দুঃস্বপ্ন এবং এপ্রিল
এপ্রিল ০১
বৃথা স্বপ্ন নিয়ে দুই চার কলাম লিখে অভিমানী ,
কবিতায় ছুড়ে দিয়ে যন্ত্রণা - বালিশে মাথা গোজা ,
তবু ঘুম আসেনা ,
নিজেকে অনাবৃত করে রাতে কাপালিক পেত বুড়ি'র
গৃহ শয্যায়
অপত্য স্নেহ মায়া ঈশ্বরী ঠোটের চুম্বন ভুলে
মগ্নতায় -- আগুন হোমপ্রজ্বলনে বিধৌত করে
চিন্তন , সেওকি কাঁদেনি হঠাৎ বিড়ম্বিত রাহুকালে !
কত ধানকাটা স্বপ্ন নিয়ে এই বৈশাখ , গোলায়
গোময় আলপনা , ভাগচাষী তখন প্রলুব্ধতার চাঁদে
দেখেন নারায়ণ , স্বপ্ন ডিঙ্গায়
দীপ্ত ঘোষণা অভাব নাই অভাব নাই ।
হঠাৎ হঠাৎ এপ্রিলে এপ্রিলে বিষণ্ণ বায়ু , শোক ছায়া ,
মৃতরা ফিরে আসে ? ফিসে আসে ভালোবেসে সন্তানে ?
এপ্রিল জুড়ে শুধুই শোক সভা জীবনের ...
এপ্রিল ০২
তখন রঙ সত্যি রঙ্গিন ,
আমি তুমি পেটভরা ভাতে কি স্বাদ !
প্রথম জগত আমাদের
দ্বিতীয় জগত আমাদের
পাঠ্য বই'য়ে কত অজানা আমি জানতাম না
তুমি জানতে ?
এখন রোজদিন শত বানান ভুল করি
গোমাংস বিদ্যা দিয়ে যা লিখে বাহবা কুড়ায়
নিজেকে বেঁচে
জীবন খুঁজি
পাওনাদারের ঝাঁঝালো চোখে
টাকা সম্পদ ভবিষ্যতের ইতিহাস
তুমি থাকলে মেনে নিতে সব চলছে চলুক বলে ?
তুমি ফিরে এসো দ্বিতীয় জীবনে ;
আমি তুমি ভাই তিনজনে
বেহমিয়ান
প্রজাপতি দিয়ে ঘুচিয়ে দুঃখ
আমনে সাজিয়ে নেবো সংসার !
থাম তোরা অদ্ভুত রসালো বিদূষক
তোরা হেসে উঠলে
প্রত্যেকটা ক্রুশে দেখি আমার বাবার মূর্তি ! ঈশ্বর !
তোমার জন্য কবিতা তুমি জানো ঘটনাবলী
এপ্রিল ০৩
তুমি জানো ? তারপর গৃহ আর গৃহ
গৃহ হয়ে ওঠেনি এখনো !
ডেরা সংসার , চাল নুনের হিসেবে ফাঁক গলে
আমার কলেজ কাঁদছে
অথচ আমি শুনছি না
কিছু কথা শুনলে মায়া বাড়ে বলে
মাউসে হাত দিয়ে
দিনরাতে
নিজেকে দুই সেদ্ধ করি
বেশ আছি
বেশ আছি স্বভাবে অভাবে নেকড়ে চোখে
বেশ উজ্জ্বল হয়ে উঠছে ভবিষ্যৎ
অপরিমেয় মহিমা নিয়ে দাঁড়িয়ে ওপাড়ে
কি সুখ পেলে ?
কোন এপ্রিল ভুলতে চাইনা বলেই......
এপ্রিল ও ভোলেনি আমাকে ?
তুমি কি ভুলে গেছো আমাদের ? চিরবসন্তে ?
এপ্রিল ০৪
অহংকারী ছিলে বড্ড তুমি ! এক রোখা !
তা বলে কি নোটিশ দেবে না চলে যাবার ?
ভাল্লাগে না ; আড়ি ......
শুনলে না তো এবারের দুর্গাপূজায় কোন সালোয়ারে
অঞ্জলি দিয়েছিলাম ? নবমী মহাভোজে
পাঁঠার হাড় কড়মড় ভেঙ্গেছিলাম কিনা ?
হা হা হা , হা হা হা ,
এখন সবকটা উৎসবের রঙ এক
উৎসবে টু পাইস ধান্দা
খুচরো গুনতে গুনতে দশমী গেলে বুঝি
এবারের পূজা বৃথায় গেল চলে ......
ওখানেও উৎসব হয় ?
ঝলমেলে পোশাকে আলোকিত হয়ে ওঠে অন্ধকার ?
প্রতিটি উৎসব জুড়েই ভ্রান্তিকাল
সীমাহীন ক্ষয়ে তাদের নগর নারায়ণ অভুক্ত
আমাকে সাজতে বোল তুমি , আমি পারবোনা ।
এপ্রিল ০৫
তুমি পারোও বটে ! কি আছে কোদালে ?
সেই ভোর চারতে থেকে ? মা বলতেন ,
তুমি হেসে বলতে- বুঝবে না তুমি
স্বর্ণখনির খোঁজ পেয়েছি , দাড়াও আর তিনটি মাস
নাকছাবি টা হবেই হবে এবার !
নাকছাবি আর কোন দিন পরতে দেখিনি মাকে ,
নাকছাবিও রক্ষা করতে পারেনি মা'কে
আর সেই
ফেলে যাওয়া খনিতে করিম মিয়াঁ স্বর্ণ তুলছেন
মা বিদ্যা বেঁচে
তিন জীবনের পেঁয়াজ কিনছেন !
চমৎকার আছো তুমি !
তবুও এমন তো কথাছিল না......
আমার কলেজ অ্যাডমিশনের টাকাটা কোথায় রেখে গেলে তুমি
আমি খুঁজে খুঁজে হয়রান
এপ্রিল ০৬
এভাবে চলে যায় কেউ ? বোকা কোথাকার !
যেতে গেলে সময় লাগে প্রস্তুতি লাগে ,
কিম্বা অনুমতি ......
আমি বুঝলামই না
দ্বিতীয়বার এই লুকোচুরি আমার না পছন্দ ...
মনে রেখো ...
এপ্রিল ০৭
মাসের প্রথম থেকেই সংখ্যা গুনন শুরু......
অনেকখানি ছেঁটে ফেলতে হয় মুদিদ্রব্য হিসাবের ...
টিফিনের মোবাইলের ইচ্ছা দমিয়ে
দুঃখ নেই
দুঃখ নেই আলু সিদ্ধে পেটভরানোর
কিবা তুমি নিতে পারো আমাকে ছাড়া ?
নিয়ে নাও !
দক্ষিণবঙ্গের এপ্রিল জুড়েই কালমাস
ক্ষয়ে স্মৃতি সম্বলে
প্রতাপশালী এপ্রিল ।
ঘৃণা করতে শিখেছি সমগ্র এপ্রিল
হয় জীবন দাও ফিরিয়ে
না হয়
ক্যালেন্ডার থেকে মুছে দাও এপ্রিল
এপ্রিল ০৮
তোমাকে রাগতে দেখিনি , রাগ নাকি ঈশ্বরের
প্রতিদ্বন্দ্বী ,তোমার নিনাদ উচ্চারণে যাত্রা পালা
হাততালিতে কেঁপে উঠতো হ্যাচাক আলো ,
আমিও লুটোপুটি না বুঝেই......
কতদিন যাত্রা দেখিনি
জীবন কি শুধুই হাততালি প্রত্যাশায় ?
ঈশ্বর তাদের ভালোবাসেন
যারা ঈশ্বর হতে চান না ,
ঈশ্বর তাদের ঘরে তোলেন
যাদের ঠোটে লেগে থাকে ভালোবাসা দুইদণ্ড সময়ের
এপ্রিল ০৯
রক্ত বেড়িয়ে গেছে সর্বচ্চ গাছে'র কাণ্ড থেকে ;
এক লহমায় নিস্তেজ সূর্য
আমাদের প্রিথিবিতে এখন গ্রহণ কাল
দুই দস্যু
আঁখের ছিবড়া চিবিয়ে রসদগ্রহন
ভাললেগে কি তবু সূর্য বন্দনা ?
দ্যাখো
উচ্ছিষ্টে অভীষ্ট জন্ম
আঁধারে চোখ জ্বলেনা
বুঝি পশু নয় অথবা পশু ......
প্যাকেট প্যাকেট বিরিয়ানি চলে
বুঝে নিতে শোকসভা
মুক্তি নেই ! মুক্তি নেই দৃশ্য থেকে ......
তুমি ভালোই করেছো না থেকে !
এপ্রিল ১০
অজানুলম্বিত হাত ধবধবে তুষার পুরুষ
আজো ভুল করি তুমি ভেবে ;
চোখ দিয়ে গিলে খেতে দৃশ্য বেশলাগে ,
রোদে আলপথ ভেঙ্গে উঠে আসে যে জীবন
এখনো তুমি ভেবে ভুলকরি
ইচ্ছা করেই ভুল শোধরানোর করি না চেষ্টা ,
কাঁধে যোঙ্গাল নিয়ে ঘটিতে নিয়ে জল
পাচন পরতো যখন নাংলা পিঠে
হ্যাট হ্যাট
চলতো গরু মেঠো পথে সুরতুলে ...
দৃশ্য এখনো কল্পতরু
ঐ দূরে ঘূর্ণিতে পথ ভাঙছে কিছু ছায়ামূর্তি
এই এপ্রিলেই যতসব কাল বৈশাখীর নাভিশ্বাস !
এপ্রিল ১১
ইদানীং নিদিষ্ট খাতে প্রবাহিত সময় ;
টিকটিক পেন্ডুলাম - সতর্ক সংকেত ;
ভয় দেখিও না এভাবে সময়
বয়ে গেছে জীবনে -মরণে !
কবেই শুঁকিয়ে গেছে পাপড়ি , গুছিয়ে
রেখেছে বলে কেউ ফুলদানিতে দেখতে সতেজ
নামিয়ে দেখ
এক পলকা হাওয়ায় যদি না খসে পাপড়ি ......
ইতস্তত এখানে ওখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে
কলমদানী , পুরনো সৌরভ গাঙ্গুলি মার্কা খাতা
কাঁদো কাঁদো দেবদাস
পাশে ধুলো মেখে গ্লোব ......
গ্লোব হাতে খুঁজছি কোথায় আমার দেশ
বাবার সঙ্গে তবে কি হারিয়েছে দেশ !
এপ্রিল ১২
তোমার মনে পরে ঠাকুমাকে যেখানে রেখেছিলে
ঘুমপারিয়ে সেখানে তুমি প্রতিদিন প্রনাম করতে ,
ঝড় জল অভাবেও ব্যতিক্রম দেখিনি কোন দিন ,
কি বলতে বলোনি কোনদিন
তোমার সঙ্গে ঠাকুমার খুব ভাব হয়ে গেছিলো বোধহয়
একদিন শুধু বলেছিলে
তোর ঠাকুমার পাশেই রাখিস আমায় !
এখন তোমরা দু'জন নিরিবিলি গল্প করো না ?
তোমার বাবার গল্প বলে ঠাকুমা ?
জানো তো তোমার আর ঠাকুমার পাশে এখনো অনেকখানি
যায়গা পরে আছে ......
আমারও হয়ে যাবে তাতে
আর কিছুদিন পর
আমরা তিনজন
ওখানেই সংসার নামিয়ে দেবো না হয় !
এপ্রিল আনলাকি
যখন তের বছর আমার
কিছুদিন লজ্জা লাগতো তোমার সামনে যেটে ...
মুগ্ধকর শিহরণে কেঁপে উঠতাম ,
তুমি বুঝতে সব
যেদিন মা বলে আমাকে কাছে টেনে বললে
তুই আমার মেয়ে না , সাক্ষাৎ দেবী মা
আইসক্রিমের মতো গলে
আমি বুঝেগেলাম
আমার রহস্য আমার মায়েরও রহস্য ছিল একদিন ।
এপ্রিল ১৪
বাঁশ বাগানের পাশ দিয়ে একফালি সরু আলপথ
ধরে হাঁটলে আমাদের আমনক্ষেত ; পাশেই
একরত্তি ভূমিতে কত সবজী
এক দুপুর রোদ মাথায় করে তুমি যখন ফিরতে
আমি গন্ধ পেতাম ফসলের
ঢকঢক এক ঘটি জল খেয়ে রান্নাঘরের বারান্দায়
শরীর এলিয়ে দিয়ে
মৃদু স্বরে বলতে মা দেখতো পাকাচুল দেখতে
পাস কি না ,
আমি মিনিট মিনিট ধরে ছোট্ট আঙ্গুলে খুঁজেই
যেতাম
কোনদিন একটা পাকাচুল দেখিনি ,
তুমিও জানতে তোমার পাক ধরেনি চুলে ...
ভালোবাসা চাইতে বল ?
চুল পাকলে নাকি বয়স বাড়ে , আর যাদের বয়স বাড়ে
তারায় ধম্ম বাহকের প্রিয়
তুমি তবে প্রিয় হলে কেন তার ?
এপ্রিল ১৫
রঙ চুসে নিয়ে এক সকাল
দীর্ঘ চুম্বনে
নিয়তি ভবিষ্যৎ
ভবিতব্যে আমি আমাদের পরিবার
বিহন রসে
প্যালেসটার খসা দেওয়াল
মধু ভাণ্ড নিয়ে
মেতেছে স্বজন
এপ্রিল ১৬
রাত্রি গুলো পিশাচ হয়ে আসে এখন ......
আকাশে পেশাদারী নক্ষত্র
লাল কার্পেতে স্বজাতি ভক্কক
রক্ত চিনেছে রক্ত
তুমি ভালোই করেছ
ভালোই করেছো না থেকে ।
এই হিমশীতলতায়
আমিই যথেষ্ট ...
তোমাকে নামাবো না অথৈ জলে ।
ওখানেই থেকো
যেখানে থাকবার কথাছিল আমাদেরও ।
এপ্রিল ১৭
আমি বলে দিতে পারি কোন শকুনের দৃষ্টিতে শুধুই মাংসপিণ্ড
তুমি পারতে আম্বুবতিতে যাসনে মাঠে বৃষ্টি হবেই হবে ।
তুমি সবুজ চিনেছিলে ধানের দুধ
সর্ষে ফুলি রসের মোয়া
শ্যামা পোকা
ঘুগরো
আস্ত এক সবুজ নিয়ে তোমার সংসার ......
তুমি নেই
সেই অবকাশে আমিও শিখে নিয়েছি হিসেব
কতখানি নিজেকে লুকিয়ে
কতোটা বিক্রি করলে ঘাম
কতোটা চোখ রাঙ্গানো এড়িয়ে
হাসি দিয়ে নামতে হয় পথে ......
এপ্রিল ১৮
ক্ষণজন্মা , কেউ জানতো না ,
মেয়েবেলা এক দুরন্ত বাছুরের পায়ে
যতদূর ছুটুক
এক হাম্মা ডাকের শব্দবন্ধনীতে ...
দূর ফিকে গোধূলিতে
হাসতেন মিটমিট স্বপ্ন পুরুষ আমার
আমাদের সকলের
এপ্রিল ১৯
এক অন্য আকাশে শুধুই নক্ষত্র সমারোহ ,
প্রাচীন গর্ভ মন্দিরে যে জীবন এসেছে...
শিয়রে জন্মদাতা
ভয়ানক সত্য জেনেফেলেছি আমি
সত্য ডেকে বলে আমাকে
সম্পর্ক শুধুই তটভূমিতে নাম লেখা - ক্ষয়ে
যেতে একটা ঢেউ যথেষ্ট
এপ্রিল ২০
দেখি দূরে মিলিয়ে যাচ্ছে আমাদের গ্রাম , আর
কিছু ক্রোশ দূরে জালিকা বিন্যাসে আমার
কাছের দূরের বন্ধু ,
সকাল থেকে শুরু এক নির্দেশিত নির্দেশে
আমি সময় বিক্রি করি , তখন
ভুলে যায়
ভুলে যায় তুমি ছিলে তুমি ছিলে
এক গহন অন্তর বিস্তারে --- আমার স্বপ্ন
সাথীতে ...
নাগরিক কাক ভোরে
শুরু পথ চলা
অন্তরধ্বনিতে শুধুই তোমার নাম
এপ্রিল ২১
মনে পরে আমাকে ? আমাদের ?
আর বক্রহাসি দিয়ে যারা বলেছিলেন , ঈশ - ঈশ
এদের কি হবে ?
ভালো আছো ? সময়ের গ্রন্থিতে যতই পুঁজ
জমুক ......
এপ্রিল ২২
আমাদের কাঁদতে নেই বল ? ক্ষিদে পেলে বলতে নেই !
বলতে নেই ঘৃণা করি দেশ !
এপ্রিল ২৩ ......
সেদিন কথা গান হয়ে গিয়েছিল ...
সেদিন আমাকে খুশী রাখা সময়ের কি প্রচেষ্টা
তখন তুমি ছিলে বলে
সব ঘরমুখী
আজ কিছু হাতরে হাতরে ধরতে পারছি না
এপ্রিল ২৪
বাবা যেভাবে গুছিয়ে চাষ করতে পারতেন
অন্য কাউকে দেখিনি সেইরকম ; কখন বিদে কাঠি
পুড়িয়ে চিকণ শলা ভুঁইয়ের এফোঁড়ওফোঁড় অথবা
হাত দিয়ে শিল্পের পর্যায়ে আলের কোলাস ...
মাটির গর্ভাবস্তা বুঝেই ইউরিয়া আর পাটাসে
ফলিয়ে নিতেন সোনা ;
এসব পারতেন দারুন
তবু নিজের সম্পর্কে ততখানি অজ্ঞ ।
চাষে যতখানি শিক্ষালাগে মানবিক গুণ ঢের বেশী ...
লাঙ্গলের হাতলে কতোটা চাপ দিলে
বলদে বলে পরেরবার ও আমি পস্তুত
আর দুপুরে জন খাটা ভাইয়েদের মুড়ি দিয়ে
এঁকে নিতে হয় ফসলের প্রচ্ছদ
বাবা জানতেন ......
এক ফসলীতে তিল বুনে দ্বিফসলী হবেই হবে
আগামী কিম্বা আগামী বার ।
এখনোনা চাষ হয় !
অন্য হাতগুলো ব্যাস্ত থাকে ক্ষেতে ।
বাবারা চিরকাল মাঠে থাকেন না , বাবারা বাবা থাকেন না চিরকাল ।
কিন্তু থাকবার কথা ছিল আরো কিছু সময়...
থাকলে কিবা এসে যেত কার...
আসলে
শিল্পীদের হাহাকার স্বর্গে
বাবা নিশ্চয় আপেল ফলাচ্ছেন সেখানে !
এপ্রিল ২৫
নীরবতা ভেঙ্গে দিয়ে নিঃশব্দরা এলোমেলো
অধিনস্ত সেই সেপাহী গড়গড়িয়ে ছুটছেন
হুকুমতালিমে ; প্রতিদিন ।
সমতল রেখা দিয়ে আশ্চর্য কিছু মানুষ
ছায়াপথ নয় , আলোকিত হয়ে ওঠেনি রঙে
অনুরণনের আগুন ঝলসে দিচ্ছে যখন
এক ছায় অন্দরে দ্বিতীয়ত অপরিবর্তিত
বাকল ।
দৃশ্যান্তরে পতনভুক কিছু দৃশ্য অদৃশ্য ছায়া
হাঁটছেন সেপাই
আমাকেও বেঁধে নিয়েছেন স্বকাধে ।
এপ্রিল ২৬
আহাঃ মাঠ থেকে একপ্রাণ তৃষ্ণা নিয়ে ফিরতে যখন দুপুরে
ঢকঢক এক ঘটি জল
সমগ্র শুখা উপত্যকা এই রকম বৃষ্টি হাহাকার
শাদা দাওয়ায় শুয়ে গড়িয়ে নিয়ে বেলা
দুপুরের আগুন ভাঙ্গার মুহূর্তরা আমাদের সম্পদ ।
আঙ্গুলের ডগায় শিল্পের বসত ভিঞ্চি থেকে
রবিকবি আর অগুন্তি সব ব্যাঙ্গাচি
লাঙ্গলের ফলাতে ফাল-ফাল করে দিয়ে মাটি
মমতায় লিখেছিলে যে বীজের ইতিহাস
আমার মনের ক্ষুধা মিটিয়েছে প্রাণে ।
অযুত- নিযুত লক্ষ তারা ভুঁইফোঁড় ফ্যাসা ঘাস
জানে না ওরা
জানে না পতন
নির্ধারিত হয়ে আছে কবেই নিড়ানির আগায় !
ফাঁকা মাঠের অনাবৃত বুকে তোমার
ভালোবাসার দিবারাত্রি পদক্ষেপ
একদিন সবুজের সামিয়ানা ঈশ্বরের আপন ঘর ।
তবুও একদিন নিঃস্ব ধরা ধুলি
তবুও একদিন তীব্র অনুযোগে
সেই সুদূর অতীত হতে নিয়মতান্ত্রিক নিয়মতায় জটিল
ঈশ্বর আপনাকে রাঙানোর অভিলাষে
ঘরে তুলে নেই রঙ
জানে না
জানে না ঈশ্বর যে মাঠ একদিন হোলি খেলে মাটিয়ে দেয়
এক মমনি এক শিবার ঘর
সেখানে রঙ নেই
শুধু বিবর্ণতা
আর দাম্ভিকতার সূর্যে নেই আলোর উৎস ......
এপ্রিল ২৭
তুমি পারো বটে ,
ধুস
আর কথা নয়
যদি
ফিরে আসতে পারো......
এপ্রিল ২৮
খুশী তুমি ?
খুশী তুমি এইরকম জলে জলে ডাঙ্গায় ভেসে ?
ঐ ঐ চাঁদ বুড়ি'র সাথে দেখা হয় ?
দু'জনে গল্প করেছো কোন দিন ?
বল নি দিনকাল ভাল নয়
সোমত্ত মেয়ে
ঈশ্বর কি হয় , কি হয় !
বিশ্বাস করো , একদম রেগে নেই...
রাগ নেই তোমার উপর
অভিমান ? তাও নেই !
দুঃখ নেই , শোক নেই , গন্ধ নেই...
গল্প সকলের জানা
গল্পটা কেউ জানে না , অগচরে ।
কিছু লোভী
কিছু ভগবান
ঘৃণা করি
ঘৃণা করি নিজের জন্মে .........
যদি না বাঁচে জীবন
ভগবান , তোর কি প্রয়োজন !
এপ্রিল ২৯
শূন্য
আর
শূন্য
No comments:
Post a Comment