Tuesday 11 September 2012



শূন্য রাস্তা ; তারপর জাগতিক মহাবিশ্ব 
ঈষৎ মনখারাপের ষড়ভুজের শীর্ষ এঙ্গেল চাঁদ সূর্য 
অথবা বিপরীত জন্ম মিলে গেলে
বিবর্তন চরম কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত 
"ওম মণিপদ্মে হুং হুং" ।
প্রাচীন "হেরুক" নগ্ন বোধি শরীরের চার চক্রে কেউ 
ধাবিত মহাশূন্যে , কেউ শরীরের মান্যতায় চমৎকার বশীকরণ 
ঋতু নারী , পাদপদ্মে উপেক্ষায় বঞ্চিত সৃষ্টিদ্বার 

অকৃতদার নাবিক মন্ত্রের মন্ত্রণায় আজও
শূন্য রাস্তা ধরে আবর্তে প্রজ্ঞান ঢেউ এ যে সময় হাজার ইতিহাস
নারী নয় , অর্থ নয় , নয় সন্তানমুখ
আরো , আরো গভীর কিছু অনুরাগে সমাজ হতে দূরে , নগ্ন দূরে
বোধিত্বের আরাধনায়
তারাও আমার মত রক্তে মাংসে লোভে কামে ক্রোধে
তবুও ছেঁড়ে সমাজতান্ত্রিক দৌড়
জানে , এখনও বহুপথ পাড়ি দিতে আছে বাকি








০২ 









দেব রতি ; হৃদয়ে মাল্যবরণ , কুমারী ঘ্রান
যজ্ঞডুমুর ধাত্রীরাত জ্ঞ্যাতি ; ভয় নেই শেকড় কাটার !
উহু , আমরণ জন্ম নেই দ্বিতীয় , ঈষৎমাত্র পড়ে পাওয়া জন্ম - , মৃত্যুর আগে
পাশবালিশ তুলো বিছানা , ঈশ , বর্বর রাত ; থাক পড়ে
স্বপ্নেও কিছুটা ফেরা যায় , ফিরবে না ?
এক কুচি বরফ ধর্ম জানে , সত্য আছে জটিল , তবু আছে --
সমগ্র রোদ অল্প হেসে উঠলো , আছে , নেই ?
গহনার নিকট কাটে বেলা , সিঁদুরে বাড়ে ঋণ , সম্পর্কে
র অন্দরে অগুন্তি নীড়ের
ডালপালা জীর্ণ প্রাণ , থাক তোমার ;

ভগ্ন মন্দির , পাদদেশ , চাতাল অন্ধ কথা জানে , রাত্রের ভাষা বোঝে
পাখির ডানায় গোধূলির পত্র
গলি থেকে রাজপথ --
গলি থেকে কুঠি , টু পাইস ধান্দা , বুঝি ওখানে আলো জ্বলে ?
অন্ধকার কেটে সূর্য ওঠে ?
বিলিয়ে দিয়ে জন্ম- মৃত্যু , শরণাগত ,
শরীর , যৌবনের অগ্রদূত , নিঃশ্বাসের তপ্ত সুর , রাখো তুমি
প্রত্নশিলায় স্মৃতি নেই , জানি ---
ডুবে যাবে চাঁদ , চাঁদমুখ সবুজের শামিয়ানা একবার , বারবার
কাঙ্ক্ষিত বুকে স্থান পেয়েছি
বিভ্রম বলো তুমি , বলো না যৌনাচার ,
সমস্ত স্থান বদলে যায় , জানি , মানি , বিশ্বাসে 














০৩ 










চোখের পর্দায় অস্থির চিহ্ন ।

অনন্তে পড়ে আছে অতীত

বহুত গোপন কিছু ডিঙ্গি নৌকা চাপা জল

সাঁকো ছিল ? মধ্যে ?

শোকার্ত দাঁড়িয়ে থাকি আগুনের পেছনে

সোজা কাচা সড়ক

দূরে শহর

হৃদয়ের অঞ্চল ইঞ্জিনের ঘড়ঘড়

তুমিও মানুষ , একদিন

গিনিপিগ

জেব্রা ক্রসিং পেড়িয়ে নীল ছাঁদ , সোনা সংসার --

এখানে

পশু খামার , কলাইয়ের ধুলো

অন্ধকার , চোখে অস্থির চিহ্ন
০৪ 



সমস্ত বিশ্বাসকে নাস্তিকের মত বিশ্বাস করি 
সে ঈশ্বর হোক অথবা স্ত্রী ;
চৌকাঠের এ পাশে আমি নাস্তিক , ওপাশেও নাস্তিক
অথচ চৌকাঠের উপর অগাধ বিশ্বাস 
দেখেছি তো , চৌকাঠ পেরুনো যথেষ্ট কষ্টকর নয় শুধু
দুঃসাধ্য । চৌকাঠে এসেই থেমেছি আমার বাড়বাড়ন্তি ।

মাতাল থেকেও সুঁড়িখানার উপর নাস্তিক বিশ্বাস প্রবল ।
যে ধারন করেছে সময়ের নেশা
তাকে ঈশ্বরের উপর রেখে জনতার সে দিকের গমনকে
সম্মান জানাতে গিয়ে মাথা নেমে আসে ;

এসব কথা বললে ফসলে ছাগল খ্যাদানোর মত তেড়ে আসে
সব্বাই , সকলে সকলের কাছে ধর্মপুত্র
অশ্মথামা -- শব্দ পর্যন্ত বলেনি জীবনে
এদের পায়ের নিচেটাকে বলে ব্রহ্মান্ধ , যাকে আমি
নাস্তিকের মত বিশ্বাস করি !














০৫ 




তীব্র শীত , এই শহর কাঁপছে ঠোঁটে

যানজট , ওদিকে ফড়িঙের ডানায় ঢেউ তোলে রোদ

গাছের তলে পাতার আন্দোলন ;

ধানসেদ্ধ , ভুতে ধরা দুপুর

শেয়াল বেড়িয়ে এলো গর্ত ফুরে ----

কেউ বলেছিল

শহর কাঁপছে ঠোঁটে , বস্ত্র পড়িয়ে দআও 



No comments:

Post a Comment