Friday, 4 May 2012

কিছু ২



অনুভবের হিমরাতে শ্বাপদ আর শান্তি
করমর্দন কোলাকুলি দ্বৈপায়নে ;
সব মিথ্যা ,
অযুত সেনা , হ'য় বাহিনীর টগবগ দৌড়
রক্তপুরিতে জন্মের সুতীব্র চিৎকার
লালাসার লালা ঝরিয়ে
কে তবে মৃত্যুঞ্জয় সময়ের ;

প্রেম নয় , জাগতিক মায়া সবখানি নয়
ধূসর আত্মসম্মানে ,
জয় পরাজয় মিথ্যা
শুধু মনের দ্বিতীয় ক্ষুধা যা অন্তর কুরে খেয়ে
নামিয়ে দেয় সমুক্ষ সমরে ;

আমাকেই প্রতিষ্ঠা করেছে আমার আমিত্ব পৌরুষ ;
কোমলতার পদার্পণে আমি হীন নারী
যুদ্ধ জয় পরাজয় সব সম্মুখের অভিনয়
আমি পুরুষ
নিয়ত লড়ে চলি প্রতিষ্ঠার লড়াই ।





নববর্ষ

বহুদিন আগে ফুটপাত থেকে উবে গিয়ে সকাল
রাষ্ট্রতান্ত্রিক জনগণের উপর বর্ষিত ; অন্ধকারের জন্ম
নিদারুণ আত্মাভিমানে পোশাকি পরিচয়ে গণভোটের লম্বা লাইনে
একটা চিল চিলচিৎকারে বলে না
আরে ভাইয়া দুধের লাইনে দাড়িয়েছো কি ? শিশু কাঁদছে !

মরণবাঁচনের কবিতা লিখিনা , ছাপোষ উইপোকা নিয়ে নেই মাথা ব্যথা ,
জোনাক আগুনে কাব্যবিশারদ
নায়িকার ফুটবলে পা' ছোঁয়ানোর তিতিক্ষায় যতবার ফাউল করেন
পৃথিবী ঘুরে যায় দুইতিন বার
কোম্পানির দুধের গাড়ির লাইনে
আর খুঁজে পায়'না সেই যীশু নগ্ন পায়ে যাকে দেখেছিলাম ফুটপাতে ।

আর , আমের গুঁটিতে গুঁটিতে বুঝি কিছু একটা ঘটেছে পরিবর্তন ;
হাওয়ার বেগে সেই পরিবর্তিত পরিস্থিতি
আত্মভোলা ঈশ্বরের অঙ্গুলি হেলনে ঋতুর বর্তন
ম্যাসেজে ম্যাসেজে ছয়লাপ
রাষ্ট্র ও খুঁজে পেয়েছেন শুভেচ্ছা বিনিময়য়ের পন্থা
যারা মোবাইলের অধিকারী , আশ্চর্য !









অভিমান

বেঁচে থাকে যদি এক চোরাকারবারি দালাল দেহ
স্বভাবে জাল বুনে ঋণী রাখে কিছু হৃদয়
দিব্য আলো পিছু ফেলে অভিযানে শবে শ্মশানে
শেষ জল ঢেলো না প্রিয়
ভিজবে না , ভিজবে না শরীর
পারোতো নামিয়া দাও মেঘমল্লায় রবীন্দ্র সঙ্গীত
বৃষ্টি এলে
ধান ছড়িয়ে দিতেন কত সেই সব মা !
আমাকে মনে পরে ?
সেই সব মা গল্প করেন ? যখন তুমি ঠোঁট রাঙিয়ে বলো
প্রিয়তোষ বড় ভালো ছেলে !

ঘরদোর কিছু অহংকার
লেজ উঁচিয়ে তেড়েফুঁড়ে গলি সারমেয় দিনান্তে
ভাদুরে স্বপ্নে উপোষী । মা

এখনো মনে পরে জন্মান্ধ ব্যথা সুযোগ সন্ধানী নয় স্নেহের
নিত্তিতে দেশ তোল প্রতিবেশী প্রাচীর
শ্মশান ছায়ে প্রথম জলটুকু
জঠরের ভালোবাসার শতগুণ অভিমানে !









স্বর্গ হতে দূরে ... ০২

০১

সেই পাঞ্জাবী আবার চাপিয়েছি
যেটা প্রিয়ছিল আগুনের চেয়েও তোমার
শুধু বিপ্লবে পরতাম
যদিও সেই সব পতঙ্গ
যারা ভাল বাসে নিজেকে
আগুন পূজারী
আমি হিম হয়ে গেলাম ।

০২

দুর্বোধ্য সঙ্কেতে
ছায়া-রণ নিজের
চুম্বনে বিকালের ঘ্রাণ ফেলে সুবেশী নাবিক
অতলান্তিকেও কি নোঙ্গর ফেলে
গৃহের ?

০৩

এদ্দিন পরে
কলজে'তে এক যুবক কাল
ঘুম ভাঙ্গেনি যেসব
রাত্রি পিশাচের
তারা তবু
এখনো চোখ উল্টিয়ে ভয় দ্যাখায় !

০৪

ভয় ছিল না জ্যান্ত জীবনে
মরণে অনেকটা বেড়েছে
নাগ ফণাতে ডরায় নিই শিশু
তখন
এখন ফোঁসফোঁস শব্দে
রক্তের গতি কমছে ।

০৫

চেনাজানা সমস্ত দরজা জানালা
গরম তেলে লাশ
ষাঁড় বাহক বিশারদ সম্মুখে
প্রস্তুতি সারছেন সময় ;
কাছে দূরে
ফ্যাঁকাসে চুলের অগ্র
খড়কুটোও হতে পারেনি
ডুবন্ত সময় ,
প্রেমে- অপ্রেমের দ্বন্দ্ব
স্বর্গ প্রাপ্তিতেই বুঝিয়েছেন দুর্বার সময় !















নীরবতা ভেঙ্গে দিয়ে নিঃশব্দরা এলোমেলো
অধিনস্ত সেই সেপাহী গড়গড়িয়ে ছুটছেন
হুকুমতালিমে ; প্রতিদিন ।
সমতল রেখা দিয়ে আশ্চর্য কিছু মানুষ
ছায়াপথ নয় , আলোকিত হয়ে ওঠেনি রঙে
অনুরণনের আগুন ঝলসে দিচ্ছে যখন
এক ছায় অন্দরে দ্বিতীয়ত অপরিবর্তিত
বাকল ।
দৃশ্যান্তরে পতনভুক কিছু দৃশ্য অদৃশ্য ছায়া
হাঁটছেন সেপাই
আমাকেও বেঁধে নিয়েছেন স্বকাধে ।









‎...স্বর্গ হতে দূরে

০১

বার ক'য়েক তোমার আঁকলাম
রোজ যেমন সম্পাদ্য কাটাকুটিতে
হাত পাকায়
কোণ মিলতেই চাই না
নিয়মে বশীভূত
অনন্ত প্রচেষ্টা
নারী হয়ে ওঠো
বঁধুতে পাইনা ।

০২

মরে গেলে পাখি
ফিরে আসে দ্বিতীয় জন্মে পাখি হয়ে ?
ঠোঁটে লেগে থাকে খুদের গন্ধ
উড়বার স্বাধীনতা স্বর্গে ?
অথবা ফড়িঙের ডানাতে জিব্লি আঠা
মুছে যায় মৃত্যুতে ?

০৩

অদ্ভুত ভাবে তাকিয়েছিল সেই সকাল
উদাসী মাঠের স্বপ্নে
বীজের নিহিত গল্পকথা
বাঁক খাওয়া তোমার চুলে
দৃষ্টিভ্রম যুবকের
প্যাডেলে
স্থবির কাল ।

০৪

যদি মরে যায়
এই রূপক , খুঁজো না সময়ে ।
বিপথে যদি নরকের দরজায়
ছায়া পরে তোমার পদযুগলের
দেখে যেও
যে স্বর্গ নামতে পারতো অঙ্গনে
জঠরে
কোষে
তার দায়ভারে
এক পুরুষ
পিপাসিত এখনো
একবার দরজা খুলে দিলে
একবার খোঁপায় বেঁধে নিলে করবী
নরকেও
স্বর্গ নামিয়ে দিলাম ।

















কেতন

স্থানভেদে আচম্বিতে পাশা
এলিয়ে পরেছে সাম্রাজ্য মাহারাণী মুছে সিঁদুর
সীমান্ত পেড়িয়ে নাগর বাহু'র আন্দোলনে
কেঁপে ওঠেনি কুরুক্ষেত্র ? সঞ্জয় !
শেয়ালের পিঞ্জরে অসুখের নেই রেশ , টেনে নিয়ে
যৌন... জলাঞ্জলি
মধু ক্ষেতে রেশ্নায় রেড লাইটে ধরা আছে
নাগরিক কাল ,ভাঙ্গা ভাঙ্গা দৃশ্য ।

দ্বিতীয় কুরুক্ষেত্র যদি শখেও নামাতে পারি
কবিতায় পাখি-পাখালি গাছে গাছে ক্ষেতে মাঠে
গৃহ অঙ্গনে
মনে মনে শরীরের উস্নায়নে

একটাও অশুভ শক্তি রইবে না ভ্রূণের মর্যাদায়
পাখির ঠোঁটে গান নবদিগন্তে !















সুদূর

কত লোক হেটে যায় ভালোবাসা ফেলে সুদূর অতীত হতে
বর্তমানে সর্বভুক ক্ষিদের দিকে ; কত লোক এখনো
ছায় গাদায় স্বর্ণ খোঁজে ; দুনে সেই ভেড়া পালক ঈশ্বর পুত্র
বাঁশিতে তুলে নিয়ে হারানো সুর
নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে পাইনে ,অঞ্জলি দিতে পারো যদি নিজেতে
ঈশ্বর হয়ে ওঠে মানব মন !

দুর্বিপাকে ঘূর্ণি কম্পনে এক বুকের বা পাশ
ভাষা কিছু সঙ্গবদ্ধ রাগ-অনুরাগ নচেৎ ক্ষুধা জল হয়ে ঝরে যখন
শব্দ নেই
কতকথা বুঝে নেন ঈশ্বর ।

পালঙ্কে রাত্রিযাপনে নেশা । বধিরতা জানলেই অনিদিষ্ট বিষাদে
মহানাগরিক ;
বিষাদ উৎপাদনশীল দ্রব্য হয়ে উঠেছে যতো
কমদামী "চায়না" সামগ্রী হাতবদল , প্রত্যেকে বিষাদ রাজপুত্র !















পিচ্ছিল বালিশে তুমি
মন খুলে দিয়ে
অভিমানে
ওদিকে ভেসে যায়
এক অলকানন্দা ।

০২

অনবদ্য হিসাবী রাতে
নিমজ্জিত এক ভবিষ্যতে
সুমিষ্ট স্বাদু জল
তিরতির নেমে আসে
পাদদেশে
পান করে নিই
বিশ্রী গন্ধেও তবে
স্বাদ আছে !

০৩

দ্বিধা হয়ে আছে দ্বিধারা
স্বপ্নের শান্তিতে রাত
মোম পাশাপাশি
ফুলিঙ্গ অভাবে সাত সাতটি বছর
গাভিনির ডাক ওঠে
ধম্ম অন্য মাঠে ।
































No comments:

Post a Comment