নারী বিষয়ক এবং কম্পন ১
মধুচন্দ্রিমা
দিশাহীন উলট- পালট চাদে এক বুড়ি
লক্ষবছর ধরে ,
যখন ত্রিবেণী সঙ্গম ধূধূ পাথর
তখন একচাদ হেটে এসে কিছুক্ষণ জিরিয়ে গান শুনে পাথরের
ঘরে ফিরে যেতো
সন্ধ্যা নামার আগেই
এসব আমাদের জন্মের আগে ।
দশ হাজার বছর আগে
আমি তখন নব্য কৃষক , শিখেছি ফসল ফলানোর ম্যাজিক ,
মাটি কেটে কেটে
বীজ বপনে আমি সিদ্ধহস্ত , আরো শ্রম চাই , আরো জীবন ।
দশ হাজার বছর আগে আমি বিবাহিত ।
আমার স্ত্রীর নাম ডাইনা ।
আমাকে পাঠানো হয়েছে জেজিং গুহা প্রদেশে স্ত্রী সমেত ......
সন্তান চাই ।
আমি জেজিং গুহার , প্রথমা চাঁদ আকাশে
বিবর্তিত ঋতু চক্রের দিন
হেসেব পোক্ত করি
এই আঠাসের মধুক্ষনেই আমার চাষের ভবিষ্যৎ
প্রগার যৌথ খামার
এক চাদের পূর্ণ কালে
আমার কৃষি অস্তিত্ব আরো ধারালো করে ফেলি ।
অথবা
মধু আদি সোমরস ,
জেজিং গুহা প্রদেশে আমরা দুইজন , কয়েক কাঠের জারে
ভর্তি মধু ,
চাঁদ ওঠে
মধু নেমে যায় পেটে
উষ্ণতায় ভাসে দেহ-মন , অথবা
কথিত বিশ্বাসে
নিত্যসেবন মধু
সমৃদ্ধ করে জয়ায়ু গৃহ
আমি প্রথম মাসের সুবাতাসেই
কৃষি খামারের শ্রমিক দিয়ে যায় ।
No comments:
Post a Comment