আমি মূর্খ , বানান , কমা , যতি , কোথায় ব্যবহার হয় আমি জানি না , তবু যা মনে আসে আমি লিখি , সেগুলো কবিতা কিনা তাও জানি না , " মা" নামের একটা লিখেছিলাম অনেক ভুলছিল । সংশোধন বা পরিমার্জিত করে দিয়েছেন আমার প্রিয় দেবাশিস কাঞ্জিলাল দাদা , দ্বিতীয়বার এই লেখাটার পোস্ট করার লোভ সামলাতে পারলাম না ।
...... মা ...।।
তোমার কি দোষ মা !
তোমার কোন দোষ নেই,
যুগে যুগে কত মা কতো মনু সন্তান ভাসিয়েছেন জলে,
কতো মা ফেলেছেন চোখের জল চুপিসারে
রাতের অন্ধকারে একাকী,
আর হাতড়েছে জীয়ন কাঠি আমাকেই ভালোবেসে !
তোমার কি দোষ বল মা,
তুমি তো তোমার দু-শাখা প্রশাখার জন্য ভাত চেয়েছিলে,
আর আমাদের ছিল না ইচ্ছা বা আগ্রহ,
তুমি তো শীতের উষ্ণতা খুজেছিলে
পুরনো কাপড়ে, লেপ কম্বলে, সর্ষে দানায় !
তেলের অপূরণীয় ভাণ্ডার
দু একজনের হাতে, আদি কাল থেকে বন্দী !
তাদের সে তেল ভোজনে বা মর্দনে,
আমাদের দেহ হারিয়েছে অধিকার !
তোমার কোন দোষ নেই মা
মনে পরে সেই তুবড়ানো সব মায়েদের মুখ,
ভাঙ্গাচোরা মন , অন্তঃসলিলা বুকফাটা ক্রন্দন,
শুকোনো বক্ষ সুধা,
প্রতিরাতে রোজ নিজেকেই খুন করে,
সকালেই হাসি মুখে তাহাদের সেবা,....
তোমার কোন দোষ নেই মা !
তুমি তো জানো না,
আমাদের এখানে খিদে পেলে কাঁদতে নেই,
আমাদের বুকে হাপরের টান এলে ওষুধ চাইতে নেই,
আমাদের শীত করলে কাপতে নেই,
না হলে রঙচঙে সেমিনার সভা হবে কি করে !
কে শুনবে ওদের কথা, বল মা !
মা তুই আর কাঁদিস নে......
মা আর চোখের জল ফেলিস নে
এই বধিরদের সামনে......,
তুই কাঁদলে তোর চুপসে যাওয়া মুখে,
প্রত্যেকটা শুখনো কাষ্ঠ খণ্ডে,
দেখি খ্রিস্টের মুখ......... !
No comments:
Post a Comment