Tuesday 11 September 2012

হা



ইদানীং তোমাকে ছোবার ইচ্ছাটা দেবোত্তর সম্পত্তি
আগ্রাসনের মত বাড়ছে , এসব বললেই দাঁতহীন
ঠাকুমা বিয়ের প্রস্তাব এলে যেমন হাসেন অবিকল
তেমন হেসে উঠবে , আমিও মাজা পোকাই যে ধান
নষ্ট ক'রে কৃষি বিশেষজ্ঞের মত বোঝাতে চাইলে তুমি
কৃষকের মত মাথা নেড়ে বলবে রাখুন এসব --

প্রত্যেক বলিষ্ঠ পুরুষই বোধহয় কোথাও এসে ঘি এর

মত গলে যেতে চাই - মমতায় কিম্বা উত্তাপে


আর প্রজন্ম ধরে কেঁচোর অন্ধ অনুকরণে
ঢুকে যেতে চাই নারীর অন্দরে ; নাহ , এসব বলিনা
তোমাকে , শ্যাওড়া গাছের পেতবুড়ি ভয়ই দ্যাখাই না শুধু
কাকে প্রেম বলে কাকে বলে মায়া মনে রেখেছে পূর্বজন্মের ।

সমগ্র পুরুষালী অভিশাপ নিয়ে দৃষ্টিফেলি লাবণ্যের সৃষ্টিতে
তুমি গর্হিত কাজ ভাবো , আমি দৃষ্টিতে সুখ লিখি !





০৩






বিধ্বস্ত সিঁড়ি বেয়ে নেমে যাচ্ছি ,
কুরুক্ষেত্র , এজিদ ভূমি , মানভূমের
ধুলি ঝড়ে
কন্দর্পহীন একা , একা
যেন কোনদিন যুদ্ধ করিনি , যেন বিনাযুদ্ধে
পরাজিত সেনা
যেন আমার তরফ থেকেই সন্ধি প্রস্তাব !
হাই ভোল্টেজ তড়িৎ প্রবাহ তারে কাকের
পদচারন , মরণ কিন্তু মরণ নেই
মরণের আগে এই সমস্ত উষ্ণতা
জাগিয়ে রাখে সঙ্ঘারাম ঘুম !
সুদূর অতীত হতে বর্তমান
ক্লান্ত নক্ষত্রের নিচে
আধোঘুমজাগরণে সওয়ারি ঘোড়া বিনম্র রাতে
পুনর্বার প্রভাতের কাঙ্ক্ষিত ইশারার দিকে
চোখ মেলে
প্রবাদ হতে চাই খুড়ের শব্দ ঝংকারে
আর সবিনয়ে আর একটা প্রভাতের প্রার্থনায় !
নেমে যাচ্ছি , প্রত্যেকটা অপদার্থ রাত
নারীর কোমল ত্বকের অনুশাসন ভেঙ্গে
বিস্মৃতির দিকে ,
যেহেতু কাজ করছি , সেহেতু এই শীতে দরদর
ঘাম বেড়িয়ে আমায় ক্লান্ত করে দিচ্ছে
যদিও বা নগ্ন হাত দিয়ে ধরতে চাইছি পরিচয়
দেখি , যুদ্ধভূমি থেকে
আমাকেই উড়িয়ে নিচ্ছে আমি , হাতরে ধরতে
পারছিনা আর !








৯৮







আজ যারা নির্বাক বিছানায় দু'প্রান্তে দু'জন
হাজার বাতি জ্বালিয়েছেন অন্ধকারে , ফোনে , ফোনে ---
মেয়েটির মত ছেলেটিকে চেনে কে আর
ছেলেটির মত মেয়েটির দোপাট্টা টেনে দিতে দিতে কে আর বলছেন
" সাবধান , ট্রেন থেকে নামবার সময় ব্যাগ বুকের দিকে রেখে
কনুই দিয়ে ঠেলতে ঠেলতে নামবে " ;
এরপরে দুজন দু'জনার মত ক্ষত করবে ,
সেখান থেকে পুঁজ রক্ত দুর্গন্ধ বেড়িয়ে দুজনকেই কষ্ট দেবে ,
দুজনাই প্রত্যাশার পরতে পরতে
সামনে রেখে নিজেদের
পরিবার আত্মীয়স্বজনকে জানিয়ে দেবে যদি সেঁকল ভাঙ্গার খবর !
কিম্বা -------------
প্রতিটি রাগ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতম হবে অবিশ্বাসে অভিমানে সন্দেহে
দুজন দুজনার আঙুলকেই ঘৃণা করতে শিখে নেবে
অভিযোগে , অভিযোগে ঘনীভূত ফোনের স্পিকার ;
আজও সমস্ত সম্ভাবনার পেছনে বাস্তব মুখ লুকিয়ে হাসেন
আজও প্রেমের পেছনে সর্বাত্মক ভ্রষ্টকাহিনী লেখা হয় --




















এই লেখাগুলো তোমাদের ছেলেখেলা মনে হতে পারে ,
কালকেই নশ্বর , বিলীনের চাঁদ হয়ে অন্য আকাশে ,
ক্ষণস্থায়ী এই ঘূর্ণাবাত নিশ্চিহ্ন অপঘাতে ।
যা লিখে যাচ্ছি সরাসরি ঈশ্বরের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে , সে
জানে মায়া , লবণ জল আবহাওয়া সৃষ্টি করেছেন গাছের জন্য ,
তার শেকড়ে বিদ্যমান ঈশ্বরের অস্তিত্ব !
বুদ্ধপূর্ব হতে তুমি- আমি নিত্য পাঞ্জাকসি , সেই কারনেই
অবস হাতে আজ শুধুই শব্দের চলাচল ,
তুমিও ঢের শক্তি হারিয়ে কীটনাশকে মৃতপ্রায় গম খেতের
পাখির ন্যায় ঝিমচ্ছ কোন খেজুর ছায়ায় ।
আমি শব্দ দিয়ে শুধুই একটা বুদবুদ তুলেছি , ছোট , ভীষণ ছোট
এই বানে আজ থেকে হাজার বছর , দেড় হাজার বছর পড়
প্রত্যেকটা উলঙ্গ শিশুর মধ্যে যদি তোমাকে দেখি , একদম
আশ্চর্য হবো না ,
যদি দেখি সমুদ্রের মধ্যে ভ্রম্যমান শব্দের হাতছানি , আর তুমি
দূরে , দূরে লাজুক কিশোরীর মত
শব্দের দিকে চেয়ে বলছ ---"হে কবি ,
একটা শব্দ দাও , যে শব্দে ঈশ্বরের নাম থাকবে বেঁচে "

ওহে ঈশ্বর , আজ যেমন প্রত্যেকটা বুলেটের মধ্যে তোমার
অস্তিত্ব স্বীকার করে নিয়েছি ,
সেদিনও প্রত্যেকটা শব্দের মধ্যে তোমাকেই ডেকে যাবো
তোমার দিব্য চক্ষুর অন্তরালে সেসব ।











০৯৮















যারা দুর্বল হয় তারা , নচেৎ
বীতশ্রদ্ধ জীবনের প্রতি
তারাই ঈশ্বর বিশ্বাস করেন ,
পশু সমাজের দিকে তাকালেই স্পষ্ট








৬৭






জন্ম এবং মৃত্যুর পার্থক্য শুধু কিছু শব্দের
অবচেতনে দুটি কাজই সম্পূর্ণ হয় নিয়মে ;
জন্মের সময় যতটুকু জানতাম মৃত্যুর সময়েও চাই
মৃত্যু- জন্মের আত্মজীবনী অধরা এখনো তাই !












শিল্প

একটাই হৃদপিণ্ড ( বিজ্ঞানে)
তাকে তুলে নিয়ে সেখানে ধান চাসের মাঠ হবে
ধানের কচি কচি সীস
গাঢ় সবুজ পাতায় পোকা মাছি মশা গেছো ব্যাঙ
বন্ধুত্ব করবে সূর্যের
তারা হেসে খেলে সন্তান উৎপাদন করে ফসল বাড়িয়ে গেলে
আমারও সন্তান হবে ;
লক্ষ্য করে দেখিছি
যে বছর ধান হয় বেশী , সে বছর সন্তানের জন্ম প্রচুর বৃদ্ধি পায় ,
আর সে বছর সকল কবি হাত গুটিয়ে থাকেন ।
মাঠে , কৃষক বিড়ি টানতে টানতে চাষ করেন
সকলে চাস করতে পারেন না
কেউ কেউ চাষ করতে পারেন , সকলে যে কাজ পারেন না কেউ কেউ পারেন
সেই কাজ কে শিল্প বলে ,
আর শিল্পের প্রয়োজনে চাষা বিড়ি টানেন , অর্থাৎ
বিড়ী শিল্পের অণুঘটক , অর্থাৎ শিল্প ক্যান্সার ,
অর্থাৎ , এখানে কেউ কেউ না খেতে পেয়ে বাঁচেন , মানে
না খেতে পেয়ে বেঁচে থাকা শিল্প ,
তাহলে দাঁড়াচ্ছে
শিল্পের প্রয়োজনে না খেতে পারাটা মান্যতা দেওয়ায় উচিত ।
৯৮৭




অপূর্ণের নেশা ব্যাতিব্যাস্ত সর্বদা নিজের অনুকুলে
পতনের পাশা উল্টাতে ; 
পূর্ণের মধ্যে নিঃশেষ অভিমান , যে পুনর্বার চাহিদার ঘরে
ফিরে এসে বলবে , প্রেম এখনও চিনিনি তোরে ; 

অতএবঃ পূর্ণতার মধ্যে দ্বিতীয় ইচ্ছা নেই , পুনর্জন্মের
প্রাদুর্ভাবের প্রত্যাশার হা-হুতাস নেই
যে জ্বলেই থাকবে জিরো ওয়াটের বাল্ভের মত আঁধারে ! 

অপূর্ণের এই পুঁজ ক্ষরণ চলতেই থাকে , ঝরে পড়ে
রহস্য স্মৃতি , লৌকিক কলা থেকে অপসৃত জ্ঞ্যানী মুখ
দূরে সরে আবছা আবহ গড়ে ওঠে ;
সকল প্রজন্ম অর্ধমৃত অথবা মৃত্যুর প্রতীক্ষায় , জেন কেউ নেই
যে দংশিত ফুলে পরম মমতায় হাত বুলিয়ে বলে যাবে
" সব ঠিক হয়ে যাবে " ।

এভাবেই সমাপ্তি লেখা হয় , ক্রমান্বয়ে জাগতিক ছন্দিত-স্পন্দিত
দৃষ্টি বিভ্রমে জনাকীর্ণ প্রান্তরে পৌঁছে গেলে
হাইওয়ে সোজা শূন্যতা ;
আর এই শূন্যতার আদর্শ আমাদের বাঁচিয়ে রাখে পুনর্বার পুনর্বার
ফসলের দিকে ,
অপূর্ণতার মধ্যে ভেসে থাকে সাগরের গহিনতা !






No comments:

Post a Comment