শালিকের
জানালার গ্রিল ধরে ঐ কিশোরী চুলের মাঝে
বৃষ্টির এই নিমন্ত্রণ ঢুকে যাচ্ছে দেখে
ক্রমশঃ কুঁকড়ে যাচ্ছে আমার হাত-পা !

সফল সূচীপত্রে কত সে সব নাম ;
কত সেসব সময়ের গল্পে ঢুকে যাচ্ছে অত্রি রাহুল রীতার
সময়ের প্রতি উৎসর্গকৃত জীবন ;
গোপন ঈর্ষায় হস্ত মৈথুনে নির্বিষ রাত
তার পড়ন্ত বুকে
তামাম এই যুবক বয়স ছটফট জাকাকলে ইঁদুরের মত
স্তব্ধ নাভিশ্বাসে বাৎস্যায়নের জীবন্ত মুখের রেখা

ক্রমশ বাড়ছে রোগের তীব্রতা ,
শান্ত ঘুম মর্গের ভিড় বাড়ানো কক্ষের দিকে , আহাঃ
পঞ্চাননতলার এই বিষণ্ণতা
ক্রমান্বয়ে নিরন্ন ঘর খুঁজে নেবে একদিন , একদিন !














৯০






০১

শিশু পাঠ্য থেকে মুখ তুলে নাও ,
তোমার ছোট্ট হাতে শুয়োরের তেজ , পাথর কেঁপেছে -
কেঁপেছে বাসনপত্র চায়ের গ্লাস
কেঁপেছে ভাগ্য মহাকাল শ্মশানের দেবদেবী কেঁপেছে
মায়ের অন্তর ;
এই হাতে তুমি শিক্ষা চেও না শিশু ,
এই হাতে চেও না দেশ
তোমার শ্রমে , তোমার ঘামে এই দেশ
রাজা মহাধিরাজ অধিরাজ
তোমার মুখে তৃতীয় বিশ্ব ক্ষুধা ,
আমার চোখে প্রথম বিশ্ব , কোটে কার রক্তদাগ ?





০২






শিশু ,
সর্বনাশ কাকে বলে বোঝ তুমি ?
তোমার অনেক কাজ , অনেক পৃথিবী আবর্তন ধরে
এগিয়ে চলো তুমি ,
হৃদপিণ্ডের মধ্যে ক্ষিদের এই ছটফটানিটা রাখো
ওখানেই বাজবে স্বাধীনতার সুর
সময়ের তালে তালে গৃহীত হও আজ সময়ের কাছে
যারা রাস্তা হাঁটছে আজ গমগমিয়ে
তারাই রাস্তা ভুল করবে একবার ,
নিশানা ঠিক রাখো ,
যাদের হাত গুলো এখনও কোমল তাদের বারণ করো কাঁদতে
ঐ চুপসে যাওয়া হাড় দেখে মায়া বাড়িয়ো না
একদিন , একদিন ঐ চুপসে যাওয়া পেট
শীর্ণ হাত
পৃথিবীর ময়লা পরিষ্কার করতে করতে এগিয়ে যাবে
দেশ থেকে দেশান্তরে
এই মহাদেশ
পৃথিবীর মান চিত্রে প্রত্যেকটা নগ্ন যিশু
নিজেই থালাই সাদা ভাত খাবে ,
দেশের শীর্ষ বিন্দুতে শিশু পাঠ্য ছড়া জাতীয় সঙ্গীত !












কিচ্ছু নেই যা তোমার থেকে আবেদনময়ী !
যে গুলোকে গর্হিত ভেবেছ তুমি , আসলে সেগুলো
তোমার মূর্তি , জল- হাওয়ায় তাকে গড়ি
মনে প্রাণে আরাধ্য করে যখন বিসর্জনের দিন কপোল গড়িয়ে
জল পড়ে , দেখি সে জল আমার নয় ,
পেছনে হাজার কাদুনিওয়ালা
সুর তুলছেন ,
তারাও বানভাসি ,
তাদের এই সুর্মা চোখের মধ্যে তোমার মিশে যাওয়া তরিয়ে তরিয়ে
উপভোগ করতে করতে
দেখি , দৈহিক পুষ্টটা তোমাকে যতখানি সুন্দরী করেছে
দূরের দেবী করেছে অনেক বেশী !

অমাবস্যা- পূর্ণিমার দোলাচালে বিদ্ধ হতে থেকে দেখি
শিশুর হাসির মত পাতা- নক্ষরের লুকোচুরি
তবে কি সব স্তব্ধ হয়ে যাবে !
একটাই জন্ম , খড়-কুটো- মাটি ছেনে পুনরায় তোমাকে
প্রস্তুত করি ;
তোমার ছায়া-শীতল পাদদেশেই আমার সংসার
বিসর্জন আর বোধনের পুনর্জন্মেই আমার বেঁচে থাকা ,
বলো আজ , বলো
প্রথম প্রণয়ের আবেশ মাখা দিনের চেয়ে
আর কত দুঃখ দেবে তুমি ?














০৬ 













পাশাপাশি থাকি , দাঁত দিয়ে চিবিয়ে দিই তার ঠোঁট -----
গরমাগরম রক্ত , বেশ লাগে আমার ;
অতএব , যখনি আমার মন খারাপ তক্ষুনি তার কাছে পৌঁছে গেলেই
কেল্লাফতে , সে এসব বুঝতে না বুঝতে রাতজাগা চৌকিদারের মত
ঝিমুতে থাকে ,
সমস্ত পুরুষালী বিদ্যার অন্তর্নিহিত মুগ্ধতার মধ্যে
এই রক্ত, প্রত্যাশার চেয়ে অপ্রতুল
তখন , দৃষ্টি বিপদজনক ভাবে ঝুলে থাকে পাহাড়ের দিকে
সমস্ত মুগ্ধতা , দ্বিতীয় তৃতীয় চতুর্থ ----- বার
অণু- পারমাণবিক বিপ্লবের দিকে ধাবিত হয় , যদিও
পাশাপাশি থাকি ;

যখনই পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে দেখি যৌবন আছে বোধহয় খানিক
শরীরে প্রচুর জঞ্জাল ; সব কিছুই আছে , আবার কিচ্ছুই নেই
তখনই মুগ্ধতার শেষ
বেজে ওঠে মন্দিরে ঘণ্টা -------------














০৯৮










অসহয় , অগ্নি উৎপাদনকারী হেমন্তের কাটা
ধানের মত , শুয়ে আছি ;
চারিপাশে বর্তমান মাঠের শূন্যতায় রোপিত শস্যর
আকাঙ্ক্ষিত দানায় উদ্গমন করে যে আগামীর শক্তি বীজ,
যে রহস্যের কেন্দ্রীকতায় লৌকিক ক্রিয়া-চাল
অসহয়তম , সেই বিশ্বাসের মত বিশ্বাস রেখে , হে পুরুষ , হে
পারিজাত বংশধর , সমূলে তোমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সুরক্ষিত রেখো
আমি গহ্বরে পুনর্বার অহল্যা গর্ভে
বিলিয়ে দিতে চাই জন্ম ,
যে জন্মকে বিলুপ্ত প্রজাতির করুণার মত ভালবেসেছিলাম ,
গৃহীত সাগরের ঢেউ এর থেকে যে বিশ্বাস ছিল দৃঢ়
লবণের থেকে স্বাদু ছিল যে সমস্ত অঙ্গীকারের স্মৃতি , তোমার , অথবা
আমাদের , অথবা আমাদের নয় পৃথিবীর , আর
সুনিপুণ অভিব্যাক্তিতে যে কথাগুলো সপ্তসুরে লয়ে
ঝরে পড়েছিল আহ্লাদী ঝর্ণার মত
সেই স্বচ্ছতায় , সেই মত্ততায়
বিলিয়ে দিয়ে আমার আমি , হে পরম পূজ্য
কাঙ্ক্ষিত পুরুষ ,
ভালোবাসার কাছে এলে পৃথিবী আমাদের ঘর
প্রাচীন নদীমালা প্রকৃতির প্রস্তাবে ফিঙে গান গেয়ে যাই ।






No comments:

Post a Comment