......। পেশাদারী ...।।
তোমার কথা ভাবতে গেলে কষ্ট হয়না আর ,
প্রথম প্রথম বুকের বা পাশে চিনচিনে চোরা স্রোতে যন্ত্রণা বইত
শিরদাঁড়া বেয়ে শীতল স্রোতে ফাঁপিয়ে যেতাম
ঘাম বেড়িয়ে আসতো চোখ দিয়ে
তুমি মজা পেতে বোধহয় ,
মজা বিক্রি করেই তোমার সংসার ।
যে কাজ গুলো ব্যতিক্রম ধারা বহন করে
যে কাজ ডাকাবুকো এবং সাহসী
যে কাজে পৌরুষের ঝলকানি লক্ষিত হয় , সেখানেই নারীর সঙ্গমের
আকুতি , চিত্রগ্রাহক সাংবাদিক যে কখন কিশোরীর
হার্ট থ্রব হয়ে
পার্কে পার্কে
বাদামে , আইসক্রিম লাস্ট সামুরাই ম্যাটিনি মজা লুটে
বাবার চক্ষুশূল
ভুলেই গিয়েছিলাম , বিবেক ।
পেশাদারী জীবন এই রকম হয় তুমি দেখিয়েছিলে ,
যেখানেই তুমি আমি
সেখানেই তোমার লেন্স
সেখানেই স্বপ্ন সহচরী হয়ে মেঘ বলতো ..." তোরা পারিস ও ,
বলনা লেন্সটাকে চোখ বন্ধ রাখতে "
মনে পড়ে বিবেক , সেবার আমি আর তুমি বেড়িয়েছিলাম
কাজটা আমার ই ছিল তুমি সাথি শুধু
রেল কলোনির কিছু বাচ্চা টীকাকরণে অনুপস্থিত
হঠাৎ আগুন
বিপদে বোধ নষ্ট হয় তাড়াতাড়ি বলেই ছন্নছাড়া চিৎকার
জল জল জল
বাঁচাও বাঁচাও
দাউ দাউ জ্বলছে বস্তি
তোমার লেন্স পেয়েছে খাবার পেট পুড়ে গিলছে...
তোমাকে ডাকছি জল দাও জল দাও... দেখছি না তোমাকে ...
একদম শেষ লাইনের ঘরের বারান্দায় আগুন
এক্ষুনি ঢুকবে ভেতরে...
সামনে দেখা তুমি...
ঘরের ভেতর থেকে শিশু কান্না আওয়াজ......
হয়তো বিপদে ভুলে গেছে স্বজন
আমি চিৎকার করে বললাম যাও যাও ওকে বের করে আনো ...
তুমি খাদ্য খোঁজে তন্ময়......
বিশেষ বুলেটিনে তোমার রোমাঞ্চ প্রতিবেদন......
তুমি বাহবা নিচ্ছ চ্যানেল ম্যানেজারের ঘরে......
জানেন বাচ্চা টাকে আমিও বাঁচাতে পারিনি , চেষ্টা করেছিলাম...
No comments:
Post a Comment